ডাইং এর সেড ওকে করার কিছু প্রচলিত বুদ্ধি :
ডাইং কাজে ক্ষত্রে একটি প্রচলিত কথা আছে যে "ডাইং রং পানির খেলা, কোন দিকে যে তা জাবে তা বুঝা মুশকিল "
" চাঁদের দেশে ডাইং করলেও ব্যাচ টু ব্যাচ সেড ভেরিয়েশন হবেই "
সমস্যা থাকবেই তা সাধারনত রি ডাইং করে মেলানো হয়, কিন্তু রিডাইং অনেক সময় সাপেক্ষ আর কস্টলি। তাই ফেক্টরিতে কিছু শর্ট কাট উপায় আছে সেড মিলানোর জন্য।
আসুন জেনে কিছু সেড ওকে করার উপায় এবং বেসিক :
১. নীট ফেব্রিক কে ডিস্পার্স ডাই দিয়ে স্টেনটারে টপিং করে সেড কিছু টা ওকে করা যায়। এতে হাল্কা টোন আসে, কালার কে ডিপ করা যায় না। আর ডিস্পার্স ডাইজ এর একটি সুবিধা আছে যে এটি কটন কাপড় এ ফিক্স হয় না আর কালার আন ইভেন হয় না। বেশি সমস্যা হলে ওয়াস করলে কালার উঠে যায়। এই বুদ্ধি ওই সকল সেড এর ক্ষতে প্রযোজ্য যা গার্মেন্টস ওয়াস হবে না বা বায়ার হাল্কা রেডিশ, ইয়োলিশ, ব্লুইশ চেয়েছে তাদের ক্ষত্রে। এটি দেয়া হয় স্টেননটার এর সফেনার এর সাথে।
২. ধরুন নীট কাপড় এর সেড ওকে ইয়োলো কম আছে কি করা যায় এই অবস্থায়। আপনাকে অবশ্যাই বেশি হিটে কাপড় ফিনিশিং করতে হবে। হিট দিলে কাপড় ইয়োলো এমনি বেড়ে যায়।
৩. কাপড় রেডিশ করতে হবে !!
কম্পেক্টর বা ড্রায়ার এর ভেতরে কাপড় কে স্টিম দিয়ে ফিনিশিং করুন দেখবেন সেড রেডার হয়ে গেছে।
কম্পেক্টর বা ড্রায়ার এর ভেতরে কাপড় কে স্টিম দিয়ে ফিনিশিং করুন দেখবেন সেড রেডার হয়ে গেছে।
৪. ট্রাম্বেল করলে সেড ইয়োলিশ আর ডার্কার হয়। প্রায় ১০% ডিপ হয় ট্রাম্বেল এর পর।
৫. নীট কাপড় এর সেড ডিপ করার জন্য কালার ডিপেনিং এজেন্ট ব্যাবহার করে ১০-১৫% ডিপ করা যায়, এট করতে হয় স্টেনটারে।
৬. নীট কাপড় ইয়োলো সফেনার আর ব্লু সফেনারে ফিনিশ করে কাপড় এর ভেতরে ইয়োলো ব্লু আপ করা যায়।
৭. ডাইং শেষে মেশিন এর ভেতরে ওয়াস করার পর নীট কাপড় যদি লাইট হয়ে যায় তবে তার ভেতরে কালার এডিশন দিতে হয় মাঝে মাঝে ডাইজ সফেনারে গুলিয়ে এই এডিশন দেয়া হয়। তবে রিয়েক্টিভ ডাইজ বেশি পরিমান হলে এডিশন দেয়া যাবে না দিলে স্পট পড়তে পারে।
৮. কম্পেক্টর মেশিন এর ভেতরে ব্লাংকেট এর প্রেশার বাড়িয়ে স্টিম ফুল করে দিলে সেড লাইট হয়ে যায়।
৯. ওভেন কাপড় এর ক্ষত্রে কাপড় এর ভেতরে ইয়োলো আছে তা কমাতে স্টেনটারে ব্রাইটেনার দিয়ে কাপড় ফিনিশিং করলে কাপড় এর ভেতরে ইয়োলো কমে যায়।
১০. কাপড় এর ভেতরে রেড আপ থাকলে ১০ গ্রাম পার লিটার হারে ইউরিয়া দিয়ে ফিনিশিং করলে কাপড় এর রেডিশনেস কমে যাবে। এটি করতে হবে স্টেনটারে।
১১. ওভেন কাপড় এর রেড ঢাকার জন্য টার্কিস কালার দিয়ে একে টপিং করতে হবে। টার্কিশ আর লেমন ইয়োলো দিয়ে টপিং করলে কাপড় এর রেডিশ ভাব কমে যাবে। এটি পিগমেন্ট টপিং করতে হবে স্টেনটারে।
১২. কাপড় কস্টিক দিয়ে ওয়াস করলে রেডিশ হয় সোডা দিয়ে ওয়াস করলে কাপড় ইয়োলিশ হয়।
১৩. ওভেন কাপড় ডাইং ওয়াস এর পর কাপড় এর সেড যদি লাইট হয়ে যায় তখন কম সময়ের এর ভেতরে সেড ঠিক করার উপয় হলো একে স্টেনটারে পিগমেন্ট কালার দিয়ে টপিং করে দেয়া। এতে সেড এর কোন সমস্যা হয় না। তবে গার্মেন্টস ওয়াস থাকলে পিগমেন্ট দিয়ে টপিং করা যাবে না। গার্মেন্টস ওয়াস এ এসিড দেয়া হয় যা দিলে পিগমেন্ট এর আবরণ উঠে যাবে আর সেড নস্ট হয়ে যাবে।
১৪. ওভেন কাপড় যদি ওয়াস এর পর ১৫-২০% লাইট হয়ে যায়, তা পিগমেন্ট এ কাভার করতে পারে না। কারন এতে প্রচুর পিগমেন্ট দরকার হয় বেশি পিগমেন্ট দিলে কাপড় এর ফেস বেক সমস্যা হয় মানে কাপড় এর ফেস আর বেক সাইড এর সেড মিলে না। এ ক্ষত্রে আমরা তাকে আবার রিডাইং করি।
১৫. অফ সেড ( যে সেডগুলির সাথে মাস্টার সেড বা টার্গেট সেড এর সাথে মিল নাই) গুলি কে ভালো করে হট ওয়াস করে পার্শিয়াল স্ট্রিপ করে তার উপরে কালার দিয়ে জিগারে সেড কারেকশন করি।
১৬. স্টেনটারে কাপড় ফিনিশিং এর সময় সফেনারে যদি ওয়েটিং এজেন্ট দেন দেখবেন কাপড় ব্লুইশ এর দিকে যাবে।
১৭. ওভেন ডাইং এর পর কন্টিনিউয়াস ওয়াস মিশিনে মেশিন এর রানিং স্পিড কমিয়ে বাড়িয়ে সেড কিছুটা ভালো কারা যায়
যেমন : মেশিন স্পিড বেশি হলে কাপড় দ্রুত যাবে সেড ডার্ক হবে, আর কাপড় যদি আস্তে ওয়াস করলে কাপড় লাইট হয়ে যাবে, এখন প্রয়োজনে বাড়িয়ে কমিয়ে সেড ঠিক করা যায়।
১৮. কাপড় ডার্কার হয়ে গেলে কস্টিক দিয়ে রি ওয়াস করুন কাপড় লাইট হবে রেডিশ হবে। আর সোডা দিয়ে ওয়াস করলে লাইট আর ইয়োলিশ হবে, সেড এর প্রয়োজনীয়তা বুঝে ক্যামিকেল ঠিক করতে হবে।
১৯. হোয়াইট কাপড় এর হোয়াইটনেস ব্রাইটনেস বাড়ানোর জন্য স্টেনটারে Blue R Spl ডাই দিয়ে রিয়েক্টিভ টপিং করলে সেড এর ব্রাইটনেস বাড়বে ইয়োলো ডাউন হবে ব্লুইশ হবে টোন। রেসিপি ১০০ লিটারে অনুমানিক ১ গ্রাম করে ফিনিশিং করতে হবে।
২০. কম্পেক্টর এর সেড এর টোন চেইঞ্জ করার নিয়ম :
১. সেড রেডিশ করতে টেম্পারেচার বাড়াতে হবে স্টিম কমাতে হবে।
২. সেড ইয়োলিশ করতে টেম্পারেচার বাড়াতে হবে রবং বিনা স্টিমে কাপড় চালাতে হবে ।
৩. সেড ব্লুয়িশ করতে টেম্পারেচার কমাতে হবে স্টিম বাড়াতে হবে।
২১. হোয়াইট কাপড় এর ব্রাইটনেস বাড়াতে নন আয়নিক সফেনার বা হোয়াইট সফেনার ব্যাবহার করুন।
২২. সেডে ইয়োলো কমাতে এবং সফট করতে হোয়াইট সফেনার ব্যাবহার করতে পারেন।
২৩. হোয়াইট কাপড় এর হওয়াইনেস বাড়াতে ব্রিলয়েন্ট ব্লু R Spl বা রয়েল ব্লু দিয়ে টপিং করতে পারেন, ১০০ লিটারে ১ গ্রাম রিয়েক্টিভ ডাই ব্যাবহার করতে হবে।
লেখক : মাজেদুল হাসান শিশির
ডাইং ইঞ্জিনিয়ার
৪টি মন্তব্য:
useful topic.
Good concept
nice try brother . keep it up and keep writing .... this is so much useful for textile enginering student
Keep writing Please And post more about knitting and finishing.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন