স্মার্ট টেক্সটাইল | Smart Textile - Textile Lab | Textile Learning Blog
স্মার্ট টেক্সটাইল:

সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হলো পোশাক।বাজারে রয়েছে নানা বর্ণের নানা ধরনের পোশাক। যা মানুষ তার শরীরকে আবৃত করে, সৌন্দর্য প্রকাশ করে এবং পরিবেশের ক্ষতিকারক উপাদান থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখে। কিন্তু প্রযুক্তির এই বিশ্বে পোশাক এখন শুধুই পরিধানের বিষয় নয়। এখানেও যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির কল্যাণে পোশাক এখন দিচ্ছে নানা সুবিধা। এক সময়ের কথা বলার মোবাইল ফোন আজ যেমন শুধুই কথা বলার যন্ত্র নয়। এখানে যুক্ত হয়েছে নানা অ্যাপস ও ফিচার। এসব ফোনের এখন নাম হয়েছে স্মার্ট ফোন। তেমনই নানান সব ফিচার, সুযোগ, সুবিধা যুক্ত হওয়ায় পোশাককেও বলা হচ্ছে স্মার্ট টেক্সটাইল বা ফেব্রিক। কেউ কেউ এটাকে বলছেন ওয়ারেবল টেকনোলজি বা পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি।

জিং গাও তৈরি করছেনে এই পোশাক, যখন কেউ এর দিকে চেয়ে থাকবে তখন এটি কুঁচকাবে এবং আলোকিত হবে।

স্মার্ট টেক্সটাইল পোশাককে উন্নত করেছে প্রযুক্তির হাত ধরে, যা মানুষের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
স্মার্ট পোশাক জীবনকে গতিময় করার জন্য কিছু করতে পারে যা গতানুগতিক ঐতিহ্যগত পোশাকের দ্বারা কোনভাবেই সম্ভব নয়। স্মার্ট পোশাক দুই ধাপে কাজ করে। নান্দনিকতা সৃষ্টি এবং পোশাকের পারফরমেন্স বৃদ্ধি। যেমন, নান্দনিক একটি পোশাক আলোকোজ্জ্ব্বল হয় এবং রং পরিবর্তন হয়। আবার এমন কিছু পোশাক রয়েছে যা পরিবেশের তাপ, কম্পন এবং শব্দ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে। এভাবেই এই পোশাক তার পারফরমেন্স বৃদ্ধি করে। যা বড় ধরনের ভূমিকা রাখে অ্যাথলেটিক্স, বিপজ্জনক স্পোর্টস এবং সামরিক প্রশিক্ষণে। এমন কিছু পোশাক আছে যা প্রাকৃতিক ক্ষতিকারক উপাদান যেমন অতি বেগুনি রশ্মিসহ মহাশূন্যে ভ্রমণের সময়ে পরিবেশের নানা প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে।




স্মার্ট টেক্সটাইল ও ওয়ারেবল টেকনোলজি বিষয়ক গবেষকদের মতে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো সুবিধা নিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ভূমিকা রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের প্র্যাট ইনস্টিটিউটের গবেষক রেবেকা পাইলস ফ্রাইডম্যানের মতে, এই প্রযুক্তি দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ডিজাইনাররা শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর চাইতেও ভিন্নভাবে ডিজাইন করছে, যা ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।



জাপানে এক ধরনের বিশেষ পোশাক তৈরির কাজ করছে মোবাইল সেট কোম্পানি এনটিটি ডকোমো ও শিল্প যন্ত্রপাতি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান টোরে। তারা এ পোশাকের নাম দিয়েছে হিতোই। জাপানি ভাষায় যার অর্থ একস্তর। টোরে’র ন্যানোফাইবার দিয়ে তৈরি এ পোশাকে বিশেষ দুটি সেন্সর লাগানো থাকবে। যার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুত্ প্রবাহিত হবে এবং হূদস্পনের হার পর্যবেক্ষণ করবে। যা পরিধানকারী স্মার্টফোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।





ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োপ্রকৌশলীরা সম্প্রতি এমন এক বস্ত্র তৈরি করেছেন যা শরীরে লেগে থাকবে কিন্তু ঘামে ভিজবে না। বরং কাপড়টির বাইরের পাশে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম বের করে দেবে। যেমনভাবে আমাদের ত্বক ঘাম বের করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর এবং এ বস্ত্রের উদ্ভাবক টিংগ্রুই প্যান বলেন, এটি কাজ করে মানুষের চামড়ার মতো। কিউসার্কিটের তৈরি এই পোশাক কেমন দেখাচ্ছে তা স্মার্টফোন দিয়ে পরিধানকারী নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।


তাপমাত্রা সংবেদনশীল পোশাক:

পোশাকের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো এটি শরীরকে উষ্ণ ও শীতল রাখে। স্মার্ট টেক্সটাইল প্রযুক্তি বাজারে আনছে এমন পোশাক যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। অস্ট্রেলিয়ার মাউনটেইন ডিজাইনের ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ক্যাম্পবেল বলেন, এই পোশাক এমনপ্যারাফিন দ্বারা আবৃত যা তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্যারাফিন মোমের মতো একটি পদার্থ। গরম অনুভূত হলে এটি তরলে রূপান্তরিত হয়ে তাপ বের করে দেয় আর শীত অনুভূত হলে এটি কঠিন হয়ে যায় এবং পরিধানকারীর শরীরের তাপ ধরে রাখে।

সমপ্রতি ইউরোপিয়ানরা এমন জ্যাকেট কিনতে পারছে যা শরীরের তাপমাত্রা শুধু নিয়ন্ত্রণই করে না; inbuilt MP3 প্লেয়ারও এর সঙ্গে রয়েছে। যা দিয়ে পরিধানকারী গান শুনতে পারেন। কিন্তু এগুলো বিদ্যুত্ তাড়িত হবার কারণে অনেক ব্যয়বহুল।




সমপ্রতি অস্ট্রেলিয়ার পশম উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এমন ধরনের বিশেষ মোজা তৈরি করছে যা পানিতে ভেজানোর পরেও পা কে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখবে। এমনই এক প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মিস্টার পিটার বলেন, এই মোজা সাধারণ মোজার মতোই আরামদায়ক এবং মেশিনে ধোয়ার যোগ্য।

অস্ট্রেলিয়ার শরীর গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিএসআইআরও’র টেক্সটাইল অ্যান্ড ফাইবার বিভাগের প্রধান পিটার ওয়াটার জানান, তারের সংযোগ ছাড়াই তারা এমন পোশাক তৈরি করতে চান, যা পরিধানে অনেক বেশি আরামদায়ক ও সহজেই পরিষ্কার করা যাবে। এই পোশাকে ব্যবহূত তরল গ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে । এতে পরিধানকারী নিজেকে হালকা অনুভব করবে। এটি খেলোয়াড়দের জন্য উপযোগী। এ পোশাক শরীরকে শুষ্ক রাখবে, ভেজা ভাব টেনে নেবে।








দুর্গন্ধ দূর করবে যে পোশাক:
শরীরের দুর্গন্ধ কারো কাছেই পছন্দনীয় নয়। আন্ডারগার্মেন্টস হিসেবে আমরা যে পোশাক পরি তা অনেক ক্ষেত্রেই ঘামে ভিজে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এন্টিব্যাকটেরিয়া জাতীয় কিছু পদার্থও আমরা ব্যবহার করি যা ক্ষণস্থায়ী এবং পোশাক ধোয়ার পরই উঠে যায়।

তাই বর্তমানে অ্যালোভেরা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এমন পোশাক যা দুর্গন্ধ দূর করে এন্টিব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে স্থায়ীভাবে। এই পোশাক সারারাত ঘুমের মাঝেও নিজেকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। ২০০১ সালে এই অন্তর্বাস তৈরির জন্য মার্কিন গবেষক বাক উইনমার আইজি নোবেল প্রাইজ (নোবেল প্রাইজের প্যারোডি) পান। তিনি তার সংগীর জন্য এটির নকসা করেছিলেন।


কিছু ডিজাইনার ও প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে স্মার্ট
পোশাক তৈরির কাজ করছে। এবং ইতিমধ্যেই এতে এ প্রযুক্তির অনেক উন্নতিও হয়েছে। যেমন ইতালির প্রতিষ্ঠান গ্রাডো জিরো ‘ই-স্পেস টেক্সটাইল টেকনোলজি ও ডিজাইন’ নিয়ে চমত্কার কিছু কাজ করছে। জেনেভার ফ্যাশন ডিজাইনার এমন পোশাক তৈরির কাজ করছে যাতে তিনি শহুরে নকসা, স্থাপত্য ও
মাল্টিমিডিয়ার সমন্বয় ঘটিয়েছেন।

এবং এতে তিনি ব্যবহার করেছেন এমন সেন্সর প্রযুক্তি যা পোশাককে করে তুলবে আরো বেশি ইন্টারেক্টিভ বা মিথষ্ক্রিয়াশীল।সমপ্রতি নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে কিউটসার্কিটনামে লন্ডনভিত্তিক একটি ডিজাইন প্রতিষ্ঠান পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির প্রদর্শনী করেছে। যেখানে মডেলরা পোশাক কেমন দেখা যাচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে তাদের হাতে থাকা মোবাইল সেট দিয়ে।


বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট গুলির ভেতরে নিটার কিছু প্রজেক্ট করেছে স্মার্ট টেক্সটাইল নিয়ে ।  আমাদের এই সেক্টরে কাজের বিশাল সুযোগ আছে ।



Source : Collected info


স্মার্ট টেক্সটাইল | Smart Textile

স্মার্ট টেক্সটাইল:

সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হলো পোশাক।বাজারে রয়েছে নানা বর্ণের নানা ধরনের পোশাক। যা মানুষ তার শরীরকে আবৃত করে, সৌন্দর্য প্রকাশ করে এবং পরিবেশের ক্ষতিকারক উপাদান থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখে। কিন্তু প্রযুক্তির এই বিশ্বে পোশাক এখন শুধুই পরিধানের বিষয় নয়। এখানেও যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির কল্যাণে পোশাক এখন দিচ্ছে নানা সুবিধা। এক সময়ের কথা বলার মোবাইল ফোন আজ যেমন শুধুই কথা বলার যন্ত্র নয়। এখানে যুক্ত হয়েছে নানা অ্যাপস ও ফিচার। এসব ফোনের এখন নাম হয়েছে স্মার্ট ফোন। তেমনই নানান সব ফিচার, সুযোগ, সুবিধা যুক্ত হওয়ায় পোশাককেও বলা হচ্ছে স্মার্ট টেক্সটাইল বা ফেব্রিক। কেউ কেউ এটাকে বলছেন ওয়ারেবল টেকনোলজি বা পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি।

জিং গাও তৈরি করছেনে এই পোশাক, যখন কেউ এর দিকে চেয়ে থাকবে তখন এটি কুঁচকাবে এবং আলোকিত হবে।

স্মার্ট টেক্সটাইল পোশাককে উন্নত করেছে প্রযুক্তির হাত ধরে, যা মানুষের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
স্মার্ট পোশাক জীবনকে গতিময় করার জন্য কিছু করতে পারে যা গতানুগতিক ঐতিহ্যগত পোশাকের দ্বারা কোনভাবেই সম্ভব নয়। স্মার্ট পোশাক দুই ধাপে কাজ করে। নান্দনিকতা সৃষ্টি এবং পোশাকের পারফরমেন্স বৃদ্ধি। যেমন, নান্দনিক একটি পোশাক আলোকোজ্জ্ব্বল হয় এবং রং পরিবর্তন হয়। আবার এমন কিছু পোশাক রয়েছে যা পরিবেশের তাপ, কম্পন এবং শব্দ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে। এভাবেই এই পোশাক তার পারফরমেন্স বৃদ্ধি করে। যা বড় ধরনের ভূমিকা রাখে অ্যাথলেটিক্স, বিপজ্জনক স্পোর্টস এবং সামরিক প্রশিক্ষণে। এমন কিছু পোশাক আছে যা প্রাকৃতিক ক্ষতিকারক উপাদান যেমন অতি বেগুনি রশ্মিসহ মহাশূন্যে ভ্রমণের সময়ে পরিবেশের নানা প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে।




স্মার্ট টেক্সটাইল ও ওয়ারেবল টেকনোলজি বিষয়ক গবেষকদের মতে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো সুবিধা নিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ভূমিকা রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের প্র্যাট ইনস্টিটিউটের গবেষক রেবেকা পাইলস ফ্রাইডম্যানের মতে, এই প্রযুক্তি দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ডিজাইনাররা শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর চাইতেও ভিন্নভাবে ডিজাইন করছে, যা ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।



জাপানে এক ধরনের বিশেষ পোশাক তৈরির কাজ করছে মোবাইল সেট কোম্পানি এনটিটি ডকোমো ও শিল্প যন্ত্রপাতি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান টোরে। তারা এ পোশাকের নাম দিয়েছে হিতোই। জাপানি ভাষায় যার অর্থ একস্তর। টোরে’র ন্যানোফাইবার দিয়ে তৈরি এ পোশাকে বিশেষ দুটি সেন্সর লাগানো থাকবে। যার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুত্ প্রবাহিত হবে এবং হূদস্পনের হার পর্যবেক্ষণ করবে। যা পরিধানকারী স্মার্টফোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।





ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োপ্রকৌশলীরা সম্প্রতি এমন এক বস্ত্র তৈরি করেছেন যা শরীরে লেগে থাকবে কিন্তু ঘামে ভিজবে না। বরং কাপড়টির বাইরের পাশে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম বের করে দেবে। যেমনভাবে আমাদের ত্বক ঘাম বের করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর এবং এ বস্ত্রের উদ্ভাবক টিংগ্রুই প্যান বলেন, এটি কাজ করে মানুষের চামড়ার মতো। কিউসার্কিটের তৈরি এই পোশাক কেমন দেখাচ্ছে তা স্মার্টফোন দিয়ে পরিধানকারী নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।


তাপমাত্রা সংবেদনশীল পোশাক:

পোশাকের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো এটি শরীরকে উষ্ণ ও শীতল রাখে। স্মার্ট টেক্সটাইল প্রযুক্তি বাজারে আনছে এমন পোশাক যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। অস্ট্রেলিয়ার মাউনটেইন ডিজাইনের ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ক্যাম্পবেল বলেন, এই পোশাক এমনপ্যারাফিন দ্বারা আবৃত যা তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্যারাফিন মোমের মতো একটি পদার্থ। গরম অনুভূত হলে এটি তরলে রূপান্তরিত হয়ে তাপ বের করে দেয় আর শীত অনুভূত হলে এটি কঠিন হয়ে যায় এবং পরিধানকারীর শরীরের তাপ ধরে রাখে।

সমপ্রতি ইউরোপিয়ানরা এমন জ্যাকেট কিনতে পারছে যা শরীরের তাপমাত্রা শুধু নিয়ন্ত্রণই করে না; inbuilt MP3 প্লেয়ারও এর সঙ্গে রয়েছে। যা দিয়ে পরিধানকারী গান শুনতে পারেন। কিন্তু এগুলো বিদ্যুত্ তাড়িত হবার কারণে অনেক ব্যয়বহুল।




সমপ্রতি অস্ট্রেলিয়ার পশম উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এমন ধরনের বিশেষ মোজা তৈরি করছে যা পানিতে ভেজানোর পরেও পা কে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখবে। এমনই এক প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মিস্টার পিটার বলেন, এই মোজা সাধারণ মোজার মতোই আরামদায়ক এবং মেশিনে ধোয়ার যোগ্য।

অস্ট্রেলিয়ার শরীর গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিএসআইআরও’র টেক্সটাইল অ্যান্ড ফাইবার বিভাগের প্রধান পিটার ওয়াটার জানান, তারের সংযোগ ছাড়াই তারা এমন পোশাক তৈরি করতে চান, যা পরিধানে অনেক বেশি আরামদায়ক ও সহজেই পরিষ্কার করা যাবে। এই পোশাকে ব্যবহূত তরল গ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে । এতে পরিধানকারী নিজেকে হালকা অনুভব করবে। এটি খেলোয়াড়দের জন্য উপযোগী। এ পোশাক শরীরকে শুষ্ক রাখবে, ভেজা ভাব টেনে নেবে।








দুর্গন্ধ দূর করবে যে পোশাক:
শরীরের দুর্গন্ধ কারো কাছেই পছন্দনীয় নয়। আন্ডারগার্মেন্টস হিসেবে আমরা যে পোশাক পরি তা অনেক ক্ষেত্রেই ঘামে ভিজে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এন্টিব্যাকটেরিয়া জাতীয় কিছু পদার্থও আমরা ব্যবহার করি যা ক্ষণস্থায়ী এবং পোশাক ধোয়ার পরই উঠে যায়।

তাই বর্তমানে অ্যালোভেরা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এমন পোশাক যা দুর্গন্ধ দূর করে এন্টিব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে স্থায়ীভাবে। এই পোশাক সারারাত ঘুমের মাঝেও নিজেকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। ২০০১ সালে এই অন্তর্বাস তৈরির জন্য মার্কিন গবেষক বাক উইনমার আইজি নোবেল প্রাইজ (নোবেল প্রাইজের প্যারোডি) পান। তিনি তার সংগীর জন্য এটির নকসা করেছিলেন।


কিছু ডিজাইনার ও প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে স্মার্ট
পোশাক তৈরির কাজ করছে। এবং ইতিমধ্যেই এতে এ প্রযুক্তির অনেক উন্নতিও হয়েছে। যেমন ইতালির প্রতিষ্ঠান গ্রাডো জিরো ‘ই-স্পেস টেক্সটাইল টেকনোলজি ও ডিজাইন’ নিয়ে চমত্কার কিছু কাজ করছে। জেনেভার ফ্যাশন ডিজাইনার এমন পোশাক তৈরির কাজ করছে যাতে তিনি শহুরে নকসা, স্থাপত্য ও
মাল্টিমিডিয়ার সমন্বয় ঘটিয়েছেন।

এবং এতে তিনি ব্যবহার করেছেন এমন সেন্সর প্রযুক্তি যা পোশাককে করে তুলবে আরো বেশি ইন্টারেক্টিভ বা মিথষ্ক্রিয়াশীল।সমপ্রতি নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে কিউটসার্কিটনামে লন্ডনভিত্তিক একটি ডিজাইন প্রতিষ্ঠান পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির প্রদর্শনী করেছে। যেখানে মডেলরা পোশাক কেমন দেখা যাচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে তাদের হাতে থাকা মোবাইল সেট দিয়ে।


বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট গুলির ভেতরে নিটার কিছু প্রজেক্ট করেছে স্মার্ট টেক্সটাইল নিয়ে ।  আমাদের এই সেক্টরে কাজের বিশাল সুযোগ আছে ।



Source : Collected info


কোন মন্তব্য নেই: