ওভেন ডাইং প্লান্টের প্রফিট বাড়ানোর উপায়
১. টেক্সটাইল মিলের সবচেয়ে বেশি সেইভিং স্কোপের সুযোগ থাকে ম্যাকানিকাল ডিপার্টমেন্ট এর স্পেয়ার পার্টস পার্চেস, মেইন্টেনেন্সের এর ক্ষত্রে প্রডাকশন এর জিএম কে দিয়ে ক্রস চেক ফিজিক্যাল ইন্সপেকশন এর সুযোগ দিতে হবে । এবং সাপ্লাইয়ার হবে মালিকের নমিনেটেড । নমিনেশন পাওয়া সাপ্লাইয়ার এর কাছে কেও খাবার সহস পাবে না।
২. স্টেনটার, CPB মেশিনে মেইন অপারেটর থাকতে হবে খুবি দক্ষ এবং সিনিয়র কারন এরা কোন কাপড়ে কতো লিটার লাগবে কতো লিটার বেচে যাবে এরা তা জানে , দক্ষ অপারেটর হলে প্রচুর কালার সেইভ সম্ভব , যদি ফেক্টরি গুলি চায় কমদামি অপারেটর যারা মেশিন চালাতে জানলেও বাহ্যিক কালার ক্যামিকেল এর হিসেব জানে না মোটেই , একটা ৩০ হাজারের সিনিয়র অপারেটর আপনার ৩-৩০ লক্ষ টাকার বছরে কালার সেইভ করে দিবে । সস্তা অপারেটন মেশিন চালিয়ে যাবে আর কালার ড্রেইন করে যাবে ।
৩. ওভেন ডাইং ফ্লোরে বিপুল পরিমানে পলি ইউজ হয় পেপার টিউব ইউজ হয় বেম্বো ক্লিপ ইউজ হয় যা সর্বোচ্চ ২-৩ বার ইউজেবল থাকে , এটা যেনো অপারেটর করে তার খেয়াল রাখতে হবে । একটি ওভেন ডাইং প্লান্টে প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকার পলি টিউব টেপ ক্লিপ ইউজ হয় । সচেতনতা গড়ে এটা ৫ লক্ষে আনা সম্ভব ।
৪. প্রতি অর্ডার ক্লোজে কি পরিমান সারপ্লাস ফেব্রিক থাকে তা ফ্লোর থেকে সরিয়ে রাখতে হবে । লোকাল ইন হাউস মিলিয়ে অনেক কাপড় অর্ডারের চেয়ে বেশি বাড়ে লেন্থে এটা পুরোটা ফেক্টরির হিসেবে থাকবে।
৫. ব্লাক কালার যা ডাইং এর পর বেচে যায় তা জমিয়ে রাখতে হবে ড্রামে ব্লাক কালার প্রায় ৫-৭ দিন রাখা যায়, প্রয়োজনে কালার রিম্যাচিং করে ডাইং করা যাবে ।
৬. ডাইজ ক্যামিকেল সোর্সিং করতে হবে মালিকের নমিনেটেড সাপ্লাইয়ারদের কাছ থেকে যা মালিক তাদের কাছ থেকে প্যাকেজে কিনবে কমিশন ছাড়া । আর LC এর বাইরে ক্যাশে কোন কালার ক্যামিকেল কেনা যাবে না ।
৭. মার্সারাইজিং ব্লিচ সিঞ্জিং মেশিনে দক্ষ সুপারভাইজার দিতে হবে যে শুধু রেসিপি করবে এবং রেসিপি পাতলা ফেব্রিকের জন্য এক রকম আর মোটা ফেব্রিকের জন্য আরেক রকম করতে হবে । এখানে পার অক্সাইড সেইভের উপর অনেক টাকা সেইভ হবে ।
৮. সিটিং এবং টিসি ডিরেক্ট ব্লিচ করা যাবে এর জন্য ডিসাইজিং করা লাগবে না , এটা প্রসেস সেইভিং ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন