এনজাইম
এনজাইম একপ্রকার লাইভ সেল বা বায়োকেমিক্যাল বা ক্যাটালিস্ট, এটা ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করে রিয়েকশন ত্বরান্বিত করে । এনজাইম একধরনের জৈব-রাসায়নিক পদার্থ যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ঘটক হিসেবে কাজ করে। এটি একমাত্র সেলুলোজ(উদ্ভিদ)জাতীয় ফাইবারে কাজ করে। এনজাইম ওয়াসের সময় এনজাইম প্রথমে প্রজেক্টিং ফাইবারে এবং পরবর্তীতে ফেব্রিক্সের ইয়ার্ণে এটাক করে হাইড্রোলাইসিস করে। যার ফলে প্রোডাক্টে আমরা ডিজাইন হিসেবে ফেইডেড ইফেক্ট পাই।
সাধারণত আমারা ডেনিমের জন্য ট্রেডিশনাল যে এনজাইম ইউজ করি তা হচ্ছে এমাইলেজ এমজাইম এটা স্টার্চ এর সাথে রিয়েকশন করে স্টার্চ কে হাইড্রোলাইজ করে ফেলে এবং অন্যটি এনজাইম ডেনিম কে ফেইড করে ।
আমাদের দেশে দু প্রকার এনজাইম ইউজ হয় তা হচ্ছে
১. এসিড এনজাইম ( লিকুইড )
২. নিউট্রাল এনজাইম ( লিকুইড - SL, পাউডার )
এসিড এনজাইমের ফিচার গুলি জেনে নেয়া যাকঃ
১. এসিড এনজাইম বাদামী বর্নের।
২. pH রেঞ্জ 4.5-5.5
৩. টেম্পারেচার রেঞ্জ 40°C-50°
৪. ওয়ার্কিং টাইম ২৫-৫০ মিনিট
৫. খুব দ্রুত এনজাইম ইফেক্ট চলে আসে।
৬. কালার ব্লিডিং এবং স্টেইনিং অনেক হাই।
৭. প্রডাকশন অনেক হাই।
নিউট্রাল এনজাইমের (লিকুইড) ফিচার গুলি জেনে নেয়া যাকঃ
১. এসিড এনজাইম হালকা সাদা বর্নের।
২. pH রেঞ্জ 6-7
৩. টেম্পারেচ 40°C- 70°চ
৪. ওয়ার্কিং টাইম 40- 50Min
৫. এনজাইম ইফেক্ট আসে স্লোলি।
৬. পিউমিক ষ্টোনের সাথে এটা খুব ভালো ইফেক্ট করে।
৭. ডার্ক সেডে এটা ভালো কাজ করে ।
নিউট্রাল এনজাইম(পাউডার) ফিচার গুলি জেনে নেয়া যাকঃ
১. SL এনজাইম লিকুইড ফর্মে পাওয়া যায় বাজারে ।
২. pH রেঞ্জ 6-7
৩. ওয়ার্কিং টাইম ৪৫-৮০ মিনিট
৪. এনজাইম ইফেক্ট আসে স্লোলি।
৫. কালার ব্লিডিং এবং স্টেইনিং অনেক কম।
৬. পিউমিক ষ্টোনের সাথে এটা খুব ভালো ইফেক্ট করে।
৭. ডার্ক সেডে এটা ভালো কাজ করে ।
আসুন যেনে নেয়া যাক এনজাইম ওয়াস কেনো করা হয়ঃ
১. ফেব্রিক / গার্মেন্টস থেকে সাইজ পার্টিকেল দূর করার জন্য।
২. হালকার এব্রেশন ইফেক্ট আনার জন্য ষ্টোন ওয়াস ইফেক্ট আনার জন্য যেমন সিমে সুইং এরিয়ায়।
৩. এনজাইম ষ্টোন ওয়াস এর মতো ম্যাকানিক্যাল ইফেক্ট দেয় না এটা ক্যামিকেল ইফেক্ট দেয় যদিও এর পারপাস সেইম কিন্ত এনজাইম ওয়াসে বডি ডেমেজ কম হয়।
৪. গার্মেন্টস বডি সফট ফিল হয়।
৫. কালার ফাস্টনেস বাড়ায়, রাবিং ফাস্টনেস বাড়ায়।
৬. বায়োপলিশিং ইফেক্ট দেয় কটন ডেনিমের উপর।
৭. এনজাইম এন্টি পিলিং প্রোপার্টি ইম্প্রুভ করে।
৮. এনজাইম সারফেসে কাজ করে বিধায় গার্মেন্টস সারফেস স্মুথ হয়।
এনজাইম ওয়াসে ব্যবহৃত কিছু ক্যামিকেল:
১.সোডা এ্যস্ বা সোডিয়াম কার্বোনেট
২.সেন্ডো ক্লিন পাউডার
৩.বায়ো-ডিটারজেন্ট
৪.সফেনার
৫.সোডিয়াম মেটা বাই-সালফেট।
এনজাইম ওয়াসের কিছু ক্ষতিকর দিকঃ
১. ফেব্রিক্সের স্ট্রেন্থ কমায়
২. সময় সাপেক্ষ
৩. ব্যয়বহুল
৪. প্রোডাক্টের সার্ভিস এবিটিলি কমায়
৫. ক্যমিকেল কনজামসন হাই
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন