জিন্স - ইতিহাস ও জিন্সের কিছু বিস্ময়কর তথ্য - Textile Lab | Textile Learning Blog
জিন্স - ইতিহাস ও জিন্সের কিছু বিস্ময়কর তথ্যঃ

১৮০০ সালের শেষ দিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার হয় সোনার খনি। তখন গোল্ড মাইন এর লোভে ধীরে ধীরে লোকের আগমণ ঘটতে থাকে ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেইসময় সানফ্রান্সিসকোতে দোকান খুললেন বর্ন লিওয়ব স্ট্রস নামে এক জার্মান। জার্মানিতে তাদের পারিবারিক ডাই এবং কাপড়ের ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসারই শাখা সানফ্রান্সিসকোতে খুলেছিলেন লিওয়ব স্ট্রস। আমেরিকা আসার আগে লিওয়ব তার নামটা লিভাই করে নিয়েছিলেন। তার দোকানের নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন জার্মান দর্জি জেকব ডেভিস। হতদরিদ্র ডেভিসও জার্মানি থেকে আমেরিকায় পা রাখেন ভাগ্যের অন্বেষণে।
লিভাই-এর দোকানের নীল মোটা কাপড় দিয়ে জেকব সোনার খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য প্যান্ট বানাতেন। কিন্তু প্যান্ট বানানোর সময় জেকব লক্ষ করলেন শ্রমিকদের প্যান্টগুলো কোমরের কাছে পকেটের কাছটা ছিঁড়ে যাচ্ছে। তাই জেকব এমন একধরনের প্যান্টের নকশা তৈরি করলেন যাতে তা সহজে ছিঁড়বে না এবং পকেটের কাছে তামার ‘রিভেট’ পাত ছোট করে লাগানো থাকলে ওই জায়গাটা ফেঁসে যাবে না। ফলে এই প্যান্ট বহুদিন টিকবে এবং শ্রমিকদের পকেটের সাশ্রয়ও হবে।
জেকবের তৈরি প্যান্ট শ্রমিকদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তাও পায়। পাশাপাশি প্যান্টের রঙ গাঢ় নীল হওয়ায় সহজে তা ময়লা হতো না। এরপর জেকব আর লিভাই স্ট্রস মিলিতভাবে একটি সংস্থা খুললেন যার নাম দিলেন ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’।
১৮৭৩ সালের ২০ মে এই বিশেষ ধরনের জিনিস তৈরির পেটেন্ট পেল ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’। ১৮৮০ সালে নিজের আলাদা সংস্থা খুললেন লিভাই স্ট্রস। ১৮৯০ সালের মধ্যে তার সংস্থার তৈরি ‘জিনস’ আমেরিকায় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ১৯২০ সালের মধ্যে আমেরিকা ছেয়ে ফেলল লিভাইস-এর তৈরি করা ‘ডেনিম ওয়েস্ট’ জিন্স।

আরোও কিছু তথ্য -

০১. সর্বপ্রথম জিন্স এর ব্যাবহার শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডে। তবে এর নামকরণ হয় ইটালিতে । জিন্স শব্দটি এসেছে ফ্রেন্স শব্দ জিন ফুস্তিয়ান থেকে, জিন ফুস্তিয়ান ছিল তুলা থেকে তৈরি একটি টূয়াইল ফেব্রিক যার উৎপত্তিস্থল ইটালির, জেনয়া শহর।

০২.ফ্রান্সের নিমেস শহরের থেকে ডেনিম নামটা এসেছে। ‘ডি নিমেস’ মানে ‘অব নিমেসর ।

০৩. গবেষণায় দেখা গেছে স্কিন টাইট জিন্স পরছেন, হারাতে পারেন পুরুষত্ব।

০৪. কখনও কল্পনা করতে পেরেছেন এক ভরি সোনার যা দাম, এক সেন্ট হীরের যা দাম তার থেকেও বেশি দামী এক জোড়া সিক্রেট সার্কাস জিনস্-এর দাম ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার। এটিই পৃথিবীর সবথেকে দামি জিনস্। এছাড়া মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রু রিলিজিয়ন নামের এক সংস্থার এই জিন্স প্যান্টের দাম ৪৩,০০৪ টাকা।

০৫. জেনোয়া শহরের নাবিকদের পরনে এই জিস ফুস্তিয়ানের প্যান্ট থাকত। এভাবেই নামটি সংক্ষিপ্ত হয়ে বহুবচন জিন্স নামে অগ্রসর হয় ।

০৬. উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ শুধু নীল জিনস! শুধু কি ওখানে, আমাদের দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের জিন্সের প্যান্ট পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।ক্ষমতায় আসার ৬ দিনের মাথায় হোয়াইট হাউসে জিনস নিষিদ্ধ করে ছিলেন জর্জ ডব্লুউ বুশ।

০৭. একদম গোড়ার দিকে জিনস্-কে ওয়েস্ট ওভারঅল বলে ডাকা হোত। ‘রেবেলরা বড্ড বেশি জিনস্ পরে।’ তাই পাঁচের দশকে মার্কিনদেশে স্কুল,কলেজ আর থিয়েটারে নিষিদ্ধ হয়েছিল জিনস্।

০৮. জিন্সের প্যান্টে ছোট পকেট কেন থাকে? ১৮০০ শতকের কথা। রোদে পোড়া তামাটে চেহারার কাউবয়রা মাঠে কঠিন পরিশ্রম করেন। সে সময় ঘড়ি হাতে নয়, বরং পকেটে রাখার রীতি ছিল। কাউবয়দের পছন্দের জিন্সের সঙ্গে তাই যুক্ত হয় সামনে একটি ছোট পকেট, যাতে তারা সহজেই ঘড়িটি রাখতে পারত। বর্তমানে প্রয়োন নেই, তবু স্মৃতিটা আছে।

০৯. জানেন, জিন্সের প্যান্টে এই তিনটি বোতাম কেন থাকে?  শ্রমিকদের কারখানা বা অন্যত্র কাজ করার সময়ে প্যান্ট হামেশাই ছিঁড়ে যেত। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিঁড়ত পকেট বা পকেটের কাছে। অথচ এই পকেট ছিল শ্রমিকদের কাছে মহামূল্যবান বস্তু। ১৮৭৩ লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানির এক সাধারণ ক্রেতা, পেশায় দর্জি জেকব ডেভিস সেলাইয়ের উপরে পকেটের কোণ ঘেঁষে তিনটি তামার বোতাম সেঁটে দেন তিনি। স্রেফ তিনটি ছোট্ট বোতাম বড় সমস্যার চিরকালীন সমাধান এনে দেন। এর পেটেন্ট চেয়েছিলেন জেকব। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ না-থাকায় তিনি পেটেন্ট পাননি।

১০. কাচা হলে একটা নির্দিষ্ট ধাঁচে জিনস্-এর রঙ ওঠে। এই ইউনিক প্যাটার্ন এফবিআই অপরাধী সনাক্তকরণে কাজে লাগায়। জিনসের জন্য প্রাথমিকভাবে এই নীল রঙটাকে বেছে নেওয়ার কারণ ময়লা হলেও চট করে এই রঙে সেটা বোঝা যায় না।

১১. গড়ে প্রত্যেক অ্যামেরিকান সাতটি জিন্স প্যান্ট ব্যাবহার করেন ।

১২. জাপানে ইচ্ছা হলে ভেন্ডিং মেশিন থেকেও আপনি জিনস্ কিনতে পারেন।

১৩. ১৯৯০ সালে কয়েকটি ভালো জিন্সের ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হয় লিভাইসকে। তদুপরি 'চায়না মেইড বলে ধাক্কাও খেতে হয়। সামলে উঠতে লেগে যায় কয়েক বছর। এখন আবার অনেক দিন ধরেই জিন্সের সিংহাসন দখল করে আছে লিভাইস। কার্স্টেন স্টুয়ার্ট, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, এলেন ডিজেনারাসসহ হলিউডের অনেকেরই পছন্দ লিভাইস। সারা পৃথিবীতে লিভাইসের নিজস্ব পরিচালনায় আছে দুই হাজার ৮০০ দোকান। ২০১৩ সালে লিভাইসের আয় ছিল ২২৯ মিলিয়ন ডলার। আর লেভি স্ট্রসের সম্পদের পরিমাণ ৩.১৩ বিলিয়ন ডলার।

১৪. খোদ লিভাইসের সিইও চিপ বার্গ বলে বসেছেন যে জিন্স কাচার কোনও প্রয়োজন নেই! এবং তিনি নিজেই নাকি গত ১ বছর ধরে কাচেননি তার নিজের জিন্স। এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি তিনি প্রকাশ করেছেন একটি বিদেশি পত্রিকাকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে। সপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন। তার বক্তব্য, বেশি কাচলে নষ্ট হয়ে যায় জিন্‌স ফেব্রিক। বরং গোটা জিন্সটি না-কেচে কোথাও যদি খাবারের টুকরো বা অন্য নোংরা কিছু লেগে থাকে তবে শুধু সেই জায়গাটি পরিস্কার নিলেই হল। এমন অসাধারণ টিপ কতজন মানতে রাজি হবেন এবং কতজন তাদের প্রিয়জনদের মানতে দেবেন তা বলা মুশকিল। তবে চিপ বার্গ যে
 একনিষ্ঠ হয়ে জিন্সটি না কেচে ১ বছর ধরে পরে চলেছেন, তার জন্য তাকে খেতাব দেওয়া উচিত অবশ্যই।



জিন্স - ইতিহাস ও জিন্সের কিছু বিস্ময়কর তথ্য

জিন্স - ইতিহাস ও জিন্সের কিছু বিস্ময়কর তথ্যঃ

১৮০০ সালের শেষ দিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার হয় সোনার খনি। তখন গোল্ড মাইন এর লোভে ধীরে ধীরে লোকের আগমণ ঘটতে থাকে ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেইসময় সানফ্রান্সিসকোতে দোকান খুললেন বর্ন লিওয়ব স্ট্রস নামে এক জার্মান। জার্মানিতে তাদের পারিবারিক ডাই এবং কাপড়ের ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসারই শাখা সানফ্রান্সিসকোতে খুলেছিলেন লিওয়ব স্ট্রস। আমেরিকা আসার আগে লিওয়ব তার নামটা লিভাই করে নিয়েছিলেন। তার দোকানের নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন জার্মান দর্জি জেকব ডেভিস। হতদরিদ্র ডেভিসও জার্মানি থেকে আমেরিকায় পা রাখেন ভাগ্যের অন্বেষণে।
লিভাই-এর দোকানের নীল মোটা কাপড় দিয়ে জেকব সোনার খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য প্যান্ট বানাতেন। কিন্তু প্যান্ট বানানোর সময় জেকব লক্ষ করলেন শ্রমিকদের প্যান্টগুলো কোমরের কাছে পকেটের কাছটা ছিঁড়ে যাচ্ছে। তাই জেকব এমন একধরনের প্যান্টের নকশা তৈরি করলেন যাতে তা সহজে ছিঁড়বে না এবং পকেটের কাছে তামার ‘রিভেট’ পাত ছোট করে লাগানো থাকলে ওই জায়গাটা ফেঁসে যাবে না। ফলে এই প্যান্ট বহুদিন টিকবে এবং শ্রমিকদের পকেটের সাশ্রয়ও হবে।
জেকবের তৈরি প্যান্ট শ্রমিকদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তাও পায়। পাশাপাশি প্যান্টের রঙ গাঢ় নীল হওয়ায় সহজে তা ময়লা হতো না। এরপর জেকব আর লিভাই স্ট্রস মিলিতভাবে একটি সংস্থা খুললেন যার নাম দিলেন ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’।
১৮৭৩ সালের ২০ মে এই বিশেষ ধরনের জিনিস তৈরির পেটেন্ট পেল ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’। ১৮৮০ সালে নিজের আলাদা সংস্থা খুললেন লিভাই স্ট্রস। ১৮৯০ সালের মধ্যে তার সংস্থার তৈরি ‘জিনস’ আমেরিকায় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ১৯২০ সালের মধ্যে আমেরিকা ছেয়ে ফেলল লিভাইস-এর তৈরি করা ‘ডেনিম ওয়েস্ট’ জিন্স।

আরোও কিছু তথ্য -

০১. সর্বপ্রথম জিন্স এর ব্যাবহার শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডে। তবে এর নামকরণ হয় ইটালিতে । জিন্স শব্দটি এসেছে ফ্রেন্স শব্দ জিন ফুস্তিয়ান থেকে, জিন ফুস্তিয়ান ছিল তুলা থেকে তৈরি একটি টূয়াইল ফেব্রিক যার উৎপত্তিস্থল ইটালির, জেনয়া শহর।

০২.ফ্রান্সের নিমেস শহরের থেকে ডেনিম নামটা এসেছে। ‘ডি নিমেস’ মানে ‘অব নিমেসর ।

০৩. গবেষণায় দেখা গেছে স্কিন টাইট জিন্স পরছেন, হারাতে পারেন পুরুষত্ব।

০৪. কখনও কল্পনা করতে পেরেছেন এক ভরি সোনার যা দাম, এক সেন্ট হীরের যা দাম তার থেকেও বেশি দামী এক জোড়া সিক্রেট সার্কাস জিনস্-এর দাম ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার। এটিই পৃথিবীর সবথেকে দামি জিনস্। এছাড়া মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রু রিলিজিয়ন নামের এক সংস্থার এই জিন্স প্যান্টের দাম ৪৩,০০৪ টাকা।

০৫. জেনোয়া শহরের নাবিকদের পরনে এই জিস ফুস্তিয়ানের প্যান্ট থাকত। এভাবেই নামটি সংক্ষিপ্ত হয়ে বহুবচন জিন্স নামে অগ্রসর হয় ।

০৬. উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ শুধু নীল জিনস! শুধু কি ওখানে, আমাদের দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের জিন্সের প্যান্ট পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।ক্ষমতায় আসার ৬ দিনের মাথায় হোয়াইট হাউসে জিনস নিষিদ্ধ করে ছিলেন জর্জ ডব্লুউ বুশ।

০৭. একদম গোড়ার দিকে জিনস্-কে ওয়েস্ট ওভারঅল বলে ডাকা হোত। ‘রেবেলরা বড্ড বেশি জিনস্ পরে।’ তাই পাঁচের দশকে মার্কিনদেশে স্কুল,কলেজ আর থিয়েটারে নিষিদ্ধ হয়েছিল জিনস্।

০৮. জিন্সের প্যান্টে ছোট পকেট কেন থাকে? ১৮০০ শতকের কথা। রোদে পোড়া তামাটে চেহারার কাউবয়রা মাঠে কঠিন পরিশ্রম করেন। সে সময় ঘড়ি হাতে নয়, বরং পকেটে রাখার রীতি ছিল। কাউবয়দের পছন্দের জিন্সের সঙ্গে তাই যুক্ত হয় সামনে একটি ছোট পকেট, যাতে তারা সহজেই ঘড়িটি রাখতে পারত। বর্তমানে প্রয়োন নেই, তবু স্মৃতিটা আছে।

০৯. জানেন, জিন্সের প্যান্টে এই তিনটি বোতাম কেন থাকে?  শ্রমিকদের কারখানা বা অন্যত্র কাজ করার সময়ে প্যান্ট হামেশাই ছিঁড়ে যেত। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিঁড়ত পকেট বা পকেটের কাছে। অথচ এই পকেট ছিল শ্রমিকদের কাছে মহামূল্যবান বস্তু। ১৮৭৩ লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানির এক সাধারণ ক্রেতা, পেশায় দর্জি জেকব ডেভিস সেলাইয়ের উপরে পকেটের কোণ ঘেঁষে তিনটি তামার বোতাম সেঁটে দেন তিনি। স্রেফ তিনটি ছোট্ট বোতাম বড় সমস্যার চিরকালীন সমাধান এনে দেন। এর পেটেন্ট চেয়েছিলেন জেকব। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ না-থাকায় তিনি পেটেন্ট পাননি।

১০. কাচা হলে একটা নির্দিষ্ট ধাঁচে জিনস্-এর রঙ ওঠে। এই ইউনিক প্যাটার্ন এফবিআই অপরাধী সনাক্তকরণে কাজে লাগায়। জিনসের জন্য প্রাথমিকভাবে এই নীল রঙটাকে বেছে নেওয়ার কারণ ময়লা হলেও চট করে এই রঙে সেটা বোঝা যায় না।

১১. গড়ে প্রত্যেক অ্যামেরিকান সাতটি জিন্স প্যান্ট ব্যাবহার করেন ।

১২. জাপানে ইচ্ছা হলে ভেন্ডিং মেশিন থেকেও আপনি জিনস্ কিনতে পারেন।

১৩. ১৯৯০ সালে কয়েকটি ভালো জিন্সের ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হয় লিভাইসকে। তদুপরি 'চায়না মেইড বলে ধাক্কাও খেতে হয়। সামলে উঠতে লেগে যায় কয়েক বছর। এখন আবার অনেক দিন ধরেই জিন্সের সিংহাসন দখল করে আছে লিভাইস। কার্স্টেন স্টুয়ার্ট, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, এলেন ডিজেনারাসসহ হলিউডের অনেকেরই পছন্দ লিভাইস। সারা পৃথিবীতে লিভাইসের নিজস্ব পরিচালনায় আছে দুই হাজার ৮০০ দোকান। ২০১৩ সালে লিভাইসের আয় ছিল ২২৯ মিলিয়ন ডলার। আর লেভি স্ট্রসের সম্পদের পরিমাণ ৩.১৩ বিলিয়ন ডলার।

১৪. খোদ লিভাইসের সিইও চিপ বার্গ বলে বসেছেন যে জিন্স কাচার কোনও প্রয়োজন নেই! এবং তিনি নিজেই নাকি গত ১ বছর ধরে কাচেননি তার নিজের জিন্স। এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি তিনি প্রকাশ করেছেন একটি বিদেশি পত্রিকাকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে। সপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন। তার বক্তব্য, বেশি কাচলে নষ্ট হয়ে যায় জিন্‌স ফেব্রিক। বরং গোটা জিন্সটি না-কেচে কোথাও যদি খাবারের টুকরো বা অন্য নোংরা কিছু লেগে থাকে তবে শুধু সেই জায়গাটি পরিস্কার নিলেই হল। এমন অসাধারণ টিপ কতজন মানতে রাজি হবেন এবং কতজন তাদের প্রিয়জনদের মানতে দেবেন তা বলা মুশকিল। তবে চিপ বার্গ যে
 একনিষ্ঠ হয়ে জিন্সটি না কেচে ১ বছর ধরে পরে চলেছেন, তার জন্য তাকে খেতাব দেওয়া উচিত অবশ্যই।



কোন মন্তব্য নেই: