Organic cotton Fibre | অর্গানিক কটন কি | Organic Fabric - Textile Lab | Textile Learning Blog
Organic cotton বা অরগানিক তুলা কি?

তুলা পৃথিবীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। তুলা এবং এর উপজাত দ্রব্য থেকে বহুলভাবে textile পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন personal care পণ্য, medical surgical পণ্য, এমনকি cooking oil ও তৈরী হয়। Environmental Justice Foundation অনঅরগানিক তুলা কে পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা ফসল ঘোষণা করেছে, কারণ তু্লা চাষে পৃথিবীর সব কীটনাশকের শতকরা ১৬ ভাগ ব্যবহৃত হয় যা অন্য ১এ কোন ফসল হতে বেশি। এই কীটনাশক সমূহ জীব বৈচিত্র্য ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। World Health Organization (WHO) তুলা চাষে বহুল ব্যবহৃত তিনটি কীটনাশক কে সবচেয়ে বিপদজনক দশটি কীটনাশক এর তালিকায় স্থান দিয়েছে। তুলা চাষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহৃত কীটনাশক হল Aldicrab যার এক ফোটা মানুষের জীবননাশের জন্য যথেষ্ট।

শতকরা ৭৫ ভাগ তুলা চাষ হয় উন্নয়নশীল! দেশ সমুহে, এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব
দেখা দিতে হয়ে করেছে । ভারতে প্রতি দশ জন তুলা চাষির ২ জনের মধ্যে বিভিন্ন কীটনাশক জনিত রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। ১ পাউন্ড নন অরগানিক কাচাঁ তুলা চাষ
করতে প্রা্য ১/৩ পাউন্ড রাসায়নিক সার প্রয়োজনীয় হয়। এগুলোর মধ্যে Nitrogen অন্যতম। এটি nitrous oxide(N2O) নির্গমনের দায়ী যা green house gasহিসেবে carbon dioxide অপেক্ষা ৩০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। তুলা চাষে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন হয়। শুষ্ক এলাকার জমিতে অবশ্যই সেচ দিতে হয় যা ঐ এলাকার মরুকরণের কারণ হতে পারে।উজবেকিস্তানের শুস্ক সাগর ছিল পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ হৃদ কিন্তু এখন এর আকার চার ভাগের এক ভাগ হয়ে গেছে শুধু মাত্র তুলা চাষে সেচ এর জন্য। যদি এই ভাবে চলতে থাকে আগামী ১৫ বছরে এটি হারিয়ে যাবে ।








অরগানিক তুলা:
কোন প্রকার কৃত্রিম সার কীটনাশক সার ছাড়া উৎপাদিত তুলা কে অরগানিক তুলা বলা হয়। অরগানিক তুলা চাষে প্রাকৃতিক কীটনাশক ও আগাছা অপসারণে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, প্রাণিজ সার যা মাটি তে উপস্থিত nitrogen এর পুনঃউৎপাদন ঘটায় nitrous oxide এর নির্গমন না ঘটিয়ে। প্রাকৃতিক সার মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখে ও পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। বর্তমানে পরিবেশ সচেতন মানুষের কাছে অরগানিক তুলার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছ।







অর্গানিক তুলা / অর্গানিক কটন

তুলা সবচেয়ে বেশি ব্যাবহ্রিত ফাইবার । টেক্সটাইল ফাইবারের মধ্যে ৫০% এরও বেশি তুলা ফাইবার । তুলা চাষকে পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক চাষ বলে মনে করা হয় । সাধারনভাবে তুলা চাষ করতে প্রচুর পরিমাণে টক্সিক কেমিক্যালের ব্যবহার করতে হয় । এতে মানুফেকচারিং এ খরচ কমলেও, কীটনাশকের ব্যাবহার পরিবেশ ও চাষী উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর 



তুলা চাষে অত্যাধিক পরিমাণে পানি ও সারের প্রয়োজন পরে ।পৃথিবীর মোট আবাদি জমির ২.৫ % এ তুলা চাষ করা হলেও মোট ব্যাবহ্রিত সারের ১৬% এর বেশি ব্যবহার হয় তুলা চাষে ।
জমিতে ব্যাবহৃত নাইট্রেট সার পরবর্তীতে নাইট্রাস অক্সাইড N20 (লাফিং গ্যাসে ) পরিনত হয় যা একটি গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং যার ক্ষতিকারক প্রভাব কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ৩০০ গুন বেশি ।


অন্যদিকে গড়ে মাত্র ১ কেজি তুলা উৎপাদনে পানির প্রয়োজন পরে প্রায় ২০০০০ লিটারের মত । মধ্য এশিয়ার এরাল লেক শুকিয়ে যাওয়ার কারন হিসেবে তুলা চাষ কে ধরা হয় । কারন এ অঞ্চলের পানি সেঁচের ৬০% এর বেশি খরচ হয় তুলার চাষের পেছনে ।
এসব বিরূপ প্রভাবের কারনে উন্নত ও সাব ট্রপিক্যাল দেশ গুলোতে অরগানিক তুলার চাষ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।কারন অরগ্যানিক তুলা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় ।
সেখানে সাধারণ ভাবে ইনরগ্যানিক তুলা উৎপাদনে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো এগিয়ে যাচ্ছে কারন এসব দেশে পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা করা হয় না । গত পাঁচ বছরে আমেরিকা ও কানাডাতে অরগানিক তুলার চাষ ২৬% করে বেড়েছে ।

এক্ষেত্রে চাষের জমি প্রস্তুত করতে কমপক্ষে দুই বছরের মত সময় লেগে যেতে পারে । শুধু তাই নয় জলবায়ু,মাটি ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক্ষম জাতও বেছে নিতে হবে । তুলা গাছের ফাকে ফাকে সয়াবিন,সিম ও মটরশুঁটির মত গাছ লাগাতে হবে গেগুলো মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমান বাড়াবে, এভাবে বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে ।


Textile Mania Blog ©


Organic cotton Fibre | অর্গানিক কটন কি | Organic Fabric

Organic cotton বা অরগানিক তুলা কি?

তুলা পৃথিবীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। তুলা এবং এর উপজাত দ্রব্য থেকে বহুলভাবে textile পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন personal care পণ্য, medical surgical পণ্য, এমনকি cooking oil ও তৈরী হয়। Environmental Justice Foundation অনঅরগানিক তুলা কে পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা ফসল ঘোষণা করেছে, কারণ তু্লা চাষে পৃথিবীর সব কীটনাশকের শতকরা ১৬ ভাগ ব্যবহৃত হয় যা অন্য ১এ কোন ফসল হতে বেশি। এই কীটনাশক সমূহ জীব বৈচিত্র্য ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। World Health Organization (WHO) তুলা চাষে বহুল ব্যবহৃত তিনটি কীটনাশক কে সবচেয়ে বিপদজনক দশটি কীটনাশক এর তালিকায় স্থান দিয়েছে। তুলা চাষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহৃত কীটনাশক হল Aldicrab যার এক ফোটা মানুষের জীবননাশের জন্য যথেষ্ট।

শতকরা ৭৫ ভাগ তুলা চাষ হয় উন্নয়নশীল! দেশ সমুহে, এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব
দেখা দিতে হয়ে করেছে । ভারতে প্রতি দশ জন তুলা চাষির ২ জনের মধ্যে বিভিন্ন কীটনাশক জনিত রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। ১ পাউন্ড নন অরগানিক কাচাঁ তুলা চাষ
করতে প্রা্য ১/৩ পাউন্ড রাসায়নিক সার প্রয়োজনীয় হয়। এগুলোর মধ্যে Nitrogen অন্যতম। এটি nitrous oxide(N2O) নির্গমনের দায়ী যা green house gasহিসেবে carbon dioxide অপেক্ষা ৩০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। তুলা চাষে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন হয়। শুষ্ক এলাকার জমিতে অবশ্যই সেচ দিতে হয় যা ঐ এলাকার মরুকরণের কারণ হতে পারে।উজবেকিস্তানের শুস্ক সাগর ছিল পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ হৃদ কিন্তু এখন এর আকার চার ভাগের এক ভাগ হয়ে গেছে শুধু মাত্র তুলা চাষে সেচ এর জন্য। যদি এই ভাবে চলতে থাকে আগামী ১৫ বছরে এটি হারিয়ে যাবে ।








অরগানিক তুলা:
কোন প্রকার কৃত্রিম সার কীটনাশক সার ছাড়া উৎপাদিত তুলা কে অরগানিক তুলা বলা হয়। অরগানিক তুলা চাষে প্রাকৃতিক কীটনাশক ও আগাছা অপসারণে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, প্রাণিজ সার যা মাটি তে উপস্থিত nitrogen এর পুনঃউৎপাদন ঘটায় nitrous oxide এর নির্গমন না ঘটিয়ে। প্রাকৃতিক সার মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখে ও পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। বর্তমানে পরিবেশ সচেতন মানুষের কাছে অরগানিক তুলার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছ।







অর্গানিক তুলা / অর্গানিক কটন

তুলা সবচেয়ে বেশি ব্যাবহ্রিত ফাইবার । টেক্সটাইল ফাইবারের মধ্যে ৫০% এরও বেশি তুলা ফাইবার । তুলা চাষকে পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক চাষ বলে মনে করা হয় । সাধারনভাবে তুলা চাষ করতে প্রচুর পরিমাণে টক্সিক কেমিক্যালের ব্যবহার করতে হয় । এতে মানুফেকচারিং এ খরচ কমলেও, কীটনাশকের ব্যাবহার পরিবেশ ও চাষী উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর 



তুলা চাষে অত্যাধিক পরিমাণে পানি ও সারের প্রয়োজন পরে ।পৃথিবীর মোট আবাদি জমির ২.৫ % এ তুলা চাষ করা হলেও মোট ব্যাবহ্রিত সারের ১৬% এর বেশি ব্যবহার হয় তুলা চাষে ।
জমিতে ব্যাবহৃত নাইট্রেট সার পরবর্তীতে নাইট্রাস অক্সাইড N20 (লাফিং গ্যাসে ) পরিনত হয় যা একটি গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং যার ক্ষতিকারক প্রভাব কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ৩০০ গুন বেশি ।


অন্যদিকে গড়ে মাত্র ১ কেজি তুলা উৎপাদনে পানির প্রয়োজন পরে প্রায় ২০০০০ লিটারের মত । মধ্য এশিয়ার এরাল লেক শুকিয়ে যাওয়ার কারন হিসেবে তুলা চাষ কে ধরা হয় । কারন এ অঞ্চলের পানি সেঁচের ৬০% এর বেশি খরচ হয় তুলার চাষের পেছনে ।
এসব বিরূপ প্রভাবের কারনে উন্নত ও সাব ট্রপিক্যাল দেশ গুলোতে অরগানিক তুলার চাষ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।কারন অরগ্যানিক তুলা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় ।
সেখানে সাধারণ ভাবে ইনরগ্যানিক তুলা উৎপাদনে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো এগিয়ে যাচ্ছে কারন এসব দেশে পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা করা হয় না । গত পাঁচ বছরে আমেরিকা ও কানাডাতে অরগানিক তুলার চাষ ২৬% করে বেড়েছে ।

এক্ষেত্রে চাষের জমি প্রস্তুত করতে কমপক্ষে দুই বছরের মত সময় লেগে যেতে পারে । শুধু তাই নয় জলবায়ু,মাটি ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক্ষম জাতও বেছে নিতে হবে । তুলা গাছের ফাকে ফাকে সয়াবিন,সিম ও মটরশুঁটির মত গাছ লাগাতে হবে গেগুলো মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমান বাড়াবে, এভাবে বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে ।


Textile Mania Blog ©


কোন মন্তব্য নেই: