ফেব্রিক সাপ্লাই বিজনেসঃ
টেক্সটাইল এর র'ম্যাটেরিয়াল প্রকিউরমেন্ট এর মধ্যে ফেব্রিক অন্যতম, গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রি গুলির যদি নিজস্ব ডাইং না থাকে বা বাইং হাউস এর নমিনেটেড সাপ্লাইয়ার থাকে তবে একে ফেব্রিক সাপ্লাইয়ার বলে।
ইদানিংকালের টেক্সটাইল এর ব্যাবসা গুলির মাঝে ফেব্রিক সাপ্লাই গুরত্বপুর্ন।
লোকাল সাপ্লাইয়ারঃ
ফেব্রিক্স সাপ্লায়ার নামক এই ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা। কারণ তারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দেশের ফেব্রিক্স সাপ্লায়ার এর কাছ থেকে তারপর তারা নিজেদের দেশে স্টক করে মন মতো মতো দাম ধরে ব্যবসা করছে । মাঝে মাঝে ফেব্রিক্স কেনার সময় অনেক বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে যায় মধ্যসত্তভুগি দালাল ইম্পোর্টাররা । ফলে price নির্ধারণের পর আমাদের লাভ হয় সীমিত। কারণ ফেব্রিক্স সাপ্লায়ার বিদেশে যাদের কাছ থেকে ফেব্রিক্স কিনে তারা আবার ওই দেশের দালাল বা ফেব্রিক্স এর মহাজনের কাছ থেকে পণ্যগুলি সংগ্রহ করে। ফলে বিরাট একটা অঙ্ক মধ্যসত্তভুগি এই সকল দালাল দের পকেটে যায়....... আর এই কারণে অনেকের কোয়ালিটি ভালো হওয়ার পরও লাভ খুব কম হয়-
আপনারা একটা বিষয় খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে " বড় বড় বায়ার যারা গার্মেন্টস বায়িং হাউস এ অর্ডার সাবমিট করে তারা কিন্তু সরাসরি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি থেকে ফেব্রিক্স কিনে। যার ফলে প্রডাক্ট প্রাইস অনেক হয়। কোয়ালিটি ভালো দিতে পারে... লাভও ভালো হয়। যার ফলে হয় কি ?
যদি কোনো কারণে স্টকলট আকারে ওদের বাজারে আনতে হয় তাহলে ওরা ওদের ইনভেস্টমেন্ট রিকভার করতে পারে। এই কারনে কিনলে ডিরেক্ট ফেক্টরি থেকে কিনতে হবে।
চাইনিজ ফেব্রিক সাপ্লাইয়ারদের সুবিধাঃ-
তাই, ফাব্রিক কিনতে আর নয় সাপ্লায়ার আপনার যেকোনো ধরনের ফেব্রিক্স কিনুন সরাসরি চায়নার ফ্যাক্টরি থেকে। চায়নাতে রয়েছে যাদের নিজেদের টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি। বাংলাদেশে যারা ডাইরেক্ট sale পদ্ধতিতে fabrics বাজারজাত করে। তাদের কোন সাপ্লায়ার বা মিডিয়া থাকছে না ।
চায়না থেকে কাপড় আনতে সুবিধা হলো তাদের লিড টাইম কম ৪৫ দিন তার ফেব্রিক টু ফিনিশিং ৩০ দিন ১৫ দিন শিপমেন্ট এর জন্য সময় নেয়, মুলত তাদের কোয়ালিটির দিক থেকে এবং ফিনিশিং এর দিক দিয়ে তারা এগিয়ে থাকে।
বিজনেস পলিসিঃ
সাপ্লাই বিজনেস গুলি মুলত কমিশন নির্ভর ফেক্টরি টু গার্মেন্টস পর্যন্ত কয়েকজন থাকে যারা এর উপর নির্ভর শীল ফেক্টরি GM - গার্মেন্টস পর্যন্ত কমিশন গুলি ভাগ করা থাকা এটি কেজি বা গজে ১-৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । এখন ফেব্রিক সাপ্লাই এর জন্য আলাদা ফেব্রিক সাপ্লাইয়ার আছে। সাপ্লাইয়াদের হাতে সাপ্লাইচেইন আছে যার ফলে তারা প্রতিযোগিতা মুলক দামে তারা প্রডাক্ট দিতে পারে তবে নতুন কেও হলে তার অভিজ্ঞতা না থাকলে তারা সমস্যায় পড়তে পারেন।
অর্ডার গুলি কোথা থেকে আসেঃ
১. বাইং হাউস।
২. মার্চেন্ডাইজার।
৩. মার্কেটিং (লোকাল,ইন্টারন্যাশনাল) ।
৪. ইসলামপুর লোকাল হোল সেল।
১. বাইং হাউস।
২. মার্চেন্ডাইজার।
৩. মার্কেটিং (লোকাল,ইন্টারন্যাশনাল) ।
৪. ইসলামপুর লোকাল হোল সেল।
কোথায় ডাইং ফিনিশিং উইভিং করানো যায়ঃ
প্রতিটি এক্সপোর্ট ফেক্টরি নিজের ক্যাপাসিটি ফিলাপ করার পর তারা লোকাল কাজ করায়, এদের কাছ থেকে গ্রে জেনা যেতে পারে করন এদের কোয়ালিটি মেথোড এবং রিক্স লোকাল ম্যানুফেচারার থেকে কম তাছাড়াও চাইলে মাধবদী এবং বাবুর হাট থেকে গ্রে কিনতে পারেন।
ডাইং ফিনিশিং করানোঃ
ডাইং ফিনিশিং করানো ক্ষত্রে ২ টা বিষয় মাথায় রাখা লাগবে যে পরিচিত রেফারেন্স আছে কিনা যেমন যে ফেক্টরিতে কাজ করাবেন সেখানে GM পরিচিত না থাকলে কাজে দ্রুত বের করা যাবে না আর সাপোর্ট প্রয়োজন তার সাথে চুক্তি করে নিতে হবে ১ টাকা কেজিতে বা গজে কম হলেও কাজ দ্রুত করা, হাফ বিল, স্যাম্পল এ ভালো সাপোর্টিং পাবেন আর রেইট কম হলেও ঢাকার খুব কাছে ডাইং করাতে হবে যাতে দ্রুত কাজ করিয়ে নেয়া যায় আর দ্রুত ডেলিভারি দেয়া যাবে ।
টেকনিক্যাল নলেজঃ
কাপড় কেনার সময় অবশ্যই কন্সট্রাকশন, কম্পোজিশন, ফল্ট, ওয়েস্টেজ %, ইয়ার্ন কোয়ালিটি সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে।
ডাইং ফিনিশিং,কোয়ালিটি, প্রসেস লস, লেফট ওভার এবং ইন্সপেকশন এর সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে ।
আর লোকাল পার্চেস এর সুবিধাঃ
ওভেন কাপড় গ্রে ফ্রেবিক ১১০ টাকা গজ ডাইং ফিনিশিং চার্জ ৩০ ট্রান্সপোর্ট লজিস্টিকস ৫ প্রতি গজ এবং তা বিক্রি হয় ১৬০ টাকায় আর গজ প্রতি ১৫ টাকা লাভ এই ভাবে অর্ডার ভলিউম যতো বেশি হবে প্রফিট ততো বেশি হবে ।
চায়না কাপড় ডাইং ফিনিশিং করিয়ে আনতে ৪৫ দিন সময় লাগে তার মধ্যে ৩০ দিনে ডাইং ফিনিশিং ১৫ দিনে সিপিং।
চায়না, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান থেকে ফেব্রিক্স ইম্পোর্ট করা আমাদের সেক্টরের জন্য কতোটা উপকারী ???
যারা চায়না থেকে অগ্রিম এলসির মাধ্যমে ফেব্রিক্স আমদানি করে নিজেদের গার্মেন্টসে পোশাক তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করছেন,তারা একটু ভেবে দেখেন, আমরা চায়না কে আমাদের প্রডাক্ট বুঝে পাওয়ার আগেই চায়নাদের টাকা আগে বুঝে দিচ্ছি,চায়নারা টাকা পাওয়ার পর আমাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি করছে, চায়নারা ভাল মন্দ যাই দিচ্ছে আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই তা মেনে নিচ্ছি। বাংলাদেশে এনে অনেক সময় রি প্রসেস করছি, অথচ আমরা আমাদের দেশি ব্যাবসায়িদের এলসি টাইম মতো,ডকুমেন্টসও সই করিনা। এই মন মনাসিকতা থেকে বেড় না হলে শুধু চায়না আর ইন্ডিয়া ছাড়া বাংলাদেশের কোন লাভ নাই। এক সময় আমাদের টেক্সটাইল কারখানা এমনি বন্ধ হয়ে যাবে। ৫-১০% এর জন্য আমাদের টেক্সটাইল কারখানা গুলি আমরাই ধ্বংশের মুখে ঠেলে দিচ্ছি। হা আমরা আনার পক্ষে কিন্ত সে সকল প্রডাক্ট এর পক্ষে যা আমাদের দেশে করার মতো অবস্থা নেই স্পেশাল ফেব্রিক্স।
আমাদের স্পিনিং মিল গুলির অভিজ্ঞতা বলি আমাদের আশেপাশের দেশে কম দামে আমাদের টেক্সটাইল গুলি সুতা পেতে শুরু করে যার ফলে আমাদের স্পিনিং মিল গুলির ওয়্যার হাউজে অনেক সুতা জমে যায় নস্ট হয় যার ডেমারেজ দিতে গিয়ে স্পিনিং মিল গুলি রুগ্ন হয়ে যায়, ঠিক তখন আমাদের ইয়ার্ন সাপ্লাইয়ার গন তাদের চরিত্র দেখাতে শুরু করেন তারা, বাড়তে থাকে সুতার দাম । ল্যাও ঠেলা বাংগালী কেনো এবার সুতা। ওই ধাক্কা এখনো আমাদের স্পিনিং মিল গুলিতে আছে।
তাবে ফিউচারে নীটিং, উইভিং মিলে এমন হবে লিখে রাখেন।
টেক্সটাইল ফেব্রিক্স চেনার এবংশেখার টিপস
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রা ফেব্রিক এবং টেক্সটাইল বিজনেস শিখতে যদি চান তবে সময় করে শুক্র, শনি,রবি বারে নরসিংদী এর শেখের চরের বাবুর হাটের (মাধবদী) পাইকারি হাট ঘুরে দেখুন।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রা ফেব্রিক এবং টেক্সটাইল বিজনেস শিখতে যদি চান তবে সময় করে শুক্র, শনি,রবি বারে নরসিংদী এর শেখের চরের বাবুর হাটের (মাধবদী) পাইকারি হাট ঘুরে দেখুন।
টেক্সটাইল শেখার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর হয়তো নাও হতে পারে।
কিভাবে যাবেন:
মহাখালী টার্মিনালে গাড়ী আছে অহরহ
মহাখালী টার্মিনালে গাড়ী আছে অহরহ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন