বাঁশ ফাইবার | বেন্বো ফাইবার | Bamboo Fiber | Bamboo Fabrics - Textile Lab | Textile Learning Blog
বাঁশ ফাইবার Bamboo Fiber

বাঁশ যা ইংরেজীতে Bamboo নামে পরিচিত। কাষ্ঠল চিরহরিৎ উদ্ভিদ বাঁশ আসলে ঘাস পরিবারের সদস্য। ঘাস পরিবারের এরা বৃহত্তম সদস্য। বাঁশ গাছ সাধারণত একত্রে গুচ্ছ হিসেবে জন্মায়। এক একটি গুচ্ছে ১০-৭০/৮০ টি বাঁশ গাছ একত্রে দেখা যায়। এসব গুচ্ছকে বাঁশ ঝাড় বলে।নানা ধরনের বাশ পাওয়া যায়__ মুলি বাঁশ, তল্লা বাঁশ, হল্লা বাঁশ, বরাক বাঁশ, উলট বাঁশ, জিগজ্যাগ বাঁশ (চাইনিজ বাঁশ), আইক্কা(গিঁট) অলা বাঁশ, আইক্কাছাড়া বাঁশ, তুলা বাঁশ, খাড়া বাঁশ, নাড়া বাঁশ.......ইত্যাদি।

বাঁশ বনাঞ্চল খুঁজে পাওয়া যাবে  চীন, জাপান এবং বিশ্বের সর্বাপেক্ষা  দক্ষিণ পূর্ব এশীয় রাজ্যে। এছাড়া তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আফ্রিকাতে ও আমেরিকা মহাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রাজ্যে। চীনে বাঁশ সমাদ্রিত তার স্থায়িত্বের কারণে। সেখানে এর সবচে বেশি ব্যবহার দেখা যায় ঘরের মেঝে তৈরির কাজে। বাঁশ  দিয়ে খালই, টুকরি, পলো, ধামা ইত্যাদি জিনিসপত্র তৈরী করা যায়।



ফেব্রিকস:

পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্পের বিপ্লব শুরুর পেছনে মুখ্য ভূমিকায় ছিল বাঁশ। এর উৎপাদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও খরচ কম। সবচে বড় কথা হলো বাঁশের চাষে কোনো কীটনাশকের প্রয়োজন নেই। তাই এর ফেব্রিকস নিরাপদ। এর ফেব্রিকস অনেকটা সিল্কের মতোই। বাঁশ দিয়ে পোশাক, তোয়ালে থেকে ডায়াপারও তৈরি হচ্ছে এখন। এছাড়াও বাঁশ থেকে একটি কেমিক্যাল compound সনাক্ত করা হয়েছে যেটা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করবে মানুষকে। বিশেষভাবে এটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভীষণ প্রয়োজন - যেখানে স্কিন ক্যান্সারের মাত্রা অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। 

এছাড়াও বাঁশের ফাইবার ন্যাচারাল, যা তুলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে; কিন্তু তুলার চাইতে অনেক বেশি কিছু দিতে পারবে - যেমন UV থেকে প্রতিরক্ষা, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ গুণাগুণ (antimicrobial property), তাৎক্ষনিক আদ্রতা শোষণ (instant moisture absorption) বা পরিশোষণ গুণাগুণ (wicking property)। বাঁশ একটা দারুন গাছ।তাছাড়াও বাঁশ গাছের দ্রুত বৃদ্ধি তো আছেই।  বাঁশ প্রতি দিন গড়ে ৪ ফুট বৃদ্ধি পায়!ইহা অনাবৃষ্টি অবস্থা এবং বন্যা অবস্থায় বেচে থাকতে পারে।










বাঁশ ফাইবার | বেন্বো ফাইবার | Bamboo Fiber | Bamboo Fabrics

বাঁশ ফাইবার Bamboo Fiber

বাঁশ যা ইংরেজীতে Bamboo নামে পরিচিত। কাষ্ঠল চিরহরিৎ উদ্ভিদ বাঁশ আসলে ঘাস পরিবারের সদস্য। ঘাস পরিবারের এরা বৃহত্তম সদস্য। বাঁশ গাছ সাধারণত একত্রে গুচ্ছ হিসেবে জন্মায়। এক একটি গুচ্ছে ১০-৭০/৮০ টি বাঁশ গাছ একত্রে দেখা যায়। এসব গুচ্ছকে বাঁশ ঝাড় বলে।নানা ধরনের বাশ পাওয়া যায়__ মুলি বাঁশ, তল্লা বাঁশ, হল্লা বাঁশ, বরাক বাঁশ, উলট বাঁশ, জিগজ্যাগ বাঁশ (চাইনিজ বাঁশ), আইক্কা(গিঁট) অলা বাঁশ, আইক্কাছাড়া বাঁশ, তুলা বাঁশ, খাড়া বাঁশ, নাড়া বাঁশ.......ইত্যাদি।

বাঁশ বনাঞ্চল খুঁজে পাওয়া যাবে  চীন, জাপান এবং বিশ্বের সর্বাপেক্ষা  দক্ষিণ পূর্ব এশীয় রাজ্যে। এছাড়া তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আফ্রিকাতে ও আমেরিকা মহাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রাজ্যে। চীনে বাঁশ সমাদ্রিত তার স্থায়িত্বের কারণে। সেখানে এর সবচে বেশি ব্যবহার দেখা যায় ঘরের মেঝে তৈরির কাজে। বাঁশ  দিয়ে খালই, টুকরি, পলো, ধামা ইত্যাদি জিনিসপত্র তৈরী করা যায়।



ফেব্রিকস:

পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্পের বিপ্লব শুরুর পেছনে মুখ্য ভূমিকায় ছিল বাঁশ। এর উৎপাদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও খরচ কম। সবচে বড় কথা হলো বাঁশের চাষে কোনো কীটনাশকের প্রয়োজন নেই। তাই এর ফেব্রিকস নিরাপদ। এর ফেব্রিকস অনেকটা সিল্কের মতোই। বাঁশ দিয়ে পোশাক, তোয়ালে থেকে ডায়াপারও তৈরি হচ্ছে এখন। এছাড়াও বাঁশ থেকে একটি কেমিক্যাল compound সনাক্ত করা হয়েছে যেটা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করবে মানুষকে। বিশেষভাবে এটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভীষণ প্রয়োজন - যেখানে স্কিন ক্যান্সারের মাত্রা অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। 

এছাড়াও বাঁশের ফাইবার ন্যাচারাল, যা তুলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে; কিন্তু তুলার চাইতে অনেক বেশি কিছু দিতে পারবে - যেমন UV থেকে প্রতিরক্ষা, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ গুণাগুণ (antimicrobial property), তাৎক্ষনিক আদ্রতা শোষণ (instant moisture absorption) বা পরিশোষণ গুণাগুণ (wicking property)। বাঁশ একটা দারুন গাছ।তাছাড়াও বাঁশ গাছের দ্রুত বৃদ্ধি তো আছেই।  বাঁশ প্রতি দিন গড়ে ৪ ফুট বৃদ্ধি পায়!ইহা অনাবৃষ্টি অবস্থা এবং বন্যা অবস্থায় বেচে থাকতে পারে।










1 টি মন্তব্য:

Bamboo Fabric বলেছেন...

Excellent Information about bamboo fabric. Thanks to author