ডাইজ পার্চেস এন্ড প্রকিউরমেন্ট পলিসিঃ
আমাদের ডাইং ফেক্টরি গুলিতে যখন ডাইজ কেনা হয় তখন এটা কেনা হয় কমজামশন এর উপর বেইজ করে আমরা ফেক্টরিতে সাধারণত রেড, গোল্ডেন ইয়োলো, লেমন ইয়োলো, টার্কিশ, রয়েল ব্লু Rspecial, ব্লু, অরেঞ্জ, ব্লাক বি , OBA
দেখা যায় যে আমাদের শেডের পরিমাণ এর উপর ডাইজ নির্ভর করে যেমন প্রতিটা অর্ডারে ৩-৪ কালার কম্বিনেশন থাকে যার ভেতরে ব্লাক, হোয়াইট, মেরিন প্রায় কমন, একটা অরেঞ্জ আছে মাঝেমধ্যে, আর বাকি গুলা বেসিক সেড ।
আমরা যখন ডাইজের বুকিং বা LC দিবো তখন আমাদের রিকুইজিশন করা সময় ডাইজের এমাউন্ট উল্লেক করে দিতে হয় যা ১০০% একচুয়াল পরিমাণ মতো হয় তা নয় আমাদের আনুমানিক ভাবে বুকিং দেয়া লাগে
আমাদের বেশি কঞ্জিউম করা ডাইজ গুলি হচ্ছে রেড, ইয়োলো ( গোল্ডেন ), নেভি এই গুলি প্রায় সব সেডের ক্ষত্রেই লাগে । তাই রেড, ইয়োলো ( গোল্ডেন ), নেভি আমাদের বেশি পরিমানে স্টক থাকার প্রয়োজন পড়ে।
তার পরের কঞ্জিউম করা ডাইজ হচ্ছে ব্লাক কারন এর % প্রায় ৩% এর উপর আর 60-80 gpl এর মতো লাগে যেখানে রেড ইয়োলো নেভি এর 5-20 gpl এর ভেতরে সেড ভেদে তাই এর স্টকের পরিমাপ বেশি হওয়া চাই ।
তার পরের কঞ্জিউম করা ডাইজ হচ্ছে ব্লাক কারন এর % প্রায় ১-২% এর উপর আর ৩০-৫০ gpl এর ভেতরে সেড ভেদে তাই এর স্টকের পরিমাপ বেশি হওয়া চাই । এটা লাইট ব্লাক, মেরিন সেডের ক্ষত্রে ব্লুয়িশ ব্লাক টোনের জন্য এটা ইউজ হয়
টার্কিশ, রয়েল ব্লু Rspecial, ব্লু এর কঞ্জামশন ও কম নয় প্রায় সকল লাইট ব্লু এর ক্ষেত্রে টার্কিশ লাগবে, আর রয়েল ব্লু Rspecial এর ডিপ সেড এর কম লাগে না, ডিপ ব্লু করার জন্য ব্লু EDG টাইপের ডাইজের ডাইজ ইউজ হয় তবে এই সেডের পরিমাণ খুবি কম হয়।
লেমন ইয়োলো, অরেঞ্জ ইউজ হয় ব্লুয়িশ ইয়োলো, এবং অরেঞ্জ সেডের ক্ষত্রে আর এদের কঞ্জামাশন % সবচেয়ে কম।
OBA ইউজ হয় হোয়াইটের ক্ষত্রে কঞ্জামাশন % সবচেয়ে কম আর অর্ডারের উপর এর বুকিং নির্ভর করে।
আপনার যদি ১ টনের বা ১০০০ কেজির কালার আসে আপনাকে এই ভাবে কালার বুকিং দিতে হবেঃ আইডিয়ার জন্য
রেড = ১০০ কেজি
গোল্ডেন ইয়োলো= ১০০ কেজি
নেভি= ১০০ কেজি
ব্লাক = ২৫০ কেজি
লেমন ইয়োলো= ৫০ কেজি
টার্কিশ= ৭৫ কেজি
রয়েল ব্লু Rspecial=৭৫ কেজি
ব্লু= ৫০ কেজি
অরেঞ্জ=৫০ কেজি
ব্লাক বি =৭৫ কেজি
OBA =৫০ কেজি
ডাইজের কিছু তথ্যঃ
১. ফেক্টরির ডাইজ ইউজ নির্ভর করে তাদের টেকনিক্যাল পার্সন বা ডাইং হেড অফ ডিপার্টমেন্ট এর উপর মেজরিটি টাইম তার উপর পার্চেস এর রেস্পন্সিবিলিটি থাকে ।
২. ডাইজের কোয়ালিটির ক্ষত্রে ডাইং টেকনোলজিস্ট দের পছন্দ জার্মান ডাইজ, তারপর কোরিয়ান, তারপর চাইনিজ তারপর ইন্ডিয়ান ডাইজ ।
৩. আমাদের সাইকোলজি হচ্ছে দাম যার ভালো মান তার ভালো এই কারনে কোয়ালিটিতে পিছিয়ে থাকলেও ইন্ডিয়ান, চাইনিজ ডাইজ গুলির দাম কিন্ত ডাইস্টার হান্টসমেনের প্রায় সমান। এটা প্রাইস কমায় না।
৪. জার্মানি এখন তাদের ডাইজ সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্ডিয়া, চায়নায় ম্যানুফেকচার করে থাকে তাই কান্ট্রি অফ অরিজিনে এটা লেখা থাকে।
৫. ডাইজের লট বাই লট কোয়ালিটি স্ট্রেন্থ টেস্ট করে নিতে হয় কারন এটা ফেব্রিকের মতো লট বাই লট প্রডাকশন দেয়া হয়।
৬. ইন্ডিয়ান ডাইজে এজো বেশি ধরা পড়ে। এই কারনে এক্সপোর্ট প্রডাক্ট এর জন্য নন ব্রেন্ড ডাইজ পরিহার করা উচিৎ।
৭. আপনি চাইলে ডাইজ লোনে বা LC তে পার্চেস করতে পারেন, LC না হলে সাপ্লাইয়ারদের কাছ থেকে লোনে পার্চেস করা যায়।
৮. Dyster, Huntsman, Dysin, Ciba, Imperial এর ডাইজ বাজারে বেশি চলে।
৯. কটনের জন্য মিডিয়াম, হট,কোল্ড ব্রেন্ড। এর সিরিজ ডাইজ বাজারে পাওয়া যায়। মিডিয়াম, হট ব্রেন্ড (এক্সজোস্ট ডাইং যেমন নীট, গার্মেন্টস, ইয়ার্ন এ ইউজ হয়) কোল্ড ব্রেন্ড (CPB তে ওভেন ডাইং এ ইউজ হয়।
যদি আপনাদের নিজস্ব আইডিয়া থাকে তবে কমেন্টস করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন