গ্রিন বিল্ডিং, গ্রিন প্রজেক্ট, গ্রিন সার্টিফিকেট বা লিডস সার্টিফিকেট বলতে আসলে কি বোঝায়? - Textile Lab | Textile Learning Blog
গ্রিন বিল্ডিং, গ্রিন প্রজেক্ট:

গ্রিন বিল্ডিং বা গ্রিন ফ্যাক্টরি বলতে সংক্ষেপে পরিবেশবান্ধব বিল্ডিং বা ফ্যাক্টরি বোঝায়।
এবং একটি বিল্ডিং বা ফ্যাক্টরি বা অন্য কোনো স্থাপনা পরিবেশ বান্ধব কি না, তা প্রমান সাপেক্ষে যে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, তাকে গ্রিন সার্টিফিকেট বলা যেতে পারে।
আরো সহজভাবে ব্যাপারটা আলোচনা করা যাক।

একটি স্থাপনা পরিবেশবান্ধব কি না, তা বিভিন্নভাবে নির্ধারন করা যায়। এটি নির্ধারন করার অনেক সংস্থা আছে। এই সংস্থাগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে পরিমাপ করবে একটি স্থাপনা কতটুকু পরিবেশবান্ধব, তারপর তারা স্থাপনাটিকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
পরিবেশবান্ধব স্থাপনা হওয়ার স্বীকৃতি যেসব সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো U.S. Green Building Council (USGBC) এবং এদের সার্টিফিকেটের নাম Leadership in Energy and Environmental Design (LEED)।

USGBC এর মানদন্ড অনুযায়ি একটি স্থাপনা কতটুকু পরিবেশবান্ধব, তা নির্নয় করার ছয়টি ক্ষেত্র আছে। এগুলো হল –

১. স্থাপনার অবস্থান নির্বাচন ও নির্মানে পরিকল্পনা

২. পানির ব্যবহারে অপচয় রোধ

৩. জ্বালানি শক্তির ব্যবহারে অপচয় রোধ

৪. কাঁচামাল ও নির্মানসামগ্রী ব্যবহারে অপচয় রোধ

৫. আভ্যন্তরিন বাতাসের মান ও পেশাগত স্বাস্থ্য

৬. নির্মানশৈলীতে উদ্ভাবনীশক্তির পরিচয়




প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একটি স্থাপনা কতটুকু সফলতার পরিচয় দিল, তা নির্নয় করে নম্বর দেয়া হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে স্থাপনাটি কত নম্বর পাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে বলা যায় স্থাপনাটি কি ধরনের সার্টিফিকেট পাবে।



মোট চার ধরনের LEED সার্টিফিকেট আছে।

১. সাধারন সার্টিফিকেট (৪০ থেকে ৪৯ পয়েন্ট)

২. সিলভার (৫০ থেকে ৫৯ পয়েন্ট)

৩. গোল্ড (৬০ থেকে ৭৯ পয়েন্ট)

৪. প্লাটিনাম (৮০ থেকে উপরে)

বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত এই চার ক্যাটেগরিতে মোট ৫১ টি স্থাপনা সার্টিফাইড হয়েছে, যার বেশীর ভাগই বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী নম্বরপ্রাপ্ত ৩টি আর প্রথম ১০টির মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের।


একটি সবুজ কারখানা তৈরীতে নির্মানখরচ সামান্য বেশী হলেও এর সুফল পাওয়া যায় অনেক। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ইত্যাদির খরচ অনেক কম বলে একটি সবুজ কারখানার অপারেটিং খরচ সাধারন কারখানার তুলনায় অনেক কম। সুস্থ্য ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হয় বলে উৎপাদনশীলতা বেশি হয়। সবচেয়ে বড় কথা, একটি টেকসই কারখানা হিসেবে ক্রেতাদের কাছে একটি আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হওয়া যায়, যা ব্যবসার জন্য খুবই ভালো।



Author and Copyright :
Md. Shariful Hasan
মোঃ শরিফুল হাসান
- মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স প্রফেশনাল, লেখক, পরামর্শক।

গ্রিন বিল্ডিং, গ্রিন প্রজেক্ট, গ্রিন সার্টিফিকেট বা লিডস সার্টিফিকেট বলতে আসলে কি বোঝায়?

গ্রিন বিল্ডিং, গ্রিন প্রজেক্ট:

গ্রিন বিল্ডিং বা গ্রিন ফ্যাক্টরি বলতে সংক্ষেপে পরিবেশবান্ধব বিল্ডিং বা ফ্যাক্টরি বোঝায়।
এবং একটি বিল্ডিং বা ফ্যাক্টরি বা অন্য কোনো স্থাপনা পরিবেশ বান্ধব কি না, তা প্রমান সাপেক্ষে যে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, তাকে গ্রিন সার্টিফিকেট বলা যেতে পারে।
আরো সহজভাবে ব্যাপারটা আলোচনা করা যাক।

একটি স্থাপনা পরিবেশবান্ধব কি না, তা বিভিন্নভাবে নির্ধারন করা যায়। এটি নির্ধারন করার অনেক সংস্থা আছে। এই সংস্থাগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে পরিমাপ করবে একটি স্থাপনা কতটুকু পরিবেশবান্ধব, তারপর তারা স্থাপনাটিকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
পরিবেশবান্ধব স্থাপনা হওয়ার স্বীকৃতি যেসব সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো U.S. Green Building Council (USGBC) এবং এদের সার্টিফিকেটের নাম Leadership in Energy and Environmental Design (LEED)।

USGBC এর মানদন্ড অনুযায়ি একটি স্থাপনা কতটুকু পরিবেশবান্ধব, তা নির্নয় করার ছয়টি ক্ষেত্র আছে। এগুলো হল –

১. স্থাপনার অবস্থান নির্বাচন ও নির্মানে পরিকল্পনা

২. পানির ব্যবহারে অপচয় রোধ

৩. জ্বালানি শক্তির ব্যবহারে অপচয় রোধ

৪. কাঁচামাল ও নির্মানসামগ্রী ব্যবহারে অপচয় রোধ

৫. আভ্যন্তরিন বাতাসের মান ও পেশাগত স্বাস্থ্য

৬. নির্মানশৈলীতে উদ্ভাবনীশক্তির পরিচয়




প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একটি স্থাপনা কতটুকু সফলতার পরিচয় দিল, তা নির্নয় করে নম্বর দেয়া হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে স্থাপনাটি কত নম্বর পাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে বলা যায় স্থাপনাটি কি ধরনের সার্টিফিকেট পাবে।



মোট চার ধরনের LEED সার্টিফিকেট আছে।

১. সাধারন সার্টিফিকেট (৪০ থেকে ৪৯ পয়েন্ট)

২. সিলভার (৫০ থেকে ৫৯ পয়েন্ট)

৩. গোল্ড (৬০ থেকে ৭৯ পয়েন্ট)

৪. প্লাটিনাম (৮০ থেকে উপরে)

বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত এই চার ক্যাটেগরিতে মোট ৫১ টি স্থাপনা সার্টিফাইড হয়েছে, যার বেশীর ভাগই বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী নম্বরপ্রাপ্ত ৩টি আর প্রথম ১০টির মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের।


একটি সবুজ কারখানা তৈরীতে নির্মানখরচ সামান্য বেশী হলেও এর সুফল পাওয়া যায় অনেক। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ইত্যাদির খরচ অনেক কম বলে একটি সবুজ কারখানার অপারেটিং খরচ সাধারন কারখানার তুলনায় অনেক কম। সুস্থ্য ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হয় বলে উৎপাদনশীলতা বেশি হয়। সবচেয়ে বড় কথা, একটি টেকসই কারখানা হিসেবে ক্রেতাদের কাছে একটি আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হওয়া যায়, যা ব্যবসার জন্য খুবই ভালো।



Author and Copyright :
Md. Shariful Hasan
মোঃ শরিফুল হাসান
- মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স প্রফেশনাল, লেখক, পরামর্শক।

কোন মন্তব্য নেই: