বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প কি আসলেই হুমকির সম্মূখীন ? | RMG Bangladesh - Textile Lab | Textile Learning Blog
বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প কি আসলেই হুমকির সম্মূখীন ???


গত কয়েকদিন ধরে একটি বিষয সবার কাছে ঘুরপাক খাচেছ : বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প কি আসলেই হুমকির সম্মূখীন ??? আসলেই কি বেশ কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে, আরও বন্ধ হতে যাচেছ , । এরই ধারাবাহিকতায় আজকে হঠাৎ করে , শুদ্ধেয় আলিম স্যার এর সাথে আমরা বেশ কয়েকজন , এক চা চক্রে মিলিত হই খোলামেলা মতামত বিনিময়ের জন্য। সবার কাছ থেকেই যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসে , তা নিম্নে ধারাবাহিক ভাবে দেওয়া হল:-

প্রথমে যে বিষয়টি , সবার আলোচনায় আসে তা হল , বিদেশি ক্রেতা দের বাংলাদেশ থেকে পন্য ক্রয়ের আগ্রহ হারিয় ফেলছেন, বিশেষ করে আমেরিকান ক্রেতা । বিদেশি ক্রেতার আগ্রহ কমে যাচেছ পন্য ক্রয়ে এটা সত্যি তবে যে ভাবে বলে বেড়ানো হচেছ , তা কিন্তু নয় , কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন গোষ্ঠি কি অ্যানালাইসিস করেছেন যে এই তথ্যের সত্যতা কতটুকু রেফারেন্স সহ । এর পরে যে বিষয়টি আসে , অন্যান্য দেশে গার্মেন্টস শিল্পের নাটকীয় উন্নয়ন , ভিয়েতনাম, মায়ানমার , ইথিওপিয়া , জর্দান এসব দেশ যে ভাবে গার্মেন্টস শিল্পে নিজেদের শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে , এটাও ভাবার বিষয় , বাংলাদেশ থেকে পন্য আনা ও নেওয়া অনেক সময় ও ব্যয়বহুল। আর কাষ্টমস জটিলতার কারনেও অনেক ছোট , বড় মাঝারী উদ্যোক্তা নিজেদের কে গুটিয়ে নিচেছ। এখানে একটি উদাহরন দিতে চাই :
একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জন্য , আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের সম্মানীত এক স্যার একটি চামড়াজাত পন্য সকল অতিথিদের জন্য অর্ডার দেন। দু:খের বিষয় হল , ওই পন্য , অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার 3 দিন পরে কাষ্টমস থেকে পন্য খালাসের জন্য কল আসে। এই হচেছ অবস্থা ।



তবে এরপর ও আশার আলো হচেছ , আসলে এখনও হতাশ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় নাই যদি আমরা সকলে আলোচনা , পর্যালোচনা করে সকলে সম্মিলিত ভাবে সার্বিক ভাবে , কি সমস্যা বর্তমানে, করনীয় কি কি , এর সমাধানে কারা কাজ করি, কাজ করতে থাকি , তাহলে অবশ্যই আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত থাকবে। আর এর জন্য সবচেয়ে জরুরী যে বিষয় গুলো হচেছ , তা হলো একাগ্রতা , দেশপ্রেম , লেগে থাকার প্রবনতা এবং পরিস্থিতির সার্বিক সমণ্বয়। কথা হচেছ , এই অনুসন্ধান , করবে কারা, কারা এই বিষয় নির্দিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে সৃষ্ট সমস্যা ও সমাধান এর পথ নিয়ে আলোচনা করবে।
এর সাথে আর একটি বিষয় জোরালো ভাবে নজরে আনতে হবে সেটা হলো, কোন তথ্য অনলাইন হলে, তা ভাইরাল করার আগে এর সত্যতা যাচাই বাছাই করুন। এখন কোন নিউজ অনলাইন হওয়ার সাথে সাথেই ভাইরাল । অথচ যখন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য বলা হল , দেখা গেল সঠিক তথ্য আর ভাইরাল হওয়া তথ্যের অনেক ফারাক। এ ব্যাপারে জোরালো ভাবে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। অনলাইন এর ‍দুনিয়ায় এখন কোন তথ্য মিনিটের ভিতর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এ ব্যাপারে সকলকেই সচেতন হতে হবে।




পরবর্তী আলোচিত বিষয়, অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে , আরও বন্ধ হবে , বেশ কয়েকজন কে প্রশ্ন করা হলে , 5/6 টা ফ্যাক্টরির কথা ছাড়া , আর কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি যে এই কয়টা ফ্যা্ক্টরি গত কয়েক মাসে বন্ধ হইছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ হচেছ এ তথ্য দেওয়া হচেছ , কিন্তু গত কয়েক বছরে কতগুলো নতুন ফ্যা্ক্টরি চালু করছে , কত গুলো চালুর অপেক্ষায় আছে , এ তথ্য গুলো যথাযথ ভাবে শেয়ার করা হচেছনা।

যেমন , উদাহরন স্বরুপ- মিরপুর মাজার রোডের একটি ফ্যাক্টরি , জায়গা স্বল্পতা ও আরো প্রশাসনিক জটিলতায় তাদের ফ্যাক্টরি সকল কার্যক্রম গাজীপুর এ তাদের নতুন প্রজেক্ট এ শিফট করে। এখানে কি ব্যবসা গুটানো হল , না আরো ও বড় পরিসরে সম্প্রসারন হল।



আর একজন তার অভিজ্ঞতা বলল যে , তাদের আগে মোট 5 টি ইউনিট ছিল , মোট 43 লাইন ছিল , আর এখন তা অন্য বিল্ডিং স্থানান্তরিত করে। আর এখন ওদের মোট 90 লাইন এর প্রজেক্ট। একটা ফ্যাক্টরি এক জায়গা থেকে বন্ধ হয়ে গেলেই কি তা ব্যবসায় লস করে বন্ধ করছে। সঠিক তথ্য জানুন।




এগুলো শেয়ার করার কারন , আসল তথ্য তুলে ধরতে হবে ।

আরও দেখা যায় যে, বিদেশি ক্রেতাদের নিত্য নতুন নিয়ম অনুযায়ী চাহিদা সরবরাহ করতে গিয়েই অনেক ফ্যাক্টরি মালিকই হিমশিম খাচেছন , এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের অনেক ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার এটাও একটা কারন। তারপরেও আছে , শুরু থেকে শেষ অবধি বিশাল ব্যায় বহন করার পর , বিদেশী ক্রেতারা পন্যের যে মূল্য দিচেছ , তা আসলেই বর্তমান উচ্চমূল্যের বাজারে টিকে থাকা সত্যিই দু:সাধ্য। ফলশ্রুতিতে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে বিদেশ পাড়ি জমাচেছন। আরও উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে , যেমন একজন নিজ উদ্যোগে একটি কফি শপ দিলেন , 2 মাস পর তার মনে হল , এটা তিনি চালাতে পারবেন না, তাই তিনি এই ব্যবসা করবেন না বা এই ব্যবসা চালানোর মত মেধা বা যোগ্যতা তার নেই।এভাবেও অনেক ছোট / মাঝারি গার্মেন্টস ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। শুধু টাকা থাকলেই সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায়না , এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা , কঠোর পরিশ্রম এবং লেগে থাকতে হবে। এখন এটা কে আপনারা কি বলবেন , গার্মেন্টস শিল্প হুমকির সম্মূখীন।



অপর একটি বিষয় হচেছ , আধূনিকায়ন (Automation), নিত্য নতুন প্রযুক্তির সংযোগের কারনে , এই বিশাল ব্যায় বহন করাও অনেক গার্মেন্টস মালিকের জন্য সামর্থের বাইরে চলে যাচেছ।আমাদের কে একটি বিষয় সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে , আমরা যেন কখনও কারও সাথে অমানবিক না হই। উন্নত প্রযুক্তি সংযোগের কারনে , একটা সংখ্যক শ্রমিক চাকুরী হারাচেছ। এসব কারনে ও কিন্তু অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে , আমাদের এই মূল্যবান গার্মেন্টস শিল্পে। এসব বিষয় আমাদেরকে চিন্তা ভাবনা করে , সঠিক করনীয় নির্ধারণ করতে হবে।



পরিশেষে: - 
মুল বিষয সঠিক ভাবে অনুসন্ধান করতে হবে। কতটা বন্ধ হল তবে এর বিপরীতে কতটা নতুন চালু হল, কত জন চাকুরী হারাল কিন্তু এই সময়ের ভিতর নতুন নতুন প্রজেক্টে আরও নতুন কতজনের চাকুরীর ব্যবস্থা হল। এগুলো অনুসন্ধানী তথ্য আকারে প্রকাশ করতে হবে। তবেই হতাশা অনেকাংশে কমে আসবে এবং পরবর্তী পরিস্তিতি মোকাবেলার জন্য করনীয় ঠিক করা যাবে।



আমাদের এই আলোচনা , কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে নয় , গামের্ন্টস শিল্পের একজন ভক্ত বা প্রেমিক হিসেবেই সঠিক করনীয় নির্ধারনে সকলের সহযোগীতায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস মাত্র।

Nasir Mahmud Parvez
HR Professional
Trainer
Entrepreneur   

বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প কি আসলেই হুমকির সম্মূখীন ? | RMG Bangladesh

বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প কি আসলেই হুমকির সম্মূখীন ???


গত কয়েকদিন ধরে একটি বিষয সবার কাছে ঘুরপাক খাচেছ : বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প কি আসলেই হুমকির সম্মূখীন ??? আসলেই কি বেশ কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে, আরও বন্ধ হতে যাচেছ , । এরই ধারাবাহিকতায় আজকে হঠাৎ করে , শুদ্ধেয় আলিম স্যার এর সাথে আমরা বেশ কয়েকজন , এক চা চক্রে মিলিত হই খোলামেলা মতামত বিনিময়ের জন্য। সবার কাছ থেকেই যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসে , তা নিম্নে ধারাবাহিক ভাবে দেওয়া হল:-

প্রথমে যে বিষয়টি , সবার আলোচনায় আসে তা হল , বিদেশি ক্রেতা দের বাংলাদেশ থেকে পন্য ক্রয়ের আগ্রহ হারিয় ফেলছেন, বিশেষ করে আমেরিকান ক্রেতা । বিদেশি ক্রেতার আগ্রহ কমে যাচেছ পন্য ক্রয়ে এটা সত্যি তবে যে ভাবে বলে বেড়ানো হচেছ , তা কিন্তু নয় , কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন গোষ্ঠি কি অ্যানালাইসিস করেছেন যে এই তথ্যের সত্যতা কতটুকু রেফারেন্স সহ । এর পরে যে বিষয়টি আসে , অন্যান্য দেশে গার্মেন্টস শিল্পের নাটকীয় উন্নয়ন , ভিয়েতনাম, মায়ানমার , ইথিওপিয়া , জর্দান এসব দেশ যে ভাবে গার্মেন্টস শিল্পে নিজেদের শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে , এটাও ভাবার বিষয় , বাংলাদেশ থেকে পন্য আনা ও নেওয়া অনেক সময় ও ব্যয়বহুল। আর কাষ্টমস জটিলতার কারনেও অনেক ছোট , বড় মাঝারী উদ্যোক্তা নিজেদের কে গুটিয়ে নিচেছ। এখানে একটি উদাহরন দিতে চাই :
একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জন্য , আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের সম্মানীত এক স্যার একটি চামড়াজাত পন্য সকল অতিথিদের জন্য অর্ডার দেন। দু:খের বিষয় হল , ওই পন্য , অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার 3 দিন পরে কাষ্টমস থেকে পন্য খালাসের জন্য কল আসে। এই হচেছ অবস্থা ।



তবে এরপর ও আশার আলো হচেছ , আসলে এখনও হতাশ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় নাই যদি আমরা সকলে আলোচনা , পর্যালোচনা করে সকলে সম্মিলিত ভাবে সার্বিক ভাবে , কি সমস্যা বর্তমানে, করনীয় কি কি , এর সমাধানে কারা কাজ করি, কাজ করতে থাকি , তাহলে অবশ্যই আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত থাকবে। আর এর জন্য সবচেয়ে জরুরী যে বিষয় গুলো হচেছ , তা হলো একাগ্রতা , দেশপ্রেম , লেগে থাকার প্রবনতা এবং পরিস্থিতির সার্বিক সমণ্বয়। কথা হচেছ , এই অনুসন্ধান , করবে কারা, কারা এই বিষয় নির্দিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে সৃষ্ট সমস্যা ও সমাধান এর পথ নিয়ে আলোচনা করবে।
এর সাথে আর একটি বিষয় জোরালো ভাবে নজরে আনতে হবে সেটা হলো, কোন তথ্য অনলাইন হলে, তা ভাইরাল করার আগে এর সত্যতা যাচাই বাছাই করুন। এখন কোন নিউজ অনলাইন হওয়ার সাথে সাথেই ভাইরাল । অথচ যখন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য বলা হল , দেখা গেল সঠিক তথ্য আর ভাইরাল হওয়া তথ্যের অনেক ফারাক। এ ব্যাপারে জোরালো ভাবে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। অনলাইন এর ‍দুনিয়ায় এখন কোন তথ্য মিনিটের ভিতর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এ ব্যাপারে সকলকেই সচেতন হতে হবে।




পরবর্তী আলোচিত বিষয়, অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে , আরও বন্ধ হবে , বেশ কয়েকজন কে প্রশ্ন করা হলে , 5/6 টা ফ্যাক্টরির কথা ছাড়া , আর কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি যে এই কয়টা ফ্যা্ক্টরি গত কয়েক মাসে বন্ধ হইছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ হচেছ এ তথ্য দেওয়া হচেছ , কিন্তু গত কয়েক বছরে কতগুলো নতুন ফ্যা্ক্টরি চালু করছে , কত গুলো চালুর অপেক্ষায় আছে , এ তথ্য গুলো যথাযথ ভাবে শেয়ার করা হচেছনা।

যেমন , উদাহরন স্বরুপ- মিরপুর মাজার রোডের একটি ফ্যাক্টরি , জায়গা স্বল্পতা ও আরো প্রশাসনিক জটিলতায় তাদের ফ্যাক্টরি সকল কার্যক্রম গাজীপুর এ তাদের নতুন প্রজেক্ট এ শিফট করে। এখানে কি ব্যবসা গুটানো হল , না আরো ও বড় পরিসরে সম্প্রসারন হল।



আর একজন তার অভিজ্ঞতা বলল যে , তাদের আগে মোট 5 টি ইউনিট ছিল , মোট 43 লাইন ছিল , আর এখন তা অন্য বিল্ডিং স্থানান্তরিত করে। আর এখন ওদের মোট 90 লাইন এর প্রজেক্ট। একটা ফ্যাক্টরি এক জায়গা থেকে বন্ধ হয়ে গেলেই কি তা ব্যবসায় লস করে বন্ধ করছে। সঠিক তথ্য জানুন।




এগুলো শেয়ার করার কারন , আসল তথ্য তুলে ধরতে হবে ।

আরও দেখা যায় যে, বিদেশি ক্রেতাদের নিত্য নতুন নিয়ম অনুযায়ী চাহিদা সরবরাহ করতে গিয়েই অনেক ফ্যাক্টরি মালিকই হিমশিম খাচেছন , এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের অনেক ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার এটাও একটা কারন। তারপরেও আছে , শুরু থেকে শেষ অবধি বিশাল ব্যায় বহন করার পর , বিদেশী ক্রেতারা পন্যের যে মূল্য দিচেছ , তা আসলেই বর্তমান উচ্চমূল্যের বাজারে টিকে থাকা সত্যিই দু:সাধ্য। ফলশ্রুতিতে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে বিদেশ পাড়ি জমাচেছন। আরও উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে , যেমন একজন নিজ উদ্যোগে একটি কফি শপ দিলেন , 2 মাস পর তার মনে হল , এটা তিনি চালাতে পারবেন না, তাই তিনি এই ব্যবসা করবেন না বা এই ব্যবসা চালানোর মত মেধা বা যোগ্যতা তার নেই।এভাবেও অনেক ছোট / মাঝারি গার্মেন্টস ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। শুধু টাকা থাকলেই সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায়না , এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা , কঠোর পরিশ্রম এবং লেগে থাকতে হবে। এখন এটা কে আপনারা কি বলবেন , গার্মেন্টস শিল্প হুমকির সম্মূখীন।



অপর একটি বিষয় হচেছ , আধূনিকায়ন (Automation), নিত্য নতুন প্রযুক্তির সংযোগের কারনে , এই বিশাল ব্যায় বহন করাও অনেক গার্মেন্টস মালিকের জন্য সামর্থের বাইরে চলে যাচেছ।আমাদের কে একটি বিষয় সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে , আমরা যেন কখনও কারও সাথে অমানবিক না হই। উন্নত প্রযুক্তি সংযোগের কারনে , একটা সংখ্যক শ্রমিক চাকুরী হারাচেছ। এসব কারনে ও কিন্তু অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে , আমাদের এই মূল্যবান গার্মেন্টস শিল্পে। এসব বিষয় আমাদেরকে চিন্তা ভাবনা করে , সঠিক করনীয় নির্ধারণ করতে হবে।



পরিশেষে: - 
মুল বিষয সঠিক ভাবে অনুসন্ধান করতে হবে। কতটা বন্ধ হল তবে এর বিপরীতে কতটা নতুন চালু হল, কত জন চাকুরী হারাল কিন্তু এই সময়ের ভিতর নতুন নতুন প্রজেক্টে আরও নতুন কতজনের চাকুরীর ব্যবস্থা হল। এগুলো অনুসন্ধানী তথ্য আকারে প্রকাশ করতে হবে। তবেই হতাশা অনেকাংশে কমে আসবে এবং পরবর্তী পরিস্তিতি মোকাবেলার জন্য করনীয় ঠিক করা যাবে।



আমাদের এই আলোচনা , কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে নয় , গামের্ন্টস শিল্পের একজন ভক্ত বা প্রেমিক হিসেবেই সঠিক করনীয় নির্ধারনে সকলের সহযোগীতায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস মাত্র।

Nasir Mahmud Parvez
HR Professional
Trainer
Entrepreneur   

কোন মন্তব্য নেই: