সাব্জেক্ট রিভিউ Textile Engineering Management (TEM) - Textile Lab | Textile Learning Blog
Textile Engineering Management (TEM)

প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টই ভালো যার যার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমি এই ধারণাকে সম্মান করি এবং বিশ্বাস করি আমার ডিপার্টমেন্ট কেন ভালো এটা বলার অধিকার আমার আছে। সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি  TEM নিয়ে কিছু বলার আপকামিং জুনিয়রদের উদ্দ্যেশ্যে।
Textile Engineering Management (TEM) সম্পর্কে জানার আগে 'ম্যানেজমেন্ট' এবং 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' এর  একটা বিশাল পার্থক্য আছে, এইটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের দেশে 'ম্যানেজমেন্ট' শব্দটা কমার্স ফ্যাকাল্টির কল্যাণে বেশ পরিচিত হলেও, 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' টার্ম টা একেবারেই অপরিচিত।  তাই আমরা বুটেক্সের টিইএমকে সাধারণ ম্যানেজমেন্টের সাথে অনেকেই গুলিয়ে ফেলি।

মূলত প্রকৌশল বিদ্যার বিজ্ঞান ও টেকনিক্যাল নলেজকে  সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহারের জন্যই এই 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' বিষয়টির সূত্রপাত ঘটে। আমাদের দেশে অজানা হলেও ১৯০৮ সালে স্টিভেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সর্বপ্রথম এই ডিপার্টপেন্ট খোলা হয়। এরপর সারা বিশ্বেই এই ধারণা ছড়িয়ে পরে এবং বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা  প্রতীয়মান হয় ব্যপকভাবে।  বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই ১৪৭ টা ইনস্টিটিউশনে 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' এর কোর্স করানো হয়। এছাড়া ইংল্যান্ড,জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াশহ বিশ্বের প্রায় সকল বড় বড় দেশের সেরা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়ের ওপর ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স উভয় ডিগ্রীই দেওয়া হয়।  টেকনোলজি বা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই এই ডিগ্রী প্রদান করে থাকে।   এই বিষয়ের ওপর গবেষণারও ব্যপক জায়গা রয়েছে সেখানে ।   ইঞ্জিনিয়ারিং  ম্যানেজমেনট উইথ কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ইন সিভিল, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ইন কম্পিউটার সাইন্স ঠিক এরকমভাবে এই ডিপার্টমেন্টের ব্রান্চগুলো প্রচলিত।  একটু গুগল করলেই এই বিষয়ে বিস্তর জানতে পারবেন।

এবার আসি আমাদের  বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের(বুটেক্সের) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কথায়।  এতক্ষণে সবার মনের ধোঁয়াশা আশা করি কেটে গেছে।  বুটেক্স একটি ইঞ্জিনিয়ািরিং ইউনিভার্সিটি হয়েও ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট কেন খুলেছে সেই প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে গেছে সবাই।  হ্যাঁ, এটা বাংলাদেশের দেশের  অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কমার্স ফ্যাকাল্টির ডিপার্টমেন্ট নয়,  ইঞ্জিনিয়ারিং এরই আরেকটা ধারা। প্রোকৌশল+ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে এটি গঠিত।



বাংলাদেশে টেক্সটাইল সেক্টর প্রায় পুরোটাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল।  সুতরাং,  টেকনিক্যাল টেক্সটাইল যেমনি গুরত্বপূর্ণ,  তেমনি এই টেকনিক্যাল নলেজকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে  ইন্ডাস্ট্রি ব্যাবস্থাপনা করতে হবে সেটি আরো গুরুত্বপূর্ণ।  প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, ওয়ার্কার হ্যান্ডেলিং সহ গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়গুলো মেইনটেইন করে বিজনেস পারপোজে টেকনিক্যাল জ্ঞানকে কাজে লাগানোতে এই ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টের বিকল্প নেই।

প্রতি সেমিস্টারে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে যাওয়া হয়। গিয়ে দেখি ওখানকার টপ পজিশনে (জিএম, এজিএম) বুটেক্সের কেউই বসে আছে। তারা বারবারই একটা কথা বলেন,  বুটেক্সিয়ানরা জবে আসার পর টেকনিক্যাল জায়গা থেকে খুবই ভালো করে; কিন্তু ম্যানেজমেন্ট স্কিলের জায়গা থেকে পিছিয়ে পড়ে। আর একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিননিয়ারের ম্যানেজমেন্ট স্কিল টা ওই ইন্ডাস্ট্রির ডেভেলোপন্টের জন্য অপরিহার্য।  যতদূর জানি এই বিষয়টাকেই মাথায় রেখে বুটেক্সে এই ডিপার্টমেন্ট টা খোলা হয়েছিল।

ক্যারিয়ার তৈরীর কথা যদি বলি, এই ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই একটি বড় জায়গা ক্যারিয়ারকে সর্বোচ্চতায় নিয়ে যেতে।  কারণ একজন জিএম বা এজিএম যে দায়িত্ব পালন করবেন সেটাই শেখানো হয়  এই ডিপার্টমেন্টে। ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজারিয়াল সেকশনে ভালো ক্যারিয়ারের এইটাই বেস্ট অপশন।  টেকনিক্যাল+ম্যানেজমেন্ট দুই ধরনের নলেজ থাকায় টেক্সটাইলের যেকোন সেক্টর যেমন ওয়াশিং,ডায়িং, নিটিং,উভিং, মার্চেন্ডাইজিং,গার্মেন্টস,প্রোডাকশন সবগুলোতেই দ্রুত বেটার  ক্যারিয়ার  তৈরী করা সম্ভব।

এর সাথে  ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজারিয়াল সেকশনগুলো তো আছেই।  আবার টেক্সটাইল  বায়িং হাউজগুলোতে মার্কেটিং এর পদগুলোও একজন টিএমিয়ানের পক্ষে সবচেয়ে ভালোভাবে গ্রহণ করা সম্ভব।  ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। বেটার স্যালারী হোল্ড করা সম্ভব। বুটেক্স থেকে এই ডিপার্টমেন্টে পড়ে যারা বের হয়েছে,  তারা সবাই ভালো ভালো পজিশনে আছে। টেক্সটাইলের   বিভিন্ন সেক্টরে জব করছে। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। কেউ কেউ বাইরের দেশে গিয়ে রিসার্চ রিলেটেড জব করছে। কেউ তো পুরো ট্র্যাক বদলে বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হিসেবে সরকারকে সার্ভ করছে।  সুতরাং, ভুরিভুরি কর্মক্ষেত্র আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এখানে।


আবার চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট এর ওপর উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষনার জন্য  বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারেন।  আগেই বলেছি  'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' নিয়ে বিশ্বে এখন গবেষণার সুযোগ রয়েছে প্রচুর।

  আপনি যদি তা ও না চান, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল নিয়ে ও রিসার্চের জন্য আমেরিকা, ইংল্যান্ড,জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে যেতে পারেন এবিষয়ে পড়ে।

উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিএসসির পর এমএসসিও করতে পারেন।

  আবার বিএসসির পর এমবিএ করে বাণিজ্যিক স্বার্থে টেক্সটাইল টেকনোলজিকে সবচাইতে সফলভাবে কাজে লাগাতে চাইলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টই আপনাকে সর্বাধিক সাহায্য করবে।  তাই জব ফ্যাসিলিটিস এবং স্যালারি এর দিক দিয়ে আপনিই এগিয়ে থাকবেন। 

ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট তথা টেক্সটাইল ইঞ্জিননিয়ারিং ম্যানেজমেন্টের এই বহুমুখী এবং অনন্য ধারায় আপনাকে স্বাগতম।


লিখেছেন:
SA Sagar
43 Batch
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের(বুটেক্স) 
BUTEX

সাব্জেক্ট রিভিউ Textile Engineering Management (TEM)

Textile Engineering Management (TEM)

প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টই ভালো যার যার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমি এই ধারণাকে সম্মান করি এবং বিশ্বাস করি আমার ডিপার্টমেন্ট কেন ভালো এটা বলার অধিকার আমার আছে। সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি  TEM নিয়ে কিছু বলার আপকামিং জুনিয়রদের উদ্দ্যেশ্যে।
Textile Engineering Management (TEM) সম্পর্কে জানার আগে 'ম্যানেজমেন্ট' এবং 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' এর  একটা বিশাল পার্থক্য আছে, এইটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের দেশে 'ম্যানেজমেন্ট' শব্দটা কমার্স ফ্যাকাল্টির কল্যাণে বেশ পরিচিত হলেও, 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' টার্ম টা একেবারেই অপরিচিত।  তাই আমরা বুটেক্সের টিইএমকে সাধারণ ম্যানেজমেন্টের সাথে অনেকেই গুলিয়ে ফেলি।

মূলত প্রকৌশল বিদ্যার বিজ্ঞান ও টেকনিক্যাল নলেজকে  সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহারের জন্যই এই 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' বিষয়টির সূত্রপাত ঘটে। আমাদের দেশে অজানা হলেও ১৯০৮ সালে স্টিভেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সর্বপ্রথম এই ডিপার্টপেন্ট খোলা হয়। এরপর সারা বিশ্বেই এই ধারণা ছড়িয়ে পরে এবং বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা  প্রতীয়মান হয় ব্যপকভাবে।  বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই ১৪৭ টা ইনস্টিটিউশনে 'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' এর কোর্স করানো হয়। এছাড়া ইংল্যান্ড,জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াশহ বিশ্বের প্রায় সকল বড় বড় দেশের সেরা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়ের ওপর ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স উভয় ডিগ্রীই দেওয়া হয়।  টেকনোলজি বা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই এই ডিগ্রী প্রদান করে থাকে।   এই বিষয়ের ওপর গবেষণারও ব্যপক জায়গা রয়েছে সেখানে ।   ইঞ্জিনিয়ারিং  ম্যানেজমেনট উইথ কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ইন সিভিল, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ইন কম্পিউটার সাইন্স ঠিক এরকমভাবে এই ডিপার্টমেন্টের ব্রান্চগুলো প্রচলিত।  একটু গুগল করলেই এই বিষয়ে বিস্তর জানতে পারবেন।

এবার আসি আমাদের  বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের(বুটেক্সের) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কথায়।  এতক্ষণে সবার মনের ধোঁয়াশা আশা করি কেটে গেছে।  বুটেক্স একটি ইঞ্জিনিয়ািরিং ইউনিভার্সিটি হয়েও ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট কেন খুলেছে সেই প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে গেছে সবাই।  হ্যাঁ, এটা বাংলাদেশের দেশের  অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কমার্স ফ্যাকাল্টির ডিপার্টমেন্ট নয়,  ইঞ্জিনিয়ারিং এরই আরেকটা ধারা। প্রোকৌশল+ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে এটি গঠিত।



বাংলাদেশে টেক্সটাইল সেক্টর প্রায় পুরোটাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল।  সুতরাং,  টেকনিক্যাল টেক্সটাইল যেমনি গুরত্বপূর্ণ,  তেমনি এই টেকনিক্যাল নলেজকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে  ইন্ডাস্ট্রি ব্যাবস্থাপনা করতে হবে সেটি আরো গুরুত্বপূর্ণ।  প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, ওয়ার্কার হ্যান্ডেলিং সহ গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়গুলো মেইনটেইন করে বিজনেস পারপোজে টেকনিক্যাল জ্ঞানকে কাজে লাগানোতে এই ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টের বিকল্প নেই।

প্রতি সেমিস্টারে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে যাওয়া হয়। গিয়ে দেখি ওখানকার টপ পজিশনে (জিএম, এজিএম) বুটেক্সের কেউই বসে আছে। তারা বারবারই একটা কথা বলেন,  বুটেক্সিয়ানরা জবে আসার পর টেকনিক্যাল জায়গা থেকে খুবই ভালো করে; কিন্তু ম্যানেজমেন্ট স্কিলের জায়গা থেকে পিছিয়ে পড়ে। আর একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিননিয়ারের ম্যানেজমেন্ট স্কিল টা ওই ইন্ডাস্ট্রির ডেভেলোপন্টের জন্য অপরিহার্য।  যতদূর জানি এই বিষয়টাকেই মাথায় রেখে বুটেক্সে এই ডিপার্টমেন্ট টা খোলা হয়েছিল।

ক্যারিয়ার তৈরীর কথা যদি বলি, এই ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই একটি বড় জায়গা ক্যারিয়ারকে সর্বোচ্চতায় নিয়ে যেতে।  কারণ একজন জিএম বা এজিএম যে দায়িত্ব পালন করবেন সেটাই শেখানো হয়  এই ডিপার্টমেন্টে। ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজারিয়াল সেকশনে ভালো ক্যারিয়ারের এইটাই বেস্ট অপশন।  টেকনিক্যাল+ম্যানেজমেন্ট দুই ধরনের নলেজ থাকায় টেক্সটাইলের যেকোন সেক্টর যেমন ওয়াশিং,ডায়িং, নিটিং,উভিং, মার্চেন্ডাইজিং,গার্মেন্টস,প্রোডাকশন সবগুলোতেই দ্রুত বেটার  ক্যারিয়ার  তৈরী করা সম্ভব।

এর সাথে  ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজারিয়াল সেকশনগুলো তো আছেই।  আবার টেক্সটাইল  বায়িং হাউজগুলোতে মার্কেটিং এর পদগুলোও একজন টিএমিয়ানের পক্ষে সবচেয়ে ভালোভাবে গ্রহণ করা সম্ভব।  ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। বেটার স্যালারী হোল্ড করা সম্ভব। বুটেক্স থেকে এই ডিপার্টমেন্টে পড়ে যারা বের হয়েছে,  তারা সবাই ভালো ভালো পজিশনে আছে। টেক্সটাইলের   বিভিন্ন সেক্টরে জব করছে। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। কেউ কেউ বাইরের দেশে গিয়ে রিসার্চ রিলেটেড জব করছে। কেউ তো পুরো ট্র্যাক বদলে বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হিসেবে সরকারকে সার্ভ করছে।  সুতরাং, ভুরিভুরি কর্মক্ষেত্র আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এখানে।


আবার চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট এর ওপর উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষনার জন্য  বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারেন।  আগেই বলেছি  'ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট' নিয়ে বিশ্বে এখন গবেষণার সুযোগ রয়েছে প্রচুর।

  আপনি যদি তা ও না চান, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল নিয়ে ও রিসার্চের জন্য আমেরিকা, ইংল্যান্ড,জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে যেতে পারেন এবিষয়ে পড়ে।

উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিএসসির পর এমএসসিও করতে পারেন।

  আবার বিএসসির পর এমবিএ করে বাণিজ্যিক স্বার্থে টেক্সটাইল টেকনোলজিকে সবচাইতে সফলভাবে কাজে লাগাতে চাইলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টই আপনাকে সর্বাধিক সাহায্য করবে।  তাই জব ফ্যাসিলিটিস এবং স্যালারি এর দিক দিয়ে আপনিই এগিয়ে থাকবেন। 

ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট তথা টেক্সটাইল ইঞ্জিননিয়ারিং ম্যানেজমেন্টের এই বহুমুখী এবং অনন্য ধারায় আপনাকে স্বাগতম।


লিখেছেন:
SA Sagar
43 Batch
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের(বুটেক্স) 
BUTEX

কোন মন্তব্য নেই: