Buying House | বায়িং হাউজের ক্ষেত্রে ভ্যাট বা মূসক আদায়ের নিয়ম কী ? - Textile Lab | Textile Learning Blog
প্রশ্নঃ  বায়িং হাউজ এর ক্ষেত্রে মূসক এর বিধান কী? 


উত্তরঃ 
বায়িং হাউজ হচ্ছে আমাদের দেশে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের এক ধরনের ব্যবসা। 'বায়িং হাউজ'  শব্দ দুটির ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে, "বাই" মানে কেনা আর "হাউজ' শব্দটি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বায়িং হাউজের মূল কাজ হচ্ছে বিদেশি  বায়ারের সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার নেগোশিয়েট করা। অর্ডার  কনফার্ম হয়ে গেলে সেটা কোন ফ্যাক্টরির মাধ্যমে কমিশনের বিপরীতে এক্সিকিউট করা। বলা যায় বায়িং হাউজ এখানে  কমিশন এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।


মূসক প্রযোজ্য হয় পণ্য/সেবা সরবরাহের ওপর। মূসক আইনের তফসিল দ্বারা 'বায়িং হাউজ' সেবার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়নি। অর্থাৎ 'বায়িং হাউজ' সেবা একটি করযোগ্য সেবা। 


জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নং- ১৮৬- আইন/২০১৯/৪৩-মূসক, তারিখ-১৩/০৬/২০১৯ এর মাধ্যমে করযোগ্য সেবার পরিধি নির্ধারণের লক্ষ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।  উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে 'বায়িং হাউজ' নামে কোন সেবার কোড বা  সংজ্ঞা নাই। তবে সেবার কোড- এস-০১৪.০০ ভুক্ত  "ইন্ডেনটিং সংস্থা"  সেবার ব্যাখ্যার সাথে বায়িং হাউজ কার্যক্রমের অধিক সামঞ্জস্য রয়েছে। 


"ইন্ডেনটিং সংস্থা" অর্থ- 'দেশি বা বিদেশি ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় বা আদান-প্রদান সম্পর্কিত যোগাযোগ স্থাপন অথবা অনুরূপ ক্রয়-বিক্রয় বা আদান-প্রদান সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদনে প্রযোজনীয় সমন্বয় কার্যে নিয়োজিত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।' মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর তৃতীয় তফসিলের টেবিল-১, 'খন্ড-খ' অনুযায়ী এই সেবার বিপরীতে ৫% হারে মূসক প্রযোজ্য। 

রপ্তানির প্রচলিত বিধান (যেমন-বৈদেশিক মুদ্রায় পণ্য/সেবা সরবরাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসন ইত্যাদি)  পরিপালন করা হলে সেক্ষেত্রে বায়িং হাউজ সেবার সরবরাহ "শূন্যহার" বিশিষ্ট হবে।

সেক্ষেত্রে , পণ্য রপ্তানির উদ্দেশ্য স্থাপিত রপ্তানি এলসির রপ্তানিমূল্যের  সাথে বায়িং হাউজ কমিশন আলাদা ও প্রত্যক্ষভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। 

তবে রপ্তানি এলসিতে উল্লিখিত  রপ্তানিমূল্যের সহিত আলাদাভাবে বায়িং হাউজ কমিশন উল্লেখ না থাকলে পরবর্তীতে বাংলাদেশী রপ্তানিকারক বায়িং হাউজকে তা পরিশোধ করলে (রপ্তানি এলসিতে ক্লজ হিসাবে থাকলেও রপ্তানিমূল্যের অতিরিক্ত অর্থ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে) তাতে মূসক প্রযোজ্য হবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি পত্রে নির্দেশনা রয়েছে। 

অধিকাংশ বায়িং হাউজ প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে স্থাপনা/বাড়ি ভাড়া গ্রহণ করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরূপ ক্ষেত্রে "স্থান ও স্থাপনা ভাড়া গ্রহণকারী" সেবার (এস০৭৪.০০) বিপরীতে ভাড়ার ওপর ১৫% হারে ভ্যাট বা মূসক প্রযোজ্য হবে। 



সমন্বয়কারী 
Ibrahim Hossain, 
RO CEVTA Chattogram.

Buying House | বায়িং হাউজের ক্ষেত্রে ভ্যাট বা মূসক আদায়ের নিয়ম কী ?

প্রশ্নঃ  বায়িং হাউজ এর ক্ষেত্রে মূসক এর বিধান কী? 


উত্তরঃ 
বায়িং হাউজ হচ্ছে আমাদের দেশে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের এক ধরনের ব্যবসা। 'বায়িং হাউজ'  শব্দ দুটির ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে, "বাই" মানে কেনা আর "হাউজ' শব্দটি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বায়িং হাউজের মূল কাজ হচ্ছে বিদেশি  বায়ারের সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার নেগোশিয়েট করা। অর্ডার  কনফার্ম হয়ে গেলে সেটা কোন ফ্যাক্টরির মাধ্যমে কমিশনের বিপরীতে এক্সিকিউট করা। বলা যায় বায়িং হাউজ এখানে  কমিশন এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।


মূসক প্রযোজ্য হয় পণ্য/সেবা সরবরাহের ওপর। মূসক আইনের তফসিল দ্বারা 'বায়িং হাউজ' সেবার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়নি। অর্থাৎ 'বায়িং হাউজ' সেবা একটি করযোগ্য সেবা। 


জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নং- ১৮৬- আইন/২০১৯/৪৩-মূসক, তারিখ-১৩/০৬/২০১৯ এর মাধ্যমে করযোগ্য সেবার পরিধি নির্ধারণের লক্ষ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।  উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুসারে 'বায়িং হাউজ' নামে কোন সেবার কোড বা  সংজ্ঞা নাই। তবে সেবার কোড- এস-০১৪.০০ ভুক্ত  "ইন্ডেনটিং সংস্থা"  সেবার ব্যাখ্যার সাথে বায়িং হাউজ কার্যক্রমের অধিক সামঞ্জস্য রয়েছে। 


"ইন্ডেনটিং সংস্থা" অর্থ- 'দেশি বা বিদেশি ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় বা আদান-প্রদান সম্পর্কিত যোগাযোগ স্থাপন অথবা অনুরূপ ক্রয়-বিক্রয় বা আদান-প্রদান সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদনে প্রযোজনীয় সমন্বয় কার্যে নিয়োজিত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।' মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর তৃতীয় তফসিলের টেবিল-১, 'খন্ড-খ' অনুযায়ী এই সেবার বিপরীতে ৫% হারে মূসক প্রযোজ্য। 

রপ্তানির প্রচলিত বিধান (যেমন-বৈদেশিক মুদ্রায় পণ্য/সেবা সরবরাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসন ইত্যাদি)  পরিপালন করা হলে সেক্ষেত্রে বায়িং হাউজ সেবার সরবরাহ "শূন্যহার" বিশিষ্ট হবে।

সেক্ষেত্রে , পণ্য রপ্তানির উদ্দেশ্য স্থাপিত রপ্তানি এলসির রপ্তানিমূল্যের  সাথে বায়িং হাউজ কমিশন আলাদা ও প্রত্যক্ষভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। 

তবে রপ্তানি এলসিতে উল্লিখিত  রপ্তানিমূল্যের সহিত আলাদাভাবে বায়িং হাউজ কমিশন উল্লেখ না থাকলে পরবর্তীতে বাংলাদেশী রপ্তানিকারক বায়িং হাউজকে তা পরিশোধ করলে (রপ্তানি এলসিতে ক্লজ হিসাবে থাকলেও রপ্তানিমূল্যের অতিরিক্ত অর্থ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে) তাতে মূসক প্রযোজ্য হবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি পত্রে নির্দেশনা রয়েছে। 

অধিকাংশ বায়িং হাউজ প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে স্থাপনা/বাড়ি ভাড়া গ্রহণ করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরূপ ক্ষেত্রে "স্থান ও স্থাপনা ভাড়া গ্রহণকারী" সেবার (এস০৭৪.০০) বিপরীতে ভাড়ার ওপর ১৫% হারে ভ্যাট বা মূসক প্রযোজ্য হবে। 



সমন্বয়কারী 
Ibrahim Hossain, 
RO CEVTA Chattogram.

কোন মন্তব্য নেই: