থ্রি ডি প্রিন্টিং টেকনোলজি | 3D Printing Technology in Textile - Textile Lab | Textile Learning Blog
3D Printing in Textile

বন্ধুরা ভাবুন তো, কেমন হবে যদি ইন্টারনেট থেকে একটি  T-Shirt এর ডিজাইন ডাউনলোড দিয়ে  প্রিন্ট দিলেন আপনার 3D প্রিন্টার থেকে, আর সেই T-Shirt পড়ে মাতিয়ে দিলেন বন্ধুর বার্থডে পার্টি। অবাস্তব মনে হচ্ছে, হ্যাঁ সেটাই এবার সম্ভব করতে যাচ্ছে 3D Printing Technology.

3D প্রিন্টিং কিভাবে কাজ করেঃ

3D প্রিন্টার হচ্ছে ত্রিমাত্রিক বস্তু প্রিন্ট করার মেশিন, প্রিন্ট না বলে বস্তু তৈরি করার মেশিন ও বলা যেতে পারে। এটা একটি লেয়ার এর উপর আরেকটি লেয়ার বসিয়ে এভাবে পর পর অসংখ্য লেয়ার বসিয়ে একটি বস্তু তৈরি করে। এই প্রিন্টার এর কাচাঁমাল হিসেবে প্লাস্টিক রাবার , পলিইউরেথান ইত্যাদি পদার্থ ব্যবহার হয়। এই প্রিন্টারে থাকে একটি প্রিন্টিং হেড বা নজেল, প্লাস্টিক বা পলিইউরেথানকে উতাপ দিয়ে গলিয়ে এই নজেলের ছিদ্র দিয়ে চালনা করে একের পর এক লেয়ার তৈরি করা হয়।









ধরুন আপনি এই প্রিন্টার দিয়ে একটি জুতা তৈরি করবেন, তাহলে প্রথমেই দরকার একটি 3D ডিজাইন। CAD দিয়ে এই ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব। আবার 3D ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যান করেও ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব। এখন আমরা পছন্দ অনুযায়ী একটা জুতাকে 3D স্ক্যান করে তার ত্রিমাত্রিক ছবি তুললাম। এখন 3D প্রিন্টিং এর Software এই জুতাকে অসংখ্য দ্বিমাত্রিক তল এ ভাগ করবে। যার অর্থ হচ্ছে পুরো জুতাকে যদি তলা থেকে ধারালো ব্লেড দিয়ে একটি একটি লেয়ার কেটে আলাদা করি তবে অসংখ্য Slice পাব। এর প্রতিটি লেয়ার এর উচ্চতা হতে পারে ১৬ থেকে ১০০ মাইক্রোন (১/১০০০") পর্যন্ত।

এখন যদি প্রিন্টারকে স্ক্যানকৃত জুতার ডিজাইন প্রিন্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়, (ধরলাম ১০০ টি লেয়ার আছে) তাহলে সেটি প্রথমে তলার দিকের প্রথম লেয়ার কে প্রিন্ট করবে। এর যেখানে যেখানে পদার্থ আছে সেখানে সেখানে প্রিন্টিং হেড দিয়ে গলিত প্লাস্টিক, পলিইউরেথান Spray করবে এবং সেটি নজেল হতে নির্গত হওয়া মাত্র শক্ত হয়ে যাবে। অতঃপর এর উপর দ্বিতীয় লেয়ার স্প্রে করবে। এভাবে পূর্বের লেয়ার এর উপর পর্যায়ক্রমে ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ........১০০ তম লেয়ার স্প্রে করতে থাকবে। যখন সবগুলো লেয়ার এক সাথে যুক্ত হবে, তখনই আমরা পেয়ে যাবো আমাদের কাঙ্খিত সেই জুতাটি, যা দেখতে হবে একেবারে হুবহু স্ক্যান করা জুতোটির মতোই।





ফ্যাশন জগতে 3D প্রিন্টিংঃ

এবার বসন্তে নিউইয়র্কে হয়ে গেল প্রথমবারের মত 3D প্রিন্টিং ফ্যাশন শো। এখানে প্রদর্শিত সবগুলো পোশাক তৈরি করা হয়েছে 3D প্রিন্টার দিয়ে। যেগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে Filaflex নামে flexible এক ধরনের পলিমার।

ছবিতে যেসব গার্মেন্টস দেখা যাচ্ছে , সেগুলোর বেশিরভাগই আলাদা আলাদা সেকশন প্রিন্ট করে পরে একখানে জোড়া দিয়ে পূর্ণ পোশাক তৈরি করা হয়েছে। 



এখন শুধু অপেক্ষা আপনার মনের মত পোশাকে 3D ইফেক্ট প্রিন্ট করে সবাইকে তাক লাগানোর।
আজকের মত এ পর্যন্তই অন্য আরেকদিন বাকি আরো দুটো 3D পদ্ধতি এবং এর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে লিখবো , সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন।







লেখক, মোঃ আসাদুজ্জামান (আসাদ)
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
লেখক ফোরাম, 'বি,টুইস্ট' ।

থ্রি ডি প্রিন্টিং টেকনোলজি | 3D Printing Technology in Textile

3D Printing in Textile

বন্ধুরা ভাবুন তো, কেমন হবে যদি ইন্টারনেট থেকে একটি  T-Shirt এর ডিজাইন ডাউনলোড দিয়ে  প্রিন্ট দিলেন আপনার 3D প্রিন্টার থেকে, আর সেই T-Shirt পড়ে মাতিয়ে দিলেন বন্ধুর বার্থডে পার্টি। অবাস্তব মনে হচ্ছে, হ্যাঁ সেটাই এবার সম্ভব করতে যাচ্ছে 3D Printing Technology.

3D প্রিন্টিং কিভাবে কাজ করেঃ

3D প্রিন্টার হচ্ছে ত্রিমাত্রিক বস্তু প্রিন্ট করার মেশিন, প্রিন্ট না বলে বস্তু তৈরি করার মেশিন ও বলা যেতে পারে। এটা একটি লেয়ার এর উপর আরেকটি লেয়ার বসিয়ে এভাবে পর পর অসংখ্য লেয়ার বসিয়ে একটি বস্তু তৈরি করে। এই প্রিন্টার এর কাচাঁমাল হিসেবে প্লাস্টিক রাবার , পলিইউরেথান ইত্যাদি পদার্থ ব্যবহার হয়। এই প্রিন্টারে থাকে একটি প্রিন্টিং হেড বা নজেল, প্লাস্টিক বা পলিইউরেথানকে উতাপ দিয়ে গলিয়ে এই নজেলের ছিদ্র দিয়ে চালনা করে একের পর এক লেয়ার তৈরি করা হয়।









ধরুন আপনি এই প্রিন্টার দিয়ে একটি জুতা তৈরি করবেন, তাহলে প্রথমেই দরকার একটি 3D ডিজাইন। CAD দিয়ে এই ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব। আবার 3D ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যান করেও ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব। এখন আমরা পছন্দ অনুযায়ী একটা জুতাকে 3D স্ক্যান করে তার ত্রিমাত্রিক ছবি তুললাম। এখন 3D প্রিন্টিং এর Software এই জুতাকে অসংখ্য দ্বিমাত্রিক তল এ ভাগ করবে। যার অর্থ হচ্ছে পুরো জুতাকে যদি তলা থেকে ধারালো ব্লেড দিয়ে একটি একটি লেয়ার কেটে আলাদা করি তবে অসংখ্য Slice পাব। এর প্রতিটি লেয়ার এর উচ্চতা হতে পারে ১৬ থেকে ১০০ মাইক্রোন (১/১০০০") পর্যন্ত।

এখন যদি প্রিন্টারকে স্ক্যানকৃত জুতার ডিজাইন প্রিন্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়, (ধরলাম ১০০ টি লেয়ার আছে) তাহলে সেটি প্রথমে তলার দিকের প্রথম লেয়ার কে প্রিন্ট করবে। এর যেখানে যেখানে পদার্থ আছে সেখানে সেখানে প্রিন্টিং হেড দিয়ে গলিত প্লাস্টিক, পলিইউরেথান Spray করবে এবং সেটি নজেল হতে নির্গত হওয়া মাত্র শক্ত হয়ে যাবে। অতঃপর এর উপর দ্বিতীয় লেয়ার স্প্রে করবে। এভাবে পূর্বের লেয়ার এর উপর পর্যায়ক্রমে ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ........১০০ তম লেয়ার স্প্রে করতে থাকবে। যখন সবগুলো লেয়ার এক সাথে যুক্ত হবে, তখনই আমরা পেয়ে যাবো আমাদের কাঙ্খিত সেই জুতাটি, যা দেখতে হবে একেবারে হুবহু স্ক্যান করা জুতোটির মতোই।





ফ্যাশন জগতে 3D প্রিন্টিংঃ

এবার বসন্তে নিউইয়র্কে হয়ে গেল প্রথমবারের মত 3D প্রিন্টিং ফ্যাশন শো। এখানে প্রদর্শিত সবগুলো পোশাক তৈরি করা হয়েছে 3D প্রিন্টার দিয়ে। যেগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে Filaflex নামে flexible এক ধরনের পলিমার।

ছবিতে যেসব গার্মেন্টস দেখা যাচ্ছে , সেগুলোর বেশিরভাগই আলাদা আলাদা সেকশন প্রিন্ট করে পরে একখানে জোড়া দিয়ে পূর্ণ পোশাক তৈরি করা হয়েছে। 



এখন শুধু অপেক্ষা আপনার মনের মত পোশাকে 3D ইফেক্ট প্রিন্ট করে সবাইকে তাক লাগানোর।
আজকের মত এ পর্যন্তই অন্য আরেকদিন বাকি আরো দুটো 3D পদ্ধতি এবং এর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে লিখবো , সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন।







লেখক, মোঃ আসাদুজ্জামান (আসাদ)
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
লেখক ফোরাম, 'বি,টুইস্ট' ।

কোন মন্তব্য নেই: