আপনি ফেব্রিক সাপ্লায়ার কিউসি হলে যে বিষয় গুলি মাথায় রাখবেন | fabrics supplier - Textile Lab | Textile Learning Blog
আপনি ফেব্রিক সাপ্লায়ার কিউসি হলে যে বিষয় গুলি মাথায় রাখবেন
 
আপনি যদি ফেব্রিক সাপ্লায়ার কোম্পানির গুলির ফলোয়াপে থাকেন তবে রেগুলার কাজ গুলি আপনার জানার কথা কিন্ত আপনি যদি নতুন জবে জয়েন করেন সেক্ষত্রে অনেক গুলি বিষয় আপনার জানা উচিৎ যাতে আপনি ফেব্রিক ডাইং ফিনিশিং ভালো করে ফলোআপ করতে পারেন। 

১. আপনার এক্সেস ফেব্রিক গুলি সব সময় নিয়ে রোল করে রাখবেন । অনেক সময় আপনার অর্ডারের ফেব্রিক স্যাম্পল ডাইং করে ফেলে রাখা হয় আপনার উচিৎ সেগুলির হিসেব রাখা এবং সেগুলি ডাইং শেষে খুজে ইন্সপেকশন সেকশনে নিয়ে সেটাকে রোল করে রেখে দেয়া।  নয়ত অনেক ফেব্রিকের ভেতর ফ্লোরে আপনার ফেব্রিক হারিয়ে যাবে ।  

২. ব্লিচ মার্সারাইজ ওয়াস করা RFD ফেব্রিক  ২-৩ মিটার করে ল্যাবে রেখে দেয়া  উচিৎ , যাতে ফিউচারে আপনারা ল্যাব ডিপ করার জন্য  দিতে পারেন । আপনার বায়ারের যে কমন ফেব্রিক গুলি ডাইং করা হয় তা হয়ত আপনার ডাইং ফেক্টরিতে নাও থাকতে পারে।  তখন সে ফেব্রিক গুলি ল্যাব ডীপ করতে কাজে লাগবে । 

৩. ফেব্রিক গুলি কোন  খানে আছে তার খোজ রাখতে হবে ।  আপনার ফেব্রিক কোন ব্যাচারে কোন ট্রলিতে এটা ডাইং মিল জানলেও আপনার নলেজে এটা থাকতে হবে তবেই আপনার কাজের সুবিধা হবে। 
৪. ল্যাবে যারা আছে তাদের ল্যাবডিপ করাতে প্রায় প্রায় তাদের নাস্তার ব্যাবস্থা ইচ্ছে করে করুন ।  কারন আপনার কাজ এতে আটকে থাকবে না তারা ইচ্ছে করেই দ্রুত বের করে দিবে ।  এটা কমন পলিসি এটা লিখে ব্যাখ্যা করা যায়না । যতো দ্রুত ল্যাব ডিপ তত দ্রুত অর্ডার কনফার্ম হবে । 

৫. ফ্লোরে লোডার,  ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্ট এ খাওয়ান মাঝে মাঝে দেখবেন আপনার ফেব্রিক নস্ট হবে না তারা যত্ন করে রেখে দিবে । ফাস্টট্রেক সার্ভিস পাবেন । 

৬. যে এলাকায় ফেক্ট্রিতে ফলোআপ করবেন সেখা বাসা নিয়ে নিবেন । অনেক সময় ঢাকা থেকে গিয়ে গাজীপুর ভালুকা কোনাবাড়ি নারায়ণগঞ্জ ফলোআপ সম্ভব না।  তাই কাজ বেশি যে ফেক্টরিতে থাকবে সেখানের পাশে একটা মেসে সিট নিয়ে নিবেন। এতে রাতে দিনে সব সময় আপনার ফলোআপ করার সুবিধা  হবে। 

৭. এলাকার সিএনজি, পিকয়াপ, কাভার্ড ভ্যান এর সাথে যোগাযোগ করে চুক্তি করে রাখুন যাতে সময় মতো তাদের পেয়ে যান ।

৮. সব সময় সোয়াচ আপনার কাছে একটা রেফারেন্স আকারে রাখার ট্রাই করবেন যাতে করে কোন ভাবে সোয়াচ মিসিং হয়ে না যায়। মেজরিটি টাইমে ফেব্রিকের সোয়াচ হারিয়ে ফেলে। 

৯. হোয়াইটস এপ ইউজ করার ট্রাই করুন যে কোন ডকুমেন্টস হোয়াটসঅ্যাপ এ সেন্ড করুন। আর কল রেকর্ডার ইউজ করুন ফোনে কারন টেক্সটাইল এ অনেক সময় কাজের দায় কেও নেন না তখন এই রেকর্ড গুলি খুবি কাজে দেয় । 

১০. ডাইং এ কথার বিশ্বাস করবেন না যতোক্ষণ পর্যন্ত আপনি চোখে না দেখেন নিজের, ডাইং শুরু হবে বললেও নিজের চোখে মেশিন চালু না হওয়া পর্যন্ত যাবেন না । 

১১. যেখানেই যাবেন টপ ম্যানেজমেন্ট টু অপারেটর সবার নাম্বার রাখবেন এতে আপনার আপডেট পেতে অনেক সুবিধা হবে। আপনি বায়ার তাই যেকোন প্রয়োজনে কল দিতে হেজিটেইট করবেন না । 

১২. না বুঝে নিজে ডিসিশন নেবেন না প্রয়োজন এ সোয়াচ কেটে নিয়ে এপ্রুভ করিয়ে এনে পরে মাল ডেলিভারিতে যাবেন।  নিজের রিক্সে ডেলিভারি দিলে কারেকশন এর জন্য আবার রিটার্ন আনতে হবে । 

১৩. গার্মেন্টস এ মাঝে মাঝে ঘুরে আসবেন কাজ কেমন যাচ্ছে দেখবেন, ১০-২০ গজ এডিশনাল লাগলে দিয়ে দিবেন ঝগড়ায় যাবেন না কারন ১০-২০ গজ এমনি বাড়ে তাই এর খোজ কেও রাখবেনা । আপনার টার্গেট হচ্ছে এক্সেপ্টেন্স নেয়া ।  আপনি সেটা করান। 

১৪. প্রিন্ট হলে ৮-১০% প্রসেস লস দিন যদি কোয়ানটিটি কম হয় ।  না হয় পরে আবার কাজ করানো লাগবে ।  প্রন্ট ডিপার্টমেন্ট এ কতো ফেব্রিক দিলেন আবার কিউরিং এর পর তা বুঝে নিবেন। আবার ফিনিশ এর পর হিসেব বুঝে নিন। 

১৫. ফেব্রিক এর স্রিংকেজ রাবিং মেন্ডাটরি না হলেও এর রিপোর্ট সব সময় মেইন্টেইন করবেন।

১৬. রিপোর্ট করার জন্য সময় হাতে রেখে আপনার মার্চেন্ডাইজিং মার্কেটিং এর লোককে জানান, রেডি হয়ে যাবার পরো জানান যে প্রসেস হচ্ছে খুব শীঘ্রই কাপড় রেডি হচ্ছে ।  

১৭. পিপি দিতে বাল্ক থেকে দিন আলাদা ভাবে পিপি করলে সেড মিলবেনা সহজে। 

১৮. যদি সেডের সমস্যা থাকে তবে একটা ডাটাকালার CMC Report নিয়ে যাবেন এপ্রুভ করার জন্য । এপ্রুভ না হলে বার্গেইন করতে যাবেন না আবার নিয়ে যাবেন প্রসেস করে ।  তাদের সেড লাইট বক্সে দেখান। 

১৯. ডেইলি বিল কস্ট গুলি আপনি অবশ্যই লিখে রাখেন ডাইরিতে।  হুট করে ফ্লোরে টাকা খরচ করবেন না। 

২০. সকাল বেলা যখন ডাইং প্রোগ্রাম লিখা হয় চেস্টা করবেন যাতে আপনার ডাইং প্রোগ্রাম টা আগে লিখা হয় ।  এর পর ল্যাবে যাবেন আপনার ল্যাব ডিপের আপডেট নিবেন। তার পর ডেলিভারিতে কি রেডি আছে তার স্টেটাস নিবেন ।  সব গুলি রিপোর্ট আকারে টেক্সট করে আপনার অফিসে পাঠিয়ে দিবেন। 

২১. সেড কারেকশনের আশায় ফেলে রাখবেন না দ্রুত এপ্রুভালের জন্য আপনি নিয়ে যাবেন, সেড ন্র‍্যার সময় ভালো রোলের সেড কেটে ভালো জিএসএম দেখে নিয়ে যাবেন । 

বিদ্রঃ 
ফেব্রিক কিউসি এর কাজ করতে ১০০ কল আর গালি দোষারোপ এগুলিকে কেয়ার করা যাবেনা। প্রতিটি কল এটেন্ড করতে হবে । পারত পক্ষে কোন খানে বিবাদে জড়াবেন না হোক গার্মেন্টস হোক ডাইং । কোন সময় মেশিনের সমস্যা ফেইস করলে দ্রুত অন্য ফেক্টরিতে নিয়ে কাজ করান ।

আপনি ফেব্রিক সাপ্লায়ার কিউসি হলে যে বিষয় গুলি মাথায় রাখবেন | fabrics supplier

আপনি ফেব্রিক সাপ্লায়ার কিউসি হলে যে বিষয় গুলি মাথায় রাখবেন
 
আপনি যদি ফেব্রিক সাপ্লায়ার কোম্পানির গুলির ফলোয়াপে থাকেন তবে রেগুলার কাজ গুলি আপনার জানার কথা কিন্ত আপনি যদি নতুন জবে জয়েন করেন সেক্ষত্রে অনেক গুলি বিষয় আপনার জানা উচিৎ যাতে আপনি ফেব্রিক ডাইং ফিনিশিং ভালো করে ফলোআপ করতে পারেন। 

১. আপনার এক্সেস ফেব্রিক গুলি সব সময় নিয়ে রোল করে রাখবেন । অনেক সময় আপনার অর্ডারের ফেব্রিক স্যাম্পল ডাইং করে ফেলে রাখা হয় আপনার উচিৎ সেগুলির হিসেব রাখা এবং সেগুলি ডাইং শেষে খুজে ইন্সপেকশন সেকশনে নিয়ে সেটাকে রোল করে রেখে দেয়া।  নয়ত অনেক ফেব্রিকের ভেতর ফ্লোরে আপনার ফেব্রিক হারিয়ে যাবে ।  

২. ব্লিচ মার্সারাইজ ওয়াস করা RFD ফেব্রিক  ২-৩ মিটার করে ল্যাবে রেখে দেয়া  উচিৎ , যাতে ফিউচারে আপনারা ল্যাব ডিপ করার জন্য  দিতে পারেন । আপনার বায়ারের যে কমন ফেব্রিক গুলি ডাইং করা হয় তা হয়ত আপনার ডাইং ফেক্টরিতে নাও থাকতে পারে।  তখন সে ফেব্রিক গুলি ল্যাব ডীপ করতে কাজে লাগবে । 

৩. ফেব্রিক গুলি কোন  খানে আছে তার খোজ রাখতে হবে ।  আপনার ফেব্রিক কোন ব্যাচারে কোন ট্রলিতে এটা ডাইং মিল জানলেও আপনার নলেজে এটা থাকতে হবে তবেই আপনার কাজের সুবিধা হবে। 
৪. ল্যাবে যারা আছে তাদের ল্যাবডিপ করাতে প্রায় প্রায় তাদের নাস্তার ব্যাবস্থা ইচ্ছে করে করুন ।  কারন আপনার কাজ এতে আটকে থাকবে না তারা ইচ্ছে করেই দ্রুত বের করে দিবে ।  এটা কমন পলিসি এটা লিখে ব্যাখ্যা করা যায়না । যতো দ্রুত ল্যাব ডিপ তত দ্রুত অর্ডার কনফার্ম হবে । 

৫. ফ্লোরে লোডার,  ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্ট এ খাওয়ান মাঝে মাঝে দেখবেন আপনার ফেব্রিক নস্ট হবে না তারা যত্ন করে রেখে দিবে । ফাস্টট্রেক সার্ভিস পাবেন । 

৬. যে এলাকায় ফেক্ট্রিতে ফলোআপ করবেন সেখা বাসা নিয়ে নিবেন । অনেক সময় ঢাকা থেকে গিয়ে গাজীপুর ভালুকা কোনাবাড়ি নারায়ণগঞ্জ ফলোআপ সম্ভব না।  তাই কাজ বেশি যে ফেক্টরিতে থাকবে সেখানের পাশে একটা মেসে সিট নিয়ে নিবেন। এতে রাতে দিনে সব সময় আপনার ফলোআপ করার সুবিধা  হবে। 

৭. এলাকার সিএনজি, পিকয়াপ, কাভার্ড ভ্যান এর সাথে যোগাযোগ করে চুক্তি করে রাখুন যাতে সময় মতো তাদের পেয়ে যান ।

৮. সব সময় সোয়াচ আপনার কাছে একটা রেফারেন্স আকারে রাখার ট্রাই করবেন যাতে করে কোন ভাবে সোয়াচ মিসিং হয়ে না যায়। মেজরিটি টাইমে ফেব্রিকের সোয়াচ হারিয়ে ফেলে। 

৯. হোয়াইটস এপ ইউজ করার ট্রাই করুন যে কোন ডকুমেন্টস হোয়াটসঅ্যাপ এ সেন্ড করুন। আর কল রেকর্ডার ইউজ করুন ফোনে কারন টেক্সটাইল এ অনেক সময় কাজের দায় কেও নেন না তখন এই রেকর্ড গুলি খুবি কাজে দেয় । 

১০. ডাইং এ কথার বিশ্বাস করবেন না যতোক্ষণ পর্যন্ত আপনি চোখে না দেখেন নিজের, ডাইং শুরু হবে বললেও নিজের চোখে মেশিন চালু না হওয়া পর্যন্ত যাবেন না । 

১১. যেখানেই যাবেন টপ ম্যানেজমেন্ট টু অপারেটর সবার নাম্বার রাখবেন এতে আপনার আপডেট পেতে অনেক সুবিধা হবে। আপনি বায়ার তাই যেকোন প্রয়োজনে কল দিতে হেজিটেইট করবেন না । 

১২. না বুঝে নিজে ডিসিশন নেবেন না প্রয়োজন এ সোয়াচ কেটে নিয়ে এপ্রুভ করিয়ে এনে পরে মাল ডেলিভারিতে যাবেন।  নিজের রিক্সে ডেলিভারি দিলে কারেকশন এর জন্য আবার রিটার্ন আনতে হবে । 

১৩. গার্মেন্টস এ মাঝে মাঝে ঘুরে আসবেন কাজ কেমন যাচ্ছে দেখবেন, ১০-২০ গজ এডিশনাল লাগলে দিয়ে দিবেন ঝগড়ায় যাবেন না কারন ১০-২০ গজ এমনি বাড়ে তাই এর খোজ কেও রাখবেনা । আপনার টার্গেট হচ্ছে এক্সেপ্টেন্স নেয়া ।  আপনি সেটা করান। 

১৪. প্রিন্ট হলে ৮-১০% প্রসেস লস দিন যদি কোয়ানটিটি কম হয় ।  না হয় পরে আবার কাজ করানো লাগবে ।  প্রন্ট ডিপার্টমেন্ট এ কতো ফেব্রিক দিলেন আবার কিউরিং এর পর তা বুঝে নিবেন। আবার ফিনিশ এর পর হিসেব বুঝে নিন। 

১৫. ফেব্রিক এর স্রিংকেজ রাবিং মেন্ডাটরি না হলেও এর রিপোর্ট সব সময় মেইন্টেইন করবেন।

১৬. রিপোর্ট করার জন্য সময় হাতে রেখে আপনার মার্চেন্ডাইজিং মার্কেটিং এর লোককে জানান, রেডি হয়ে যাবার পরো জানান যে প্রসেস হচ্ছে খুব শীঘ্রই কাপড় রেডি হচ্ছে ।  

১৭. পিপি দিতে বাল্ক থেকে দিন আলাদা ভাবে পিপি করলে সেড মিলবেনা সহজে। 

১৮. যদি সেডের সমস্যা থাকে তবে একটা ডাটাকালার CMC Report নিয়ে যাবেন এপ্রুভ করার জন্য । এপ্রুভ না হলে বার্গেইন করতে যাবেন না আবার নিয়ে যাবেন প্রসেস করে ।  তাদের সেড লাইট বক্সে দেখান। 

১৯. ডেইলি বিল কস্ট গুলি আপনি অবশ্যই লিখে রাখেন ডাইরিতে।  হুট করে ফ্লোরে টাকা খরচ করবেন না। 

২০. সকাল বেলা যখন ডাইং প্রোগ্রাম লিখা হয় চেস্টা করবেন যাতে আপনার ডাইং প্রোগ্রাম টা আগে লিখা হয় ।  এর পর ল্যাবে যাবেন আপনার ল্যাব ডিপের আপডেট নিবেন। তার পর ডেলিভারিতে কি রেডি আছে তার স্টেটাস নিবেন ।  সব গুলি রিপোর্ট আকারে টেক্সট করে আপনার অফিসে পাঠিয়ে দিবেন। 

২১. সেড কারেকশনের আশায় ফেলে রাখবেন না দ্রুত এপ্রুভালের জন্য আপনি নিয়ে যাবেন, সেড ন্র‍্যার সময় ভালো রোলের সেড কেটে ভালো জিএসএম দেখে নিয়ে যাবেন । 

বিদ্রঃ 
ফেব্রিক কিউসি এর কাজ করতে ১০০ কল আর গালি দোষারোপ এগুলিকে কেয়ার করা যাবেনা। প্রতিটি কল এটেন্ড করতে হবে । পারত পক্ষে কোন খানে বিবাদে জড়াবেন না হোক গার্মেন্টস হোক ডাইং । কোন সময় মেশিনের সমস্যা ফেইস করলে দ্রুত অন্য ফেক্টরিতে নিয়ে কাজ করান ।

কোন মন্তব্য নেই: