টেক্সটাইল ডিপ্লোমা-টেক্সটাইল বিএসসি কোনটি করবেন | Textile BSc - Textile Diploma - Textile Lab | Textile Learning Blog
টেক্সটাইল বিদ্যায় দুইধরনের কোর্স  বিদ্যমান-


১। ডিপ্লোমা
২। বিএসসি

দেশে ব্যাঙের ছাতার মত প্রতিষ্টান খোলার কারনে ইদানীং কাল বিএসসি করা ছেলেরাও বেকার, আসলে এটা আমাদেরই সৃষ্ট সমস্যা। ধরুন জাতীয় ভার্সিটির আওতাধীন কিছু প্রাইভেট কলেজ তাও ভার্সিটি না টেক্সটাইল কোর্স চালু করে দিছে,  তার উপর এই সেক্টরে লিংক ইজ ফাষ্ট থিংগস টু গেট এ ভাইভা কল। জব তার পরে, লিংক না থাকলে ভাইভাতেও ডাক পাওয়া যায় না ,  এখানে লিংকটা হচ্ছে নিজ প্রতিষ্টান এর আলামনাই এসোসিয়েশন , মামা, খালু এবং ভাই ব্রাদার।  মোটকথা-  ভালো ইউনিভার্সিটি, পারসোনাল লিংক ও স্কিলফুল না হলে এখানে সারভাইভ করা কঠিন, উপরে উঠাও,  তাছাড়া শরীরে গাধারখাটুনি তো আছেই, ননটেকনিক্যাল, মূর্খ ওয়ার্কার ম্যানেজ সব কিছু কঠিন কাজ, আসলে শুধু টেক্সটাইলে না যেকোনো সেক্টরে যাওয়ার আগে  তার আদোপান্ত জানা উচিত তাই, 

আসুন কারা টেক্সটাইল আসবেন ?

১। অধিক পরিশ্রমী, রাত জাগতে পারেন, প্রচুর প্রেসার নিতে পারেন,  অর্থা টেক্সটাইল ইজ নট আ অফিশিয়াল জব ইন ইনিশিয়াল মোমেন্ট

২। মানুষ ম্যানেজ করা দক্ষতা, নিজের ভূল স্বীকার না করার দক্ষতা।

৩।  অনুভূতিহীন, আবেগপ্রবণ হীন, বেশি ইমোশন থাকলে প্রথম নাইট ডিউটি আপনার মন ভেঙে দিবে।

৪। যাদের লিংক আছে অর্থাৎ ফ্যামিলির কেউ টেক্সটাইলের ভালো স্তরে।  মোটকথায় রেফার করবে আপনাকে এমন কেউ।

আমি এইগুলো সিরিয়ালি দিছি এই কারনে আপনি যদি প্রথম টা অধিকারী হোন তাহলে পরের ধাপে, সর্বশেষ লিংক, আপনাকে কেউ ট্রেইনি মার্সেন্ডাইজার হিসাবে কোন রেপুটেড কোম্পানিতে রিক্রুরেট করছে, কিন্তু জব এর প্যারায় আপনি টিকতে পারলেন না, কারন মার্সেন্ডাইজারের কাজের যে চাপ তা উপরে তিনটি বৈশিষ্ট্য ছাড়া ফুলফিল করা সম্ভব না।

কারা টেক্সটাইলে আসবেন না ?

১। যারা গত বিশ বছর খুব আরাম আয়েশে কাটিয়ে ছিলেন, ফ্যামিলি ডাজেন্ট ম্যাটার যেমন আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত  পরিবার থেকে তবু ও শারীরিক গঠনে একটু দূর্বল হওয়ার কারনে এত চাপ নিতে হয় নাই বড় ভাইয়ের যত্নে ওনার কাছে বড় হওয়া।

২। গরম যাদের সহ্য হয় না, সাউন্ড প্রবলেম আজীবন এই সমস্যা গুলো থাকবে না, কিন্তু প্রথমেই একবার বলেছিলাম টেক্সটাইল ইজ নট আ অফিশিয়াল জব ইন ইনিশিয়াল মোমেন্ট, ক্ষেত্রবিশেষ ৪-৬/৭ বছর প্রয়োজন হয় অফিসিয়ালি হইতে যেমন ডাইং এ আপনি এসিসটেন্ট ম্যানেজার / অথবা অনেক ভালো কোম্পানিগুলোতে সিনিয়র পিও হলে ফ্লোর ছেড়ে উপরে যেতে পারবেন,  সাইন্ড, গরম বিদায় দিয়ে শুধু বায়ার কন্ট্রোল, শেড চেক মাঝে ডিশিসান মেকিং

৩। যারা আজীবন ভাবছেন চাকুরী মানেই এসি রুম, টেম্পারেচার ২০-২৫ এ রাখবেন, 

৪। যারা কুল মেন্টালিটির না। 

৫। লিংক যাদের একবারেই নাই।

হয়ত আপনি টেক্সটাইলে  প্রবেশ করার জন্য আগ্রহী উপরোক্ত সব দেখার পরে।

এবার কিসে পড়বেন?
১।ডিপ্লোমা
২।বিএসসি

যেহেতু এস এস সি এর পরেই ডিপ্লোমা এখন আলোচনা করব ডিপ্লোমা নিয়ে।

১। যারা ছাত্র হিসাবে মনোযোগী, মেধাবী ও বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট সমূহে ভালো, আমি জিপিএর কথা বলব না,  এবং তোমার একটা ভালো ফ্রেন্ড সার্কেল আছে, যারা ছাত্র হিসাবে ভালো। 

তোমরা কখনো ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবে না।

২। ছাত্র হিসাবে অমনোযোগী,  ম্যাথ ইংরেজি  এর অ, আ, ক, খ ও বুঝে না,  শুধু ফাঁকিবাজি করে, তারা ইন্টার পাশ করে অনার্স করে বেকার বুদ্ধির মানে নেই।  ডিপ্লোমা কর ১০ হাজার টাকার সেলারি পাও। 

এবার কিছু ব্যাখ্যায় আসি ২ নাম্বার পয়েন্ট এর কারনে আমাকে অনেকই পণ্ডিত ভাবতে পারেন, কিন্তু এটাই বাস্তব,  ভালো রেজাল্ট, ভালো ছাত্র হয়ে চাকুরী নাই, আর এইরকম হ-য-ব-র-ল করে কি হবে? তাই ডিপ্লোমা করে জব শুরু করে দেওয়াই ভালো। 

১ নাম্বারটার ব্যাখ্যা তুমি ছাত্র ভালো হয়ে যদি ডিপ্লোমা শুরু কর, দেখবে  তোমার ফ্রেন্ড সার্কেল এর অনেকে তোমার  মত অর্থাৎ তোমার মত ছাত্র হয়ে ৩ বছর মনোযোগ দিয়ে  পড়ার ফলে বিভিন্ন পাবলিক ভার্সিটি তে পড়ছে , ওর ৩ বছরে জ্ঞানের ভান্ডার ও বাড়ছে, ভার্সিটি এর পরিবেশ থেকে আহরিত জ্ঞান তো এক্সটা

অথচ!  তুমি ও চেষ্টা করলে পারতে , এইদিকে তুমি জব সেক্টরে রেসিজম এর স্বীকার ও হবে। 

সমাধানঃ- আমাদের অনেক ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট যারা ১ নাম্বারের আওতাধীন তারা অনেক চিন্তিত এবং ডিপ্রেসড থাকে, তাদের জন্য রাস্তা হচ্ছে  ডুয়েট বিটেক প্রিপারেশন অথবা বিদেশে উচ্চশিক্ষা
আবার ২ নাম্বারের আওতাভুক্ত ছাত্রগণ ও দেখি আফসোস করে,
আসলে যারা ডিপ্লোমা করা কালীন ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিষ্টিতে,ক্যালকুলেশন এ রেফার্ড খায়, তাদের আফসোস এর কিছু নাই বরং ডিপ্লোমা করে ভালো করছে ১০/১২ হাজার টাকার চাকুরী করে জীবন চলবে

ইন্টার করলে তো বেকার থাকা লাগত মাষ্ট। 

আসলে এই পোষ্ট দেওয়া কারন প্রতিনিয়ত স্টুডেন্টসদের প্রশ্ন থাকে, ভর্তি হবে কিনা, ২য় সেমিস্টারে আছি ব্যাক করব কিনা, আশাকরি সব জটলা খুলবে, যদি মনে হয় আমার লিখা বাস্তব তাহলে



আরিফুল হায়দার



টেক্সটাইল ডিপ্লোমা-টেক্সটাইল বিএসসি কোনটি করবেন | Textile BSc - Textile Diploma

টেক্সটাইল বিদ্যায় দুইধরনের কোর্স  বিদ্যমান-


১। ডিপ্লোমা
২। বিএসসি

দেশে ব্যাঙের ছাতার মত প্রতিষ্টান খোলার কারনে ইদানীং কাল বিএসসি করা ছেলেরাও বেকার, আসলে এটা আমাদেরই সৃষ্ট সমস্যা। ধরুন জাতীয় ভার্সিটির আওতাধীন কিছু প্রাইভেট কলেজ তাও ভার্সিটি না টেক্সটাইল কোর্স চালু করে দিছে,  তার উপর এই সেক্টরে লিংক ইজ ফাষ্ট থিংগস টু গেট এ ভাইভা কল। জব তার পরে, লিংক না থাকলে ভাইভাতেও ডাক পাওয়া যায় না ,  এখানে লিংকটা হচ্ছে নিজ প্রতিষ্টান এর আলামনাই এসোসিয়েশন , মামা, খালু এবং ভাই ব্রাদার।  মোটকথা-  ভালো ইউনিভার্সিটি, পারসোনাল লিংক ও স্কিলফুল না হলে এখানে সারভাইভ করা কঠিন, উপরে উঠাও,  তাছাড়া শরীরে গাধারখাটুনি তো আছেই, ননটেকনিক্যাল, মূর্খ ওয়ার্কার ম্যানেজ সব কিছু কঠিন কাজ, আসলে শুধু টেক্সটাইলে না যেকোনো সেক্টরে যাওয়ার আগে  তার আদোপান্ত জানা উচিত তাই, 

আসুন কারা টেক্সটাইল আসবেন ?

১। অধিক পরিশ্রমী, রাত জাগতে পারেন, প্রচুর প্রেসার নিতে পারেন,  অর্থা টেক্সটাইল ইজ নট আ অফিশিয়াল জব ইন ইনিশিয়াল মোমেন্ট

২। মানুষ ম্যানেজ করা দক্ষতা, নিজের ভূল স্বীকার না করার দক্ষতা।

৩।  অনুভূতিহীন, আবেগপ্রবণ হীন, বেশি ইমোশন থাকলে প্রথম নাইট ডিউটি আপনার মন ভেঙে দিবে।

৪। যাদের লিংক আছে অর্থাৎ ফ্যামিলির কেউ টেক্সটাইলের ভালো স্তরে।  মোটকথায় রেফার করবে আপনাকে এমন কেউ।

আমি এইগুলো সিরিয়ালি দিছি এই কারনে আপনি যদি প্রথম টা অধিকারী হোন তাহলে পরের ধাপে, সর্বশেষ লিংক, আপনাকে কেউ ট্রেইনি মার্সেন্ডাইজার হিসাবে কোন রেপুটেড কোম্পানিতে রিক্রুরেট করছে, কিন্তু জব এর প্যারায় আপনি টিকতে পারলেন না, কারন মার্সেন্ডাইজারের কাজের যে চাপ তা উপরে তিনটি বৈশিষ্ট্য ছাড়া ফুলফিল করা সম্ভব না।

কারা টেক্সটাইলে আসবেন না ?

১। যারা গত বিশ বছর খুব আরাম আয়েশে কাটিয়ে ছিলেন, ফ্যামিলি ডাজেন্ট ম্যাটার যেমন আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত  পরিবার থেকে তবু ও শারীরিক গঠনে একটু দূর্বল হওয়ার কারনে এত চাপ নিতে হয় নাই বড় ভাইয়ের যত্নে ওনার কাছে বড় হওয়া।

২। গরম যাদের সহ্য হয় না, সাউন্ড প্রবলেম আজীবন এই সমস্যা গুলো থাকবে না, কিন্তু প্রথমেই একবার বলেছিলাম টেক্সটাইল ইজ নট আ অফিশিয়াল জব ইন ইনিশিয়াল মোমেন্ট, ক্ষেত্রবিশেষ ৪-৬/৭ বছর প্রয়োজন হয় অফিসিয়ালি হইতে যেমন ডাইং এ আপনি এসিসটেন্ট ম্যানেজার / অথবা অনেক ভালো কোম্পানিগুলোতে সিনিয়র পিও হলে ফ্লোর ছেড়ে উপরে যেতে পারবেন,  সাইন্ড, গরম বিদায় দিয়ে শুধু বায়ার কন্ট্রোল, শেড চেক মাঝে ডিশিসান মেকিং

৩। যারা আজীবন ভাবছেন চাকুরী মানেই এসি রুম, টেম্পারেচার ২০-২৫ এ রাখবেন, 

৪। যারা কুল মেন্টালিটির না। 

৫। লিংক যাদের একবারেই নাই।

হয়ত আপনি টেক্সটাইলে  প্রবেশ করার জন্য আগ্রহী উপরোক্ত সব দেখার পরে।

এবার কিসে পড়বেন?
১।ডিপ্লোমা
২।বিএসসি

যেহেতু এস এস সি এর পরেই ডিপ্লোমা এখন আলোচনা করব ডিপ্লোমা নিয়ে।

১। যারা ছাত্র হিসাবে মনোযোগী, মেধাবী ও বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট সমূহে ভালো, আমি জিপিএর কথা বলব না,  এবং তোমার একটা ভালো ফ্রেন্ড সার্কেল আছে, যারা ছাত্র হিসাবে ভালো। 

তোমরা কখনো ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবে না।

২। ছাত্র হিসাবে অমনোযোগী,  ম্যাথ ইংরেজি  এর অ, আ, ক, খ ও বুঝে না,  শুধু ফাঁকিবাজি করে, তারা ইন্টার পাশ করে অনার্স করে বেকার বুদ্ধির মানে নেই।  ডিপ্লোমা কর ১০ হাজার টাকার সেলারি পাও। 

এবার কিছু ব্যাখ্যায় আসি ২ নাম্বার পয়েন্ট এর কারনে আমাকে অনেকই পণ্ডিত ভাবতে পারেন, কিন্তু এটাই বাস্তব,  ভালো রেজাল্ট, ভালো ছাত্র হয়ে চাকুরী নাই, আর এইরকম হ-য-ব-র-ল করে কি হবে? তাই ডিপ্লোমা করে জব শুরু করে দেওয়াই ভালো। 

১ নাম্বারটার ব্যাখ্যা তুমি ছাত্র ভালো হয়ে যদি ডিপ্লোমা শুরু কর, দেখবে  তোমার ফ্রেন্ড সার্কেল এর অনেকে তোমার  মত অর্থাৎ তোমার মত ছাত্র হয়ে ৩ বছর মনোযোগ দিয়ে  পড়ার ফলে বিভিন্ন পাবলিক ভার্সিটি তে পড়ছে , ওর ৩ বছরে জ্ঞানের ভান্ডার ও বাড়ছে, ভার্সিটি এর পরিবেশ থেকে আহরিত জ্ঞান তো এক্সটা

অথচ!  তুমি ও চেষ্টা করলে পারতে , এইদিকে তুমি জব সেক্টরে রেসিজম এর স্বীকার ও হবে। 

সমাধানঃ- আমাদের অনেক ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট যারা ১ নাম্বারের আওতাধীন তারা অনেক চিন্তিত এবং ডিপ্রেসড থাকে, তাদের জন্য রাস্তা হচ্ছে  ডুয়েট বিটেক প্রিপারেশন অথবা বিদেশে উচ্চশিক্ষা
আবার ২ নাম্বারের আওতাভুক্ত ছাত্রগণ ও দেখি আফসোস করে,
আসলে যারা ডিপ্লোমা করা কালীন ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিষ্টিতে,ক্যালকুলেশন এ রেফার্ড খায়, তাদের আফসোস এর কিছু নাই বরং ডিপ্লোমা করে ভালো করছে ১০/১২ হাজার টাকার চাকুরী করে জীবন চলবে

ইন্টার করলে তো বেকার থাকা লাগত মাষ্ট। 

আসলে এই পোষ্ট দেওয়া কারন প্রতিনিয়ত স্টুডেন্টসদের প্রশ্ন থাকে, ভর্তি হবে কিনা, ২য় সেমিস্টারে আছি ব্যাক করব কিনা, আশাকরি সব জটলা খুলবে, যদি মনে হয় আমার লিখা বাস্তব তাহলে



আরিফুল হায়দার



কোন মন্তব্য নেই: