বায়িং-হাউজে শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে কি না? | Labour Law Buying House - Textile Lab | Textile Learning Blog
বায়িং-হাউজে শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে কি না?

আইনী-পরামর্শঃ
চট্টগ্রাম থেকে একজন জানতে চেয়েছেন, “বায়িং হাউজ”- এর ক্ষেত্রে শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে কি না?

উত্তরঃ

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০১৩ সনের সংশোধনীসহ) কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা আইনের প্রথম অধ্যায়েই বলা আছে।

“বায়িং হাউজ” তার কাজ ও বাণিজ্যের ধরণ অনুসারে একাধারে প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের পর্যায়ে পড়বে [শ্রম আইন, ২(৩১), ২(৪১) ও ২(৬১)]। তারা প্রধানতঃ কমিশন-ব্যাবসা পরিচালনা করে [২(৪১)]। তাই তাদের ক্ষেত্রে শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োগ ও তাদের চাকরীর শর্তাবলীর ক্ষেত্রে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালার বিধান প্রযোজ্য হবে (শ্রম আইন, ৩ ধারা)।

তাই এসব প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন তারা শ্রম আইনের বিধান অনুসারে ছুটি, গ্র্যাচুইটি, লভ্যাংশ, ভবিষ্যৎ তহবিল সুবিধা প্রভৃতি পাবেন।  নিয়োগ চুক্তি-ভিত্তিক হলেও তার মানদণ্ড শ্রম আইনের চেয়ে কম হবে না। যা নিয়ে আগেও লিখেছি। 

“বায়িং হাউজ”- এর ক্ষেত্রে শ্রম আইন ছাড়াও প্রচলিত আয়কর আইন, দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইন প্রযোজ্য হবে।

তাই ক্ষতিগ্রস্থ বা ক্ষুব্ধ কেউ উপরোক্ত আইনের প্রয়োগ করে প্রতিকার চাইতে পারেন।
“বায়িং হাউজ”- এ শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ ও তাদের সুবিধাদি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকার প্রেক্ষিতে সরকার তাদের জন্য নীতিমালা করবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে।

পরামর্শ দিয়েছেন:
ড. উত্তম কুমার দাস, 
এলএল. এম. (যুক্তরাষ্ট্র), পিএইচ. ডি. 
(আইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়): 
এডভোকেট, হাইকোর্ট বিভাগ, সুপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশ এবং শ্রম আইনে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী।
ই-মেইলঃ advocateudas@gmail.com



বায়িং-হাউজে শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে কি না? | Labour Law Buying House

বায়িং-হাউজে শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে কি না?

আইনী-পরামর্শঃ
চট্টগ্রাম থেকে একজন জানতে চেয়েছেন, “বায়িং হাউজ”- এর ক্ষেত্রে শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে কি না?

উত্তরঃ

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০১৩ সনের সংশোধনীসহ) কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা আইনের প্রথম অধ্যায়েই বলা আছে।

“বায়িং হাউজ” তার কাজ ও বাণিজ্যের ধরণ অনুসারে একাধারে প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের পর্যায়ে পড়বে [শ্রম আইন, ২(৩১), ২(৪১) ও ২(৬১)]। তারা প্রধানতঃ কমিশন-ব্যাবসা পরিচালনা করে [২(৪১)]। তাই তাদের ক্ষেত্রে শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োগ ও তাদের চাকরীর শর্তাবলীর ক্ষেত্রে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালার বিধান প্রযোজ্য হবে (শ্রম আইন, ৩ ধারা)।

তাই এসব প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন তারা শ্রম আইনের বিধান অনুসারে ছুটি, গ্র্যাচুইটি, লভ্যাংশ, ভবিষ্যৎ তহবিল সুবিধা প্রভৃতি পাবেন।  নিয়োগ চুক্তি-ভিত্তিক হলেও তার মানদণ্ড শ্রম আইনের চেয়ে কম হবে না। যা নিয়ে আগেও লিখেছি। 

“বায়িং হাউজ”- এর ক্ষেত্রে শ্রম আইন ছাড়াও প্রচলিত আয়কর আইন, দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইন প্রযোজ্য হবে।

তাই ক্ষতিগ্রস্থ বা ক্ষুব্ধ কেউ উপরোক্ত আইনের প্রয়োগ করে প্রতিকার চাইতে পারেন।
“বায়িং হাউজ”- এ শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ ও তাদের সুবিধাদি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকার প্রেক্ষিতে সরকার তাদের জন্য নীতিমালা করবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে।

পরামর্শ দিয়েছেন:
ড. উত্তম কুমার দাস, 
এলএল. এম. (যুক্তরাষ্ট্র), পিএইচ. ডি. 
(আইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়): 
এডভোকেট, হাইকোর্ট বিভাগ, সুপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশ এবং শ্রম আইনে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী।
ই-মেইলঃ advocateudas@gmail.com



কোন মন্তব্য নেই: