ফেব্রিক কেয়ার গাইডলাইন যা আপনাদের জানা উচিৎ | ওয়াসিং - ক্লিনিং- ড্রাইং - আয়রনিং - Textile Lab | Textile Learning Blog
ফেব্রিক কেয়ার গাইডলাইন যা আপনাদের জানা উচিৎ | ওয়াসিং - ক্লিনিং- ড্রাইং - আয়রনিং 
জামাকাপড় ইস্ত্রি না করে কি পরা যায়! ইস্ত্রি না করলে জামাকাপড়ের সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে কি সব সময় জামাকাপড় ইস্ত্রি করানোর জন্য দোকানে বা লন্ড্রিতে পাঠাবেন ? 

বাড়িতে ইস্ত্রি করতে অবশ্য অনেকেই ভয় পান। পাছে জামাকাপড় পুড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়— সেই কারণে। জেনে নিন কোন ধরনের কাপড় কত তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হয় আর প্রয়োজন মতো বাড়িতেই জামাকাপড় আয়রন করে নিন.

১) সুতির কাপড়: ইস্ত্রি না করলে সুতির জামাকাপড় পরাই যায় না। সুন্দর ভাবে ইস্ত্রি করতে চাইলে তাপমাত্রা রাখুন ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তার পর সমান ভাবে ইস্ত্রি করে নিন।

২) পলিয়েস্টার কাপড়: ইস্ত্রির তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক। তাই খেয়াল রাখুন।

৩) সিল্ক: সিল্কের জামাকাপড় মানেই সেটি খুব হালকা, সূক্ষ এবং কোমল। তাই ইস্ত্রিও করতে হবে খুব যত্নে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। খেয়াল রাখবেন, সিল্কের জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময় তাপমাত্রা যেন কোনও ভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৪) লিনেনের কাপড়: এই ধরনের ফেব্রিক সবচেয়ে বেশি কুঁচকে যায়। তাই ৪৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হবে লিনেনের জামাকাপড়।

৫) সিফন জর্জেট: এই ফেব্রিক খুবই মিহি হয়। ইস্ত্রি না করলেও চলে। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৬) লাইক্রা: এই ধরনের ফেব্রিক ইস্ত্রি না করাই ভাল। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা যেন কোনও ভাবে ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৭) রেয়ন: সুতি বা লিনেনের থেকেও কিছুটা পাতলা হয় এই ফেব্রিক। এবং অল্পতেই কুঁচকে যায় এর তৈরি জামাকাপড়। এই ফেব্রিকে তৈরি জামাকাপড় ইস্ত্রি করার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখুন।

৮) উল: উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা ঠিকঠাক না থাকলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা যেন কোনও ভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।


✅  শখের কাপড়ের রং হয়ে যায় নষ্ট? উপায়গুলো জেনে নিলে, আর হবে না কষ্ট।

কে না চায় প্রিয় কাপড়টা উজ্জ্বল থাকুক বহুবছর ধরে? সবাই চাই। আর তাইতো নিতে হবে এর যত্ন। কিন্তু কীভাবে?

ক্লোথিং কেয়ারঃ
প্রায় সময় দেখা যায় আমাদের অনেক পছন্দের কাপড়গুলোর রঙ কেমন যেন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। এই সমস্যার সমাধান কি হতে পারে? চলুন জেনে নেই।

যা যা মেনে চলতে হবেঃ

১. পরতে হবে প্রায়ইঃ

অনেকেই প্রিয় কাপড়ের রং নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে তুলে রেখে দেন। তবে এতে কাপড়ের রং হারানোর সম্ভাবনা আরো বেশি থাকে। নিয়মিত ব্যবহার করলে এবং ধুয়ে রাখলে তা দীর্ঘদিন উজ্জ্বল থাকে। তবে কাপড় অপ্রয়োজনে পরিষ্কার করা একদমই উচিত নয়।

২. ধোয়ার সময়ঃ

শখের কাপড়টির রং ঠিক রাখতে, তা ধোয়ার সময় বাইরের দিক ভিতরে রেখে ধুতে হবে। এতে করে কাপড়ের রং দীর্ঘদিন উজ্জ্বল থাকে। আর কাপড় শুকাতে দেওয়ার সময়ও উলটে দিতে হবে। নতুন সুতি কাপড় ধোয়ার সময় অল্প লবণ পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। কাপড়ে ভিনেগার ব্যবহার করলে, কাপড় কম অনুজ্জ্বল হয়। বেকিং সোডাও কাপড়ের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে থাকে। কাপড় ধোয়ার সময় অবশ্যই কাপড়ের লেবেলে থাকা ধোয়ার নির্দেশনা পড়ে নিতে হবে।

৩. ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় পরিষ্কারঃ

অতিরিক্ত গরম পানিতে কাপড়ের রঙের স্থায়িত্ব নষ্ট হতে পারে। তাই কাপড় নরমাল টেম্পারেচারের পানিতে ধোয়া ভালো। কাপড় ধোয়ার পরে পরিমাণমতো নীলের ব্যবহার কাপড়ের রং টিকে থাকতে সাহায্য করে। তবে তা ব্যবহার করতে হবে একদম কাপড় ধোয়ার শেষ পর্যায়ে।

৪. কাপড় শুকানোঃ

কাপড় বেশি ড্রাই করলে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাপড় বেশি মচমচে করতে গেলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। এতে করে কাপড়ের সুতার ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায়। কাপড় খুব চিপলেও রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৫. অন্য কাপড়ের সঙ্গে না ধোয়াঃ

বিভিন্ন রঙের কাপড় একসাথে ধুবেন না। কারণ, কাপড়ের রং উঠে অন্য কাপড়ে লাগতে পারে। সাদা কাপড় কখনোই রঙিন কাপড়ের সাথে ধুতে নেই।

এই পদ্ধতিগুলো মেনে চললেই কাপড়ের রং দীর্ঘদিন উজ্জ্বল রাখা সম্ভব।

কাপড়ে দাগ লেগে গেলে তা ভীষণ বিশ্রী দেখায়। কীভাবে দাগ তোলা যাবে, দাগ ঠিক মতো যাবে তো?

কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে কিনা… তাই নিয়ে গৃহিনীর দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। আজকে সঠিক ভাবে কাপড়ের দাগ তোলার জন্য কয়েকটি সহজ ও কার্যকরী টিপস দেয়া হলো –

(১) আমরা চাই বা না চাই, চা-কফির দাগ কাপড়ে পড়বেই। তুলোয় ভিনেগার কিংবা খাবার সোডা নিয়ে একটু ঘষুন, দাগ উঠে যাবে।

(২) কাপড়ে তরকারির হলুদ দাগ লাগলে দাগের জায়গায় ভিনেগার লাগিয়ে রেখে দিন দশ মিনিট। তারপর সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।

(৩) কাপড়ে মোম লেগে গেলে প্রথমে চামচ বা ভোঁতা ছুরি দিয়ে সাবধানে চেঁছে ফেলুন। তারপর দাগের ওপরে ও নিচে ব্রাউন পেপার রেখে গরম ইস্ত্রি ঘষে নিন। দাগ উঠে যাবে।

(৪) শাড়ি বা জামায় অনেক সময় তেল লেগে বিশ্রী দেখায়। ভালো ভাবে পরিচ্ছন্ন না করে তুলে রাখলে তা পোকায় কাটার সম্ভাবনা থাকে। তাই তেল তুলতে প্রথমেই তেলের জায়গায় পুরু করে ট্যালকম পাউডার লাগান। দশ মিনিট পর ঝেড়ে ফেলুন। এভাবে আরও একবার করুন। এবার নরম কাপড় পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে তাতে সাবান বা ডিটারজেন্ট লাগিয়ে হালকা ভাবে সেই জায়গায় ঘষুন। পরে সাবধানে পরিষ্কার ভেজা কাপড় বা পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে ফেলুন। পানি ঝরিয়ে, অল্প সময় রোদে রেখে পরে আয়রন করে নিন।

(৫) কাপড়ে লিপস্টিকের দাগ লাগলে জায়গাটা স্পিরিটে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে দাগ গায়েব হয়ে যাবে।

(৬) জামায় বা শার্টে বল পেনের কালি লাগলে প্রথমে স্পিরিট দিয়ে ও পরে পেট্রল দিয়ে হালকা ভাবে স্পঞ্জ করলে দাগ চলে যাবে।

(৭) সুতি বা সিল্কের কাপড়ে কালির দাগ লাগলে সামান্য ডিটারজেন্ট, ভিনেগার ও গরম পানির মিশ্রণ তৈরি করে দাগ লাগা অংশটি কয়েক ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ঈষদুষ্ণ পানি আর সাবান দিয়ে ধুলে দাগ চলে যাবে।

(৮) অনেক সময় কাপড়ে মরিচার দাগ লেগে যায়। এক্ষেত্রে প্রথমে লেবুর রস দিয়ে জায়গাটায় ঘষুন, দেখবেন দাগ অনেক খানি চলে গেছে। এবার সেখানে কিছুটা খাবার সোডা বা লবণ ছড়িয়ে রোদে মেলে দিন। কিছুক্ষণ পরে সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুলে দাগ চলে যাবে।

(৯) কাপড় থেকে ভেজা কাদার দাগ দূর করতে সেদ্ধ আলুর খোসা ঘষুন। দেখবেন দাগ অদৃশ্য হয়ে গেছে।

(১০) আমাদের গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কাপড়ে ঘামের দাগ অনিবার্য। এই দাগ তুলতে পানির মধ্যে দু-তিনটা ব্যথানাশক ট্যাবলেট গুলে নিয়ে কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না।

(১১) কাপড়ে চিউইংগাম লেগে গেলে প্রথমেই কাপড় একটি পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। একটু পরে কাপড় বের করে সাবধানে ভোঁতা ছুরির ডগা দিয়ে চিউইংগাম তুলে ফেলুন। তারপর সেই জায়গাটির উপরে-নিচে ব্রাউন পেপার রেখে আয়রন করে নিন।

(১২) ছবি আকাঁর সময় বাচ্চাদের কাপড়ে রঙ এর দাগ লাগতেই পারে। একটি পুরোনো টুথব্রাশ ফিনাইলে ডুবিয়ে দাগ লাগা জায়গায় ঘষুন। দাগ মুহুর্তেই গায়েব হয়ে যাবে।

(১৩) হাতে মেহেদি লাগাবার সময় জামা কাপড়ে লেগে যেতে পারে। জায়গাটি গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন কিছু সময়। পরে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে দাগ উঠে যাবে।

(১৪) কাপড় থেকে আলকাতরার দাগ তুলতে দাগের জায়গায় খানিকটা কেরোসিন ঘষে ঘষে লাগান। পরে শুকিয়ে গেলে সাবান দিয়ে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। সময়ের সাথে কেরোসিনের গন্ধ চলে যাবে।

(১৫) শার্ট ধোয়ার সময় কলার ও কাফ পানিতে ভিজিয়ে তার উপরে কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু ছড়িয়ে নিন। তারপর ঘষে ধুয়ে ফেলুন। তেল চিটচিটে ময়লা ও দাগ চলে যাবে।

যেভাবে সুতি কাপড়ের যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে

আরামদায়ক পোশাক পরতে হলে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। কারণ সুতি হলো প্রাকৃতিক ফেব্রিক। তুলা থেকে তৈরি হয় সুতা। এরপর ওই সুতা থেকে তৈরি হয় সুতির পোশাক। তাই এই ফেব্রিকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

সুতি কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে ভাঁজ করা পর্যন্ত নিয়ম মানা জরুরি। না হলে কাপড়ের আয়ু কমে যায়। এটির বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সুতি কাপড়ের যত্ন নেবেন কীভাবে?

সুতি কাপড় ধোয়ার উপায়ঃ

১.  সুতি কাপড়ের ফেব্রিক খুব সহজেই ছিঁড়ে যায়। তাই ঘঁষে ঘঁষে সুতির পোশাক না ধোয়াই ভালো।

২.  প্রচণ্ড গরম পানিতেও কখনো ভেজাবেন না সুতির পোশাক। এতে পোশাকের রং নষ্ট হয়ে যাবে।

৩.  একটি সুতি কাপড় পরিধান করার একমাস পর ধোবেন না। পরার পরপরই ধুয়ে শুকিয়ে ভালোভাবে রেখে দিন।

৪. যদি একবার পরেই কাচতে না চান, তবে তাকে রোদে দিতে হবে অবশ্যই। অন্তত এক ঘণ্টা রোদে দেবেন।

৫. যদি সুতির পোশাকে কোনো দাগ হয়ে যায়, তবে আগে তা আলাদা করে তুলে নিন। তারপর সম্পূর্ণ জামাটি পরিষ্কার করুন।

৬.  সুতির পোশাকে আপনি মাড় দিতেই পারেন। তবে মাড় দেওয়ার পরই পানি ঝরিয়ে নিন।

শুকানোর সময় যা করবেনঃ

১. খুব টানটান করে সুতির পোশাক মেলবেন না।

২. পানি ঝরিয়ে নিয়ে সুতির পোশাক মেলুন।

৩. চড়া রোদে সুতির পোশাক দেবেন না। হালকা রোদে বা ছায়ায় সুতির পোশাক মেলবেন।

ইস্ত্রি করার সময় করণীয়ঃ

১. প্রথমে পোশাক উল্টে নিয়ে ইস্ত্রি করে তারপর সোজা পিঠে করুন।

আলমারিতে রাখার সময় করণীয়ঃ

১.  পরিধান করার পর ভালোভাবে রোদে না শুকিয়ে বা ধুয়ে সুতির পোশাক কখনো ভাঁজ করে আলমারিতে রাখবেন না।

২. সুতির কাপড় আলমারিতে রাখার পর ওই স্থানে কিছু কালোজিরা দিয়ে রাখবেন। এতে পোশাক ভালো থাকবে। পোকা-মাকড় কাপড়ের ধারে-কাছে আসবে না।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কলম-কালির ব্যবহারের শেষ নাই। কিন্তু এমনও সময় আসে এই কলম বা কালির জন্য সারাদিনের জন্য মন খারাপ হয়ে যায়। কালি হচ্ছে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা ছাড়া আমরা কোনও কিছু লিখতে অক্ষম। তাই, কালি ব্যবহার করা ছেড়ে দেওয়াও যায় না। আর, কালির ব্যবহারে জামাকাপড়ে নিজের অজান্তে দাগ লেগে যেতেই পারে। জামায় কালির দাগ দেখে বিরক্ত হওয়ার পাশাপাশি আমরা চিন্তায় পড়ে যাই এটা ভেবে যে, দাগ উঠবে কীভাবে? জামাকাপড় থেকে কালির দাগ তোলা বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু, এখন আর আপনার চিন্তা করার দরকার নেই, কারণ আমরা এমন কয়েকটি উপায় নিয়ে এসেছি যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার জামাকাপড় থেকে কালির দাগ তুলতে পারেন।

চলুন জেনে নিই দাগ তোলার সহজ পদ্ধতিগুলো-

১. লবণঃ

জামাকাপড় থেকে কালির দাগ অপসারণের সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ উপায় হলো দাগের জায়গাটি ভিজিয়ে তার উপর অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে দেওয়া। লবণটি লাগান এবং তারপরে একটি ভেজা পেপার টাওয়েল দিয়ে আলতো করে দাগের ওপর তা লেপন করুন। আপনি এই পদ্ধতিটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেন যতক্ষণ না পর্যন্ত দাগটি ভালভাবে উঠছে।

২. নেলপলিশ রিমুভারঃ

নেলপলিশ তোলার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত যে রিমুভার ব্যবহার করা হয় সেই রিমুভার ব্যবহার করে আপনি কালির দাগ তুলতে পারবেন। অল্প তুলো রিমুভারে ভিজিয়ে তা কালির স্পটে লাগাতে হবে। আপনি এই পদ্ধতিটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেন যতক্ষণ না পর্যন্ত দাগটি ভালভাবে উঠছে। দাগ উঠে যাওয়ার পরে কাপড়টি ধুয়ে ফেলতে পারেন।

৩. ভুট্টার পেস্টঃ

ভুট্টার পেস্টও কালির দাগ অপসারণ করতে ব্যবহার করতে পারেন। অল্প পরিমাণ দুধ এবং ভুট্টা বেটে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন এবং পেস্টটি কাপড়ে লাগা কালির দাগের উপর প্রয়োগ করুন। এরপর পেস্টটি ভালোভাবে কাপড়ের ওপর বসতে দিন এবং শুকনো হতে দিন। পেস্টটি শুকিয়ে যাওয়ার পরে, আপনি দাগ থেকে পেস্টটি তুলে ফেলতে পারেন।

৪. হেয়ার স্প্রেঃ

কাপড় থেকে কালির দাগ তুলতে আপনি হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, কালির দাগের ওপর হেয়ার স্প্রে লাগান এবং স্পটটি না ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৫. ভিনেগারঃ

জামাকাপড় থেকে কালির দাগ অপসারণে ভিনেগার অন্যতম উপায়। ২ চামচ ভিনেগারের সাথে ৩ চামচ ভুট্টা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। যেই জায়গায় কালি লেগেছে সেখানে ভিনেগার লাগান। স্পটটি ভালভাবে ভিজে যাওয়ার পরে তার উপর পেস্টটি লাগিয়ে তা শুকিয়ে নিন। কাপড় থেকে দাগ উঠে গেলে, কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন।

৬. টুথপেস্টঃ

এটি সম্ভবত প্রতিটি ফ্যাব্রিক এবং সব ধরনের কালির ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। তবুও, আপনি আপনার পোশাক থেকে কালির দাগ অপসারণ করতে অল্প পরিমাণে নন-জেল টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। স্পটটিতে অল্প পরিমাণ টুথপেস্ট লাগান এবং কাপড়টি ঘষুন। যদি দাগ উঠতে শুরু করে তাহলে আপনি এটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেন পুরোপুরি দাগ না ওঠা পর্যন্ত।

৭. লেবুর রসঃ

বেশি পরিমাণে লেবুর রস দিয়েও দাগ দূর করা যায়। এক্ষেত্রে দাগের স্থানে লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘসে দাগ তুলে ফেলুন। এরকম কয়েকবার করতে পারেন।
✅  আপনি সঠিক উপায়ে কাপড় আয়রন করছেন তো? 

আসুন জেনে নিই সঠিকভাবে কাপড় আয়রন করার কয়েকটি টিপস:

১. তাপমাত্রা অনুযায়ী পোশাকের তালিকা তৈরি করুন। সিল্ক এবং সিনথেটিক কাপড় নিম্ন ও মাঝারি তাপমাত্রায় (প্রায় ৩৫০ ফারেনহাইট)। এবং সুতি কাপড় উচ্চ তাপমাত্রা ৪০০ থেকে ৪২৫ ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করুন।

যেহেতু সঠিক তাপমাত্রা ঠিক করা কঠিন কাজ। তাই তাপমাত্রা পরিবর্তন করার পর কয়েক মিনিটের জন্য আয়রন মেশিনটি রেখে দিন।

২. আয়রন করার পর পরই কাপড় ভাঁজ করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।

৩. গোল করে কখনোই আয়রন করবেন না। এতে কাপড়ের মধ্যে টান লাগতে পারে। আর লম্বালম্বিভাবে আয়রন করলে কাপড়ের ভাঁজ দূর করে।

৪. অনেক বড় বা লম্বা কোন কাপড় যেমন: পর্দা বা টেবিলকভার আয়রন করার সময় পাশে ২টি চেয়ার বসিয়ে নিন, যাতে কাপড়গুলোতে আপনার আয়রন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাঁজ না পরে। টেবিলে তোয়ালে বিছিয়ে নিন যাতে ইস্ত্রির গরমে আয়রন করার টেবিলটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

৫. আয়রন সংবেদনশীল কাপড়ের উপরে পরিষ্কার ছোট সুতির কাপড়, রুমাল বা গামছা দিয়ে আয়রন করুন। আয়রন সব সময় কাপড়ের উল্টো পাশে করুন যাতে কাপড় ঝলসে না যায়।

৬ . আপনার লোহার আয়রনের সঙ্গে একটা মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়া ১২ মাত্রার বিদ্যুত্প্রবাহের বৈদ্যুতিক তার হলে ভাল হয়। কম ওজনের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার না করাই ভাল। এতে আয়রন খুব গরম হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। নিশ্চিত হোন যে আপনি সঠিক মাপের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করছেন।

৭. কাপড়ের শুরু থেকে শেষ, বাইরে থেকে ভেতরে এভাবে আয়রন করুন।

৮.এবার আয়রন করা শেষ হলে কাপড়গুলো কয়েক ঘন্টার জন্য ঠাণ্ডা হতে দিন।

✅  কাপড় ধোয়ার ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই। যদি বাসায় ওয়াশিং মেশিন থেকেও থাকে এরপরও ঝামেলার শেষ নেই। কাপড়ের ফ্যাব্রিক যেমন আলাদা, প্রত্যেক ফেব্রিকে ধোয়ার নিয়ম ও কিন্তু আলাদা। নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার কাপড় একদম নতুন রাখতে পারবেন পুরো বছর জুড়ে ।

চলুন এমন সেরা ১০টি নিয়ম আজ জেনে নেইঃ 
 

১. ডিটারজেন্ট কখনো সরাসরি কাপড়ের উপর ঢালবেন না ব্যবহার করবেন না। প্রথমে কাপড় তারপর পানি এবং এরপর ডিটারজেন্ট দিবেন। যদি ব্লিচ ব্যবহার করে থাকেন , তবে প্রথমে পানি, তারপর কাপড় এবং সবশেষে ব্লিচিং ডিটারজেন্ট দিয়ে দিবেন।

২. অতিরিক্ত ময়লা কাপড়ের সঙ্গে অন্য কাপড় একসঙ্গে ভেজাবেন না। এতে করে এক কাপড়ের দাগ অন্য কাপড়ে লেগে যেতে পারে।

৩. সাদা কাপড় সবসময় অন্য কাপড় থেকে আলাদা ভেজাবেন। অন্য কাপড় থেকে রং না উঠলেও , ধোয়ার সময় রং উঠতে পারে এবং আপনার সাদা কাপড় নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা ৯০%

৪. সাদা কাপড়ে উজ্জ্বলতা আনতে আধা কাপ ভিনেগারের সাথে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিয়ে মেশান এবং এই মিশ্রণটি দিয়ে সাদা কাপড় ধুয়ে ফেলুন।

 ৫. জিন্স, শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি ভারী কাপড়  উল্টো করে  ধুয়ে ফেলুন। এতে  করে  কাপড়ের অভ্যন্তরীণ ময়লা ভালভাবে পরিষ্কার হবে।

৬. সাদা সুতির কাপড় ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করুন। গরম পানিতে ডিটারজেন্ট গুলে কিছুক্ষণ কাপড় ডুবিয়ে রাখুন।

৭. রঙিন কাপড় কখনো কড়া রোদে দেবেন না। বাতাস চলাচল করে এমন ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দেওয়াই ভালো।

৮. যে কোন কাপড়, বিশেষ করে নতুন কাপড় ধুতে দেওয়ার আগে এর ট্যাগ চেক করে নিন।  ট্যাগে কাপড় ধোয়ার নিয়ম উল্লেখ থাকে।

৯. ডিটার্জেন্ট পাউডারে বেশিক্ষণ কাপড় ভিজিয়ে রাখবেন না। এতে কাপড়ের সুতা নরম হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

১০. খেয়াল রাখবেন, কাপড় বেশিক্ষণ দড়িতে ঝুলিয়ে রাখলে কাপড়ের আকার নষ্ট হয়ে যায়।
 

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার কাপড় নতুনের মতন রাখতে পারবেন অনেক দিন ধরে । আর যদি ব্যস্ততায় সম্ভব না হয়, তবে সেবা অ্যাপে ঘরে বসেই অর্ডার করে ফেলুন লন্ড্রি সার্ভিস। আপনার পরনের কাপড় থেকে শুরু করে বিছানার চাদর, পর্দা, বালিশ, কার্পেট, পুতুল – সবকিছুই লন্ড্রি করাতে পারবেন সেবা অ্যাপে। অ্যাপে শুধু আপনার নাম ঠিকানা আর লন্ড্রির সময় উল্ল্যেখ করে দিলেই সার্ভিস চলে আসবে আপনার ঘরে।

ফেব্রিক কেয়ার গাইডলাইন যা আপনাদের জানা উচিৎ | ওয়াসিং - ক্লিনিং- ড্রাইং - আয়রনিং

ফেব্রিক কেয়ার গাইডলাইন যা আপনাদের জানা উচিৎ | ওয়াসিং - ক্লিনিং- ড্রাইং - আয়রনিং 
জামাকাপড় ইস্ত্রি না করে কি পরা যায়! ইস্ত্রি না করলে জামাকাপড়ের সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে কি সব সময় জামাকাপড় ইস্ত্রি করানোর জন্য দোকানে বা লন্ড্রিতে পাঠাবেন ? 

বাড়িতে ইস্ত্রি করতে অবশ্য অনেকেই ভয় পান। পাছে জামাকাপড় পুড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়— সেই কারণে। জেনে নিন কোন ধরনের কাপড় কত তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হয় আর প্রয়োজন মতো বাড়িতেই জামাকাপড় আয়রন করে নিন.

১) সুতির কাপড়: ইস্ত্রি না করলে সুতির জামাকাপড় পরাই যায় না। সুন্দর ভাবে ইস্ত্রি করতে চাইলে তাপমাত্রা রাখুন ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তার পর সমান ভাবে ইস্ত্রি করে নিন।

২) পলিয়েস্টার কাপড়: ইস্ত্রির তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক। তাই খেয়াল রাখুন।

৩) সিল্ক: সিল্কের জামাকাপড় মানেই সেটি খুব হালকা, সূক্ষ এবং কোমল। তাই ইস্ত্রিও করতে হবে খুব যত্নে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। খেয়াল রাখবেন, সিল্কের জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময় তাপমাত্রা যেন কোনও ভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৪) লিনেনের কাপড়: এই ধরনের ফেব্রিক সবচেয়ে বেশি কুঁচকে যায়। তাই ৪৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হবে লিনেনের জামাকাপড়।

৫) সিফন জর্জেট: এই ফেব্রিক খুবই মিহি হয়। ইস্ত্রি না করলেও চলে। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৬) লাইক্রা: এই ধরনের ফেব্রিক ইস্ত্রি না করাই ভাল। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা যেন কোনও ভাবে ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।

৭) রেয়ন: সুতি বা লিনেনের থেকেও কিছুটা পাতলা হয় এই ফেব্রিক। এবং অল্পতেই কুঁচকে যায় এর তৈরি জামাকাপড়। এই ফেব্রিকে তৈরি জামাকাপড় ইস্ত্রি করার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখুন।

৮) উল: উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা ঠিকঠাক না থাকলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা যেন কোনও ভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।


✅  শখের কাপড়ের রং হয়ে যায় নষ্ট? উপায়গুলো জেনে নিলে, আর হবে না কষ্ট।

কে না চায় প্রিয় কাপড়টা উজ্জ্বল থাকুক বহুবছর ধরে? সবাই চাই। আর তাইতো নিতে হবে এর যত্ন। কিন্তু কীভাবে?

ক্লোথিং কেয়ারঃ
প্রায় সময় দেখা যায় আমাদের অনেক পছন্দের কাপড়গুলোর রঙ কেমন যেন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। এই সমস্যার সমাধান কি হতে পারে? চলুন জেনে নেই।

যা যা মেনে চলতে হবেঃ

১. পরতে হবে প্রায়ইঃ

অনেকেই প্রিয় কাপড়ের রং নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে তুলে রেখে দেন। তবে এতে কাপড়ের রং হারানোর সম্ভাবনা আরো বেশি থাকে। নিয়মিত ব্যবহার করলে এবং ধুয়ে রাখলে তা দীর্ঘদিন উজ্জ্বল থাকে। তবে কাপড় অপ্রয়োজনে পরিষ্কার করা একদমই উচিত নয়।

২. ধোয়ার সময়ঃ

শখের কাপড়টির রং ঠিক রাখতে, তা ধোয়ার সময় বাইরের দিক ভিতরে রেখে ধুতে হবে। এতে করে কাপড়ের রং দীর্ঘদিন উজ্জ্বল থাকে। আর কাপড় শুকাতে দেওয়ার সময়ও উলটে দিতে হবে। নতুন সুতি কাপড় ধোয়ার সময় অল্প লবণ পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। কাপড়ে ভিনেগার ব্যবহার করলে, কাপড় কম অনুজ্জ্বল হয়। বেকিং সোডাও কাপড়ের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে থাকে। কাপড় ধোয়ার সময় অবশ্যই কাপড়ের লেবেলে থাকা ধোয়ার নির্দেশনা পড়ে নিতে হবে।

৩. ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় পরিষ্কারঃ

অতিরিক্ত গরম পানিতে কাপড়ের রঙের স্থায়িত্ব নষ্ট হতে পারে। তাই কাপড় নরমাল টেম্পারেচারের পানিতে ধোয়া ভালো। কাপড় ধোয়ার পরে পরিমাণমতো নীলের ব্যবহার কাপড়ের রং টিকে থাকতে সাহায্য করে। তবে তা ব্যবহার করতে হবে একদম কাপড় ধোয়ার শেষ পর্যায়ে।

৪. কাপড় শুকানোঃ

কাপড় বেশি ড্রাই করলে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাপড় বেশি মচমচে করতে গেলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। এতে করে কাপড়ের সুতার ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায়। কাপড় খুব চিপলেও রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৫. অন্য কাপড়ের সঙ্গে না ধোয়াঃ

বিভিন্ন রঙের কাপড় একসাথে ধুবেন না। কারণ, কাপড়ের রং উঠে অন্য কাপড়ে লাগতে পারে। সাদা কাপড় কখনোই রঙিন কাপড়ের সাথে ধুতে নেই।

এই পদ্ধতিগুলো মেনে চললেই কাপড়ের রং দীর্ঘদিন উজ্জ্বল রাখা সম্ভব।

কাপড়ে দাগ লেগে গেলে তা ভীষণ বিশ্রী দেখায়। কীভাবে দাগ তোলা যাবে, দাগ ঠিক মতো যাবে তো?

কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে কিনা… তাই নিয়ে গৃহিনীর দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। আজকে সঠিক ভাবে কাপড়ের দাগ তোলার জন্য কয়েকটি সহজ ও কার্যকরী টিপস দেয়া হলো –

(১) আমরা চাই বা না চাই, চা-কফির দাগ কাপড়ে পড়বেই। তুলোয় ভিনেগার কিংবা খাবার সোডা নিয়ে একটু ঘষুন, দাগ উঠে যাবে।

(২) কাপড়ে তরকারির হলুদ দাগ লাগলে দাগের জায়গায় ভিনেগার লাগিয়ে রেখে দিন দশ মিনিট। তারপর সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।

(৩) কাপড়ে মোম লেগে গেলে প্রথমে চামচ বা ভোঁতা ছুরি দিয়ে সাবধানে চেঁছে ফেলুন। তারপর দাগের ওপরে ও নিচে ব্রাউন পেপার রেখে গরম ইস্ত্রি ঘষে নিন। দাগ উঠে যাবে।

(৪) শাড়ি বা জামায় অনেক সময় তেল লেগে বিশ্রী দেখায়। ভালো ভাবে পরিচ্ছন্ন না করে তুলে রাখলে তা পোকায় কাটার সম্ভাবনা থাকে। তাই তেল তুলতে প্রথমেই তেলের জায়গায় পুরু করে ট্যালকম পাউডার লাগান। দশ মিনিট পর ঝেড়ে ফেলুন। এভাবে আরও একবার করুন। এবার নরম কাপড় পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে তাতে সাবান বা ডিটারজেন্ট লাগিয়ে হালকা ভাবে সেই জায়গায় ঘষুন। পরে সাবধানে পরিষ্কার ভেজা কাপড় বা পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে ফেলুন। পানি ঝরিয়ে, অল্প সময় রোদে রেখে পরে আয়রন করে নিন।

(৫) কাপড়ে লিপস্টিকের দাগ লাগলে জায়গাটা স্পিরিটে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে দাগ গায়েব হয়ে যাবে।

(৬) জামায় বা শার্টে বল পেনের কালি লাগলে প্রথমে স্পিরিট দিয়ে ও পরে পেট্রল দিয়ে হালকা ভাবে স্পঞ্জ করলে দাগ চলে যাবে।

(৭) সুতি বা সিল্কের কাপড়ে কালির দাগ লাগলে সামান্য ডিটারজেন্ট, ভিনেগার ও গরম পানির মিশ্রণ তৈরি করে দাগ লাগা অংশটি কয়েক ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ঈষদুষ্ণ পানি আর সাবান দিয়ে ধুলে দাগ চলে যাবে।

(৮) অনেক সময় কাপড়ে মরিচার দাগ লেগে যায়। এক্ষেত্রে প্রথমে লেবুর রস দিয়ে জায়গাটায় ঘষুন, দেখবেন দাগ অনেক খানি চলে গেছে। এবার সেখানে কিছুটা খাবার সোডা বা লবণ ছড়িয়ে রোদে মেলে দিন। কিছুক্ষণ পরে সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুলে দাগ চলে যাবে।

(৯) কাপড় থেকে ভেজা কাদার দাগ দূর করতে সেদ্ধ আলুর খোসা ঘষুন। দেখবেন দাগ অদৃশ্য হয়ে গেছে।

(১০) আমাদের গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কাপড়ে ঘামের দাগ অনিবার্য। এই দাগ তুলতে পানির মধ্যে দু-তিনটা ব্যথানাশক ট্যাবলেট গুলে নিয়ে কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না।

(১১) কাপড়ে চিউইংগাম লেগে গেলে প্রথমেই কাপড় একটি পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। একটু পরে কাপড় বের করে সাবধানে ভোঁতা ছুরির ডগা দিয়ে চিউইংগাম তুলে ফেলুন। তারপর সেই জায়গাটির উপরে-নিচে ব্রাউন পেপার রেখে আয়রন করে নিন।

(১২) ছবি আকাঁর সময় বাচ্চাদের কাপড়ে রঙ এর দাগ লাগতেই পারে। একটি পুরোনো টুথব্রাশ ফিনাইলে ডুবিয়ে দাগ লাগা জায়গায় ঘষুন। দাগ মুহুর্তেই গায়েব হয়ে যাবে।

(১৩) হাতে মেহেদি লাগাবার সময় জামা কাপড়ে লেগে যেতে পারে। জায়গাটি গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন কিছু সময়। পরে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে দাগ উঠে যাবে।

(১৪) কাপড় থেকে আলকাতরার দাগ তুলতে দাগের জায়গায় খানিকটা কেরোসিন ঘষে ঘষে লাগান। পরে শুকিয়ে গেলে সাবান দিয়ে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। সময়ের সাথে কেরোসিনের গন্ধ চলে যাবে।

(১৫) শার্ট ধোয়ার সময় কলার ও কাফ পানিতে ভিজিয়ে তার উপরে কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু ছড়িয়ে নিন। তারপর ঘষে ধুয়ে ফেলুন। তেল চিটচিটে ময়লা ও দাগ চলে যাবে।

যেভাবে সুতি কাপড়ের যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে

আরামদায়ক পোশাক পরতে হলে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। কারণ সুতি হলো প্রাকৃতিক ফেব্রিক। তুলা থেকে তৈরি হয় সুতা। এরপর ওই সুতা থেকে তৈরি হয় সুতির পোশাক। তাই এই ফেব্রিকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

সুতি কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে ভাঁজ করা পর্যন্ত নিয়ম মানা জরুরি। না হলে কাপড়ের আয়ু কমে যায়। এটির বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সুতি কাপড়ের যত্ন নেবেন কীভাবে?

সুতি কাপড় ধোয়ার উপায়ঃ

১.  সুতি কাপড়ের ফেব্রিক খুব সহজেই ছিঁড়ে যায়। তাই ঘঁষে ঘঁষে সুতির পোশাক না ধোয়াই ভালো।

২.  প্রচণ্ড গরম পানিতেও কখনো ভেজাবেন না সুতির পোশাক। এতে পোশাকের রং নষ্ট হয়ে যাবে।

৩.  একটি সুতি কাপড় পরিধান করার একমাস পর ধোবেন না। পরার পরপরই ধুয়ে শুকিয়ে ভালোভাবে রেখে দিন।

৪. যদি একবার পরেই কাচতে না চান, তবে তাকে রোদে দিতে হবে অবশ্যই। অন্তত এক ঘণ্টা রোদে দেবেন।

৫. যদি সুতির পোশাকে কোনো দাগ হয়ে যায়, তবে আগে তা আলাদা করে তুলে নিন। তারপর সম্পূর্ণ জামাটি পরিষ্কার করুন।

৬.  সুতির পোশাকে আপনি মাড় দিতেই পারেন। তবে মাড় দেওয়ার পরই পানি ঝরিয়ে নিন।

শুকানোর সময় যা করবেনঃ

১. খুব টানটান করে সুতির পোশাক মেলবেন না।

২. পানি ঝরিয়ে নিয়ে সুতির পোশাক মেলুন।

৩. চড়া রোদে সুতির পোশাক দেবেন না। হালকা রোদে বা ছায়ায় সুতির পোশাক মেলবেন।

ইস্ত্রি করার সময় করণীয়ঃ

১. প্রথমে পোশাক উল্টে নিয়ে ইস্ত্রি করে তারপর সোজা পিঠে করুন।

আলমারিতে রাখার সময় করণীয়ঃ

১.  পরিধান করার পর ভালোভাবে রোদে না শুকিয়ে বা ধুয়ে সুতির পোশাক কখনো ভাঁজ করে আলমারিতে রাখবেন না।

২. সুতির কাপড় আলমারিতে রাখার পর ওই স্থানে কিছু কালোজিরা দিয়ে রাখবেন। এতে পোশাক ভালো থাকবে। পোকা-মাকড় কাপড়ের ধারে-কাছে আসবে না।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কলম-কালির ব্যবহারের শেষ নাই। কিন্তু এমনও সময় আসে এই কলম বা কালির জন্য সারাদিনের জন্য মন খারাপ হয়ে যায়। কালি হচ্ছে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা ছাড়া আমরা কোনও কিছু লিখতে অক্ষম। তাই, কালি ব্যবহার করা ছেড়ে দেওয়াও যায় না। আর, কালির ব্যবহারে জামাকাপড়ে নিজের অজান্তে দাগ লেগে যেতেই পারে। জামায় কালির দাগ দেখে বিরক্ত হওয়ার পাশাপাশি আমরা চিন্তায় পড়ে যাই এটা ভেবে যে, দাগ উঠবে কীভাবে? জামাকাপড় থেকে কালির দাগ তোলা বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু, এখন আর আপনার চিন্তা করার দরকার নেই, কারণ আমরা এমন কয়েকটি উপায় নিয়ে এসেছি যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার জামাকাপড় থেকে কালির দাগ তুলতে পারেন।

চলুন জেনে নিই দাগ তোলার সহজ পদ্ধতিগুলো-

১. লবণঃ

জামাকাপড় থেকে কালির দাগ অপসারণের সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ উপায় হলো দাগের জায়গাটি ভিজিয়ে তার উপর অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে দেওয়া। লবণটি লাগান এবং তারপরে একটি ভেজা পেপার টাওয়েল দিয়ে আলতো করে দাগের ওপর তা লেপন করুন। আপনি এই পদ্ধতিটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেন যতক্ষণ না পর্যন্ত দাগটি ভালভাবে উঠছে।

২. নেলপলিশ রিমুভারঃ

নেলপলিশ তোলার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত যে রিমুভার ব্যবহার করা হয় সেই রিমুভার ব্যবহার করে আপনি কালির দাগ তুলতে পারবেন। অল্প তুলো রিমুভারে ভিজিয়ে তা কালির স্পটে লাগাতে হবে। আপনি এই পদ্ধতিটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেন যতক্ষণ না পর্যন্ত দাগটি ভালভাবে উঠছে। দাগ উঠে যাওয়ার পরে কাপড়টি ধুয়ে ফেলতে পারেন।

৩. ভুট্টার পেস্টঃ

ভুট্টার পেস্টও কালির দাগ অপসারণ করতে ব্যবহার করতে পারেন। অল্প পরিমাণ দুধ এবং ভুট্টা বেটে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন এবং পেস্টটি কাপড়ে লাগা কালির দাগের উপর প্রয়োগ করুন। এরপর পেস্টটি ভালোভাবে কাপড়ের ওপর বসতে দিন এবং শুকনো হতে দিন। পেস্টটি শুকিয়ে যাওয়ার পরে, আপনি দাগ থেকে পেস্টটি তুলে ফেলতে পারেন।

৪. হেয়ার স্প্রেঃ

কাপড় থেকে কালির দাগ তুলতে আপনি হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, কালির দাগের ওপর হেয়ার স্প্রে লাগান এবং স্পটটি না ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৫. ভিনেগারঃ

জামাকাপড় থেকে কালির দাগ অপসারণে ভিনেগার অন্যতম উপায়। ২ চামচ ভিনেগারের সাথে ৩ চামচ ভুট্টা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। যেই জায়গায় কালি লেগেছে সেখানে ভিনেগার লাগান। স্পটটি ভালভাবে ভিজে যাওয়ার পরে তার উপর পেস্টটি লাগিয়ে তা শুকিয়ে নিন। কাপড় থেকে দাগ উঠে গেলে, কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন।

৬. টুথপেস্টঃ

এটি সম্ভবত প্রতিটি ফ্যাব্রিক এবং সব ধরনের কালির ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। তবুও, আপনি আপনার পোশাক থেকে কালির দাগ অপসারণ করতে অল্প পরিমাণে নন-জেল টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। স্পটটিতে অল্প পরিমাণ টুথপেস্ট লাগান এবং কাপড়টি ঘষুন। যদি দাগ উঠতে শুরু করে তাহলে আপনি এটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেন পুরোপুরি দাগ না ওঠা পর্যন্ত।

৭. লেবুর রসঃ

বেশি পরিমাণে লেবুর রস দিয়েও দাগ দূর করা যায়। এক্ষেত্রে দাগের স্থানে লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘসে দাগ তুলে ফেলুন। এরকম কয়েকবার করতে পারেন।
✅  আপনি সঠিক উপায়ে কাপড় আয়রন করছেন তো? 

আসুন জেনে নিই সঠিকভাবে কাপড় আয়রন করার কয়েকটি টিপস:

১. তাপমাত্রা অনুযায়ী পোশাকের তালিকা তৈরি করুন। সিল্ক এবং সিনথেটিক কাপড় নিম্ন ও মাঝারি তাপমাত্রায় (প্রায় ৩৫০ ফারেনহাইট)। এবং সুতি কাপড় উচ্চ তাপমাত্রা ৪০০ থেকে ৪২৫ ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করুন।

যেহেতু সঠিক তাপমাত্রা ঠিক করা কঠিন কাজ। তাই তাপমাত্রা পরিবর্তন করার পর কয়েক মিনিটের জন্য আয়রন মেশিনটি রেখে দিন।

২. আয়রন করার পর পরই কাপড় ভাঁজ করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।

৩. গোল করে কখনোই আয়রন করবেন না। এতে কাপড়ের মধ্যে টান লাগতে পারে। আর লম্বালম্বিভাবে আয়রন করলে কাপড়ের ভাঁজ দূর করে।

৪. অনেক বড় বা লম্বা কোন কাপড় যেমন: পর্দা বা টেবিলকভার আয়রন করার সময় পাশে ২টি চেয়ার বসিয়ে নিন, যাতে কাপড়গুলোতে আপনার আয়রন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাঁজ না পরে। টেবিলে তোয়ালে বিছিয়ে নিন যাতে ইস্ত্রির গরমে আয়রন করার টেবিলটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

৫. আয়রন সংবেদনশীল কাপড়ের উপরে পরিষ্কার ছোট সুতির কাপড়, রুমাল বা গামছা দিয়ে আয়রন করুন। আয়রন সব সময় কাপড়ের উল্টো পাশে করুন যাতে কাপড় ঝলসে না যায়।

৬ . আপনার লোহার আয়রনের সঙ্গে একটা মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়া ১২ মাত্রার বিদ্যুত্প্রবাহের বৈদ্যুতিক তার হলে ভাল হয়। কম ওজনের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার না করাই ভাল। এতে আয়রন খুব গরম হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। নিশ্চিত হোন যে আপনি সঠিক মাপের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করছেন।

৭. কাপড়ের শুরু থেকে শেষ, বাইরে থেকে ভেতরে এভাবে আয়রন করুন।

৮.এবার আয়রন করা শেষ হলে কাপড়গুলো কয়েক ঘন্টার জন্য ঠাণ্ডা হতে দিন।

✅  কাপড় ধোয়ার ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই। যদি বাসায় ওয়াশিং মেশিন থেকেও থাকে এরপরও ঝামেলার শেষ নেই। কাপড়ের ফ্যাব্রিক যেমন আলাদা, প্রত্যেক ফেব্রিকে ধোয়ার নিয়ম ও কিন্তু আলাদা। নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার কাপড় একদম নতুন রাখতে পারবেন পুরো বছর জুড়ে ।

চলুন এমন সেরা ১০টি নিয়ম আজ জেনে নেইঃ 
 

১. ডিটারজেন্ট কখনো সরাসরি কাপড়ের উপর ঢালবেন না ব্যবহার করবেন না। প্রথমে কাপড় তারপর পানি এবং এরপর ডিটারজেন্ট দিবেন। যদি ব্লিচ ব্যবহার করে থাকেন , তবে প্রথমে পানি, তারপর কাপড় এবং সবশেষে ব্লিচিং ডিটারজেন্ট দিয়ে দিবেন।

২. অতিরিক্ত ময়লা কাপড়ের সঙ্গে অন্য কাপড় একসঙ্গে ভেজাবেন না। এতে করে এক কাপড়ের দাগ অন্য কাপড়ে লেগে যেতে পারে।

৩. সাদা কাপড় সবসময় অন্য কাপড় থেকে আলাদা ভেজাবেন। অন্য কাপড় থেকে রং না উঠলেও , ধোয়ার সময় রং উঠতে পারে এবং আপনার সাদা কাপড় নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা ৯০%

৪. সাদা কাপড়ে উজ্জ্বলতা আনতে আধা কাপ ভিনেগারের সাথে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিয়ে মেশান এবং এই মিশ্রণটি দিয়ে সাদা কাপড় ধুয়ে ফেলুন।

 ৫. জিন্স, শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি ভারী কাপড়  উল্টো করে  ধুয়ে ফেলুন। এতে  করে  কাপড়ের অভ্যন্তরীণ ময়লা ভালভাবে পরিষ্কার হবে।

৬. সাদা সুতির কাপড় ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করুন। গরম পানিতে ডিটারজেন্ট গুলে কিছুক্ষণ কাপড় ডুবিয়ে রাখুন।

৭. রঙিন কাপড় কখনো কড়া রোদে দেবেন না। বাতাস চলাচল করে এমন ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দেওয়াই ভালো।

৮. যে কোন কাপড়, বিশেষ করে নতুন কাপড় ধুতে দেওয়ার আগে এর ট্যাগ চেক করে নিন।  ট্যাগে কাপড় ধোয়ার নিয়ম উল্লেখ থাকে।

৯. ডিটার্জেন্ট পাউডারে বেশিক্ষণ কাপড় ভিজিয়ে রাখবেন না। এতে কাপড়ের সুতা নরম হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

১০. খেয়াল রাখবেন, কাপড় বেশিক্ষণ দড়িতে ঝুলিয়ে রাখলে কাপড়ের আকার নষ্ট হয়ে যায়।
 

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার কাপড় নতুনের মতন রাখতে পারবেন অনেক দিন ধরে । আর যদি ব্যস্ততায় সম্ভব না হয়, তবে সেবা অ্যাপে ঘরে বসেই অর্ডার করে ফেলুন লন্ড্রি সার্ভিস। আপনার পরনের কাপড় থেকে শুরু করে বিছানার চাদর, পর্দা, বালিশ, কার্পেট, পুতুল – সবকিছুই লন্ড্রি করাতে পারবেন সেবা অ্যাপে। অ্যাপে শুধু আপনার নাম ঠিকানা আর লন্ড্রির সময় উল্ল্যেখ করে দিলেই সার্ভিস চলে আসবে আপনার ঘরে।

কোন মন্তব্য নেই: