টেক্সটাইল বন্ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও জবাব - Textile Lab | Textile Learning Blog
বন্ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও জবাবঃ (১ম পর্ব)




১) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ কি? কত প্রকার? কাস্টমস আইনের কোন ধারায় ওয়্যারহাউজর প্রকারভেদ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ১২ ও ১৩ অনুযায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত কোন সুরক্ষিত স্থান বা ওয়্যারহাউজ যেখানে শুল্কযুক্ত পন্য শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে পরবর্তীতে রপ্তানি ও দেশীয় ভোগের জন্য রক্ষিত হয় এমন স্থানই বন্ডেড ওয়্যারহাউজ। 

বন্ডেড ওয়্যারহাউজ প্রথমত দু প্রকার;
(ক) পাবলিক বন্ডেড ওয়্যারহাউজ 
(২) প্রাইভেট বন্ডেড ওয়্যারহাউজ 

কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১২ অনুযায়ী পাবলিক বা সরকারি বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স প্রদানের কথা উল্লেখ  আছে। একি ভাবে ধারা ১৩ প্রাইভেট বা বেসরকারি বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স প্রদানের কথা উল্লেখ  আছে। 

(২) প্রশ্নঃ বন্ডিং মেয়াদ বলতে কি বুঝায়? আইনের কোন ধারায় কোন শিল্পের জন্য কতদিনের বন্ডিং মেয়াদ প্রদান করা হয়েছে? 

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ৯৮ অনুযায়ী বন্ডিংকৃত পন্য যে নিদিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বন্ডে রক্ষিত থাকে সেটাই হলো পন্যের বন্ডিং মেয়াদ। 

ধারা ৯৮ অনুযায়ী 

(১) রপ্তানীমুখী জাহাজ শিল্পের পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ৪৮ মাস।

(২) রপ্তানীমুখী অন্যান্য শিল্পের পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ২৪ মাস।

(৩) ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউজ রক্ষিত পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ১২ মাস।

(৪) অন্যান্য ক্ষেত্রে  পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ৬ মাস।(এটি মূলত হোম কনজামশন বন্ড) 

(৩) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করা যায়?

উত্তরঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী বন্ড  লাইসেন্স পাবেন ;

(১) সরাসরি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান;

(২) প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান; 

(৩) ডিপ্লোমেটিক, ডিউটি ফ্রি,ডিউটি পেইড প্রতিষ্ঠান;

(৪) সরকারি, বেসরকারি ইপিজেড এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠান;

(৫) বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠান; 

(৬) হাইটেক পার্ক এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠান;



(৪) প্রশ্নঃ জেনারেল বন্ড কি? কোন প্রকৃতির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জেনারেল বন্ড মেয়াদ কতদিন? 

উত্তরঃ শুল্কযুক্ত পন্য  শুল্কবিহীন ভাবে বন্ডে প্রবেশের পূর্বে কাস্টমস এক্ট,১৯৬৯ এর ধারা ৮৬ অনুযায়ী  ২০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বন্ডার যে  অংগীকার সম্বলিত যে বন্ড দেন তাহাই জেনারেল বন্ড। এটিতে বন্ডার ও লিয়েন ব্যংক উভয়ের স্বাক্ষর থাকে। 

(১) সরাসরি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ৩(তিন) কোটি টাকার  জেনারেল বন্ড তিন বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।

(২)  রপ্তানীমুখী প্রচ্ছন্ন  শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১(এক) কোটি টাকার  জেনারেল বন্ড এক বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।

(৩) প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি যুগপৎ  রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২(দুই) কোটি টাকার  জেনারেল বন্ড দুই বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।

(৪) ডিপ্লোমেটিক, ডিউটি ফ্রি, ডিউটি পেইড প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩(তিন) কোটি টাকার জেনারেল বন্ড তিন বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।


(৫) প্রশ্নঃ HS Code?  HS Code সংযোজনের পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক ভাবে পন্য নিদিষ্টকরনের জন্য নির্ধারিত স্বীকৃত ইউনিক কোডই  হলো HS Code, এ কোডের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল দেশের লোকজন বুঝতে পারে ঘোষিত পন্য আসলে কি?  ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশান ব্রাসেলস থেকে এটি প্রতি বছর আপডেট করা হয়।

কোন বন্ড প্রতিষ্ঠান তার লাইসেন্স নতুন কাচামাল (HS Code) সংযোজন করতে চাইলে তাকে তার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বন্ড কমিশনারেটের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করতে হয়। একি সাথে আবেদনে কাচামাল কেন প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করতে হয়। একি সাথে সংশ্লিষ্ট সমিতির সুপারিশ থাকলে ভালো হয়। 

আবেদন দাখিলের পর কাচামালের ব্যবহার বিষয়  সংশ্লিষ্ট বন্ড অফিসার ও রাজস্ব কর্মকর্তা সরেজমিনে যাচাই পূর্বক H.S Code  সুপারিশ করা হলে অতপর সুপারিশ কমিশনার মহোদয় কর্তৃক অনুমোদন হলেই ঐ কাচামাল ও তার এইচ,এস,কোড  বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

(৬) প্রশ্নঃ বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা কি? বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা কি পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়? 

উত্তরঃ জাঃরাঃ বোঃ আদেশ নং ১৪/২০০৮ অনুযায়ী বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্ত  প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তার মেশিনের ক্ষমতা অনুযায়ী বার্ষিক পন্য উৎপাদনের নিমিত্তে কাচামাল আমদানির যে হিস্যা দেওয়া হয় সেটি হলো বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা। 

এটি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে মেশিন স্বাভাবিক ভাবে চালিয়ে উৎপাদন পর্যবেক্ষন করতে হয়। অতপর নিম্নোক্ত ভাবে প্রয়োগ করতে হয়;

বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা = বার্ষিক ৩০০ দিন X প্রতিদিন ২০ ঘন্টা X প্রতি ঘন্টা উৎপাদন। 

নতুন লাইসেন্স প্রদান কালে প্রথম বছর মোট উৎপাদনের ৩০% আমদানি প্রাপ্যতা দেয়া হয়। 

পুরনো লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পূর্ববতী বছরের মোট রপ্তানির সাথে ২০% যোগ করে বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা দেয়া হয়।

(৭) প্রশ্নঃ বার্ষিক অডিটের জন্য দাখিলযোগ্য দলিলাদি কি কি?

উত্তরঃ বার্ষিক অডিটের জন্য দাখিলি দলিলাদি নিম্নরুপঃ

(১) নির্ধারিত ছকে আমদানি রপ্তানি বিবরন যা লিয়েন ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যায়িত। 

(২) বাংলাদেশ ব্যংক থেকে নির্ধারিত  ছকে অডিট  মেয়াদের পি,আর,সি যা লিয়েন ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যায়িত। 

(৩) পাস বই তথ্য। 

(৪) অডিট মেয়াদের এলসি, বি/ই, ইনভয়েস, বি এল।

(৫) অডিট মেয়াদের এলসি, বিল অব এক্সপোর্ট,  ইনভয়েস, বি এল, ইজিএম, রপ্তানি আদেশ, ইউডি আদেশ সমূহের মুল কপি।

(৬) বিজিএমইএ / বিকেএমইএ কর্তৃক ইউডি স্টেটমেন্ট। 

(৭) বন্ড ট্রান্সফার বিবরণ (যদি থাকে)  


(৮) প্রশ্নঃ বন্ড রেজিস্ট্রার কি? কয়টি? এতে কি  তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ১১৪ অনুযায়ী প্রতিটি বন্ড প্রতিষ্ঠান তার বন্ডে কি কি পন্য আছে তার বিবরণ সম্বলিত রেজিস্ট্রারই হলো বন্ড রেজিস্ট্রার। 

রেজিস্ট্রার ২ টি থাকে একটি  মুল কপি যা বন্ড কমিশনারেটে থাকবে। ২য় কপি বন্ডারের কাছে থাকবে। 

প্রতিটি রেজিস্টারে প্রথমে বাম দিকে বি/ই নং আমদানি পন্যের  কমারশিয়াল ডেস্ক্রিপশন, পরিমাণ, ভ্যালু, ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হয়। অতপর ইউপি নিয়ে উৎপাদিত পন্য  রপ্তানি সময় রপ্তানীর সমস্ত  বিবরণ ডান দিকে থাকতে  হয়।

(৯) প্রশ্নঃ লিয়েন ব্যাংক কি? লিয়েন ব্যাংক সংযোজন ও  বিয়োজন পদ্ধতি কি? একটি প্রতিষ্ঠানের কয়টি লিয়েন ব্যাংক তালিকাভুক্ত করতে পারে?

উত্তরঃ বন্ড প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত যে ব্যংকের মাধ্যমে তার ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করে  সেটি হলো লিয়েন।

লিয়েন ব্যাংক সংযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যংকের CIB credit information bereau রিপোর্ট ও পূর্বের লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র সহ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে আবেদন করতে হবে।

লিয়েন ব্যংকের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র সহ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে আবেদন করতে হবে।

লিয়েন ব্যংকের শাখা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শাখার নাম উল্লেখ পূর্বক নিজস্ব প্যাডে  আবেদন করতে হবে।

একটি বন্ড প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ তিনটি লিয়েন ব্যাংক তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এর অধিক লিয়েন ব্যংকের প্রয়োজন হলে বন্ডার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আবেদন করবেন। 

(১০) প্রশ্নঃ সরকারি বকেয়া আদায়ের ধাপ গুলো কি কি? 

উত্তরঃ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট সরকারি পাওনা আদায়ে কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ২০২ অনুযায়ী  ধাপ গুলো মোটামুটি নিম্নরুপঃ-

(১) পাওনা প্রতিষ্ঠানকে দাবীনামা জারী করতে হবে;

(২) উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন অর্থ কোন ব্যংক হিসাবে থাকলে তা থেকে কর্তন করার জন্য ওই ব্যংকে পত্র দিয়ে তা কর্তন করাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ব্যংক একাউন্ট ফ্রিজ করতে হবে।

(৩) উক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্য কোন পন্য কোন কাস্টমস স্টেশনে থাকলে তা আটক করে সরকারি পাওনা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৪) উক্ত প্রতিষ্ঠান যেন কোন আমদানি রপ্তানি করতে না পারে সেজন্য প্রতিষ্ঠানের  BIN LOCK করে দিতে হবে।

(৫) উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠান থাকলে তা তালাবদ্ধ করে কায্যক্রম বন্ধ রাখা বা তথায় রক্ষিত মালামাল আটক করে বিক্র‍য়ের ব্যবস্থা করে সরকারি পাওনা আদায় করতে হবে।

(৬) উক্ত সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেও যদি সরকারি পাওনা আদায় করা না যায়। উক্ত ব্যক্তি যে স্থানে বাসস্থান সে স্থানের স্থাবর সম্পত্তি  নিলাম করে পাওনা আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট মামলা দাখিল করা।


বন্ড বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও  তার সমাধান সংক্ষিপ্ত ভাবে  দেয়া হলোঃ- (২য় পর্বে) 

১) প্রশ্নঃ কোন মূল্যের উপর বিচারিক ক্ষমতা নির্ধারন করা হয়? কাস্টমস আইনের ধারা উল্লেখ পূর্বক বিচারিক ক্ষমতার ধাপগুলি উল্লেখ করুন।

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ভংগ করার অপরাধে কোন পন্য আটক,সাময়িক আটক, বাজেয়াপ্ত  করা হলে তা আইনানুসারে বিচার করা হয়, যে পন্য আটক, সাময়িক আটক, বাজেয়াপ্ত তার প্রকৃত মূল্যের উপর বিচারিক ক্ষমতা নির্ধারন করা হয়।

সেকশন ১৭৯ বিচারিক ক্ষমতার ধাপ গুলো হলোঃ

প্রথমে দেখতে হবে বিচারিক কাজ কে করবেন। নিচে বিচারিক ক্ষমতা কার কতো টাকা দেয়া হলো। 

(ক) কমিশনার ২০+ লাখের অধিক 

(খ) অতিঃ কমিশনার ১৫-২০ লাখ

(গ) যুগ্ম কমিশনার ১০-১৫ লাখ

(ঘ) ডেপুটি কমিশনার ৫-১০ লাখ

(ঙ) সহকারী কমিশনার ৫ লাখ

(চ) রাজস্ব কর্মর্কতা ২ লাখ

দ্বিতীয়তঃ পন্য আটক, সাময়িক আটক, বা বাজেয়াপ্তির লক্ষ্যে কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৬৮ অনুযায়ী ২ (দুই) মাসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ জারী করতে হবে। যাকে উদ্দেশ্য করে কারণ দর্শানো তাকে শুনানীতে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। যদি ঐ ব্যক্তি শুনানীতে অংশ নিতে না পারেন তার পক্ষে অন্য কাউকে উপস্থিত হয়ে শুনানীতে অংশ গ্রহনের সুযোগ দিতে হবে। তার লিখিত জবাব দেয়ার সুযোগ দিতে হবে।

তৃতীয়তঃ অতপর শুনানীতে হাজির হওয়ার পর ঐ ব্যক্তির শুনানীর বক্তব্য, লিখিত জবাব আইনানুযায়ী পর্যালোচনা করতে হবে।  তারপর আদেশ দিতে হবে। তবে কারণ দর্শানো নোটিশ জারী কালে যদি ঐ ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করে সং ক্ষিপ্ত বিচারাদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি চায় তাহলে সংক্ষিপ্ত বিচারাদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।

(২) প্রশ্নঃ ইউপি এর সাথে কি কি দলিল দাখিল করতে হয়? 

উত্তরঃ ইউপি এর সাথে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয় তা নিম্নরুপঃ 

(ক) প্রোফর্মা ইনভয়েস বা পি,আই

(খ) বিবিএলসি(ব্যাক টু ব্যাক এলসি)

(গ) ইউডি এর কপি

(ঘ) সহগ বা কো-ইফিসিয়েন্ট

(ঙ) ইএক্সপি(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

(চ) টিটি/এটিটি(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

(ছ) মাস্টার এলসি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) 

(৩) প্রশ্নঃ আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী  আমদানি নিষিদ্ধ পন্য কি কি?

উত্তরঃ আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ অনুযায়ী আমদানি নিষিদ্ধ পন্য হলোঃ
(১) নিয়ন্ত্রিত পন্যঃ চিংড়ী মাছ,পপি সীড, ভাং,আফিম, ওয়াইন লীজ, প্ট্রোলিয়াম রেসিডিউ,ঘন চিনি, কৃত্রিম সরিষার তেল,কারেন্ট জাল, পিপি ব্যাগ, ২ স্ট্রোক ইঞ্জিনের বাহন, ইত্যাদি।

(২) নিষিদ্ধ পন্যঃ বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়নি এমন মানচিত্র, অশ্লিল বই পুস্তক, ফ্লিম, সিডি, পোস্টার, জবলট ও স্টকলটের পন্য, পুরনো অফিস ইকুইপমেন্ট, জীবন্ত শুকর ও এর পন্য, সকল বর্জ্য, শিল্প স্লাজ, মেকি মুদ্রা ইত্যাদি। 

(৪) প্রশ্নঃBCT  কি? LC,LCA,B/E,BIN,TIN,GSP,IGM,EGM কি ? 

উত্তরঃ BCT Bangladesh Customs Tariff (Schedule) এটি কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ অনুযায়ী করা হয়। এই শিডিউলে  এদেশে আমদানি ও রপ্তানিকৃত সকল পন্যের বানিজ্যিক বর্ননা, শুল্কহার ও আমদানির একক উল্লেখ থাকে। 

LC= Letter of Credit 
LCA= Letter of Credit Authorization(Form)
B/E= Bill of Entry 
BIN= Business Identification No
TIN= Tax Identification Number 
GSP= Generalized system of Preferences
IGM= Import General Manifest
EGM= Export General Manifest 

(৫) প্রশ্নঃ কারখানা স্থানান্তরের জন্য কোন কোন দলিলাদি যাচাই প্রয়োজন ?  

উত্তরঃ কারখানা স্থানান্তরে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয় তা নিম্নরুপঃ

(ক) জায়গার মালিকানা বা ভাড়ার চুক্তিনামা 

(খ) লে আউট প্ল্যান 

(গ) ট্রেড লাইসেন্স 

(ঘ) সমিতির সুপারিশ 

(ঙ) লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র 

(চ) স্থানান্তর কালে অংগীকার নামা

(ছ) সংশোধীত আই,আর,সি/ইআরসি

(জ) সংশোধিত TIN, বিনিয়োগ বোড পত্র

(ঝ) নতুন ঠিকানায় ফায়ার, বিদ্যুৎ বিল
উপরে উল্লেখিত দলিলাদি দাখিল করা হলে যাচাই প্রয়োজন। 

(৬) প্রশ্নঃ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকার অধীন কয়টি ইপিজেড চালু আছে ? 

উত্তরঃ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকার অধীন ২ টি ইপিজেড চালু আছে যথাঃ
(ক) সাভার ( পূর্ব ও পশ্চিম)  ইপিজেড
(খ) আদমজী ইপিজেড 

(৭) প্রশ্নঃ হোম কনজাম্পশন বন্ড কি ?

উত্তরঃ দেশীয় ভোগের জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান পন্য আমদানির সময় শুল্ককর পরিশোধ না করে পন্য ইন্টু বন্ড করে থাকে পরবর্তীতে যতটুকু উৎপাদন বা দেশীয় ভোগের জন্য প্রয়োজন তা বন্ড থেকে সেকশন ১০৪ অনুযায়ী শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস নেবেন বা বাহির করবেন সেটি হলো হোম কমজাম্পশন বন্ড।

(৮) প্রশ্নঃ মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক কর্তৃক কোন ফরমে অনুমোদন প্রয়োজন হয় ?

উত্তরঃ Form XXII

(৯) প্রশ্নঃ কমিশনারের বিচারাদেশের বিরুদ্ধে কোন কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল আবেদন করা যায়? কোন ধারা অনুযায়ী? 

উত্তরঃ কমিশনারের বিচারাদেশের বিরুদ্ধে আপীলাত ট্রাইবুনালে আপীল আবেদন করা যায়।
কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর সেকশন ১৯৬ অনুযায়ী। 

(১০) প্রশ্নঃ ASYCUDA এর পূর্ণরুপ কি? 

উত্তরঃ Automated System For Customs Data

(১১) প্রশ্নঃ দি কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ৩৫ অনুযায়ী আমদানি করা পন্য কত দিনের মধ্যে রপ্তানি করতে হয়?

উত্তরঃ ২(দুই) বছরের মধ্যে রপ্তানি করতে হয়।

(১২) প্রশ্নঃ অসত্য ঘোষণা দিয়ে পন্য আমদানী করা হলে কাস্টমস আইনের কোন ধারা বলে দন্ডাদেশ প্রদান করা যায়?

উত্তরঃ সেকশন ১৫৬(১),(১৪) অনুযায়ী দণ্ডাদেশ প্রদান করা যায়।

(১৩) প্রশ্নঃ মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা যাচাইয়ে কোন পর্যায়ের কর্মর্কতা উপস্থিতি আবশ্যক?

উত্তরঃ পুরাতন প্রতিষ্ঠান হলে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তা আর নতুন লাইসেন্সের  প্রদানের সময়, এ,আর,ও + আর,ও +  এসি/ডিসি উপস্থিতি আবশ্যক। 

(১৪) প্রশ্নঃ নতুন বন্ড লাইসেন্সের আবেদন কত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে? 

উত্তরঃ ৩০ দিনের মধ্যে। 

(১৫) সরাসরি / প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান কি? 

উত্তরঃ যে সকল প্রতিষ্ঠান কাচামাল আমদানি অথবা ব্যাক টু ব্যাক এলসি এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সংগৃহীত কাচামাল দ্বারা উৎপাদিত পন্য সরাসরি দেশের বাহিরে রপ্তানি করে সেটি সরাসরি রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান। 

পক্ষান্তরে যে সকল প্রতিষ্ঠান রপ্তানির নিমিত্তে তার উৎপাদিত পন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে সরাসরি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দেয় সেটি প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান বলে।
 


বন্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও সং ক্ষিপ্ত ভাবে সমাধান দেওয়া হলোঃ  (৩য় পর্বে  ১০ টি)

১) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স কি?

উত্তরঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ ও কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ১২/১৩ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানকে যখন নিদিষ্ট ফর্মে যে লাইসেন্স দেয়া হয় সেটি বন্ড লাইসেন্স। ১২ ধারা অনুযায়ী সরকারি ১৩ ধারা অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বন্ড লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

(২) প্রশ্নঃবন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিলাদি দাখিল করতে হয়?

উত্তরঃ বন্ড লাইসেন্সের আবেদনের সাথে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয় তা নিম্নরুপঃ 

(ক) লাইসেন্স সং যুক্ত ডাটা ফর্ম পূরণ 

(খ) বিনিয়োগ বোর্ড,বিসিক,বস্ত্র প্রত্যায়ন পত্র

(গ) ট্রেড,IRC,ERC, VAT,TIN, NID সনদপত্র 

(ঘ) Memorandum of Articles 

(ঙ) Tax Return + IT10B

(চ) পরিবেশ,বয়লার সনদপত্র(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),ফায়ার সনদ,

(ছ) বিদ্যুৎ,গ্যাস বিল
(জ)সমিতির সুপারিশ করে কমিশনার বরাবর পত্র

(ঝ) বাড়ী ভাড়া চুক্তি/ নিজস্ব জমির দলিল

(ঞ) জেঃবন্ড সক্ষমতা আছে লিয়েন ব্যংকের প্রত্যায়ন

(ট) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আবেদনকারীর নাম,ঠিকানা, ছবি,ফোন তথ্য

(ঠ) ) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দেশের ব্যবসায়িক প্রচলিত রীতিনীতি মেনে চলবেন এমন অংগীকার। 

(ড) এমোনিয়া প্রিন্টে লে আউট প্ল্যান 

(ঢ) কল কারখানা সনদ

(৩) প্রশ্নঃ লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিন? কি কারণে লাইসেন্স বাতিল করা যায়?

উত্তরঃ লাইসেন্স মেয়াদ ২ বছর। 

লাইসেন্স শর্ত ভংগ ও রাজস্ব ফাকির সাথে সর্বদা জড়িত থাকলে আবার বন্ডারের আবেদনের প্রেক্ষিতেও লাইসেন্স স্থগিত / বাতিল করা যায়।

(৪) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কে বা কারা ? 

উত্তরঃ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বন্ডের অধিক্ষেত্রে যে সকল জেলা/থানা/এলাকা সেই ক্ষেত্রে স্ব স্ব বন্ড কমিশনার, এতদ্ব্যতিত অন্যান্য সকল এলাকার জন্য ঐ সকল এলাকার মূসক কমিশনার। 

(৫) প্রশ্নঃ কন্টিনিউয়াস বন্ড লাইসেন্স কি? এ বন্ড লাইসেন্সের শর্ত কি?

উত্তরঃ জাঃরাঃ বোর্ডের সাধারণ আদেশ নং ১২/২০০৮/শুল্ক/৪৩৯(১-১৫) তাং ১০/৬/২০০৮ অনুযায়ী একি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান তার সমজাতীয় কাজ নিদিষ্ট এলাকার মধ্যে করার জন্য মুল লাইসেন্সের অধীনে অন্য স্থান থেকে করর্মকান্ড পরিচালনার জন্য যে আদেশ পান সেটি হলো কন্টিনিউয়াস বন্ড লাইসেন্স।

কন্টিনিউয়াস বন্ড লাইসেন্সের শর্তঃ
(ক) একি মালিকানাধীন বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের
ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্ত হবে।
(খ) এক লাইসেন্সের আওতায় ২ টি স্থান এ সুবিধা পাবে।
(গ) নীট, ওভেন, ডাইং ও প্রিন্টিং,টাওয়েল, লিলেন ও হোম টেক্সটাইল খাত এ সুবিধা পাবে।
(ঘ) বন্ড কমিশনারেটের মুল প্রতিষ্ঠানের ৬০ কিঃমিঃ রেডিয়াসের মধ্যে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ কার্যক্রম রয়েছে সেসব এলাকায় কন্টিনিউয়াস সুবিধা প্রদান করা যাবে।
(ঙ) কন্টিনিউয়াস বন্ড  মুল লাইসেন্সের অধীনে হলেও তাকে মুল প্রতিষ্ঠানে যে সকল খাতাপত্র দলিলাদি সংরক্ষণ করে এখানেও সেই একি প্রকার হিসেব নিকেশ রাখতে হবে। 

(৬) প্রশ্নঃ আন্তঃ বন্ড স্থানান্তর কি? স্থায়ী ও আন্তঃবন্ড স্থানান্তরের জন্য কি কি দলিলাদি দাখিল করতে হয়? 

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর সেকশন ৯৯ অনুযায়ী কোন দুটি প্রতিষ্ঠান যদি ক্রেতার চাহিদার প্রেক্ষিতে এক বন্ডে বন্ডিংকৃত  পন্য অন্য বন্ডারের নিকট স্থানান্তর করে সেটি হলো আন্তঃবন্ড স্থানান্তর। 

আন্তঃবন্ড স্থানান্তরে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয়ঃ
(ক) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্র। 
(খ) পন্য/কাচামাল হস্তান্তরকারী কাচামাল আমদানি সংক্রান্ত সকল বানিজ্যিক দলিলাদি দাখিল করবেন। 
(গ) লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র। 
(ঘ) কাচামাল  গ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানের এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট, ব্যাক টু ব্যাক এলসি, পি,আই, ইউডি, ক্রয় আদেশের কপি।
(ঙ) স্থানান্তরতব্য কাচামালের নমুনা। 
(চ) সংশ্লিষ্ট সমিতির সুপারিশ। 
(ছ) পন্য স্থানান্তর কালে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়িত্ব আন্তঃবন্ড প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহনের রিক্স বন্ড।

উক্ত দলিলাদি দাখিল সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই আন্তে আন্তঃ বন্ড স্থানান্তরের আদেশ দেয়া যাবে। এখানে উল্লেখ যে বন্ড স্থানান্তরের এ তথ্য উভয় প্রতিষ্ঠানের পাস বইতে এন্ট্রি দিয়ে আপডেট করিয়ে নিতে হবে।

(৭) প্রশ্নঃ পাশ বই কি এটা কেন প্রয়োজন? 

উত্তরঃ শতভাগ রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান তার আমদানী রপ্তানীর তথ্য যে বইতে এন্ট্রি দিয়ে পন্য আমদানী রপ্তানী করেন সেটাই হলো পাশ বই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দুইটি পাশ বই থাকবে। একটি কাস্টমস কপি কাস্টমস এর দপ্তরে থাকবে অপরটি ডুপ্লিকেট পাশ বই এটি বন্ডারের প্রতিষ্ঠানে থাকবে। 

এছাড়া ডিপ্লোমেটিক, ও ডিউটি পেইড বন্ডের মালামাল ক্রয়ের জন্যও ডিপ্লোমেট ও সহযোগী সংস্থার লোকজন নিকট বন্ড কমিশনারেট থেকে পাশ বই ইস্যু করা হয়ে থাকে। এটিও এক ধরনের পাশ বই।

একজন বন্ডারের আমদানী রপ্তানী ও একজন প্রিভিলেজপ্রাপ্ত ব্যক্তির পন্য ক্রয়ের হিসাবে At a glance দেখার জন্য এবং হিসেব নিকেশ রাখার জন্য  পাশ বই এর গুরুত্ব অত্যাধিক। 

(৮) প্রশ্নঃ কমিশারিয়েট কি?

উত্তরঃ ইপিজেড সমূহের অভ্যন্তরে তথায় কর্মরত ও অবস্থানরত বিদেশি ইনভেস্টরদের পানিয়, লিকার খাদ্যদ্রব্য ও অন্যবিধ সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠানই হলো কমিশারিয়েট। এটি ইপিজেড অভ্যন্তরে অবস্থিত থাকবে।

(৯) প্রশ্নঃ ইপিজেডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ ইপিজেডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান সমুহকে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথমে সাময়িক বন্ড রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয়। সাময়িক বন্ড রেজিষ্ট্রেশন দিতে যা যা লাগে তা হলোঃ

(11) Prayer on letter head pad with list of products.
(2) BEPZA Request letter.
(3) Factory set up permission.
(4) Lease agreement.
(5) Factory lay out plan/ Blue print.
(6) Memorandum of Article of Association.
(7) VAT Registration.
(8) Trade license. IRC. ERC.
(9) General bond signed by bonder as per RJSC.
(10) Bank certificate.
(11) Power in favor of Authorised person / Signatory
(12) Data entry from for BEPZA Investors.

দলিলাদিসহ আবেদন প্রাপ্তির পর বন্ড লাইসেন্স টিম প্রস্তাবিত প্রতিস্টান এলাকা/প্লট ভিজিট করবেন। অতপর দলিলাদি যাচাই বাচাই করে টেম্পোরারি  বন্ড রেজিস্ট্রেশন প্রদানের নিমিত্তে কমিশনার বরাবর প্রস্তাব  দেবেন।  কমিশনার সন্তোষজনক প্রতিয়মান হলে আবেদনকারী প্রতিস্টান কে Temporary Bond Registration দেবেন।

ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান  নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে (১ বছর) তার ফ্যাক্টরি সেট আপ করবেন, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান সেট আপ না করতে পারলে আবেদনকারী জাঃরাঃবোর্ডে  গিয়ে সময় বাড়িয়ে আনবেন । তারপর নিম্নেলিখিত দলিলাদি সহ পার্মানেন্ট বন্ড রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন :

(1) List of installed machinery.
(2) List of Raw materials with H.S.CODE
(3) Fire license
(4) Environment certificate (if necessary)
(5) Final General Bond( Risk + Duty)

এবার লাইসেন্স দল প্রতিষ্ঠান পুনরায় পরিদর্শন করবেন। প্রতিষ্ঠান যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশনার বরাবর পার্মানেন্ট  বন্ড রেজিস্ট্রেশন প্রদানের জন্য প্রস্তাব দেবেন। কমিশনার মহোদয় সন্তোষ্ঠ ও সন্তোষজনক প্রতিয়মান মনে করলে প্রস্তাব অনুমোদন দেবেন এবং প্রতিষ্ঠান  অনুকূলে বন্ড রেজিস্ট্রেশন প্রদান করবেন। 

(১০) প্রশ্নঃবন্ডে আমদানীকৃত কাচামাল ত্রুটিজনিত কারনে পুনঃরপ্তানী করা যায় কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ রপ্তানী করা যায়।



বন্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও সমাধান দেয়া হলোঃ- (৪থ পর্বে ১০টি)

(১) প্রশ্নঃ বন্ড লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কে ?

উত্তরঃ ঢাকা, চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটের অধিক্ষেত্র এলাকার ক্ষেত্রে বন্ড কমিশনার অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনার।  

(২) প্রশ্নঃ কোন কর্তৃপক্ষ বেসরকারি বন্ড লাইসেন্স প্রদান করেন? লাইসেন্স বাতিল করতে হলে কত দিনের মধ্যে বা মাসের মধ্যে নোটিশ প্রদান করে প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হয়?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী বন্ড কমিশনার বেসরকারি বন্ড লাইসেন্স প্রদান করেন। ৩০ দিন সময় দিয়ে নোটিশ দিয়ে লাইসেন্স বাতিল করতে হয়। জারীকৃত নোটিশে অবশ্যই বন্ডারকে শুনানির সুযোগ দিতে হবে।  অবশ্য বাতিলের আগে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট কোন সরকারি পাওনা আছে কিনা তা প্রতিষ্ঠানের আমদানি রপ্তানি যাচাই বা অডিট করে দেখতে হয়।

(৩) প্রশ্নঃ কাটিং তদারকি কি ?

উত্তরঃ শতভাগ রপ্তানীমূখী প্রতিষ্ঠানের কাচামাল বিশেষ করে কাপড় আমদানী কালে ঐ কাপড় রপ্তানি হবে কিনা এমন সংশয়ের উদ্রেক হলে ঐ কাচামাল ( কাপড়)  দিয়ে পন্য উৎপাদনের সময় বন্ড অফিসারের উপস্থিতিতে কাপড় কাটা ও পোষাক তৈরী তদারকি করার জন্য পন্য আমদানী স্টেশন থেকে পত্র মারফত অনুরোধ করা  হয় সে অনুযায়ী বন্ড কমিশনারেট হতে তদারকি  করাই  হলো কাটিং তদারকি। 

(৪) প্রশ্নঃ রিক্স বন্ড কি? 

উত্তরঃ বন্ড প্রতিষ্ঠানের পন্য, কাচামাল বা মেশিনারি স্থানান্তর যদি পন্য, কাচামাল ও মেশিনারি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন্ডার দায়ী থাকবেন ও ক্ষতিগ্রস্ত পন্যের শুল্ককর দিতে বাধ্য থাকবেন  বলে ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অংগীকার নামা বা বন্ড নেওয়া হয় সেটি হলো রিক্স বন্ড।

(৫) প্রশ্নঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর কোন ধারা বলে অন্য দপ্তরের সহায়তা কামনা করা হয় ?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ৭ অনুযায়ী অন্য দপ্তরের সহায়তা কামনা করা হয়। 
(৬) প্রশ্নঃ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে দাবীনামা থাকলে বন্ড লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ আছে কি?

উত্তরঃ জাঃরাঃবোঃ পত্র নং-৩(৪)শুল্কঃরপ্তানীওবন্ড/২০০২/৭২(১৯),তাং-৭/০২/১৬ খ্রিঃ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান বন্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে উক্ত আবেদনকারীর ইতোপূর্বে লাইসেন্স প্রাপ্ত কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নিকট সরকারি পাওনা,দাবীনামা, বা দাবীনামা সংক্রান্ত কোন রীট মামলা থাকলে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উক্ত দাবীনামা পরিশোধ না করা পর্যন্ত বন্ড লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ নেই।

(৭) প্রশ্নঃ সম্পূর্ণ রপ্তানীমুখী ( প্রচ্ছন্ন)  শিল্প প্রতিষ্ঠান পন্য খালাসের কতদিনের মধ্যে ইনবন্ড করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে? 

উত্তরঃ ৫(পাচ) দিনের মধ্যে। 

(৮) প্রশ্নঃ মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কি কি দলিলাদি দাখিল করা প্রয়োজন? 

উত্তরঃ মালিকানা পরিবর্তন করতে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয়ঃ-
(ক) মালিকানা পরিবর্তন বিষয় কোঃ বোড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ;
(খ) বিনিয়োগ বোড অনুমোদিত পরিবর্তিত মালিকানা কাঠামো;
(গ) RJSC অনুমোদিত Form XXII & 117
(ঘ) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারিকৃত নতুন মালিকগনের বিস্তারিত তথ্য, নমুনা স্বাক্ষর, ছবি, ও দায়দেনা বহনে অংগীকার নামা ;
(ঙ) নতুন মালিকের জাতীয়তা সনদ বা পাসপোর্ট কপি;
(চ) লিয়েন ব্যাংক অনাপত্তিপত্র ও নতুন মালিকের বন্ড করার সক্ষমতা পত্র;
(ছ) নতুন মালিকের ২০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জেনারেল বন্ড ;

এই সকল দলিলাদিসহ কোঃ নিজস্ব প্যাডে আবেদন করবেন। আবেদন যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় অফিসার অনুমোদন দেবেন। 

(৯) প্রশ্নঃ বন্ডিং মেয়াদ উত্তীর্ণ কাপড় কিভাবে ব্যবস্থিত হবে?

উত্তরঃ সেকশন ৯৮ অনুযায়ী বন্ডিং মেয়াদ উত্তীর্ণ কাপড় দাবীনামা জারী করে শুল্ককর আদায় করে নিতে হবে। তবে কাপড়ের গুনগত মান ঠিক থাকলে বন্ডার কমিশনার এর কাছে আবেদন করে ৩ মাস ও জাঃরাঃবোডে আবেদন করে ৩ মাস সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন। উক্ত সময়ের মধ্যে যদি বন্ডার নতুন কোন রপ্তানি আদেশ পান তাহলে রপ্তানিও করার সুযোগ পাবেন।

(১০) প্রশ্নঃ ন্যায় নির্নয়ন আদেশর বিরুদ্ধে কত দিনের মধ্যে আপীল করতে হয়;

উত্তরঃ ৯০ দিনের মধ্যে আপীল করতে হয়।

Written By:  
Ibrahim Hossain RO, Customs Training Academy,Chittagong
 

টেক্সটাইল বন্ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও জবাব

বন্ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও জবাবঃ (১ম পর্ব)




১) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ কি? কত প্রকার? কাস্টমস আইনের কোন ধারায় ওয়্যারহাউজর প্রকারভেদ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ১২ ও ১৩ অনুযায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত কোন সুরক্ষিত স্থান বা ওয়্যারহাউজ যেখানে শুল্কযুক্ত পন্য শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে পরবর্তীতে রপ্তানি ও দেশীয় ভোগের জন্য রক্ষিত হয় এমন স্থানই বন্ডেড ওয়্যারহাউজ। 

বন্ডেড ওয়্যারহাউজ প্রথমত দু প্রকার;
(ক) পাবলিক বন্ডেড ওয়্যারহাউজ 
(২) প্রাইভেট বন্ডেড ওয়্যারহাউজ 

কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১২ অনুযায়ী পাবলিক বা সরকারি বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স প্রদানের কথা উল্লেখ  আছে। একি ভাবে ধারা ১৩ প্রাইভেট বা বেসরকারি বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স প্রদানের কথা উল্লেখ  আছে। 

(২) প্রশ্নঃ বন্ডিং মেয়াদ বলতে কি বুঝায়? আইনের কোন ধারায় কোন শিল্পের জন্য কতদিনের বন্ডিং মেয়াদ প্রদান করা হয়েছে? 

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ৯৮ অনুযায়ী বন্ডিংকৃত পন্য যে নিদিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বন্ডে রক্ষিত থাকে সেটাই হলো পন্যের বন্ডিং মেয়াদ। 

ধারা ৯৮ অনুযায়ী 

(১) রপ্তানীমুখী জাহাজ শিল্পের পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ৪৮ মাস।

(২) রপ্তানীমুখী অন্যান্য শিল্পের পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ২৪ মাস।

(৩) ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউজ রক্ষিত পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ১২ মাস।

(৪) অন্যান্য ক্ষেত্রে  পন্যের বন্ডিং মেয়াদ ৬ মাস।(এটি মূলত হোম কনজামশন বন্ড) 

(৩) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করা যায়?

উত্তরঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী বন্ড  লাইসেন্স পাবেন ;

(১) সরাসরি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান;

(২) প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান; 

(৩) ডিপ্লোমেটিক, ডিউটি ফ্রি,ডিউটি পেইড প্রতিষ্ঠান;

(৪) সরকারি, বেসরকারি ইপিজেড এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠান;

(৫) বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠান; 

(৬) হাইটেক পার্ক এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠান;



(৪) প্রশ্নঃ জেনারেল বন্ড কি? কোন প্রকৃতির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জেনারেল বন্ড মেয়াদ কতদিন? 

উত্তরঃ শুল্কযুক্ত পন্য  শুল্কবিহীন ভাবে বন্ডে প্রবেশের পূর্বে কাস্টমস এক্ট,১৯৬৯ এর ধারা ৮৬ অনুযায়ী  ২০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বন্ডার যে  অংগীকার সম্বলিত যে বন্ড দেন তাহাই জেনারেল বন্ড। এটিতে বন্ডার ও লিয়েন ব্যংক উভয়ের স্বাক্ষর থাকে। 

(১) সরাসরি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ৩(তিন) কোটি টাকার  জেনারেল বন্ড তিন বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।

(২)  রপ্তানীমুখী প্রচ্ছন্ন  শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১(এক) কোটি টাকার  জেনারেল বন্ড এক বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।

(৩) প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি যুগপৎ  রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২(দুই) কোটি টাকার  জেনারেল বন্ড দুই বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।

(৪) ডিপ্লোমেটিক, ডিউটি ফ্রি, ডিউটি পেইড প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩(তিন) কোটি টাকার জেনারেল বন্ড তিন বছরের জন্য দাখিল করতে হয়।


(৫) প্রশ্নঃ HS Code?  HS Code সংযোজনের পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক ভাবে পন্য নিদিষ্টকরনের জন্য নির্ধারিত স্বীকৃত ইউনিক কোডই  হলো HS Code, এ কোডের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল দেশের লোকজন বুঝতে পারে ঘোষিত পন্য আসলে কি?  ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশান ব্রাসেলস থেকে এটি প্রতি বছর আপডেট করা হয়।

কোন বন্ড প্রতিষ্ঠান তার লাইসেন্স নতুন কাচামাল (HS Code) সংযোজন করতে চাইলে তাকে তার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বন্ড কমিশনারেটের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করতে হয়। একি সাথে আবেদনে কাচামাল কেন প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করতে হয়। একি সাথে সংশ্লিষ্ট সমিতির সুপারিশ থাকলে ভালো হয়। 

আবেদন দাখিলের পর কাচামালের ব্যবহার বিষয়  সংশ্লিষ্ট বন্ড অফিসার ও রাজস্ব কর্মকর্তা সরেজমিনে যাচাই পূর্বক H.S Code  সুপারিশ করা হলে অতপর সুপারিশ কমিশনার মহোদয় কর্তৃক অনুমোদন হলেই ঐ কাচামাল ও তার এইচ,এস,কোড  বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

(৬) প্রশ্নঃ বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা কি? বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা কি পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়? 

উত্তরঃ জাঃরাঃ বোঃ আদেশ নং ১৪/২০০৮ অনুযায়ী বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্ত  প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তার মেশিনের ক্ষমতা অনুযায়ী বার্ষিক পন্য উৎপাদনের নিমিত্তে কাচামাল আমদানির যে হিস্যা দেওয়া হয় সেটি হলো বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা। 

এটি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে মেশিন স্বাভাবিক ভাবে চালিয়ে উৎপাদন পর্যবেক্ষন করতে হয়। অতপর নিম্নোক্ত ভাবে প্রয়োগ করতে হয়;

বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা = বার্ষিক ৩০০ দিন X প্রতিদিন ২০ ঘন্টা X প্রতি ঘন্টা উৎপাদন। 

নতুন লাইসেন্স প্রদান কালে প্রথম বছর মোট উৎপাদনের ৩০% আমদানি প্রাপ্যতা দেয়া হয়। 

পুরনো লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পূর্ববতী বছরের মোট রপ্তানির সাথে ২০% যোগ করে বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা দেয়া হয়।

(৭) প্রশ্নঃ বার্ষিক অডিটের জন্য দাখিলযোগ্য দলিলাদি কি কি?

উত্তরঃ বার্ষিক অডিটের জন্য দাখিলি দলিলাদি নিম্নরুপঃ

(১) নির্ধারিত ছকে আমদানি রপ্তানি বিবরন যা লিয়েন ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যায়িত। 

(২) বাংলাদেশ ব্যংক থেকে নির্ধারিত  ছকে অডিট  মেয়াদের পি,আর,সি যা লিয়েন ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যায়িত। 

(৩) পাস বই তথ্য। 

(৪) অডিট মেয়াদের এলসি, বি/ই, ইনভয়েস, বি এল।

(৫) অডিট মেয়াদের এলসি, বিল অব এক্সপোর্ট,  ইনভয়েস, বি এল, ইজিএম, রপ্তানি আদেশ, ইউডি আদেশ সমূহের মুল কপি।

(৬) বিজিএমইএ / বিকেএমইএ কর্তৃক ইউডি স্টেটমেন্ট। 

(৭) বন্ড ট্রান্সফার বিবরণ (যদি থাকে)  


(৮) প্রশ্নঃ বন্ড রেজিস্ট্রার কি? কয়টি? এতে কি  তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ১১৪ অনুযায়ী প্রতিটি বন্ড প্রতিষ্ঠান তার বন্ডে কি কি পন্য আছে তার বিবরণ সম্বলিত রেজিস্ট্রারই হলো বন্ড রেজিস্ট্রার। 

রেজিস্ট্রার ২ টি থাকে একটি  মুল কপি যা বন্ড কমিশনারেটে থাকবে। ২য় কপি বন্ডারের কাছে থাকবে। 

প্রতিটি রেজিস্টারে প্রথমে বাম দিকে বি/ই নং আমদানি পন্যের  কমারশিয়াল ডেস্ক্রিপশন, পরিমাণ, ভ্যালু, ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হয়। অতপর ইউপি নিয়ে উৎপাদিত পন্য  রপ্তানি সময় রপ্তানীর সমস্ত  বিবরণ ডান দিকে থাকতে  হয়।

(৯) প্রশ্নঃ লিয়েন ব্যাংক কি? লিয়েন ব্যাংক সংযোজন ও  বিয়োজন পদ্ধতি কি? একটি প্রতিষ্ঠানের কয়টি লিয়েন ব্যাংক তালিকাভুক্ত করতে পারে?

উত্তরঃ বন্ড প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত যে ব্যংকের মাধ্যমে তার ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করে  সেটি হলো লিয়েন।

লিয়েন ব্যাংক সংযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যংকের CIB credit information bereau রিপোর্ট ও পূর্বের লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র সহ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে আবেদন করতে হবে।

লিয়েন ব্যংকের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র সহ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে আবেদন করতে হবে।

লিয়েন ব্যংকের শাখা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শাখার নাম উল্লেখ পূর্বক নিজস্ব প্যাডে  আবেদন করতে হবে।

একটি বন্ড প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ তিনটি লিয়েন ব্যাংক তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এর অধিক লিয়েন ব্যংকের প্রয়োজন হলে বন্ডার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আবেদন করবেন। 

(১০) প্রশ্নঃ সরকারি বকেয়া আদায়ের ধাপ গুলো কি কি? 

উত্তরঃ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট সরকারি পাওনা আদায়ে কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ২০২ অনুযায়ী  ধাপ গুলো মোটামুটি নিম্নরুপঃ-

(১) পাওনা প্রতিষ্ঠানকে দাবীনামা জারী করতে হবে;

(২) উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন অর্থ কোন ব্যংক হিসাবে থাকলে তা থেকে কর্তন করার জন্য ওই ব্যংকে পত্র দিয়ে তা কর্তন করাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ব্যংক একাউন্ট ফ্রিজ করতে হবে।

(৩) উক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্য কোন পন্য কোন কাস্টমস স্টেশনে থাকলে তা আটক করে সরকারি পাওনা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৪) উক্ত প্রতিষ্ঠান যেন কোন আমদানি রপ্তানি করতে না পারে সেজন্য প্রতিষ্ঠানের  BIN LOCK করে দিতে হবে।

(৫) উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠান থাকলে তা তালাবদ্ধ করে কায্যক্রম বন্ধ রাখা বা তথায় রক্ষিত মালামাল আটক করে বিক্র‍য়ের ব্যবস্থা করে সরকারি পাওনা আদায় করতে হবে।

(৬) উক্ত সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেও যদি সরকারি পাওনা আদায় করা না যায়। উক্ত ব্যক্তি যে স্থানে বাসস্থান সে স্থানের স্থাবর সম্পত্তি  নিলাম করে পাওনা আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট মামলা দাখিল করা।


বন্ড বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও  তার সমাধান সংক্ষিপ্ত ভাবে  দেয়া হলোঃ- (২য় পর্বে) 

১) প্রশ্নঃ কোন মূল্যের উপর বিচারিক ক্ষমতা নির্ধারন করা হয়? কাস্টমস আইনের ধারা উল্লেখ পূর্বক বিচারিক ক্ষমতার ধাপগুলি উল্লেখ করুন।

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ভংগ করার অপরাধে কোন পন্য আটক,সাময়িক আটক, বাজেয়াপ্ত  করা হলে তা আইনানুসারে বিচার করা হয়, যে পন্য আটক, সাময়িক আটক, বাজেয়াপ্ত তার প্রকৃত মূল্যের উপর বিচারিক ক্ষমতা নির্ধারন করা হয়।

সেকশন ১৭৯ বিচারিক ক্ষমতার ধাপ গুলো হলোঃ

প্রথমে দেখতে হবে বিচারিক কাজ কে করবেন। নিচে বিচারিক ক্ষমতা কার কতো টাকা দেয়া হলো। 

(ক) কমিশনার ২০+ লাখের অধিক 

(খ) অতিঃ কমিশনার ১৫-২০ লাখ

(গ) যুগ্ম কমিশনার ১০-১৫ লাখ

(ঘ) ডেপুটি কমিশনার ৫-১০ লাখ

(ঙ) সহকারী কমিশনার ৫ লাখ

(চ) রাজস্ব কর্মর্কতা ২ লাখ

দ্বিতীয়তঃ পন্য আটক, সাময়িক আটক, বা বাজেয়াপ্তির লক্ষ্যে কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৬৮ অনুযায়ী ২ (দুই) মাসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ জারী করতে হবে। যাকে উদ্দেশ্য করে কারণ দর্শানো তাকে শুনানীতে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। যদি ঐ ব্যক্তি শুনানীতে অংশ নিতে না পারেন তার পক্ষে অন্য কাউকে উপস্থিত হয়ে শুনানীতে অংশ গ্রহনের সুযোগ দিতে হবে। তার লিখিত জবাব দেয়ার সুযোগ দিতে হবে।

তৃতীয়তঃ অতপর শুনানীতে হাজির হওয়ার পর ঐ ব্যক্তির শুনানীর বক্তব্য, লিখিত জবাব আইনানুযায়ী পর্যালোচনা করতে হবে।  তারপর আদেশ দিতে হবে। তবে কারণ দর্শানো নোটিশ জারী কালে যদি ঐ ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করে সং ক্ষিপ্ত বিচারাদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি চায় তাহলে সংক্ষিপ্ত বিচারাদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।

(২) প্রশ্নঃ ইউপি এর সাথে কি কি দলিল দাখিল করতে হয়? 

উত্তরঃ ইউপি এর সাথে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয় তা নিম্নরুপঃ 

(ক) প্রোফর্মা ইনভয়েস বা পি,আই

(খ) বিবিএলসি(ব্যাক টু ব্যাক এলসি)

(গ) ইউডি এর কপি

(ঘ) সহগ বা কো-ইফিসিয়েন্ট

(ঙ) ইএক্সপি(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

(চ) টিটি/এটিটি(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

(ছ) মাস্টার এলসি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) 

(৩) প্রশ্নঃ আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী  আমদানি নিষিদ্ধ পন্য কি কি?

উত্তরঃ আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ অনুযায়ী আমদানি নিষিদ্ধ পন্য হলোঃ
(১) নিয়ন্ত্রিত পন্যঃ চিংড়ী মাছ,পপি সীড, ভাং,আফিম, ওয়াইন লীজ, প্ট্রোলিয়াম রেসিডিউ,ঘন চিনি, কৃত্রিম সরিষার তেল,কারেন্ট জাল, পিপি ব্যাগ, ২ স্ট্রোক ইঞ্জিনের বাহন, ইত্যাদি।

(২) নিষিদ্ধ পন্যঃ বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়নি এমন মানচিত্র, অশ্লিল বই পুস্তক, ফ্লিম, সিডি, পোস্টার, জবলট ও স্টকলটের পন্য, পুরনো অফিস ইকুইপমেন্ট, জীবন্ত শুকর ও এর পন্য, সকল বর্জ্য, শিল্প স্লাজ, মেকি মুদ্রা ইত্যাদি। 

(৪) প্রশ্নঃBCT  কি? LC,LCA,B/E,BIN,TIN,GSP,IGM,EGM কি ? 

উত্তরঃ BCT Bangladesh Customs Tariff (Schedule) এটি কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ অনুযায়ী করা হয়। এই শিডিউলে  এদেশে আমদানি ও রপ্তানিকৃত সকল পন্যের বানিজ্যিক বর্ননা, শুল্কহার ও আমদানির একক উল্লেখ থাকে। 

LC= Letter of Credit 
LCA= Letter of Credit Authorization(Form)
B/E= Bill of Entry 
BIN= Business Identification No
TIN= Tax Identification Number 
GSP= Generalized system of Preferences
IGM= Import General Manifest
EGM= Export General Manifest 

(৫) প্রশ্নঃ কারখানা স্থানান্তরের জন্য কোন কোন দলিলাদি যাচাই প্রয়োজন ?  

উত্তরঃ কারখানা স্থানান্তরে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয় তা নিম্নরুপঃ

(ক) জায়গার মালিকানা বা ভাড়ার চুক্তিনামা 

(খ) লে আউট প্ল্যান 

(গ) ট্রেড লাইসেন্স 

(ঘ) সমিতির সুপারিশ 

(ঙ) লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র 

(চ) স্থানান্তর কালে অংগীকার নামা

(ছ) সংশোধীত আই,আর,সি/ইআরসি

(জ) সংশোধিত TIN, বিনিয়োগ বোড পত্র

(ঝ) নতুন ঠিকানায় ফায়ার, বিদ্যুৎ বিল
উপরে উল্লেখিত দলিলাদি দাখিল করা হলে যাচাই প্রয়োজন। 

(৬) প্রশ্নঃ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকার অধীন কয়টি ইপিজেড চালু আছে ? 

উত্তরঃ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকার অধীন ২ টি ইপিজেড চালু আছে যথাঃ
(ক) সাভার ( পূর্ব ও পশ্চিম)  ইপিজেড
(খ) আদমজী ইপিজেড 

(৭) প্রশ্নঃ হোম কনজাম্পশন বন্ড কি ?

উত্তরঃ দেশীয় ভোগের জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান পন্য আমদানির সময় শুল্ককর পরিশোধ না করে পন্য ইন্টু বন্ড করে থাকে পরবর্তীতে যতটুকু উৎপাদন বা দেশীয় ভোগের জন্য প্রয়োজন তা বন্ড থেকে সেকশন ১০৪ অনুযায়ী শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস নেবেন বা বাহির করবেন সেটি হলো হোম কমজাম্পশন বন্ড।

(৮) প্রশ্নঃ মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক কর্তৃক কোন ফরমে অনুমোদন প্রয়োজন হয় ?

উত্তরঃ Form XXII

(৯) প্রশ্নঃ কমিশনারের বিচারাদেশের বিরুদ্ধে কোন কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল আবেদন করা যায়? কোন ধারা অনুযায়ী? 

উত্তরঃ কমিশনারের বিচারাদেশের বিরুদ্ধে আপীলাত ট্রাইবুনালে আপীল আবেদন করা যায়।
কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর সেকশন ১৯৬ অনুযায়ী। 

(১০) প্রশ্নঃ ASYCUDA এর পূর্ণরুপ কি? 

উত্তরঃ Automated System For Customs Data

(১১) প্রশ্নঃ দি কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ৩৫ অনুযায়ী আমদানি করা পন্য কত দিনের মধ্যে রপ্তানি করতে হয়?

উত্তরঃ ২(দুই) বছরের মধ্যে রপ্তানি করতে হয়।

(১২) প্রশ্নঃ অসত্য ঘোষণা দিয়ে পন্য আমদানী করা হলে কাস্টমস আইনের কোন ধারা বলে দন্ডাদেশ প্রদান করা যায়?

উত্তরঃ সেকশন ১৫৬(১),(১৪) অনুযায়ী দণ্ডাদেশ প্রদান করা যায়।

(১৩) প্রশ্নঃ মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা যাচাইয়ে কোন পর্যায়ের কর্মর্কতা উপস্থিতি আবশ্যক?

উত্তরঃ পুরাতন প্রতিষ্ঠান হলে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তা আর নতুন লাইসেন্সের  প্রদানের সময়, এ,আর,ও + আর,ও +  এসি/ডিসি উপস্থিতি আবশ্যক। 

(১৪) প্রশ্নঃ নতুন বন্ড লাইসেন্সের আবেদন কত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে? 

উত্তরঃ ৩০ দিনের মধ্যে। 

(১৫) সরাসরি / প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান কি? 

উত্তরঃ যে সকল প্রতিষ্ঠান কাচামাল আমদানি অথবা ব্যাক টু ব্যাক এলসি এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সংগৃহীত কাচামাল দ্বারা উৎপাদিত পন্য সরাসরি দেশের বাহিরে রপ্তানি করে সেটি সরাসরি রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান। 

পক্ষান্তরে যে সকল প্রতিষ্ঠান রপ্তানির নিমিত্তে তার উৎপাদিত পন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে সরাসরি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দেয় সেটি প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান বলে।
 


বন্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও সং ক্ষিপ্ত ভাবে সমাধান দেওয়া হলোঃ  (৩য় পর্বে  ১০ টি)

১) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স কি?

উত্তরঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০০৮ ও কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ১২/১৩ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানকে যখন নিদিষ্ট ফর্মে যে লাইসেন্স দেয়া হয় সেটি বন্ড লাইসেন্স। ১২ ধারা অনুযায়ী সরকারি ১৩ ধারা অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বন্ড লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

(২) প্রশ্নঃবন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিলাদি দাখিল করতে হয়?

উত্তরঃ বন্ড লাইসেন্সের আবেদনের সাথে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয় তা নিম্নরুপঃ 

(ক) লাইসেন্স সং যুক্ত ডাটা ফর্ম পূরণ 

(খ) বিনিয়োগ বোর্ড,বিসিক,বস্ত্র প্রত্যায়ন পত্র

(গ) ট্রেড,IRC,ERC, VAT,TIN, NID সনদপত্র 

(ঘ) Memorandum of Articles 

(ঙ) Tax Return + IT10B

(চ) পরিবেশ,বয়লার সনদপত্র(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),ফায়ার সনদ,

(ছ) বিদ্যুৎ,গ্যাস বিল
(জ)সমিতির সুপারিশ করে কমিশনার বরাবর পত্র

(ঝ) বাড়ী ভাড়া চুক্তি/ নিজস্ব জমির দলিল

(ঞ) জেঃবন্ড সক্ষমতা আছে লিয়েন ব্যংকের প্রত্যায়ন

(ট) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আবেদনকারীর নাম,ঠিকানা, ছবি,ফোন তথ্য

(ঠ) ) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দেশের ব্যবসায়িক প্রচলিত রীতিনীতি মেনে চলবেন এমন অংগীকার। 

(ড) এমোনিয়া প্রিন্টে লে আউট প্ল্যান 

(ঢ) কল কারখানা সনদ

(৩) প্রশ্নঃ লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিন? কি কারণে লাইসেন্স বাতিল করা যায়?

উত্তরঃ লাইসেন্স মেয়াদ ২ বছর। 

লাইসেন্স শর্ত ভংগ ও রাজস্ব ফাকির সাথে সর্বদা জড়িত থাকলে আবার বন্ডারের আবেদনের প্রেক্ষিতেও লাইসেন্স স্থগিত / বাতিল করা যায়।

(৪) প্রশ্নঃ বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কে বা কারা ? 

উত্তরঃ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বন্ডের অধিক্ষেত্রে যে সকল জেলা/থানা/এলাকা সেই ক্ষেত্রে স্ব স্ব বন্ড কমিশনার, এতদ্ব্যতিত অন্যান্য সকল এলাকার জন্য ঐ সকল এলাকার মূসক কমিশনার। 

(৫) প্রশ্নঃ কন্টিনিউয়াস বন্ড লাইসেন্স কি? এ বন্ড লাইসেন্সের শর্ত কি?

উত্তরঃ জাঃরাঃ বোর্ডের সাধারণ আদেশ নং ১২/২০০৮/শুল্ক/৪৩৯(১-১৫) তাং ১০/৬/২০০৮ অনুযায়ী একি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান তার সমজাতীয় কাজ নিদিষ্ট এলাকার মধ্যে করার জন্য মুল লাইসেন্সের অধীনে অন্য স্থান থেকে করর্মকান্ড পরিচালনার জন্য যে আদেশ পান সেটি হলো কন্টিনিউয়াস বন্ড লাইসেন্স।

কন্টিনিউয়াস বন্ড লাইসেন্সের শর্তঃ
(ক) একি মালিকানাধীন বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের
ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্ত হবে।
(খ) এক লাইসেন্সের আওতায় ২ টি স্থান এ সুবিধা পাবে।
(গ) নীট, ওভেন, ডাইং ও প্রিন্টিং,টাওয়েল, লিলেন ও হোম টেক্সটাইল খাত এ সুবিধা পাবে।
(ঘ) বন্ড কমিশনারেটের মুল প্রতিষ্ঠানের ৬০ কিঃমিঃ রেডিয়াসের মধ্যে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ কার্যক্রম রয়েছে সেসব এলাকায় কন্টিনিউয়াস সুবিধা প্রদান করা যাবে।
(ঙ) কন্টিনিউয়াস বন্ড  মুল লাইসেন্সের অধীনে হলেও তাকে মুল প্রতিষ্ঠানে যে সকল খাতাপত্র দলিলাদি সংরক্ষণ করে এখানেও সেই একি প্রকার হিসেব নিকেশ রাখতে হবে। 

(৬) প্রশ্নঃ আন্তঃ বন্ড স্থানান্তর কি? স্থায়ী ও আন্তঃবন্ড স্থানান্তরের জন্য কি কি দলিলাদি দাখিল করতে হয়? 

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর সেকশন ৯৯ অনুযায়ী কোন দুটি প্রতিষ্ঠান যদি ক্রেতার চাহিদার প্রেক্ষিতে এক বন্ডে বন্ডিংকৃত  পন্য অন্য বন্ডারের নিকট স্থানান্তর করে সেটি হলো আন্তঃবন্ড স্থানান্তর। 

আন্তঃবন্ড স্থানান্তরে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয়ঃ
(ক) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্র। 
(খ) পন্য/কাচামাল হস্তান্তরকারী কাচামাল আমদানি সংক্রান্ত সকল বানিজ্যিক দলিলাদি দাখিল করবেন। 
(গ) লিয়েন ব্যংকের অনাপত্তিপত্র। 
(ঘ) কাচামাল  গ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানের এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট, ব্যাক টু ব্যাক এলসি, পি,আই, ইউডি, ক্রয় আদেশের কপি।
(ঙ) স্থানান্তরতব্য কাচামালের নমুনা। 
(চ) সংশ্লিষ্ট সমিতির সুপারিশ। 
(ছ) পন্য স্থানান্তর কালে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়িত্ব আন্তঃবন্ড প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহনের রিক্স বন্ড।

উক্ত দলিলাদি দাখিল সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই আন্তে আন্তঃ বন্ড স্থানান্তরের আদেশ দেয়া যাবে। এখানে উল্লেখ যে বন্ড স্থানান্তরের এ তথ্য উভয় প্রতিষ্ঠানের পাস বইতে এন্ট্রি দিয়ে আপডেট করিয়ে নিতে হবে।

(৭) প্রশ্নঃ পাশ বই কি এটা কেন প্রয়োজন? 

উত্তরঃ শতভাগ রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান তার আমদানী রপ্তানীর তথ্য যে বইতে এন্ট্রি দিয়ে পন্য আমদানী রপ্তানী করেন সেটাই হলো পাশ বই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দুইটি পাশ বই থাকবে। একটি কাস্টমস কপি কাস্টমস এর দপ্তরে থাকবে অপরটি ডুপ্লিকেট পাশ বই এটি বন্ডারের প্রতিষ্ঠানে থাকবে। 

এছাড়া ডিপ্লোমেটিক, ও ডিউটি পেইড বন্ডের মালামাল ক্রয়ের জন্যও ডিপ্লোমেট ও সহযোগী সংস্থার লোকজন নিকট বন্ড কমিশনারেট থেকে পাশ বই ইস্যু করা হয়ে থাকে। এটিও এক ধরনের পাশ বই।

একজন বন্ডারের আমদানী রপ্তানী ও একজন প্রিভিলেজপ্রাপ্ত ব্যক্তির পন্য ক্রয়ের হিসাবে At a glance দেখার জন্য এবং হিসেব নিকেশ রাখার জন্য  পাশ বই এর গুরুত্ব অত্যাধিক। 

(৮) প্রশ্নঃ কমিশারিয়েট কি?

উত্তরঃ ইপিজেড সমূহের অভ্যন্তরে তথায় কর্মরত ও অবস্থানরত বিদেশি ইনভেস্টরদের পানিয়, লিকার খাদ্যদ্রব্য ও অন্যবিধ সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠানই হলো কমিশারিয়েট। এটি ইপিজেড অভ্যন্তরে অবস্থিত থাকবে।

(৯) প্রশ্নঃ ইপিজেডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ ইপিজেডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান সমুহকে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথমে সাময়িক বন্ড রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয়। সাময়িক বন্ড রেজিষ্ট্রেশন দিতে যা যা লাগে তা হলোঃ

(11) Prayer on letter head pad with list of products.
(2) BEPZA Request letter.
(3) Factory set up permission.
(4) Lease agreement.
(5) Factory lay out plan/ Blue print.
(6) Memorandum of Article of Association.
(7) VAT Registration.
(8) Trade license. IRC. ERC.
(9) General bond signed by bonder as per RJSC.
(10) Bank certificate.
(11) Power in favor of Authorised person / Signatory
(12) Data entry from for BEPZA Investors.

দলিলাদিসহ আবেদন প্রাপ্তির পর বন্ড লাইসেন্স টিম প্রস্তাবিত প্রতিস্টান এলাকা/প্লট ভিজিট করবেন। অতপর দলিলাদি যাচাই বাচাই করে টেম্পোরারি  বন্ড রেজিস্ট্রেশন প্রদানের নিমিত্তে কমিশনার বরাবর প্রস্তাব  দেবেন।  কমিশনার সন্তোষজনক প্রতিয়মান হলে আবেদনকারী প্রতিস্টান কে Temporary Bond Registration দেবেন।

ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান  নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে (১ বছর) তার ফ্যাক্টরি সেট আপ করবেন, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান সেট আপ না করতে পারলে আবেদনকারী জাঃরাঃবোর্ডে  গিয়ে সময় বাড়িয়ে আনবেন । তারপর নিম্নেলিখিত দলিলাদি সহ পার্মানেন্ট বন্ড রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন :

(1) List of installed machinery.
(2) List of Raw materials with H.S.CODE
(3) Fire license
(4) Environment certificate (if necessary)
(5) Final General Bond( Risk + Duty)

এবার লাইসেন্স দল প্রতিষ্ঠান পুনরায় পরিদর্শন করবেন। প্রতিষ্ঠান যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশনার বরাবর পার্মানেন্ট  বন্ড রেজিস্ট্রেশন প্রদানের জন্য প্রস্তাব দেবেন। কমিশনার মহোদয় সন্তোষ্ঠ ও সন্তোষজনক প্রতিয়মান মনে করলে প্রস্তাব অনুমোদন দেবেন এবং প্রতিষ্ঠান  অনুকূলে বন্ড রেজিস্ট্রেশন প্রদান করবেন। 

(১০) প্রশ্নঃবন্ডে আমদানীকৃত কাচামাল ত্রুটিজনিত কারনে পুনঃরপ্তানী করা যায় কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ রপ্তানী করা যায়।



বন্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও সমাধান দেয়া হলোঃ- (৪থ পর্বে ১০টি)

(১) প্রশ্নঃ বন্ড লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কে ?

উত্তরঃ ঢাকা, চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটের অধিক্ষেত্র এলাকার ক্ষেত্রে বন্ড কমিশনার অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনার।  

(২) প্রশ্নঃ কোন কর্তৃপক্ষ বেসরকারি বন্ড লাইসেন্স প্রদান করেন? লাইসেন্স বাতিল করতে হলে কত দিনের মধ্যে বা মাসের মধ্যে নোটিশ প্রদান করে প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হয়?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী বন্ড কমিশনার বেসরকারি বন্ড লাইসেন্স প্রদান করেন। ৩০ দিন সময় দিয়ে নোটিশ দিয়ে লাইসেন্স বাতিল করতে হয়। জারীকৃত নোটিশে অবশ্যই বন্ডারকে শুনানির সুযোগ দিতে হবে।  অবশ্য বাতিলের আগে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট কোন সরকারি পাওনা আছে কিনা তা প্রতিষ্ঠানের আমদানি রপ্তানি যাচাই বা অডিট করে দেখতে হয়।

(৩) প্রশ্নঃ কাটিং তদারকি কি ?

উত্তরঃ শতভাগ রপ্তানীমূখী প্রতিষ্ঠানের কাচামাল বিশেষ করে কাপড় আমদানী কালে ঐ কাপড় রপ্তানি হবে কিনা এমন সংশয়ের উদ্রেক হলে ঐ কাচামাল ( কাপড়)  দিয়ে পন্য উৎপাদনের সময় বন্ড অফিসারের উপস্থিতিতে কাপড় কাটা ও পোষাক তৈরী তদারকি করার জন্য পন্য আমদানী স্টেশন থেকে পত্র মারফত অনুরোধ করা  হয় সে অনুযায়ী বন্ড কমিশনারেট হতে তদারকি  করাই  হলো কাটিং তদারকি। 

(৪) প্রশ্নঃ রিক্স বন্ড কি? 

উত্তরঃ বন্ড প্রতিষ্ঠানের পন্য, কাচামাল বা মেশিনারি স্থানান্তর যদি পন্য, কাচামাল ও মেশিনারি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন্ডার দায়ী থাকবেন ও ক্ষতিগ্রস্ত পন্যের শুল্ককর দিতে বাধ্য থাকবেন  বলে ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অংগীকার নামা বা বন্ড নেওয়া হয় সেটি হলো রিক্স বন্ড।

(৫) প্রশ্নঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর কোন ধারা বলে অন্য দপ্তরের সহায়তা কামনা করা হয় ?

উত্তরঃ কাস্টমস এক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ৭ অনুযায়ী অন্য দপ্তরের সহায়তা কামনা করা হয়। 
(৬) প্রশ্নঃ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে দাবীনামা থাকলে বন্ড লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ আছে কি?

উত্তরঃ জাঃরাঃবোঃ পত্র নং-৩(৪)শুল্কঃরপ্তানীওবন্ড/২০০২/৭২(১৯),তাং-৭/০২/১৬ খ্রিঃ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান বন্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে উক্ত আবেদনকারীর ইতোপূর্বে লাইসেন্স প্রাপ্ত কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নিকট সরকারি পাওনা,দাবীনামা, বা দাবীনামা সংক্রান্ত কোন রীট মামলা থাকলে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উক্ত দাবীনামা পরিশোধ না করা পর্যন্ত বন্ড লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ নেই।

(৭) প্রশ্নঃ সম্পূর্ণ রপ্তানীমুখী ( প্রচ্ছন্ন)  শিল্প প্রতিষ্ঠান পন্য খালাসের কতদিনের মধ্যে ইনবন্ড করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে? 

উত্তরঃ ৫(পাচ) দিনের মধ্যে। 

(৮) প্রশ্নঃ মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কি কি দলিলাদি দাখিল করা প্রয়োজন? 

উত্তরঃ মালিকানা পরিবর্তন করতে যে সকল দলিলাদি দাখিল করতে হয়ঃ-
(ক) মালিকানা পরিবর্তন বিষয় কোঃ বোড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ;
(খ) বিনিয়োগ বোড অনুমোদিত পরিবর্তিত মালিকানা কাঠামো;
(গ) RJSC অনুমোদিত Form XXII & 117
(ঘ) ৫০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারিকৃত নতুন মালিকগনের বিস্তারিত তথ্য, নমুনা স্বাক্ষর, ছবি, ও দায়দেনা বহনে অংগীকার নামা ;
(ঙ) নতুন মালিকের জাতীয়তা সনদ বা পাসপোর্ট কপি;
(চ) লিয়েন ব্যাংক অনাপত্তিপত্র ও নতুন মালিকের বন্ড করার সক্ষমতা পত্র;
(ছ) নতুন মালিকের ২০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জেনারেল বন্ড ;

এই সকল দলিলাদিসহ কোঃ নিজস্ব প্যাডে আবেদন করবেন। আবেদন যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় অফিসার অনুমোদন দেবেন। 

(৯) প্রশ্নঃ বন্ডিং মেয়াদ উত্তীর্ণ কাপড় কিভাবে ব্যবস্থিত হবে?

উত্তরঃ সেকশন ৯৮ অনুযায়ী বন্ডিং মেয়াদ উত্তীর্ণ কাপড় দাবীনামা জারী করে শুল্ককর আদায় করে নিতে হবে। তবে কাপড়ের গুনগত মান ঠিক থাকলে বন্ডার কমিশনার এর কাছে আবেদন করে ৩ মাস ও জাঃরাঃবোডে আবেদন করে ৩ মাস সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন। উক্ত সময়ের মধ্যে যদি বন্ডার নতুন কোন রপ্তানি আদেশ পান তাহলে রপ্তানিও করার সুযোগ পাবেন।

(১০) প্রশ্নঃ ন্যায় নির্নয়ন আদেশর বিরুদ্ধে কত দিনের মধ্যে আপীল করতে হয়;

উত্তরঃ ৯০ দিনের মধ্যে আপীল করতে হয়।

Written By:  
Ibrahim Hossain RO, Customs Training Academy,Chittagong