মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং হাউসে জবের সুযোগ সুবিধা | Buyeing House - Textile Lab | Textile Learning Blog
টেক্সটাইল জব সেক্টরের সম্ভাবনা 


আগে অনেককেই দেখা যেতো গার্মেন্টস অথবা টেক্সটাইল সেক্টরের নাম শুনলেই নাক সিটকাতো।যদিও এই ধারনার পিছনে মূল কারন ছিলো উন্নত কর্ম পরিবেশের অভাব। এখন সেটা প্রোডাকশনের জবই হোক আর মার্চেন্ডাইজিং এর জবই হোক। কিন্তু সময়ের পালাবদলে আজ এই সেক্টরে আমূল পরিবর্তন এসেছে। আজ গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যায় বাংলাদেশ পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সেই সাথে ফ্যাক্টরির সাথে সাথে বাংলাদেশে বিভিন্ন বায়িং অফিস তাদের অফিস খুলছে। কর্মপরিবেশ আর সুযোগ সুবিধায় ও এসেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। তারপরও কেনো যেনো এই সেক্টর সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক ধারনার অভাব রয়েছে। যারা এই সেক্টরে জব করছে তারা নিজেরাও খুব বেশি ইতিবাচক কথা এই সেক্টর সম্পর্কে মানুষকে বলেন না।এমনকি যারা টেক্সটাইলে পড়াশোনা করেছেন তাদের মাঝেও এই ব্যাপারে জানার ঘাটতি রয়েছে কিংবা তারা নিজেরাও খুব বেশি আশাব্যঞ্জক কথা জুনিয়রদের বলেন না। যার কারনে হয়তো অনেক জুনিয়রও এসব নেতিবাচক কথার কারনে হতাশ হয়ে পড়ে। আজকে আমরা এই সেক্টর সম্পর্কে কিছু আশাব্যঞ্জক কথা শুনাতে চাই। 


১) আপনি যদি সরকারি কিংবা স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইলের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তবে আপনার শুরুতে একবার আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত। এখন জিজ্ঞেস করুন কেনো বলা উচিত? বলা উচিত এই কারনে যেখানে আপনার অন্য ডিপার্টমেন্টের বন্ধু অনার্স শেষ করে মাস্টার্সের ক্লাস শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে আপনি মোটামুটি বের হওয়ার সাথে সাথেই জবে ঢুকে যাচ্ছেন। এখানে আমার সাথে অনেকেই দ্বিমত করতে পারেন যে আসলেই কি সবাই জব পেয়ে যাচ্ছে কিংবা টেক্সটাইল সেক্টরের যেকোন সেকশনের জব পেলেই কি সব পাওয়া হয়ে গেলো? আমি একটু ছোট্ট উদাহরণ দেই আমি ২০১৫ সালে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি শেষ করি। আমরা ছিলাম আমাদের ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাচ। যেহেতু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট গুলোতে সিট লিমিটেড থাকে সে হিসেবে আমাদের আগের ৫ টি ব্যাচ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ জন জব মার্কেটে আসার কথা। বাস্তবে তার থেকেও কম জব মার্কেটে প্রবেশ করে। দেখা যায় প্রতি ব্যাচ থেকে কিছু শিক্ষকতায় কিছু উচ্চশিক্ষা এবং কিছু সরকারি চাকরির জন্য বাদ পড়ে। সে হিসেবে এতো বিশাল জব মার্কেটে তখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি নতুন। তারপরও আমাদের ব্যাচের ৪৮ জনের মধ্যে আল্লাহর রহমতে ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়ার আগেই ৭-৮ জন আর রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার আগেই ৬০% এর জব হয়ে গিয়েছিলো।কিছু তখনো জব পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো আর বাকিরা উচ্চশিক্ষা কিংবা সরকারি জবের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। অথচ  CSE/ICT ছাড়া আমাদের অন্য ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টরা তখন মাস্টার্সের মাত্র ক্লাস শুরু করেছিলো। আমি আশা করি অন্যান্য সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর চিত্রও এরকম হওয়ার কথা। আর Butex তো বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিক্ষার সূতিকাগার সেহিসেবে তাদের অবস্থা আরো ভালো হওয়ার কথা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে AUST আর BUFT আগের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারনে জব মার্কেটে তাদের পরিচিতি আছে আর অনেক সিনিয়র অলরেডি জব মার্কেটে থাকার কারনে তাদেরও গ্র্যাজুয়েশনের পরপর জব পেয়ে যাওয়ার কথা। পাশাপাশি PAU/DIU/SEU/SMUCT সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদেরও অধিকাংশের ভালো করার কথা। যদিও স্টুডেন্ট বেশি হওয়ার কারনে পুরো ১০০% ই জব পেয়ে যাবে এটা আশা করা ভুল। তারপরও চিন্তা করে দেখুন সমসাময়িক একই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্য ডিপার্টমেন্টের জব পাওয়ার ক্ষেত্রেও কি একই সম্ভাবনা থাকে? এরপর হয়তো বলতে পারেন যে টেক্সটাইলের সব ডিপার্টমেন্টেই কি আর একই সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়? তা অবশ্যই নয়। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন আপনি যেই জবটিকে হেলাফেলা করছেন সেই একই জব  মাস্টার্স শেষ করা ত্রিশোর্ধ বয়সী শত যুবকের জীবিকার জন্য আকাঙ্খিত বস্তু। 

২) আচ্ছা যারা টেক্সটাইলে পড়াশোনা করেননি তাদের জন্য কি এই সেক্টরের জব হতাশার? বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রধান এবং বড় সেক্টর হচ্ছে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি। অন্য যেকোন প্রাইভেট সেক্টরের থেকে আপনি এই সেক্টরে সহজে জব চেঞ্জ করতে পারবেন যেটা কিনা আপনি অন্য সেক্টরে পাবেন না। তাহলে আসুন আরেকবার বলি আলহামদুলিল্লাহ  । যদিও এখন বলতে পারেন টেক্সটাইলে কাজের প্রেশার অনেক। কথা সত্য কিন্তু খোজ নিয়ে দেখবেন উৎপাদনমুখী যেকোন জায়গায়ই কাজের প্রেশার বেশি। কাজ আছে দেখেই সেক্টরটি টিকে আছে আর আমার আপনার জব আছে। আমি এমনও দেখেছি তুলনামূলক কম শিক্ষিত লোকও কর্মগুনে এই সেক্টরে মাসে কয়েক লাখ টাকা স্যালারি পাচ্ছে। যেহেতু আপনি কর্মদক্ষতায় নিজেকে অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে পারবেন এবং একইসাথে বিশাল এই সেক্টরে ক্রমাগত জব পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন তাই স্যালারি বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ আপনি পাবেন। 

৩) এবার আসুন আমরা একটু ভিন্নভাবে টেক্সটাইলের জব নিয়ে স্বপ্ন দেখি।যদিও এটা সবার জন্য ঢালাওভাবে প্রযোজ্য হবে না।তারপরও বলছি। কেননা সরকারি ফার্স্ট ক্লাস জব যেমন সীমিত ঠিক তেমনি এখন যেই স্বপ্নের জায়গা নিয়ে কথা বলছি সেই জায়গাটা সীমিত হলেও আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি।প্রশ্ন আসতে পারে এই সেক্টর নিয়েও আবার স্বপ্ন?  হয়তোবা জানি না দেখেই আমরা প্রাইভেট সেক্টরের জব নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারি না। তাই অন্য সবার মতো অনেকের কাছেই সরকারি চাকরিই একমাত্র আকাংখিত বস্তু হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা এই টেক্সটাইল সেক্টরেও রেপুটেড মাল্টিন্যাশনাল বায়িং/ট্রেডিং অফিসে জব করার এমন এমন ফজিলত আছে যা সরকারি চাকুরির থেকেও কোন অংশে কম না বরংচ বেশি। যদিও সব মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং সবরকমের সুবিধা নিশ্চিত করে না তারপরও অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের এম্পলয়িদের জন্য অধিকাংশ সুবিধা নিশ্চিত করে। দেখা যাক এসব কোম্পানিতে জব করার কি কি ফজিলত আছে।

স্যালারি: 
আমরা যেখানে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলোতে স্টার্টিং এ ২০ হাজার টাকা স্যালারির জব পেলেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাই সেখানে মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং এ এসিস্ট্যান্ট মার্চেন্ডাইজার পোস্টে স্টার্টিং এ ৩০-৩৫ হাজার থেকে শুরু হয়। মার্চেন্ডাইজার পোস্টে গড়ে ৬০০০০ , সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার পোস্টে ৮০০০০, এসিস্টেন্ট ম্যানেজার পোস্টে ১০০০০০+ স্যালারি হয়ে থাকে। সরকারি চাকরিতে যারা ফার্স্ট ক্লাস অফিসার হিসেবে জয়েন করে তাদের স্যালারি নবম গ্রেডে ২২০০০ টাকার স্কেলে ৩৫-৩৬ হাজার টাকার মতো হয়ে থাকে। আর সেকন্ড ক্লাস অফিসার হিসেবে ১৬০০০ টাকার স্কেলে ২৫-২৬ হাজার টাকার মতো হয়।তবে এক্ষেত্রে সরকারি চাকরির জব সিকিউরিটি আর লোন ফ্যাসিলিটি প্লাস পয়েন্ট। 

ছুটি : 
অধিকাংশ Reputed MNC তেই সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকে।সেক্ষেত্রে International Market  অনুযায়ী শনি এবং রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এর সাথে সরকারি সব ছুটি না হলেও মোটামুটি প্রায় অনেক ছুটিই থাকে।  তবে এক্ষেত্রে সরকারি ছুটি অনুযায়ী ঈদের ছুটি কম হয় এবং স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা একটু বেশিই থাকে। 

প্রভিডেন্ট ফান্ড :
অনেকেই সরকারি চাকুরির পিছনে ছুটে কিন্তু সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি ছাড়া আর তেমন কোন সুবিধার কথা জেনে বলতে পারে না। প্রভিডেন্ট ফান্ড হচ্ছে কোম্পানি এম্পলয়ির স্যালারি থেকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট ফান্ডে জমা করবে এবং নির্দিষ্ট চাকরির মেয়াদপূর্তি হলে চাকরি জীবন শেষে সেই কোম্পানি সমসংখ্যক টাকা লভ্যাংশসহ এম্পলয়িকে ফেরত দিবে। অধিকাংশ MNC তেই প্রভিডেন্ট ফান্ড থাকে।আমার জানামতে সরকারি চাকরিতে বেসিক স্যালারির উপর % এ প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসেব করে সেখানে অনেক MNC গুলোতেই গ্রস স্যালারির % এ প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসেব করে। এখানে এটা একটি প্লাস পয়েন্ট।এখন ধরেন কোন কোম্পানিতে গ্রসের উপর ৭% প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ কাটা হয় এবং কারো স্যালারি যদি ৫০০০০ টাকা হয় সেক্ষেত্রে প্রতিমাসে তার স্যালারি থেকে ৩৫০০ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখা হয় এবং কোম্পানি  সে হিসেবে আরো ৩৫০০ টাকা এম্পলয়ির  ফান্ডে জমা রাখে। এভাবে একবছরেই একজন ৫০০০০ টাকা পাওয়া এম্পলয়ির প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা হয় ৮৪০০০ টাকা। তার সাথে লভ্যাংশ আছে। এভাবে প্রতি বছরের টাকা জমা হয়।

গ্র্যাচুইটি : 
প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো গ্রাচুইটিও সরকারি চাকুরিজীবীরা পেয়ে থাকে। আর অনেক মাল্টিন্যাশনাল বায়িং অফিস বা ট্রেডিং অফিসে গ্র্যাচুইটিও থাকে। গ্র্যাচুইটি হচ্ছে কোম্পানি বিশেষে অন্তত পাচ বছর জব করলে জব শেষে প্রতি বছরের জন্য সর্বশেষপ্রাপ্ত একমাসের স্যালারি দেওয়া হয়। তবে কোন কোন কোম্পানিতে পাচ বছর জব করলে এক মাসের কিছু কম আর দশ বছর জব করলে প্রতি বছরের জন্য একমাস হিসেব করে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এখন কেউ যদি ৫০০০০ টাকায় জব শুরু করে দশ বছর জব করে ১০০০০০ টাকা স্যালারি পায় আর জব ছেড়ে দিতে চায় সেক্ষেত্রে জব শেষে ১০০০০০০ টাকা গ্র্যাচুইটি  বাবদ পাবে। 

প্রফিট শেয়ার : 
সরকারি অধিকাংশ জায়গায় প্রফিট শেয়ার না থাকলেও অধিকাংশ MNC তে প্রফিট শেয়ার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অনেক কোম্পানিতে বছরে কমবেশ একমাসের  স্যালারি প্রফিট শেয়ার দেওয়া হয়। কিছু কিছু জায়গায় প্রফিট শেয়ারের পরিবর্তে বছরে অতিরিক্ত একমাসের স্যালারি দেওয়া হয়। এটাকে 14th Month Salary বলে। 

লং সার্ভিস এওয়ার্ড : 
অনেক MNC তে প্রতি পাচ বছর কিংবা দশ বছর পূর্তিতে লং সার্ভিস এওয়ার্ড দেওয়া হয়। 

পার্সোনাল এবং ফ্যামিলি মেডিকেল ইন্সুরেন্স:
 এই সুবিধার আওতায় এম্পলয়ি নিজে এবং ফ্যামিলি মেম্বাররা বছরে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্টের মেডিকেল ফ্যাসিলিটি পায়। যেমন যেসব কোম্পানিতে এই দুইটি ইন্সুরেন্স সুবিধা আছে সেখানে মেডিকেল ইন্সুরেন্স বাবদ এম্পলয়ি নিজে এবং তার পরিবারের প্রতি সদস্য বছরে সাধারণ আউটডোর চিকিৎসার জন্য ৩৫০০০ টাকার মতো মেডিকেল ইন্সুরেন্স সুবিধা পেয়ে থাকে। অর্থাৎ অসুস্থ হয়ে খরচবাবদ বিল জমা দিলে প্রত্যেকের জন্য সর্বোচ্চ উল্লেখযোগ্য এমাউন্টের ক্যাশ ব্যাক সুবিধা পাবে। এছাড়া অনেক কোম্পানিতে ইন্সুরেন্স পলিসি অনুযায়ী অপারেশন করার প্রয়োজন হলে ইন্সুরেন্স কোম্পানির নমিনেটেড হসপিটালে ক্যাশলেস অপারেশন সুবিধা পাওয়া যায়। এই সুবিধায় প্রতিবার একেক অপারেশনের আওতায় সার্জারি, মেডিসিন, থাকা -খাওয়া সহ সর্বোচ্চ ২-৩০০০০০ টাকার ক্যাশলেস সুবিধা পাওয়া যায়। তাছাড়া লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি অনেক কোম্পানিতে থাকে। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে কেউ মারা গেলে ইন্সুরেন্স কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৪ কিংবা ৩৬ মাসের স্যালারি পাওয়া যায়। 

ফরেন ট্যুর : 
MNC গুলোতে মিড লেভেল থেকেই ফরেন ট্যুরের সুযোগ শুরু হয়। টপ লেভেলে এসব ট্যুর বছরে কয়েকবারও হয়। 

উপরের সব সুবিধা কোম্পানি বিশেষে কম বেশি হতে পারে। আর এসব সুবিধা লং টাইম একটি কোম্পানিতে থাকলে পাওয়া যায়। 

মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং অফিস ছাড়াও অনেক ফ্যাক্টরিতে অনেক রকম সুবিধা থাকে। আমরা যদি সবাই যার যার কোম্পানির সুবিধাগুলো শেয়ার করি তাহলে জব পরিবর্তনের সময় অন্যরা আপনার কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারবে। নীচের সুবিধাগুলো থেকে আপনার কোম্পানিতে কি কি সুবিধা পাচ্ছেন তা কমেন্ট করে সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন।

*সাপ্তাহিক ছুটি (১.৫/২ দিন) 

*প্রভিডেন্ট ফান্ড (থাকলে সেটা কি বেসিক কিংবা গ্রসের কত %)

*গ্র্যাচুইটি

*প্রফিট বোনাস

*সেলফ মেডিকেল ইন্সুরেন্স

*লাইফ মেডিকেল ইন্সুরেন্স

*লাইফ ইন্সুরেন্স

*লাঞ্চ

*ট্রান্সপোর্ট




আসিফ বিন আসগর
সাবেক টেক্সটাইল স্টুডেন্ট
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

এই সিরিজের আগের লেখাগুলো পড়তে চাইলে নিচের লিংকগুলো দেখতে পারেন। 

এই সিরিজের আগের লেখাগুলো পড়তে চাইলে নিচের লিংকগুলো দেখতে পারেন। 

পর্ব-১ : https://bit.ly/2HDL4Vt
পর্ব-২ : https://bit.ly/2HZbDmM
পর্ব-৩ : https://bit.ly/2X6Mkpl
পর্ব-৪ : https://bit.ly/2WngS9f
পর্ব-৫ : https://bit.ly/2YPLKwq
পর্ব-৬ : https://bit.ly/2Ew2G3G
পর্ব-৭ : https://bit.ly/2wlbJ2J
পর্ব-৮ : https://bit.ly/2WkREbD
পর্ব-৯ :  https://bit.ly/2Sj1ZCy

মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং হাউসে জবের সুযোগ সুবিধা | Buyeing House

টেক্সটাইল জব সেক্টরের সম্ভাবনা 


আগে অনেককেই দেখা যেতো গার্মেন্টস অথবা টেক্সটাইল সেক্টরের নাম শুনলেই নাক সিটকাতো।যদিও এই ধারনার পিছনে মূল কারন ছিলো উন্নত কর্ম পরিবেশের অভাব। এখন সেটা প্রোডাকশনের জবই হোক আর মার্চেন্ডাইজিং এর জবই হোক। কিন্তু সময়ের পালাবদলে আজ এই সেক্টরে আমূল পরিবর্তন এসেছে। আজ গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যায় বাংলাদেশ পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সেই সাথে ফ্যাক্টরির সাথে সাথে বাংলাদেশে বিভিন্ন বায়িং অফিস তাদের অফিস খুলছে। কর্মপরিবেশ আর সুযোগ সুবিধায় ও এসেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। তারপরও কেনো যেনো এই সেক্টর সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক ধারনার অভাব রয়েছে। যারা এই সেক্টরে জব করছে তারা নিজেরাও খুব বেশি ইতিবাচক কথা এই সেক্টর সম্পর্কে মানুষকে বলেন না।এমনকি যারা টেক্সটাইলে পড়াশোনা করেছেন তাদের মাঝেও এই ব্যাপারে জানার ঘাটতি রয়েছে কিংবা তারা নিজেরাও খুব বেশি আশাব্যঞ্জক কথা জুনিয়রদের বলেন না। যার কারনে হয়তো অনেক জুনিয়রও এসব নেতিবাচক কথার কারনে হতাশ হয়ে পড়ে। আজকে আমরা এই সেক্টর সম্পর্কে কিছু আশাব্যঞ্জক কথা শুনাতে চাই। 


১) আপনি যদি সরকারি কিংবা স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইলের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তবে আপনার শুরুতে একবার আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত। এখন জিজ্ঞেস করুন কেনো বলা উচিত? বলা উচিত এই কারনে যেখানে আপনার অন্য ডিপার্টমেন্টের বন্ধু অনার্স শেষ করে মাস্টার্সের ক্লাস শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে আপনি মোটামুটি বের হওয়ার সাথে সাথেই জবে ঢুকে যাচ্ছেন। এখানে আমার সাথে অনেকেই দ্বিমত করতে পারেন যে আসলেই কি সবাই জব পেয়ে যাচ্ছে কিংবা টেক্সটাইল সেক্টরের যেকোন সেকশনের জব পেলেই কি সব পাওয়া হয়ে গেলো? আমি একটু ছোট্ট উদাহরণ দেই আমি ২০১৫ সালে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি শেষ করি। আমরা ছিলাম আমাদের ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাচ। যেহেতু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট গুলোতে সিট লিমিটেড থাকে সে হিসেবে আমাদের আগের ৫ টি ব্যাচ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ জন জব মার্কেটে আসার কথা। বাস্তবে তার থেকেও কম জব মার্কেটে প্রবেশ করে। দেখা যায় প্রতি ব্যাচ থেকে কিছু শিক্ষকতায় কিছু উচ্চশিক্ষা এবং কিছু সরকারি চাকরির জন্য বাদ পড়ে। সে হিসেবে এতো বিশাল জব মার্কেটে তখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি নতুন। তারপরও আমাদের ব্যাচের ৪৮ জনের মধ্যে আল্লাহর রহমতে ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়ার আগেই ৭-৮ জন আর রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার আগেই ৬০% এর জব হয়ে গিয়েছিলো।কিছু তখনো জব পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো আর বাকিরা উচ্চশিক্ষা কিংবা সরকারি জবের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। অথচ  CSE/ICT ছাড়া আমাদের অন্য ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টরা তখন মাস্টার্সের মাত্র ক্লাস শুরু করেছিলো। আমি আশা করি অন্যান্য সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর চিত্রও এরকম হওয়ার কথা। আর Butex তো বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিক্ষার সূতিকাগার সেহিসেবে তাদের অবস্থা আরো ভালো হওয়ার কথা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে AUST আর BUFT আগের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারনে জব মার্কেটে তাদের পরিচিতি আছে আর অনেক সিনিয়র অলরেডি জব মার্কেটে থাকার কারনে তাদেরও গ্র্যাজুয়েশনের পরপর জব পেয়ে যাওয়ার কথা। পাশাপাশি PAU/DIU/SEU/SMUCT সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদেরও অধিকাংশের ভালো করার কথা। যদিও স্টুডেন্ট বেশি হওয়ার কারনে পুরো ১০০% ই জব পেয়ে যাবে এটা আশা করা ভুল। তারপরও চিন্তা করে দেখুন সমসাময়িক একই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্য ডিপার্টমেন্টের জব পাওয়ার ক্ষেত্রেও কি একই সম্ভাবনা থাকে? এরপর হয়তো বলতে পারেন যে টেক্সটাইলের সব ডিপার্টমেন্টেই কি আর একই সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়? তা অবশ্যই নয়। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন আপনি যেই জবটিকে হেলাফেলা করছেন সেই একই জব  মাস্টার্স শেষ করা ত্রিশোর্ধ বয়সী শত যুবকের জীবিকার জন্য আকাঙ্খিত বস্তু। 

২) আচ্ছা যারা টেক্সটাইলে পড়াশোনা করেননি তাদের জন্য কি এই সেক্টরের জব হতাশার? বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রধান এবং বড় সেক্টর হচ্ছে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি। অন্য যেকোন প্রাইভেট সেক্টরের থেকে আপনি এই সেক্টরে সহজে জব চেঞ্জ করতে পারবেন যেটা কিনা আপনি অন্য সেক্টরে পাবেন না। তাহলে আসুন আরেকবার বলি আলহামদুলিল্লাহ  । যদিও এখন বলতে পারেন টেক্সটাইলে কাজের প্রেশার অনেক। কথা সত্য কিন্তু খোজ নিয়ে দেখবেন উৎপাদনমুখী যেকোন জায়গায়ই কাজের প্রেশার বেশি। কাজ আছে দেখেই সেক্টরটি টিকে আছে আর আমার আপনার জব আছে। আমি এমনও দেখেছি তুলনামূলক কম শিক্ষিত লোকও কর্মগুনে এই সেক্টরে মাসে কয়েক লাখ টাকা স্যালারি পাচ্ছে। যেহেতু আপনি কর্মদক্ষতায় নিজেকে অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে পারবেন এবং একইসাথে বিশাল এই সেক্টরে ক্রমাগত জব পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন তাই স্যালারি বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ আপনি পাবেন। 

৩) এবার আসুন আমরা একটু ভিন্নভাবে টেক্সটাইলের জব নিয়ে স্বপ্ন দেখি।যদিও এটা সবার জন্য ঢালাওভাবে প্রযোজ্য হবে না।তারপরও বলছি। কেননা সরকারি ফার্স্ট ক্লাস জব যেমন সীমিত ঠিক তেমনি এখন যেই স্বপ্নের জায়গা নিয়ে কথা বলছি সেই জায়গাটা সীমিত হলেও আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি।প্রশ্ন আসতে পারে এই সেক্টর নিয়েও আবার স্বপ্ন?  হয়তোবা জানি না দেখেই আমরা প্রাইভেট সেক্টরের জব নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারি না। তাই অন্য সবার মতো অনেকের কাছেই সরকারি চাকরিই একমাত্র আকাংখিত বস্তু হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা এই টেক্সটাইল সেক্টরেও রেপুটেড মাল্টিন্যাশনাল বায়িং/ট্রেডিং অফিসে জব করার এমন এমন ফজিলত আছে যা সরকারি চাকুরির থেকেও কোন অংশে কম না বরংচ বেশি। যদিও সব মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং সবরকমের সুবিধা নিশ্চিত করে না তারপরও অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের এম্পলয়িদের জন্য অধিকাংশ সুবিধা নিশ্চিত করে। দেখা যাক এসব কোম্পানিতে জব করার কি কি ফজিলত আছে।

স্যালারি: 
আমরা যেখানে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলোতে স্টার্টিং এ ২০ হাজার টাকা স্যালারির জব পেলেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাই সেখানে মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং এ এসিস্ট্যান্ট মার্চেন্ডাইজার পোস্টে স্টার্টিং এ ৩০-৩৫ হাজার থেকে শুরু হয়। মার্চেন্ডাইজার পোস্টে গড়ে ৬০০০০ , সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার পোস্টে ৮০০০০, এসিস্টেন্ট ম্যানেজার পোস্টে ১০০০০০+ স্যালারি হয়ে থাকে। সরকারি চাকরিতে যারা ফার্স্ট ক্লাস অফিসার হিসেবে জয়েন করে তাদের স্যালারি নবম গ্রেডে ২২০০০ টাকার স্কেলে ৩৫-৩৬ হাজার টাকার মতো হয়ে থাকে। আর সেকন্ড ক্লাস অফিসার হিসেবে ১৬০০০ টাকার স্কেলে ২৫-২৬ হাজার টাকার মতো হয়।তবে এক্ষেত্রে সরকারি চাকরির জব সিকিউরিটি আর লোন ফ্যাসিলিটি প্লাস পয়েন্ট। 

ছুটি : 
অধিকাংশ Reputed MNC তেই সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকে।সেক্ষেত্রে International Market  অনুযায়ী শনি এবং রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এর সাথে সরকারি সব ছুটি না হলেও মোটামুটি প্রায় অনেক ছুটিই থাকে।  তবে এক্ষেত্রে সরকারি ছুটি অনুযায়ী ঈদের ছুটি কম হয় এবং স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা একটু বেশিই থাকে। 

প্রভিডেন্ট ফান্ড :
অনেকেই সরকারি চাকুরির পিছনে ছুটে কিন্তু সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি ছাড়া আর তেমন কোন সুবিধার কথা জেনে বলতে পারে না। প্রভিডেন্ট ফান্ড হচ্ছে কোম্পানি এম্পলয়ির স্যালারি থেকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট ফান্ডে জমা করবে এবং নির্দিষ্ট চাকরির মেয়াদপূর্তি হলে চাকরি জীবন শেষে সেই কোম্পানি সমসংখ্যক টাকা লভ্যাংশসহ এম্পলয়িকে ফেরত দিবে। অধিকাংশ MNC তেই প্রভিডেন্ট ফান্ড থাকে।আমার জানামতে সরকারি চাকরিতে বেসিক স্যালারির উপর % এ প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসেব করে সেখানে অনেক MNC গুলোতেই গ্রস স্যালারির % এ প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসেব করে। এখানে এটা একটি প্লাস পয়েন্ট।এখন ধরেন কোন কোম্পানিতে গ্রসের উপর ৭% প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ কাটা হয় এবং কারো স্যালারি যদি ৫০০০০ টাকা হয় সেক্ষেত্রে প্রতিমাসে তার স্যালারি থেকে ৩৫০০ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখা হয় এবং কোম্পানি  সে হিসেবে আরো ৩৫০০ টাকা এম্পলয়ির  ফান্ডে জমা রাখে। এভাবে একবছরেই একজন ৫০০০০ টাকা পাওয়া এম্পলয়ির প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা হয় ৮৪০০০ টাকা। তার সাথে লভ্যাংশ আছে। এভাবে প্রতি বছরের টাকা জমা হয়।

গ্র্যাচুইটি : 
প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো গ্রাচুইটিও সরকারি চাকুরিজীবীরা পেয়ে থাকে। আর অনেক মাল্টিন্যাশনাল বায়িং অফিস বা ট্রেডিং অফিসে গ্র্যাচুইটিও থাকে। গ্র্যাচুইটি হচ্ছে কোম্পানি বিশেষে অন্তত পাচ বছর জব করলে জব শেষে প্রতি বছরের জন্য সর্বশেষপ্রাপ্ত একমাসের স্যালারি দেওয়া হয়। তবে কোন কোন কোম্পানিতে পাচ বছর জব করলে এক মাসের কিছু কম আর দশ বছর জব করলে প্রতি বছরের জন্য একমাস হিসেব করে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এখন কেউ যদি ৫০০০০ টাকায় জব শুরু করে দশ বছর জব করে ১০০০০০ টাকা স্যালারি পায় আর জব ছেড়ে দিতে চায় সেক্ষেত্রে জব শেষে ১০০০০০০ টাকা গ্র্যাচুইটি  বাবদ পাবে। 

প্রফিট শেয়ার : 
সরকারি অধিকাংশ জায়গায় প্রফিট শেয়ার না থাকলেও অধিকাংশ MNC তে প্রফিট শেয়ার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অনেক কোম্পানিতে বছরে কমবেশ একমাসের  স্যালারি প্রফিট শেয়ার দেওয়া হয়। কিছু কিছু জায়গায় প্রফিট শেয়ারের পরিবর্তে বছরে অতিরিক্ত একমাসের স্যালারি দেওয়া হয়। এটাকে 14th Month Salary বলে। 

লং সার্ভিস এওয়ার্ড : 
অনেক MNC তে প্রতি পাচ বছর কিংবা দশ বছর পূর্তিতে লং সার্ভিস এওয়ার্ড দেওয়া হয়। 

পার্সোনাল এবং ফ্যামিলি মেডিকেল ইন্সুরেন্স:
 এই সুবিধার আওতায় এম্পলয়ি নিজে এবং ফ্যামিলি মেম্বাররা বছরে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্টের মেডিকেল ফ্যাসিলিটি পায়। যেমন যেসব কোম্পানিতে এই দুইটি ইন্সুরেন্স সুবিধা আছে সেখানে মেডিকেল ইন্সুরেন্স বাবদ এম্পলয়ি নিজে এবং তার পরিবারের প্রতি সদস্য বছরে সাধারণ আউটডোর চিকিৎসার জন্য ৩৫০০০ টাকার মতো মেডিকেল ইন্সুরেন্স সুবিধা পেয়ে থাকে। অর্থাৎ অসুস্থ হয়ে খরচবাবদ বিল জমা দিলে প্রত্যেকের জন্য সর্বোচ্চ উল্লেখযোগ্য এমাউন্টের ক্যাশ ব্যাক সুবিধা পাবে। এছাড়া অনেক কোম্পানিতে ইন্সুরেন্স পলিসি অনুযায়ী অপারেশন করার প্রয়োজন হলে ইন্সুরেন্স কোম্পানির নমিনেটেড হসপিটালে ক্যাশলেস অপারেশন সুবিধা পাওয়া যায়। এই সুবিধায় প্রতিবার একেক অপারেশনের আওতায় সার্জারি, মেডিসিন, থাকা -খাওয়া সহ সর্বোচ্চ ২-৩০০০০০ টাকার ক্যাশলেস সুবিধা পাওয়া যায়। তাছাড়া লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি অনেক কোম্পানিতে থাকে। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে কেউ মারা গেলে ইন্সুরেন্স কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৪ কিংবা ৩৬ মাসের স্যালারি পাওয়া যায়। 

ফরেন ট্যুর : 
MNC গুলোতে মিড লেভেল থেকেই ফরেন ট্যুরের সুযোগ শুরু হয়। টপ লেভেলে এসব ট্যুর বছরে কয়েকবারও হয়। 

উপরের সব সুবিধা কোম্পানি বিশেষে কম বেশি হতে পারে। আর এসব সুবিধা লং টাইম একটি কোম্পানিতে থাকলে পাওয়া যায়। 

মাল্টিন্যাশনাল বায়িং কিংবা ট্রেডিং অফিস ছাড়াও অনেক ফ্যাক্টরিতে অনেক রকম সুবিধা থাকে। আমরা যদি সবাই যার যার কোম্পানির সুবিধাগুলো শেয়ার করি তাহলে জব পরিবর্তনের সময় অন্যরা আপনার কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারবে। নীচের সুবিধাগুলো থেকে আপনার কোম্পানিতে কি কি সুবিধা পাচ্ছেন তা কমেন্ট করে সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন।

*সাপ্তাহিক ছুটি (১.৫/২ দিন) 

*প্রভিডেন্ট ফান্ড (থাকলে সেটা কি বেসিক কিংবা গ্রসের কত %)

*গ্র্যাচুইটি

*প্রফিট বোনাস

*সেলফ মেডিকেল ইন্সুরেন্স

*লাইফ মেডিকেল ইন্সুরেন্স

*লাইফ ইন্সুরেন্স

*লাঞ্চ

*ট্রান্সপোর্ট




আসিফ বিন আসগর
সাবেক টেক্সটাইল স্টুডেন্ট
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

এই সিরিজের আগের লেখাগুলো পড়তে চাইলে নিচের লিংকগুলো দেখতে পারেন। 

এই সিরিজের আগের লেখাগুলো পড়তে চাইলে নিচের লিংকগুলো দেখতে পারেন। 

পর্ব-১ : https://bit.ly/2HDL4Vt
পর্ব-২ : https://bit.ly/2HZbDmM
পর্ব-৩ : https://bit.ly/2X6Mkpl
পর্ব-৪ : https://bit.ly/2WngS9f
পর্ব-৫ : https://bit.ly/2YPLKwq
পর্ব-৬ : https://bit.ly/2Ew2G3G
পর্ব-৭ : https://bit.ly/2wlbJ2J
পর্ব-৮ : https://bit.ly/2WkREbD
পর্ব-৯ :  https://bit.ly/2Sj1ZCy

1 টি মন্তব্য:

Md Anamul Haque বলেছেন...

আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, ভালভাবে সবকিছু জানার যাতে কোন প্রকার গ্যাপ না থাকে। এক্সপেরিয়েন্স কোন বিষয়ে থাকলে ভাল হয়?