ইয়ার্ন কোয়ালিটি চেঞ্জ করে কি কষ্ট সেইভিং হয় ! - Textile Lab | Textile Learning Blog
ইয়ার্ন কোয়ালিটির সাথে  কষ্ট সেইভিং এর সম্পর্ক : 


আমরা যদি রিং রোটর  ইয়ার্নের প্রাইস এর কথা বিবেচনা করি দেখা যাবে  ৩০-৫০ সেন্ট ভেরি করে কিন্ত আপনি যদি টাকা বাচানোয় জন্য রিং এর পরিবর্তে রোঁটর বা  কম্বড  ইয়ার্ন এর পরিবর্তে কার্ড ইয়ার্ন করলে কি কি অসুবিধা হতে পারে আসুন জেনে নেয়া যাক কিছু টেকনিক্যাল ফেক্টর :

১.  প্রথমেই আমাদের ইয়ার্ন কোয়ালিটি ইফেক্ট করবে ওয়েটে কারন আমরা যখন ইয়ার্ন কে স্পিনিং মিল থেকে নিয়ে আসবো তখন স্টিমিং করা থাকবে ফাইবারের ওয়েট বেশি থাকবে কিন্ত যখন এটা স্টোরে নিয়ে আসা হবে তখন ইয়ার্ন এর ওয়েট কমে যাবে কারন ফাইবার  কার্ড ইয়ার্ন, রোটর ইয়ার্ন  এর ফাইবার কোয়ালিটি খারাপ আর এর ময়েসচার ধরে রাখার স্ট্রেন্থ নেই যার ফলে ওয়েট কমে যাবে যার ফলে ওয়েট কমে লাভের পরিবর্তে লস হবে। কম্বড ইয়ার্নে ফরেইন ফাইবার আসার চান্স কম হয়।

২. কার্ড ইয়ার্ন, রোটর ইয়ার্ন দিয়ে যখন ফেব্রিক বানানো হয় তখন ইয়ার্নের স্ট্রেন্থ কম থাকে যার হলে নীটিং বা উইভিং এর সময় ইয়ার্ন ব্রেক করে  যার ফলে মেশিন আর RPM কমিয়ে দিতে হয় যার হলে প্রডাকশন কমে যায় । কম্বড ইয়ার্ন দিয়ে যদি ৭০০ RPM এ মেশিন চালানো যায় কার্ড ইয়ার্ন দিয়ে সেটা ৫০০ RPM এ চালানো হয় এর ফলে প্রাডাকশন কমে যায়। যা লসের কারন হয়। আর মেশিনে  ইয়ার্ন ব্রেক করে হোল, সেটাপ এর মতো ফল্ট তৈরি করে ।

৩. ফেব্রিক এর স্টোর করার পর ময়েসচার ধরে রাখার স্ট্রেন্থ নেই যার ফলে ওয়েট কমে যাবে যার ফলে ওয়েট কমে লাভের পরিবর্তে লস হবে। ফেব্রিক এর GSM কমে যায় আর GSM রিকোভার করার জন্য রিপ্রসেস করা লাগে।

৪. ফেব্রিক ডাইং এর মুল সমস্যা হলো হলো কার্ড ইয়ার্ন, রোটর ইয়ার্ন দিয়ে ফেব্রিক করার ফলে ফেব্রিকে অনেক হেয়ারিনেস থাকে যার ফলে এর জন্য সুপার এনজাইম করা লাগে আর ইয়ার্ন কোয়ালিটি খারাপ হলে এর জন্য স্পাইরিলিটি, স্রিংকেজ বেশী হবে কম্বড ইয়ার্নের চেয়ে কার্ড ইয়ার্নে এর চান্স অনেক, কারন কার্ড ইয়ার্ন রোটর ইয়ার্ন ইরেগুলার ইয়ার্ন যার ফলে ময়েসচার পেয়ে ইয়ার্নের ইন্টার্নাল টুস্টিং হয় এবং পরবর্তিতে এটা ফেব্রিকের ডাইমেনশনাল স্টেবিলিটি রক্ষা করে  । GSM কার্ড আর কম্বাড ইয়ার্নের দরুন অনেক ভেরি করে ময়েসচার গেইম করার চান্স কম্বাড ইয়ার্নের বেশী ।

৫. কার্ড ইয়ার্নের হেন্ডফিল এবং ফেব্রিক সাইনিং,  নেপস, পিলিং, রাবিং, স্লাব ইফেক্ট চলে আসে সব সময় খারাপ হয়ে থাকে যার ফলে এই  সাইনিং,  নেপস, পিলিং, রাবিং, স্লাব ইফেক্ট প্রোপার্টি  রিকোভার করার জন্য রিপ্রসেস চার্জ লাগে এবং বায়ারের কোয়ালিটির প্রতি ডিসেটিস্ফেশন থাকে।


আমরা আপত দৃষ্টিতে মনে করছি যে আমাদের ২০-৩০ সেন্ট বাঁচাতে পেরে অনেক সেইভ করছি কিন্ত একটু ডিপলি চিন্তা অরলে দেখা যায় যেই এই ইয়ার্ন কষ্ট সেইভ করতে গিয়ে আপনা নেক্সট প্রসেস গুলির ক্ষতি করে ফেলছি  এবং প্রসেস স্লো করে ফেলছি, যার ফলে এটা লাভের তুলনায় লসের পরিমান বারিয়ে দিচ্ছে আমরা  । বিনিময়ে আমাদের কোয়ালিটি ফল করছে বায়ার সেটিস্ফিকেশন আমরা রক্ষা করতে পারছি না । আর ডাইং প্রডাকশন কে যা দিবেন তারা তাই ডাইং করবে যতো সমস্যা হোক প্রসেস লস % বেশি হলেও, তাই কস্টিং এর সময় টেকনিক্যাল প্যারামিটার গুলি মাথায় রাখা উচিৎ আমাদের  ।  এমন না যে কার্ড ইয়ার্ন দিয়ে কাজ হচ্ছে না কিন্ত কার্ড ইয়ার্নটি যেনো কোয়ালিটি সম্পন্ন হয় তা দেখবেন প্রয়োজনে সুতার CV % চেক করে বা রিকয়ারমেন্ট উল্লেখ করে নীটিং, উইভিং এর বুকিং দিবেন।

এক্ষত্রে চঞ্চল চৌধুরী আর আবুল হায়াত এর মোরগ মার্কা ডেউটিন এর উদাহরণ দিতেই হয় বানে মাত্র ১০০ টাকা বাচাতে গিয়ে সাধারণ ডেউটিন কিনে আপনাদের লাভ করছি না লস করছি।

আমরা যদি কঞ্জাম্পশন কমাতে পারি সেটাই আমাদের প্রকৃত সেইভিং ।

পিক : সাঈদ রিমন ভাই
লেখা : মাজেদুল হাসান



ইয়ার্ন কোয়ালিটি চেঞ্জ করে কি কষ্ট সেইভিং হয় !

ইয়ার্ন কোয়ালিটির সাথে  কষ্ট সেইভিং এর সম্পর্ক : 


আমরা যদি রিং রোটর  ইয়ার্নের প্রাইস এর কথা বিবেচনা করি দেখা যাবে  ৩০-৫০ সেন্ট ভেরি করে কিন্ত আপনি যদি টাকা বাচানোয় জন্য রিং এর পরিবর্তে রোঁটর বা  কম্বড  ইয়ার্ন এর পরিবর্তে কার্ড ইয়ার্ন করলে কি কি অসুবিধা হতে পারে আসুন জেনে নেয়া যাক কিছু টেকনিক্যাল ফেক্টর :

১.  প্রথমেই আমাদের ইয়ার্ন কোয়ালিটি ইফেক্ট করবে ওয়েটে কারন আমরা যখন ইয়ার্ন কে স্পিনিং মিল থেকে নিয়ে আসবো তখন স্টিমিং করা থাকবে ফাইবারের ওয়েট বেশি থাকবে কিন্ত যখন এটা স্টোরে নিয়ে আসা হবে তখন ইয়ার্ন এর ওয়েট কমে যাবে কারন ফাইবার  কার্ড ইয়ার্ন, রোটর ইয়ার্ন  এর ফাইবার কোয়ালিটি খারাপ আর এর ময়েসচার ধরে রাখার স্ট্রেন্থ নেই যার ফলে ওয়েট কমে যাবে যার ফলে ওয়েট কমে লাভের পরিবর্তে লস হবে। কম্বড ইয়ার্নে ফরেইন ফাইবার আসার চান্স কম হয়।

২. কার্ড ইয়ার্ন, রোটর ইয়ার্ন দিয়ে যখন ফেব্রিক বানানো হয় তখন ইয়ার্নের স্ট্রেন্থ কম থাকে যার হলে নীটিং বা উইভিং এর সময় ইয়ার্ন ব্রেক করে  যার ফলে মেশিন আর RPM কমিয়ে দিতে হয় যার হলে প্রডাকশন কমে যায় । কম্বড ইয়ার্ন দিয়ে যদি ৭০০ RPM এ মেশিন চালানো যায় কার্ড ইয়ার্ন দিয়ে সেটা ৫০০ RPM এ চালানো হয় এর ফলে প্রাডাকশন কমে যায়। যা লসের কারন হয়। আর মেশিনে  ইয়ার্ন ব্রেক করে হোল, সেটাপ এর মতো ফল্ট তৈরি করে ।

৩. ফেব্রিক এর স্টোর করার পর ময়েসচার ধরে রাখার স্ট্রেন্থ নেই যার ফলে ওয়েট কমে যাবে যার ফলে ওয়েট কমে লাভের পরিবর্তে লস হবে। ফেব্রিক এর GSM কমে যায় আর GSM রিকোভার করার জন্য রিপ্রসেস করা লাগে।

৪. ফেব্রিক ডাইং এর মুল সমস্যা হলো হলো কার্ড ইয়ার্ন, রোটর ইয়ার্ন দিয়ে ফেব্রিক করার ফলে ফেব্রিকে অনেক হেয়ারিনেস থাকে যার ফলে এর জন্য সুপার এনজাইম করা লাগে আর ইয়ার্ন কোয়ালিটি খারাপ হলে এর জন্য স্পাইরিলিটি, স্রিংকেজ বেশী হবে কম্বড ইয়ার্নের চেয়ে কার্ড ইয়ার্নে এর চান্স অনেক, কারন কার্ড ইয়ার্ন রোটর ইয়ার্ন ইরেগুলার ইয়ার্ন যার ফলে ময়েসচার পেয়ে ইয়ার্নের ইন্টার্নাল টুস্টিং হয় এবং পরবর্তিতে এটা ফেব্রিকের ডাইমেনশনাল স্টেবিলিটি রক্ষা করে  । GSM কার্ড আর কম্বাড ইয়ার্নের দরুন অনেক ভেরি করে ময়েসচার গেইম করার চান্স কম্বাড ইয়ার্নের বেশী ।

৫. কার্ড ইয়ার্নের হেন্ডফিল এবং ফেব্রিক সাইনিং,  নেপস, পিলিং, রাবিং, স্লাব ইফেক্ট চলে আসে সব সময় খারাপ হয়ে থাকে যার ফলে এই  সাইনিং,  নেপস, পিলিং, রাবিং, স্লাব ইফেক্ট প্রোপার্টি  রিকোভার করার জন্য রিপ্রসেস চার্জ লাগে এবং বায়ারের কোয়ালিটির প্রতি ডিসেটিস্ফেশন থাকে।


আমরা আপত দৃষ্টিতে মনে করছি যে আমাদের ২০-৩০ সেন্ট বাঁচাতে পেরে অনেক সেইভ করছি কিন্ত একটু ডিপলি চিন্তা অরলে দেখা যায় যেই এই ইয়ার্ন কষ্ট সেইভ করতে গিয়ে আপনা নেক্সট প্রসেস গুলির ক্ষতি করে ফেলছি  এবং প্রসেস স্লো করে ফেলছি, যার ফলে এটা লাভের তুলনায় লসের পরিমান বারিয়ে দিচ্ছে আমরা  । বিনিময়ে আমাদের কোয়ালিটি ফল করছে বায়ার সেটিস্ফিকেশন আমরা রক্ষা করতে পারছি না । আর ডাইং প্রডাকশন কে যা দিবেন তারা তাই ডাইং করবে যতো সমস্যা হোক প্রসেস লস % বেশি হলেও, তাই কস্টিং এর সময় টেকনিক্যাল প্যারামিটার গুলি মাথায় রাখা উচিৎ আমাদের  ।  এমন না যে কার্ড ইয়ার্ন দিয়ে কাজ হচ্ছে না কিন্ত কার্ড ইয়ার্নটি যেনো কোয়ালিটি সম্পন্ন হয় তা দেখবেন প্রয়োজনে সুতার CV % চেক করে বা রিকয়ারমেন্ট উল্লেখ করে নীটিং, উইভিং এর বুকিং দিবেন।

এক্ষত্রে চঞ্চল চৌধুরী আর আবুল হায়াত এর মোরগ মার্কা ডেউটিন এর উদাহরণ দিতেই হয় বানে মাত্র ১০০ টাকা বাচাতে গিয়ে সাধারণ ডেউটিন কিনে আপনাদের লাভ করছি না লস করছি।

আমরা যদি কঞ্জাম্পশন কমাতে পারি সেটাই আমাদের প্রকৃত সেইভিং ।

পিক : সাঈদ রিমন ভাই
লেখা : মাজেদুল হাসান



1 টি মন্তব্য:

mosannef বলেছেন...

Iha bujhle valoi hoito we need value not quality