অল ওভার প্রিন্ট সব টেকনিক্যাল প্রসেস এবং প্যারামিটার - Textile Lab | Textile Learning Blog

অল ওভার প্রিন্টিংয়ে যারা জব করছেন বা করবেন তাদের জন্য প্রিন্টিং এর বিভিন্ন টেকনিকাল প্রসেস প্যারামিটার যা আপনাদের জানা বঞ্চনীয় :



প্রিন্টিং চার্জ বা কস্টিংঃ
পিগমেন্ট 1.6$
বার্ন আউট 1.6$
পিগমেন্ট + ফ্লোরোসেন্ট 1.6$-2$
পিগমেন্ট + গ্লিটার 2.8$
গ্লিটার 2$-2.5$
ফ্লোরোসেন্ট 2.5$
ডিসচার্জ   2.5-3$
হোয়াইট CN 1.7$
প্রিন্টিং চার্জ নির্ভর করে কয় কালার, কালার কঞ্জামশন, স্ক্রিন কতোটা লাগে, কাভারেজ কেমন এর উপর, কোয়ানটিটি কেমন এর উপর ।

স্ক্রিন চার্জ:
ছোট স্ক্রিন ৫ হাজার টাকা
বড় স্ক্রিন ৮ হাজার টাকা
48" 54" 66" 65" 51" এমন সাইজের স্ক্রিন লেনথ হয়। 25" Dia.

রাবিং রেজাল্ট :
রাবিং নির্ভর করে ক্যালিকেল এর উপর যেমন কি পরিমাণ বাইন্ডার, ফিক্সিং এজেন্ট ব্যাবহার করা হয়েছে তার উপর।
ফ্লোরোসেন্ট এর জন্য ইউনিভার্সাল রেজাল্ট 3 ( Dry,Wet)
পিগমেন্ট3/4 ( Dry,Wet)
রিয়েক্টিভ 3/4 ( Dry,Wet)
রাবিং খারাপ হলে বাইন্ডার ফিক্সিং এজেন্ট বাড়িয়ে দিতে হবে।  ডিপ সেড, ব্লু এই জাতীয় সেড এর রাবিং একটু খারাপ হয়।

সমস্যা সমাধান :

ডিজাইন আউট - মাঝেমধ্যে প্রিন্টিং মেশিন এর হেড এর ডিসপ্লেইসমেন্ট এর ফলে স্ক্রিন নড়ে যায় তাই এটা ঠিক করে দিলে কালার ডিসপ্লেইস হবে না।।

ফ্লাশিং - মাঝেমধ্যে প্রিন্টিং মেশিন এর হেড এর ডিসপ্লেইসমেন্ট এর ফলে স্ক্রিন নড়ে যায় তাই যার ফলে কালার লেফটে যায়। এটা ঠিক করে দিলে কালার ডিসপ্লেইস হবে না।

স্ক্রিন জ্যাম :
অনেক সময় চলার ফলে অনেক দূর পর ফেব্রিক এর সেড লাইট ডিপ হতে শুরু করে তাই মেশিন অফ করে স্ক্রিনে পানি মেরে দিলে এটা ঠিক হয়ে যায়।

ডাস্ট :
ডাস্ট থাকলে মেশিনে ডাস্ট সাকার ব্লোয়ার চালু করে দিতে হবে,  একটি খালি স্ক্রিনে উলটো করে টেপ মারতে হবে ঘাম এর দিক উপরে থাকে এবং ফেব্রিক এরসাথে স্ক্রিন এর মতো লেগে ময়লা গুলি যেনো টেপ টেনে নেয়।



ফরমালডিহাইড দূর করার উপায় :
ফরমালডিহাইড কন্টামিনেশন এর ঝুকি থাকলে Rolflex BKNP 1-2% হারে পেস্ট এর সাথে এটি ব্যাবহার করতে হবে আর কিউরিং এর সময় অবশ্যই হাই টেম্পারেচার ব্যাবহার করতে হবে।

সেড লাইট ডিপ :
অনেক সময় চলার ফলে অনেক দূর পর ফেব্রিক এর সেড লাইট ডিপ হতে শুরু করে তাই মেশিন অফ করে স্ক্রিনে পানি মেরে দিলে এটা ঠিক হয়ে যায়।


SOP স্টেন্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউওর : 

১.ওভেন ফেব্রিক হলে ১-২ থান নামিয়ে গ্রাউন্ড ফেব্রিক এর সেড  দেখা।

২. নীট হলে একটু কাপড় নিয়ে এপ্রুভ সোয়াচ এর সাথে মিলিয়ে দেখা।

৩. এব্জরবেন্সি চেক করতে হবে।

৪. ফেব্রিক এর ফেইস ব্যাক চেক করতে হবে।

৫. ওভেন টুইল হলে S  Twill Z Twill চেক করতে হবে।

৬. জয়েন আছে কিনা চেক করুন, ক্রিজ থাকলে স্ট্রেস করা কিনা চেক করুন।

৭. ওভেন ফেব্রিক এর বায়াস ঠিক আছে কিনা চেক করে কাপড় চালান।


মেশিন স্পিড :
মেশিন স্পিড নির্ভর করে ডিজাইন, কাভারেজ, স্ক্রিন এর উপর ১০০% বডি কাভারেজ হলে টেম্পারেচার বেশি লাগে তাই স্পিড কমিয়ে চালাতে হয় ৩০-৩৫ m/m, কাভারেজ কম হলে বা ফিগার মিডিয়াম হলে ৪০-৫০ m/m।  এক কালার হলে ৬০-৭০ m/m।  স্পিড যতো বেশি প্রডাকশন ততো বেশি যতোক্ষন পর্যন্ত ফেব্রিক ভেজা বা সমস্যা না বের হয় ততোক্ষণ স্পিড বাড়ানো যায়।



প্রেসার রড :
বিভিন্ন ডায়ার রড প্রেশার দেয়ার জন্য ব্যাবহার করা হয় 10 mm, 12mm, 16mm, 20mm সাধারণত 10mm দিয়ে শুরু।  প্রেশার 35 psi - Highest 90 psi যতো পর্যন্ত না সেড এর ডেপথ না আসে ততো ক্ষন পর্যন্ত বাড়াতে হয় ।




মেশ সাইজ :
মেশ হচ্ছে স্ক্রিন এর ছিদ্র যুক্ত ফেব্রিক।  আর এই ছিদ্র এর উপর কালার এর ডেনসিটি বা পিক্সেল নির্ভর করে তাই এক এক প্রিন এর পেস্ট এর জন্য এক এক ডেনসিটির মেশ ব্যাবহার করা হয়।  মেশ যতো বেশী  হয় পেস্ট পাসিং কম হয়।মেশ যতো বেশী  হয় পেস্ট পাসিং ততো বেশি হয়.  মেস এর হিসেব প্রতি ইঞ্চিতে কতো ছিদ্র তাকে ততো মেস বলে।


গ্লিটার 30 Mesh /inch
গোল্ডেন আফসান 40 Mesh /inch
পার্ল 60 Mesh /inch
বার্ন আউট 80 Mesh /inch
রিয়েক্টিভ 100 Mesh /inch
পিগমেন্ট 100 Mesh /inch
রিয়েক্টিভ 125-155 Mesh /inch
মেশ এর রেঞ্জ 195-15


কিউরিং ডয়েল টাইম এবং  টেম্পারেচারঃ

পিগমেন্ট ডিপ কালার - ১৫০ ডিগ্রী, ৫ মিনিট ডয়েল টাইম

পিগমেন্ট লাইট কালার -১৪০ ডিগ্রী, ৪.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

ফ্লোরোসেন্ট -১৪০ ডিগ্রী, ৪.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

White CN-১৪০ ডিগ্রী, ৪.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

Black-১৫০ ডিগ্রী, ৫ মিনিট ডয়েল টাইম

বার্ন আউট-১৬০-১৭০ ডিগ্রী, ৬-৬.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

ডিসচার্জ-১৫০-১৬০ ডিগ্রী, ৫ মিনিট ডয়েল টাইম

রিয়েক্টিভ -১৫০ ডিগ্রী, ১২ মিনিট ডয়েল টাইম, ৪ কেজি স্টিম প্রেশার।

ফ্লোরোসেন্ট ডাইজ এর প্রাইস
Red 113- 1700 Taka
Pink 117- 1700 Taka
Orange 114- 1700 Taka
L Yellow 115- 2100 Taka
G Yellow -1700 Taka
Rose 127- 1700 Taka

পিগমেন্ট এর প্রাইস
Black GR-250Tk /Kg
Blue MD1-750Tk /Kg
Red MD2-1250Tk /Kg
GYellowKRM-750Tk /Kg
L Yellow FGN-750Tk /Kg
Green FH/G7-750Tk /Kg
Orange FGM/34 -1750Tk /Kg
Pink-1150 Tk /KgTk /Kg
Violet 23- 1150 Tk /Kg





বেসিক রেসিপিঃ

পিগমেন্ট রেসিপি :১০০ কেজির জন্য
বাইন্ডার ৮-১৩%
ফিক্সার ২-৩%
থিকেনার ৩%
ফরমালডিহাইড রিমুভার ১-২%
ইউরিয়া ২-৩%
লিকার এমোনিয়া ১.৫-২%
এন্টিফোম ০.২%
পিগমেন্ট ডাইজ
পানি
Note: ফরমালডিহাইড রিমুভার  পিগমেন্ট প্রিন্টিং এর ক্ষত্রে ব্যাবহার করা হয় কারন বাইন্ডারে ফরমালডিহাইড কন্টামিনেশন এর চান্স থাকে। 

রিয়েকটিভ রেসিপি : ১০০ কেজির জন্য
রেসিস্ট সল্ট ১.৫-২%
সোডিয়াম কার্বোনেট  ৩-৪%
থিকেনার এলজিনেট  ৪-৫%
ইউরিয়া ২০% নীট ১০% ওভেন
রিয়েকটিভ ডাইজ
পানি

বার্ন আউট রেসিপি: ১০০ কেজি
সাইট্রিক এসিড ১২-১৪%
গোয়ার গাম ৩%-৫%
গ্লিসারারিন ৩-৪%
ওয়াটার


ডিসচার্জ প্রিন্টিং বেসিপি : ১০০ কেজি
সাইট্রিক এসিট
লায়ো প্রিন্ট ডিসচার্জ এজেন্ট ১০%
হোয়াইট CN 90%


রিয়েক্টিভ ফেব্রিক প্রিন্টেড ওয়াসঃ

1. কোল্ড ওয়াস + ওভার ফ্লো নরমাল টেম্পারেচার ১৫ মিনিট

2.রিনস + ড্রেইন

3. কোল্ড ওয়াস + ওভার ফ্লো নরমাল টেম্পারেচার ১৫ মিনিট

4. হট  ওয়াস +  ললিকুইড ডিটারজেন্ট ৪ গ্রাম পার লেটার  + ইউরিপনা ols 1 gpl + 30 min

5. স্যাম্পল চেক

6.হট ওয়াস ৬০ ডিগ্রী ১০ মিন

7. কোল্ড ওয়াস আনলোড

ম্যাকানিক্যাল প্রবলেমঃ

1. গাম স্ক্রাপার
এই পার্টস এর কাজ হচ্ছে ব্লাংকেট এর গাম কে লেভেলিং করা এতে সমস্যা হলে ফেব্রিকের প্রিন্টিং মিস প্রিন্ট হতে পারে।

২. নজেল এর সমস্যা
প্রিন্টিং মেশিনের চেম্বার এর ভেতরে ডাস্ট জমে  ফেব্রিকে ডাস্ট যেতে পারে তাই একে রুটিন ক্লিন করতে হয়।

৩. হেড সেটিং
হেড সেটিং ঠিক করার জন্য নিয়মিত গ্রিস,  টাইট করা, গেজিং করা লাগে


প্রিন্টিং কস্টিং : 

রিয়েক্টিভ প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2.5$ - 3$

নরমাল এক কালার এর ডিজাইন এর জন্য 2.5$
1-2 Color হলে চার্জ 2.6$

Multi Color  হলে চার্জ 3$

নোট: এটি নীট কাপড় এর জন্য,  এর দাম নির্ধারন করা হয় কেজি প্রতি হারে।

পিগমেন্ট প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 1.6$ - 1.9$

ফ্লোরোসেন্ট প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2$ - 4$

ডিসচার্জ এবং গ্লিটার
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2.5$ - 3.5$

বার্ন আউট প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2$ - 2.5$

ওভেন কাপড় এর প্রিন্টিং চার্জ
২৬-৩৫  টাকা মিটার প্রতি হারে নেয়া হয়।

Information

১.   যে কোন কাপড় যদি ১টন এর নিচে প্রিন্টিং করা হয় তবে ওই কাপড় প্রিন্টিং এর জন্য প্রিন্টিং চার্জ এর বাইরে প্রিন্ট স্ক্রিন প্রতি ৫০০০ টাকা করে বাড়টি দিতে হয়,  এর কারন হলো প্রতিটি স্ক্রিন ডিজাইন,  এনগ্রেভিং করতে ৫০০০ টাকা।

২. এক টনের উপর কাপড় প্রিন্টিং করা হলে স্ক্রিন চার্জ মাপ করে দেয়া হয়।

৩. অর্ডার ভলিউম বেশি হলে চার্জ ১০ কপমিয়ে দেয়া হয়।

৪. স্যাম্পল করা ফ্রি যদি ওই স্যাম্পল এর বিপরীতে বাল্ক অর্ডার দেন,  এমনি করালে আপনাকে স্ক্রিন চার্জ আর স্যাম্পল ডেভেলপিং চার্জ দিতে হবে।

৫. কস্টিং মার্কেটিং এর লোক কর্তিক নির্ধারন করা হয়,  তারা প্রোফর্মা ইনভয়েস এর মাধ্যমে এই প্রাইস দেন ।


প্রিন্টিং করা কাপড়ের কস্টিং করা হয় যে ভাবে : 

১. প্রথমত দেখা হয় ডিজাইন টি তে কয় কালার আছে,  কেনো না প্রতিটি কালার এর জন্য একটি করে স্ক্রিন লাগে প্রতিটি স্ক্রিন এর দাম ৫০০০ টাকা। আমরা ডিজাইন ভেদে ১-১২ কালার করতে পারি।  তাই কস্টিং এর ভেতর স্ক্রিন কস্ট ধরতে হয়।

২. কি পরিমান ক্যামিকেল লাগে যেমন বাইন্ডার,  ফিক্সিং এজেন্ট,  ইউরিয়া,  ওয়েটিং এজেন্ট,  এমোনিয়া।  এদের ব্রেন ও দেখা হয় সাধারনত ইন হাউস বা নিজেদের বায়ারদের ভালো ক্যামিকেল ব্যাবহার করা হয়। সাব কন্ট্রাক্ট বা পার্টির কাজের জন্য মোটামুটি মানের ব্যবহার করা হয়।

৩. ডাইজ,  যেমন : পিগমেন্ট হলে দাম কম,  রিয়েক্টিভ হলে কিছুটা বেশি ফ্লোরোসেন্ট কালার হলে আরো বেশি ধরা হয়।

৪. প্রিন্টিং এর সাথে এর ফিনিশিং কস্ট ও ধরতে হয়।  যেমন প্রতি কেজি কাপড় স্টেনন্টার করতে ১৫ টাকা আর কম্পেক্টটিং করতে ৭ টাকা লাগে।  আপনার কাপড় এর উপর নির্ভর করে কতো কেজি কাপড় ফিনিশিং করবেন।

৫. প্রিন্ট কভারেজ একটি ফেক্টর,  যেমন কতো টুকু যায়গা জুড়ে আপনি প্রিন্টিং করবেন,  কভারেজ বেশি হলে দাম বেশি।

৬. কস্টিং সাধারনত ডলারে আর সেন্ট এ ধরা হয়।  বেসিক ডিজাইন হলে ৫০ সেন্ট আর ডিজাইন হলে ২.৫০ সেন্ট পর্যন্ত হয়।

৭. সাধারনত ফ্লোর এর লোক কনজামশন দেয় আর মার্কেটিং এর লোক আর GM কস্টিং ফাইনাল করে।

৮. ইউটিলিটি + ওভার হে'ড সহ সব কস্টিং এর পর প্রফিট ১৫% সাথে ধরে ফাইনাল কস্টিং বায়ার দের দেয়া হয়। কস্টিং প্রায় সবার সমান কিন্তু কাস্টমার কিছু বিষয় মাথায় নিয়ে ফেক্টরি গুলিতে কাজ দেয় যেমন,  কোয়ালিটি,  লিড টাইম ইত্যাদি

কস্টিং এর সুত্র:-

ওভার হেড কস্ট ফিক্সিড ধরে,  স্যাম্পলে স্যাম্পল করার সময় কি পরিমানে কালার ক্যামিকেল লাগছে তার প্রাইস যোগ করে তাকে কাপড় এর কেজি অনুযায়ী ভাগ দিয়ে কাপড় এর কেজি প্রতি কস্টিং করা হয়।

 দাম বাড়ার কারন হলো মাঝে মাঝে কিছু সেড এরএর জন্য দামি ক্যামিকেল লাগে যেমন গ্লিটার ৩৬০০ টাকা কেজি, ফ্লোরোসেন্ট ২০০০ টাকা কেজি,  হোয়াইট প্রিন্টিং করতে হোয়াইট  CN ব্যাবহার করা হয়।




অল ওভার প্রিন্ট সব টেকনিক্যাল প্রসেস এবং প্যারামিটার


অল ওভার প্রিন্টিংয়ে যারা জব করছেন বা করবেন তাদের জন্য প্রিন্টিং এর বিভিন্ন টেকনিকাল প্রসেস প্যারামিটার যা আপনাদের জানা বঞ্চনীয় :



প্রিন্টিং চার্জ বা কস্টিংঃ
পিগমেন্ট 1.6$
বার্ন আউট 1.6$
পিগমেন্ট + ফ্লোরোসেন্ট 1.6$-2$
পিগমেন্ট + গ্লিটার 2.8$
গ্লিটার 2$-2.5$
ফ্লোরোসেন্ট 2.5$
ডিসচার্জ   2.5-3$
হোয়াইট CN 1.7$
প্রিন্টিং চার্জ নির্ভর করে কয় কালার, কালার কঞ্জামশন, স্ক্রিন কতোটা লাগে, কাভারেজ কেমন এর উপর, কোয়ানটিটি কেমন এর উপর ।

স্ক্রিন চার্জ:
ছোট স্ক্রিন ৫ হাজার টাকা
বড় স্ক্রিন ৮ হাজার টাকা
48" 54" 66" 65" 51" এমন সাইজের স্ক্রিন লেনথ হয়। 25" Dia.

রাবিং রেজাল্ট :
রাবিং নির্ভর করে ক্যালিকেল এর উপর যেমন কি পরিমাণ বাইন্ডার, ফিক্সিং এজেন্ট ব্যাবহার করা হয়েছে তার উপর।
ফ্লোরোসেন্ট এর জন্য ইউনিভার্সাল রেজাল্ট 3 ( Dry,Wet)
পিগমেন্ট3/4 ( Dry,Wet)
রিয়েক্টিভ 3/4 ( Dry,Wet)
রাবিং খারাপ হলে বাইন্ডার ফিক্সিং এজেন্ট বাড়িয়ে দিতে হবে।  ডিপ সেড, ব্লু এই জাতীয় সেড এর রাবিং একটু খারাপ হয়।

সমস্যা সমাধান :

ডিজাইন আউট - মাঝেমধ্যে প্রিন্টিং মেশিন এর হেড এর ডিসপ্লেইসমেন্ট এর ফলে স্ক্রিন নড়ে যায় তাই এটা ঠিক করে দিলে কালার ডিসপ্লেইস হবে না।।

ফ্লাশিং - মাঝেমধ্যে প্রিন্টিং মেশিন এর হেড এর ডিসপ্লেইসমেন্ট এর ফলে স্ক্রিন নড়ে যায় তাই যার ফলে কালার লেফটে যায়। এটা ঠিক করে দিলে কালার ডিসপ্লেইস হবে না।

স্ক্রিন জ্যাম :
অনেক সময় চলার ফলে অনেক দূর পর ফেব্রিক এর সেড লাইট ডিপ হতে শুরু করে তাই মেশিন অফ করে স্ক্রিনে পানি মেরে দিলে এটা ঠিক হয়ে যায়।

ডাস্ট :
ডাস্ট থাকলে মেশিনে ডাস্ট সাকার ব্লোয়ার চালু করে দিতে হবে,  একটি খালি স্ক্রিনে উলটো করে টেপ মারতে হবে ঘাম এর দিক উপরে থাকে এবং ফেব্রিক এরসাথে স্ক্রিন এর মতো লেগে ময়লা গুলি যেনো টেপ টেনে নেয়।



ফরমালডিহাইড দূর করার উপায় :
ফরমালডিহাইড কন্টামিনেশন এর ঝুকি থাকলে Rolflex BKNP 1-2% হারে পেস্ট এর সাথে এটি ব্যাবহার করতে হবে আর কিউরিং এর সময় অবশ্যই হাই টেম্পারেচার ব্যাবহার করতে হবে।

সেড লাইট ডিপ :
অনেক সময় চলার ফলে অনেক দূর পর ফেব্রিক এর সেড লাইট ডিপ হতে শুরু করে তাই মেশিন অফ করে স্ক্রিনে পানি মেরে দিলে এটা ঠিক হয়ে যায়।


SOP স্টেন্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউওর : 

১.ওভেন ফেব্রিক হলে ১-২ থান নামিয়ে গ্রাউন্ড ফেব্রিক এর সেড  দেখা।

২. নীট হলে একটু কাপড় নিয়ে এপ্রুভ সোয়াচ এর সাথে মিলিয়ে দেখা।

৩. এব্জরবেন্সি চেক করতে হবে।

৪. ফেব্রিক এর ফেইস ব্যাক চেক করতে হবে।

৫. ওভেন টুইল হলে S  Twill Z Twill চেক করতে হবে।

৬. জয়েন আছে কিনা চেক করুন, ক্রিজ থাকলে স্ট্রেস করা কিনা চেক করুন।

৭. ওভেন ফেব্রিক এর বায়াস ঠিক আছে কিনা চেক করে কাপড় চালান।


মেশিন স্পিড :
মেশিন স্পিড নির্ভর করে ডিজাইন, কাভারেজ, স্ক্রিন এর উপর ১০০% বডি কাভারেজ হলে টেম্পারেচার বেশি লাগে তাই স্পিড কমিয়ে চালাতে হয় ৩০-৩৫ m/m, কাভারেজ কম হলে বা ফিগার মিডিয়াম হলে ৪০-৫০ m/m।  এক কালার হলে ৬০-৭০ m/m।  স্পিড যতো বেশি প্রডাকশন ততো বেশি যতোক্ষন পর্যন্ত ফেব্রিক ভেজা বা সমস্যা না বের হয় ততোক্ষণ স্পিড বাড়ানো যায়।



প্রেসার রড :
বিভিন্ন ডায়ার রড প্রেশার দেয়ার জন্য ব্যাবহার করা হয় 10 mm, 12mm, 16mm, 20mm সাধারণত 10mm দিয়ে শুরু।  প্রেশার 35 psi - Highest 90 psi যতো পর্যন্ত না সেড এর ডেপথ না আসে ততো ক্ষন পর্যন্ত বাড়াতে হয় ।




মেশ সাইজ :
মেশ হচ্ছে স্ক্রিন এর ছিদ্র যুক্ত ফেব্রিক।  আর এই ছিদ্র এর উপর কালার এর ডেনসিটি বা পিক্সেল নির্ভর করে তাই এক এক প্রিন এর পেস্ট এর জন্য এক এক ডেনসিটির মেশ ব্যাবহার করা হয়।  মেশ যতো বেশী  হয় পেস্ট পাসিং কম হয়।মেশ যতো বেশী  হয় পেস্ট পাসিং ততো বেশি হয়.  মেস এর হিসেব প্রতি ইঞ্চিতে কতো ছিদ্র তাকে ততো মেস বলে।


গ্লিটার 30 Mesh /inch
গোল্ডেন আফসান 40 Mesh /inch
পার্ল 60 Mesh /inch
বার্ন আউট 80 Mesh /inch
রিয়েক্টিভ 100 Mesh /inch
পিগমেন্ট 100 Mesh /inch
রিয়েক্টিভ 125-155 Mesh /inch
মেশ এর রেঞ্জ 195-15


কিউরিং ডয়েল টাইম এবং  টেম্পারেচারঃ

পিগমেন্ট ডিপ কালার - ১৫০ ডিগ্রী, ৫ মিনিট ডয়েল টাইম

পিগমেন্ট লাইট কালার -১৪০ ডিগ্রী, ৪.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

ফ্লোরোসেন্ট -১৪০ ডিগ্রী, ৪.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

White CN-১৪০ ডিগ্রী, ৪.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

Black-১৫০ ডিগ্রী, ৫ মিনিট ডয়েল টাইম

বার্ন আউট-১৬০-১৭০ ডিগ্রী, ৬-৬.৫ মিনিট ডয়েল টাইম

ডিসচার্জ-১৫০-১৬০ ডিগ্রী, ৫ মিনিট ডয়েল টাইম

রিয়েক্টিভ -১৫০ ডিগ্রী, ১২ মিনিট ডয়েল টাইম, ৪ কেজি স্টিম প্রেশার।

ফ্লোরোসেন্ট ডাইজ এর প্রাইস
Red 113- 1700 Taka
Pink 117- 1700 Taka
Orange 114- 1700 Taka
L Yellow 115- 2100 Taka
G Yellow -1700 Taka
Rose 127- 1700 Taka

পিগমেন্ট এর প্রাইস
Black GR-250Tk /Kg
Blue MD1-750Tk /Kg
Red MD2-1250Tk /Kg
GYellowKRM-750Tk /Kg
L Yellow FGN-750Tk /Kg
Green FH/G7-750Tk /Kg
Orange FGM/34 -1750Tk /Kg
Pink-1150 Tk /KgTk /Kg
Violet 23- 1150 Tk /Kg





বেসিক রেসিপিঃ

পিগমেন্ট রেসিপি :১০০ কেজির জন্য
বাইন্ডার ৮-১৩%
ফিক্সার ২-৩%
থিকেনার ৩%
ফরমালডিহাইড রিমুভার ১-২%
ইউরিয়া ২-৩%
লিকার এমোনিয়া ১.৫-২%
এন্টিফোম ০.২%
পিগমেন্ট ডাইজ
পানি
Note: ফরমালডিহাইড রিমুভার  পিগমেন্ট প্রিন্টিং এর ক্ষত্রে ব্যাবহার করা হয় কারন বাইন্ডারে ফরমালডিহাইড কন্টামিনেশন এর চান্স থাকে। 

রিয়েকটিভ রেসিপি : ১০০ কেজির জন্য
রেসিস্ট সল্ট ১.৫-২%
সোডিয়াম কার্বোনেট  ৩-৪%
থিকেনার এলজিনেট  ৪-৫%
ইউরিয়া ২০% নীট ১০% ওভেন
রিয়েকটিভ ডাইজ
পানি

বার্ন আউট রেসিপি: ১০০ কেজি
সাইট্রিক এসিড ১২-১৪%
গোয়ার গাম ৩%-৫%
গ্লিসারারিন ৩-৪%
ওয়াটার


ডিসচার্জ প্রিন্টিং বেসিপি : ১০০ কেজি
সাইট্রিক এসিট
লায়ো প্রিন্ট ডিসচার্জ এজেন্ট ১০%
হোয়াইট CN 90%


রিয়েক্টিভ ফেব্রিক প্রিন্টেড ওয়াসঃ

1. কোল্ড ওয়াস + ওভার ফ্লো নরমাল টেম্পারেচার ১৫ মিনিট

2.রিনস + ড্রেইন

3. কোল্ড ওয়াস + ওভার ফ্লো নরমাল টেম্পারেচার ১৫ মিনিট

4. হট  ওয়াস +  ললিকুইড ডিটারজেন্ট ৪ গ্রাম পার লেটার  + ইউরিপনা ols 1 gpl + 30 min

5. স্যাম্পল চেক

6.হট ওয়াস ৬০ ডিগ্রী ১০ মিন

7. কোল্ড ওয়াস আনলোড

ম্যাকানিক্যাল প্রবলেমঃ

1. গাম স্ক্রাপার
এই পার্টস এর কাজ হচ্ছে ব্লাংকেট এর গাম কে লেভেলিং করা এতে সমস্যা হলে ফেব্রিকের প্রিন্টিং মিস প্রিন্ট হতে পারে।

২. নজেল এর সমস্যা
প্রিন্টিং মেশিনের চেম্বার এর ভেতরে ডাস্ট জমে  ফেব্রিকে ডাস্ট যেতে পারে তাই একে রুটিন ক্লিন করতে হয়।

৩. হেড সেটিং
হেড সেটিং ঠিক করার জন্য নিয়মিত গ্রিস,  টাইট করা, গেজিং করা লাগে


প্রিন্টিং কস্টিং : 

রিয়েক্টিভ প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2.5$ - 3$

নরমাল এক কালার এর ডিজাইন এর জন্য 2.5$
1-2 Color হলে চার্জ 2.6$

Multi Color  হলে চার্জ 3$

নোট: এটি নীট কাপড় এর জন্য,  এর দাম নির্ধারন করা হয় কেজি প্রতি হারে।

পিগমেন্ট প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 1.6$ - 1.9$

ফ্লোরোসেন্ট প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2$ - 4$

ডিসচার্জ এবং গ্লিটার
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2.5$ - 3.5$

বার্ন আউট প্রিন্টিং
৫০%- ১০০% কাভারেজ
চার্জ : 2$ - 2.5$

ওভেন কাপড় এর প্রিন্টিং চার্জ
২৬-৩৫  টাকা মিটার প্রতি হারে নেয়া হয়।

Information

১.   যে কোন কাপড় যদি ১টন এর নিচে প্রিন্টিং করা হয় তবে ওই কাপড় প্রিন্টিং এর জন্য প্রিন্টিং চার্জ এর বাইরে প্রিন্ট স্ক্রিন প্রতি ৫০০০ টাকা করে বাড়টি দিতে হয়,  এর কারন হলো প্রতিটি স্ক্রিন ডিজাইন,  এনগ্রেভিং করতে ৫০০০ টাকা।

২. এক টনের উপর কাপড় প্রিন্টিং করা হলে স্ক্রিন চার্জ মাপ করে দেয়া হয়।

৩. অর্ডার ভলিউম বেশি হলে চার্জ ১০ কপমিয়ে দেয়া হয়।

৪. স্যাম্পল করা ফ্রি যদি ওই স্যাম্পল এর বিপরীতে বাল্ক অর্ডার দেন,  এমনি করালে আপনাকে স্ক্রিন চার্জ আর স্যাম্পল ডেভেলপিং চার্জ দিতে হবে।

৫. কস্টিং মার্কেটিং এর লোক কর্তিক নির্ধারন করা হয়,  তারা প্রোফর্মা ইনভয়েস এর মাধ্যমে এই প্রাইস দেন ।


প্রিন্টিং করা কাপড়ের কস্টিং করা হয় যে ভাবে : 

১. প্রথমত দেখা হয় ডিজাইন টি তে কয় কালার আছে,  কেনো না প্রতিটি কালার এর জন্য একটি করে স্ক্রিন লাগে প্রতিটি স্ক্রিন এর দাম ৫০০০ টাকা। আমরা ডিজাইন ভেদে ১-১২ কালার করতে পারি।  তাই কস্টিং এর ভেতর স্ক্রিন কস্ট ধরতে হয়।

২. কি পরিমান ক্যামিকেল লাগে যেমন বাইন্ডার,  ফিক্সিং এজেন্ট,  ইউরিয়া,  ওয়েটিং এজেন্ট,  এমোনিয়া।  এদের ব্রেন ও দেখা হয় সাধারনত ইন হাউস বা নিজেদের বায়ারদের ভালো ক্যামিকেল ব্যাবহার করা হয়। সাব কন্ট্রাক্ট বা পার্টির কাজের জন্য মোটামুটি মানের ব্যবহার করা হয়।

৩. ডাইজ,  যেমন : পিগমেন্ট হলে দাম কম,  রিয়েক্টিভ হলে কিছুটা বেশি ফ্লোরোসেন্ট কালার হলে আরো বেশি ধরা হয়।

৪. প্রিন্টিং এর সাথে এর ফিনিশিং কস্ট ও ধরতে হয়।  যেমন প্রতি কেজি কাপড় স্টেনন্টার করতে ১৫ টাকা আর কম্পেক্টটিং করতে ৭ টাকা লাগে।  আপনার কাপড় এর উপর নির্ভর করে কতো কেজি কাপড় ফিনিশিং করবেন।

৫. প্রিন্ট কভারেজ একটি ফেক্টর,  যেমন কতো টুকু যায়গা জুড়ে আপনি প্রিন্টিং করবেন,  কভারেজ বেশি হলে দাম বেশি।

৬. কস্টিং সাধারনত ডলারে আর সেন্ট এ ধরা হয়।  বেসিক ডিজাইন হলে ৫০ সেন্ট আর ডিজাইন হলে ২.৫০ সেন্ট পর্যন্ত হয়।

৭. সাধারনত ফ্লোর এর লোক কনজামশন দেয় আর মার্কেটিং এর লোক আর GM কস্টিং ফাইনাল করে।

৮. ইউটিলিটি + ওভার হে'ড সহ সব কস্টিং এর পর প্রফিট ১৫% সাথে ধরে ফাইনাল কস্টিং বায়ার দের দেয়া হয়। কস্টিং প্রায় সবার সমান কিন্তু কাস্টমার কিছু বিষয় মাথায় নিয়ে ফেক্টরি গুলিতে কাজ দেয় যেমন,  কোয়ালিটি,  লিড টাইম ইত্যাদি

কস্টিং এর সুত্র:-

ওভার হেড কস্ট ফিক্সিড ধরে,  স্যাম্পলে স্যাম্পল করার সময় কি পরিমানে কালার ক্যামিকেল লাগছে তার প্রাইস যোগ করে তাকে কাপড় এর কেজি অনুযায়ী ভাগ দিয়ে কাপড় এর কেজি প্রতি কস্টিং করা হয়।

 দাম বাড়ার কারন হলো মাঝে মাঝে কিছু সেড এরএর জন্য দামি ক্যামিকেল লাগে যেমন গ্লিটার ৩৬০০ টাকা কেজি, ফ্লোরোসেন্ট ২০০০ টাকা কেজি,  হোয়াইট প্রিন্টিং করতে হোয়াইট  CN ব্যাবহার করা হয়।




২টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

মেশিনের সাইজ কতো

Unknown বলেছেন...

খুব সুন্দর বস।