করোনা পরবর্তী ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী সম্ভাবনা - Textile Lab | Textile Learning Blog
করোনা পরবর্তী ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী সম্ভাবনা। 


আমাদের কারখানা খুলে দেয়ার পর, অনেকেই আমরা সবচেয়ে সংকটে পড়বো ফুল ক্যাপাসিটি ইউটিলাজেশন নিয়ে। ধরুন আপনার ৯৫ টা নিটিং মেশিন আছে তার ভিতর মাত্র ৬০টা চালানোর মত অর্ডার আছে বাকি গুলোর ডায়া মিলছেনা, ডিজাইন মিলছেনা বা অর্ডার ই নাই। আমাদের গ্রূপে জয়েন করে আপনার খালি ক্যাপাসিটি জানিয়ে দিন। অর্ডার দেয়ার জন্য অসংখ্য কারখানা আপনাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা ডিজিটালি কানেক্টেড না তাই জানিনা। নিটিং, ডায়িং, কাটিং, সুইং, এমব্রয়ডারি, প্রিন্টিং নিয়ে সকলেই এই যন্ত্রনা বয়ে বেড়াচ্ছেন আমি জানি।   

"স্মার্ট ফ্যাক্টরী ৪.০ সল্যুশন্স" এর পদক্ষেপ এর অংশ হিসেবে আমরা সারা বাংলাদেশের সমস্ত ফ্যাক্টরি কে অ্যামাজন ক্লাউড সার্ভিসের আওতায় আনার জন্য কাজ শুরু করেছি , সকলকে অনুরোধ করবো আমাদের যাত্রায় সামিল হতে। 

আমি বিশ্বাস করি আমরা এই কানেক্টিভিটি তৈরী করে সকলের ক্যাপাসিটি সকলেই শেয়ারড করতে পারলে আমরা আরো ১৫% বেশি প্রোডাকশন করতে পারবো। তাহলে রপ্তানী বেড়ে ৩৯.১০ বিলিয়ন ডলার হবে।     

আমাদের পিপিই প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য এই গ্রূপকে আপাতত কিছুদিনের ডেডিকেট করছি , এই গ্রূপে কোন ফ্যাক্টরী তে কে, কি উৎপাদন করছেন তা বিশদ বর্ণনা করবেন। অনেক ক্রেতাই এখনও আপনাদের খবর জানেন না। সারা বাংলাদেশেই সবার এই পিপিই সামগ্রী খুঁজছেন।

আমাদের নীট কারখানা গুলো সাধারণত গোলগলা টি-শার্ট লাইন প্রতি  ২০০০ - ২৫০০ পিস্ পর্যন্ত দৈনিক প্রোডাকশন করে। 
যদি ৩০ লাইনের কারখানা  আর শুধুই টি-শার্টের অর্ডার করে।  তাহলে ২৬ দিন x ২০০০ X ৩০ = ১৫৬০,০০০ পিস্ আউটপুট পাওয়ার কথা। কিন্তু দেখবেন  ১০ লক্ষ থেকে ১২.৫০ লক্ষ পর্যন্ত  প্রোডাকশন পাচ্ছেন। 

নিম্নোক্ত তিন ভাবে এই সর্বনাশ টা ঘটেই যাচ্ছে দুই দশক ধরে। এবং আমরা এই সমস্যার কোন সমাধান ও করছিনা।
   
১। হয়তো ২০ দিনের সমতুল্য প্রোডাকশন পাচ্ছি।  

২। অথবা ২৬ দিনই কম প্রোডাকশন করছি।
 
৩। এবং ৫/৬ দিন নষ্ট করে ফেলছি স্টাইল চেঞ্জ, মেশিন নষ্ট, অপারেটর আসেনি, কাপড় আসেনি, এই স্টাইল টা বন্ধ করে ,পরের টা লাইনে তোলো, নতুন কমেন্ট আসছে। ইত্যাদি।  


পরিশেষে ফলাফল। মাস শেষে কিন্তু একটা কারখানা থেকেই  ৩ থেকে ৩.৫ লক্ষ পিস্ কম শিপমেন্ট হচ্ছে। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

৩০০০ কারখানা থেকে স্টাইল ভেদে, এসএমভি পার্থক্য অনুযায়ী যদি নূন্যতম ১ লক্ষ পিস্ ও কম শিপমেন্ট হয় তাহলে ৩০ কোটি পিসের রেভিনিউ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।  


১ দিন থেকে ৫ দিন পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বেশি প্রোডাকশন  যারা করতে চান , ইনবক্স করুন। পুরো ২৬ দিন যে স্টাইল টা দরকার, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে লাইনে ঢুকবে।  ওয়াদা দিলাম।      


এই পদ্ধতিতে ও ১৫%  শিপমেন্ট বাড়িয়ে ৩৪ বিলিয়ন থেকে ৩৯ বিলিয়নে যাওয়া খুবই সম্ভব। দরকার আমাদের ১০ লক্ষ উজ্জ্বল মুখগুলোর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।

আমাদের লীড টাইম ১৪ দিন থেকে সাধারণত ৪৫ দিন পর্যন্ত , ওভেন অর্ডারের ক্ষেত্রে ৬৫ দিন পর্যন্ত। গড়ে ৪০ দিন যদি ধরি, দেখবেন ৭-১০ দিনের বেশি আমরা সুইং ফ্যাক্টরিকে সময় দিতে পারিনা। তার মানে ৩০-৩৩ দিন আমরা এই অর্ডার টা কে নিয়ে পাতা চালা চালি করি।  
৭৫% সময় আমাদের হাতে থাকে সুইং শুরুর আগে !
 
শিপমেন্ট লেট্ হলে দোষ দেয়া হয় আমাদের অপারেটরদের ইফিসিয়েন্সি ভালো না, আমাদের ফ্যাক্টরি মিড্ লেভেল ম্যানেজমেন্ট আমরা তৈরী করতে পারিনি ! আই/ই টিম কাজের না ! ফ্যাক্টরির প্লানিং এর বাজে অবস্থা ! 


পরিণতি কি ঘটে !

১। প্রতিটা অর্ডার আর্জেন্ট ! 

২। প্রতিটা ডেলিভারি নাকে মুখে ! 

৩। এই মুহূর্তে যে মেটেরিয়াল টা দরকার ঠিক সেটাই আসেনাই !

৪। সুইং শুরু করার পর, বন্ধ করেন ভাই !

৫। পরের স্টাইল টা শুরু করলে দেখবেন সুতা মিলছেনা ! 

৬। পিপি মিটিং এখনো হয়নি ! 

৭। ভাইজান এই স্টাইল টা কালকে লাগবেই ! 

৮। ওভারটাইম করেন, আমি এমডি স্যারের সাথে কথা বলছি !

আমরা নিজেরাই যেন আমাদের শত্রূ !

এই ৭৫% দিনের কোন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে উঠেনি। নাম মাত্র টিএন্ডএ আছে এক্সেলে, কেউ আপডেট করিনা, সময় মতো অর্ডার করেছি কিনা কেউ জানিনা। কোন মাল সঠিক টাইমে আসেনা !

আমাদের প্রোডাক্টিভিটি এবং ইফিসিয়েন্সি বাড়াতে হবেনা। শুধু এই ৩০ দিন নিখুঁত প্ল্যান করে, ম্যানেজ করা শিখুন ১০% বেশি শিপমেন্ট বাড়বে !

৩৪ বিলিয়নকে ৩৭.৪ এ নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আপনাদের হাতে !

Name of Author : 
Habibur Rahman
Smart Factory 4.0 Consultant for Textile Apparel Industries.
Follow Him on Linkedin :

করোনা পরবর্তী ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী সম্ভাবনা

করোনা পরবর্তী ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী সম্ভাবনা। 


আমাদের কারখানা খুলে দেয়ার পর, অনেকেই আমরা সবচেয়ে সংকটে পড়বো ফুল ক্যাপাসিটি ইউটিলাজেশন নিয়ে। ধরুন আপনার ৯৫ টা নিটিং মেশিন আছে তার ভিতর মাত্র ৬০টা চালানোর মত অর্ডার আছে বাকি গুলোর ডায়া মিলছেনা, ডিজাইন মিলছেনা বা অর্ডার ই নাই। আমাদের গ্রূপে জয়েন করে আপনার খালি ক্যাপাসিটি জানিয়ে দিন। অর্ডার দেয়ার জন্য অসংখ্য কারখানা আপনাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা ডিজিটালি কানেক্টেড না তাই জানিনা। নিটিং, ডায়িং, কাটিং, সুইং, এমব্রয়ডারি, প্রিন্টিং নিয়ে সকলেই এই যন্ত্রনা বয়ে বেড়াচ্ছেন আমি জানি।   

"স্মার্ট ফ্যাক্টরী ৪.০ সল্যুশন্স" এর পদক্ষেপ এর অংশ হিসেবে আমরা সারা বাংলাদেশের সমস্ত ফ্যাক্টরি কে অ্যামাজন ক্লাউড সার্ভিসের আওতায় আনার জন্য কাজ শুরু করেছি , সকলকে অনুরোধ করবো আমাদের যাত্রায় সামিল হতে। 

আমি বিশ্বাস করি আমরা এই কানেক্টিভিটি তৈরী করে সকলের ক্যাপাসিটি সকলেই শেয়ারড করতে পারলে আমরা আরো ১৫% বেশি প্রোডাকশন করতে পারবো। তাহলে রপ্তানী বেড়ে ৩৯.১০ বিলিয়ন ডলার হবে।     

আমাদের পিপিই প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য এই গ্রূপকে আপাতত কিছুদিনের ডেডিকেট করছি , এই গ্রূপে কোন ফ্যাক্টরী তে কে, কি উৎপাদন করছেন তা বিশদ বর্ণনা করবেন। অনেক ক্রেতাই এখনও আপনাদের খবর জানেন না। সারা বাংলাদেশেই সবার এই পিপিই সামগ্রী খুঁজছেন।

আমাদের নীট কারখানা গুলো সাধারণত গোলগলা টি-শার্ট লাইন প্রতি  ২০০০ - ২৫০০ পিস্ পর্যন্ত দৈনিক প্রোডাকশন করে। 
যদি ৩০ লাইনের কারখানা  আর শুধুই টি-শার্টের অর্ডার করে।  তাহলে ২৬ দিন x ২০০০ X ৩০ = ১৫৬০,০০০ পিস্ আউটপুট পাওয়ার কথা। কিন্তু দেখবেন  ১০ লক্ষ থেকে ১২.৫০ লক্ষ পর্যন্ত  প্রোডাকশন পাচ্ছেন। 

নিম্নোক্ত তিন ভাবে এই সর্বনাশ টা ঘটেই যাচ্ছে দুই দশক ধরে। এবং আমরা এই সমস্যার কোন সমাধান ও করছিনা।
   
১। হয়তো ২০ দিনের সমতুল্য প্রোডাকশন পাচ্ছি।  

২। অথবা ২৬ দিনই কম প্রোডাকশন করছি।
 
৩। এবং ৫/৬ দিন নষ্ট করে ফেলছি স্টাইল চেঞ্জ, মেশিন নষ্ট, অপারেটর আসেনি, কাপড় আসেনি, এই স্টাইল টা বন্ধ করে ,পরের টা লাইনে তোলো, নতুন কমেন্ট আসছে। ইত্যাদি।  


পরিশেষে ফলাফল। মাস শেষে কিন্তু একটা কারখানা থেকেই  ৩ থেকে ৩.৫ লক্ষ পিস্ কম শিপমেন্ট হচ্ছে। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

৩০০০ কারখানা থেকে স্টাইল ভেদে, এসএমভি পার্থক্য অনুযায়ী যদি নূন্যতম ১ লক্ষ পিস্ ও কম শিপমেন্ট হয় তাহলে ৩০ কোটি পিসের রেভিনিউ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।  


১ দিন থেকে ৫ দিন পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বেশি প্রোডাকশন  যারা করতে চান , ইনবক্স করুন। পুরো ২৬ দিন যে স্টাইল টা দরকার, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে লাইনে ঢুকবে।  ওয়াদা দিলাম।      


এই পদ্ধতিতে ও ১৫%  শিপমেন্ট বাড়িয়ে ৩৪ বিলিয়ন থেকে ৩৯ বিলিয়নে যাওয়া খুবই সম্ভব। দরকার আমাদের ১০ লক্ষ উজ্জ্বল মুখগুলোর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।

আমাদের লীড টাইম ১৪ দিন থেকে সাধারণত ৪৫ দিন পর্যন্ত , ওভেন অর্ডারের ক্ষেত্রে ৬৫ দিন পর্যন্ত। গড়ে ৪০ দিন যদি ধরি, দেখবেন ৭-১০ দিনের বেশি আমরা সুইং ফ্যাক্টরিকে সময় দিতে পারিনা। তার মানে ৩০-৩৩ দিন আমরা এই অর্ডার টা কে নিয়ে পাতা চালা চালি করি।  
৭৫% সময় আমাদের হাতে থাকে সুইং শুরুর আগে !
 
শিপমেন্ট লেট্ হলে দোষ দেয়া হয় আমাদের অপারেটরদের ইফিসিয়েন্সি ভালো না, আমাদের ফ্যাক্টরি মিড্ লেভেল ম্যানেজমেন্ট আমরা তৈরী করতে পারিনি ! আই/ই টিম কাজের না ! ফ্যাক্টরির প্লানিং এর বাজে অবস্থা ! 


পরিণতি কি ঘটে !

১। প্রতিটা অর্ডার আর্জেন্ট ! 

২। প্রতিটা ডেলিভারি নাকে মুখে ! 

৩। এই মুহূর্তে যে মেটেরিয়াল টা দরকার ঠিক সেটাই আসেনাই !

৪। সুইং শুরু করার পর, বন্ধ করেন ভাই !

৫। পরের স্টাইল টা শুরু করলে দেখবেন সুতা মিলছেনা ! 

৬। পিপি মিটিং এখনো হয়নি ! 

৭। ভাইজান এই স্টাইল টা কালকে লাগবেই ! 

৮। ওভারটাইম করেন, আমি এমডি স্যারের সাথে কথা বলছি !

আমরা নিজেরাই যেন আমাদের শত্রূ !

এই ৭৫% দিনের কোন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে উঠেনি। নাম মাত্র টিএন্ডএ আছে এক্সেলে, কেউ আপডেট করিনা, সময় মতো অর্ডার করেছি কিনা কেউ জানিনা। কোন মাল সঠিক টাইমে আসেনা !

আমাদের প্রোডাক্টিভিটি এবং ইফিসিয়েন্সি বাড়াতে হবেনা। শুধু এই ৩০ দিন নিখুঁত প্ল্যান করে, ম্যানেজ করা শিখুন ১০% বেশি শিপমেন্ট বাড়বে !

৩৪ বিলিয়নকে ৩৭.৪ এ নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আপনাদের হাতে !

Name of Author : 
Habibur Rahman
Smart Factory 4.0 Consultant for Textile Apparel Industries.
Follow Him on Linkedin :

কোন মন্তব্য নেই: