RMG Vietnam | কিভাবে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেলো ? - Textile Lab | Textile Learning Blog
গত কয়েকদিন আগে খবরে আসলো বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২য় অবস্থান হারিয়েছে ভিয়েতনামের কাছে।


সময় এসেছে এখনি এটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের, কিভাবে আমরা আবার আগের অবস্থায় ফিরতে পারি বা অবস্থার উন্নতি করতে পারি।

প্রশ্ন হলো, কিভাবে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেলো!?



প্রথমত, ভিয়েতনামকে এক্ষেত্রে আমার মতে যা না বেশি তাদের পলিসি সাহায্য করেছে, তার চেয়ে বেশি ভূরাজনৈতিক দন্দ্ব বেশি সাহায্য করেছে। শুরুতেই আসতে হবে জিএসপি সুবিধা নিয়ে যেটা ভিয়েতনাম অনেক বছর যাবত পেয়ে আসছে তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেটা বাংলাদেশ ২০১৩তেই হারিয়েছে (রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে)। যার ফলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে! ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যমতে গত বছরের চেয়ে ১২.৭০% বেশি রপ্তানি করে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা ৬.২%। সাম্প্রতিক বানিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনের পোশাক রপ্তানি অনেকটাি পড়ে যায়, এবং ফলে চীনের বাজারের হিস্যাটার বড় অংশ ভিয়েতনাম সহজেই পেয়ে যায় যেহেতু ভিয়েতনাম জিএসপি সুবিধা পায় আমেরিকার বাজারে। আমেরিকার আমদানিকারকরাও এক্ষেত্রে ভিয়েতনামকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে পাশাপাশি চীনা ব্যবসায়ীরাও তাদের কারখানা স্থানান্তরিত করতে ভিয়েতনামকেই বেছে নিচ্ছে। জাতি ও ভাষাগত মিলের ফলে ভিয়েতনাম বরাবরই কোরিয়ান,জাপানি ও চীনাদের নিকট অগ্রাদিকার পায়।




দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের চেয়ে বন্দর সক্ষমতায় বরাবরই ভিয়েতনাম এগিয়ে, যার ফলে লিড টাইম কম হয় এবং এক্ষেত্রেও ভিয়েতনাম অগ্রাধিকার পায়। ব্র্যান্ডিং এবং ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক থেকে শুরু করে এজ অব ডুয়িং বিজনেস সহ প্রায় সব সূচকেই ভিয়েতনাম বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে গেছে। 

দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারও ভিয়েতনামকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।

তাছাড়াও সম্প্রতি ভিয়েতনাম এখন বাজার বহুমুখীকরণের দিকে মন দিচ্ছে ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও মুক্ত বানিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ক্ষেত্রে  এগিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যার ফলে তারা সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি বাজার ধরতে সক্ষম হবে। তাছাড়া তাদের দেশে পলিসিও বিনিয়োগ বান্ধব যার ফলে তারা পোশাক শিল্পে বেশি বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারছে। 



তাহলে এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের করণীয় কি??

প্রথমেই আমার মতে বাংলাদেশের উচিত স্কিলড ম্যানপাওয়ার তৈরি করা। বাংলাদেশের প্রায় বড় কারখানাতে ম্যানজম্যান্ট পজিশনে ভারতীয়, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন বিদেশিদের দেখা যায়। তারা এখানে কয়েকগুণ বেশি স্যালারিতে কাজ করছে এবং এভাবে দেশের টাকা তাদের মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছে। আর তাছাড়া স্কিলড ম্যানপাওয়ার থাকলে আমাদের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষতা ও কর্মমুখী শিক্ষা জোরদার না করলে আমরা কখনোই ভিয়েতনামকে ধরতে পারবোনা।

দ্বিতীয়ত, যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রেই বাজার বহুমুখীকরণের প্রয়োজনীয় অত্যাধিক। আশার ব্যাপার হলো এই অর্থবছরে বাংলাদেশ অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড করছে। ইউরেশিয়া (রাশিয়ার নেতৃত্বের বানিজ্যজোট) মধ্যপ্রাচ্য ওদক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলি) সহ আরও কিছু দেশে বাংলাদেশ এইবছর ভালো পরিমাণ রপ্তানি করেছে। এই ধারা যেনো অব্যাহত থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

তৃতীয়ত, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বানিজ্যের ক্ষেত্রে। মুক্তবানিজ্য চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে। তারমধ্যে ব্রাজিল, ইউরেশিয়া অন্যতম।

মার্কিন বাজারে বড় হিস্যা দখল ছাড়া আমরা কোনোভাবেই পোশাকশিল্পের মাধ্যমে ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন রপ্তানি আয়ের টার্গেট পূরণ করতে পারবোনা।তাই আমাদের সরকারের এখনই এফটিএ চুক্তি করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ইতিমধ্যে আমেরিকান সরকারের হাই প্রোফাইল কর্মকর্তাদের তৎপরতা দেখে বোঝা যায়, কৌশলগতভাবে বাংলাদেশ আমেরিকার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুক্ত বানিজ্য চুক্তি করার জন্য দর কষাকষি শুরু করতে হবে।

বানিজ্যযুদ্ধের কারণে এ বছর প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে। ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি যেখানে ১২ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশ ১৫.৪৮% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। পোশাকের অর্ডার এক্ষেত্রে বেড়েছে কিন্তু দাম বেড়েছে অল্প৷পোশাকের দাম বাড়ানোর জন্যও এক্ষেত্রে দরকষাকষি আরও বাড়াতে হবে।

চীন পোশাক রপ্তানির ব্যবসা স্থানান্তরিত করে যেসব দেশে নিচ্ছে, বাংলাদেশ তার ভিতর অন্যতম। বাংলাদেশের উচিত হবে আরো উদ্যোগী হওয়া যাতে চীনা বিনিয়োগ আরো বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।

বন্দর সুবিধা ও র ম্যাটেরিয়াল্সের আমদানি প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে হবে। ধুকতে থাকা পোশাক কারখানা গুলাকেও টিকে থাকতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে। যাতে বন্ধ না হয় কোনো কারখানা।

আশার কথা হলো ভিয়েতনামের মজুরি বেড়ে গেছে অনেক বেশি, যার কারণে বাংলাদেশ এখনো ক্রেতাদের নজরে শীর্ষে। বাংলাদেশ এবছর রেকর্ড পরিমাণ অর্ডার ও রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার এবছর টাকার অবমূল্যায়ন ও প্রণোদনা দিতে শুরু করেছে পোশাক খাতে। এজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকেও বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। ব্র্যান্ড ভ্যালুও এবছরে ৩৯৫ বিলিয়নে উন্নতি করেছে।

আমার মতে, বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে। সর্বশেষ তথ্য তাই ইংগিত করে। শুধু সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরো দ্রুত ও ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। উন্নতির ধারাটা ধরে রাখতে এই পদক্ষেপ গুলা নিতে পারলে আমার বিশ্বাস ২০২১ সালের ভিতর ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের স্বপ্ন সত্যি হবে। WTO এর হিসেবে তৈরি পোশাকের বাজার বর্তমানে ১ ট্রিলিয়ন ডলার যা ২০৩০ এ ৫ ট্রিলয়নে উন্নীত হবে। এত বড় বাজাররের সিংহভাগ বাংলাদেশ যদি ধরতে পারে তাহলে আমার বিশ্বাস ২০৪১ সালের এর আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিনত হবে।




Copyright:  
Defence Squad 
Farhan Ahmed Arannya
Mahi889

RMG Vietnam | কিভাবে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেলো ?

গত কয়েকদিন আগে খবরে আসলো বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২য় অবস্থান হারিয়েছে ভিয়েতনামের কাছে।


সময় এসেছে এখনি এটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের, কিভাবে আমরা আবার আগের অবস্থায় ফিরতে পারি বা অবস্থার উন্নতি করতে পারি।

প্রশ্ন হলো, কিভাবে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেলো!?



প্রথমত, ভিয়েতনামকে এক্ষেত্রে আমার মতে যা না বেশি তাদের পলিসি সাহায্য করেছে, তার চেয়ে বেশি ভূরাজনৈতিক দন্দ্ব বেশি সাহায্য করেছে। শুরুতেই আসতে হবে জিএসপি সুবিধা নিয়ে যেটা ভিয়েতনাম অনেক বছর যাবত পেয়ে আসছে তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেটা বাংলাদেশ ২০১৩তেই হারিয়েছে (রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে)। যার ফলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে! ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যমতে গত বছরের চেয়ে ১২.৭০% বেশি রপ্তানি করে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা ৬.২%। সাম্প্রতিক বানিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনের পোশাক রপ্তানি অনেকটাি পড়ে যায়, এবং ফলে চীনের বাজারের হিস্যাটার বড় অংশ ভিয়েতনাম সহজেই পেয়ে যায় যেহেতু ভিয়েতনাম জিএসপি সুবিধা পায় আমেরিকার বাজারে। আমেরিকার আমদানিকারকরাও এক্ষেত্রে ভিয়েতনামকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে পাশাপাশি চীনা ব্যবসায়ীরাও তাদের কারখানা স্থানান্তরিত করতে ভিয়েতনামকেই বেছে নিচ্ছে। জাতি ও ভাষাগত মিলের ফলে ভিয়েতনাম বরাবরই কোরিয়ান,জাপানি ও চীনাদের নিকট অগ্রাদিকার পায়।




দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের চেয়ে বন্দর সক্ষমতায় বরাবরই ভিয়েতনাম এগিয়ে, যার ফলে লিড টাইম কম হয় এবং এক্ষেত্রেও ভিয়েতনাম অগ্রাধিকার পায়। ব্র্যান্ডিং এবং ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক থেকে শুরু করে এজ অব ডুয়িং বিজনেস সহ প্রায় সব সূচকেই ভিয়েতনাম বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে গেছে। 

দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারও ভিয়েতনামকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।

তাছাড়াও সম্প্রতি ভিয়েতনাম এখন বাজার বহুমুখীকরণের দিকে মন দিচ্ছে ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও মুক্ত বানিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ক্ষেত্রে  এগিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যার ফলে তারা সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি বাজার ধরতে সক্ষম হবে। তাছাড়া তাদের দেশে পলিসিও বিনিয়োগ বান্ধব যার ফলে তারা পোশাক শিল্পে বেশি বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারছে। 



তাহলে এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের করণীয় কি??

প্রথমেই আমার মতে বাংলাদেশের উচিত স্কিলড ম্যানপাওয়ার তৈরি করা। বাংলাদেশের প্রায় বড় কারখানাতে ম্যানজম্যান্ট পজিশনে ভারতীয়, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন বিদেশিদের দেখা যায়। তারা এখানে কয়েকগুণ বেশি স্যালারিতে কাজ করছে এবং এভাবে দেশের টাকা তাদের মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছে। আর তাছাড়া স্কিলড ম্যানপাওয়ার থাকলে আমাদের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষতা ও কর্মমুখী শিক্ষা জোরদার না করলে আমরা কখনোই ভিয়েতনামকে ধরতে পারবোনা।

দ্বিতীয়ত, যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রেই বাজার বহুমুখীকরণের প্রয়োজনীয় অত্যাধিক। আশার ব্যাপার হলো এই অর্থবছরে বাংলাদেশ অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড করছে। ইউরেশিয়া (রাশিয়ার নেতৃত্বের বানিজ্যজোট) মধ্যপ্রাচ্য ওদক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলি) সহ আরও কিছু দেশে বাংলাদেশ এইবছর ভালো পরিমাণ রপ্তানি করেছে। এই ধারা যেনো অব্যাহত থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

তৃতীয়ত, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বানিজ্যের ক্ষেত্রে। মুক্তবানিজ্য চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে। তারমধ্যে ব্রাজিল, ইউরেশিয়া অন্যতম।

মার্কিন বাজারে বড় হিস্যা দখল ছাড়া আমরা কোনোভাবেই পোশাকশিল্পের মাধ্যমে ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন রপ্তানি আয়ের টার্গেট পূরণ করতে পারবোনা।তাই আমাদের সরকারের এখনই এফটিএ চুক্তি করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ইতিমধ্যে আমেরিকান সরকারের হাই প্রোফাইল কর্মকর্তাদের তৎপরতা দেখে বোঝা যায়, কৌশলগতভাবে বাংলাদেশ আমেরিকার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুক্ত বানিজ্য চুক্তি করার জন্য দর কষাকষি শুরু করতে হবে।

বানিজ্যযুদ্ধের কারণে এ বছর প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে। ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি যেখানে ১২ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশ ১৫.৪৮% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। পোশাকের অর্ডার এক্ষেত্রে বেড়েছে কিন্তু দাম বেড়েছে অল্প৷পোশাকের দাম বাড়ানোর জন্যও এক্ষেত্রে দরকষাকষি আরও বাড়াতে হবে।

চীন পোশাক রপ্তানির ব্যবসা স্থানান্তরিত করে যেসব দেশে নিচ্ছে, বাংলাদেশ তার ভিতর অন্যতম। বাংলাদেশের উচিত হবে আরো উদ্যোগী হওয়া যাতে চীনা বিনিয়োগ আরো বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।

বন্দর সুবিধা ও র ম্যাটেরিয়াল্সের আমদানি প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে হবে। ধুকতে থাকা পোশাক কারখানা গুলাকেও টিকে থাকতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে। যাতে বন্ধ না হয় কোনো কারখানা।

আশার কথা হলো ভিয়েতনামের মজুরি বেড়ে গেছে অনেক বেশি, যার কারণে বাংলাদেশ এখনো ক্রেতাদের নজরে শীর্ষে। বাংলাদেশ এবছর রেকর্ড পরিমাণ অর্ডার ও রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার এবছর টাকার অবমূল্যায়ন ও প্রণোদনা দিতে শুরু করেছে পোশাক খাতে। এজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকেও বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। ব্র্যান্ড ভ্যালুও এবছরে ৩৯৫ বিলিয়নে উন্নতি করেছে।

আমার মতে, বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে। সর্বশেষ তথ্য তাই ইংগিত করে। শুধু সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরো দ্রুত ও ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। উন্নতির ধারাটা ধরে রাখতে এই পদক্ষেপ গুলা নিতে পারলে আমার বিশ্বাস ২০২১ সালের ভিতর ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের স্বপ্ন সত্যি হবে। WTO এর হিসেবে তৈরি পোশাকের বাজার বর্তমানে ১ ট্রিলিয়ন ডলার যা ২০৩০ এ ৫ ট্রিলয়নে উন্নীত হবে। এত বড় বাজাররের সিংহভাগ বাংলাদেশ যদি ধরতে পারে তাহলে আমার বিশ্বাস ২০৪১ সালের এর আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিনত হবে।




Copyright:  
Defence Squad 
Farhan Ahmed Arannya
Mahi889

কোন মন্তব্য নেই: