যারা গার্মেন্টস মালিকদের ভুল বুঝছেন তাদের জন্য ছোট্ট একটা হিসাব।
ধরেন ১ লাখ শার্টের অর্ডার এর মূল্য ১০ লাখ ডলার, এই অর্ডারটি ক্যান্সেল হলো। আমাদের মূল্যে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এখানে শ্রমিকদের বেতন , মেকিং এর অন্যান্য খরচ, মুনাফা সহ সর্বোচ্চ গড়ে ২৫%। বাকি ৭৫% কাপড়, সুতা, বিভিন্ন এসোসরিজ, প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, ওয়াস - এগুলা মালিকপক্ষের বিনিয়োগ বা বায়ারের বিনিয়োগ যা ব্যাংকের লোন অথবা এলসির মাধ্যমে হয়। এখন গার্মেন্টস মালিক না হয় ২৫% পার্সেন্ট এর দায়ভার নিলেন যেভাবেই হোক (২ কোটি ১০ লাখ) , বাকি ৭৫% টাকা কে দেবে - যদি বায়ার না দেয় (৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা)? ব্যাংক দিবে না সরকার দিবে ? মালিকের পক্ষে তিন মাসের বেতন চালানো কঠিন কিছু না। কিন্তু বাকি ৭৫% লোকসান কি দিয়ে কাটানো যাবে?! এইবার এই হিসাবটা কে আপনি বিলিয়ন ডলার বা ৮৫ হাজার কোটি টাকায় রূপান্তর করে দেখেন। এটা কোনো ভাবেই মালিকদের পক্ষে সম্ভব কিনা!? আর আপনি মনে করছেন আপনি অন্য সেকশনে আছেন, গার্মেন্টস এর কিছু হলে আপনার কিছু হবে না। তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে আছেন। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় এর ৮০% আসে এই খাত থেকে । যা আপনার অন্যান্য ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা , পরিবহন, এক্সেসরিজ প্রতিষঠান, অন্যান্য খাতের মানুষকেও পথে বসাতে বাধ্য । সর্বোপরি দেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন কাজ কে বহু পিছনে ঠেলে দিতে পারে। সরকারি চাকরি করছেন, নির্বিঘ্নে বেতন পাবেন, ভুল ভাবছেন। বাংলাদেশের গার্মেন্টসের ফিফটি পার্সেন্ট ছয় মাস না থাকলে পরবর্তী দুই বছরে লাখ লাখ লোককে না খেয়ে মরতে হবে। গার্মেন্টস এর বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে বুঝে শুনে বইললেন।
লেখাটি লিখেছেনঃ তাওহীদুল ইসলাম
২টি মন্তব্য:
এটা আমার লেখা পোস্ট , কিন্তু আমার নামও ঠিকভাবে লেখা হয়নি ।
হা ঠিক বলছেন
মালিকপক্ষর কথা আমরাও ভাবি কিন্তু আজ যদি গার্মেন্টসের কমর্রত শ্রমিকেরা
আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের পরিবারের কি হবে ?
আর সবচেয়ে বড় কথা শ্রমিকেরা আক্রান্ত হলে পরবর্তী সময়ে মালিকপক্ষ কাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাবে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন