রিঅ্যক্টিভ ডাইয়িংয়ের ক্ষত্রে সল্ট, সোডার প্রভাব | Salt Soda | Reactive Dyeing - Textile Lab | Textile Learning Blog
রিঅ্যক্টিভ ডাইয়িংয়ের ক্ষত্রে সল্ট, সোডার প্রভাব:

রিঅ্যক্টিভ ডাইয়িংকে বলা হয় ২ ফেজ ডাইয়িং। কারণ দুইটা ধাপে এর ডাইয়িং হয়। প্রথম ধাপ হচ্ছে Exhaustion আর পরের ধাপ হল Fixation. প্রথম ধাপের জন্য কাজ করে স্লট আর পরের ধাপের জন্য সোডা।  কিভাবে কাজ করে তার মেকানিজম আজ আমরা দেখবো।
প্রথমে আসি সল্টের কথায়। কটনকে যখন পানিতে ভেজানো হয় তখন এর -OH গ্রুপের জন্য এর চারপাশে নেগেটিভ আয়ন সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় zeta potential । রিএক্টিভ ডাইজও নেগেটিভ তাই এটা ফাইবারকে বিকর্ষণ করে।



এখন এমন কিছু করা লাগবে যাতে ঐ চার্জটাকে কমিয়ে তাদের মধ্যে মিল মহব্বত করা যায়।এই কাজটা করে ইলেক্ট্রলাইট। এজন্য ডাই বাথে সল্ট দেয়া হয় যেন ফাইবারের  নেগেটিভ পার্টের উপর সল্টের পজিটিভ পার্ট বসে ফাইবারের বাইরে একটা  পজিটিভ আবরণ সৃষ্টি করে। তখন রিয়েক্টিভ ডাইজ ফাইবারের সাথে সহজেই রিয়েকশন করতে পারে।

এখন আসা যাক ২য় ধাপের কথায়। সোডার কাজ হল ফিক্সেশন করা। রিয়েক্টিভ ডাইজে মূলত তিন ধরনের রিয়েক্টিভ থাকে।

১. মনোক্লোরোট্রাইঅ্যাজিন

২. ভিনাইল সালফোনেট

৩.বাই ফাংশনাল গ্রুপ।

বিভিন্ন ডাইজের এই গ্রুপের উপর ভিত্তি করে সোডার কাজও ভিন্ন  হয়।
 যেমন - 

মনোক্লোরোট্রাইঅ্যজিনে ফাংশনাল গ্রুপ হল ক্লোরিন।ডাই বাথে যখন সোডা দেয়া হয়, তখন এটা ফাইবারের সাথে বিক্রিয়া করে প্রথমে সোডা সেলুলোজ তৈরি করে। পরে এই সোডা সেলুলোজ ডাইজের ফাংশনাল গ্রুপের বিক্রিয়া করে ফাইবারের সাথে পাকাপাকিভাবে যুক্ত হয়।

Cell-OH + NaOH----------Cell-O-Na

Cell-O-Na + Dye-Cl ---------- Cell-O-Dye +NaCl

এবার আসা যাক ভিনাইল সালফোনেটের কথায়। এরটা একটু আলাদা। ভিনাইল সালফোনেট প্রথমে ডাইজের সাথে বিক্রিয়া করে।  তারপর এটা যুক্ত হয় ফাইবারের সাথে।

Dye-SO2-CH=CH2 +NaOH---------> Dye-SO2-CH-CH-OSO3Na

Dye-SO2-CH-CH-OSO3Na +Cell-OH-----> Dye-SO2-CH-CH-O-Cell +NaHSO3

আরেটা কথা, রিয়েক্টিভ ডাইজের বিক্রিয়া প্রায় পুরাটাই নির্ভর করে সোডার উপর। সোডা দেয়ার পর ডাইজ ফাইবারের সাথে যুক্ত হয়। রিয়েক্টিভ ডাইয়িং এর আরেকটা সমস্যা হল হাইড্রোলাইসিস, অর্থাৎ পানির OH গ্রুপ্রের সাথে বিক্রিয়া। মূলত সোডা দেয়ার পর পরই এটা ফাইবার বা পানির সাথে বিক্রিয়া শুরু করে এর আগে না।তাই বাথে সোডা প্রথমে দেয়া হয় না।  কিছুক্ষণ পর পর ডোজিং করা হয়।








আর ডাই করার পর ডাই বাথে যে ডাইজ অবশিষ্ট থাকে তা হল হাইড্রোলাইজড ডাই। এদের পুনরায় ব্যবহার করা যায় না। 


লেখিকা : ফাতেমা শারমিন
৩৯ ব্যাচ বুটেক্স


রিঅ্যক্টিভ ডাইয়িংয়ের ক্ষত্রে সল্ট, সোডার প্রভাব | Salt Soda | Reactive Dyeing

রিঅ্যক্টিভ ডাইয়িংয়ের ক্ষত্রে সল্ট, সোডার প্রভাব:

রিঅ্যক্টিভ ডাইয়িংকে বলা হয় ২ ফেজ ডাইয়িং। কারণ দুইটা ধাপে এর ডাইয়িং হয়। প্রথম ধাপ হচ্ছে Exhaustion আর পরের ধাপ হল Fixation. প্রথম ধাপের জন্য কাজ করে স্লট আর পরের ধাপের জন্য সোডা।  কিভাবে কাজ করে তার মেকানিজম আজ আমরা দেখবো।
প্রথমে আসি সল্টের কথায়। কটনকে যখন পানিতে ভেজানো হয় তখন এর -OH গ্রুপের জন্য এর চারপাশে নেগেটিভ আয়ন সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় zeta potential । রিএক্টিভ ডাইজও নেগেটিভ তাই এটা ফাইবারকে বিকর্ষণ করে।



এখন এমন কিছু করা লাগবে যাতে ঐ চার্জটাকে কমিয়ে তাদের মধ্যে মিল মহব্বত করা যায়।এই কাজটা করে ইলেক্ট্রলাইট। এজন্য ডাই বাথে সল্ট দেয়া হয় যেন ফাইবারের  নেগেটিভ পার্টের উপর সল্টের পজিটিভ পার্ট বসে ফাইবারের বাইরে একটা  পজিটিভ আবরণ সৃষ্টি করে। তখন রিয়েক্টিভ ডাইজ ফাইবারের সাথে সহজেই রিয়েকশন করতে পারে।

এখন আসা যাক ২য় ধাপের কথায়। সোডার কাজ হল ফিক্সেশন করা। রিয়েক্টিভ ডাইজে মূলত তিন ধরনের রিয়েক্টিভ থাকে।

১. মনোক্লোরোট্রাইঅ্যাজিন

২. ভিনাইল সালফোনেট

৩.বাই ফাংশনাল গ্রুপ।

বিভিন্ন ডাইজের এই গ্রুপের উপর ভিত্তি করে সোডার কাজও ভিন্ন  হয়।
 যেমন - 

মনোক্লোরোট্রাইঅ্যজিনে ফাংশনাল গ্রুপ হল ক্লোরিন।ডাই বাথে যখন সোডা দেয়া হয়, তখন এটা ফাইবারের সাথে বিক্রিয়া করে প্রথমে সোডা সেলুলোজ তৈরি করে। পরে এই সোডা সেলুলোজ ডাইজের ফাংশনাল গ্রুপের বিক্রিয়া করে ফাইবারের সাথে পাকাপাকিভাবে যুক্ত হয়।

Cell-OH + NaOH----------Cell-O-Na

Cell-O-Na + Dye-Cl ---------- Cell-O-Dye +NaCl

এবার আসা যাক ভিনাইল সালফোনেটের কথায়। এরটা একটু আলাদা। ভিনাইল সালফোনেট প্রথমে ডাইজের সাথে বিক্রিয়া করে।  তারপর এটা যুক্ত হয় ফাইবারের সাথে।

Dye-SO2-CH=CH2 +NaOH---------> Dye-SO2-CH-CH-OSO3Na

Dye-SO2-CH-CH-OSO3Na +Cell-OH-----> Dye-SO2-CH-CH-O-Cell +NaHSO3

আরেটা কথা, রিয়েক্টিভ ডাইজের বিক্রিয়া প্রায় পুরাটাই নির্ভর করে সোডার উপর। সোডা দেয়ার পর ডাইজ ফাইবারের সাথে যুক্ত হয়। রিয়েক্টিভ ডাইয়িং এর আরেকটা সমস্যা হল হাইড্রোলাইসিস, অর্থাৎ পানির OH গ্রুপ্রের সাথে বিক্রিয়া। মূলত সোডা দেয়ার পর পরই এটা ফাইবার বা পানির সাথে বিক্রিয়া শুরু করে এর আগে না।তাই বাথে সোডা প্রথমে দেয়া হয় না।  কিছুক্ষণ পর পর ডোজিং করা হয়।








আর ডাই করার পর ডাই বাথে যে ডাইজ অবশিষ্ট থাকে তা হল হাইড্রোলাইজড ডাই। এদের পুনরায় ব্যবহার করা যায় না। 


লেখিকা : ফাতেমা শারমিন
৩৯ ব্যাচ বুটেক্স


কোন মন্তব্য নেই: