প্লাস্টিক PET বোতল হতে উৎপাদিত রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার ভ্যাট মূসক আদায়যোগ্য হবে কী? - Textile Lab | Textile Learning Blog
প্লাস্টিক PET বোতল হতে উৎপাদিত রিসাইকেল ফাইবার ক্ষেত্রে মূসক আদায় সংক্রান্ত তথ্য




প্লাস্টিক PET বোতল হতে উৎপাদিত রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার মূসক আদায়যোগ্য হবে কী?


উত্তরঃ

খাওয়া হয়ে গেলে পরে পানি বা কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতলগুলোর কথা আমরা ক'জনইবা মনে রাখি। পানি খাওয়ার পর বোতলগুলো আমরা সাধারণত ডাস্টবিনে ফেলে দেই। ফেলে দেয়া সেই বোতলগুলো বর্তমানে রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার   তৈরির কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়, ফেলনা বোতল দিয়েই রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতল হতে সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্লাস্টিক হতে তৈরি রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবারের চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে । প্লাস্টিক হতে উৎপাদিত পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (PSF) বর্তমানে রপ্তানিও হচ্ছে। 


এবার আসুন ফেলে দেয়া প্লাস্টিক হতে রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  উৎপাদনের প্রক্রিয়া জেনে নেই। রাস্তাঘাট, নর্দমা কিংবা আবর্জনার স্তুপ হতে ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতলগুলো ভাংগারির দোকানদার/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্রয় করা হয়। কারখানায় আসা বোতলগুলো থেকে প্রথমে প্লাস্টিকের ক্যাপ সরানো হয়। এরপর সাদা এবং রঙিন বোতল আলাদা করার পালা। পরে বোতলের গায়ের লেবেল তুলে ফেলে পুরো বোতলটি পরিস্কার করে যন্ত্রের মাধ্যমে কেটে ফ্লেক্স  তৈরি করা হয়।  গরম পানি দিয়ে  সেই ফ্লেক্স ধুয়ে ৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৮(আট) ঘন্টা বায়ুনিরোধক ড্রামে রাখা হয়। ভ্যাকুয়াম ড্রামে তাপ দেওয়ার পর তৈরি হয় পেস্ট। সেই পেস্ট স্পিনারেট দিয়ে স্নাইভার করা হয়। এরপর তা সুক্ষ্ম ফাইবার আকারে বের হয়ে আসে।



 ওই সুতা আবার বিভিন্ন আকারে কাটিং করে মেশিনে  ঢোকানোর পর  পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) হিসাবে সাদা তুলা বেরিয়ে  আসে। উৎপাদিত রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  কার্পাস তুলার মতোই নরম ও মসৃণ।  এ থেকে সুতার মতো যে বর্জ্য বের হয় সেটিও আবার রিসাইকল পদ্ধতিতে রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই পিএসএফ দিয়ে স্পিনিং মিল গুলো সুতা (পলিস্টার ইয়ার্ন) তৈরি করে। যেটা জার্সি, গরম কাপড়, ব্লেজার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর বাইরে তৈরি হয় পাপোশ, পর্দা, কার্পেটসহ নানা পণ্য।


প্রশ্ন হচ্ছে পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) উৎপাদন পর্যায়ে মূসক প্রযোজ্য কী? 

যেহেতু পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) আইনের প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত নয়, সেহেতু এই পণ্যের ক্ষেত্রে  উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূসক প্রযোজ্য। তবে, প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নং- ১৪৪- আইন/২০২০/১০৫- মূসক, তারিখ - ১১/০৬/২০২০ এর মাধ্যমে H.S Code - 5503.20.00 ভুক্ত পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) কে শর্ত সাপেক্ষে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে (টেবিল -২) মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। 


শর্ত হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত হিসাবরক্ষণসহ কর চালানপত্র ও  দাখিলপত্রের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করতে হবে এবং শর্ত প্রতিপালন করতে ব্যর্থ হলে অব্যাহতি সুবিধা প্রাপ্য হবে না। 

Written By 
Ibrahim Hossain, 
RO CEVTA Chattogram.

প্লাস্টিক PET বোতল হতে উৎপাদিত রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার ভ্যাট মূসক আদায়যোগ্য হবে কী?

প্লাস্টিক PET বোতল হতে উৎপাদিত রিসাইকেল ফাইবার ক্ষেত্রে মূসক আদায় সংক্রান্ত তথ্য




প্লাস্টিক PET বোতল হতে উৎপাদিত রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার মূসক আদায়যোগ্য হবে কী?


উত্তরঃ

খাওয়া হয়ে গেলে পরে পানি বা কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতলগুলোর কথা আমরা ক'জনইবা মনে রাখি। পানি খাওয়ার পর বোতলগুলো আমরা সাধারণত ডাস্টবিনে ফেলে দেই। ফেলে দেয়া সেই বোতলগুলো বর্তমানে রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার   তৈরির কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়, ফেলনা বোতল দিয়েই রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতল হতে সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্লাস্টিক হতে তৈরি রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবারের চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে । প্লাস্টিক হতে উৎপাদিত পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (PSF) বর্তমানে রপ্তানিও হচ্ছে। 


এবার আসুন ফেলে দেয়া প্লাস্টিক হতে রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  উৎপাদনের প্রক্রিয়া জেনে নেই। রাস্তাঘাট, নর্দমা কিংবা আবর্জনার স্তুপ হতে ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতলগুলো ভাংগারির দোকানদার/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্রয় করা হয়। কারখানায় আসা বোতলগুলো থেকে প্রথমে প্লাস্টিকের ক্যাপ সরানো হয়। এরপর সাদা এবং রঙিন বোতল আলাদা করার পালা। পরে বোতলের গায়ের লেবেল তুলে ফেলে পুরো বোতলটি পরিস্কার করে যন্ত্রের মাধ্যমে কেটে ফ্লেক্স  তৈরি করা হয়।  গরম পানি দিয়ে  সেই ফ্লেক্স ধুয়ে ৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৮(আট) ঘন্টা বায়ুনিরোধক ড্রামে রাখা হয়। ভ্যাকুয়াম ড্রামে তাপ দেওয়ার পর তৈরি হয় পেস্ট। সেই পেস্ট স্পিনারেট দিয়ে স্নাইভার করা হয়। এরপর তা সুক্ষ্ম ফাইবার আকারে বের হয়ে আসে।



 ওই সুতা আবার বিভিন্ন আকারে কাটিং করে মেশিনে  ঢোকানোর পর  পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) হিসাবে সাদা তুলা বেরিয়ে  আসে। উৎপাদিত রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  কার্পাস তুলার মতোই নরম ও মসৃণ।  এ থেকে সুতার মতো যে বর্জ্য বের হয় সেটিও আবার রিসাইকল পদ্ধতিতে রিসাইকেল পলিয়েস্টার ফাইবার  তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই পিএসএফ দিয়ে স্পিনিং মিল গুলো সুতা (পলিস্টার ইয়ার্ন) তৈরি করে। যেটা জার্সি, গরম কাপড়, ব্লেজার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর বাইরে তৈরি হয় পাপোশ, পর্দা, কার্পেটসহ নানা পণ্য।


প্রশ্ন হচ্ছে পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) উৎপাদন পর্যায়ে মূসক প্রযোজ্য কী? 

যেহেতু পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) আইনের প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত নয়, সেহেতু এই পণ্যের ক্ষেত্রে  উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূসক প্রযোজ্য। তবে, প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নং- ১৪৪- আইন/২০২০/১০৫- মূসক, তারিখ - ১১/০৬/২০২০ এর মাধ্যমে H.S Code - 5503.20.00 ভুক্ত পলিস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) কে শর্ত সাপেক্ষে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে (টেবিল -২) মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। 


শর্ত হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত হিসাবরক্ষণসহ কর চালানপত্র ও  দাখিলপত্রের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করতে হবে এবং শর্ত প্রতিপালন করতে ব্যর্থ হলে অব্যাহতি সুবিধা প্রাপ্য হবে না। 

Written By 
Ibrahim Hossain, 
RO CEVTA Chattogram.

কোন মন্তব্য নেই: