3rd, 4th ইয়ারের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কিছু গাইড লাইন - Textile Lab | Textile Learning Blog
টেক্সটাইল গাইড লাইন ( শেষ ২ বছর )

প্রথম ২ বছরে যারা গুছিয়ে নিয়েছ তারা তো ভাল , কনফিডেন্স বেড়ে গিয়েছে । আর যারা গোছাতে পার নাই তারা হতাশ না হয়ে ধৈয্য ধরে নতুন করে শুরূ কর । শেষ ২ টা বছর নিজেকে তৈরির জন্য অনেকটা সময় পাবে ।

রেজাল্ট যাদের খারাপ চেষ্টা করবা তার থেকে যেন এই ২ বছরে আর খারাপ না হয়।৩.২৫-৩.৫০ এভারেজ রেজাল্ট থাকা ভাল । এই ২ বছরে ম্যাক্সিমাম সাবজেক্ট টেক্সটাইল রিলেটেড।তাই ফাঁকি না দেওয়াই ভাল।এখন ফাঁকি দিলে আর এই জিনিস জানতে পারবে না ।আর নিজে থেকে তোমাদের জানার আগ্রহ কতটুকু তা আমরা জানি ।


একটা সুন্দর সিভি তৈরি কর । দরকার হলে এক সপ্তাহ এক্সপেরিমেন্ট কর
টিচারদের সাহায্য নেও।বড় ভাইদের কাছ থেকে তাদের সিভি নিয়ে দেখ ।তারপর একটা মাষ্টারপিস সিভি তৈরি কর ।একটা ভাল সিভি সব সময় তোমাকে এগিয়ে রাখবে । এরপর সিভিটার একটা পিডিএফ & একটা মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড কপি পারসোনাল মেইলে রেখে দেও । ( শুধু সিভি নিয়ে একটা লেখার চেষ্টা করব যদি সময় পায় )

সিভি তৈরির পর বিডি জবস, জবস বিডি, লিন্ক ইন এ একাউন্ট খুলে ফেলো । এরপর সুন্দর করে সাজাও । সিভিতে তোমার সব ইনফরমেশন আছে ।শুধু কপি পেষ্ট করবে ।এক্ষেত্রে সবাই আলশেমি করে । জবের আগে সিভি তৈরি করতে যেয়ে ঝামেলায় পরে । তারপর ফালতু একটা সিভি বানিয়ে ট্রাই করে । শুধু ভাল একটা সিভির কারনে তুমি শর্টলিষ্ট থেকে বাদ পরতে পার ।

সব বানানো হয়ে গেলে সপ্তাহে অন্তত একটা দিন ডুকে টেক্সটাইল জব গুলো দেখতে থাক , এতে অন্তত ৫০ টা কোম্পানির নাম মুখস্ত হবে । কোন ধরনের সারকুলার বেশী হয় .? এক্সপেরিয়েন্স কত বছর চায় .? জবের কি কি রিসপনসিবিলিটি চায় তা পড় । তারপর ভেবে দেখো সেগুল জানো কিনা ..! কোনগুল জানো না নোট কর ..! তারপর স্যারের জিজ্ঞেস কর, বড় ভাইদের হেল্প নেও , গ্রুপ স্টাডি কর ।




কম্পিউটারের এক্সেল, ওয়ার্ড , পাওয়ার পয়েন্ট খুব ভাল করে শিখে নেও । এক্সেলে ভাল হলে ৭০% জব হওয়ার চান্স থাকে । একটা স্যুট , ফরমাল প্যান্ট-শার্ট বানিয়ে নেও । প্রত্যেকটা প্রেজেনটেশনে ব্যাবহার কর ।এতে ফরমালের সাথে এডজাস্ট হয়ে যাবে । জব ইন্টারভউতে জিন্স, গ্যাবাডি, লোফার না ব্যাবহার করাই ভাল । জব হয়ে গেলে তারপর ব্যাবহার কর ।

বড় ভাইদের সাথে দেখা কর । আবার বলছি দেখা কর । তাদের অত সময় নাই ফেসবুকে চ্যাট করার । আর ফ্রাইডে তে তাদের একটু ঘুম, পারসোনাল কাজ থাকতে পারে । তোমার তো প্রতিদিন ক্লাস থাকে না । নারায়নগন্জ, ভালুকা, সাভার, মানিকগঞ্জ , গাজিপুর যেখানেই হক না কেন , ২ টা বন্ধু মিলে ঘুরে আস । এক কাপ চা খাও ভাইদের সাথে । একটু আড্ডা দেও । ভয় নেই তোমাদের বিল দিতে হবে না । আমাদের ভাইয়ারা অনেক উদার। এতে ভাইদের কাজের ফাকে রিফ্রেশমেন্ট আসবে আর তোমার ফেস ও পরিচিত হবে ।কোন কোন ভাই হয়ত সুযোগ থাকলে ফ্যাক্টরিটাও ঘুরিয়ে দেখাতে পারে । আর কোন ফ্রেন্ড যেতে চায় না এই অজুহাত দিও না ।পেট তোমার, ক্ষুধাও তোমার , খাবারের ব্যাবস্থা তোমাকেই করতে হবে ।

ম্যাক্সিমাম বড় ভাইদের কেউ চিনে না । এমন কিছু বড় ভাই খুঁজে বের কর যারা ভাল পজিশনে কিন্তু লোক চক্ষুর আরালে থাকে। তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে আর তোমার টেনশন থাকবে না । নাম বলব না, আজ আমার এই অবস্থান এমন এক বড় ভাইয়ের কষ্টের ফসল ।অন্য এক জন ভাই আমার এক ব্যাচমেটকে অনেক স্ট্রাগল করে প্রাই জোর করে জয়েন্ট করিয়েছে । এক ব্যাচমেটকে একই ফ্যাক্টারিতে ৪ বার ইন্টারভিও দেওয়াইছে । ফ্রেন্ডের ব্যাড লাকের জন্য জব হয় নাই । এগুল খুব কাছ থেকে দেখা ।

সেমিনার, ওয়ার্কশপ, টেক্সটাইল ফেয়ার এটেন্ড কর ।কখোনো বন্ধুর ভরসায় থাকবে না । তুমি তোমার বন্ধুকে জোর করে নিয়ে যাবে । না হলে একা যাও । বাট পিছিয়ে থেকো না । ফোন নাম্বার একটা নিদৃষ্ট করে ফেল । না সুযোগ আসলেও পিছলিয়ে যাবে ।

১১ শেমিষ্টারে ওঠা মাত্রই অন লাইনে জব এপ্লাই করতে থাকবা । বড় ভাইদের মেইল আইডি নিয়ে এক কপি সিভি দিয়ে রাখ । জব প্রিপারেশন শুরূ কর । ব্যাসিক নলেজের উপর জোর দেও । এটা তোমার ইন্টারনি, ইউনিভার্সিটি ভাইভাতেও হেল্প করবে ।কপাল ভাল থাকলে ইন্টারনির আগেই জব পেয়ে যেতে পার । এটা কল্পনা নয়, বাস্তব ।

ইন্টার্নিতে অনেক শেখার সুযোগ আছে । ম্যাক্সিমামরা রেগুলার ফ্যাক্টারিতে যায় না । এমন ও তো হতে পারে তোমার ইন্টার্নির পারফরমেন্স দেখে ওরা তোমাকে জব অফার করল । কোন কিছুই অসম্ভব না । কিন্তু এখানে ফাঁকি দিলে আর কবে শিখবে ? রেগুলার ফ্যাক্টারিতে ২ মাস গেলে তোমার একটা অফিসিয়াল চেন্জ আসবে । এটা জবের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

এত কিছুর পরেও হয়ত অনেকের জব হতে একটু দেশি হয় । টেনশন করার কিছু নেই । জব তোমার হবেই । ম্যাক্সিমামরা চেষ্টা করে শেষের দিকে । আর তখন ই ধরা খায় । একটু আগে থেকে সচেতন হলে তোমার ক্যারিয়ার শুরূ করতে বেশী সময় লাগবে না ।

মোটকথা এই ২ বছরে আলশেমির কোন সুযোগ নেই, নিজেকে পিছিয়ে ফেলতে চাইলে সেটা তোমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার । নিজের ক্যারিয়ার নিজেই গড়তে হয় ।নিজেকে এমন ভাবে প্রস্তুত কর যেন একটা ইনটারভিউ যথেষ্ট তোমার চাকরির জন্য । প্রস্তুতি খারাপ থাকলে ১০ টা ইনটারভিউ দিতেও কাজ হয় না । সকলের জন্য শুভ কামনা রইল ।

লিখেছেন : ফয়সাল শরীফ
২৩ ব্যাচ ড্যাফোডিল টেক্সটাইল
সেন্ট্রাল প্লানিং অফিসার, ইপিক গ্রুপ





3rd, 4th ইয়ারের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কিছু গাইড লাইন

টেক্সটাইল গাইড লাইন ( শেষ ২ বছর )

প্রথম ২ বছরে যারা গুছিয়ে নিয়েছ তারা তো ভাল , কনফিডেন্স বেড়ে গিয়েছে । আর যারা গোছাতে পার নাই তারা হতাশ না হয়ে ধৈয্য ধরে নতুন করে শুরূ কর । শেষ ২ টা বছর নিজেকে তৈরির জন্য অনেকটা সময় পাবে ।

রেজাল্ট যাদের খারাপ চেষ্টা করবা তার থেকে যেন এই ২ বছরে আর খারাপ না হয়।৩.২৫-৩.৫০ এভারেজ রেজাল্ট থাকা ভাল । এই ২ বছরে ম্যাক্সিমাম সাবজেক্ট টেক্সটাইল রিলেটেড।তাই ফাঁকি না দেওয়াই ভাল।এখন ফাঁকি দিলে আর এই জিনিস জানতে পারবে না ।আর নিজে থেকে তোমাদের জানার আগ্রহ কতটুকু তা আমরা জানি ।


একটা সুন্দর সিভি তৈরি কর । দরকার হলে এক সপ্তাহ এক্সপেরিমেন্ট কর
টিচারদের সাহায্য নেও।বড় ভাইদের কাছ থেকে তাদের সিভি নিয়ে দেখ ।তারপর একটা মাষ্টারপিস সিভি তৈরি কর ।একটা ভাল সিভি সব সময় তোমাকে এগিয়ে রাখবে । এরপর সিভিটার একটা পিডিএফ & একটা মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড কপি পারসোনাল মেইলে রেখে দেও । ( শুধু সিভি নিয়ে একটা লেখার চেষ্টা করব যদি সময় পায় )

সিভি তৈরির পর বিডি জবস, জবস বিডি, লিন্ক ইন এ একাউন্ট খুলে ফেলো । এরপর সুন্দর করে সাজাও । সিভিতে তোমার সব ইনফরমেশন আছে ।শুধু কপি পেষ্ট করবে ।এক্ষেত্রে সবাই আলশেমি করে । জবের আগে সিভি তৈরি করতে যেয়ে ঝামেলায় পরে । তারপর ফালতু একটা সিভি বানিয়ে ট্রাই করে । শুধু ভাল একটা সিভির কারনে তুমি শর্টলিষ্ট থেকে বাদ পরতে পার ।

সব বানানো হয়ে গেলে সপ্তাহে অন্তত একটা দিন ডুকে টেক্সটাইল জব গুলো দেখতে থাক , এতে অন্তত ৫০ টা কোম্পানির নাম মুখস্ত হবে । কোন ধরনের সারকুলার বেশী হয় .? এক্সপেরিয়েন্স কত বছর চায় .? জবের কি কি রিসপনসিবিলিটি চায় তা পড় । তারপর ভেবে দেখো সেগুল জানো কিনা ..! কোনগুল জানো না নোট কর ..! তারপর স্যারের জিজ্ঞেস কর, বড় ভাইদের হেল্প নেও , গ্রুপ স্টাডি কর ।




কম্পিউটারের এক্সেল, ওয়ার্ড , পাওয়ার পয়েন্ট খুব ভাল করে শিখে নেও । এক্সেলে ভাল হলে ৭০% জব হওয়ার চান্স থাকে । একটা স্যুট , ফরমাল প্যান্ট-শার্ট বানিয়ে নেও । প্রত্যেকটা প্রেজেনটেশনে ব্যাবহার কর ।এতে ফরমালের সাথে এডজাস্ট হয়ে যাবে । জব ইন্টারভউতে জিন্স, গ্যাবাডি, লোফার না ব্যাবহার করাই ভাল । জব হয়ে গেলে তারপর ব্যাবহার কর ।

বড় ভাইদের সাথে দেখা কর । আবার বলছি দেখা কর । তাদের অত সময় নাই ফেসবুকে চ্যাট করার । আর ফ্রাইডে তে তাদের একটু ঘুম, পারসোনাল কাজ থাকতে পারে । তোমার তো প্রতিদিন ক্লাস থাকে না । নারায়নগন্জ, ভালুকা, সাভার, মানিকগঞ্জ , গাজিপুর যেখানেই হক না কেন , ২ টা বন্ধু মিলে ঘুরে আস । এক কাপ চা খাও ভাইদের সাথে । একটু আড্ডা দেও । ভয় নেই তোমাদের বিল দিতে হবে না । আমাদের ভাইয়ারা অনেক উদার। এতে ভাইদের কাজের ফাকে রিফ্রেশমেন্ট আসবে আর তোমার ফেস ও পরিচিত হবে ।কোন কোন ভাই হয়ত সুযোগ থাকলে ফ্যাক্টরিটাও ঘুরিয়ে দেখাতে পারে । আর কোন ফ্রেন্ড যেতে চায় না এই অজুহাত দিও না ।পেট তোমার, ক্ষুধাও তোমার , খাবারের ব্যাবস্থা তোমাকেই করতে হবে ।

ম্যাক্সিমাম বড় ভাইদের কেউ চিনে না । এমন কিছু বড় ভাই খুঁজে বের কর যারা ভাল পজিশনে কিন্তু লোক চক্ষুর আরালে থাকে। তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে আর তোমার টেনশন থাকবে না । নাম বলব না, আজ আমার এই অবস্থান এমন এক বড় ভাইয়ের কষ্টের ফসল ।অন্য এক জন ভাই আমার এক ব্যাচমেটকে অনেক স্ট্রাগল করে প্রাই জোর করে জয়েন্ট করিয়েছে । এক ব্যাচমেটকে একই ফ্যাক্টারিতে ৪ বার ইন্টারভিও দেওয়াইছে । ফ্রেন্ডের ব্যাড লাকের জন্য জব হয় নাই । এগুল খুব কাছ থেকে দেখা ।

সেমিনার, ওয়ার্কশপ, টেক্সটাইল ফেয়ার এটেন্ড কর ।কখোনো বন্ধুর ভরসায় থাকবে না । তুমি তোমার বন্ধুকে জোর করে নিয়ে যাবে । না হলে একা যাও । বাট পিছিয়ে থেকো না । ফোন নাম্বার একটা নিদৃষ্ট করে ফেল । না সুযোগ আসলেও পিছলিয়ে যাবে ।

১১ শেমিষ্টারে ওঠা মাত্রই অন লাইনে জব এপ্লাই করতে থাকবা । বড় ভাইদের মেইল আইডি নিয়ে এক কপি সিভি দিয়ে রাখ । জব প্রিপারেশন শুরূ কর । ব্যাসিক নলেজের উপর জোর দেও । এটা তোমার ইন্টারনি, ইউনিভার্সিটি ভাইভাতেও হেল্প করবে ।কপাল ভাল থাকলে ইন্টারনির আগেই জব পেয়ে যেতে পার । এটা কল্পনা নয়, বাস্তব ।

ইন্টার্নিতে অনেক শেখার সুযোগ আছে । ম্যাক্সিমামরা রেগুলার ফ্যাক্টারিতে যায় না । এমন ও তো হতে পারে তোমার ইন্টার্নির পারফরমেন্স দেখে ওরা তোমাকে জব অফার করল । কোন কিছুই অসম্ভব না । কিন্তু এখানে ফাঁকি দিলে আর কবে শিখবে ? রেগুলার ফ্যাক্টারিতে ২ মাস গেলে তোমার একটা অফিসিয়াল চেন্জ আসবে । এটা জবের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

এত কিছুর পরেও হয়ত অনেকের জব হতে একটু দেশি হয় । টেনশন করার কিছু নেই । জব তোমার হবেই । ম্যাক্সিমামরা চেষ্টা করে শেষের দিকে । আর তখন ই ধরা খায় । একটু আগে থেকে সচেতন হলে তোমার ক্যারিয়ার শুরূ করতে বেশী সময় লাগবে না ।

মোটকথা এই ২ বছরে আলশেমির কোন সুযোগ নেই, নিজেকে পিছিয়ে ফেলতে চাইলে সেটা তোমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার । নিজের ক্যারিয়ার নিজেই গড়তে হয় ।নিজেকে এমন ভাবে প্রস্তুত কর যেন একটা ইনটারভিউ যথেষ্ট তোমার চাকরির জন্য । প্রস্তুতি খারাপ থাকলে ১০ টা ইনটারভিউ দিতেও কাজ হয় না । সকলের জন্য শুভ কামনা রইল ।

লিখেছেন : ফয়সাল শরীফ
২৩ ব্যাচ ড্যাফোডিল টেক্সটাইল
সেন্ট্রাল প্লানিং অফিসার, ইপিক গ্রুপ





কোন মন্তব্য নেই: