টার্মিনেইশন (Termination):
বাংলাদেশ শ্রম আইনের সবচেয়ে বহুল ব্যবহারিত ধারা হল ধারা-২৬।
কোন মালিক কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মীকে বিনা কারনে চাকুরী থেকে ধারা-২৬ অনুযায়ী অব্যাহতি প্রদান করতে পারেন।
অনেকের ধারনা বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী খুব সম্ভাবত ৭ শ্রেণির কর্মীদেরকেই টার্মিনেইশন করা যায়।
না, শ্রম আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র স্থায়ী এবং অস্থায়ী এই দুই শ্রেণীর কর্মীদের টার্মিনেইশন করা যায়।
মাসিক ভিত্তিতে মজুরী গ্রহন করেন এমন যেকোন স্থায়ী কর্মীকে টার্মিনেইট করার জন্য ১২০ দিনের নোটিশ প্রদান করতে হবে অথবা ১২০ দিনের মূল মজুরী টাকা প্রদান করতে হবে।
স্থায়ী শ্রমিকের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সাপ্তাহিক এবং দৈনিক ভিত্তিতে মজুরী গ্রহন করেন।উক্ত স্থায়ী শ্রমিকদেরকে টার্মিনেইট করার জন্য ৬০ দিনের নোটিশ বা ৬০ দিনের মূল মজুরী প্রদান করতে হবে।
অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে যারা মাসিক ভিত্তিতে মজুরী গ্রহন করেন তাদেরকে টার্মিনেইট করার জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরী প্রদান করতে হবে অথবা ৩০ দিনের নোটিশ প্রদান করতে হবে।
অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সাপ্তাহিক এবং দৈনিক ভিত্তিতে মজুরী গ্রহন করেন। তাদেরকে ১৪ দিনের নোটিশ প্রদান করতে হবে অথবা ১৪ দিনের মূল মজুরী প্রদান করতে হবে।
২৬ ধারা অনুযায়ী কোন স্থায়ী কর্মীকে অব্যাহতি প্রদান করলে তাকে ২৬(৪) ধারা অনুযায়ী প্রতি বছর কাজের জন্য এক মাসের মূল মজুরী প্রদান করতে হবে। যা শুধুমাত্র একজন স্থায়ী কর্মী পাবেন এবং ইহা অস্থায়ী কর্মীর জন্য প্রযোজ্য নয়।
শ্রম আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী যদি কোন কর্মীকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
তবে তিনি শ্রম আদালতে মামলা করতে পারিবেন না।তবে ৩৩(৯) ধারা অনুযায়ী ৩টি কারনে মামলা করা যাবে।
১। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কারনে কেউকে টার্মিনেইট করলে।
২। ২৬ ধারা অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ না করতে।
৩। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন কর্মীকে টার্মিনেইট করলে।
For emergency call @ 01945556937.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন