Fashion Brand | গুচি | Gucci - Textile Lab | Textile Learning Blog
মানুষ জীবিকার তাগিদে দিক-বিদিক ছুটে বেড়ায় শুধুমাত্র একটু ভালো থাকার আশায়। সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশে খাপ খেয়ে নিজের পরিবার থেকে দূরে থেকে তারা জীবিকার নির্বাহ করে। যদিও মানুষ প্রবাসি জীবনে নিজেদের মৌলিক চাহিদা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে তবুও গৎ বাধাঁ ধারণা থেকে বের হয়ে একজন করেছিলেন সম্পূর্ণ অন্যধারার চিন্তা। তিনি হলেন "গুচিও গুচি (Guccio Gucci)" যিনি কিনা লন্ডনের সামান্য একজন হোটেল কর্মী থেকে তৈরি করেছেন ফ্যাশনের এক বিশাল সাম্রাজ্য।



প্যারিস থেকে লন্ডনে গিয়েছিলেন জীবিকার চাহিদায়। লন্ডনে হোটেলে কাজ করার সময়ে ধনী ব্যক্তিদের লাগেজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ফ্যাশন নিয়ে কাজ করার প্রতি। এ অনুপ্রেরণা থেকে গুচি প্যারিসে ফিরে এসে ওয়ার্কশপ চালু করেন। ওয়ার্কশপে তিনি চামড়ার তৈরি লাগেজ, হ্যান্ডব্যাগ ইত্যাদি তৈরি শুরু করেন। ১৯২০ সালের দিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে "গুচি (Gucci)" পথচলা শুরু করে। যদিও প্রথম বিশ্ব মহাযুদ্ধের সময়ে "গুচি (Gucci)" কে বেশ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কাচাঁমালের অভাবে তারা চামড়ার পরিবর্তে কাপড়ের তৈরি ক্যানভাস ব্যবহার শুরু করেন। তখন "গুচি (Gucci)" সর্বপ্রথম তাদের সিগনেচার ডিজাইন "Double G" এবং লাল-সবুজ স্ট্রাইপ ব্যবহার করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর চামড়া ও সিল্ক ব্যবহার তারা শুরু করে।


ফ্যাশনজগতে "গুচি (Gucci)" সর্বপ্রথম বাশঁ কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। পরবর্তীতে তারা আরো একধাপ এগিয়ে বিশ্ববিখ্যাত মোটর কম্পানি "রোলস রোয়েস"-এর সাথে মিলে একটি লাগেজ সেট তৈরি করে যা কিনা বেস্টসেলারে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে তারা মেয়েদের ডেইলি ওয়্যার হিসেবে সিল্ক-লেদারের তৈরি শার্ট, জ্যাকেট ইত্যাদি তৈরি শুরু করে। পোশাকে বিশ্বখ্যাতি পাওয়ার পর তারা এবার অন্যদিকে মনোযোগ প্রদান করে এবং ছেলে-মেয়ে সকলের জন্য হাতঘড়ি,জুয়েলারি ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করে। একবিংশ শতাব্দিতে "গুচি (Gucci)" অনলাইন শপিং-এর প্রতি জোরপ্রদান করে। ২০১৭ সালে অনলাইনে তাদের ক্রেতার সংখ্যা প্রায় ১১৫% বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তাদের স্টোরগুলোতেও প্রায় ৪৪% বিক্রি বৃদ্ধি পায়। পুরো বিশ্বজুড়ে "গুচি (Gucci)"-এর প্রায় ৫৫০টির মতো স্টোর রয়েছে। ১৯৯৮ সালে মিলানে অনুষ্ঠিত একটি নিলামে "গুচি (Gucci)"-এর তৈরি একটি জিন্সপ্যান্ট প্রায় ৬০,০০০ মার্কিন ডলারে বিক্রিত হয়। ২০১২ সালে "গুচি (Gucci)" অন্য একটি বিখ্যাত কম্পানি "Guess" বিরুদ্ধে একটি মামলা প্রদান করে। তাদের অভিযোগ ছিলো "গুচি (Gucci)"-এর ট্রেডমার্ক ডিজাইন "Guess" কপি করেছিল এবং মামলাতে "গুচি (Gucci)" জয়ও লাভ করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অনলাইন ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে "গুচি (Gucci)" সাইবার আইনে মামলা প্রদান করে।



"গুচি (Gucci)"-এর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠে এসেছে বিজ্ঞাপনে মেয়ে মডেলদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করার। অন্য ফ্যাশন হাউসগুলোর মতো "গুচি (Gucci)"-এর পথচলা অতো জৌলুস পূর্ণ না হলেও ফ্যাশন জগতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। 





তাদের ট্রেডমার্ক করা ব্যাগ,শার্ট,জ্যাকেট ইত্যাদি রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়। অন্য ফ্যাশন হাউসগুলোর তুলনায় "গুচি (Gucci)" এর পণ্যসমূহ মানুষের নাগালেই রয়েছে বলা যায়। ফলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে আজো বেড়ে চলেছে "গুচি (Gucci)"এর আবেদন।



Fashion Brand | গুচি | Gucci

মানুষ জীবিকার তাগিদে দিক-বিদিক ছুটে বেড়ায় শুধুমাত্র একটু ভালো থাকার আশায়। সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশে খাপ খেয়ে নিজের পরিবার থেকে দূরে থেকে তারা জীবিকার নির্বাহ করে। যদিও মানুষ প্রবাসি জীবনে নিজেদের মৌলিক চাহিদা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে তবুও গৎ বাধাঁ ধারণা থেকে বের হয়ে একজন করেছিলেন সম্পূর্ণ অন্যধারার চিন্তা। তিনি হলেন "গুচিও গুচি (Guccio Gucci)" যিনি কিনা লন্ডনের সামান্য একজন হোটেল কর্মী থেকে তৈরি করেছেন ফ্যাশনের এক বিশাল সাম্রাজ্য।



প্যারিস থেকে লন্ডনে গিয়েছিলেন জীবিকার চাহিদায়। লন্ডনে হোটেলে কাজ করার সময়ে ধনী ব্যক্তিদের লাগেজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ফ্যাশন নিয়ে কাজ করার প্রতি। এ অনুপ্রেরণা থেকে গুচি প্যারিসে ফিরে এসে ওয়ার্কশপ চালু করেন। ওয়ার্কশপে তিনি চামড়ার তৈরি লাগেজ, হ্যান্ডব্যাগ ইত্যাদি তৈরি শুরু করেন। ১৯২০ সালের দিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে "গুচি (Gucci)" পথচলা শুরু করে। যদিও প্রথম বিশ্ব মহাযুদ্ধের সময়ে "গুচি (Gucci)" কে বেশ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কাচাঁমালের অভাবে তারা চামড়ার পরিবর্তে কাপড়ের তৈরি ক্যানভাস ব্যবহার শুরু করেন। তখন "গুচি (Gucci)" সর্বপ্রথম তাদের সিগনেচার ডিজাইন "Double G" এবং লাল-সবুজ স্ট্রাইপ ব্যবহার করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর চামড়া ও সিল্ক ব্যবহার তারা শুরু করে।


ফ্যাশনজগতে "গুচি (Gucci)" সর্বপ্রথম বাশঁ কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। পরবর্তীতে তারা আরো একধাপ এগিয়ে বিশ্ববিখ্যাত মোটর কম্পানি "রোলস রোয়েস"-এর সাথে মিলে একটি লাগেজ সেট তৈরি করে যা কিনা বেস্টসেলারে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে তারা মেয়েদের ডেইলি ওয়্যার হিসেবে সিল্ক-লেদারের তৈরি শার্ট, জ্যাকেট ইত্যাদি তৈরি শুরু করে। পোশাকে বিশ্বখ্যাতি পাওয়ার পর তারা এবার অন্যদিকে মনোযোগ প্রদান করে এবং ছেলে-মেয়ে সকলের জন্য হাতঘড়ি,জুয়েলারি ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করে। একবিংশ শতাব্দিতে "গুচি (Gucci)" অনলাইন শপিং-এর প্রতি জোরপ্রদান করে। ২০১৭ সালে অনলাইনে তাদের ক্রেতার সংখ্যা প্রায় ১১৫% বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তাদের স্টোরগুলোতেও প্রায় ৪৪% বিক্রি বৃদ্ধি পায়। পুরো বিশ্বজুড়ে "গুচি (Gucci)"-এর প্রায় ৫৫০টির মতো স্টোর রয়েছে। ১৯৯৮ সালে মিলানে অনুষ্ঠিত একটি নিলামে "গুচি (Gucci)"-এর তৈরি একটি জিন্সপ্যান্ট প্রায় ৬০,০০০ মার্কিন ডলারে বিক্রিত হয়। ২০১২ সালে "গুচি (Gucci)" অন্য একটি বিখ্যাত কম্পানি "Guess" বিরুদ্ধে একটি মামলা প্রদান করে। তাদের অভিযোগ ছিলো "গুচি (Gucci)"-এর ট্রেডমার্ক ডিজাইন "Guess" কপি করেছিল এবং মামলাতে "গুচি (Gucci)" জয়ও লাভ করে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অনলাইন ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে "গুচি (Gucci)" সাইবার আইনে মামলা প্রদান করে।



"গুচি (Gucci)"-এর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠে এসেছে বিজ্ঞাপনে মেয়ে মডেলদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করার। অন্য ফ্যাশন হাউসগুলোর মতো "গুচি (Gucci)"-এর পথচলা অতো জৌলুস পূর্ণ না হলেও ফ্যাশন জগতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। 





তাদের ট্রেডমার্ক করা ব্যাগ,শার্ট,জ্যাকেট ইত্যাদি রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়। অন্য ফ্যাশন হাউসগুলোর তুলনায় "গুচি (Gucci)" এর পণ্যসমূহ মানুষের নাগালেই রয়েছে বলা যায়। ফলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে আজো বেড়ে চলেছে "গুচি (Gucci)"এর আবেদন।



কোন মন্তব্য নেই: