‘জিরো’ থেকে ‘জারা’ | আমানসিও ওর্তেগা- Amancio Ortega | INDITEX - ZARA
আমানসিও ওরতেগার বায়োগ্রাফীঃ
পুরো নাম: আমানসিও ওড়তেগা
বয়স: 84 বছর 9 মাস
জন্ম তারিখ: ২৮ শে মার্চ , 1936
জন্ম স্থান: বাসডোঙ্গো ডি আরবস, লিওন, স্পেন
নেট মূল্য: B 71 বিলিয়ন ডলার৷
জাতিগততা: ইউরোপীয়
জাতীয়তা: স্পেনীয়
পেশা: ফ্যাশন সাম্রাজ্য, ইন্ডাইটেক্স গ্রুপ
বাবার নাম: আন্তোনিও অরতেগা রদ্রিগেজ
মায়ের নাম: জোসেফিনা গাওনা হার্নান্দেজ
জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯৩৬ (বয়স ৮৫ বছর), Busdongo de Arbas, স্পেন
মোট সম্পদ: ৮২.৯ বিলিয়ন USD (২০২১) ফোর্বস
প্রতিষ্ঠা করা সংস্থা:
Zara, Inditex, Bershka, Uterqüe, Fundación Amancio Ortega, Confecciones Goa
সন্তান: মার্টা ওর্তেগা, মার্কোস ওর্তেগা মেরা, সান্দ্রা ওর্তেগা মেরা
স্বামী বা স্ত্রী: ফ্লোরা পেরেজ (বিবাহ. ২০০১), রোজালিয়া মেরা (বিবাহ. ১৯৬৬–১৯৮৬)
নাতি/নাতনি: মাতিল্ডা টোরেটা ওর্তেগা
স্পেনের এক রেলকর্মীর সন্তান আমানসিও ওর্তেগা বরাবরই চাইতেন অন্যরকম কিছু করতে। টেইলারিং দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে অল্প বয়সেই শুরু করেন ইন্ডিটেক্স নামে একটি কাপড় তৈরির প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউস ‘জারা’-এর আবির্ভাব। ফ্যাশন দুনিয়ায় এখন তার সামনে আছে শুধু গ্যাপ ও হেনেস অ্যান্ড মার্তিজের মতো ব্র্যান্ড। বর্তমানে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি। ফ্যাশন জগতের এই পথিকৃেক নিয়েই আজকের আয়োজন...
১৯৬৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল ব্রিটিস-গ্রিক কমেডি ড্রামা ঘরানার ‘জোরবা দ্য গ্রিক’ মুভিটি। অ্যান্তনি কুইন ও অ্যালান বেটস অভিনীত মুভিটি তখন ব্যাপক সারা জাগায় গোটা দুনিয়ায়। এরও দশ বছর পর মুভিটির নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এক স্প্যানিশ কাপড় ব্যবসায়ী ‘জেরবা’ নামে শুরু করলেন ফ্যাশন হাউস।
মজার বিষয় স্পেনের লা করোনাতে শুরু হওয়া ফ্যাশন হাউসটির ঠিক দুই রাস্তা পরেই একই নামে একটি বার আবিষ্কার করেন সেই ব্যবসায়ী। তাই পরবর্তীতে নিজের ফ্যাশন হাউসের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘জারা’। কম খরচে মানসম্মত কাপড় ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের সমাহার দিয়ে শুরু করা সেই জারা এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফ্যাশন হাউসে পরিণত হয়েছে। গোটাবিশ্বে তার খ্যাতি। আর স্বনামধন্য এই ফ্যাশন হাউসটির প্রতিষ্ঠাতা আর কেউ নন, আমানসিও ওর্তেগা। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী আশি বছর বয়স্ক আমানসিও ওর্তেগার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ফ্যাশনের গণ্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে পা দিচ্ছেন তিনি। তার মালিকানায় রয়েছে এপিক হোটেল, একটি ৫৪ তলার বিলাসবহুল ভবনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালে বিশ্বখ্যাত ইন্ডিট্যাক্স গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর আগে ১৯৬৩ সালে তিনি এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী রসিলা মিরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন এই কাপড় তৈরির প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স। এখন বয়স হয়েছে, তাই ব্যবসা নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছেন ওর্তেগা। মেয়ে মার্থার নামে তার সব সম্পত্তি উইল করে দিচ্ছেন তিনি। মেয়েকে ব্যবসা শেখানোর জন্য ইতিমধ্যে তাকে প্রশিক্ষণও দিতে শুরু করেছেন।
আমানসিও ওর্তেগারজন্ম, বেড়ে ওঠাঃ
১৯৩৬ সালে ২৮ মার্চ স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন এই ব্যবসায়ী। তিনি থাকেন স্পেনের লা করোনায়। তার বাবা ছিলেন রেল কর্মচারী। এ কারণে স্পেনের কোনো শহরেই স্থায়ী হতে পারেননি তারা। ছুটে বেড়িয়েছেন স্পেনের এক শহর থেকে আরেক শহরে। ওর্তেগার বাবার নাম অ্যানটেনিয় ওর্তেগা রদ্রিগজ ও মায়ের নাম জোসফ গোয়ানা হারনান্দেজ।
আমানসিও ওর্তেগার স্ত্রী ও সন্তানঃ
প্রথম স্ত্রী রসিলা মিরার সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ২০০১ সালে ফ্লোরা প্যারিজ মারকটেকে বিয়ে করেন আমান সিও ওর্তেগা। তিন সন্তানের জনক আমানসিও ওর্তেগা। এরা হলেন সান্দ্রা ওর্তেগা মিরা, মারকেজ ওর্তেগা মিরা এবং মার্তা ওর্তেগা প্যারিজ। উল্লেখ্য, ওর্তেগা প্রথম বিয়ে দিনক্ষণ কোনো এক রহস্যময় কারণে গোপন রেখেছেন। তবে জানা যায় তিনি ১৮ বছর বয়সে প্রথম বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
আমানসিও ওর্তেগার কর্মজীবনঃ
ফ্যাশন হাউসকে ঘিরে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন সবাই এমান্সিও ওর্তেগাকে গুরু মানেন। তিনি রীতিমতো ফ্যাশন বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কিন্তু কর্মজীবনে প্রথমে টেইলারিং শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিটেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জোবরা’ নামের ফ্যাশন হাউস যা পরবর্তীতে ‘জারা’ নামে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করে।
নামকরণের ইতিহাস শুরুতেই অলোচনা করেছি। বর্তমানে ‘জারা’ ইন্ডিটেক্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে কাজ করছেন প্রায় ৯২ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জারা’র পর আরেক ব্র্যান্ড গোয়া ও সেমলর প্রতিষ্ঠান করেন ১৯৭৭ সালে। পুর্তুগালে প্রথম জারার স্টোর প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৮৮ সালে। নিউইয়র্কে প্রথম জারার স্টোর আসে ১৯৮৯ সালে।
এর ঠিক এক বছরের মাথায় ফ্রান্সে প্রথম জারা’র স্টোর স্থাপিত হয় ১৯৯০ সালে। এরপরই পল অ্যান্ড বিয়ার ও মাসিমোডুত্তি শুরু করেন ১৯৯১ সালে।
আমানসিও ওর্তেগার নজিরবিহীন সাফল্যঃ
আমানসিও ওর্তেগা নজিরবিহীন ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছেন। বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিলগেটসকে কয়েকবার পিছনে ফেলেছেন ওর্তেগা।
সর্বোশেষ গত বছরের শেষ দিকে তিনি বিলগেটসকে ছাপিয়ে বিশ্বের শীর্ষধনীর খেতাব অর্জন করেছিলেন। বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওর্তেগার সম্পদের মূল্যমান ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আমানসিও ওর্তেগার সাধারণ জীবনযাপনঃ
ওর্তেগা বরাবরই খুব সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। এমনকি ১৯৯৯ সালের আগে কোথাও ওর্তেগার কোনো ছবি প্রকাশ পায়নি। তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকেন নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তায়। মজার ব্যাপার আমানসিও ওর্তেগা প্রতিদিন একই কফিশপে কফি খেতে যান এবং প্রতিদিন কোম্পানির ক্যাফেটেরিয়ায় কর্মচারীদের সঙ্গে বসে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। আরও মজার বিষয় হলো একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করা অসাধারণ এই মানুষটি সবসময় সাদা শার্ট, নীল ব্লেজার আর গ্রে প্যান্ট পরে অফিস করেন। কখনোই এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও আমানসিও ওর্তেগা সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছেন। যে কারও জন্য তিনি অনুপ্রেরণীয়। তাই বিশ্বজুড়ে উদ্যোক্তরা আমানসিও ওর্তেগাকে অনুসরণ করেন।
আমানসিও ওর্তেগার জারার বিখ্যাত উক্তিঃ
ব্যবসা
‘ব্যবসায়িক সাফল্য নির্ভর করে কম দামে ফ্যাশনে আপনি কতটা সর্বাধুনিক পণ্য ক্রেতাকে দিতে পারছেন তার ওপর, এর জন্য ব্যবসায়ে পণ্য তৈরি, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রির মধ্যে সমন্বয় এনে খরচ কমিয়ে আনতে হবে।’
জীবন
‘জীবনে অন্তত তিনবার সংবাদপত্রের খবর হতে হবে- জন্মের সময়, মৃত্যুর সময় এবং বিয়ের সময়।’
কর্ম
‘আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিনই কাজ করে যাব।’
যাপিত জীবন
‘আমি জীবনের চলার পথে আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের দ্বারা পরিচিত হতে চাই।’
সামর্থ্য
‘বিনিয়োগকারীদের সুবিবেচনায় আসতে সবসময় লাভজনক সাফল্যে সামর্থ্য ব্যবহার করতে হবে।’
গ্রাহক দর্শন
‘ব্যবসায়িক মডেল সর্বদা চালিত হয় গ্রাহক দ্বারা।’
INDITEX পরিচিতিঃ
ইন্ডিটেক্স গ্রুপ পৃথিবীতে পোশাক খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকারার অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছে।
এই প্রতিষ্ঠানটিকে মুলত সবাই চেনে এদের বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ড দিয়ে, এরা সারা পৃথিবীতে ৮ টি সুপরিচিত ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করে। মাত্র ৫ টি দেশ থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ৮৮ টি দেশে তাদের শো রুম পরিচালনা করে এবং ১,২৮৩১৩ জন মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। আগে তাদের ব্র্যান্ড গুলোর নাম বলে দেই তারপর বিস্তারিত বলছি।
Zara
Pull&Bear
Massimo Dutti
Bershka
Stradivarius
OYSHO
Zara Home
Uterque
Lefties
বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে বিশ্ব বাজারে অনেক বড় একটি অংশ দখল করে আছে সেই সুবাদে এই ধরনের ব্র্যান্ডের পোশাক আমাদের বাজারে ও কিনতে পাওয়া যায়, অনেকেই হয়তোবা উপরের অনেক ব্র্যান্ডের কাপড় পরেছেন, আজ তার ইতিহাস পড়ছেন।
স্পেনের আরটেক্সিও নামক স্থানে ১২ই জুন ১৯৮৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার ছিলেন আমানচিউ ওরটেগা এবং রোসালিয়া মিরা।বর্তমানে পৃথিবীর ৮৮ টি দেশে ৬৭০০ টি শোরুম রয়েছে এদের। এই ব্যক্তির আরেকটি বড় পরিচয় হল, ইনি বর্তমানে পৃথিবীর ২য় ধনী ব্যক্তি। কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান Pablo Isla ।
তাদের প্রতিটি পোশাক নিজস্ব ডিজাইনার দিয়ে ডিজাইন করা এবং প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে নতুন ডিজাইনের পোশাক তাদের স্টোরে তোলা হয়। তারা তাদের সকল প্রকার পোশাক ই ৩য় বিশ্বের দেশ থেকে ক্রয় করে থাকে। সে দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, মরক্কো , চীন এবং তুর্কী অন্যতম । আমাদের জন্য আনন্দের কথা হচ্ছে এটা যে, তারা তাদের পোশাকের সিংহভাগ ক্রয় করে আমাদের দেশ থেকে। মূলত ১৯৬৩ সালে এই কোম্পানীর অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলে ও ১৯৭৫ সালে প্রথম তাদের শোরুম চালু করে, আর ১৯৮৮ সালে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে। ২০০১ সালে এই প্রতিষ্ঠান ৯ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছেড়ে শেয়ার বাজারে প্রবেশ করে । ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান Wharton Infosys Business Transformation Award অর্জন করে।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হল, ২০১০ সালে এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ”ZARA” পত্রিকায় একবছরে মাত্র ২ টি বিজ্ঞাপন দিয়ে ১২.৫ বিলিয়ন ইউরো বিক্রয় করে যা এখনো মার্কেটিং এবং সেলস এর জগতে উদাহরণ হয়ে রয়েছে। ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই কোম্পানী ৫২১ মিলিয়ন ইউরো প্রফিট করেছে যা ২০১৪ সালের এক বছরের মুনাফার ২৮ পারসেন্ট বেশী।
বাংলাদেশে ঢাকার গুলশানে এই বিশ্ব বিখ্যাত গ্রুপ অব কোম্পানীর একটি অফিস রয়েছে, আমার কাজের স্বার্থে ওখানে আমি অনেক বার গিয়েছি, অফিসের ভেতরে চমৎকার ডেকোরেশন এবং ছিমছাম ভাবে গোছানো, ধূসর এবং সাদা রঙের সংমিশ্রণে অফিসের সমস্ত কিছু, শুনেছি পৃথিবীতে তাদের সকল অফিসের ডেকোরেশন ই একই রকম। ঢাকায় এই অফিস থেকে মূলত বিভিন্ন ফ্যক্টরির অডিট কার্যক্রম পরিচালনা এবং বছরে ২-৩ বার স্পেন থেকে বায়ার রা আসে ফ্যক্টরীর সাথে মিটিং করার জন্য। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশীরা চাকুরী করে।বাংলাদেশের অনেক বড় বড় গার্মেন্টস ফ্যক্টরী এই কোম্পানীর কাজ করে, এরা আমাদের দেশ থেকে নিট, ওভেন এবং প্রচুর পরিমাণে সোয়েটার কেনে। এদের গার্মেন্টস এর অর্ডার এর ভলিওম ও অনেক বেশী, স্টাইল ওয়াইজ এক লক্ষ পিস ও হয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠান অন্যান্য বায়ারের তুলনায় ফ্যক্টরী কে ভাল প্রাইস দিয়ে থাকে।
এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটঃ
এই প্রতিষ্ঠানের উইকিপিডিয়া লিঙ্কঃ
কিছু প্রশ্নঃ
✅ আমানসিও ওরতেগা কে ?
আমানসিও ওরতেগা স্প্যানিশ ফ্যাশন জায়ান্ট ইন্ডাইটেক্স গ্রুপ চেয়ারম্যান-প্রতিষ্ঠাতা, । তিনি জারা রিটেল চেইনের জন্যও বিখ্যাত। তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী রিটেইল ব্যবসায়ী।
✅ আমানসিও ওর্তেগা কত শিশু আছে?
(নাম): তিনটি (সান্দ্রা অরতেগা মেরা, মার্কোস অরতেগা মেরা এবং মার্টা অর্টেগা)
✅ আমানসিও ওরতেগা স্ত্রী কে? (নাম): ফ্লোরা পেরেজ মারকোট
আমানসিও ওরতেগা তাঁর জীবনে দু'বার বিয়ে করেছেন। তিনি মানতের সাথে বিনিময় করলেন রোজালিয়া মেরা 1966 সালে এবং যারা তার সাথে জারা সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 1986 সালে, এই দম্পতি একে অপরকে তালাক দিয়েছিলেন।
তারপরে তিনি বিয়ে করলেন ফ্লোরা পেরেজ 2001-এ তাদের তিনটি বাচ্চা রয়েছে যার নাম সান্দ্রা ওর্তেগা মেরা, মার্কোস অরতেগা মেরা এবং মার্টা ওর্তেগা পেরেজ।
✅ আমানসিও ওরতেগা : বয়স , পরিবার, ভাইবোন, জাতি, শিক্ষা
অরটেগা ছিল জন্ম ২৮ শে মার্চ, ১৯৩৬, লিওনের বাসডোঙ্গো ডি আরবাসে। তাঁর জাতীয়তা স্পেনীয় এবং জাতিগতভাবে ইউরোপীয়।
তাঁর মাতার নাম জোসেফিনা গাওনা হার্নান্দেজ এবং পিতার নাম অ্যান্টোনিও অরতেগা রদগ্রাজ। তার এক ভাই অ্যান্টোনিও ওর্তেগা এবং দুই বোন জোসেফা ওরতেগা গাওনা এবং পিলার অরতেগা গাওনা রয়েছে।
তাঁর বাবা রেলপথ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এখানে, অর্টেগা একটি শার্ট প্রস্তুতকারকের জন্য কাজ শুরু করে এবং পোশাক তৈরির বিশেষতাকে শিক্ষিত করে।
অরতেগার যুবকটি লিওনে কাটিয়েছে, তবুও যখন তার বয়স 14 বছর, তার পরিবার এ করুনায় চলে যায়। তিনি 14 বছর বয়সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সাফ করেছিলেন।
✅ আমানসিও অরতেগা: পেশাদার জীবন এবং কর্মজীবন
তার ক্যারিয়ারের সময়, আমানসিও ওর্তেগা 1972 সালে স্থানীয় মহিলাদের সমবায় গঠনের জন্য পেয়েছিলেন এবং একটি সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গোয়া কনফেকশন । 1975 সালে তিন বছর পরে, অর্টেগা তার স্ত্রী রোজালিয়া সহ প্রথম পোশাকের খুচরা দোকান খুললেন। সুতরাং, তিনি জারার জন্য স্থির হন।
স্টোরটি একটি সাফল্য এবং তার পরের দশকে, তিনি স্পেনের গ্যালিসিয়া জুড়ে বেশ কয়েকটি জারা স্টোর খুললেন। 1963 সালে, তিনি অর্থনৈতিক পরিবেশের সুবিধা নিয়েছিলেন এবং সংস্থাটি জিওএ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যাহোক, জারা এটি উচ্চমানের এবং যুক্তিসঙ্গত ব্যয়ের জন্য পরিচিত ছিল। ইন্ডাইটেক্স গ্রুপ 2001 সালে সর্বজনীন হয়ে ওরেটেগাকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলেছিল। ওরতেগা তার অসাধারণ রহস্য এবং লো প্রোফাইল দ্বারা বর্ণিত হয়েছে যেভাবেই তিনি গ্রহের অন্যতম ধনী ব্যক্তি।
আমানসিও হ'ল স্পেনের ধনী ব্যক্তি এবং সমস্ত ইউরোপের ধনী ব্যক্তি। তদুপরি, তাঁর প্রতিষ্ঠানের ইন্ডাইটেক্সের সমাবেশে তাঁর উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে, যার মধ্যে জারা, ম্যাসিমো দুতি, ysশো, জারা হোম, কিডির ক্লাস, টেম্প, স্ট্রাডিভিয়ারিয়াস, পুল এবং বিয়ার / প্রায়শই এবং বার্শকার মতো সম্মানিত ছাঁচের চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 75 বছর বয়সে, গাওনা ব্যাক অফ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি ইন্ডিটেক্সের প্রতিদিনের কাজকর্ম থেকে অবসর গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন এবং ইন্ডিটেক্সের উপাধ্যক্ষ এবং সিইও পাবলো ইসলা এই কোম্পানির নেতার কাছে উপস্থিত থাকবেন। তিনি ইন্ডিটেক্সের জমায়েতের সবচেয়ে বড় অংশীদার এবং সংগঠনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে পাবলো ইসলা সিইও এবং চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর জায়গা পেয়েছিলেন। তিনি ইন্ডিটেক্সের সমাবেশ থেকে এখনও বোর্ডে স্বতন্ত্র।
✅ আমানসিও ওড়তেগা: বেতন ও নেট মূল্য
এছাড়াও, এই ব্যবসায়ীটির গ্রহের বৃহত্তম পোশাক খুচরা বিক্রেতা ইন্ডিটেক্সে 59.3 শতাংশ ভাগ রয়েছে যা জারার মূল সংগঠন। 2001 সালে সংগঠনের আইপিও হওয়ার পর থেকে তিনি 4.5 মিলিয়ন ডলারের বেশি লাভ পেয়েছেন।
অরটেগা যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইউরোপে সম্পদ স্থাপন করেছে এবং a ১.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি সম্পত্তি রয়েছে। তদুপরি, তিনি ল্যান্ড ম্যামথ গ্রিলসে 21.6 শতাংশ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স সূচকে ২০১৩ সালে তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হিসাবে নাম লেখালেন।
তিনি এবং বিল গেটস তাদের সময়ের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ছিলেন। আমানসিওর মোট সম্পদ billion 71 বিলিয়ন।
✅ আমানসিও অরতেগা: গুজব এবং বিতর্ক
গুজব রয়েছে যে আমানসিওর কন্যার নাম মার্টা অরতেগা যিনি স্পেনের সবচেয়ে ধনী মহিলা হতে পারে অর্টেগার উত্তরসূরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন