বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ( বিটেক) - Textile Lab | Textile Learning Blog
বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতিতে অবস্থিত প্রশাসনিকেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই কলেজ ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।





বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বিটেক)

ধরন - পাবলিক

স্থাপিত - ২০০৭

বৃত্তিদান - বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়

অধ্যক্ষ - ইঞ্জি: আব্দুল মজিদ

অবস্থান - কালিহাতি ,টাংগাইল

সংক্ষিপ্ত নাম - বিটেক

ওয়েবসাইট - www.btec.gov.bd



বাংলাদেশে টেক্সটাইলে শিক্ষার জন্যে যে কয়টি বিদ্যাপীঠ রয়েছে তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ( বিটেক) অন্যতম। টাংগাইল শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। টাংগাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পার্শ্বে কালিহাতী উপজেলায় ১১.৫ একর জমির উপর মনোরম, ছিমছাম, নিরিবিলি পরিবেশে এটি প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত টাংগাইলকে এই প্রতিষ্ঠান আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।






বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে “বি. এসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ” এর যেসব কোর্সের উপর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তা হচ্ছে 

ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

এ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং




২০০৭ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে টাংগাইল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এর পূর্বনাম ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল টেকনোলোজি (বিআইটিটি)। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বিআইটিটি নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ( বিটেক) করা হয় এবং ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন বস্ত্র ও পাট এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কালিহাতীতে বিটেকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর একাডেমিক কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজি অনুষদ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয় ।






প্রারম্ভিক অবস্থায় ২০০৭-২০০৮ সেশনে মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম শুরু করে। হাঁটিহাঁটি পা পা করে এটি ৭টি বছর অতিক্রম করে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যাচ বের হয়েছে এবং ৮ম ব্যাচ ভর্তির অপেক্ষায়। শুরুতে আসন সংখ্যা ৫০ টি থাকলেও পরবর্তীতে ২০১১-২০১২ সেশনে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৮০ করা হয় এবং ২০১৪-২০১৫ সেশনে আসন সংখ্যা ১০০ তে উন্নীত করা হয়েছে।

ভর্তিচ্ছুক প্রার্থীকে অবশ্যই ডিপ্লোমা -ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং / ডিপ্লোমা – ইন জুট টেকনোলোজি/ ডিপ্লোমা – ইন গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং ( জিডিপিএম) ডিগ্রীধারী হতে হবে। মোট ২০০ মার্কসে পরীক্ষা হয়ে থাকে। ১০০ M.C.Q. এবং ১০০ ( SSC × 8 + diploma × 15)। ১০০ টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ টি এবং উপজাতি কোটায় ১ টি আসন সংরক্ষিত থাকে। সেশনজট মুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর জুন মাসে ইয়ার চেইঞ্জ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


BTEC BRIDGE UND CONS





bijoy ekattor full



corka BTEC


একাডেমিক ভবন , প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও আরও অনেকগুলো অবকাঠামো রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা “বিজয় একাওর”, “চড়কা” এবং মুক্তমঞ্চ ” ছয় দফা” প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শোভা বাড়াতে নান্দনিক ” বিটেক ব্রীজ ” এর জুড়ি নেই, যা বিটেকের দুই প্রান্তকে করেছে যুক্ত। প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্যে ব্যবহার করা হয় সোলার প্যানেল। খেলাধূলা ও শারীরিক চর্চার জন্যে দুটি বিশালাকৃতির মাঠ আছে।


শুধু অনুষ্ঠানাদিই নয়, অবসর সময় কাটানোর জন্যে শিক্ষার্থীদের প্রিয় জায়গা ” ছয় দফা”। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আগ্রহ ও মনোযোগ ধরে রেখেছে।


শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি আধুনিক লাইব্রেরী যাতে টেকনিক্যাল, নন-টেকনিক্যাল , বিভিন্ন বর্ষের বই ছাড়াও ফ্যাশন ডিজাইনের প্রচুর বই-ম্যাগাজিন দ্বারা সমৃদ্ধ। রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল অডিটোরিয়াম, যেখানে একাডেমিক প্রোগ্রাম ছাড়াও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাটক মঞ্চস্থ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আরো রয়েছে অবসর সময় কাটানোর জন্যে কমন রুম, রয়েছে প্রার্থনার জন্যে কটন স্পিনিং শেড সংলগ্ন মসজিদ। বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর জন্যে একটি সাবস্টেশনও রয়েছে।


বর্তমানে এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটিতে ছেলেদের থাকার জন্যে দুটি হল (স্টুডেন্টস্ হল -১ ও ২) এবং মেয়েদের জন্য একটি অত্যাধুনিক হলের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষকদের জন্য রয়েছে একটি তিনতলা টিচারস্ ডরমিটরী, দুটি অফিসার্স কোয়ার্টার। তাছাড়া প্রিন্সিপালের জন্যে রয়েছে আলাদা বাসভবন। কর্মচারীদের জন্য রয়েছে স্টাফ ডরমিটরী।






এই প্রতিষ্ঠানটি সকল ধরনের ল্যাবরেটরী দ্বারা স্বয়ংসম্পূর্ণ –
 উইভিং সেকশন
নিটিং সেকশন

বিভিন্ন শেড ও ল্যাবরেটরী আধুনিক মেশিনারীজ দ্বারা সমৃদ্ধ। চলুন সংক্ষেপে একনজরে দেখে নিই সেগুলো –
শুরুতেই আসি  কটন স্পিনিং শেডে –
কটন স্পিনিং শেড ব্লোরুম থেকে শুরু করে রিং স্পিনিং পর্যন্ত অত্যাধুনিক মেশিন দ্বারা পরিপূর্ণ ( বেল প্লাকার, বেল ওপেনার, স্টেপ ক্লিনার, কার্ডিং, কম্বিং, ড্রইং, সিমপ্লেক্স, রিং স্পিনিং মেশিন)। রয়েছে রোটর স্পিনিং মেশিন।

জুট স্পিনিংশেডে —-
ওডি ব্যাচ মিক্সার, সফেনার মেশিন, স্প্রেডার মেশিন, ব্রেকার কার্ড, ফিনিশার কার্ড, ড্রইং মেশিন, স্পিনিং ফ্রেম প্রভৃতি।


এরপর আসছি ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং শেডে –
উইভিং আর নিটিং দুইটি সেকশনে বিভক্ত এই শেড। শেডের একপার্শ্বে উইভিং মেশিনারীজ, অন্যপার্শ্বে নিটিং মেশিনারীজ। উইভিং মেশিনারীজের মধ্যে ডবি লুম, জ্যাকার্ড লুম, রেপিয়ার লুম, এয়ার জেট লুম, ওয়াটার জেট লুম, লুংগি মেকিং মেশিন, টেরী টাওয়েল, সেকশনাল ওয়ার্পিং মেশিন, ফ্রেম লুম, সেমি অটোমেটিক লুম প্রভৃতি।

নিটিং মেশিনারীজের মধ্যে কম্পিউটারাইজড সিংগেল জার্সি সার্কুলার নিটিং মেশিন, কম্পিউটারাইজড ডাবল জার্সি সার্কুলার নিটিং মেশিন, সকস্ নিটিং মেশিন, ফ্লাট নিটিং মেশিন, ক্যাপ নিটিং মেশিন, মাফলার মেশিন, ওয়ার্প নিটিং মেশিন প্রভৃতি।















ওয়েটপ্রসেসিং ল্যাব—
কিয়ার বয়লার, জিগার ডাইং, স্টোন ওয়াশিং মেশিন, স্যাম্পল ডাইং মেশিন,কালার ফাস্টনেস মেশিন, প্যাডিং ম্যাংগেল, স্টেনটার মেশিন, জুট ফেব্রিক ড্রায়ার মেশিন, জুট ফেব্রিক প্যাডিং মেশিন, ডিজিটাল জুট ফেব্রিক ডাইং, স্ক্রিন মেকিং মেশিনসহ আরও।










এ্যাপারেলম্যানুফ্যাকচারিং শেড—-
এই শেড কাটিং, সুইয়িং এবং ফিনিশিং সেকশনে বিভক্ত। ইন্টারলক মেশিন, লক স্টিচ মেশিন, ওভার লক স্টিচ মেশিন, বাটন হোলিং মেশিন, বাটন অ্যাটাচিং মেশিন, ফ্লাট লক মেশিন, সিংগেল নিডেল সুইং মেশিন, ডাবল নিডেল সুইং মেশিন, ফিউজিং মেশিন, স্ট্রেইট নাইফ, রাউন্ড নাইফ, CAD, CAM, এ্যাম্ব্রয়ডারী মেশিন প্রভৃতি।





টেষ্টিংঅ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব—
সিংগেল ইয়ার্ন স্ট্রেন্থ মেশিন, বান্ডেল ইয়ার্ন স্ট্রেন্থ মেশিন, শার্লি স্টিফনেস টেস্টার, উস্টার ইভেননেস টেস্টার, কম্ব সর্টার, পিলিং টেস্টার, ক্রিম্প রিজিডিটি টেস্টার, জিএসএম কাটার, ওয়াটার রেপিলিয়েন্সি টেস্টার, ক্রিজ রিকভারী টেস্টার, ফেব্রিক থিকনেস গজ, ক্রক মিটার, লাইট ফাস্টনেস টেস্টার, ওয়াশিং ফাস্টনেস টেস্টার, ময়েশ্চার টেস্টার, এফিস, এইচভিআই, ডিজিটাল মাইক্রোস্কোপসহ আরও ১১০ টি মেশিন।







রাজনীতি মুক্ত এই ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকের গভীর মৈত্রী প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। শুধু অবকাঠামোগত শৈল্পিকতার দিক দিয়েই নয়, শিক্ষার মানের দিক দিয়েও এই প্রতিষ্ঠান রয়েছে এগিয়ে। গবেষণালব্ধ এই প্রতিষ্ঠানের বিগত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত। সর্বোপরি বলাই যায়, বাংলাদেশের বস্ত্র শিক্ষায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। যুগ যুগ জিও বাংলাদেশ টেক্সটাইল শিল্প, যুগ যুগ জিও বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।






সুত্র গুগল, উইকিপিডিয়া



বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ( বিটেক)

বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতিতে অবস্থিত প্রশাসনিকেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই কলেজ ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।





বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বিটেক)

ধরন - পাবলিক

স্থাপিত - ২০০৭

বৃত্তিদান - বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়

অধ্যক্ষ - ইঞ্জি: আব্দুল মজিদ

অবস্থান - কালিহাতি ,টাংগাইল

সংক্ষিপ্ত নাম - বিটেক

ওয়েবসাইট - www.btec.gov.bd



বাংলাদেশে টেক্সটাইলে শিক্ষার জন্যে যে কয়টি বিদ্যাপীঠ রয়েছে তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ( বিটেক) অন্যতম। টাংগাইল শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। টাংগাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পার্শ্বে কালিহাতী উপজেলায় ১১.৫ একর জমির উপর মনোরম, ছিমছাম, নিরিবিলি পরিবেশে এটি প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত টাংগাইলকে এই প্রতিষ্ঠান আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।






বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে “বি. এসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ” এর যেসব কোর্সের উপর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তা হচ্ছে 

ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

এ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং




২০০৭ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে টাংগাইল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এর পূর্বনাম ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল টেকনোলোজি (বিআইটিটি)। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বিআইটিটি নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ( বিটেক) করা হয় এবং ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন বস্ত্র ও পাট এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কালিহাতীতে বিটেকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর একাডেমিক কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজি অনুষদ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয় ।






প্রারম্ভিক অবস্থায় ২০০৭-২০০৮ সেশনে মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম শুরু করে। হাঁটিহাঁটি পা পা করে এটি ৭টি বছর অতিক্রম করে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যাচ বের হয়েছে এবং ৮ম ব্যাচ ভর্তির অপেক্ষায়। শুরুতে আসন সংখ্যা ৫০ টি থাকলেও পরবর্তীতে ২০১১-২০১২ সেশনে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৮০ করা হয় এবং ২০১৪-২০১৫ সেশনে আসন সংখ্যা ১০০ তে উন্নীত করা হয়েছে।

ভর্তিচ্ছুক প্রার্থীকে অবশ্যই ডিপ্লোমা -ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং / ডিপ্লোমা – ইন জুট টেকনোলোজি/ ডিপ্লোমা – ইন গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং ( জিডিপিএম) ডিগ্রীধারী হতে হবে। মোট ২০০ মার্কসে পরীক্ষা হয়ে থাকে। ১০০ M.C.Q. এবং ১০০ ( SSC × 8 + diploma × 15)। ১০০ টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ টি এবং উপজাতি কোটায় ১ টি আসন সংরক্ষিত থাকে। সেশনজট মুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর জুন মাসে ইয়ার চেইঞ্জ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


BTEC BRIDGE UND CONS





bijoy ekattor full



corka BTEC


একাডেমিক ভবন , প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও আরও অনেকগুলো অবকাঠামো রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা “বিজয় একাওর”, “চড়কা” এবং মুক্তমঞ্চ ” ছয় দফা” প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শোভা বাড়াতে নান্দনিক ” বিটেক ব্রীজ ” এর জুড়ি নেই, যা বিটেকের দুই প্রান্তকে করেছে যুক্ত। প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্যে ব্যবহার করা হয় সোলার প্যানেল। খেলাধূলা ও শারীরিক চর্চার জন্যে দুটি বিশালাকৃতির মাঠ আছে।


শুধু অনুষ্ঠানাদিই নয়, অবসর সময় কাটানোর জন্যে শিক্ষার্থীদের প্রিয় জায়গা ” ছয় দফা”। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আগ্রহ ও মনোযোগ ধরে রেখেছে।


শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি আধুনিক লাইব্রেরী যাতে টেকনিক্যাল, নন-টেকনিক্যাল , বিভিন্ন বর্ষের বই ছাড়াও ফ্যাশন ডিজাইনের প্রচুর বই-ম্যাগাজিন দ্বারা সমৃদ্ধ। রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল অডিটোরিয়াম, যেখানে একাডেমিক প্রোগ্রাম ছাড়াও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাটক মঞ্চস্থ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আরো রয়েছে অবসর সময় কাটানোর জন্যে কমন রুম, রয়েছে প্রার্থনার জন্যে কটন স্পিনিং শেড সংলগ্ন মসজিদ। বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর জন্যে একটি সাবস্টেশনও রয়েছে।


বর্তমানে এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটিতে ছেলেদের থাকার জন্যে দুটি হল (স্টুডেন্টস্ হল -১ ও ২) এবং মেয়েদের জন্য একটি অত্যাধুনিক হলের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষকদের জন্য রয়েছে একটি তিনতলা টিচারস্ ডরমিটরী, দুটি অফিসার্স কোয়ার্টার। তাছাড়া প্রিন্সিপালের জন্যে রয়েছে আলাদা বাসভবন। কর্মচারীদের জন্য রয়েছে স্টাফ ডরমিটরী।






এই প্রতিষ্ঠানটি সকল ধরনের ল্যাবরেটরী দ্বারা স্বয়ংসম্পূর্ণ –
 উইভিং সেকশন
নিটিং সেকশন

বিভিন্ন শেড ও ল্যাবরেটরী আধুনিক মেশিনারীজ দ্বারা সমৃদ্ধ। চলুন সংক্ষেপে একনজরে দেখে নিই সেগুলো –
শুরুতেই আসি  কটন স্পিনিং শেডে –
কটন স্পিনিং শেড ব্লোরুম থেকে শুরু করে রিং স্পিনিং পর্যন্ত অত্যাধুনিক মেশিন দ্বারা পরিপূর্ণ ( বেল প্লাকার, বেল ওপেনার, স্টেপ ক্লিনার, কার্ডিং, কম্বিং, ড্রইং, সিমপ্লেক্স, রিং স্পিনিং মেশিন)। রয়েছে রোটর স্পিনিং মেশিন।

জুট স্পিনিংশেডে —-
ওডি ব্যাচ মিক্সার, সফেনার মেশিন, স্প্রেডার মেশিন, ব্রেকার কার্ড, ফিনিশার কার্ড, ড্রইং মেশিন, স্পিনিং ফ্রেম প্রভৃতি।


এরপর আসছি ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং শেডে –
উইভিং আর নিটিং দুইটি সেকশনে বিভক্ত এই শেড। শেডের একপার্শ্বে উইভিং মেশিনারীজ, অন্যপার্শ্বে নিটিং মেশিনারীজ। উইভিং মেশিনারীজের মধ্যে ডবি লুম, জ্যাকার্ড লুম, রেপিয়ার লুম, এয়ার জেট লুম, ওয়াটার জেট লুম, লুংগি মেকিং মেশিন, টেরী টাওয়েল, সেকশনাল ওয়ার্পিং মেশিন, ফ্রেম লুম, সেমি অটোমেটিক লুম প্রভৃতি।

নিটিং মেশিনারীজের মধ্যে কম্পিউটারাইজড সিংগেল জার্সি সার্কুলার নিটিং মেশিন, কম্পিউটারাইজড ডাবল জার্সি সার্কুলার নিটিং মেশিন, সকস্ নিটিং মেশিন, ফ্লাট নিটিং মেশিন, ক্যাপ নিটিং মেশিন, মাফলার মেশিন, ওয়ার্প নিটিং মেশিন প্রভৃতি।















ওয়েটপ্রসেসিং ল্যাব—
কিয়ার বয়লার, জিগার ডাইং, স্টোন ওয়াশিং মেশিন, স্যাম্পল ডাইং মেশিন,কালার ফাস্টনেস মেশিন, প্যাডিং ম্যাংগেল, স্টেনটার মেশিন, জুট ফেব্রিক ড্রায়ার মেশিন, জুট ফেব্রিক প্যাডিং মেশিন, ডিজিটাল জুট ফেব্রিক ডাইং, স্ক্রিন মেকিং মেশিনসহ আরও।










এ্যাপারেলম্যানুফ্যাকচারিং শেড—-
এই শেড কাটিং, সুইয়িং এবং ফিনিশিং সেকশনে বিভক্ত। ইন্টারলক মেশিন, লক স্টিচ মেশিন, ওভার লক স্টিচ মেশিন, বাটন হোলিং মেশিন, বাটন অ্যাটাচিং মেশিন, ফ্লাট লক মেশিন, সিংগেল নিডেল সুইং মেশিন, ডাবল নিডেল সুইং মেশিন, ফিউজিং মেশিন, স্ট্রেইট নাইফ, রাউন্ড নাইফ, CAD, CAM, এ্যাম্ব্রয়ডারী মেশিন প্রভৃতি।





টেষ্টিংঅ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব—
সিংগেল ইয়ার্ন স্ট্রেন্থ মেশিন, বান্ডেল ইয়ার্ন স্ট্রেন্থ মেশিন, শার্লি স্টিফনেস টেস্টার, উস্টার ইভেননেস টেস্টার, কম্ব সর্টার, পিলিং টেস্টার, ক্রিম্প রিজিডিটি টেস্টার, জিএসএম কাটার, ওয়াটার রেপিলিয়েন্সি টেস্টার, ক্রিজ রিকভারী টেস্টার, ফেব্রিক থিকনেস গজ, ক্রক মিটার, লাইট ফাস্টনেস টেস্টার, ওয়াশিং ফাস্টনেস টেস্টার, ময়েশ্চার টেস্টার, এফিস, এইচভিআই, ডিজিটাল মাইক্রোস্কোপসহ আরও ১১০ টি মেশিন।







রাজনীতি মুক্ত এই ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকের গভীর মৈত্রী প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। শুধু অবকাঠামোগত শৈল্পিকতার দিক দিয়েই নয়, শিক্ষার মানের দিক দিয়েও এই প্রতিষ্ঠান রয়েছে এগিয়ে। গবেষণালব্ধ এই প্রতিষ্ঠানের বিগত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত। সর্বোপরি বলাই যায়, বাংলাদেশের বস্ত্র শিক্ষায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। যুগ যুগ জিও বাংলাদেশ টেক্সটাইল শিল্প, যুগ যুগ জিও বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।






সুত্র গুগল, উইকিপিডিয়া



কোন মন্তব্য নেই: