সমস্যা: বর্তমানে ফ্রেশারদের একটি কমন সমস্যা জব ছেড়ে দেয়া : স্যালারি ইস্যু
এর অনেক কারন এর মধ্যে একটি কারন হচ্ছে ২-৩ মাস বেতন না দেয়া।
আমাদের ৯৫% টেক্সটাইল মিল মালিক দের একটি স্বভাব আছে যে তারা সাধারনত ভয় বা চাপ ছাড়া স্বাভাবিক ভাবে টাকা দিতে চান না, ৯৫% কম্পলায়েন্স, নন কম্পলায়েন্স ফেক্টরীতে ইঞ্জিনিয়ার + স্টাফদের স্যালারি সাধারনত ৫০-৫৫ দিন পর পর বা ২-৩ মাস পর পর স্যালারি দিয়ে থাকেন, এটি শুধু স্টাফ ইঞ্জিনিয়ার দের ক্ষত্রে হয়ে থাকে কিন্তু শ্রমিক অসোন্তোস বা বায়ার এর রোশানল থেকে বাচার জন্য সময় মতো শ্রমিকদের স্যালারি দিয়ে দেয়া হয়।
মুল অসুবিধা মুলত স্টাফ দের ক্ষত্রে হয়, আর স্টাফ রা মুলত চাকুরী, বা সম্মান, পরিমাণ এর কারনে আন্দোলন করে না বিধায় মালিক সময় এই বিষয় কে পুঁজি করে স্যালারি নিয়ে কৃতিম সমস্যা তৈরি করে ।
এখন এটি আমাদের গার্মেন্টস টেক্সটাইল এর জাতীয় সমস্যায় পরিনত হয়েছে অনেক ১-১০ থাকা ফেক্টরির স্টাফ স্যালারি নিয়ে এই সমস্যা আছে, নম করা অনেক ফেক্টরি আছে যাদের ৩-৪ মাসের স্টাফ স্যালারি আটাকা আছে । যা যারা জব করছেন তারা ইতোমধ্যে এই সমস্যায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন কিন্তু ফ্রেশার রা এই বিষয় গুলি হয়তো জানেন না তাই তারা এর বিরুপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন নি ।
তাই ফ্রেশারদের উদ্যেশে বলছি এটি কমন জাতীয় সমস্যা যেখানে ৯৫% ফেক্টরির এই সমস্যা সেখানে চাইলে রাতারাতি এই কালচার পরিবর্তন করা সম্ভব নয় এটি আমাদের কালচারে পরিনত হয়েছে । বরং এটি অগ্রিম জানা থাকলে এই ভাবে মানূষিক প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব ।
এর জন্য জব ছেড়ে বেকার হয়ে যাওয়া যথেষ্ট বোকামির কাজ, কারন প্রায় সব ফেক্টরির অবস্থা এক । বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার স্টাফ দের চাকুরী নেয়ার আগে চেক করে আর তাদের এক্সপেকটেশন থাকে টাইমলি স্যালারি দেয় কিনা।
কাদের সমস্যা হয় :
১. লোকাল ফেক্টরি
২. নন কম্পলায়েন্স ফেক্টরি
৩. লোকাল বাইং হাউস
৪. ঢাকার বাইরের ফেক্টরি গুলি
কারা টাইমলি দেয় :
১. EPZ এর ফেক্টরি।
২. ফরেইন মালিকানাধীন ফেক্টরি।
৩. ঢাকা বা শহরের ভেতরের ফেক্টরি।
কাদের কারনে সমস্যা হয় :
ফেক্টরির GM, AGM, ED যারা প্রডাকশন ডিল করে এদের মধ্যে অনেকেই আছেন টাকা, ছুটি বাচিয়ে মালিক কে প্রফিট এর জুজু দেখায় কিংবা মালিক এর সাথে তারা রেপুটেশন জব এর ভয়ে সময় মতো টাকার বিষয় গুলি তোলেন না, এই ম্যানেজমেন্ট এ অদক্ষ লোক থাকলে এই সমস্যা গুলি হয়।
কি ভাবে যাছাই করবেন টাইমলি স্যালারি দেয় কিনাঃ
একটি অর্গানাইজেশনে যারা কাজ করেন তারা নিজ আত্ন সম্মান রক্ষার্তে বা নিজ অর্গানাইজেশন এর প্রতি লয়ালিটি থেকে কেও স্যালারি বা টাইমলাইন কেও শেয়ার করেন না। কিন্তু আপনি সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য প্রতিটা ফেক্টরির আশে পাশের বাড়িওয়ালা, চায়ের দোকানে জিজ্ঞেস করতে পারেন তারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিবে কারন তাদের জিবিকা ফেক্টরির সাথে ওতোপ্রত ভাবে জড়িত ।
হাস্যকর মনে হলেও এটি ধ্রুব সত্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন