টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার ফ্রাস্টেশন : জবের ফিউচার - Textile Lab | Textile Learning Blog

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার ফ্রাস্টেশন : জব ফিউচার

টেক্সটাইল জব কারি কিছু ভাইরা নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আর সেক্টর এর ভবিষ্যৎ নিতে যতোটা চিন্তিত আমার মনে হয় ফেক্টরির মালিক গন এতোটা চিন্তিত না।  এই কারনে অনেকে টাই উদ্বিগ্ন হয়ে তারা তাদের জব গুলি ছেড়ে দিচ্ছে।

এখানে মুল ইস্যু ক্যারিয়ার ফ্রাস্টেশন !

ফ্রেশার দের আমারা কিছু প্রশ্নের প্রায় সম্মুখীন হই যেমন :

১. সেক্টরের ফিউচার কেমন।
২. সারভাইব করার যাবে কিনা।
৩. জব এভেইলেবল কিনা।
৪. সেলারি কেমন।
৫. প্রতিযোগীতা কেমন।
৬. টপে যেতে কেমন সময় লাগবে।

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে সবচেয়ে পপুলার কিছু জব সেক্টর হলোঃ

১. মার্চেন্ডাজিং।
২. মার্কেটিং।
৩.IE
৪. ডাইং।
৫. নীটিং।
৬. গার্মেন্টস ওয়াসিং।
৭. ডেনিম।
৮. R&D
৯. বাইং হাউস।

বাংলাদেশী টেক্সটাইল ফ্রেশার দের কাছে নন পপুলার কিছু জব সেক্টরঃ

১. ওভেন ডাইং।
২. উইভিং।
৩. টেরি টওয়াল।
৪. লিঞ্জারি।
৫. ওয়ার্প নীটিং।
৬. কোয়ালিটি।
৭. GPQ , RQS.
৮. টেক্সটাইল ফেকাল্টি।
৯.স্পিনিং
১০. ক্যাড

বর্তমানে টেক্সটাইল জব মার্কেটিং MSc, BSc, Diploma মিলিয়ে ফ্রেশার এবং এক্সপার্ট মোটামুটি ৪-৫ লক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন এবং জব লেস রয়েছেন  অনেক ইঞ্জিনিয়ার । এবং আমাদের দেশের BGMEA, BTMEA, BTMC এর তালিকা ভুক্ত টেক্সটাইল ফেক্টরির পরিমান  ৬০০০-৭০০০ এদের মধ্যে বড় এবং মাঝারো ফেক্টরি আছে ।  একটি বড় ফেক্টরির প্রডাকশন ফ্লোরে আনুমানিক ৩ জন ইঞ্জিনিয়ার যথেচ্ছ ফ্লোর পরিচালনার জন্য একটি কম্পলায়েন্স ভুক্ত টেক্সটাইল ফেক্টরিতে ৩ শিফট করে চলে ওই হিসেবে আনুমানিক জেনারেল শিফট সহ  ১২-১৫ জন ইঞ্জিনিয়ার একটি মিল পরিচালনার জন্য যথেষ্ট।  ২ শিফট হলে আরো কম  প্রায় অর্ধেক  ওই হিসেব অনুযায়ী ৭০০০ মিল এর জন্য পিউর টেক্সটাইল জন এর জন্য ৭০০০X১২ =৮৪০০০ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার লাগে । 

এখন ধরে নিলাম  নন পিউর টেক্সটাইল জব ( প্রডাকশন সংশ্লিষ্ট না )  যেমন মার্চেন্ডাইজার, মার্কেটিং, IE এই সাব্জেক্টের জন্য আরো ১-১.৫ লক্ষ লোক ধরে নিলাম ।  তার পরো এখনো ৫০০০০ এর মতো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এর জন্য ইঞ্জিনিয়ার সুলভ কোন জব থাকে না,  এমতো অবস্থায় কেও যদি তার রানিং জব ছেড়ে প্রতীযোগী দের ভিড়ে আরো ভিড় বাড়ায় তবে মনে হয় বিষয় টি যুক্তি যুক্ত মনে হবে না।

আমাদের জব ক্রাইসিসে এখন নতুন নতুন ক্ষাত বের করে সেখানে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের এনরোল করতে হবে যাতে করে আমাদের টেক্সটাইল জব এর উপর চাপ বেড়ে না যায়।

পপুলার টেক্সটাইল জব গুলির সুবিধা অসুবিধাঃ

১. এখানে কেও একবার চান্স পেলে সহজে ট্রেক চেঞ্জ করে করে না।

২. চাহিদা প্রতীযোগীতা অনেক, অনেক এপ্লিকেন্ট থাকে।

৩. সুযোগ গুলি মালিক পক্ষ নেয়, এপ্লিকেন্ট রা অনেকটাই জিম্মি ।

৪. ফ্যাসিলিটি রেগুলার, সেলারি রেগুলার।

৫. গ্রুপিং সহ নানা নানা সমস্যায় জর্জরিত।

৬. কাজের চাপ অনেক ভুলের ক্ষমা নাই।

নন পপুলার টেক্সটাইল ট্রেক গুলির সুবিধা অসুবিধা :

১. প্রতিযোগিতা কম, যোগ্য লোক খুজে পাওয়া যায় না।

২. আস্তে আস্তে ফেক্টরি গুলি ডেভলপ হচ্ছে।

৩. কাজ জানা লোক দের কাছে মালিক পক্ষ  জিম্মি।

৪. চাহিদা মোতাবেক লোক খুজে না পাওয়ায় মালিক পক্ষ নানান ফ্যাসিলিটি দিয়ে লোক ধরে রাখে, সহজে তাড়িয়ে দেয় না।

৫. যোগ্যাতার সঠিক মুল্যায়ন হয় সময় হলে সঠিক মুল্যায়ন হয়।

৬. ফেক্টরি কম তাই চাহিদা ব্যাপক থাকে, সবাই কম বেশি খোজ খবর রাখে।

ফিউচার এর চিন্তা করে ট্রেক ছেড়ে দিলে হবে না অন্য কেও ঠিক ওই পজিশন গুলি নিয়ে বসে যাবে,  সেক্টরের ফিউচার চিন্তা না করে কাজের ফ্লেক্সিবিলিটি, কমফোর্ট চিন্তা করে জবে লেগে থাকতে হবে।  এমন ট্রেকে থাকতে হবে যাতে ইউনিক এবং ভ্যালু এডেড  হতে হবে এবং যার ভেতরে ইঞ্জিনিয়ারিং থাকে। সবাই এক ট্রেক খুজলে যোগ্য লোকের আর প্রতিযোগীর ভিড়ে হারিয়ে যেতে হবে মেধার মুল্যায়ন কম হবে।

সাকসেসফুল লোক সবখানে আছে GM, AGM,DGM,PM যেমন ডাইং এর ও আছে তমনে GM, AGM,DGM,PM  লিঞ্জারি, টেরিটাওয়েল , ওভেন,ওয়ার্প নীটে আছে আর এদের নাম সবাই জানে।

সর্বশেষ
সেক্টরের দোষ দিয়ে জব ছাড়ার প্রয়োজন নেই বরং লেগে থেকে শেষ দেখে নেয়াই ভালো। ফিউচার নির্ভর করে আমাদের ভালো কাজের উপর আমাদের ক্যারিয়ার এবং সেক্টর আমাদের ভালো করতে হবে ।

মাজেদুল হাসান
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ব্লগার
mazadulhasan@yahoo.com




job

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার ফ্রাস্টেশন : জবের ফিউচার

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার ফ্রাস্টেশন : জব ফিউচার

টেক্সটাইল জব কারি কিছু ভাইরা নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আর সেক্টর এর ভবিষ্যৎ নিতে যতোটা চিন্তিত আমার মনে হয় ফেক্টরির মালিক গন এতোটা চিন্তিত না।  এই কারনে অনেকে টাই উদ্বিগ্ন হয়ে তারা তাদের জব গুলি ছেড়ে দিচ্ছে।

এখানে মুল ইস্যু ক্যারিয়ার ফ্রাস্টেশন !

ফ্রেশার দের আমারা কিছু প্রশ্নের প্রায় সম্মুখীন হই যেমন :

১. সেক্টরের ফিউচার কেমন।
২. সারভাইব করার যাবে কিনা।
৩. জব এভেইলেবল কিনা।
৪. সেলারি কেমন।
৫. প্রতিযোগীতা কেমন।
৬. টপে যেতে কেমন সময় লাগবে।

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে সবচেয়ে পপুলার কিছু জব সেক্টর হলোঃ

১. মার্চেন্ডাজিং।
২. মার্কেটিং।
৩.IE
৪. ডাইং।
৫. নীটিং।
৬. গার্মেন্টস ওয়াসিং।
৭. ডেনিম।
৮. R&D
৯. বাইং হাউস।

বাংলাদেশী টেক্সটাইল ফ্রেশার দের কাছে নন পপুলার কিছু জব সেক্টরঃ

১. ওভেন ডাইং।
২. উইভিং।
৩. টেরি টওয়াল।
৪. লিঞ্জারি।
৫. ওয়ার্প নীটিং।
৬. কোয়ালিটি।
৭. GPQ , RQS.
৮. টেক্সটাইল ফেকাল্টি।
৯.স্পিনিং
১০. ক্যাড

বর্তমানে টেক্সটাইল জব মার্কেটিং MSc, BSc, Diploma মিলিয়ে ফ্রেশার এবং এক্সপার্ট মোটামুটি ৪-৫ লক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন এবং জব লেস রয়েছেন  অনেক ইঞ্জিনিয়ার । এবং আমাদের দেশের BGMEA, BTMEA, BTMC এর তালিকা ভুক্ত টেক্সটাইল ফেক্টরির পরিমান  ৬০০০-৭০০০ এদের মধ্যে বড় এবং মাঝারো ফেক্টরি আছে ।  একটি বড় ফেক্টরির প্রডাকশন ফ্লোরে আনুমানিক ৩ জন ইঞ্জিনিয়ার যথেচ্ছ ফ্লোর পরিচালনার জন্য একটি কম্পলায়েন্স ভুক্ত টেক্সটাইল ফেক্টরিতে ৩ শিফট করে চলে ওই হিসেবে আনুমানিক জেনারেল শিফট সহ  ১২-১৫ জন ইঞ্জিনিয়ার একটি মিল পরিচালনার জন্য যথেষ্ট।  ২ শিফট হলে আরো কম  প্রায় অর্ধেক  ওই হিসেব অনুযায়ী ৭০০০ মিল এর জন্য পিউর টেক্সটাইল জন এর জন্য ৭০০০X১২ =৮৪০০০ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার লাগে । 

এখন ধরে নিলাম  নন পিউর টেক্সটাইল জব ( প্রডাকশন সংশ্লিষ্ট না )  যেমন মার্চেন্ডাইজার, মার্কেটিং, IE এই সাব্জেক্টের জন্য আরো ১-১.৫ লক্ষ লোক ধরে নিলাম ।  তার পরো এখনো ৫০০০০ এর মতো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এর জন্য ইঞ্জিনিয়ার সুলভ কোন জব থাকে না,  এমতো অবস্থায় কেও যদি তার রানিং জব ছেড়ে প্রতীযোগী দের ভিড়ে আরো ভিড় বাড়ায় তবে মনে হয় বিষয় টি যুক্তি যুক্ত মনে হবে না।

আমাদের জব ক্রাইসিসে এখন নতুন নতুন ক্ষাত বের করে সেখানে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের এনরোল করতে হবে যাতে করে আমাদের টেক্সটাইল জব এর উপর চাপ বেড়ে না যায়।

পপুলার টেক্সটাইল জব গুলির সুবিধা অসুবিধাঃ

১. এখানে কেও একবার চান্স পেলে সহজে ট্রেক চেঞ্জ করে করে না।

২. চাহিদা প্রতীযোগীতা অনেক, অনেক এপ্লিকেন্ট থাকে।

৩. সুযোগ গুলি মালিক পক্ষ নেয়, এপ্লিকেন্ট রা অনেকটাই জিম্মি ।

৪. ফ্যাসিলিটি রেগুলার, সেলারি রেগুলার।

৫. গ্রুপিং সহ নানা নানা সমস্যায় জর্জরিত।

৬. কাজের চাপ অনেক ভুলের ক্ষমা নাই।

নন পপুলার টেক্সটাইল ট্রেক গুলির সুবিধা অসুবিধা :

১. প্রতিযোগিতা কম, যোগ্য লোক খুজে পাওয়া যায় না।

২. আস্তে আস্তে ফেক্টরি গুলি ডেভলপ হচ্ছে।

৩. কাজ জানা লোক দের কাছে মালিক পক্ষ  জিম্মি।

৪. চাহিদা মোতাবেক লোক খুজে না পাওয়ায় মালিক পক্ষ নানান ফ্যাসিলিটি দিয়ে লোক ধরে রাখে, সহজে তাড়িয়ে দেয় না।

৫. যোগ্যাতার সঠিক মুল্যায়ন হয় সময় হলে সঠিক মুল্যায়ন হয়।

৬. ফেক্টরি কম তাই চাহিদা ব্যাপক থাকে, সবাই কম বেশি খোজ খবর রাখে।

ফিউচার এর চিন্তা করে ট্রেক ছেড়ে দিলে হবে না অন্য কেও ঠিক ওই পজিশন গুলি নিয়ে বসে যাবে,  সেক্টরের ফিউচার চিন্তা না করে কাজের ফ্লেক্সিবিলিটি, কমফোর্ট চিন্তা করে জবে লেগে থাকতে হবে।  এমন ট্রেকে থাকতে হবে যাতে ইউনিক এবং ভ্যালু এডেড  হতে হবে এবং যার ভেতরে ইঞ্জিনিয়ারিং থাকে। সবাই এক ট্রেক খুজলে যোগ্য লোকের আর প্রতিযোগীর ভিড়ে হারিয়ে যেতে হবে মেধার মুল্যায়ন কম হবে।

সাকসেসফুল লোক সবখানে আছে GM, AGM,DGM,PM যেমন ডাইং এর ও আছে তমনে GM, AGM,DGM,PM  লিঞ্জারি, টেরিটাওয়েল , ওভেন,ওয়ার্প নীটে আছে আর এদের নাম সবাই জানে।

সর্বশেষ
সেক্টরের দোষ দিয়ে জব ছাড়ার প্রয়োজন নেই বরং লেগে থেকে শেষ দেখে নেয়াই ভালো। ফিউচার নির্ভর করে আমাদের ভালো কাজের উপর আমাদের ক্যারিয়ার এবং সেক্টর আমাদের ভালো করতে হবে ।

মাজেদুল হাসান
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ব্লগার
mazadulhasan@yahoo.com




কোন মন্তব্য নেই: