বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নেতৃত্বে Indian ও Srilankan - Textile Lab | Textile Learning Blog
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নেতৃত্বে ভারতীয় ও শ্রীলংকানঃ




পোশাক রপ্তানীতে আমরা দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ, চায়নার পরেই বাংলাদেশ, তাতেই অনেক খুশীতে আছেন এই সেক্টরের কর্তা ব্যাক্তি ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাক্তিগন, এটি দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশীদার হলেও এই খাত হতে কত অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে তার কোন ইয়ত্তা নেই, যতটা আয় ততটাই ব্যায় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই।

একটু পিচন ফিরে চিন্তা করলেই পাওয়া যাবে আসল তথ্যঃ

১) বাইং হাউজ ও গার্মেন্টস এর অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা ভারতীয় এবং শ্রীলংকান নাগরিক এবং তাদের বেতন বাবদ চলে যাচ্ছে বিপুল পরিমান দেশীয় অর্থ,  কতজন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করছে, তার সঠিক কোন হিসাব ও নাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে!!

এন বি আর এর তথ্য মতে, দশ লক্ষের ও বেশী বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করলেও - মাত্র ১৩,০০০ নিবন্ধিত ও আয়কর পরিশোধ করেন, 

এছাড়াও প্রায় সবগুলি বাইং অফিসের রিপোর্টিং অফিস ও এখন ভারতে!!
ভারতীয় কর্মকর্তারা শীর্ষ পর্যায়ে থেকে সুকৌশলে ক্রেতাদের ম্যানেজ করে ভারতে নিয়ে যাচ্ছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে, হয়তো সেদিন বেশী দুরে নয়-  আমাদের পোশাক খাত ও হারিয়ে যেতে পারে বাংলার সোনালী আঁশের মতো!!

২) পোশাক কারখানায় ব্যাবহৃত বেশীরভাগ কাঁচামাল আনতে হয় বিদেশ থেকে, দেশে সুতা উৎপাদিত হলেও তুলা, মেশিনারীজ ও সকল যন্ত্রাংশ বিদেশের। আবার ভারতীয় নিম্নমানের সুতা কিছুটা সুলভে আমদানী করার ফলে আজ বাংলাদেশের স্পিনিং মিলগুলি ও হুমকির মুখে।

৩) এক্সেসরিজ এবং ট্রীমস এর বিশাল অংশ আসে হংকং এবং চায়না থেকে,

৪) শুধুমাত্র কটনে দেশীয় সাপোর্ট থাকলে ও এক্সক্লুসিভ সকল সুতা ও কাপড় পুরোটাই বিদেশ
নির্ভর,

হ্যা আছে একটা, সেটা হলো আমাদের দক্ষ শ্রমিক জনবল, আর সেই জন্যই এখন আমরা" মেইড ইন বাংলাদেশ" সেটাও এখন মালিকদের গলার কাটা, বর্ধিত মজুরী আর ক্রেতাদের স্বস্তায় কেনার প্রবনতা এখন যেন মরার উপর খড়ার ঘা,অন্যদিকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ তো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে,  বিজেএমসি প্রতিবছর লোকসান গুনলেও ভারত কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট নিয়ে লাভ গুনে যাচ্ছে,
বাংলাদেশের লেফ্টওভার পোশাক ও ভারতের হাতে, এখান থেকে শীফমেন্টাতিরিক্ত পোশাক চলে যাচ্ছে ভারতে, সেই পোশাকই তারা আবার রপ্তানী করে রাজস্ব আয় করছে, তাতেও সরকার ৮ভাগ প্রনোদনা দিচ্ছে..

উপরোক্ত বিষয় গুলি খতিয়ে দেখলে বুঝা যায় যে,
এক ব্যাক্তি ছাগলের ব্যাবসা শুরু করলো, ছাগল যে দামে কিনলো সেই দামেই বিক্রয় করতে বাধ্য হলো, প্রতিবেশী বন্ধু লাভের কথা জানতে চাইলে ব্যবসায়ী উত্তরে বললো লাভ হইছে ম্যা ম্যা,
কারন সারারাত ছাগল ম্যা ম্যা করছে এটাই তার লাভ,

সুহৃদ বন্ধুগণ, আসলে দেশের অতিব গুরুত্বপূর্ন এই খাতে নেই কোন সুষ্ঠু নীতিমালা, নেই কোন উন্নত প্রশিক্ষন, নেই প্রনোধোনা, তাহলে আছে কি??

আমাদের অর্থ বিদেশী নাগরিকরা নিয়ে যাবে আর আমরা আঙ্গুল চুষবো, এটা তো হতে পারেনা, তাই আসুন আমরা সবাই নীজ নীজ অবস্থান থেকে আমাদের দক্ষতা দিয়ে প্রতিবাদ করি, দেশের অর্থ ও স্বার্থ রক্ষা করি,
নিজেকে একজন দেশপ্রেমিক ও দক্ষ বস্ত্রপ্রকৌশলী হিসাবে গড়ে তুলি,  পাশাপাশি, সরকারে সংশ্লিষ্ট মহলকে সচেতন হয়ে এ খাত কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ন খাত ঘোষনার দাবী জানাই, কারিগরি ও বাজার বিপননে দেশীয় বস্ত্র প্রকৌশলীদেরকে উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য বিদেশে প্রেরনের জোর দাবী জানাচ্ছি।

বাজার সম্প্রসারনের জন্য ট্রেড ফেয়ারগুলোতে বস্ত্রপ্রকৌশলীদেরকে সহজ শর্তে ভিসা প্রদানের জন্য সরকরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দুতাবাসকে অবহিত করতে হবে।

বিদেশী নাগরিক নিয়োগের পূর্বে সরকারের অনুমোতি নেয়া বাধ্যতামুলক করতে হবে এবং বিদেশী নাগরিক নিয়োগ কমিয়ে আনতে হবে।।

আমরা দক্ষ ও স্বনির্ভর হতে চাই, স্বনির্ভর দেশ চাই।। আর কোন বিদেশী নাগরিককে আমাদের পাতে ভাগ দিতে চাইনা!

তাই, আসুন সবাই মিলে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলি, সমৃদ্ধ দেশের মানচিত্র আঁকি, উন্নত দেশ গড়ি।।


লেখকঃ ইঞ্জিঃ জামাল চৌধুরী সোহাগ,
সাধারণ সম্পাদক
এসোসিয়েশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস এন্ড টেকনোলোজিষ্ট, (এটিইটি) বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নেতৃত্বে Indian ও Srilankan

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নেতৃত্বে ভারতীয় ও শ্রীলংকানঃ




পোশাক রপ্তানীতে আমরা দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ, চায়নার পরেই বাংলাদেশ, তাতেই অনেক খুশীতে আছেন এই সেক্টরের কর্তা ব্যাক্তি ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাক্তিগন, এটি দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশীদার হলেও এই খাত হতে কত অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে তার কোন ইয়ত্তা নেই, যতটা আয় ততটাই ব্যায় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই।

একটু পিচন ফিরে চিন্তা করলেই পাওয়া যাবে আসল তথ্যঃ

১) বাইং হাউজ ও গার্মেন্টস এর অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা ভারতীয় এবং শ্রীলংকান নাগরিক এবং তাদের বেতন বাবদ চলে যাচ্ছে বিপুল পরিমান দেশীয় অর্থ,  কতজন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করছে, তার সঠিক কোন হিসাব ও নাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে!!

এন বি আর এর তথ্য মতে, দশ লক্ষের ও বেশী বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করলেও - মাত্র ১৩,০০০ নিবন্ধিত ও আয়কর পরিশোধ করেন, 

এছাড়াও প্রায় সবগুলি বাইং অফিসের রিপোর্টিং অফিস ও এখন ভারতে!!
ভারতীয় কর্মকর্তারা শীর্ষ পর্যায়ে থেকে সুকৌশলে ক্রেতাদের ম্যানেজ করে ভারতে নিয়ে যাচ্ছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে, হয়তো সেদিন বেশী দুরে নয়-  আমাদের পোশাক খাত ও হারিয়ে যেতে পারে বাংলার সোনালী আঁশের মতো!!

২) পোশাক কারখানায় ব্যাবহৃত বেশীরভাগ কাঁচামাল আনতে হয় বিদেশ থেকে, দেশে সুতা উৎপাদিত হলেও তুলা, মেশিনারীজ ও সকল যন্ত্রাংশ বিদেশের। আবার ভারতীয় নিম্নমানের সুতা কিছুটা সুলভে আমদানী করার ফলে আজ বাংলাদেশের স্পিনিং মিলগুলি ও হুমকির মুখে।

৩) এক্সেসরিজ এবং ট্রীমস এর বিশাল অংশ আসে হংকং এবং চায়না থেকে,

৪) শুধুমাত্র কটনে দেশীয় সাপোর্ট থাকলে ও এক্সক্লুসিভ সকল সুতা ও কাপড় পুরোটাই বিদেশ
নির্ভর,

হ্যা আছে একটা, সেটা হলো আমাদের দক্ষ শ্রমিক জনবল, আর সেই জন্যই এখন আমরা" মেইড ইন বাংলাদেশ" সেটাও এখন মালিকদের গলার কাটা, বর্ধিত মজুরী আর ক্রেতাদের স্বস্তায় কেনার প্রবনতা এখন যেন মরার উপর খড়ার ঘা,অন্যদিকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ তো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে,  বিজেএমসি প্রতিবছর লোকসান গুনলেও ভারত কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট নিয়ে লাভ গুনে যাচ্ছে,
বাংলাদেশের লেফ্টওভার পোশাক ও ভারতের হাতে, এখান থেকে শীফমেন্টাতিরিক্ত পোশাক চলে যাচ্ছে ভারতে, সেই পোশাকই তারা আবার রপ্তানী করে রাজস্ব আয় করছে, তাতেও সরকার ৮ভাগ প্রনোদনা দিচ্ছে..

উপরোক্ত বিষয় গুলি খতিয়ে দেখলে বুঝা যায় যে,
এক ব্যাক্তি ছাগলের ব্যাবসা শুরু করলো, ছাগল যে দামে কিনলো সেই দামেই বিক্রয় করতে বাধ্য হলো, প্রতিবেশী বন্ধু লাভের কথা জানতে চাইলে ব্যবসায়ী উত্তরে বললো লাভ হইছে ম্যা ম্যা,
কারন সারারাত ছাগল ম্যা ম্যা করছে এটাই তার লাভ,

সুহৃদ বন্ধুগণ, আসলে দেশের অতিব গুরুত্বপূর্ন এই খাতে নেই কোন সুষ্ঠু নীতিমালা, নেই কোন উন্নত প্রশিক্ষন, নেই প্রনোধোনা, তাহলে আছে কি??

আমাদের অর্থ বিদেশী নাগরিকরা নিয়ে যাবে আর আমরা আঙ্গুল চুষবো, এটা তো হতে পারেনা, তাই আসুন আমরা সবাই নীজ নীজ অবস্থান থেকে আমাদের দক্ষতা দিয়ে প্রতিবাদ করি, দেশের অর্থ ও স্বার্থ রক্ষা করি,
নিজেকে একজন দেশপ্রেমিক ও দক্ষ বস্ত্রপ্রকৌশলী হিসাবে গড়ে তুলি,  পাশাপাশি, সরকারে সংশ্লিষ্ট মহলকে সচেতন হয়ে এ খাত কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ন খাত ঘোষনার দাবী জানাই, কারিগরি ও বাজার বিপননে দেশীয় বস্ত্র প্রকৌশলীদেরকে উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য বিদেশে প্রেরনের জোর দাবী জানাচ্ছি।

বাজার সম্প্রসারনের জন্য ট্রেড ফেয়ারগুলোতে বস্ত্রপ্রকৌশলীদেরকে সহজ শর্তে ভিসা প্রদানের জন্য সরকরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দুতাবাসকে অবহিত করতে হবে।

বিদেশী নাগরিক নিয়োগের পূর্বে সরকারের অনুমোতি নেয়া বাধ্যতামুলক করতে হবে এবং বিদেশী নাগরিক নিয়োগ কমিয়ে আনতে হবে।।

আমরা দক্ষ ও স্বনির্ভর হতে চাই, স্বনির্ভর দেশ চাই।। আর কোন বিদেশী নাগরিককে আমাদের পাতে ভাগ দিতে চাইনা!

তাই, আসুন সবাই মিলে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলি, সমৃদ্ধ দেশের মানচিত্র আঁকি, উন্নত দেশ গড়ি।।


লেখকঃ ইঞ্জিঃ জামাল চৌধুরী সোহাগ,
সাধারণ সম্পাদক
এসোসিয়েশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস এন্ড টেকনোলোজিষ্ট, (এটিইটি) বাংলাদেশ।

কোন মন্তব্য নেই: