বিদেশে টেক্সটাইলের হায়ার স্টডি নিয়ে কিছু কথা - Textile Lab | Textile Learning Blog
টেক্সটাইল টেকনোলজি/ইঞ্জিয়ারিং এ আন্ডারগ্রেড করে বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার বর্ধিত সুযোগ !!!

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় মোট ছয়টি মেজরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স ডিগ্রী দিচ্ছে। এর মধ্যে চারটি প্রসেসিং ও ম্যানুফেকচারিং এবং দুটি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও ফ্যাশন ডিজাইনিং সংক্রান্ত। অন্যান্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানও একই ধরনের ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। তাই, প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছেলেমেয়ে টেক্সটাইল মেজরে আন্ডারগ্রেড করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন। আবার, অনেকেই মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্যে চেষ্টা করে থাকেন। দেশে মাস্টার্স ও পিএইচডি গবেষণার প্রত্যাশিত সুযোগ সীমিত থাকায় অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্যে বিদেশে পাড়ি দেয়ার চিন্তা করেন। কিন্তু অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই মেজরে স্কলারশীপের যথেষ্ট সুযোগ না থাকা।




আমার এই লেখাটা তাদের জন্যে যারা চেষ্টা করতে আগ্রহী। হয়তো এই লেখাটা তাদের সুযোগ খুঁজে বের করতে খানিকটা সাহায্য করবে।

আমার জানামতে টেক্সটাইল মেজরের বেশিরভাগ বাংলাদেশিরা যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ 

University of Leeds (UK),

The University of Manchester (UK),

Heriot-Watt University (UK),

The University of Nottingham (UK),

University of Bolton (UK),

Technische Universität Dresden (Germany),

Universität Stuttgart (Germany),

Hochschule Niederrhein University of Applied Science (Germany), 

University of Borås (Sweden),

Universiteit Gent (Belgium),

Shinshu University (Japan),

University of Fukui (Japan),

Kyushu University (Japan),

 Indian Institute of Technology Delhi (India) ইত্যাদি। 

খোঁজ নিলে জানা যাবে অধিকাংশই টেক্সটাইলের কটন-বেজড ম্যানুফেকচারিং বা প্রসেসিং নিয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি গবেষণা করেননি। উপরন্তু বর্তমান সব শিক্ষার্থী যদি সিনিয়রদের পদাঙ্ক অনুসরন করে এই হাতেগনা কিছু ইউনিভার্সিটিতেই যেতে চায়, সেটা কি সুযোগকে আরো সংকুচিত করবেনা ?





আমাদের দেশে কটন-বেজড ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রসেসিং বেশি পড়ানো হয়। এখনো হয়তো এই রকম বিষয়ে ভারত, পাকিস্তান, চায়না, ইউরোপের অল্পকিছু বিশ্ববিদ্যালয় কোর্সওয়ার্ক-বেজড মাস্টার্স অফার করে। এখানে ইনোভেশনের সুযোগ সীমিত। তাই বিদেশে হুবহু এই বিষয়ে গবেষণার সু্যোগ খুবই কম। তাহলে উপায়? উপায় হলো আশ-পাশের বিষয় খোঁজা। যেমন, পলিমার সায়েন্স/ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, হাই-টেক টেক্সটাইলস, কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস রাতারাতি বদলে যাবে, এমন আশা করা ঠিক হবেনা, সেহেতু প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে নিজে নিজে। বোঝাই যাচ্ছে কিছু বিষয় খুব গুরুত্ব দিয়ে শিখলে লাভবান হওয়া যাবে।

১. কেমিস্ট্রি বিশেষ করে পলিমার কেমিস্ট্রি; ন্যাচারাল বা সিন্থেটিক পলিমারিক ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে পড়াশুনা করা যেতে পারে।

২. ফাইবার, ফেব্রিক বা অন্য ম্যাটেরিয়ালের বিভিন্ন ধরনের মেকানিকাল, কেমিক্যাল, থার্মাল ইত্যাদি প্রপার্টিজ এনালাইসিস করার জন্যে যেসব টেস্টিং আছে সেগুলোর ব্যাবহার এবং ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি জানা দরকার। যেকোন ম্যাটেরিয়াল নিয়ে গবেষণাতেই কাজে লাগবে।

৩. বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালের ফাংশনাল প্রপার্টি বা ইউনিকনেস এবং তাদের এপ্লিকেশন নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। তাই, হাই-টেক বা টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের বর্তমান অবস্থা জানা যেতে পারে। যেমন, মেডিক্যাল টেক্সটাইলস, জিওসিন্থেটিক্স, ন্যানো/ফাইবার কম্পোজিটস ইত্যাদি।

৪. বিভিন্ন ধরনের কেমিকাল প্রসেসিং ও পরিবেশ দূষন এবং এর প্রভাব (অর্থনৈতিক, সামাজিক বা পরিবেশ) মোকাবেলা সংক্রান্ত পরিবেশ বিজ্ঞান; কিংবা বৈরী পরিবেশের জন্যে উপযুক্ত পোশাক, বিভিন্ন ধরনের ইকোটেকনোলজি (প্লাজমা, মাইক্রোওয়েভ, আল্ট্রাসাউন্ড) এবং পরিবেশ-বান্ধব ম্যাটেরিয়াল নিয়েও গবেষণা হচ্ছে বিস্তর।

৫. ডিজাইন নিয়ে গবেষণাতে ডিজিটাল টুলসের ব্যাবহার বেড়েছে অনেক। তাই, কম্পিউটার মডেলিং, কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন, ডেটা এনালাইসিস ইত্যাদিতে দখল থাকা অত্যাবশ্যকীয়। মোটকথা আন্ডারগ্রেডের গতানুগতিক বিষয় থেকে চিন্তা-ভাবনা খানিকটা বদলে নিলেই সুযোগ বেড়ে যাবে শতগুন। তখন আর শুধু টেক্সটাইল লিখে গুগলে সার্চ দিতে হবেনা!!!

শুভকামনায়,
Belas Ahmed Khan


Welcome: http://on.fb.me/WelcomeSchBD

List of Documents: http://on.fb.me/docsList





বিদেশে টেক্সটাইলের হায়ার স্টডি নিয়ে কিছু কথা

টেক্সটাইল টেকনোলজি/ইঞ্জিয়ারিং এ আন্ডারগ্রেড করে বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার বর্ধিত সুযোগ !!!

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় মোট ছয়টি মেজরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স ডিগ্রী দিচ্ছে। এর মধ্যে চারটি প্রসেসিং ও ম্যানুফেকচারিং এবং দুটি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও ফ্যাশন ডিজাইনিং সংক্রান্ত। অন্যান্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানও একই ধরনের ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। তাই, প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছেলেমেয়ে টেক্সটাইল মেজরে আন্ডারগ্রেড করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন। আবার, অনেকেই মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্যে চেষ্টা করে থাকেন। দেশে মাস্টার্স ও পিএইচডি গবেষণার প্রত্যাশিত সুযোগ সীমিত থাকায় অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্যে বিদেশে পাড়ি দেয়ার চিন্তা করেন। কিন্তু অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই মেজরে স্কলারশীপের যথেষ্ট সুযোগ না থাকা।




আমার এই লেখাটা তাদের জন্যে যারা চেষ্টা করতে আগ্রহী। হয়তো এই লেখাটা তাদের সুযোগ খুঁজে বের করতে খানিকটা সাহায্য করবে।

আমার জানামতে টেক্সটাইল মেজরের বেশিরভাগ বাংলাদেশিরা যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ 

University of Leeds (UK),

The University of Manchester (UK),

Heriot-Watt University (UK),

The University of Nottingham (UK),

University of Bolton (UK),

Technische Universität Dresden (Germany),

Universität Stuttgart (Germany),

Hochschule Niederrhein University of Applied Science (Germany), 

University of Borås (Sweden),

Universiteit Gent (Belgium),

Shinshu University (Japan),

University of Fukui (Japan),

Kyushu University (Japan),

 Indian Institute of Technology Delhi (India) ইত্যাদি। 

খোঁজ নিলে জানা যাবে অধিকাংশই টেক্সটাইলের কটন-বেজড ম্যানুফেকচারিং বা প্রসেসিং নিয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি গবেষণা করেননি। উপরন্তু বর্তমান সব শিক্ষার্থী যদি সিনিয়রদের পদাঙ্ক অনুসরন করে এই হাতেগনা কিছু ইউনিভার্সিটিতেই যেতে চায়, সেটা কি সুযোগকে আরো সংকুচিত করবেনা ?





আমাদের দেশে কটন-বেজড ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রসেসিং বেশি পড়ানো হয়। এখনো হয়তো এই রকম বিষয়ে ভারত, পাকিস্তান, চায়না, ইউরোপের অল্পকিছু বিশ্ববিদ্যালয় কোর্সওয়ার্ক-বেজড মাস্টার্স অফার করে। এখানে ইনোভেশনের সুযোগ সীমিত। তাই বিদেশে হুবহু এই বিষয়ে গবেষণার সু্যোগ খুবই কম। তাহলে উপায়? উপায় হলো আশ-পাশের বিষয় খোঁজা। যেমন, পলিমার সায়েন্স/ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, হাই-টেক টেক্সটাইলস, কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস রাতারাতি বদলে যাবে, এমন আশা করা ঠিক হবেনা, সেহেতু প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে নিজে নিজে। বোঝাই যাচ্ছে কিছু বিষয় খুব গুরুত্ব দিয়ে শিখলে লাভবান হওয়া যাবে।

১. কেমিস্ট্রি বিশেষ করে পলিমার কেমিস্ট্রি; ন্যাচারাল বা সিন্থেটিক পলিমারিক ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে পড়াশুনা করা যেতে পারে।

২. ফাইবার, ফেব্রিক বা অন্য ম্যাটেরিয়ালের বিভিন্ন ধরনের মেকানিকাল, কেমিক্যাল, থার্মাল ইত্যাদি প্রপার্টিজ এনালাইসিস করার জন্যে যেসব টেস্টিং আছে সেগুলোর ব্যাবহার এবং ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি জানা দরকার। যেকোন ম্যাটেরিয়াল নিয়ে গবেষণাতেই কাজে লাগবে।

৩. বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালের ফাংশনাল প্রপার্টি বা ইউনিকনেস এবং তাদের এপ্লিকেশন নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। তাই, হাই-টেক বা টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের বর্তমান অবস্থা জানা যেতে পারে। যেমন, মেডিক্যাল টেক্সটাইলস, জিওসিন্থেটিক্স, ন্যানো/ফাইবার কম্পোজিটস ইত্যাদি।

৪. বিভিন্ন ধরনের কেমিকাল প্রসেসিং ও পরিবেশ দূষন এবং এর প্রভাব (অর্থনৈতিক, সামাজিক বা পরিবেশ) মোকাবেলা সংক্রান্ত পরিবেশ বিজ্ঞান; কিংবা বৈরী পরিবেশের জন্যে উপযুক্ত পোশাক, বিভিন্ন ধরনের ইকোটেকনোলজি (প্লাজমা, মাইক্রোওয়েভ, আল্ট্রাসাউন্ড) এবং পরিবেশ-বান্ধব ম্যাটেরিয়াল নিয়েও গবেষণা হচ্ছে বিস্তর।

৫. ডিজাইন নিয়ে গবেষণাতে ডিজিটাল টুলসের ব্যাবহার বেড়েছে অনেক। তাই, কম্পিউটার মডেলিং, কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন, ডেটা এনালাইসিস ইত্যাদিতে দখল থাকা অত্যাবশ্যকীয়। মোটকথা আন্ডারগ্রেডের গতানুগতিক বিষয় থেকে চিন্তা-ভাবনা খানিকটা বদলে নিলেই সুযোগ বেড়ে যাবে শতগুন। তখন আর শুধু টেক্সটাইল লিখে গুগলে সার্চ দিতে হবেনা!!!

শুভকামনায়,
Belas Ahmed Khan


Welcome: http://on.fb.me/WelcomeSchBD

List of Documents: http://on.fb.me/docsList





কোন মন্তব্য নেই: