মসলিন ফেব্রিক | Muslin Fabrics - Textile Lab | Textile Learning Blog
মসলিন ফেব্রিক


মসলিন তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুত করা এক প্রকারের অতি সুক্ষ্ণ কাপড়।

বাংলা মসলিন শব্দটি আরবি, ফারসি কিংবা সংস্কৃতমূল শব্দ নয়। এস. সি. বার্নেল ও হেনরি ইউল নামের দজন ইংরেজ প্রকাশিত অভিধান "হবসন জবসন"-এ উল্লেখ করা হয়েছে মসলিন শব্দটি এসেছে 'মসূল' থেকে। ইরাকের এক বিখ্যাত ব্যবসাকেন্দ্র হলো মসূল। এই মসূলেও অতি সূক্ষ্ম কাপড় প্রস্তুত হতো। এই 'মসূল' এবং 'সূক্ষ্ম কাপড়' -এ দুয়ের যোগসূত্র মিলিয়ে ইংরেজরা অতিসূক্ষ্ম কাপড়ের নাম দেয় 'মসলিন'।অবশ্য বাংলার ইতিহাসে 'মসলিন' বলতে বোঝানো হয় তৎকালীন ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তি অঞ্চলে উৎপাদিত অতি সূক্ষ্ম একপ্রকার কাপড়কে।

মসলিন প্রস্তুত করা হতো পূর্ব বাংলার সোনারগাঁও অঞ্চলে। মসলিনে তৈরি করা পোশাকসমূহ এতই সুক্ষ্ণ ছিলো যে ৫০ মিটার দীর্ঘ মসলিনের কাপড়কে একটি দিয়াশলাই বাক্সে ভরে রাখা যেতো।
মসলিন তৈরি করার জন্য দরকার হতো বিশেষ ধরনের তুলা, ফুটি কার্পাস। এ বিশেষ ধরনের কার্পাসটি জন্মাতো মেঘনা নদীর তীরে ঢাকা জেলার কয়েকটি স্থানে। একদম ভাল মানের কার্পাস উৎপন্ন হত মেঘনার পশ্চিম তীরে। শ্রীরামপুর, কেদারাপুর, বিক্রমপুর, রাজনগর ইত্যাদি স্থানগুলো ফুটি কার্পাসের জন্য বিখ্যাত ছিল। আজকের যে কাপাসিয়া নামটি আমরা জানি তা এসেছে এই কারপাস হতে। মেঘনা এমনিতেই খুব বড় নদী, তার উপর সমুদ্রের কাছাকাছি আবার বর্ষাকালে নদীর দু'কূল ভেসে যেত। তার ফলে যে পলি জমতো তার কারনেই ফুটি কার্পাসের উৎপাদন খুব ভাল হতো এসব স্থানগুলোতে। কিন্তু একজন কার্পাস চাষী একবিঘা জমিতে ভালমানের মসলিন তৈরির জন্য মাত্র ছয় কেজির মতো তুলা পেত। তাই মসলিনের চাহিদা যখন খুব বেড়ে গেল, সেই সময় ভারতের গুজরাট হতেও তুলা আমদানি করা হতো- কিন্তু ওগুলো দিয়ে ভালমানের মসলিন তৈরি করা যেত না- যা হতো তা খুব সাধারন মানের হতো।

বিভিন্ন সুত্র হতে যা জানা যায়- ১৮৫১ সালে লন্ডনে এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে ঢাকা হতে কিছু মসলিন পাঠানো হয়। সেখানে এক পাউন্ড সুতা দেখানো হয়েছিলো যা প্রায় আড়াইশো মাইল ছিল !! আরও মসলিন সম্বন্ধে, "মর্নিং ক্রনিকল" পত্রিকায় লিখা হয়- হাবিবুল্লাহ তাঁতির বোনা দশ গজ লম্বা একখন্ড মসলিনের ওজন মাত্র তিন আউন্স !!

মসলিন তৈরির কাজটি ছিল ভীষন জটিল, কঠিন, সময়সাধ্য- তারচেয়েও বড় কথা হলো সেটা তৈরির জন্য দরকার হতো অসামান্য নৈপুণ্য আর আসুরিক ধৈর্য। মোটামুটি যে ক'ধাপ পেরিয়ে তৈরি হতো মসলিন সেগুলো হলো; সুতা নাটানো, টানা হোতান, সান বাঁধা, নারদ বাঁধা, বু-বাধাঁ, আর সবশেষে কাপড় বোনা । এসব শেষে একজন তাঁতি আর তার দু'জন সহকারীর লাগতো কমপক্ষে দু'তিন মাস।
মসলিন তৈরি শেষে ওগুলো ধোয়া হতো। সম্রাট আকবর এর আমালে সোনারগাঁ'র কাছে এগোরো সিন্ধুর পানি কাপড় ধোয়ার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। আসলে এটা যে শুধু পানির গুনে হতো তা নয়, এর সাথে ছিল ভাল ক্ষার বা সাবান আর ধোপার দক্ষতা। মসলিন ধোবার জন্য রীতিমতো একটা শ্রেনীর মানুষই তৈরি হয়েছিল। আঠারো শতকের গোড়ায় একখন্ড মসলিন ধোয়ার খরচ পড়তো দশ টাকা। আবার ধোয়ার সময় কাপড়ে কোন দাগ লাগলে বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে সেটা তুলে দেয়া হত। কাপড় ধোবার সময় কোন সুতা সরে গেলে সেটা ঠিক করতো দক্ষ রিফুকাররা, তাদেরকে বলা হতো নারোদিয়া। এরপর শঙ্খ বা ছোট মুগুর দিয়ে পিটিয়ে মোলায়েম করা হতো। মোলায়েম করার সময় ছিটানো হতো চাল ধোয়া পানি। একাজে নিয়োজিতোদের বলা হতো কুন্ডুগার। তারপর সাবধানে ইস্ত্রি করা হতো মসলিন। কোন কোন মসলিনে ছুঁচের বা চিকনের কাজও করা হতো।

কোন কোন সময় রঙও করা হতো। ঢাকার চিকনের কাজেও যথেষ্ট সুনাম ছিল, এখনও আছে । এরপর কাপড়গুলোকে ভালমতো প‌্যাক করা হতো, একাজ যারা করতো তাদের বলা হতো বস্তাবন্দ। ইংরেজদের কারখানা ছিল তেজগাঁও-এ (অন্য আরেকদিন সুযোগ পেলে তেজগাঁও এর নামকরন হয়েছিলো কিভাবে তা আলোচনা করবো)। কেনা মসলিন ওখানে এনে ধোয়া থেকে শুরু করে প‌্যাক করার কাজ শেষ করে পাঠিয়ে দেয়া হতো কলকাতায়-সেখান হতে ইউরোপে।

ঢাকার মসলিন কাপড় ইতিহাস

মসলিন , বিশেষ করে ঢাকা উদ্ভব প্রাক ঔপনিবেশিক বাংলার টেক্সটাইল, একটি ব্র্যান্ড নাম ছিল . মসলিন ঢাকা মসলিন হিসেবে স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত তুলা ও সাধিত পৃথিবীব্যাপী খ্যাতি সঙ্গে স্থানীয় দক্ষতার দ্বারা , ঢাকা শহরের মধ্যে এবং কিছু পার্শ্ববর্তী স্টেশন নির্মিত হয়েছিল.

শব্দের আদি

শব্দ মসলিন উৎপত্তি অস্পষ্ট হয় ; কিছু অন্যদের মসলিন Musulipattam , দক্ষিণ ভারতে ইউরোপীয় ট্রেডিং কোম্পানীর একদা সদর দপ্তর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল মনে করেন যে , যখন শব্দ , Mosul , ইরাক একটি পুরানো ট্রেড সেন্টার থেকে প্রাপ্ত হয়েছিল বলে . মসলিন একটি ফার্সি শব্দ , কিংবা সংস্কৃত , কিংবা বাংলা নয় , তাই এটি নামের মসলিন Mosul থেকে তাদের দ্বারা আমদানি তুলো কাপড় থেকে ইউরোপীয়দের দ্বারা দেওয়া হয় যে খুব সম্ভবত , এবং অন্যান্য পূর্ব দেশ থেকে Mosul মাধ্যমে , এবং তারা সূক্ষ্ম দেখে ঢাকার তুলো সামগ্রী, তারা ঢাকা কাপড় একই নাম কেউ জানে না . ইত্যাদি গুজরাট , গোলকুন্ডা , মত ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে ইউরোপীয়দের দ্বারা ইম্পোর্ট ঢাকা তুলো টেক্সটাইল , কিন্তু তুলো পণ্য না শুধুমাত্র এছাড়াও মসলিন বলা হয় কারণ মসলিন ইউরোপীয়দের দ্বারা দেওয়া হয় নাম, একটু সন্দেহ স্বীকার করে যে .

মসলিন এর ঐতিহাসিক পটভূমি :

বাংলার টেক্সটাইল শিল্পের খুব পুরানো. বেঙ্গল তুলো কাপড় রোমান এবং চীনা সাম্রাজ্য রপ্তানি করা হয় এবং তারা টলেমি এর ভূগোল ও Erythraean সাগর তাঁর খ্যাতি উল্লেখ করা হয় , এবং প্রাচীন চীনা যাত্রীবাহী দ্বারা . কিন্তু ঢাকার মসলিন বিখ্যাত হয়ে ওঠে এবং ঢাকা এ মুঘল রাজধানী প্রতিষ্ঠার পর বিদেশী ও সাগর পাড়ি দেয় ক্রেতাদের আকৃষ্ট. ঢাকার মসলিন শিল্প মুঘল সম্রাট ও মুঘল আভিজাত্য থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে . মসলিন শেখ ধরণের বিপুল পরিমাণ মুঘল সম্রাট , প্রাদেশিক গভর্নরদের এবং উচ্চ কর্মকর্তা এবং nobles এর ব্যবহারের জন্য আহৃত হয়. লন্ডনের মহান 1851 প্রদর্শনী , ঢাকা মসলিন , একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে দর্শক এবং ব্রিটিশ প্রেস সংখ্যক ঢাকার অবিশ্বাস্য মসলিন কাপড় খুব অত্যন্ত স্পোক আকৃষ্ট.

মসলিন তৈরির জন্য তুলা বিভিন্ন ধরনের :
মসলিন শেখ সাজানোর ব্রহ্মপুত্র ও তার শাখা তীরে নির্দিষ্ট এলাকায় জন্মায় যা phuti তুলা, গঠিত হয়. Bairait এবং desee বলা তুলো অন্যান্য ধরণের নিকৃষ্ট ছিল এবং ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন অংশে উত্পাদিত হয় ; তারা সামান্য নিকৃষ্ট এবং অবশ্যই কাপড় উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়. ক্লিনার থেকে থ্রেড এবং প্রকৃত বয়ন করেছেন যে ব্যক্তি এর সৃষ্টিকর্তা থেকে কাপড় উত্পাদন সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি , weavers একটি পরিবার থেকে belonged , বা পরিবারের ছোট হলে দুই থেকে তিন পরিবারের কাপড় তৈয়ার একসঙ্গে যোগ দেন .

মসলিন বিভিন্ন ধরনের :
ঢাকা weavers এর প্রযোজনার ছোটো , নানারকম মানের কাপড় গঠিত অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত শেখ জমিন থেকে , সম্রাট , তাই viziers , নওয়াবদের বাসভবনের এবং , দরিদ্র মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত মোটা মোটা লেফাফা নিচে . এই মসলিন সুন্দরতা বা জমিন স্বচ্ছতা , বা উত্পাদন স্থানে বা এইভাবে প্রাপ্ত dress.Names এর নিবন্ধ হিসাবে তারা প্রয়োগ করা হয়েছে যা ব্যবহার ছিল নয়তো বাচক নাম দ্বারা মনোনীত হয়েছিল -

1.Malmal :
মসলিন শেখ সাজানোর মাঝে মাঝে বিদেশী ভ্রমণকারীরা দ্বারা Malmal শাহী বা Malmal খাস হিসেবে উল্লেখ করেছে Malmal , বলা ছিল . এটি ব্যয়বহুল , এবং weavers এই ধরণের এক টুকরা করা , ছয় মাসের মাঝে মাঝে , একটি দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি. এটা সম্রাট দ্বারা ব্যবহৃত হয় , সম্রাট জন্য আহৃত নওয়াবদের বাসভবনের ইত্যাদি এই মসলিন Malbus খাস বলা হয় এবং নওয়াবদের বাসভবনের জন্য আহৃত যারা সরকার - I- আলা বলা হয়. মুঘল সরকারের এই মসলিন উত্পাদন সম্রাট বা নবাব জন্য বোঝানো খাটান একটি অফিসার , Darogah বা Darogah - I- Malbus খাস নিযুক্ত . Malmal এছাড়াও Diwan এবং অন্যান্য উচ্চ কর্মকর্তাদের জন্য এবং জগত Sheth , মহান মহাজন জন্য আহৃত হয়. Malmal (বা Malbus খাস ও সরকার - I- আলি ) আর অন্য, মসলিন ব্যবসায়ীদের দ্বারা এক্সপোর্ট করা হয় , বা কিছু অংশ স্থানীয় ভাবে ব্যবহৃত হয় .

মসলিন এর উৎপাদন এলাকা :
ওয়েভিং প্রায় প্রতিটি গ্রামে ঢাকা জেলায় প্রচলিত ছিল, কিন্তু কিছু জায়গায় এই মসলিন খাসা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে . এই জায়গা ঢাকা, সোনারগাঁও , ধামরাইতে , Teetbady , Junglebary ও বাজিতপুর ছিল . এটি একবার সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ এবং তার পুত্র (1338-1353) রাজধানী ছিল , সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত, এবং ঈসা খানের আবার রাজধানীতে ; ঢাকা এটি রাজধানী এখন দাঁড়িয়েছে যেখানে একই জায়গা , ভূমিকা দরকার হয় না মুঘল আমলের ; ধামরাইতে এখনও প্রায় 20 মাইল পশ্চিমে ঢাকা বংশী নদীর উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা , হয় ; Teetbady কাপাসিয়া গাজীপুর জেলার থানা একটি গ্রামে হয় ; Junglebary নদী ব্রহ্মপুত্র পূর্ব তীরে ময়মনসিংহের জেলা এখন হয় ; বাজিতপুর , 15 /20 মাইল দূরে Junglebary থেকে ময়মনসিংহ জেলার হয় ; Junglebary ঈসা খানের পরিবারের দীর্ঘ একটি বসবাসের জন্য ছিল . তারা উৎপাদনের এই মসলিন জন্য উপযুক্ত তুলো তৈরি করা হয়েছিল যেখানে জায়গা কাছাকাছি অবস্থিত ছিল , কারণ এই জায়গা, সূক্ষ্ম মানের কাপড় উত্পাদন করা . এই এছাড়াও ক্ষমতাসীন রাজবংশ সদর দপ্তর , মুসলিম বা হিন্দু , প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে জায়গা ছিল . সুতরাং এই জায়গা weavers অভিজাত শ্রেণী থেকে সমর্থন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন .

মসলিন জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটস :
ঢাকা মসলিন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মহান চাহিদা ছিল . ব্যবসায়ীদের ঢাকায় সক্রিয় ছিলেন. স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ADANGs বা উৎপাদন স্টেশন থেকে তুলা মাল আহৃত এবং বিদেশী ক্রেতাদের হাতে নগদ সঙ্গে প্রস্তুত ছিল যেখানে ঢাকা, তাদের পাঠানো . বিদেশী ব্যবসায়ীদের আরব, ইরান, আর্মেনিয়া , পশ্চিমে , এবং চীন, মালয় , পূর্ব জাভার মত সুদূর দেশ থেকে এসেছেন . অন্যদের ভারতের বাইরে দেশে মসলিন পাঠানো যখন কিছু ব্যবসায়ী , আন্ত প্রাদেশিক বানিজ্যে ব্যস্ত ছিল . সরকারি কর্মকর্তা তারা সম্রাট ও মন্ত্রীদের ব্যবহারের জন্য দিল্লি পাঠানো যা মসলিন বিভিন্ন ধরনের , আহৃত . রাজধানী মুরশিদাবাদ স্থানান্তর করা হয় , তখন এই মসলিন ( মহাজন জগত Sheth মত ) সুবাদার , Diwan এবং অন্যান্য অভিজাত মানুষের জন্য বোঝানো সেখানে পাঠানো হয়. 17 শতকের মধ্যে, ইউরোপীয় কোম্পানীগুলো এসে বাংলায় তাদের জনবসতি প্রতিষ্ঠিত .

তাদের প্রধান জনবসতি নদী Bhagirath এর তীরে , মনিরামপুর, কেশবপুর কাছাকাছি অবস্থিত ছিল ; ডাচ চুঁচুড়া , মনিরামপুর, কেশবপুর এ পর্তুগীজ এ বসতি স্থাপন , ইংরেজি মনিরামপুর, কেশবপুর প্রথম বসতি স্থাপন করে কিন্তু পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত এবং ফরাসি চন্দননগরে এ বসতি স্থাপন করে . Ostend কোম্পানির এছাড়াও 18th শতাব্দীর শুরুতে প্রতি এসেছিলেন. তারা ঘটছে , paikars মাধ্যমে এবং তাদের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঢাকার মসলিন আহৃত . তারা মসলিন তাদের রপ্তানি অত্যন্ত লাভজনক বলে চিহ্নিত করা হলে, তারা ঢাকা এ জনবসতি প্রতিষ্ঠিত . যে শতাব্দীর মধ্যবর্তী দ্বারা 17 এবং অবশ্যই শুরুতে দ্বারা, পর্তুগিজ বাণিজ্য অস্বীকার করেছে. ডাচ 1682 সালে 1669 এবং ফরাসি মধ্যে , 1663 সালে ঢাকা এ ইংরেজি তাদের কারখানা স্থাপন .

পূর্বে ইউরোপ ইরানি এবং আর্মেনিয়ান বণিকদের মাধ্যমে মসলিন পেতে ব্যবহৃত , কিন্তু ইউরোপীয় কোম্পানীর আসছে এবং বাংলায় তাদের জনবসতি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ঢাকা মসলিন রপ্তানি অতিশয় বৃদ্ধি. তারা বাণিজ্যের বৃদ্ধি ভলিউম ভোজন সঠিক ঢাকা এ জনবসতি ও কারখানা স্থাপন করতে হয়েছিল যাতে ইউরোপীয় কোম্পানীর রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ এত , বছর বছর বৃদ্ধি. ইউরোপীয় কোম্পানীর আমদানির কোন স্থানীয় বাজারে ছিল, সুতরাং কোম্পানি বাংলার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য , হার্ড ক্যাশ , জরির ঝালর আমদানি করা , এবং বিশেষ করে ঢাকা . উপলভ্য অনুমান 1747 সালে নবাব ইত্যাদি সম্রাট , জন্য আহৃত যারা সহ ঢাকা তুলো পণ্যের রপ্তানি ( মসলিন জরিমানা জাতের প্রধানত ), রুপি এ একুশ আট লাখ এবং দেড় মূল্যবান ছিল যে দেখাবেন .

পলাশীর যুদ্ধ পরে প্রত্যাখ্যান :
ঢাকার মসলিন শিল্প পলাশীর , 1757 যুদ্ধের পর অস্বীকার করেছে ; 18th শতাব্দীর শেষ নাগাদ , ঢাকা মসলিন রপ্তানি 1747 এর যে প্রায় অর্ধেক নিচে আসেন, এবং 19 শতকের মাঝের দ্বারা কম এ মূল্যবান ছিল দশ লাখ টাকায় . ঢাকা মসলিন সংখ্যা কমে মুঘল সম্রাট , নওয়াবদের বাসভবনের এবং অন্যান্য উচ্চ কর্মকর্তারা থেকে পৃষ্ঠপোষকতা হারানোর কারণে. মোগল তাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি কিন্তু তাদের ক্রয় এবং খরচ ক্ষমতা হারিয়ে না শুধুমাত্র . পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার বাণিজ্য ওভার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অন্যান্য নাগরিকদের একাত্মতার অন্যান্য ইউরোপীয় কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের ট্রেড কার্যত একটি স্টপ আসেন . কিন্তু পতন ও মসলিন শিল্পের চরম বিলুপ্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ উত্পাদন আধুনিক উদ্ভাবন চালু , যা ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ছিল . ব্যয়বহুল ঢাকা তুলো পণ্য, বিশেষ করে মসলিন , ইংল্যান্ড সস্তা শিল্প পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হারিয়ে গেছে.

প্রকারভেদ
মসলিনের পার্থক্য করা হতো সূক্ষ্মতা, বুননশৈলী আর নকশার পার্থক্যে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রকার মসলিনের আলাদা আলাদা নাম হয়ে যায়।

মলবুস খাস
'মলবুস খাস' মানেই হলো খাস বস্ত্র বা আসল কাপড়। এজাতীয় মসলিন সবচেয়ে সেরা আর এগুলো তৈরি হতো সম্রাটদের জন্য। আঠারো শতকের শেষদিকে মলবুস খাসের মতো আরেক প্রকারের উঁচু মানের মসলিন তৈরি হতো, যার নাম 'মলমল খাস'। এগুলো লম্বায় ১০ গজ, প্রস্থে ১ গজ, আর ওজন হতো ৬-৭ তোলা। ছোট্ট একটা আংটির মধ্যে দিয়ে এ কাপড় নাড়াচাড়া করা যেতো। এগুলো সাধারণত রপ্তানি করা হতো।

সরকার-ই-আলা
এ মসলিনও মলবুস খাসের মতোই উঁচুমানের ছিলো। বাংলার নবাব বা সুবাদারদের জন্য তৈরি হতো এই মসলিন। সরকার-ই-আলা নামের জায়গা থেকে পাওয়া খাজনা দিয়ে এর দাম শোধ করা হতো বলে এর এরকম নামকরণ। লম্বায় হতো ১০ গজ, চওড়ায় ১ গজ আর ওজন হতো প্রায় ১০ তোলা।

ঝুনা
'ঝুনা' শব্দটি, জেমস টেইলরের মতে, এসেছে হিন্দী ঝিনা থেকে, যার অর্থ হলো সূক্ষ্ম। ঝুনা মসলিনও সূক্ষ্ম সুতা দিয়ে তৈরি হতো, তবে সুতার পরিমাণ থাকতো কম। তাই এজাতীয় মসলিন হালকা জালের মতো হতো দেখতে। একেক টুকরা ঝুনা মসলিন লম্বায় ২০ গজ, প্রস্থে ১ গজ হতো। ওজন হতো মাত্র ২০ তোলা। এই মসলিন বিদেশে রপ্তানি করা হতো না, পাঠানো হতো মোঘল রাজ দরবারে। সেখানে দরবারের বা হারেমের মহিলারা গরমকালে এ মসলিনের তৈরি জামা গায়ে দিতেন।

আব-ই-রওয়ান
আব-ই-রওয়ান ফারসি শব্দ, অর্থ প্রবাহিত পানি। এই মসলিনের সূক্ষ্মতা বোঝাতে প্রবাহিত পানির মতো টলটলে উপমা থেকে এর নামই হয়ে যায়। লম্বায় হতো ২০ গজ, চওড়ায় ১ গজ, আর ওজন হতো ২০ তোলা। আব-ই-রওয়ান সম্পর্কে প্রচলিত গল্পগুলোর সত্যতা নিরূপন করা না গেলেও উদাহরণ হিসেবে বেশ চমৎকার। যেমন: একবার সম্রাট আওরঙ্গজেবের দরবারে তাঁর মেয়ে উপস্থিত হলে তিনি মেয়ের প্রতি রাগান্বিত হয়ে বললেন তোমার কি কাপড়ের অভাব নাকি? তখন মেয়ে আশ্চর্য হয়ে জানায় সে আব-ই-রওয়ানের তৈরি সাতটি জামা গায়ে দিয়ে আছে। অন্য আরেকটি গল্পে জানা যায়, নবাব আলীবর্দী খান বাংলার সুবাদার থাকাকালীন তাঁর জন্য তৈরি এক টুকরো আব-ই-রওয়ান ঘাসের উপর শুকোতে দিলে একটি গরু এতোটা পাতলা কাপড় ভেদ করে ঘাস আর কাপড়ের পার্থক্য করতে না পেরে কাপড়টা খেয়ে ফেলে। এর খেসারৎস্বরূপ আলীবর্দী খান ঐ চাষীকে ঢাকা থেকে বের করে দেন।

খাসসা
ফারসি শব্দ খাসসা। এই মসলিন ছিলো মিহি আর সূক্ষ্ম, অবশ্য বুনন ছিলো ঘন। ১৭ শতকে সোনারগাঁ বিখ্যাত ছিলো খাসসার জন্য। ১৮-১৯ শতকে আবার জঙ্গলবাড়ি বিখ্যাত ছিলো এ মসলিনের জন্য। তখন একে 'জঙ্গল খাসসা' বলা হতো। অবশ্য ইংরেজরা একে ডাকতো 'কুষা' বলে।

শবনম
'শবনম' কথাটার অর্থ হলো ভোরের শিশির। ভোরে যদি শবনম মসলিন শিশির ভেজা ঘাসে শুকোতে দেয়া হলে শবনম দেখাই যেতোনা, এতোটাই মিহী আর সূক্ষ্ম ছিলো এই মসলিন। ২০ গজ লম্বা আর ১ গজ প্রস্থের শবনমের ওজন হতো ২০ থেকে ২২ তোলা।

নয়ন সুখ
মসলিনের একমাত্র এই নামটিই বাংলায়। সাধারণত গলাবন্ধ রুমাল হিসেবে এর ব্যবহার হতো। এজাতীয় মসলিনও ২০ গজ লম্বা আর ১ গজ চওড়া হতো।

বদন খাস
এজাতীয় মসলিনের নাম থেকে ধারণা করা হয় সম্ভবত শুধু জামা তৈরিতে এ মসলিন ব্যবহৃত হতো, কারণ 'বদন' মানে শরীর। এর বুনন ঘন হতো না। এগুলো ২৪ গজ লম্বা আর দেড় গজ চওড়া হতো, ওজন হতো ৩০ তোলা।

সর-বন্ধ
ফারসি শব্দ সর-বন্ধ মানে হলো মাথা বাঁধা। প্রাচীন বাংলা উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা মাথায় পাগড়ি বাঁধতেন,যাতে ব্যবহৃত হতো সার-বন্ধ। লম্বায় ২০-২৪ গজ আর চওড়ায় আধা থেকে এক গজ হতো; ওজন হতো ৩০ তোলা।

ডোরিয়া
ডোরা কাটা মসলিন 'ডোরিয়া' বলে পরিচিত ছিলো। লম্বায় ১০-১২ গজ আর চওড়ায় ১ গজ হতো। শিশুদের জামা তৈরি করে দেয়া হতো ডোরিয়া দিয়ে।

জামদানী
বর্তমানে বাংলাদেশে জামদানী নামে এক প্রকার পাতলা কাপড়ের শাড়ি পাওয়া যায়। তবে আগেকার যুগে 'জামদানী' বলতে বোঝানো হতো নকশা করা মসলিনকে।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রকারের মসলিন ছিলো: 'রঙ্গ', 'আলিবালি', 'তরাদ্দাম', 'তনজেব', 'সরবুটি', 'চারকোনা' ইত্যাদি।

বিলুপ্তি
ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ঊনবিংশ শতাব্দীতে স্থানীযভাবে প্রস্তুত করা বস্ত্রের উপরে ৭০ হতে ৮০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যেখানে ব্রিটেনে প্রস্তুত করা আমদানীকৃত কাপড়ের উপরে মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ কর ছিলো। এর ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের তাঁতশিল্পে ধস নামে।

কথিত আছে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা মসলিন উৎপাদন বন্ধ করার জন্য মসলিন বয়নকারী তাঁতিদের হাতের বুড়ো আঙুল কেটে নেয। তবে অধুনা অন্য আরেকটু দাবি বেশ যৌক্তিকভাবে সামনে উঠে এসেছে, তা হলো, তাঁতিদের হাত ব্রিটিশরা নয়, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের আঙ্গুল কেটে নিতো, যাতে এই তাতেঁর কাজ আর না করতে হয়।

১৮৪৪ সালে ঢাকার কমিশনার আই. ডানবার কোম্পানীর সদর দপ্তরে মসলিন শিল্প বন্ধ হবার কারণ উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট পাঠান।

ডানবার সাহেবের মতে মূল কারণগুলো ছিলঃ

১) ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের ফলে সস্তায় সুতা আর কাপড় উৎপন্ন হতে থাকে। ফলে দামি মসলিনের চাহিদা কমে যায়।

২) বিলেতের সস্তা সুতা ঢাকায়, ভারতে আসতে থাকে, সে থেকে তৈরি হতে থাকে কাপড়, হারিয়ে যেতে থাকে মসলিন।

৩) বিলাতে ঢাকাই মসলিনের ওপরে উচ্চহারে কর আরোপ করা হয়, ফলে মসলিনের দাম ওখানে বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। স্বভাবতাই বিক্রি কমে যায় মসলিনের।

কেন চার পাঁচশত বছরের বিখ্যাত মসলিন মাত্র দেড়শো বছরের মাঝেই হারিয়ে গেলঃ
মসলিন তৈরির প্রক্রিয়াটা এত জটিল আর সময় সাপেক্ষ ছিল যে সম্রাটদের জন্য উন্নত মসলিন তৈরি করেই দিন কাটতো তাঁতিদের- বাড়তি মসলিন তৈরি করার সময় মিলতো তাই কম। যতদূর জানা যায়, ঢাকা শহরে ‘মলবুস খাস’ তৈরির কারখানা ছিল বর্তমানের নাজিমুদ্দিন রোডে।

১৭৭২ সালের এক হিসাব থেকে দেখা যায় যে ওই বছর সম্রাট কে পাঠানো হয়একলক্ষ টাকার ‘মলবুস খাস’ আর বাংলার নবাব কে পাঠানো হয় তিনলক্ষ টাকার ‘সরকার-ই-আলি’ ।ওলোন্দাজ ব্যবসায়ীরা ইউরোপে রপ্তানীর জন্য ১৭৮৭ সালে একলক্ষ টাকার মসলিন রপ্তানী করে । ইংরেজ কোম্পানী ওই বছর সংগ্রহ করে তিন লাখ টাকার মসলিন ।

১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর ইংরেজরা যখন বাংলার বর্তা হয়ে ওঠে তখন তারা বছরে আট লাখ টাকার মসলিন রপ্তানী করতো। সেই সময়ে ফরাসিরা কিনেছিলো প্রায় তিন লাখ টাকার মসলিন । এরা ছাড়াও ইরানি, তুরানি, আর্মেনীয়দের পাশাপাশি দেশী ব্যবসায়ীরাও এ নিয়ে ব্যবসা করতেন। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, সে আমলে ঢাকা আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানীর জন্য কেনাহয়েছিল প্রায় ঊনত্রিশ কোটি টাকার মসলিন । পরবর্তীতে মসলিন রপ্তানীর ব্যবসা প্রায়পুরোটাই করায়ত্ত করে নেয় ইংরেজকোম্পানি। তাদের রপ্তানী হত মূলত ইউরোপও মধ্যপ্রাচ্যে। পলাশীর যুদ্ধের আগ পর্যন্ত দালালরা বিভিন্ন জায়গা থেকে দামিমসলিন সংগ্রহ করে কোম্পানিতে সরবরাহ করতো।

পলাশীর যুদ্ধের পর মসলিন সংগ্রহের জন্য গোমস্তা নিয়োগ করা হয়, যারা ছিল কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মচারী। এই গোমস্তারা মসলিন সংগ্রহের জন্য হয়ে উঠে নিষ্ঠুর, চালাতে থাকে অমানুষিক অত্যাচার।
মসলিন তাঁতীরা দিশেহারা হয়ে উঠে এই গোমাস্তাদের অত্যাচারে। এখানে লক্ষণীয়যে, দেশীয় গোমাস্তারাই হয়ে উঠেছিলো দেশের মানুষের শত্রু।

কিন্তু মসলিনের সাথে জড়িত আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষক, শ্রমিক, তাঁতীকে নানাভাবে ঠকানো হত, নির্যাতন করা হত। গরীব চাষিকে টাকা ধার দিয়ে তার কাছ হতে খুব কম দামে কার্পাস নিয়ে যেত একশ্রেনীর দেশী মানুষ। দেশী মানুষরা যারা দালাল-পাইকার হিসেবে কাজ করতোতারাও তাঁতীদেরকে ঠকাতো নানা ভাবে।

গোমস্তারাতো রীতিমত অত্যাচার করতো তাঁতীদেরকে। হিসেবে দেখা যায়, আনুমানিক ১৭৪০ সালের দিকে এক টাকায় পাওয়া যেত প্রায় একমণ চাল। আর একজন তাঁতী মসলিনেরকাজ করে পেত মাসে দুই টাকা, অর্থাৎ দুই মণ চালের দাম!যাতে তার পরিবারের খাবারই ঠিকমত চলতো না, সুখ- স্বাচ্ছন্দ্যতো অনেক দূরের কথা। কি ভীষন ট্রাজেডি, যারা তৈরি করতেনবাংলার গর্ব-যাদের তৈরি কাপড় গায়ে উঠতো সম্রাটের, রপ্তানী হত বিদেশে, তাঁর গায়েই থাকতো না কাপড়, পেটে পড়ত না ঠিক মত খাবার। আর সবচেয়ে দুঃখজনক বোধহয় এটাই যে-এই অবিচারের পিছে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলো এ দেশেরই দালার, পাইকার আর গোমস্তারাই।

প্রচলিত আছে যে- ইংরেজরা নাকি মসলিন তাঁতীদের আঙুল কেটে ফেলতো। আবার এও শোনা যায় যে- তাঁতীরা নিজেরাই নাকি নিজেদের আঙুল কেটে ফেলতো, যাতে করে এই অমানুষিক পরিশ্রম আর কম পারিশ্রমিকের কাজে তাদের বাধ্য না করা হয়। তবে আঙুল কেটে ফেলা ঘটনার কোন ঐতিহাসিক সত্যতা প্রমানিত না হলেও কার্পাস কৃষক আর তাঁতীদের উপর কোম্পানী, ব্যবসায়ী, গোমস্তা আর পাইকাররা যে অমানুষিক অত্যাচার চালাত সেটি জাজ্বল্যমান সত্যি। আমাদের গর্বের এই মসলিনের সঙ্গে কালিমার মত লেপ্টে আছে এই রূঢ় সত্যটাও। আর এসবের জন্যই ধীরে ধীরে বাংলার মসলিনের সোনালী অধ্যায়ের যবনিকাপাত হতে থাকে।

  তথ্যসূত্র:
1. উইকিপিডিয়া
2. সামহোয়ার ইন ব্লগ

বিবলিওগ্রাফি :
জেমস টেলর, ভূসংস্থান একটি স্কেচ এবং ঢাকা , লন্ডন 1840 এর পরিসংখ্যান ; তারিখের ঢাকা কমিশনার এর অক্ষর 2 1844 , may , বোর্ড এর সংগ্রহ কোন. 100122 , ভারত অফিসে রেকর্ডস , লন্ডন ; ঢাকা , লন্ডন 1851 সাবেক বাসকারী দ্বারা ঢাকা থেকে তুলা প্রস্তুতকারক, একটি বর্ণনামূলক এবং ঐতিহাসিক অ্যাকাউন্ট ; জে.সি. সিনহা , আধুনিক রিভিউ , এপ্রিল , 1925 সালে " ঢাকা থেকে মসলিন শিল্প "; একটি করিম , পাকিস্তানের এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা, ভোল জার্নালে " 1800 তারিখের ঢাকা এর একটি অ্যাকাউন্ট , " . সপ্তম . No.2 , 1962 ; একটি করিম , Dhakai মসলিন , বাংলা একাডেমী , ঢাকা, 1965 , রিপ্রিন্ট , ঢাকা, 1990





মসলিন ফেব্রিক | Muslin Fabrics

মসলিন ফেব্রিক


মসলিন তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুত করা এক প্রকারের অতি সুক্ষ্ণ কাপড়।

বাংলা মসলিন শব্দটি আরবি, ফারসি কিংবা সংস্কৃতমূল শব্দ নয়। এস. সি. বার্নেল ও হেনরি ইউল নামের দজন ইংরেজ প্রকাশিত অভিধান "হবসন জবসন"-এ উল্লেখ করা হয়েছে মসলিন শব্দটি এসেছে 'মসূল' থেকে। ইরাকের এক বিখ্যাত ব্যবসাকেন্দ্র হলো মসূল। এই মসূলেও অতি সূক্ষ্ম কাপড় প্রস্তুত হতো। এই 'মসূল' এবং 'সূক্ষ্ম কাপড়' -এ দুয়ের যোগসূত্র মিলিয়ে ইংরেজরা অতিসূক্ষ্ম কাপড়ের নাম দেয় 'মসলিন'।অবশ্য বাংলার ইতিহাসে 'মসলিন' বলতে বোঝানো হয় তৎকালীন ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তি অঞ্চলে উৎপাদিত অতি সূক্ষ্ম একপ্রকার কাপড়কে।

মসলিন প্রস্তুত করা হতো পূর্ব বাংলার সোনারগাঁও অঞ্চলে। মসলিনে তৈরি করা পোশাকসমূহ এতই সুক্ষ্ণ ছিলো যে ৫০ মিটার দীর্ঘ মসলিনের কাপড়কে একটি দিয়াশলাই বাক্সে ভরে রাখা যেতো।
মসলিন তৈরি করার জন্য দরকার হতো বিশেষ ধরনের তুলা, ফুটি কার্পাস। এ বিশেষ ধরনের কার্পাসটি জন্মাতো মেঘনা নদীর তীরে ঢাকা জেলার কয়েকটি স্থানে। একদম ভাল মানের কার্পাস উৎপন্ন হত মেঘনার পশ্চিম তীরে। শ্রীরামপুর, কেদারাপুর, বিক্রমপুর, রাজনগর ইত্যাদি স্থানগুলো ফুটি কার্পাসের জন্য বিখ্যাত ছিল। আজকের যে কাপাসিয়া নামটি আমরা জানি তা এসেছে এই কারপাস হতে। মেঘনা এমনিতেই খুব বড় নদী, তার উপর সমুদ্রের কাছাকাছি আবার বর্ষাকালে নদীর দু'কূল ভেসে যেত। তার ফলে যে পলি জমতো তার কারনেই ফুটি কার্পাসের উৎপাদন খুব ভাল হতো এসব স্থানগুলোতে। কিন্তু একজন কার্পাস চাষী একবিঘা জমিতে ভালমানের মসলিন তৈরির জন্য মাত্র ছয় কেজির মতো তুলা পেত। তাই মসলিনের চাহিদা যখন খুব বেড়ে গেল, সেই সময় ভারতের গুজরাট হতেও তুলা আমদানি করা হতো- কিন্তু ওগুলো দিয়ে ভালমানের মসলিন তৈরি করা যেত না- যা হতো তা খুব সাধারন মানের হতো।

বিভিন্ন সুত্র হতে যা জানা যায়- ১৮৫১ সালে লন্ডনে এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে ঢাকা হতে কিছু মসলিন পাঠানো হয়। সেখানে এক পাউন্ড সুতা দেখানো হয়েছিলো যা প্রায় আড়াইশো মাইল ছিল !! আরও মসলিন সম্বন্ধে, "মর্নিং ক্রনিকল" পত্রিকায় লিখা হয়- হাবিবুল্লাহ তাঁতির বোনা দশ গজ লম্বা একখন্ড মসলিনের ওজন মাত্র তিন আউন্স !!

মসলিন তৈরির কাজটি ছিল ভীষন জটিল, কঠিন, সময়সাধ্য- তারচেয়েও বড় কথা হলো সেটা তৈরির জন্য দরকার হতো অসামান্য নৈপুণ্য আর আসুরিক ধৈর্য। মোটামুটি যে ক'ধাপ পেরিয়ে তৈরি হতো মসলিন সেগুলো হলো; সুতা নাটানো, টানা হোতান, সান বাঁধা, নারদ বাঁধা, বু-বাধাঁ, আর সবশেষে কাপড় বোনা । এসব শেষে একজন তাঁতি আর তার দু'জন সহকারীর লাগতো কমপক্ষে দু'তিন মাস।
মসলিন তৈরি শেষে ওগুলো ধোয়া হতো। সম্রাট আকবর এর আমালে সোনারগাঁ'র কাছে এগোরো সিন্ধুর পানি কাপড় ধোয়ার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। আসলে এটা যে শুধু পানির গুনে হতো তা নয়, এর সাথে ছিল ভাল ক্ষার বা সাবান আর ধোপার দক্ষতা। মসলিন ধোবার জন্য রীতিমতো একটা শ্রেনীর মানুষই তৈরি হয়েছিল। আঠারো শতকের গোড়ায় একখন্ড মসলিন ধোয়ার খরচ পড়তো দশ টাকা। আবার ধোয়ার সময় কাপড়ে কোন দাগ লাগলে বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে সেটা তুলে দেয়া হত। কাপড় ধোবার সময় কোন সুতা সরে গেলে সেটা ঠিক করতো দক্ষ রিফুকাররা, তাদেরকে বলা হতো নারোদিয়া। এরপর শঙ্খ বা ছোট মুগুর দিয়ে পিটিয়ে মোলায়েম করা হতো। মোলায়েম করার সময় ছিটানো হতো চাল ধোয়া পানি। একাজে নিয়োজিতোদের বলা হতো কুন্ডুগার। তারপর সাবধানে ইস্ত্রি করা হতো মসলিন। কোন কোন মসলিনে ছুঁচের বা চিকনের কাজও করা হতো।

কোন কোন সময় রঙও করা হতো। ঢাকার চিকনের কাজেও যথেষ্ট সুনাম ছিল, এখনও আছে । এরপর কাপড়গুলোকে ভালমতো প‌্যাক করা হতো, একাজ যারা করতো তাদের বলা হতো বস্তাবন্দ। ইংরেজদের কারখানা ছিল তেজগাঁও-এ (অন্য আরেকদিন সুযোগ পেলে তেজগাঁও এর নামকরন হয়েছিলো কিভাবে তা আলোচনা করবো)। কেনা মসলিন ওখানে এনে ধোয়া থেকে শুরু করে প‌্যাক করার কাজ শেষ করে পাঠিয়ে দেয়া হতো কলকাতায়-সেখান হতে ইউরোপে।

ঢাকার মসলিন কাপড় ইতিহাস

মসলিন , বিশেষ করে ঢাকা উদ্ভব প্রাক ঔপনিবেশিক বাংলার টেক্সটাইল, একটি ব্র্যান্ড নাম ছিল . মসলিন ঢাকা মসলিন হিসেবে স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত তুলা ও সাধিত পৃথিবীব্যাপী খ্যাতি সঙ্গে স্থানীয় দক্ষতার দ্বারা , ঢাকা শহরের মধ্যে এবং কিছু পার্শ্ববর্তী স্টেশন নির্মিত হয়েছিল.

শব্দের আদি

শব্দ মসলিন উৎপত্তি অস্পষ্ট হয় ; কিছু অন্যদের মসলিন Musulipattam , দক্ষিণ ভারতে ইউরোপীয় ট্রেডিং কোম্পানীর একদা সদর দপ্তর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল মনে করেন যে , যখন শব্দ , Mosul , ইরাক একটি পুরানো ট্রেড সেন্টার থেকে প্রাপ্ত হয়েছিল বলে . মসলিন একটি ফার্সি শব্দ , কিংবা সংস্কৃত , কিংবা বাংলা নয় , তাই এটি নামের মসলিন Mosul থেকে তাদের দ্বারা আমদানি তুলো কাপড় থেকে ইউরোপীয়দের দ্বারা দেওয়া হয় যে খুব সম্ভবত , এবং অন্যান্য পূর্ব দেশ থেকে Mosul মাধ্যমে , এবং তারা সূক্ষ্ম দেখে ঢাকার তুলো সামগ্রী, তারা ঢাকা কাপড় একই নাম কেউ জানে না . ইত্যাদি গুজরাট , গোলকুন্ডা , মত ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে ইউরোপীয়দের দ্বারা ইম্পোর্ট ঢাকা তুলো টেক্সটাইল , কিন্তু তুলো পণ্য না শুধুমাত্র এছাড়াও মসলিন বলা হয় কারণ মসলিন ইউরোপীয়দের দ্বারা দেওয়া হয় নাম, একটু সন্দেহ স্বীকার করে যে .

মসলিন এর ঐতিহাসিক পটভূমি :

বাংলার টেক্সটাইল শিল্পের খুব পুরানো. বেঙ্গল তুলো কাপড় রোমান এবং চীনা সাম্রাজ্য রপ্তানি করা হয় এবং তারা টলেমি এর ভূগোল ও Erythraean সাগর তাঁর খ্যাতি উল্লেখ করা হয় , এবং প্রাচীন চীনা যাত্রীবাহী দ্বারা . কিন্তু ঢাকার মসলিন বিখ্যাত হয়ে ওঠে এবং ঢাকা এ মুঘল রাজধানী প্রতিষ্ঠার পর বিদেশী ও সাগর পাড়ি দেয় ক্রেতাদের আকৃষ্ট. ঢাকার মসলিন শিল্প মুঘল সম্রাট ও মুঘল আভিজাত্য থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে . মসলিন শেখ ধরণের বিপুল পরিমাণ মুঘল সম্রাট , প্রাদেশিক গভর্নরদের এবং উচ্চ কর্মকর্তা এবং nobles এর ব্যবহারের জন্য আহৃত হয়. লন্ডনের মহান 1851 প্রদর্শনী , ঢাকা মসলিন , একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে দর্শক এবং ব্রিটিশ প্রেস সংখ্যক ঢাকার অবিশ্বাস্য মসলিন কাপড় খুব অত্যন্ত স্পোক আকৃষ্ট.

মসলিন তৈরির জন্য তুলা বিভিন্ন ধরনের :
মসলিন শেখ সাজানোর ব্রহ্মপুত্র ও তার শাখা তীরে নির্দিষ্ট এলাকায় জন্মায় যা phuti তুলা, গঠিত হয়. Bairait এবং desee বলা তুলো অন্যান্য ধরণের নিকৃষ্ট ছিল এবং ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন অংশে উত্পাদিত হয় ; তারা সামান্য নিকৃষ্ট এবং অবশ্যই কাপড় উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়. ক্লিনার থেকে থ্রেড এবং প্রকৃত বয়ন করেছেন যে ব্যক্তি এর সৃষ্টিকর্তা থেকে কাপড় উত্পাদন সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি , weavers একটি পরিবার থেকে belonged , বা পরিবারের ছোট হলে দুই থেকে তিন পরিবারের কাপড় তৈয়ার একসঙ্গে যোগ দেন .

মসলিন বিভিন্ন ধরনের :
ঢাকা weavers এর প্রযোজনার ছোটো , নানারকম মানের কাপড় গঠিত অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত শেখ জমিন থেকে , সম্রাট , তাই viziers , নওয়াবদের বাসভবনের এবং , দরিদ্র মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত মোটা মোটা লেফাফা নিচে . এই মসলিন সুন্দরতা বা জমিন স্বচ্ছতা , বা উত্পাদন স্থানে বা এইভাবে প্রাপ্ত dress.Names এর নিবন্ধ হিসাবে তারা প্রয়োগ করা হয়েছে যা ব্যবহার ছিল নয়তো বাচক নাম দ্বারা মনোনীত হয়েছিল -

1.Malmal :
মসলিন শেখ সাজানোর মাঝে মাঝে বিদেশী ভ্রমণকারীরা দ্বারা Malmal শাহী বা Malmal খাস হিসেবে উল্লেখ করেছে Malmal , বলা ছিল . এটি ব্যয়বহুল , এবং weavers এই ধরণের এক টুকরা করা , ছয় মাসের মাঝে মাঝে , একটি দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি. এটা সম্রাট দ্বারা ব্যবহৃত হয় , সম্রাট জন্য আহৃত নওয়াবদের বাসভবনের ইত্যাদি এই মসলিন Malbus খাস বলা হয় এবং নওয়াবদের বাসভবনের জন্য আহৃত যারা সরকার - I- আলা বলা হয়. মুঘল সরকারের এই মসলিন উত্পাদন সম্রাট বা নবাব জন্য বোঝানো খাটান একটি অফিসার , Darogah বা Darogah - I- Malbus খাস নিযুক্ত . Malmal এছাড়াও Diwan এবং অন্যান্য উচ্চ কর্মকর্তাদের জন্য এবং জগত Sheth , মহান মহাজন জন্য আহৃত হয়. Malmal (বা Malbus খাস ও সরকার - I- আলি ) আর অন্য, মসলিন ব্যবসায়ীদের দ্বারা এক্সপোর্ট করা হয় , বা কিছু অংশ স্থানীয় ভাবে ব্যবহৃত হয় .

মসলিন এর উৎপাদন এলাকা :
ওয়েভিং প্রায় প্রতিটি গ্রামে ঢাকা জেলায় প্রচলিত ছিল, কিন্তু কিছু জায়গায় এই মসলিন খাসা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে . এই জায়গা ঢাকা, সোনারগাঁও , ধামরাইতে , Teetbady , Junglebary ও বাজিতপুর ছিল . এটি একবার সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ এবং তার পুত্র (1338-1353) রাজধানী ছিল , সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত, এবং ঈসা খানের আবার রাজধানীতে ; ঢাকা এটি রাজধানী এখন দাঁড়িয়েছে যেখানে একই জায়গা , ভূমিকা দরকার হয় না মুঘল আমলের ; ধামরাইতে এখনও প্রায় 20 মাইল পশ্চিমে ঢাকা বংশী নদীর উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা , হয় ; Teetbady কাপাসিয়া গাজীপুর জেলার থানা একটি গ্রামে হয় ; Junglebary নদী ব্রহ্মপুত্র পূর্ব তীরে ময়মনসিংহের জেলা এখন হয় ; বাজিতপুর , 15 /20 মাইল দূরে Junglebary থেকে ময়মনসিংহ জেলার হয় ; Junglebary ঈসা খানের পরিবারের দীর্ঘ একটি বসবাসের জন্য ছিল . তারা উৎপাদনের এই মসলিন জন্য উপযুক্ত তুলো তৈরি করা হয়েছিল যেখানে জায়গা কাছাকাছি অবস্থিত ছিল , কারণ এই জায়গা, সূক্ষ্ম মানের কাপড় উত্পাদন করা . এই এছাড়াও ক্ষমতাসীন রাজবংশ সদর দপ্তর , মুসলিম বা হিন্দু , প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে জায়গা ছিল . সুতরাং এই জায়গা weavers অভিজাত শ্রেণী থেকে সমর্থন এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন .

মসলিন জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটস :
ঢাকা মসলিন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মহান চাহিদা ছিল . ব্যবসায়ীদের ঢাকায় সক্রিয় ছিলেন. স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ADANGs বা উৎপাদন স্টেশন থেকে তুলা মাল আহৃত এবং বিদেশী ক্রেতাদের হাতে নগদ সঙ্গে প্রস্তুত ছিল যেখানে ঢাকা, তাদের পাঠানো . বিদেশী ব্যবসায়ীদের আরব, ইরান, আর্মেনিয়া , পশ্চিমে , এবং চীন, মালয় , পূর্ব জাভার মত সুদূর দেশ থেকে এসেছেন . অন্যদের ভারতের বাইরে দেশে মসলিন পাঠানো যখন কিছু ব্যবসায়ী , আন্ত প্রাদেশিক বানিজ্যে ব্যস্ত ছিল . সরকারি কর্মকর্তা তারা সম্রাট ও মন্ত্রীদের ব্যবহারের জন্য দিল্লি পাঠানো যা মসলিন বিভিন্ন ধরনের , আহৃত . রাজধানী মুরশিদাবাদ স্থানান্তর করা হয় , তখন এই মসলিন ( মহাজন জগত Sheth মত ) সুবাদার , Diwan এবং অন্যান্য অভিজাত মানুষের জন্য বোঝানো সেখানে পাঠানো হয়. 17 শতকের মধ্যে, ইউরোপীয় কোম্পানীগুলো এসে বাংলায় তাদের জনবসতি প্রতিষ্ঠিত .

তাদের প্রধান জনবসতি নদী Bhagirath এর তীরে , মনিরামপুর, কেশবপুর কাছাকাছি অবস্থিত ছিল ; ডাচ চুঁচুড়া , মনিরামপুর, কেশবপুর এ পর্তুগীজ এ বসতি স্থাপন , ইংরেজি মনিরামপুর, কেশবপুর প্রথম বসতি স্থাপন করে কিন্তু পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত এবং ফরাসি চন্দননগরে এ বসতি স্থাপন করে . Ostend কোম্পানির এছাড়াও 18th শতাব্দীর শুরুতে প্রতি এসেছিলেন. তারা ঘটছে , paikars মাধ্যমে এবং তাদের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঢাকার মসলিন আহৃত . তারা মসলিন তাদের রপ্তানি অত্যন্ত লাভজনক বলে চিহ্নিত করা হলে, তারা ঢাকা এ জনবসতি প্রতিষ্ঠিত . যে শতাব্দীর মধ্যবর্তী দ্বারা 17 এবং অবশ্যই শুরুতে দ্বারা, পর্তুগিজ বাণিজ্য অস্বীকার করেছে. ডাচ 1682 সালে 1669 এবং ফরাসি মধ্যে , 1663 সালে ঢাকা এ ইংরেজি তাদের কারখানা স্থাপন .

পূর্বে ইউরোপ ইরানি এবং আর্মেনিয়ান বণিকদের মাধ্যমে মসলিন পেতে ব্যবহৃত , কিন্তু ইউরোপীয় কোম্পানীর আসছে এবং বাংলায় তাদের জনবসতি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ঢাকা মসলিন রপ্তানি অতিশয় বৃদ্ধি. তারা বাণিজ্যের বৃদ্ধি ভলিউম ভোজন সঠিক ঢাকা এ জনবসতি ও কারখানা স্থাপন করতে হয়েছিল যাতে ইউরোপীয় কোম্পানীর রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ এত , বছর বছর বৃদ্ধি. ইউরোপীয় কোম্পানীর আমদানির কোন স্থানীয় বাজারে ছিল, সুতরাং কোম্পানি বাংলার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য , হার্ড ক্যাশ , জরির ঝালর আমদানি করা , এবং বিশেষ করে ঢাকা . উপলভ্য অনুমান 1747 সালে নবাব ইত্যাদি সম্রাট , জন্য আহৃত যারা সহ ঢাকা তুলো পণ্যের রপ্তানি ( মসলিন জরিমানা জাতের প্রধানত ), রুপি এ একুশ আট লাখ এবং দেড় মূল্যবান ছিল যে দেখাবেন .

পলাশীর যুদ্ধ পরে প্রত্যাখ্যান :
ঢাকার মসলিন শিল্প পলাশীর , 1757 যুদ্ধের পর অস্বীকার করেছে ; 18th শতাব্দীর শেষ নাগাদ , ঢাকা মসলিন রপ্তানি 1747 এর যে প্রায় অর্ধেক নিচে আসেন, এবং 19 শতকের মাঝের দ্বারা কম এ মূল্যবান ছিল দশ লাখ টাকায় . ঢাকা মসলিন সংখ্যা কমে মুঘল সম্রাট , নওয়াবদের বাসভবনের এবং অন্যান্য উচ্চ কর্মকর্তারা থেকে পৃষ্ঠপোষকতা হারানোর কারণে. মোগল তাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি কিন্তু তাদের ক্রয় এবং খরচ ক্ষমতা হারিয়ে না শুধুমাত্র . পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার বাণিজ্য ওভার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অন্যান্য নাগরিকদের একাত্মতার অন্যান্য ইউরোপীয় কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের ট্রেড কার্যত একটি স্টপ আসেন . কিন্তু পতন ও মসলিন শিল্পের চরম বিলুপ্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ উত্পাদন আধুনিক উদ্ভাবন চালু , যা ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ছিল . ব্যয়বহুল ঢাকা তুলো পণ্য, বিশেষ করে মসলিন , ইংল্যান্ড সস্তা শিল্প পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হারিয়ে গেছে.

প্রকারভেদ
মসলিনের পার্থক্য করা হতো সূক্ষ্মতা, বুননশৈলী আর নকশার পার্থক্যে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রকার মসলিনের আলাদা আলাদা নাম হয়ে যায়।

মলবুস খাস
'মলবুস খাস' মানেই হলো খাস বস্ত্র বা আসল কাপড়। এজাতীয় মসলিন সবচেয়ে সেরা আর এগুলো তৈরি হতো সম্রাটদের জন্য। আঠারো শতকের শেষদিকে মলবুস খাসের মতো আরেক প্রকারের উঁচু মানের মসলিন তৈরি হতো, যার নাম 'মলমল খাস'। এগুলো লম্বায় ১০ গজ, প্রস্থে ১ গজ, আর ওজন হতো ৬-৭ তোলা। ছোট্ট একটা আংটির মধ্যে দিয়ে এ কাপড় নাড়াচাড়া করা যেতো। এগুলো সাধারণত রপ্তানি করা হতো।

সরকার-ই-আলা
এ মসলিনও মলবুস খাসের মতোই উঁচুমানের ছিলো। বাংলার নবাব বা সুবাদারদের জন্য তৈরি হতো এই মসলিন। সরকার-ই-আলা নামের জায়গা থেকে পাওয়া খাজনা দিয়ে এর দাম শোধ করা হতো বলে এর এরকম নামকরণ। লম্বায় হতো ১০ গজ, চওড়ায় ১ গজ আর ওজন হতো প্রায় ১০ তোলা।

ঝুনা
'ঝুনা' শব্দটি, জেমস টেইলরের মতে, এসেছে হিন্দী ঝিনা থেকে, যার অর্থ হলো সূক্ষ্ম। ঝুনা মসলিনও সূক্ষ্ম সুতা দিয়ে তৈরি হতো, তবে সুতার পরিমাণ থাকতো কম। তাই এজাতীয় মসলিন হালকা জালের মতো হতো দেখতে। একেক টুকরা ঝুনা মসলিন লম্বায় ২০ গজ, প্রস্থে ১ গজ হতো। ওজন হতো মাত্র ২০ তোলা। এই মসলিন বিদেশে রপ্তানি করা হতো না, পাঠানো হতো মোঘল রাজ দরবারে। সেখানে দরবারের বা হারেমের মহিলারা গরমকালে এ মসলিনের তৈরি জামা গায়ে দিতেন।

আব-ই-রওয়ান
আব-ই-রওয়ান ফারসি শব্দ, অর্থ প্রবাহিত পানি। এই মসলিনের সূক্ষ্মতা বোঝাতে প্রবাহিত পানির মতো টলটলে উপমা থেকে এর নামই হয়ে যায়। লম্বায় হতো ২০ গজ, চওড়ায় ১ গজ, আর ওজন হতো ২০ তোলা। আব-ই-রওয়ান সম্পর্কে প্রচলিত গল্পগুলোর সত্যতা নিরূপন করা না গেলেও উদাহরণ হিসেবে বেশ চমৎকার। যেমন: একবার সম্রাট আওরঙ্গজেবের দরবারে তাঁর মেয়ে উপস্থিত হলে তিনি মেয়ের প্রতি রাগান্বিত হয়ে বললেন তোমার কি কাপড়ের অভাব নাকি? তখন মেয়ে আশ্চর্য হয়ে জানায় সে আব-ই-রওয়ানের তৈরি সাতটি জামা গায়ে দিয়ে আছে। অন্য আরেকটি গল্পে জানা যায়, নবাব আলীবর্দী খান বাংলার সুবাদার থাকাকালীন তাঁর জন্য তৈরি এক টুকরো আব-ই-রওয়ান ঘাসের উপর শুকোতে দিলে একটি গরু এতোটা পাতলা কাপড় ভেদ করে ঘাস আর কাপড়ের পার্থক্য করতে না পেরে কাপড়টা খেয়ে ফেলে। এর খেসারৎস্বরূপ আলীবর্দী খান ঐ চাষীকে ঢাকা থেকে বের করে দেন।

খাসসা
ফারসি শব্দ খাসসা। এই মসলিন ছিলো মিহি আর সূক্ষ্ম, অবশ্য বুনন ছিলো ঘন। ১৭ শতকে সোনারগাঁ বিখ্যাত ছিলো খাসসার জন্য। ১৮-১৯ শতকে আবার জঙ্গলবাড়ি বিখ্যাত ছিলো এ মসলিনের জন্য। তখন একে 'জঙ্গল খাসসা' বলা হতো। অবশ্য ইংরেজরা একে ডাকতো 'কুষা' বলে।

শবনম
'শবনম' কথাটার অর্থ হলো ভোরের শিশির। ভোরে যদি শবনম মসলিন শিশির ভেজা ঘাসে শুকোতে দেয়া হলে শবনম দেখাই যেতোনা, এতোটাই মিহী আর সূক্ষ্ম ছিলো এই মসলিন। ২০ গজ লম্বা আর ১ গজ প্রস্থের শবনমের ওজন হতো ২০ থেকে ২২ তোলা।

নয়ন সুখ
মসলিনের একমাত্র এই নামটিই বাংলায়। সাধারণত গলাবন্ধ রুমাল হিসেবে এর ব্যবহার হতো। এজাতীয় মসলিনও ২০ গজ লম্বা আর ১ গজ চওড়া হতো।

বদন খাস
এজাতীয় মসলিনের নাম থেকে ধারণা করা হয় সম্ভবত শুধু জামা তৈরিতে এ মসলিন ব্যবহৃত হতো, কারণ 'বদন' মানে শরীর। এর বুনন ঘন হতো না। এগুলো ২৪ গজ লম্বা আর দেড় গজ চওড়া হতো, ওজন হতো ৩০ তোলা।

সর-বন্ধ
ফারসি শব্দ সর-বন্ধ মানে হলো মাথা বাঁধা। প্রাচীন বাংলা উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা মাথায় পাগড়ি বাঁধতেন,যাতে ব্যবহৃত হতো সার-বন্ধ। লম্বায় ২০-২৪ গজ আর চওড়ায় আধা থেকে এক গজ হতো; ওজন হতো ৩০ তোলা।

ডোরিয়া
ডোরা কাটা মসলিন 'ডোরিয়া' বলে পরিচিত ছিলো। লম্বায় ১০-১২ গজ আর চওড়ায় ১ গজ হতো। শিশুদের জামা তৈরি করে দেয়া হতো ডোরিয়া দিয়ে।

জামদানী
বর্তমানে বাংলাদেশে জামদানী নামে এক প্রকার পাতলা কাপড়ের শাড়ি পাওয়া যায়। তবে আগেকার যুগে 'জামদানী' বলতে বোঝানো হতো নকশা করা মসলিনকে।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রকারের মসলিন ছিলো: 'রঙ্গ', 'আলিবালি', 'তরাদ্দাম', 'তনজেব', 'সরবুটি', 'চারকোনা' ইত্যাদি।

বিলুপ্তি
ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ঊনবিংশ শতাব্দীতে স্থানীযভাবে প্রস্তুত করা বস্ত্রের উপরে ৭০ হতে ৮০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যেখানে ব্রিটেনে প্রস্তুত করা আমদানীকৃত কাপড়ের উপরে মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ কর ছিলো। এর ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের তাঁতশিল্পে ধস নামে।

কথিত আছে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা মসলিন উৎপাদন বন্ধ করার জন্য মসলিন বয়নকারী তাঁতিদের হাতের বুড়ো আঙুল কেটে নেয। তবে অধুনা অন্য আরেকটু দাবি বেশ যৌক্তিকভাবে সামনে উঠে এসেছে, তা হলো, তাঁতিদের হাত ব্রিটিশরা নয়, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের আঙ্গুল কেটে নিতো, যাতে এই তাতেঁর কাজ আর না করতে হয়।

১৮৪৪ সালে ঢাকার কমিশনার আই. ডানবার কোম্পানীর সদর দপ্তরে মসলিন শিল্প বন্ধ হবার কারণ উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট পাঠান।

ডানবার সাহেবের মতে মূল কারণগুলো ছিলঃ

১) ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের ফলে সস্তায় সুতা আর কাপড় উৎপন্ন হতে থাকে। ফলে দামি মসলিনের চাহিদা কমে যায়।

২) বিলেতের সস্তা সুতা ঢাকায়, ভারতে আসতে থাকে, সে থেকে তৈরি হতে থাকে কাপড়, হারিয়ে যেতে থাকে মসলিন।

৩) বিলাতে ঢাকাই মসলিনের ওপরে উচ্চহারে কর আরোপ করা হয়, ফলে মসলিনের দাম ওখানে বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। স্বভাবতাই বিক্রি কমে যায় মসলিনের।

কেন চার পাঁচশত বছরের বিখ্যাত মসলিন মাত্র দেড়শো বছরের মাঝেই হারিয়ে গেলঃ
মসলিন তৈরির প্রক্রিয়াটা এত জটিল আর সময় সাপেক্ষ ছিল যে সম্রাটদের জন্য উন্নত মসলিন তৈরি করেই দিন কাটতো তাঁতিদের- বাড়তি মসলিন তৈরি করার সময় মিলতো তাই কম। যতদূর জানা যায়, ঢাকা শহরে ‘মলবুস খাস’ তৈরির কারখানা ছিল বর্তমানের নাজিমুদ্দিন রোডে।

১৭৭২ সালের এক হিসাব থেকে দেখা যায় যে ওই বছর সম্রাট কে পাঠানো হয়একলক্ষ টাকার ‘মলবুস খাস’ আর বাংলার নবাব কে পাঠানো হয় তিনলক্ষ টাকার ‘সরকার-ই-আলি’ ।ওলোন্দাজ ব্যবসায়ীরা ইউরোপে রপ্তানীর জন্য ১৭৮৭ সালে একলক্ষ টাকার মসলিন রপ্তানী করে । ইংরেজ কোম্পানী ওই বছর সংগ্রহ করে তিন লাখ টাকার মসলিন ।

১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর ইংরেজরা যখন বাংলার বর্তা হয়ে ওঠে তখন তারা বছরে আট লাখ টাকার মসলিন রপ্তানী করতো। সেই সময়ে ফরাসিরা কিনেছিলো প্রায় তিন লাখ টাকার মসলিন । এরা ছাড়াও ইরানি, তুরানি, আর্মেনীয়দের পাশাপাশি দেশী ব্যবসায়ীরাও এ নিয়ে ব্যবসা করতেন। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, সে আমলে ঢাকা আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানীর জন্য কেনাহয়েছিল প্রায় ঊনত্রিশ কোটি টাকার মসলিন । পরবর্তীতে মসলিন রপ্তানীর ব্যবসা প্রায়পুরোটাই করায়ত্ত করে নেয় ইংরেজকোম্পানি। তাদের রপ্তানী হত মূলত ইউরোপও মধ্যপ্রাচ্যে। পলাশীর যুদ্ধের আগ পর্যন্ত দালালরা বিভিন্ন জায়গা থেকে দামিমসলিন সংগ্রহ করে কোম্পানিতে সরবরাহ করতো।

পলাশীর যুদ্ধের পর মসলিন সংগ্রহের জন্য গোমস্তা নিয়োগ করা হয়, যারা ছিল কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মচারী। এই গোমস্তারা মসলিন সংগ্রহের জন্য হয়ে উঠে নিষ্ঠুর, চালাতে থাকে অমানুষিক অত্যাচার।
মসলিন তাঁতীরা দিশেহারা হয়ে উঠে এই গোমাস্তাদের অত্যাচারে। এখানে লক্ষণীয়যে, দেশীয় গোমাস্তারাই হয়ে উঠেছিলো দেশের মানুষের শত্রু।

কিন্তু মসলিনের সাথে জড়িত আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষক, শ্রমিক, তাঁতীকে নানাভাবে ঠকানো হত, নির্যাতন করা হত। গরীব চাষিকে টাকা ধার দিয়ে তার কাছ হতে খুব কম দামে কার্পাস নিয়ে যেত একশ্রেনীর দেশী মানুষ। দেশী মানুষরা যারা দালাল-পাইকার হিসেবে কাজ করতোতারাও তাঁতীদেরকে ঠকাতো নানা ভাবে।

গোমস্তারাতো রীতিমত অত্যাচার করতো তাঁতীদেরকে। হিসেবে দেখা যায়, আনুমানিক ১৭৪০ সালের দিকে এক টাকায় পাওয়া যেত প্রায় একমণ চাল। আর একজন তাঁতী মসলিনেরকাজ করে পেত মাসে দুই টাকা, অর্থাৎ দুই মণ চালের দাম!যাতে তার পরিবারের খাবারই ঠিকমত চলতো না, সুখ- স্বাচ্ছন্দ্যতো অনেক দূরের কথা। কি ভীষন ট্রাজেডি, যারা তৈরি করতেনবাংলার গর্ব-যাদের তৈরি কাপড় গায়ে উঠতো সম্রাটের, রপ্তানী হত বিদেশে, তাঁর গায়েই থাকতো না কাপড়, পেটে পড়ত না ঠিক মত খাবার। আর সবচেয়ে দুঃখজনক বোধহয় এটাই যে-এই অবিচারের পিছে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলো এ দেশেরই দালার, পাইকার আর গোমস্তারাই।

প্রচলিত আছে যে- ইংরেজরা নাকি মসলিন তাঁতীদের আঙুল কেটে ফেলতো। আবার এও শোনা যায় যে- তাঁতীরা নিজেরাই নাকি নিজেদের আঙুল কেটে ফেলতো, যাতে করে এই অমানুষিক পরিশ্রম আর কম পারিশ্রমিকের কাজে তাদের বাধ্য না করা হয়। তবে আঙুল কেটে ফেলা ঘটনার কোন ঐতিহাসিক সত্যতা প্রমানিত না হলেও কার্পাস কৃষক আর তাঁতীদের উপর কোম্পানী, ব্যবসায়ী, গোমস্তা আর পাইকাররা যে অমানুষিক অত্যাচার চালাত সেটি জাজ্বল্যমান সত্যি। আমাদের গর্বের এই মসলিনের সঙ্গে কালিমার মত লেপ্টে আছে এই রূঢ় সত্যটাও। আর এসবের জন্যই ধীরে ধীরে বাংলার মসলিনের সোনালী অধ্যায়ের যবনিকাপাত হতে থাকে।

  তথ্যসূত্র:
1. উইকিপিডিয়া
2. সামহোয়ার ইন ব্লগ

বিবলিওগ্রাফি :
জেমস টেলর, ভূসংস্থান একটি স্কেচ এবং ঢাকা , লন্ডন 1840 এর পরিসংখ্যান ; তারিখের ঢাকা কমিশনার এর অক্ষর 2 1844 , may , বোর্ড এর সংগ্রহ কোন. 100122 , ভারত অফিসে রেকর্ডস , লন্ডন ; ঢাকা , লন্ডন 1851 সাবেক বাসকারী দ্বারা ঢাকা থেকে তুলা প্রস্তুতকারক, একটি বর্ণনামূলক এবং ঐতিহাসিক অ্যাকাউন্ট ; জে.সি. সিনহা , আধুনিক রিভিউ , এপ্রিল , 1925 সালে " ঢাকা থেকে মসলিন শিল্প "; একটি করিম , পাকিস্তানের এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা, ভোল জার্নালে " 1800 তারিখের ঢাকা এর একটি অ্যাকাউন্ট , " . সপ্তম . No.2 , 1962 ; একটি করিম , Dhakai মসলিন , বাংলা একাডেমী , ঢাকা, 1965 , রিপ্রিন্ট , ঢাকা, 1990





কোন মন্তব্য নেই: