জিগার ডাইং মেশিনে ডাইং এর অসুবিধাঃ
আমারা যারা ওভার ডাইংয়ে জব করেন তারা ওভেন ডাইং এর মেজর দুটা ডাইং মেশিন থাকে যেমন
১. প্যাড স্টিম + থার্মোসল + জিগার।
২. CPB + জিগার।
জিগার মুলত ডাইং মেশিনে হলেও এক্সপোর্ট ক্লাস ফেক্টরি গুলিতে ডাইং এর জন্য জিগার কে প্রাইমারী মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়না । জিগার মেশিন আমরা হোয়াইট ফেব্রিক ডাইং এর জন্য ইউজ করি । সাথে এতে ফেব্রিকের সেড লাইট করে স্ট্রিপ করা এবং রিয়েক্টিভ টপিং করার জন্য ব্যাবহার করা হয় । আর কন্টিনিউয়াস মেশিনে ডাইং করা করা হয় , কন্টিনিউয়াস মেশিনের সুবিধা হচ্ছে এতে সেডের কন্টিনিউটি বজায় থাকে ডাইং ফল্টস কম হয় ডাইজ পিক আপ অনেক ভালো হয় ।
জিগারের অসুবিধা হলে এর টেম্পারেচার আপনি যদি এটা কন্ট্রোল না করতে পারেন আপনার সেড এর কোয়ালিটি ভালো হবেনা । ডাইজ সার্কুলেশন সিস্টেম ভালো না উইঞ্চ এবং জেট মেশিনের মতোনা । যার ফলে এতে রোল টু রোল সেড ভেরিয়েশন হয় । টেম্পারেচার এর ভেরিয়েশন হলে টেইলিং চলে আসে এই রোলের এক মাথায় ডিপ অন্য মাথায় লাইট । অভেন ডাইং ফ্লোরে সব মেশিনেই বিপুল পরিমানে স্টিম লাগে মাঝে মাঝে প্রেশার কমে যায় তখন হয় বিপদ । মেশিনের বারে বারে ঢাকনা খোলা লাগে স্যাম্পল চেক করার জন্য অনেক সময় ওপেন করে চালাতে হয় মেশিন যার কারনে ডাইং প্রবলেম গুলি বেশি বেশি হয় । নীট মেশিনের মতো ডাইস্টাফ একেবারে দেয়া হয় না ফেব্রিকের ওয়েটের % অনুযায়ী ।
ওভেন জিগারে ফেব্রিক মিটার থেকে আনুমানিক কেজিতে হাতের ক্যাল্কুলেশনে নেয়া হয় এবং ডাইং gpl থেকে % নিয়ে তারো আবার ৭০-৮০% দেয়া হয় । বারে বারে এডিশন দেয়া হয় আর সোডা সল্ট দেয়া হয় যার ফলে সেডের কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ হয় ।
খুব বেশি বিপদ না হলে আপনি এই মেশিনে ডাইং করতে চাইবেন না আর ডিপ কালার করার তো প্রশ্নই ওঠেনা । হোয়াইট - রিয়েক্টিভ লাইট টু মিডিয়াম সেডের জন্য ঠিক আছে ।
তবে জিগারে সেড গুলি পাকা হয় এর ফাস্টনেস মোটামুটি ভালো হয় । সিপিবি প্যাড স্টিমের তুলনায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন