BSCI | কম্পলায়েন্স কি জেনে নিন বিস্তারিত - Textile Lab | Textile Learning Blog
BSCI কি ??




বিএসসিআই হল একটি উদ্যোগ আর যে সংগঠনটি এই উদ্যোগ নিয়েছে তার নাম হল FTA (ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশান)। FTA ইউরোপীয় বায়ারদের একটি সংগঠন যার সাথে ১৭০০ এর অধিক ব্রান্ড, রিটেইলার, রপ্তানিকারক ইত্যাদি জড়িত রয়েছে। FTA এর রয়েছে ২ টি উদ্যোগ তন্মধ্যে একটি হল BSCI ( বিজিনেস সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ইনিশিয়েটিভ) আরেকটি হল BEPI (বিজিনেস এনভাইরনমেন্টাল পারফর্মেন্স ইনিশিয়েটিভ)। বিএসসিআই প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হল ব্যবসায়ে সামাজিক নৈতিকতা প্রবর্তন। এটি হল একটি সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা কোম্পানী সমুহকে সামাজিক কমপ্লায়েন্স পরিচালনা করতে এবং বিশ্বব্যাপী সাপ্লাইচেইনে সম্পৃক্ত সকল কোম্পানীকে উত্তরোত্তর উন্নতিসাধনে সহযোগিতা করে। বিএসসিআই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার্থে শ্রম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইনের মানদণ্ডকে বাস্তবিক প্রয়োগ নিশ্চিত করে। তন্মধ্যে ILO (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন) কনভেনশন, ব্যবসা ও মানবাধিকার সম্পর্কিত UN (ইউনাইটেড নেশন) গাইডলাইন ইত্যাদি অন্যতম। এছাড়াও তারা কোম্পানী যেই দেশে অবস্থিত সেই দেশের স্থানীয় আইনের বাস্তবিক প্রয়োগও নিশ্চিত করে। BSCI এর একটি আচরণবিধি রয়েছে যেখানে ১১ টি নীতিমালা রয়েছে।

মোট কথা BSCI এই আচরণবিধির মাধ্যমে  এর সাথে সম্পৃক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূলনীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করে। কোড অফ কন্ডাক্টের ১১ টি নীতিমালা হলঃ

১ সংগঠনের স্বাধীনতা এবং অভিমত প্রকাশের অধিকার

২ ন্যায্য পারিশ্রমিক

৩ পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

৪ তরুণ কর্মীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ৫ দাসত্ব শ্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

৬ ব্যবসায়িক নৈতিকতা

৭ সমান অধিকার

৮ যথাযোগ্য কাজের সময়

৯ শিশু শ্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

১০ অনিশ্চিত চাকুরী নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

১১ পরিবেশ সংরক্ষণ

BSCI এর উদ্দেশ্য এই যে, শ্রম পরিবেশ উন্নতিকল্পে সাপ্লাইচেইনের সকলে এই একই কোড অফ কন্ডাক্ট মেনে চলবে, একই প্রয়োগ পদ্ধতি পরিচালনা করবে, বিভিন্ন কার্যপদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে কোম্পানীসমূহ এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ একে অপরকে উন্নতিতে সহযোগিতা করবে ইত্যাদি।

জেনে রাখা ভাল BSCI কোন অডিটিং কোম্পানী কিংবা এক্রেডিয়েশন সিস্টেম নয়। BSCI কোম্পানী সমুহকে নিরীক্ষণ পদ্ধতি এবং রিপোর্ট প্রদান করে থাকে। BSCI নিজে অডিট করেনা কিন্তু তারা বহিঃস্থ স্বীকৃত, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং স্বতন্ত্র অডিট কোম্পানী সমুহের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে দেয়। আরও মনে রাখতে হবে এটি কোন সার্টিফিকেশান স্কিম নয়।বিএসসিআই একটি প্ল্যাটফর্ম যা ক্রেতা, পন্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, অডিট কোম্পানী এর মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল BSCI এর যেকোনো ট্রেনিং পরিচালিত হয় FTA একাডেমীর মাধ্যমে। সুতরাং যারা বিএসসিআই এর যেকোনো ট্রেনিং এ অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই FTA একাডেমী তে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

কমপ্লায়েন্স এর বেসিক কাজগুলো কি কি?
অথবা একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের প্রধান দায়িত্বগুলো কি কি?

কমপ্লায়েন্স এর পরিসর অনেক বড়, ব্যাপক বিস্তৃত।
এক কথায়  Scope of Compliance is unlimited like Sky.

তার মধ্যেও Define করে করে আমাদেরকে কমপ্লায়েন্স এর কাজগুলো করতে হয়।

প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায়, ক্রেতা সাধারণের শর্ত পুরণে  অর্থাত  কমপ্লায়েন্স সফল বাস্তবায়নের জন্য কমপ্লায়েন্স এর সমস্ত কাজগুলোকে

১) প্রধান/গুরুত্বপুর্ন

২) অপ্রধান/ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপুর্ন

সাধারনতঃ এই ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

প্রধান/গ্রুরুত্বপূর্ন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ

১। কারখানাকে কমপ্লেইন্ড কারখানা হিসেবে তৈরি করা।

২। সঠিক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

৩। ক্রেতা সাধারনের কমপ্লায়েন্স চাহিদা পুরণ করা।

৪। কারখানার সকল স্তরে প্রযোজ্য সকল আইন ও বিধি বিধানের বাস্তবায়ন করা।

৫। শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।

৬। কমপ্লায়েন্স অডিট কার্যক্রম ( দ্বিতীয় ও তৃতীয় পক্ষ নিরীক্ষা) পরিচালনা করা।

৭। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ( InternalAudit) কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৯। সংশোধনী উদ্যেগ (Corrective Action Plan) গ্রহণ করা।

১০। শ্রমিকের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা।

১১। শ্রমিকের স্বাস্থ্য  ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত  করা।

১২। শ্রমিকের কল্যাণমুলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

১৩। ঝুঁকি নিরুপন কার্যক্রম পরিচালনা করা (The Conduction of Risk Assessment)।

১৪। মালিক শ্রমিকের মাঝে সম্পর্ক উন্নত করা ও কার্যকর  যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা। অর্থাত কার্যকর শিল্প সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি।

আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোই একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারকে প্রতিষ্ঠানে করতে হয়।

একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের দায়িত্ব হলো কোম্পানীর বাহ্যিক নিয়ম-নীতি, প্রয়োজনীয়তা এবং অভ্যন্তরীণ নীতিগুলি নিশ্চিত করা। একজন সম্মতি অফিসার বাহ্যিক যোগাযোগের জন্য মান নির্ধারণ করে এবং সুবিধাগুলি পরীক্ষা করে দেখতে পারে যে সেগুলো যথাযথ কিনা। সিসিও কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ নীতি তৈরী ও পরিবর্তন করে থাকেন। বিভিন্ন কোম্পানীতে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সিসিও বা কম্পলায়েন্স অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়।


প্রশ্ন-০১ঃ
কমপ্লায়েন্স কত প্রকার ও কি কি?

সঠিক উত্তরঃ
৫ প্রকার-

১) সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স

২) টেকনিক্যাল কমপ্লায়েন্স

৩) সি-টিপ্যাট কমপ্লায়েন্স

৪) কান্ট্রি অব অরিজিন এবং

৫) বায়ার্স সিওসি

প্রশ্ন-০২ঃ
সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স এর ৮ টি প্রধান মূলনীতি কি কি?
সঠিক উত্তরঃ

১) শিশু শ্রম

২) বাধ্যতামূলক শ্রম

৩) বৈষম্য

৪) হয়রানি ও অপব্যবহার

৫) স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

৬) কর্মঘন্টা

৭)সমিতির স্বাধীনতা ও যৌথ দর কষাকষির অধিকার

৮) পারিশ্রমিক।



সাধারণ পদবী: কমপ্লায়েন্স অফিসার

প্রতিষ্ঠানের ধরনঃ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম

লেভেল: উচ্চ

অভিজ্ঞতা: বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ৫-৮ বছর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।

বেতন সীমা: বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের বেতন ৳৭০০০০-৳৩০০০০০ পর্যন্ত হয়।

বয়স সীমা:  কমপ্লায়েন্স অফিসারের বয়স সাধারণত ৪০-৫০ এর মধ্যে হয়।

একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার কী ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন?

বিভিন্ন ব্যাংক, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস । যেমন:

১.গ্রামীন ব্যাংক।

২.ব্র্যাক ব্যাংক।

৩.সোনালী ব্যাংক।

এছাড়াও আরএফএল, প্রাণ, ডিবিএল এসব কোম্পানি কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ দেয়।


একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার কি ধরনের কাজ করেন?

১.একটি কার্যকর কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রাম বিকাশ এবং বাস্তবায়ন।

২.কার্যকরী অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মনিটর করে আনুগত্য তৈরি করা।

৩.খসড়া তৈরি এবং কোম্পানির নীতিগুলি সংশোধন করা।

৪.দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করার জন্য যথাযথভাবে অডিট প্রক্রিয়া, অনুশীলন এবং নথি প্রস্তুত করা।

৫.অনুদান ঝুঁকি মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলির (যেমন বিনিয়োগ) মূল্যায়ন করা।

৫.প্রয়োজনবোধে বহিরাগত অডিটর এবং এইচআরআর এর সাথে সহযোগিতা গ্রহণ করা।

৬.যে কোন সংকট বা সম্মতি লঙ্ঘন মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।

৭.প্রবিধান এবং শিল্প প্রথার উপর কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

৮.প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ মান এবং ব্যবসায়ের লক্ষ্য ঠিক রাখা।



একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের কী কী দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

১.একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার বা কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার হিসাবে অভিজ্ঞতা প্রমাণ করা।

২.ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা।

৩.যথাযথ প্রয়োজনীয়তা এবং নিয়ন্ত্রণের জ্ঞান (যেমন, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং, বা এএমএল)।

৪.স্ট্যান্ডার্ড যোগাযোগ দক্ষতা।

৫.সততা এবং পেশাদারী নীতি।

৬.ব্যবসায়িক দক্ষতা ও জ্ঞান।

৭.দলগত কাজের দক্ষতা।

৮.বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের দক্ষতা

একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের মাসিক আয় কেমন?

বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের বেতন ৳৭০০০০-৳৩০০০০০ পর্যন্ত হয়। তবে কোম্পানির ভিত্তিতে বেতনের স্কেল ভিন্ন হয়। এছাড়াও কিছু বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়


BSCI | কম্পলায়েন্স কি জেনে নিন বিস্তারিত

BSCI কি ??




বিএসসিআই হল একটি উদ্যোগ আর যে সংগঠনটি এই উদ্যোগ নিয়েছে তার নাম হল FTA (ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশান)। FTA ইউরোপীয় বায়ারদের একটি সংগঠন যার সাথে ১৭০০ এর অধিক ব্রান্ড, রিটেইলার, রপ্তানিকারক ইত্যাদি জড়িত রয়েছে। FTA এর রয়েছে ২ টি উদ্যোগ তন্মধ্যে একটি হল BSCI ( বিজিনেস সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ইনিশিয়েটিভ) আরেকটি হল BEPI (বিজিনেস এনভাইরনমেন্টাল পারফর্মেন্স ইনিশিয়েটিভ)। বিএসসিআই প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হল ব্যবসায়ে সামাজিক নৈতিকতা প্রবর্তন। এটি হল একটি সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা কোম্পানী সমুহকে সামাজিক কমপ্লায়েন্স পরিচালনা করতে এবং বিশ্বব্যাপী সাপ্লাইচেইনে সম্পৃক্ত সকল কোম্পানীকে উত্তরোত্তর উন্নতিসাধনে সহযোগিতা করে। বিএসসিআই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার্থে শ্রম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইনের মানদণ্ডকে বাস্তবিক প্রয়োগ নিশ্চিত করে। তন্মধ্যে ILO (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন) কনভেনশন, ব্যবসা ও মানবাধিকার সম্পর্কিত UN (ইউনাইটেড নেশন) গাইডলাইন ইত্যাদি অন্যতম। এছাড়াও তারা কোম্পানী যেই দেশে অবস্থিত সেই দেশের স্থানীয় আইনের বাস্তবিক প্রয়োগও নিশ্চিত করে। BSCI এর একটি আচরণবিধি রয়েছে যেখানে ১১ টি নীতিমালা রয়েছে।

মোট কথা BSCI এই আচরণবিধির মাধ্যমে  এর সাথে সম্পৃক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূলনীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করে। কোড অফ কন্ডাক্টের ১১ টি নীতিমালা হলঃ

১ সংগঠনের স্বাধীনতা এবং অভিমত প্রকাশের অধিকার

২ ন্যায্য পারিশ্রমিক

৩ পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

৪ তরুণ কর্মীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ৫ দাসত্ব শ্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

৬ ব্যবসায়িক নৈতিকতা

৭ সমান অধিকার

৮ যথাযোগ্য কাজের সময়

৯ শিশু শ্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

১০ অনিশ্চিত চাকুরী নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

১১ পরিবেশ সংরক্ষণ

BSCI এর উদ্দেশ্য এই যে, শ্রম পরিবেশ উন্নতিকল্পে সাপ্লাইচেইনের সকলে এই একই কোড অফ কন্ডাক্ট মেনে চলবে, একই প্রয়োগ পদ্ধতি পরিচালনা করবে, বিভিন্ন কার্যপদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে কোম্পানীসমূহ এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ একে অপরকে উন্নতিতে সহযোগিতা করবে ইত্যাদি।

জেনে রাখা ভাল BSCI কোন অডিটিং কোম্পানী কিংবা এক্রেডিয়েশন সিস্টেম নয়। BSCI কোম্পানী সমুহকে নিরীক্ষণ পদ্ধতি এবং রিপোর্ট প্রদান করে থাকে। BSCI নিজে অডিট করেনা কিন্তু তারা বহিঃস্থ স্বীকৃত, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং স্বতন্ত্র অডিট কোম্পানী সমুহের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে দেয়। আরও মনে রাখতে হবে এটি কোন সার্টিফিকেশান স্কিম নয়।বিএসসিআই একটি প্ল্যাটফর্ম যা ক্রেতা, পন্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, অডিট কোম্পানী এর মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল BSCI এর যেকোনো ট্রেনিং পরিচালিত হয় FTA একাডেমীর মাধ্যমে। সুতরাং যারা বিএসসিআই এর যেকোনো ট্রেনিং এ অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই FTA একাডেমী তে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

কমপ্লায়েন্স এর বেসিক কাজগুলো কি কি?
অথবা একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের প্রধান দায়িত্বগুলো কি কি?

কমপ্লায়েন্স এর পরিসর অনেক বড়, ব্যাপক বিস্তৃত।
এক কথায়  Scope of Compliance is unlimited like Sky.

তার মধ্যেও Define করে করে আমাদেরকে কমপ্লায়েন্স এর কাজগুলো করতে হয়।

প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায়, ক্রেতা সাধারণের শর্ত পুরণে  অর্থাত  কমপ্লায়েন্স সফল বাস্তবায়নের জন্য কমপ্লায়েন্স এর সমস্ত কাজগুলোকে

১) প্রধান/গুরুত্বপুর্ন

২) অপ্রধান/ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপুর্ন

সাধারনতঃ এই ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

প্রধান/গ্রুরুত্বপূর্ন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ

১। কারখানাকে কমপ্লেইন্ড কারখানা হিসেবে তৈরি করা।

২। সঠিক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

৩। ক্রেতা সাধারনের কমপ্লায়েন্স চাহিদা পুরণ করা।

৪। কারখানার সকল স্তরে প্রযোজ্য সকল আইন ও বিধি বিধানের বাস্তবায়ন করা।

৫। শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।

৬। কমপ্লায়েন্স অডিট কার্যক্রম ( দ্বিতীয় ও তৃতীয় পক্ষ নিরীক্ষা) পরিচালনা করা।

৭। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ( InternalAudit) কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৯। সংশোধনী উদ্যেগ (Corrective Action Plan) গ্রহণ করা।

১০। শ্রমিকের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা।

১১। শ্রমিকের স্বাস্থ্য  ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত  করা।

১২। শ্রমিকের কল্যাণমুলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

১৩। ঝুঁকি নিরুপন কার্যক্রম পরিচালনা করা (The Conduction of Risk Assessment)।

১৪। মালিক শ্রমিকের মাঝে সম্পর্ক উন্নত করা ও কার্যকর  যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা। অর্থাত কার্যকর শিল্প সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি।

আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোই একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারকে প্রতিষ্ঠানে করতে হয়।

একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের দায়িত্ব হলো কোম্পানীর বাহ্যিক নিয়ম-নীতি, প্রয়োজনীয়তা এবং অভ্যন্তরীণ নীতিগুলি নিশ্চিত করা। একজন সম্মতি অফিসার বাহ্যিক যোগাযোগের জন্য মান নির্ধারণ করে এবং সুবিধাগুলি পরীক্ষা করে দেখতে পারে যে সেগুলো যথাযথ কিনা। সিসিও কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ নীতি তৈরী ও পরিবর্তন করে থাকেন। বিভিন্ন কোম্পানীতে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সিসিও বা কম্পলায়েন্স অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়।


প্রশ্ন-০১ঃ
কমপ্লায়েন্স কত প্রকার ও কি কি?

সঠিক উত্তরঃ
৫ প্রকার-

১) সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স

২) টেকনিক্যাল কমপ্লায়েন্স

৩) সি-টিপ্যাট কমপ্লায়েন্স

৪) কান্ট্রি অব অরিজিন এবং

৫) বায়ার্স সিওসি

প্রশ্ন-০২ঃ
সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স এর ৮ টি প্রধান মূলনীতি কি কি?
সঠিক উত্তরঃ

১) শিশু শ্রম

২) বাধ্যতামূলক শ্রম

৩) বৈষম্য

৪) হয়রানি ও অপব্যবহার

৫) স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

৬) কর্মঘন্টা

৭)সমিতির স্বাধীনতা ও যৌথ দর কষাকষির অধিকার

৮) পারিশ্রমিক।



সাধারণ পদবী: কমপ্লায়েন্স অফিসার

প্রতিষ্ঠানের ধরনঃ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম

লেভেল: উচ্চ

অভিজ্ঞতা: বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ৫-৮ বছর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।

বেতন সীমা: বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের বেতন ৳৭০০০০-৳৩০০০০০ পর্যন্ত হয়।

বয়স সীমা:  কমপ্লায়েন্স অফিসারের বয়স সাধারণত ৪০-৫০ এর মধ্যে হয়।

একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার কী ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন?

বিভিন্ন ব্যাংক, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস । যেমন:

১.গ্রামীন ব্যাংক।

২.ব্র্যাক ব্যাংক।

৩.সোনালী ব্যাংক।

এছাড়াও আরএফএল, প্রাণ, ডিবিএল এসব কোম্পানি কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ দেয়।


একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার কি ধরনের কাজ করেন?

১.একটি কার্যকর কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রাম বিকাশ এবং বাস্তবায়ন।

২.কার্যকরী অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মনিটর করে আনুগত্য তৈরি করা।

৩.খসড়া তৈরি এবং কোম্পানির নীতিগুলি সংশোধন করা।

৪.দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করার জন্য যথাযথভাবে অডিট প্রক্রিয়া, অনুশীলন এবং নথি প্রস্তুত করা।

৫.অনুদান ঝুঁকি মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলির (যেমন বিনিয়োগ) মূল্যায়ন করা।

৫.প্রয়োজনবোধে বহিরাগত অডিটর এবং এইচআরআর এর সাথে সহযোগিতা গ্রহণ করা।

৬.যে কোন সংকট বা সম্মতি লঙ্ঘন মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।

৭.প্রবিধান এবং শিল্প প্রথার উপর কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

৮.প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ মান এবং ব্যবসায়ের লক্ষ্য ঠিক রাখা।



একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের কী কী দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

১.একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার বা কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার হিসাবে অভিজ্ঞতা প্রমাণ করা।

২.ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা।

৩.যথাযথ প্রয়োজনীয়তা এবং নিয়ন্ত্রণের জ্ঞান (যেমন, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং, বা এএমএল)।

৪.স্ট্যান্ডার্ড যোগাযোগ দক্ষতা।

৫.সততা এবং পেশাদারী নীতি।

৬.ব্যবসায়িক দক্ষতা ও জ্ঞান।

৭.দলগত কাজের দক্ষতা।

৮.বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের দক্ষতা

একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের মাসিক আয় কেমন?

বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে একজন কমপ্লায়েন্স অফিসারের বেতন ৳৭০০০০-৳৩০০০০০ পর্যন্ত হয়। তবে কোম্পানির ভিত্তিতে বেতনের স্কেল ভিন্ন হয়। এছাড়াও কিছু বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়


কোন মন্তব্য নেই: