টেক্সটাইল ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট পাস করানোর কৌশল | Textile Testing - Textile Lab | Textile Learning Blog
ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট ফেইল করলে তাকে রেকটিফাই করার জন্য কিছু ইন হাউস মেথডঃ

আমাদের যারা টেক্সটাইল প্রডাকশন রিলেটেড জব যেমন ডাইং, ল্যাব, মার্চেন্ডাইজার তাদের অরায় সব অর্ডারের থার্ড পার্টি টেস্টিং করা হয়, আমাদের প্রায় অনেক ফিজিক্যাল ক্যামিকেল টেস্ট রেজাল্ট  ফেইল হয় ।  আমাদের টেস্ট রেজাল্ট ফেইল এড়ানোর জন্য কিছু ইনহাউস / নিজস্ব টেকনিক ফলো করা হয় টেস্ট রেজাল্ট পাস করানোর জন্য ।  টেকনিক গুলি এই কারনে করা হয় সে আমাদের ফেব্রিক সেইভ করার জন্য এবং টাইম সেইভ করার জন্য  ।  নতুন করে ফেব্রিক বানিয়ে প্রসেস করে  টাইম ওয়েস্ট করার চেয়ে যদি একটু সামান্য প্রসেস করে যদি আমরা টাইম ফেব্রিক সেইভ করি  এর জন্য আমরা বিকল্প ব্যাবস্থা নেই ।
ইউরোপ আর আমেরিকায় মুলত  ফিজিক্যাল টেস্ট গুলি কমবেশি Accept করে নিলেও ক্যামিকেল টেস্ট ফেল করলে সেটা কখনো নিবে না ।

আসুন আমাদের নিজস্ব টেকনিক গুলি জেনে নেই এর বাইরে থাকলে কমেন্টে জানাবেনঃ ☺

১. APEO NPEO পজেটিভ - রেজাল্ট ফেইল: 

স্যাম্পল টেস্টে যদি APEO NPEO ধরা পড়ে রেজাল্ট পজেটিভ হয় তবে স্যাম্পল রি সাবমিট করার আগে স্যাম্পল কে ০.৫ গ্রাম পার লিটার হারে সিকুইস্টারিং এজেন্ট এর সাথে ওয়াস করে  দিতে হবে ৷  আশাকরা যায় স্যাম্পলের APEO NPEO Acceptable রেঞ্জের ভেতরে চলে আসবে। যদিও ক্যামিকেল পার্চেস করার সময় APEO, NPEO ফ্রি কিনা জেনে নিতে হবে এবং টেস্ট স্যাম্পল ডাইং এর সময় তা ইউজ করতে হবে। স্টেন্টার  ভালো করে পরিস্কারের করে নিতে হবে টেস্ট স্যাম্পল ফিনিশিং এর আগে । সিকুইস্টারিং এজেন্ট যে কোন মেটাল কন্টেন্ট দূর করে তাই অনেক ক্ষতিকর মেটাল কন্টামিনেশন দূর করে ফেলে ।

আরো দুটি প্রচলিত প্রসেস আছেঃ

1.   APEO free surfactant  দিয়ে হট ওয়াস করতে হবে , এর পর আবার কোল্ড ওয়াস করে নিতে হবে। BASF এর লিকুইড ডিটারজেন্ট ভালো কার্যকরী এটা দিয়ে আধাঘন্টা রান করে ডাবল রিনজ করে নিতে হবে।

2.   Formic acid 2gms/liter দিয়ে 70°c টেম্পারেচারে 30 minutes প্রসেস করে নিতে হবে এর পর একটি কোল্ড ওয়াস একটি হট ওয়াস করে নিতে হবে।

২. ফরমালডিহাইডঃ 
✔ ফরমালডিহাইড পজেটিভ হবে সলিড ফেব্রিকের ক্ষত্রে ইউরিয়া দিয়ে ওয়াস করে স্যাম্পল রি সাবমিট করতে হবে ।

✔ ফরমালডিহাইড পজেটিভ হবে প্রিন্টিং  ফেব্রিকের ক্ষত্রে ইউরিয়া দিয়ে ওয়াস করে স্যাম্পল রি সাবমিট করতে হবে ।  হাইটেম্পারেচর কিউরিং করে নিতে হবে ।



৩. নিকেল পজেটিভঃ
এটা মেটালে জিপারে টেস্ট করা হয়, সাধারনত নমিনেটেড ম্যানুফেকচার, যাদের অকোটেক্স সার্টিফিকেট আছে তাদের কাছে মেটাল আইটেম নিতে হবে আর এটা দূর করার উপায় হচ্ছে ফেলে দেয়া। আবার নতুন করে লাগানো ।  বিগ ভলিউম এর অর্ডার হলেই স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট নিতে হবে সাপ্লাইয়েরর কাছে ।  ১০০০০ পিস কাপড়ে বাটন লাগিয়ে পরে ধরা পড়ার চেয়ে আগে রিপোর্ট পাস করিয়ে পরে লাগানো উচিৎ ।

৪. pH ফেইলঃ 
pH রেজাল্ট পাস ফেইল নির্ভর করে বায়ারের রিকয়ারমেন্ট এর উপর বেশিরভাগ বায়ার রেঞ্জ চায় ৫-৭ এর ভেতর ।  pH ফেইল এলকালাইন হলে এসিড ওয়াস করে নিউট্রাল করে নামাতে হবে ।  এসিডিক হলে ওয়াস করে নামাতে হবে। একটু কেয়ারফুলি প্রসেস করলে এটা এড়ানো সম্ভব ।  এসিডিক হলে লিকুইড ডিটারজেন্ট ওয়াসে এমনি নিউট্রাল হয়ে যায়।

৫. ফাস্টনেসঃ 

✔ ড্রাই রাবিং ভালো করার জন্য এনজাইম ওয়াস বা সিনজিং করে দেয়া উচিৎ কারন হেয়ারি ফাইবার রাবিং ফাস্টনেস ফেইল করার কারন।

✔ ওয়েট রাবিং ফেইল করলে  রাবিং ফাস্টনেস ইম্প্রুভার ( অক্সোলারি - ক্যামিকেল)  আছে তা দিয়ে ফিনিশিং করে নিতে হবে ।

✔ লাইট ফাস্টনেস ফেইল করলে এটা রিসাবমিশনের সময় ভালো ডাইজ দিয়ে ডাইং করে দিতে হবে।

৬. ব্লাস্টিং স্ট্রেন্থ ফেইলঃ 
ব্লাস্টিং স্ট্রেনথ টেস্টিং হয় লোয়ার জিএসএমের কাপড়ে যেমন ১৮০ এর নিচে।  ব্লাস্টিং স্ট্রেনথ রিকয়ারমেন্ট থাকলে ওই কাপড় নীটের সময় স্টিচ লেনথ কমিয়ে কম্পেক্ট করে বানাতে হবে ।  ফেব্রিক এনজাইম করা যাবে না ।  ফিনিশিং এর সময় কম্পেক্টিং করতে হবে৷। একবার ফেইল করলে এটাকা বাদ দিয়ে নতুন করে ফেব্রিক বানাতে হবে ।





৭. SHRINKAGE  ফেইল : 
কোন কাপড়ে যদি Length  এ Shrinkage  ফেল করে তাহলে ঐ কাপড় ফিনিশ করার সময় ডায়া + করে ফিনিশ করলে পাশ করবে।

যেমন:- L- 10 হলে ডায়া ৩ ইঞ্চি + করলে shrinkage  পাশ করবে। অনুরোপভাবে কোন কাপড়ে যদি Width   ফেল করে তাহলে একই পদ্ধতিগত ভাবে কাজ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।যদি কোন কাপড়ে length  &  width দুইটাই ফেল করে তাহলে ঐ কাপড়কে 90% Dry করে টাম্বুল করলে পাশ করবে,  সেই ক্ষেত্রে Shrinkage  plus  হয়ে যেতে পারে।মনে রাখতে হবে প্রতি ১ইঞ্চি ডায়া (+) বা ( -) করলে shrinkage 1.5% কমে।


৮. Twisting  ফেইল: 
কোন কাপড়ে যদি Twisting  ফেল করে,,  তাহলে  ঐ কাপড়কে angle compacting  করে ফিনিশ করলে ভাল ফল পাওয়া  যাবে।  যদি তাতে পাশ না করে তাহলে ঐ কাপড়কে স্লিটিং এ ভিজিয়ে Full angle  দিয়ে stenter করে Full angle দিয়ে Compacting করে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে,,, যদি এতেও পাশ না করে তাহলে 80% dry করে ট্রাম্বল করলে পাশ করবেই।


৯.GSM ফেইল: 

কোন কাপড়ে Gsm যদি বেশি হয় তাহলে ডায়া + করে overfeed কমিয়ে ফিনিশ করলে  Gsm ঠিক হবে।
কোন কাপড়ে যদি Gsm কম হয়,,  সে ক্ষেত্রে full overfeeding / Full vibration  দিয়ে নরমাল  ডায়ায় ফিনিশ করলে Gsm বৃদ্ধি  করা যায়। এর পরেও Gsm না বৃদ্ধি পায় তাহলে 50% Dry 50% Wet  করে টাম্বুল করলে Gsm বৃদ্ধি পাবে। সব পদ্ধতি  ব্যবহার করার পরেও যদি Gsm নাহ বাড়ে তাহলে ইউরিয়া ব্যবহার করলেই Gsm বাড়বে, না হয় ইউরিয়া + গ্লিসারিন দিয়ে ফিনিশিং করতে হবে ,, এর পর যদি নাহ বাড়ে তাহলে ঐ কাপড় বাতিল করে নতুন করে কাপড় বানাতে হবে। স্যাম্পল দেয়ার সময় তাকে স্টিম আয়রন দিয়ে স্টিম খাওয়াতে হবে পরে পলি প্যাক করে রাখতে হবে ।


১০. Phenolic  yellowing টেস্ট ফেইল: 

এক্র, অফ হোয়াইট, হোয়াইট, গ্রে মিলাঞ্জে এটা চেক করা হয়। কোন কাপড়ের যদি yellowing  test করা হয় তাহলো ঐ কাপড়কে ডাইং এন্ড ফিনিশিং উভয়ে Non ionic softener  অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। যদি কোন কাপড়  test ফেল করে আর যদি তার Grade হয় 2-3 তাহলে ঐ কাপড়কে পুনরায়  Non -  ionic  সফেনার ( হোয়াইট সফেনার)   ব্যবহার করে  PH  3- 4 রেখে ডাবল প্যাডারে ঐ chemical  ব্যবহার করলে পাশ করবে।




১১. পিলিং ফেইল : 

কোন কাপড়ে যদি pilling গ্রেড  অনেক খারাপ হয় তাহলে ঐ কাপড়কে  singeing করার সময় Speed কমিয়ে singeing করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে,,, যদি তার পরেও খারাপ হয় তাহলে ঐ কাপড়কে আগে Heat set করে, তারপর ঐ কাপড়কে singeing করে তারপর enzyme করে ফিনিশ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। পিলিং ফেইল করবে যদি এমনাইম না করা হয় আর লাইট সুইডিং করে দিলে পিলিং হয় না ।   PU কোর্টিং পাওয়া যায় যা দিয়ে ফিনিশিং করে নিলে পিলিং রেজাল্ট পাস হয়।  তবে কার্ড ইয়ার্নের পরিবর্তে ভর্টেক্স ইয়ার্ন, কম্বড ইয়ার্ন ইউজ করা উচিৎ।

১‌:১ রেশিও মেইনটেইন করে PU Corting ক্যামিকেল + সিলিকন ৫ গ্রাম পার লিটার হারে ফেব্রিক ফিনিশিং করে দিলে হেয়ারীনেস বা পিলিং কমে যাবে।

১২. Bush  appearance  : 

কোন কাপড়ে যদি Brush appearance  ফেল করে তাহলে তা ঐ কাপড়কে Brush করার পর Siliting করে তারপর Stenter করে তারপর Shearing  করে, তারপর আবার Stenter করে compacting করে ফিনিশ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। এরপরেও যদি Appearance  খারাপ করে তাহলে  ঐ কাপড়কে Dyeing machine  a wash করে তারপর siliting করে Stenter করে ফিনিশ করলে পাশ করবে।

১৩. Azo টেস্টিং ফেইলঃ 

এজো পেলে ডাইজ কম্বিনেশন চেইঞ্জ করা উচিৎ , আর সতর্ক থাকার জন্য ভালো ব্রেন্ডের ডাইজ ইউজ করা লাগে , এজো এর পারমিজিবল লিমিট ৩০ পিপিএম।  এজো ধরা খেলে স্যাম্পল রিসাবমিট করার সময় একে এসিটিক ১ গ্রাম পার লিটার হারে এসিড দিয়ে ওয়াস করে নিতে হবে ।




টেক্সটাইল ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট পাস করানোর কৌশল | Textile Testing

ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট ফেইল করলে তাকে রেকটিফাই করার জন্য কিছু ইন হাউস মেথডঃ

আমাদের যারা টেক্সটাইল প্রডাকশন রিলেটেড জব যেমন ডাইং, ল্যাব, মার্চেন্ডাইজার তাদের অরায় সব অর্ডারের থার্ড পার্টি টেস্টিং করা হয়, আমাদের প্রায় অনেক ফিজিক্যাল ক্যামিকেল টেস্ট রেজাল্ট  ফেইল হয় ।  আমাদের টেস্ট রেজাল্ট ফেইল এড়ানোর জন্য কিছু ইনহাউস / নিজস্ব টেকনিক ফলো করা হয় টেস্ট রেজাল্ট পাস করানোর জন্য ।  টেকনিক গুলি এই কারনে করা হয় সে আমাদের ফেব্রিক সেইভ করার জন্য এবং টাইম সেইভ করার জন্য  ।  নতুন করে ফেব্রিক বানিয়ে প্রসেস করে  টাইম ওয়েস্ট করার চেয়ে যদি একটু সামান্য প্রসেস করে যদি আমরা টাইম ফেব্রিক সেইভ করি  এর জন্য আমরা বিকল্প ব্যাবস্থা নেই ।
ইউরোপ আর আমেরিকায় মুলত  ফিজিক্যাল টেস্ট গুলি কমবেশি Accept করে নিলেও ক্যামিকেল টেস্ট ফেল করলে সেটা কখনো নিবে না ।

আসুন আমাদের নিজস্ব টেকনিক গুলি জেনে নেই এর বাইরে থাকলে কমেন্টে জানাবেনঃ ☺

১. APEO NPEO পজেটিভ - রেজাল্ট ফেইল: 

স্যাম্পল টেস্টে যদি APEO NPEO ধরা পড়ে রেজাল্ট পজেটিভ হয় তবে স্যাম্পল রি সাবমিট করার আগে স্যাম্পল কে ০.৫ গ্রাম পার লিটার হারে সিকুইস্টারিং এজেন্ট এর সাথে ওয়াস করে  দিতে হবে ৷  আশাকরা যায় স্যাম্পলের APEO NPEO Acceptable রেঞ্জের ভেতরে চলে আসবে। যদিও ক্যামিকেল পার্চেস করার সময় APEO, NPEO ফ্রি কিনা জেনে নিতে হবে এবং টেস্ট স্যাম্পল ডাইং এর সময় তা ইউজ করতে হবে। স্টেন্টার  ভালো করে পরিস্কারের করে নিতে হবে টেস্ট স্যাম্পল ফিনিশিং এর আগে । সিকুইস্টারিং এজেন্ট যে কোন মেটাল কন্টেন্ট দূর করে তাই অনেক ক্ষতিকর মেটাল কন্টামিনেশন দূর করে ফেলে ।

আরো দুটি প্রচলিত প্রসেস আছেঃ

1.   APEO free surfactant  দিয়ে হট ওয়াস করতে হবে , এর পর আবার কোল্ড ওয়াস করে নিতে হবে। BASF এর লিকুইড ডিটারজেন্ট ভালো কার্যকরী এটা দিয়ে আধাঘন্টা রান করে ডাবল রিনজ করে নিতে হবে।

2.   Formic acid 2gms/liter দিয়ে 70°c টেম্পারেচারে 30 minutes প্রসেস করে নিতে হবে এর পর একটি কোল্ড ওয়াস একটি হট ওয়াস করে নিতে হবে।

২. ফরমালডিহাইডঃ 
✔ ফরমালডিহাইড পজেটিভ হবে সলিড ফেব্রিকের ক্ষত্রে ইউরিয়া দিয়ে ওয়াস করে স্যাম্পল রি সাবমিট করতে হবে ।

✔ ফরমালডিহাইড পজেটিভ হবে প্রিন্টিং  ফেব্রিকের ক্ষত্রে ইউরিয়া দিয়ে ওয়াস করে স্যাম্পল রি সাবমিট করতে হবে ।  হাইটেম্পারেচর কিউরিং করে নিতে হবে ।



৩. নিকেল পজেটিভঃ
এটা মেটালে জিপারে টেস্ট করা হয়, সাধারনত নমিনেটেড ম্যানুফেকচার, যাদের অকোটেক্স সার্টিফিকেট আছে তাদের কাছে মেটাল আইটেম নিতে হবে আর এটা দূর করার উপায় হচ্ছে ফেলে দেয়া। আবার নতুন করে লাগানো ।  বিগ ভলিউম এর অর্ডার হলেই স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট নিতে হবে সাপ্লাইয়েরর কাছে ।  ১০০০০ পিস কাপড়ে বাটন লাগিয়ে পরে ধরা পড়ার চেয়ে আগে রিপোর্ট পাস করিয়ে পরে লাগানো উচিৎ ।

৪. pH ফেইলঃ 
pH রেজাল্ট পাস ফেইল নির্ভর করে বায়ারের রিকয়ারমেন্ট এর উপর বেশিরভাগ বায়ার রেঞ্জ চায় ৫-৭ এর ভেতর ।  pH ফেইল এলকালাইন হলে এসিড ওয়াস করে নিউট্রাল করে নামাতে হবে ।  এসিডিক হলে ওয়াস করে নামাতে হবে। একটু কেয়ারফুলি প্রসেস করলে এটা এড়ানো সম্ভব ।  এসিডিক হলে লিকুইড ডিটারজেন্ট ওয়াসে এমনি নিউট্রাল হয়ে যায়।

৫. ফাস্টনেসঃ 

✔ ড্রাই রাবিং ভালো করার জন্য এনজাইম ওয়াস বা সিনজিং করে দেয়া উচিৎ কারন হেয়ারি ফাইবার রাবিং ফাস্টনেস ফেইল করার কারন।

✔ ওয়েট রাবিং ফেইল করলে  রাবিং ফাস্টনেস ইম্প্রুভার ( অক্সোলারি - ক্যামিকেল)  আছে তা দিয়ে ফিনিশিং করে নিতে হবে ।

✔ লাইট ফাস্টনেস ফেইল করলে এটা রিসাবমিশনের সময় ভালো ডাইজ দিয়ে ডাইং করে দিতে হবে।

৬. ব্লাস্টিং স্ট্রেন্থ ফেইলঃ 
ব্লাস্টিং স্ট্রেনথ টেস্টিং হয় লোয়ার জিএসএমের কাপড়ে যেমন ১৮০ এর নিচে।  ব্লাস্টিং স্ট্রেনথ রিকয়ারমেন্ট থাকলে ওই কাপড় নীটের সময় স্টিচ লেনথ কমিয়ে কম্পেক্ট করে বানাতে হবে ।  ফেব্রিক এনজাইম করা যাবে না ।  ফিনিশিং এর সময় কম্পেক্টিং করতে হবে৷। একবার ফেইল করলে এটাকা বাদ দিয়ে নতুন করে ফেব্রিক বানাতে হবে ।





৭. SHRINKAGE  ফেইল : 
কোন কাপড়ে যদি Length  এ Shrinkage  ফেল করে তাহলে ঐ কাপড় ফিনিশ করার সময় ডায়া + করে ফিনিশ করলে পাশ করবে।

যেমন:- L- 10 হলে ডায়া ৩ ইঞ্চি + করলে shrinkage  পাশ করবে। অনুরোপভাবে কোন কাপড়ে যদি Width   ফেল করে তাহলে একই পদ্ধতিগত ভাবে কাজ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।যদি কোন কাপড়ে length  &  width দুইটাই ফেল করে তাহলে ঐ কাপড়কে 90% Dry করে টাম্বুল করলে পাশ করবে,  সেই ক্ষেত্রে Shrinkage  plus  হয়ে যেতে পারে।মনে রাখতে হবে প্রতি ১ইঞ্চি ডায়া (+) বা ( -) করলে shrinkage 1.5% কমে।


৮. Twisting  ফেইল: 
কোন কাপড়ে যদি Twisting  ফেল করে,,  তাহলে  ঐ কাপড়কে angle compacting  করে ফিনিশ করলে ভাল ফল পাওয়া  যাবে।  যদি তাতে পাশ না করে তাহলে ঐ কাপড়কে স্লিটিং এ ভিজিয়ে Full angle  দিয়ে stenter করে Full angle দিয়ে Compacting করে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে,,, যদি এতেও পাশ না করে তাহলে 80% dry করে ট্রাম্বল করলে পাশ করবেই।


৯.GSM ফেইল: 

কোন কাপড়ে Gsm যদি বেশি হয় তাহলে ডায়া + করে overfeed কমিয়ে ফিনিশ করলে  Gsm ঠিক হবে।
কোন কাপড়ে যদি Gsm কম হয়,,  সে ক্ষেত্রে full overfeeding / Full vibration  দিয়ে নরমাল  ডায়ায় ফিনিশ করলে Gsm বৃদ্ধি  করা যায়। এর পরেও Gsm না বৃদ্ধি পায় তাহলে 50% Dry 50% Wet  করে টাম্বুল করলে Gsm বৃদ্ধি পাবে। সব পদ্ধতি  ব্যবহার করার পরেও যদি Gsm নাহ বাড়ে তাহলে ইউরিয়া ব্যবহার করলেই Gsm বাড়বে, না হয় ইউরিয়া + গ্লিসারিন দিয়ে ফিনিশিং করতে হবে ,, এর পর যদি নাহ বাড়ে তাহলে ঐ কাপড় বাতিল করে নতুন করে কাপড় বানাতে হবে। স্যাম্পল দেয়ার সময় তাকে স্টিম আয়রন দিয়ে স্টিম খাওয়াতে হবে পরে পলি প্যাক করে রাখতে হবে ।


১০. Phenolic  yellowing টেস্ট ফেইল: 

এক্র, অফ হোয়াইট, হোয়াইট, গ্রে মিলাঞ্জে এটা চেক করা হয়। কোন কাপড়ের যদি yellowing  test করা হয় তাহলো ঐ কাপড়কে ডাইং এন্ড ফিনিশিং উভয়ে Non ionic softener  অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। যদি কোন কাপড়  test ফেল করে আর যদি তার Grade হয় 2-3 তাহলে ঐ কাপড়কে পুনরায়  Non -  ionic  সফেনার ( হোয়াইট সফেনার)   ব্যবহার করে  PH  3- 4 রেখে ডাবল প্যাডারে ঐ chemical  ব্যবহার করলে পাশ করবে।




১১. পিলিং ফেইল : 

কোন কাপড়ে যদি pilling গ্রেড  অনেক খারাপ হয় তাহলে ঐ কাপড়কে  singeing করার সময় Speed কমিয়ে singeing করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে,,, যদি তার পরেও খারাপ হয় তাহলে ঐ কাপড়কে আগে Heat set করে, তারপর ঐ কাপড়কে singeing করে তারপর enzyme করে ফিনিশ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। পিলিং ফেইল করবে যদি এমনাইম না করা হয় আর লাইট সুইডিং করে দিলে পিলিং হয় না ।   PU কোর্টিং পাওয়া যায় যা দিয়ে ফিনিশিং করে নিলে পিলিং রেজাল্ট পাস হয়।  তবে কার্ড ইয়ার্নের পরিবর্তে ভর্টেক্স ইয়ার্ন, কম্বড ইয়ার্ন ইউজ করা উচিৎ।

১‌:১ রেশিও মেইনটেইন করে PU Corting ক্যামিকেল + সিলিকন ৫ গ্রাম পার লিটার হারে ফেব্রিক ফিনিশিং করে দিলে হেয়ারীনেস বা পিলিং কমে যাবে।

১২. Bush  appearance  : 

কোন কাপড়ে যদি Brush appearance  ফেল করে তাহলে তা ঐ কাপড়কে Brush করার পর Siliting করে তারপর Stenter করে তারপর Shearing  করে, তারপর আবার Stenter করে compacting করে ফিনিশ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। এরপরেও যদি Appearance  খারাপ করে তাহলে  ঐ কাপড়কে Dyeing machine  a wash করে তারপর siliting করে Stenter করে ফিনিশ করলে পাশ করবে।

১৩. Azo টেস্টিং ফেইলঃ 

এজো পেলে ডাইজ কম্বিনেশন চেইঞ্জ করা উচিৎ , আর সতর্ক থাকার জন্য ভালো ব্রেন্ডের ডাইজ ইউজ করা লাগে , এজো এর পারমিজিবল লিমিট ৩০ পিপিএম।  এজো ধরা খেলে স্যাম্পল রিসাবমিট করার সময় একে এসিটিক ১ গ্রাম পার লিটার হারে এসিড দিয়ে ওয়াস করে নিতে হবে ।




1 টি মন্তব্য:

আখতারুজ্জামান বলেছেন...

কম্পেকটিং মেসিন সম্পর্কে কিছু তথ্য দিন,,,,কোন কাপরে কিভাবে কম্পেক, করলে স্রিনকেজ,ভালো হবে