ভুল করে ফেইসের যায়গায় ফেব্রিকের ব্যাক সাইডে প্রিন্ট হওয়া , এই ভুল রিকোভার করার উপায়ঃ
আমাদের একটা অর্ডার ছিলো যেটা দিয়ে হোয়াইট কালারের উপর অল ওভার প্রিন্ট ছিলো । আমরা হোয়াইট করার পর ফেব্রিক্টিকে প্রিন্ট করার জন্য ব্যাচিং করি৷। কাপড়ের কোয়ানটিটি ছিলো প্রায় ৬ হাজার মিটার । তাই তিন বারে কাপড় টি ব্যাচিং করা হয় ।
একটা ব্যাচারে আমাদের মেশিনের ছেলেরা ভুল করে ফেইস সাইড আপ করে পেচানোর পরিবর্তে তারা ফেইস ডাউন করে পেছিয়ে দেয় । পেচানোর সময় মার্কিং দেয় যাতে পরবর্তীতে তারা এটা ধরতে পারে । এটা কার্ডে লিখে দেয়া ছিলো কাপড় উল্টা আছে অর্ধেক ।
আমাদের প্রিন্টিং ইউনিটের অপারেটর পাগলা সে দেখা দেখি নাই এক স্ক্রিনের ডিজাইন ৭০ স্পিডে সব প্রিন্ট করে দেয় । জয়েন করার সকয় পেছনের গুলি খেয়াল করে নাই ।
৬০০০ এর মতো প্রিন্ট শেষ কিন্ত মাঝে একজন এমনিতে কাপড় টা দেখতেছিলো কেমন হচ্ছে দেখতে দিয়ে দেখে কাপড় উল্টা । মেশিনের স্পিড ঝড়ের মতো তাই বলতেনা বলেতেই শেষ কাপড় ১৫০০ এর মতো ফেব্রিকের ব্যাক সাইডে প্রিন্ট হয়ে যায় ৷
ধরা পড়ার পর দোষারোপ চলতে থাকে । কিন্ত ডাইং এর পক্ষে বাচার মতো যুক্তি ছিলো । মার্কিং দেয়া আর ব্যাচ কার্ডের লিখার কারনে ডাইং ডিপার্টমেন্ট বেচে যায় ।
যাই হোক এটা নিয়ে সাপ্লায়ার অনেক গরম ছিলো , আমাদের মাথায় ধরছিলোনা কি করবো । আমরা আগে একবার এমন ভুল করেছিলাম তখন ব্যাক সাইড এপ্রুভ নেয়া হয় বায়ারের কাছ থেকে তাও অনেক কস্টে । প্রথমে আমাদের এমনি আইডিয়া দিলাম বায়ারকে ।
আমাদের সিনিয়র ম্যানেজার আইডিয়া দিলেন তাদের ব্লাক অর্ডার থাকলে আমরা ব্লাক করে দেই । সাপ্লায়ার কিছু দিন পর রাজি হলেন ।
আমরা পুরা কাপড় কে প্রিন্ট সহ মার্সারাইজ করে ফেলি । তেমন কোন সমস্যা হয়নি । মার্সারাইজ করাই লাগতো কারন হোয়াইট তো ব্লিচ করে করে । পরে এই ফেব্রিক কে আমরা ব্লাক সেডের সাথে ম্যাচিং করতে দেই । ম্যাচিং হলে সেই রেসিপি তে ব্লাক কালার করা হয় । আর ব্যাক সাইডের প্রিন্ট আর ভিজিবল হয়নি । বায়ার তার কাপড় আরামে ডেলিভারি নেন ।
UV লাইটে দেখছি ব্রাইটেনারের ইফেক্ট পাইনি যেটার ভয়ছিলো ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন