মার্চেন্ডাইজিং জব | মার্চেন্ডাইজারের লাইফস্টাইল | Merchandising Job - Textile Lab | Textile Learning Blog
আপনি যে ৫টি কারনে একজন মার্চেন্ডাইজারকে বিয়ে করবেন ? 

১। একজন মার্চেন্ডাইজার অফিসের বোতাম, জিপারসহ সবকিছু  ডজন হিসেবে কিনে। আপনি স্ত্রী হিসেবে অবশ্যই চান আপনার স্বামী হেয়ার ব্যান্ড থেকে শুরু করে সবকিছু বেশী বেশী কিনে দিক। তাহলে নিশ্চয় মার্চন্ডাইজারকে বিয়ে করুন। কারণ  একজন মার্চেন্ডাইজার আপনাকে কখনোই ডজনের নিচে কিনে দিবে না। এরা ভাবে ডজনের নিচে কিনলেই ক্ষতি।

২। আপনি কি অদ্ভুদ আবদার করতে ভালোবাসেন? তাহলে একজন মার্চেন্ডাইজারকে বিয়ে করুন। কারন মালিকেরা মার্চেন্ডাইজারদের কাছে মাঝে মাঝেই অদ্ভুদ আবদার করে, যেমন এই শিপমেন্ট ৫ দিনের মধ্যো করতে হবে। এই কাজ ২ দিনের মধ্যো শেষ করতে হবে। মার্চেন্ডাইজাররা কেমনে কেমনে সব করেও ফেলে। তাই আপনি যদি মার্চেন্ডাইজার স্বামীকে বলেন আমার বার্থডেতে একটা ছোট্ট হাতির বাচ্চা গিফট করবা। দেখবেন সে ম্যানেজ করে ফেলবে। এরা ধরেই নেয় এদের কাজই অদ্ভুদ আবদার পুরা করা।

৩। আপনি কি স্বামীকে অল্পতেই খুশি করতে চান? তাহলে একজন মার্চেন্ডাইজারকে বিয়ে করুন।  কারণ বায়ারদের ঝাঁড়ি শুনতে  শুনতে মার্চেন্ডাইজারদের লাইফ "হরর" হয়ে যায়। তাই আপনি যদি তাকে অল্প একটু মিঠা কথা বলেন দেখবেন খুশিতে সে লুতুপুতু হয়ে যাচ্ছে।

৪। মার্চেন্ডাইজাররা শান্ত শিষ্ট গৃহপালিত প্রাণীর মত। এরা বায়ারের সব কথা চোখ বুঁজে মেনে নেয়। আপনি নিশ্চয় চান আপনার স্বামী আপনার সব কথা মানুক। তাহলে মার্চেন্ডাইজার নামক প্রাণী গুলো আপনারর জন্য পারফেক্ট।

৫। আপনি কি টাকাওয়ালা স্বামী চান? তবে মার্চন্ডাইজারকে বিয়ে করুন।   মার্চন্ডাইজারদের বেতন ভালো।

Copyright Abu Bkar



হঠাৎ এক মার্চেন্ডাইজার ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠলো এয়ার এয়ার এয়ার এয়ার এয়ার।

 বউ :  এই কি হয়েছে তোমার কি এয়ার এয়ার করতেছো ? 

বর :  না কিছু না ঘুমাও 

বউ:  ঘুমাতে দিচ্ছ কোই এয়ার এয়ার করে চিৎকার করতেছো। 

বর : কিছু দিন পর শুনবে ঘুমের মধ্যে ফায়ার ফায়ার করতেছি। 

বউ : ফায়ার ফায়ার কেন করবে ? 

বর : আমার শিপমেন্ট এয়ার হলে এমডি স্যার আমাকে ফায়ার করবে তাই।





সফল মার্চেন্ডাইজার হতে প্রয়োজনীয় গুণাবলী

গার্মেন্টস সেক্টরে ক্রেতা এবং প্রস্তুতকারকের মধ্যে যিনি সেতু বা মিডল ম্যানের মতো কাজ করে তিনিই হচ্ছেন মার্চেন্ডাইজার । মোট কথা পণ্যটি তৈরি করতে তিনিই প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি। মার্চেন্ডাইজার হতে একজনকে  বিশ্বজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে । মার্চেন্ডাইজার কোন ডিজাইনার নন কিন্তু অনুধাবনের দায়িক্তে তিনিই থাকেন ,যিনি কোন ডিজাইন টি মার্কেটে চলবে আর কোনটি চলবে না তার সিদ্ধান্ত নেন । এজন্য মার্চেন্ডাইজারকে প্রতিটি পণ্যের স্টাইলের ভিতরে ঢুকতে হয় এবং বিশ্লেষণ করতে হয় । আবার মাথায় রাখতে হয় স্টাইলিং এর খরচের দিকেও ।  

একটি যোগ্যতাসম্পন্ন পোশাক মার্চেন্ডাইজারের পণ্য সম্পর্কে চমৎকার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন । যার মাধ্যমে তিনি বাইয়ারের কাছ থেকে পণ্যটি সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি বুঝতে পারবেন এবং প্রস্তুতকারকের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন।

একটি যোগ্য মার্চেন্ডাইজার  হতে, যোগাযোগের দক্ষতা একটি প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন অর্ডার সঠিক সময়ে শিপমেন্ট সম্পন্ন হওয়া নির্ভর করে মার্চেন্ডাইজারের চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতার উপর।কারন যদি আপনি সহজে বাইয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং প্রস্তুতকারীর সাথে বসে সঠিক সময় সিডিউল করতে পারেন তবেই সহজে অর্ডার টি সম্পন্ন হতে পারে ।

বিদেশিদের সাথে যোগাযোগের জন্য বর্তমান প্রজন্ম ইংরেজিতে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজার হওয়ার জন্য ইংরেজীর দক্ষতা একটি জ্বলন্ত মানদণ্ড।  একটি অর্ডার একজিকিউশনের বিভিন্ন সময়ে বাইয়ারের সাথে শত শত বার মেইল কমিউনিকেশন করতে হয়। ডিজাইন, মেজারমেন্ট, কোয়ালিটি, প্রোডাকশন লাইন মেনেজমেন্ট, শিপমেন্টের সমস্ত বিষয়ে বাইয়ার ও মার্চেন্ডাইজারের মধ্যে কাটাছেড়া বিশ্লেষণ চলে । যার প্রধান মাধ্যম মেইল ।

এছাড়া বাৎসরিক বাইয়িং মিটিং এ ফরেইন বাইয়ারের সাথে ডিরেক্ট কথা বলতে হয়, প্রাইজ নেগোসিয়েশন এবং বাইয়ারকে প্রোডাকশনের গুরুত্বপুর্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করে লাভজনক  প্রাইজ নেগোসিয়েশন করতে ইংলিশ দক্ষতা থাকাটা অনিবার্য ।   

শুধু প্রাইজ নেগোসিয়েশন ই একটি অর্ডার পাওয়ার পুর্বশর্ত নয়, শিপমেন্ট এর সময় মিট করতে না পারলে পুরো অর্ডার লস প্রোজেক্ট হয়ে দাঁড়ায় । এজন্য অর্ডার নেয়ার পুর্বে গার্মেন্টস কারখানার বর্তমান পরিস্থিতিকে অনুধাবন করতে হবে, সাথে বিভিন্ন আইটেম সঠিক সময় মত সোর্স করা সম্ভব হবে কিনা সেটা যাচাই করে তারপর একটি অর্ডার গ্রহণ করতে হবে ।  অন্যথায় শিপমেন্ট মিট না করতে পারলে বাইয়ারের কাছে একটি খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করবে। সুতরাং, যোগ্য মার্চেন্ডাইজার হতে, কারখানা সম্পর্কে চমৎকার জ্ঞান রাখা আবশ্যক।

Courtesy:
অমিত




Merchandising Love ( মার্চেন্ডাইজারের ভালোবসা )

প্রেমিকা: বাবু তুমি আজকে কি ড্রেস পরেছো?

প্রেমিক (মার্চেন্ডাইজার): ৯৫% কটন ৫% স্পান্ডেক্স ২৬/সিংগেল ফেব্রিকে ২/১ রিবের কলার। মাঝখানে সাচেট পিংক কালারের ৮X৬ সাইজের পিগমেন্ট প্রিন্ট। আর বডি কালার ইনফিনিটি ১৯-৩৯০৭ TCX।

নিচে এস টুইলের ৪০ কাউন্টের ইন্ডিগো কালারের স্টোন ওয়াশ করা এবং লেফট পকেটের নিচে গ্রাইন্ডিং করা ডেনিম প্যান্ট

তার নিচে ৩৫ এম এম জ্যাকার্ড ইলাস্টিকের আর লাইট গ্রে মিলাঞ্জ কালারের ১৬০ GSM ৯৩% কটন ৫% ইলাস্টেন ২% ভিস্কোস এর সলিড ফেব্রিকের বক্সার। গাসেট ১৩০ GSM ১০০% কটন সিংঙেল জার্সি। ওয়াস লেবেলে ৪০ ডিগ্রি টেম্পারেচার নন ক্লোরিন ব্লিচ মিডিয়াম টাম্বল ড্রাই আর মিডিয়াম আয়রন ইন্সট্রাকশন দেয়া !!!! 

প্রেমিকা: হাসপাতালে ভর্তি।

(সংগ্রহকৃত)


অপ্রিয় সত্যঃ

মার্চেন্ডাইজার এবং ফুটবলের গোলকিপারের মধ্যে একটা মিল আছে।

গোলকিপার ১০ টা গোল সেভ করলেও কেউ মনে রাখেনা, কিন্তু ভুল করে একটা গোল খেলেই খবর আছে !! 

তেমনি মার্চেন্ডাইজার ১০ টা ভাল কাজ করলেও কেউ মনে রাখেনা, কিন্তু একটা ভুল করলেই .....!! 





একজন সফল মার্চেন্ডাইজার হতে হলে আপনাকে হতে হবে 

-শেয়ালের মত ধুর্ত

-শকুনের মত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন

-পিঁপড়া যেভাবে নিজের ওজনের চেয়ে বেশি ওজন বহন করতে পারে ঠিক সেই রকম

-বসের কাছে গেলে বিলাইয়ের মত মিয়াঁও করতে হবে

-অধীনস্থদের কাছে বাঘ

-কোকিল হয়ে কাকের বাসায় ডিম পাড়ার স্বভাব

-গাধার মত পরিশ্রমী

-খরগোসের মত স্পীড

-কুকুরের মত তীক্ষ্ণ ঘ্রাণ শক্তি, যাতে ঘ্রাণ শুকেই সমস্যা ধরতে পারে

Copyright : সাইফুল রোমেন ভাই





 জবের পরামর্শ

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে দুই বছরে যতটুকু মার্চেন্ডাইজিং শেখা যায় ততটুকু মার্চেন্ডাইজিং শিখতে বায়িং হাউজ-এ পাঁচ বছরেরও বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। সুতরাং আপনি যদি মার্চেন্ডাইজিং-এ ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে ফ্যাক্টরী থেকেই শুরু করুন। নিজের ভিত মজবুত হওয়ার পরেই বায়িং হাউজ-এর দিকে মুভ করুন...








বানী
আজকে বিয়ে করে আজকেই বাচ্চা পয়দা কর !! 
-- রুলস টু বি এ গুড মার্চেন্ডাইজার






মানুষ মনে করে মার্চেন্ডাইজিং চাকরিতে কত্ত মজা !!!

লেখক : সাইফুল রোমেন ভাই


কিন্তু যারা এই চাকরি করে তারাই বোঝে এর ঠেলা কত। দূর থেকে দেখা যায় এরা এসি রুমে বসে সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কী কী যেন করছে। অথচ সেই মার্চেন্ডাইজারের মুখের দিকে তাকালে বোঝা যায় সে কত টেনশনে আছেন। একটা বাস্তব উদাহরন দিচ্ছি-

আযিমের বাচ্চা আজ তিন দিন ধরে অসুস্থ, ডাক্তার একবার দেখানো হয়েছে, ঔষধও খাওয়ানো হচ্ছে কিন্তু অসুখ সারছে না। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার। এদিকে অফিসে আজ বায়ার আসবে। তাদের জন্য ফ্যাক্টরি থেকে যেসব স্যাম্পল আসার কথা তার অর্ধেকও আসেনি। অগত্যা আযিম নিজেই বিভিন্ন ফ্যাক্তরি ফ্যাক্টরি ঘুরে স্যাম্পল কালেকশন করছে। এদিকে বাসা থেকে বার বার ফোন আসছে- দ্রুত চলে আস, বাচ্চাটার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আযিম ছাড়া আর কেউ ফ্যাক্টরি থেকে স্যাম্পল কালেকশন করতে পারবে না কারণ এই বায়ারের টেস্ট সেই একমাত্র জানে। আযিম জানে সে আজ ছুটি পাবে না। তবুও ভয়ে ভয়ে বায়িং হাউজের মালিককে ফোন দিল "স্যার, এই পর্যন্ত দুইটা ফ্যাক্তরিতে যেতে পেরেছি, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম....
আযিমকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে স্যার বললেন "বাকী স্যাম্পল গুলো নিয়ে বিকাল পাঁচটার মধ্যে যেভাবেই হোক হাজির হতে হবে। এই বায়ার হারালে তোমাদের রাখা আর না রাখা সমান"

চাকরির হুমকী পেয়ে আযিম কিছুক্ষণ থ মেরে রইল। এমনিতেই চাকরির বাজার মন্দা যাচ্ছে তার উপরে এই মুহুর্তে চাকরি গেলে বিপদ হবে। আযিম বাসায় ফোন করে বলল "ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেও, আমি সন্ধ্যার মধ্যে আসছি"

ফ্যাক্টরি থেকে স্যাম্পল কালেকশন করতে করতে সন্ধ্যা ছয়টা বেজে গেল। গাজীপুর থেকে সোজা হোটেল রেডিসনে পৌঁছুতে পৌঁছুতে রাত সাড়ে আটটা বেজে গেল। এমডি স্যার হোটেলের লবিতেই বসে আছেন। বায়ার এখন ব্যস্ত অন্য পার্টির সাথে। রাত দশটায় ওরা সুযোগ পেলে, রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মিটিং চলল। এদিকে সারাদিন আযিমের নাওয়া খাওয়া হয় নি। হোটেল রেডিস র আশে পাশে কোন টং দোকান নেই যে কলা রুটি চা খাবে। রেডিসনের মত ফাইভ স্টারে নাস্তা করার মত ক্যাপাসিটি আযিমের নেই।

এই যে আযিম সারাদিন না খেয়ে আছে, তার বাচ্চা হাসপাতালে অথচ তার মুখে হাসির কমতি নেই। না হাসলে যে চাকরি থাকবে না। এই হাসির নাম 'ভেটকি'।

এর মধ্যে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়ে গিয়েছে। পাশের বাসার ভদ্র মহিলা খুব সাহায্য করলেন। তা নাহলে দুই বছরের বাচ্চা নিয়ে আযিমের স্ত্রী খুব বিপদে পড়তেন।
আযিম যখন রাত একটায় শিশু হাসপাতালে পৌঁছে তখন বস ফোন দিলেন "আযিম, আগামীকাল খুব আর্লি অফিসে আসতে হবে। বায়ার সকাল দশটার মধ্যে অফিসে ঢুকবে।"




মার্চেন্ডাইজারের বিবর্তন-

মার্চেন্ডাইজিং এর শূরুটা অনেক কষ্টের । কারণ মালিকরা কখনও চায় না বেশী বেতনে লোক রাখে । আবার লোক না নিয়েও পারে না । তাই আমদের দেশের বেকার যুবকেরা সাফল্যের আশায় আসে এ পেশায় । বলাবাহুল্য শুরুতে মার্চেন্ডাইজাররা বর্তমান একজন শ্রমিকের নুন্যতম বেতনটাও অনেক সময় পায় না । যেমন আমাদেরকে ক্যারিয়ার শুরু করতে হয়েছে 10000-120000 টাকায় । আর যত দূর জানি এখনো তেমন বাড়েনি । মালিকরা কম টাকা দিলে যেন বাঁচে । যেহেতু আমদের দেশে বেকারের সংখ্যা অনেক তাই নিরুপায় হয়ে অনেকে কম বেতন এমনকি বিনা বেতনে মার্চেন্ডাইজিং এ আসে । তবে শ্রম দিতে পারলে মালিকেরা বাধ্য হয় আপনার প্রাপ্য দিতে । কারণ তারা তত দিনে বুঝে যায় এ লোক ছাড়া তার চলবে না ।
এখানে মার্চন্ডাইজারের একটি বিবর্তন দেখানো হল -

1. ট্রেইনি মার্চেন্ডাইজার – দূর থেকে আপেল দেখা । খুব সুন্দর আপেল । মনে হয় অনেক মিষ্টি ।

2. এসিস্টেন্ট মার্চেন্ডাইজার – গাছের নিচে দাঁড়িয়ে এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করা ।

3. মার্চেন্ডাইজার – গাছে উঠে আপেল পারার অপেক্ষা করা ।

4. সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার – হাতে আপেল নিয়ে নাড়া চাড়া করা ।

5. মার্চেন্ডাইজিং ম্যানেজার – মুখে আপেল নিয়ে মজা করে খাওয়া ।

এর অর্থ হচ্ছে – ম্যানেজারিয়ালে না আসা পর্যন্ত তারা ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে পারেন না । এখানেই মার্চন্ডাইজারে সাফল্য আসে ।


মার্চেন্ডাইজিং কোন আতঙ্কের চাকরি নয়

মাঝেমধ্যে আমরা গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং সম্পর্কে নেতিবাচক পোষ্ট দেখতে পাই। সত্যি কথা বলতে যাঁরা মার্চেন্ডাইজার হিসাবে এখনও সম্পূর্ণ দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন নি তাঁরাই এধরণের মন্তব্য করে থাকেন। একজন অদক্ষ মার্চেন্ডাইজার যে কাজ একঘন্টায় করতে পারেন সে কাজ একজন দক্ষ মার্চেন্ডাইজার মাত্র দশ মিনিটেই শেষ করে থাকেন। আবার যে কাজ শেষ করতে একজন অদক্ষ মার্চেন্ডাইজার কে রাত দশটা পর্যন্ত অফিসে বিজি থাকতে হয় সে কাজ একজন দক্ষ মার্চেন্ডাইজার দুই ঘন্টায় শেষ করে বন্ধু-বান্ধবের সাথে চাটিং-এ বিজি থাকেন। বায়ার-এর অর্ডার শিপমেন্ট-এর উদ্দেশ্যে একজন মার্চেন্ডাইজার কে বহুবিধ কাজের সাথে জড়িত থাকতে হয়। ধীরে-ধীরে যখন একজন মার্চেন্ডাইজার দক্ষ হয়ে উঠেন তখন তিনি টেকনিক্যালি কাজ করা শুরু করেন। এজন্যই মূলত একজন দক্ষ মার্চেন্ডাইজার অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর কাজ সম্পাদন করতে পারেন। অল্প সময়ে বেশি কাজ সম্পাদন করার টেকনিক আয়াত্ব করতে একজন মার্চেন্ডাইজার কে কয়েক বছর কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। টেকনিক্যালি কাজ করার সক্ষমতা অর্জনের পরেই একজন মার্চেন্ডাইজারের জীবনে বসন্ত ধরা দেয়। আজকের অদক্ষ মার্চেন্ডাইজার কিছুদিন পরে ঠিকই দক্ষ হয়ে উঠবেন। সুতরাং নতুনদের অহেতুক ভয় দেখানোর কিছু নেই। তাঁদের জন্যেও বসন্ত অপেক্ষা করছে...



পেশা হিসেবে মারচেন্ডাইজিং

রনি বিআইএফটি থেকে এপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজিতে অনার্স করেছে। পাঁচ ছয় বছর ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করার পর এক বিদেশী বায়িং হাউজে জয়েন করেছে। সেখানেও প্রায় চার বছর পার হয়ে গেছে। এখন সে চাকুরি করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিটেইলার ওয়ালমারট এর বাংলাদেশ সোরসিং অফিসে সোরসিং ম্যানেজার হিসেবে। বেতন চার হাজার ডলার! মানে মানে প্রায় তিন লাখ টাকা!! চৌত্রিশ বছর বয়সে তিন লাখ টাকা বেতন তাও বাংলাদেশে বসে, অনেক বড় ব্যপার। এই অফিসে দু’লাখ টাকার উপরে বেতন রয়েছে সাত জন অফিসারের। লাখের উপরে রয়েছে হয় জন। ওদের ওয়েব সাইট www.walmart.com

শহীদ (এটা ছদ্ম নাম) চাকুরি করে লিএন্ড ফাং নামক বিশ্বের সবচেয়ে বড় বায়িং হাউজে। পজিশন ডিভিশানাল মারচেন্ডাইজিং ম্যানেজার। বেতন প্রায় আড়াই লাখ। বছরে একবার বোনাস দেয় যার পরিমান আসে প্রায় দশ লাখ! অর্থাৎ মাসে গড়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা!! অফিস উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডের এবিসি হেরিটেজ টাওয়ারে। শুধু শহীদই নন এই অফিসে প্রায় বারো জন দেশী বিদেসী ডিভিশানাল ম্যানেজার রয়েছেন তাদের কারো বেতন গড়ে তিন লাখে নিচে নয়। এর নিচে রয়েছে মারচেন্ডাইজিং ম্যানেজার, সংখ্যা প্রায়্য বিশ জন। এদের কারো বেতন দেড় লাখে নিচে নয়। এছাড়া প্রতি বছরে অফিসের প্রয়োজনে পাঁচ ছয় বার দেশের বাইরে যেতে হয়। এই অফিসের সিনিয়ার মারচেন্ডাইজারদের বেতন শুরু হয় ষাট হাজার টাকা থেকে। ওদের ওয়েবসাইট www.li-fung.com উত্তরায় মাসকট প্লাজা ও নর্থ টাওয়ারে অবস্থিত সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মালিকানাধীন বায়িং হাউজ টেক্স ইবো ইন্টারন্যাশনাল। এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও একই। বাংলাদেশে এই ধরনের বায়িং হাউজ হবে প্রায় পঞ্চাশটি যাতে প্রায় চার হাজার মারচেন্ডাইজার চাকুরি করে। মিড লেভেলের বিদেশী বায়িং হাউজ হবে প্রায় একশটি। এছাড়া প্রায় হাজার খানেরক লোকাল বায়িং হাউজ আছে যাতে প্রায় দশ হাজার মারচেডাইজার চাকুরি করে।

এ হল বায়িং হাউজের মারচেন্ডাইজারদের কথা। বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার ফ্যাক্টরিতে প্রায় পঁচিশ হাজার মারচেন্ডাইজার চাকুরি করে।

এই নোটে মারচেন্ডাইজারদের জব রেসপনসিবিলিটি কী তা লিখব না, অনেকে জানেন। যারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেন নি, ভাল বিস্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন নি, রেজাল্ট ভাল না কিন্তু ভাল বেতনে চাকুরি করতে ইচ্ছুক তারা হতাশ না হয়ে এই পেশা বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে যেকোন বায়িং হাউজে চাকুরি করতে যান অবশ্যই ফ্যাক্টরিতে চাকুরির অভিজ্ঞতা চাইবে। সুতরাং সুযোগ বুঝে যেকোন ফ্যাক্টরিতে যেকোন লেভেলে চাকুরির জন্য ঢুকে পড়ুন। প্রেস্টিজ জ্ঞান বেশি থাকলে এই পজিশনে চাকুরি না করাই ভাল। কারন শুরুতে ফ্যাক্টরিতে আপনাকে যে কাজ দিবে তা অনেক কষ্টকর। অনেক সময় অপমানজনক মনে হতে পারে। আর একটা কথা, অনেকেই শুরুতে অনেক টাকা বেতনের আশা করেন। ভাগ্য খুব বেশি সুপ্রসন্ন হলে হয়তো শুরুতে দশ বারো হাজার টাকা বেতন পেরে পারেন তবে এর সম্ভাবনা ২% বাকীদের শুরুতে অনেক কম টাকায় চাকুরি করতে হয়। আমার অধীনে এই পর্যন্ত দশ বারো জন শিক্ষানবীশ মারচেন্ডাইজার কাজ করেছে যাদের হাইয়েস্ট বেতন ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক কাজ করেছে প্রথম তিন চার মাস ফ্রী তে অর্থাৎ বেতন ছাড়া!!! এই দশ বারো জনের মধ্যে এই সেক্টরে সবাই টিকতে পারেনি। আট জনের মত টিকে আছে যাদের মধ্যে একজনের বেতন লাখ ছাড়িয়ে গেছে আর বাকীগুলোও চল্লিশের উপরে অবস্থান করছে। যার বেতন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে সেই ছেলেটি সাধারন শ্রমিক থেকে উঠে এসেছে।




ফরেইন বাইং হাউস গুলিতে যারা মার্চেন্ডাইজিং জব করেন তারা একটি ফোবিয়ায় ভোগেন 

যেমন

১. এরা নিজেদের অন্যের চেয়ে বেশি স্মার্ট দাবি করেন  ( যদিও সবাই না )

২. প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার এর পর এর সবচেয়ে বড় ফটোগ্রাফার  ( যদিও সবাই না )

৩. এদের চেক ইনে কোথায় জব করেন তা উল্লেখ করবেন প্রতি পোষ্ট এ  ( যদিও সবাই না )

৪. রিসোর্ট এ এদের চেয়ে বেশি কেও যায়নি, এরা রিসোর্ট এর ব্রেন্ডিং করে বেড়াবে  ( যদিও সবাই না )

৫. এরা ডেসিগনেশন এর চেয়ে অর্গানিজেশন এর কথা বেশি বলতে পছন্দ করবে  ( যদিও সবাই না )

৬. এরা বাকিদের সাথে একটু কথা কম বলার চেষ্টা করে।

আমরা আম জনতা আমাদের বিচার আপনারাই করবেন,  এক আমজনতার কষ্ট দেখে কথা গুলি লেখা।



মার্চেন্ডাইজার হব কিন্তু লবিং নেই


মার্চেন্ডাইজার হতে হলে ভাল চ্যানেল থাকলে খুব সহজে চাকরি পাওয়া যায় । নতুন টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট অথবা যারা মার্চেন্ডাইজার হতে ইচ্ছুক তারা এমনটি বলে থাকেন । আসলে কি তাই ?চলুন দেখি আসল অবস্থা কি ?

আমরা এত টুকু বলতে পারি বাংলাদেশে নেপটিজম বা স্বজন প্রতি খুব বেশি । সবাই চায় তার ছোট ভাই কিংবা ভাগ্নাকে একটা ভাল জায়গায় ঢুকিয়ে যায় কিনা যাতে ভবিষ্যতে কোন সমস্য না হয় । এ ব্যাপারটি সরকারি চাকরি , ব্যাংক বা কোন ভাল প্রতিষ্ঠান যে কোন জায়গায় সবাই করার চেষ্টা করে । তেমনি পোশাক শিল্পে কেউ করে না তা বলা যাবে না । কারণ পোশাক শিল্পে ক্যারিয়ার এখন অনেকের ফাস্ট চয়েস । যাই হোক কেউ যদি আপনাকে টেনে এনে মার্চেন্ডাইজার
বানিয়ে দেয় তাহলে কি মার্চেন্ডাইজার হয়ে যাবেন ?আসলে ব্যাপারটা তা নয় । মার্চেন্ডাইজার হতে হলে কিছু বিশেষ গুণের প্রয়োজন ।

যেমন ঃ
1. প্রচন্ড প্রাণ শক্তি থাকতে হয় । কখনও হতাশ বা ক্লান্ত হওয়া যাবে না ।

2. প্রচন্ড ধৈয্য শক্তি থাকতে হবে ।

3. এক নাগারে ১২ থেকে ১৪ ঘন্ঠা কাজ করার মানসিকতা  থাকতে হবে হয়তো সারা দিন রাত অফিস করতে হতে পারে শিপমেন্ট থাকা কালিন।।।

4. হতে পারে কোন বন্ধের দিন পাবেন না নিজের কাজ করার জন্য ।

5. পরিবার ,বন্ধু সব কিছু থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে ।

6. বকা খেতে হতে পারে ।

7. ব্যাস্ততা কোন ভাবেই শেষ হতে চায় না ।

8. সারাক্ষণ টেনশনে থাকা ।

কাজেই বুঝতে পারছেন লবিং দিয়ে যারা মার্চেন্ডাইজিং এ আসে তাদের পক্ষে এমন ভাবে কাজ করা সম্ভব না । কারণ তারা খুব সহজে এ সুযোগটা পেয়ে গেছে । আমার জানা মতে প্রায় ৫০ ভাগ মার্চেন্ডাইজার প্রথমে অন্য সেকশনে জব নিয়েছিলেন  তার পর নিজের দক্ষতায় মার্চেন্ডাইজার হওয়ার রাস্তা করেছেন । আমি দেখেছি স্টোর কিপার থেকে মার্চেন্ডাইজার হয়েছেন ,
এডমিন এমন কি একান্সথেকে অনেকে আজ সফল মার্চেন্ডাইয়াজার । কাজেই লবিংয়ের আশায় বসে নাথেকে পোশাক শিল্পের যে কোন পদে ঢুকে যান এবং শ্রম দিয়ে নিজের পথ নিজে করে নিন ।

"অংশুক"
— টেক্সটাইলের ক্যানভাস

মার্চেন্ডাইজিং জব | মার্চেন্ডাইজারের লাইফস্টাইল | Merchandising Job

আপনি যে ৫টি কারনে একজন মার্চেন্ডাইজারকে বিয়ে করবেন ? 

১। একজন মার্চেন্ডাইজার অফিসের বোতাম, জিপারসহ সবকিছু  ডজন হিসেবে কিনে। আপনি স্ত্রী হিসেবে অবশ্যই চান আপনার স্বামী হেয়ার ব্যান্ড থেকে শুরু করে সবকিছু বেশী বেশী কিনে দিক। তাহলে নিশ্চয় মার্চন্ডাইজারকে বিয়ে করুন। কারণ  একজন মার্চেন্ডাইজার আপনাকে কখনোই ডজনের নিচে কিনে দিবে না। এরা ভাবে ডজনের নিচে কিনলেই ক্ষতি।

২। আপনি কি অদ্ভুদ আবদার করতে ভালোবাসেন? তাহলে একজন মার্চেন্ডাইজারকে বিয়ে করুন। কারন মালিকেরা মার্চেন্ডাইজারদের কাছে মাঝে মাঝেই অদ্ভুদ আবদার করে, যেমন এই শিপমেন্ট ৫ দিনের মধ্যো করতে হবে। এই কাজ ২ দিনের মধ্যো শেষ করতে হবে। মার্চেন্ডাইজাররা কেমনে কেমনে সব করেও ফেলে। তাই আপনি যদি মার্চেন্ডাইজার স্বামীকে বলেন আমার বার্থডেতে একটা ছোট্ট হাতির বাচ্চা গিফট করবা। দেখবেন সে ম্যানেজ করে ফেলবে। এরা ধরেই নেয় এদের কাজই অদ্ভুদ আবদার পুরা করা।

৩। আপনি কি স্বামীকে অল্পতেই খুশি করতে চান? তাহলে একজন মার্চেন্ডাইজারকে বিয়ে করুন।  কারণ বায়ারদের ঝাঁড়ি শুনতে  শুনতে মার্চেন্ডাইজারদের লাইফ "হরর" হয়ে যায়। তাই আপনি যদি তাকে অল্প একটু মিঠা কথা বলেন দেখবেন খুশিতে সে লুতুপুতু হয়ে যাচ্ছে।

৪। মার্চেন্ডাইজাররা শান্ত শিষ্ট গৃহপালিত প্রাণীর মত। এরা বায়ারের সব কথা চোখ বুঁজে মেনে নেয়। আপনি নিশ্চয় চান আপনার স্বামী আপনার সব কথা মানুক। তাহলে মার্চেন্ডাইজার নামক প্রাণী গুলো আপনারর জন্য পারফেক্ট।

৫। আপনি কি টাকাওয়ালা স্বামী চান? তবে মার্চন্ডাইজারকে বিয়ে করুন।   মার্চন্ডাইজারদের বেতন ভালো।

Copyright Abu Bkar



হঠাৎ এক মার্চেন্ডাইজার ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠলো এয়ার এয়ার এয়ার এয়ার এয়ার।

 বউ :  এই কি হয়েছে তোমার কি এয়ার এয়ার করতেছো ? 

বর :  না কিছু না ঘুমাও 

বউ:  ঘুমাতে দিচ্ছ কোই এয়ার এয়ার করে চিৎকার করতেছো। 

বর : কিছু দিন পর শুনবে ঘুমের মধ্যে ফায়ার ফায়ার করতেছি। 

বউ : ফায়ার ফায়ার কেন করবে ? 

বর : আমার শিপমেন্ট এয়ার হলে এমডি স্যার আমাকে ফায়ার করবে তাই।





সফল মার্চেন্ডাইজার হতে প্রয়োজনীয় গুণাবলী

গার্মেন্টস সেক্টরে ক্রেতা এবং প্রস্তুতকারকের মধ্যে যিনি সেতু বা মিডল ম্যানের মতো কাজ করে তিনিই হচ্ছেন মার্চেন্ডাইজার । মোট কথা পণ্যটি তৈরি করতে তিনিই প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি। মার্চেন্ডাইজার হতে একজনকে  বিশ্বজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে । মার্চেন্ডাইজার কোন ডিজাইনার নন কিন্তু অনুধাবনের দায়িক্তে তিনিই থাকেন ,যিনি কোন ডিজাইন টি মার্কেটে চলবে আর কোনটি চলবে না তার সিদ্ধান্ত নেন । এজন্য মার্চেন্ডাইজারকে প্রতিটি পণ্যের স্টাইলের ভিতরে ঢুকতে হয় এবং বিশ্লেষণ করতে হয় । আবার মাথায় রাখতে হয় স্টাইলিং এর খরচের দিকেও ।  

একটি যোগ্যতাসম্পন্ন পোশাক মার্চেন্ডাইজারের পণ্য সম্পর্কে চমৎকার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন । যার মাধ্যমে তিনি বাইয়ারের কাছ থেকে পণ্যটি সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি বুঝতে পারবেন এবং প্রস্তুতকারকের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন।

একটি যোগ্য মার্চেন্ডাইজার  হতে, যোগাযোগের দক্ষতা একটি প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন অর্ডার সঠিক সময়ে শিপমেন্ট সম্পন্ন হওয়া নির্ভর করে মার্চেন্ডাইজারের চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতার উপর।কারন যদি আপনি সহজে বাইয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং প্রস্তুতকারীর সাথে বসে সঠিক সময় সিডিউল করতে পারেন তবেই সহজে অর্ডার টি সম্পন্ন হতে পারে ।

বিদেশিদের সাথে যোগাযোগের জন্য বর্তমান প্রজন্ম ইংরেজিতে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজার হওয়ার জন্য ইংরেজীর দক্ষতা একটি জ্বলন্ত মানদণ্ড।  একটি অর্ডার একজিকিউশনের বিভিন্ন সময়ে বাইয়ারের সাথে শত শত বার মেইল কমিউনিকেশন করতে হয়। ডিজাইন, মেজারমেন্ট, কোয়ালিটি, প্রোডাকশন লাইন মেনেজমেন্ট, শিপমেন্টের সমস্ত বিষয়ে বাইয়ার ও মার্চেন্ডাইজারের মধ্যে কাটাছেড়া বিশ্লেষণ চলে । যার প্রধান মাধ্যম মেইল ।

এছাড়া বাৎসরিক বাইয়িং মিটিং এ ফরেইন বাইয়ারের সাথে ডিরেক্ট কথা বলতে হয়, প্রাইজ নেগোসিয়েশন এবং বাইয়ারকে প্রোডাকশনের গুরুত্বপুর্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করে লাভজনক  প্রাইজ নেগোসিয়েশন করতে ইংলিশ দক্ষতা থাকাটা অনিবার্য ।   

শুধু প্রাইজ নেগোসিয়েশন ই একটি অর্ডার পাওয়ার পুর্বশর্ত নয়, শিপমেন্ট এর সময় মিট করতে না পারলে পুরো অর্ডার লস প্রোজেক্ট হয়ে দাঁড়ায় । এজন্য অর্ডার নেয়ার পুর্বে গার্মেন্টস কারখানার বর্তমান পরিস্থিতিকে অনুধাবন করতে হবে, সাথে বিভিন্ন আইটেম সঠিক সময় মত সোর্স করা সম্ভব হবে কিনা সেটা যাচাই করে তারপর একটি অর্ডার গ্রহণ করতে হবে ।  অন্যথায় শিপমেন্ট মিট না করতে পারলে বাইয়ারের কাছে একটি খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করবে। সুতরাং, যোগ্য মার্চেন্ডাইজার হতে, কারখানা সম্পর্কে চমৎকার জ্ঞান রাখা আবশ্যক।

Courtesy:
অমিত




Merchandising Love ( মার্চেন্ডাইজারের ভালোবসা )

প্রেমিকা: বাবু তুমি আজকে কি ড্রেস পরেছো?

প্রেমিক (মার্চেন্ডাইজার): ৯৫% কটন ৫% স্পান্ডেক্স ২৬/সিংগেল ফেব্রিকে ২/১ রিবের কলার। মাঝখানে সাচেট পিংক কালারের ৮X৬ সাইজের পিগমেন্ট প্রিন্ট। আর বডি কালার ইনফিনিটি ১৯-৩৯০৭ TCX।

নিচে এস টুইলের ৪০ কাউন্টের ইন্ডিগো কালারের স্টোন ওয়াশ করা এবং লেফট পকেটের নিচে গ্রাইন্ডিং করা ডেনিম প্যান্ট

তার নিচে ৩৫ এম এম জ্যাকার্ড ইলাস্টিকের আর লাইট গ্রে মিলাঞ্জ কালারের ১৬০ GSM ৯৩% কটন ৫% ইলাস্টেন ২% ভিস্কোস এর সলিড ফেব্রিকের বক্সার। গাসেট ১৩০ GSM ১০০% কটন সিংঙেল জার্সি। ওয়াস লেবেলে ৪০ ডিগ্রি টেম্পারেচার নন ক্লোরিন ব্লিচ মিডিয়াম টাম্বল ড্রাই আর মিডিয়াম আয়রন ইন্সট্রাকশন দেয়া !!!! 

প্রেমিকা: হাসপাতালে ভর্তি।

(সংগ্রহকৃত)


অপ্রিয় সত্যঃ

মার্চেন্ডাইজার এবং ফুটবলের গোলকিপারের মধ্যে একটা মিল আছে।

গোলকিপার ১০ টা গোল সেভ করলেও কেউ মনে রাখেনা, কিন্তু ভুল করে একটা গোল খেলেই খবর আছে !! 

তেমনি মার্চেন্ডাইজার ১০ টা ভাল কাজ করলেও কেউ মনে রাখেনা, কিন্তু একটা ভুল করলেই .....!! 





একজন সফল মার্চেন্ডাইজার হতে হলে আপনাকে হতে হবে 

-শেয়ালের মত ধুর্ত

-শকুনের মত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন

-পিঁপড়া যেভাবে নিজের ওজনের চেয়ে বেশি ওজন বহন করতে পারে ঠিক সেই রকম

-বসের কাছে গেলে বিলাইয়ের মত মিয়াঁও করতে হবে

-অধীনস্থদের কাছে বাঘ

-কোকিল হয়ে কাকের বাসায় ডিম পাড়ার স্বভাব

-গাধার মত পরিশ্রমী

-খরগোসের মত স্পীড

-কুকুরের মত তীক্ষ্ণ ঘ্রাণ শক্তি, যাতে ঘ্রাণ শুকেই সমস্যা ধরতে পারে

Copyright : সাইফুল রোমেন ভাই





 জবের পরামর্শ

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে দুই বছরে যতটুকু মার্চেন্ডাইজিং শেখা যায় ততটুকু মার্চেন্ডাইজিং শিখতে বায়িং হাউজ-এ পাঁচ বছরেরও বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। সুতরাং আপনি যদি মার্চেন্ডাইজিং-এ ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে ফ্যাক্টরী থেকেই শুরু করুন। নিজের ভিত মজবুত হওয়ার পরেই বায়িং হাউজ-এর দিকে মুভ করুন...








বানী
আজকে বিয়ে করে আজকেই বাচ্চা পয়দা কর !! 
-- রুলস টু বি এ গুড মার্চেন্ডাইজার






মানুষ মনে করে মার্চেন্ডাইজিং চাকরিতে কত্ত মজা !!!

লেখক : সাইফুল রোমেন ভাই


কিন্তু যারা এই চাকরি করে তারাই বোঝে এর ঠেলা কত। দূর থেকে দেখা যায় এরা এসি রুমে বসে সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কী কী যেন করছে। অথচ সেই মার্চেন্ডাইজারের মুখের দিকে তাকালে বোঝা যায় সে কত টেনশনে আছেন। একটা বাস্তব উদাহরন দিচ্ছি-

আযিমের বাচ্চা আজ তিন দিন ধরে অসুস্থ, ডাক্তার একবার দেখানো হয়েছে, ঔষধও খাওয়ানো হচ্ছে কিন্তু অসুখ সারছে না। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার। এদিকে অফিসে আজ বায়ার আসবে। তাদের জন্য ফ্যাক্টরি থেকে যেসব স্যাম্পল আসার কথা তার অর্ধেকও আসেনি। অগত্যা আযিম নিজেই বিভিন্ন ফ্যাক্তরি ফ্যাক্টরি ঘুরে স্যাম্পল কালেকশন করছে। এদিকে বাসা থেকে বার বার ফোন আসছে- দ্রুত চলে আস, বাচ্চাটার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আযিম ছাড়া আর কেউ ফ্যাক্টরি থেকে স্যাম্পল কালেকশন করতে পারবে না কারণ এই বায়ারের টেস্ট সেই একমাত্র জানে। আযিম জানে সে আজ ছুটি পাবে না। তবুও ভয়ে ভয়ে বায়িং হাউজের মালিককে ফোন দিল "স্যার, এই পর্যন্ত দুইটা ফ্যাক্তরিতে যেতে পেরেছি, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম....
আযিমকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে স্যার বললেন "বাকী স্যাম্পল গুলো নিয়ে বিকাল পাঁচটার মধ্যে যেভাবেই হোক হাজির হতে হবে। এই বায়ার হারালে তোমাদের রাখা আর না রাখা সমান"

চাকরির হুমকী পেয়ে আযিম কিছুক্ষণ থ মেরে রইল। এমনিতেই চাকরির বাজার মন্দা যাচ্ছে তার উপরে এই মুহুর্তে চাকরি গেলে বিপদ হবে। আযিম বাসায় ফোন করে বলল "ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেও, আমি সন্ধ্যার মধ্যে আসছি"

ফ্যাক্টরি থেকে স্যাম্পল কালেকশন করতে করতে সন্ধ্যা ছয়টা বেজে গেল। গাজীপুর থেকে সোজা হোটেল রেডিসনে পৌঁছুতে পৌঁছুতে রাত সাড়ে আটটা বেজে গেল। এমডি স্যার হোটেলের লবিতেই বসে আছেন। বায়ার এখন ব্যস্ত অন্য পার্টির সাথে। রাত দশটায় ওরা সুযোগ পেলে, রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মিটিং চলল। এদিকে সারাদিন আযিমের নাওয়া খাওয়া হয় নি। হোটেল রেডিস র আশে পাশে কোন টং দোকান নেই যে কলা রুটি চা খাবে। রেডিসনের মত ফাইভ স্টারে নাস্তা করার মত ক্যাপাসিটি আযিমের নেই।

এই যে আযিম সারাদিন না খেয়ে আছে, তার বাচ্চা হাসপাতালে অথচ তার মুখে হাসির কমতি নেই। না হাসলে যে চাকরি থাকবে না। এই হাসির নাম 'ভেটকি'।

এর মধ্যে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়ে গিয়েছে। পাশের বাসার ভদ্র মহিলা খুব সাহায্য করলেন। তা নাহলে দুই বছরের বাচ্চা নিয়ে আযিমের স্ত্রী খুব বিপদে পড়তেন।
আযিম যখন রাত একটায় শিশু হাসপাতালে পৌঁছে তখন বস ফোন দিলেন "আযিম, আগামীকাল খুব আর্লি অফিসে আসতে হবে। বায়ার সকাল দশটার মধ্যে অফিসে ঢুকবে।"




মার্চেন্ডাইজারের বিবর্তন-

মার্চেন্ডাইজিং এর শূরুটা অনেক কষ্টের । কারণ মালিকরা কখনও চায় না বেশী বেতনে লোক রাখে । আবার লোক না নিয়েও পারে না । তাই আমদের দেশের বেকার যুবকেরা সাফল্যের আশায় আসে এ পেশায় । বলাবাহুল্য শুরুতে মার্চেন্ডাইজাররা বর্তমান একজন শ্রমিকের নুন্যতম বেতনটাও অনেক সময় পায় না । যেমন আমাদেরকে ক্যারিয়ার শুরু করতে হয়েছে 10000-120000 টাকায় । আর যত দূর জানি এখনো তেমন বাড়েনি । মালিকরা কম টাকা দিলে যেন বাঁচে । যেহেতু আমদের দেশে বেকারের সংখ্যা অনেক তাই নিরুপায় হয়ে অনেকে কম বেতন এমনকি বিনা বেতনে মার্চেন্ডাইজিং এ আসে । তবে শ্রম দিতে পারলে মালিকেরা বাধ্য হয় আপনার প্রাপ্য দিতে । কারণ তারা তত দিনে বুঝে যায় এ লোক ছাড়া তার চলবে না ।
এখানে মার্চন্ডাইজারের একটি বিবর্তন দেখানো হল -

1. ট্রেইনি মার্চেন্ডাইজার – দূর থেকে আপেল দেখা । খুব সুন্দর আপেল । মনে হয় অনেক মিষ্টি ।

2. এসিস্টেন্ট মার্চেন্ডাইজার – গাছের নিচে দাঁড়িয়ে এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করা ।

3. মার্চেন্ডাইজার – গাছে উঠে আপেল পারার অপেক্ষা করা ।

4. সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার – হাতে আপেল নিয়ে নাড়া চাড়া করা ।

5. মার্চেন্ডাইজিং ম্যানেজার – মুখে আপেল নিয়ে মজা করে খাওয়া ।

এর অর্থ হচ্ছে – ম্যানেজারিয়ালে না আসা পর্যন্ত তারা ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ ভাবে উপভোগ করতে পারেন না । এখানেই মার্চন্ডাইজারে সাফল্য আসে ।


মার্চেন্ডাইজিং কোন আতঙ্কের চাকরি নয়

মাঝেমধ্যে আমরা গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং সম্পর্কে নেতিবাচক পোষ্ট দেখতে পাই। সত্যি কথা বলতে যাঁরা মার্চেন্ডাইজার হিসাবে এখনও সম্পূর্ণ দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন নি তাঁরাই এধরণের মন্তব্য করে থাকেন। একজন অদক্ষ মার্চেন্ডাইজার যে কাজ একঘন্টায় করতে পারেন সে কাজ একজন দক্ষ মার্চেন্ডাইজার মাত্র দশ মিনিটেই শেষ করে থাকেন। আবার যে কাজ শেষ করতে একজন অদক্ষ মার্চেন্ডাইজার কে রাত দশটা পর্যন্ত অফিসে বিজি থাকতে হয় সে কাজ একজন দক্ষ মার্চেন্ডাইজার দুই ঘন্টায় শেষ করে বন্ধু-বান্ধবের সাথে চাটিং-এ বিজি থাকেন। বায়ার-এর অর্ডার শিপমেন্ট-এর উদ্দেশ্যে একজন মার্চেন্ডাইজার কে বহুবিধ কাজের সাথে জড়িত থাকতে হয়। ধীরে-ধীরে যখন একজন মার্চেন্ডাইজার দক্ষ হয়ে উঠেন তখন তিনি টেকনিক্যালি কাজ করা শুরু করেন। এজন্যই মূলত একজন দক্ষ মার্চেন্ডাইজার অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর কাজ সম্পাদন করতে পারেন। অল্প সময়ে বেশি কাজ সম্পাদন করার টেকনিক আয়াত্ব করতে একজন মার্চেন্ডাইজার কে কয়েক বছর কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। টেকনিক্যালি কাজ করার সক্ষমতা অর্জনের পরেই একজন মার্চেন্ডাইজারের জীবনে বসন্ত ধরা দেয়। আজকের অদক্ষ মার্চেন্ডাইজার কিছুদিন পরে ঠিকই দক্ষ হয়ে উঠবেন। সুতরাং নতুনদের অহেতুক ভয় দেখানোর কিছু নেই। তাঁদের জন্যেও বসন্ত অপেক্ষা করছে...



পেশা হিসেবে মারচেন্ডাইজিং

রনি বিআইএফটি থেকে এপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজিতে অনার্স করেছে। পাঁচ ছয় বছর ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করার পর এক বিদেশী বায়িং হাউজে জয়েন করেছে। সেখানেও প্রায় চার বছর পার হয়ে গেছে। এখন সে চাকুরি করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিটেইলার ওয়ালমারট এর বাংলাদেশ সোরসিং অফিসে সোরসিং ম্যানেজার হিসেবে। বেতন চার হাজার ডলার! মানে মানে প্রায় তিন লাখ টাকা!! চৌত্রিশ বছর বয়সে তিন লাখ টাকা বেতন তাও বাংলাদেশে বসে, অনেক বড় ব্যপার। এই অফিসে দু’লাখ টাকার উপরে বেতন রয়েছে সাত জন অফিসারের। লাখের উপরে রয়েছে হয় জন। ওদের ওয়েব সাইট www.walmart.com

শহীদ (এটা ছদ্ম নাম) চাকুরি করে লিএন্ড ফাং নামক বিশ্বের সবচেয়ে বড় বায়িং হাউজে। পজিশন ডিভিশানাল মারচেন্ডাইজিং ম্যানেজার। বেতন প্রায় আড়াই লাখ। বছরে একবার বোনাস দেয় যার পরিমান আসে প্রায় দশ লাখ! অর্থাৎ মাসে গড়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা!! অফিস উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডের এবিসি হেরিটেজ টাওয়ারে। শুধু শহীদই নন এই অফিসে প্রায় বারো জন দেশী বিদেসী ডিভিশানাল ম্যানেজার রয়েছেন তাদের কারো বেতন গড়ে তিন লাখে নিচে নয়। এর নিচে রয়েছে মারচেন্ডাইজিং ম্যানেজার, সংখ্যা প্রায়্য বিশ জন। এদের কারো বেতন দেড় লাখে নিচে নয়। এছাড়া প্রতি বছরে অফিসের প্রয়োজনে পাঁচ ছয় বার দেশের বাইরে যেতে হয়। এই অফিসের সিনিয়ার মারচেন্ডাইজারদের বেতন শুরু হয় ষাট হাজার টাকা থেকে। ওদের ওয়েবসাইট www.li-fung.com উত্তরায় মাসকট প্লাজা ও নর্থ টাওয়ারে অবস্থিত সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মালিকানাধীন বায়িং হাউজ টেক্স ইবো ইন্টারন্যাশনাল। এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও একই। বাংলাদেশে এই ধরনের বায়িং হাউজ হবে প্রায় পঞ্চাশটি যাতে প্রায় চার হাজার মারচেন্ডাইজার চাকুরি করে। মিড লেভেলের বিদেশী বায়িং হাউজ হবে প্রায় একশটি। এছাড়া প্রায় হাজার খানেরক লোকাল বায়িং হাউজ আছে যাতে প্রায় দশ হাজার মারচেডাইজার চাকুরি করে।

এ হল বায়িং হাউজের মারচেন্ডাইজারদের কথা। বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার ফ্যাক্টরিতে প্রায় পঁচিশ হাজার মারচেন্ডাইজার চাকুরি করে।

এই নোটে মারচেন্ডাইজারদের জব রেসপনসিবিলিটি কী তা লিখব না, অনেকে জানেন। যারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেন নি, ভাল বিস্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন নি, রেজাল্ট ভাল না কিন্তু ভাল বেতনে চাকুরি করতে ইচ্ছুক তারা হতাশ না হয়ে এই পেশা বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে যেকোন বায়িং হাউজে চাকুরি করতে যান অবশ্যই ফ্যাক্টরিতে চাকুরির অভিজ্ঞতা চাইবে। সুতরাং সুযোগ বুঝে যেকোন ফ্যাক্টরিতে যেকোন লেভেলে চাকুরির জন্য ঢুকে পড়ুন। প্রেস্টিজ জ্ঞান বেশি থাকলে এই পজিশনে চাকুরি না করাই ভাল। কারন শুরুতে ফ্যাক্টরিতে আপনাকে যে কাজ দিবে তা অনেক কষ্টকর। অনেক সময় অপমানজনক মনে হতে পারে। আর একটা কথা, অনেকেই শুরুতে অনেক টাকা বেতনের আশা করেন। ভাগ্য খুব বেশি সুপ্রসন্ন হলে হয়তো শুরুতে দশ বারো হাজার টাকা বেতন পেরে পারেন তবে এর সম্ভাবনা ২% বাকীদের শুরুতে অনেক কম টাকায় চাকুরি করতে হয়। আমার অধীনে এই পর্যন্ত দশ বারো জন শিক্ষানবীশ মারচেন্ডাইজার কাজ করেছে যাদের হাইয়েস্ট বেতন ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক কাজ করেছে প্রথম তিন চার মাস ফ্রী তে অর্থাৎ বেতন ছাড়া!!! এই দশ বারো জনের মধ্যে এই সেক্টরে সবাই টিকতে পারেনি। আট জনের মত টিকে আছে যাদের মধ্যে একজনের বেতন লাখ ছাড়িয়ে গেছে আর বাকীগুলোও চল্লিশের উপরে অবস্থান করছে। যার বেতন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে সেই ছেলেটি সাধারন শ্রমিক থেকে উঠে এসেছে।




ফরেইন বাইং হাউস গুলিতে যারা মার্চেন্ডাইজিং জব করেন তারা একটি ফোবিয়ায় ভোগেন 

যেমন

১. এরা নিজেদের অন্যের চেয়ে বেশি স্মার্ট দাবি করেন  ( যদিও সবাই না )

২. প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার এর পর এর সবচেয়ে বড় ফটোগ্রাফার  ( যদিও সবাই না )

৩. এদের চেক ইনে কোথায় জব করেন তা উল্লেখ করবেন প্রতি পোষ্ট এ  ( যদিও সবাই না )

৪. রিসোর্ট এ এদের চেয়ে বেশি কেও যায়নি, এরা রিসোর্ট এর ব্রেন্ডিং করে বেড়াবে  ( যদিও সবাই না )

৫. এরা ডেসিগনেশন এর চেয়ে অর্গানিজেশন এর কথা বেশি বলতে পছন্দ করবে  ( যদিও সবাই না )

৬. এরা বাকিদের সাথে একটু কথা কম বলার চেষ্টা করে।

আমরা আম জনতা আমাদের বিচার আপনারাই করবেন,  এক আমজনতার কষ্ট দেখে কথা গুলি লেখা।



মার্চেন্ডাইজার হব কিন্তু লবিং নেই


মার্চেন্ডাইজার হতে হলে ভাল চ্যানেল থাকলে খুব সহজে চাকরি পাওয়া যায় । নতুন টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট অথবা যারা মার্চেন্ডাইজার হতে ইচ্ছুক তারা এমনটি বলে থাকেন । আসলে কি তাই ?চলুন দেখি আসল অবস্থা কি ?

আমরা এত টুকু বলতে পারি বাংলাদেশে নেপটিজম বা স্বজন প্রতি খুব বেশি । সবাই চায় তার ছোট ভাই কিংবা ভাগ্নাকে একটা ভাল জায়গায় ঢুকিয়ে যায় কিনা যাতে ভবিষ্যতে কোন সমস্য না হয় । এ ব্যাপারটি সরকারি চাকরি , ব্যাংক বা কোন ভাল প্রতিষ্ঠান যে কোন জায়গায় সবাই করার চেষ্টা করে । তেমনি পোশাক শিল্পে কেউ করে না তা বলা যাবে না । কারণ পোশাক শিল্পে ক্যারিয়ার এখন অনেকের ফাস্ট চয়েস । যাই হোক কেউ যদি আপনাকে টেনে এনে মার্চেন্ডাইজার
বানিয়ে দেয় তাহলে কি মার্চেন্ডাইজার হয়ে যাবেন ?আসলে ব্যাপারটা তা নয় । মার্চেন্ডাইজার হতে হলে কিছু বিশেষ গুণের প্রয়োজন ।

যেমন ঃ
1. প্রচন্ড প্রাণ শক্তি থাকতে হয় । কখনও হতাশ বা ক্লান্ত হওয়া যাবে না ।

2. প্রচন্ড ধৈয্য শক্তি থাকতে হবে ।

3. এক নাগারে ১২ থেকে ১৪ ঘন্ঠা কাজ করার মানসিকতা  থাকতে হবে হয়তো সারা দিন রাত অফিস করতে হতে পারে শিপমেন্ট থাকা কালিন।।।

4. হতে পারে কোন বন্ধের দিন পাবেন না নিজের কাজ করার জন্য ।

5. পরিবার ,বন্ধু সব কিছু থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে ।

6. বকা খেতে হতে পারে ।

7. ব্যাস্ততা কোন ভাবেই শেষ হতে চায় না ।

8. সারাক্ষণ টেনশনে থাকা ।

কাজেই বুঝতে পারছেন লবিং দিয়ে যারা মার্চেন্ডাইজিং এ আসে তাদের পক্ষে এমন ভাবে কাজ করা সম্ভব না । কারণ তারা খুব সহজে এ সুযোগটা পেয়ে গেছে । আমার জানা মতে প্রায় ৫০ ভাগ মার্চেন্ডাইজার প্রথমে অন্য সেকশনে জব নিয়েছিলেন  তার পর নিজের দক্ষতায় মার্চেন্ডাইজার হওয়ার রাস্তা করেছেন । আমি দেখেছি স্টোর কিপার থেকে মার্চেন্ডাইজার হয়েছেন ,
এডমিন এমন কি একান্সথেকে অনেকে আজ সফল মার্চেন্ডাইয়াজার । কাজেই লবিংয়ের আশায় বসে নাথেকে পোশাক শিল্পের যে কোন পদে ঢুকে যান এবং শ্রম দিয়ে নিজের পথ নিজে করে নিন ।

"অংশুক"
— টেক্সটাইলের ক্যানভাস

২টি মন্তব্য:

Baby's Care by Dieting বলেছেন...

True & nice post

Unknown বলেছেন...

সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আপনারা মার্চেন্ডাইজার জব সম্পর্কে শুধু ভয়ই দিয়ে গেলেন যাকে বলা যায় একেবারে পরিকল্পিতভাবে ডিমোটিভেট করা। বুঝলাম না ঠিক, এখানে এই পেশাকে এতোটা হেয় করার কারণ কি ছিল? নাকি নতুন কেও যাতে যেন এই পেশায় এতসব শুনে ভয়ে না যায় সেজন্যই কি এতো আয়োজন? একেবারে ব্লগসাইট খুলে সব নেগেটিভ পয়েন্ট গুলো হাইলাইট করা কি আসলেই কারো কোনো উপকারে আসবে?