গার্মেন্টস সেক্টরে অটোমোশন এবং রোবোটিক স্টিস্টেম - Textile Lab | Textile Learning Blog
গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি বিলীন হতে পারে ! বিশেষ এর শ্রমিক এর চাহিদা

প্রযুক্তি উৎকর্ষতার এই সময়ে ল্যাবর বেইজড ইকোনমি থেকে নলেজ বেইজড ইকোনমিতে পরিণত হতে না পারলে আমাদের টিকে থাকা দুষ্কর হবে, এ কথা প্রায়ই বিশেষজ্ঞরা বলেন।
টি-শার্ট শেলাইয়ের রোবট সমৃদ্ধ ফ্যাক্টরি করছে চায়নার টিয়ানুয়ান গার্মেন্ট ২০১৮ সালে। ২১ প্রোডাক্ট লাইনে ১২ লাখ টিশার্ট বানাতে সক্ষম। খরচের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে কম খরচ বাংলাদেশে, তার চেয়েও কম খরচে তৈরি করবে এই রবোটিক ফ্যাক্টরি।
বাংলাদেশে একজন গার্মেন্ট কর্মীর বেতন ৬৮ ডলারের মত, একই খরচে রোবট দিয়ে ২৬% বেশি কাজ করানো যাবে, তাও একুরেটলি।



বাংলাদেশে মোট ৪৬ লক্ষ মানুষ পোষাক খাতে জড়িত, দেশের ৮০% রপ্তানি পন্য এই পোষাক খাতের।
বছরে ১১০০ কোটি টিশার্ট বিক্রয় হয় সারা বিশ্বে, যার বড় একটা অংশ বাংলাদেশে পোষাক শ্রমিকদের নিজ হাতে তৈরি হয়।
কিন্তু চায়নার এই নতুন কম খরচের রোবটিক ফ্যাক্টরি যদি বৃদ্ধি পায়, বাংলাদেশে গার্মেন্ট সেক্টরে বড় ধরনের ধ্বস নামবে। আজ টিশার্ট, কাল ডেনিম, এর পর আস্তে আস্তে সব আইটেমই বানাবে এই রোবট। আর এদের চালাবে কিছু দক্ষ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন সুপারভাইজার। ২০১২ সালে এই রোবট শুধু ম্যাট এবং টাওল বানাতে পারত। মাত্র ৪০০ জন কর্মচারী এই রোবট পরিচালনা করবে, ১২ লক্ষ ইউনিট প্রডিউস করবে।


স্বল্প-উন্নত দেশ, বাংলাদেশ সহ আরও বেশ কয়েকটি পোষাক রপ্তানি দেশ বড় ক্রাইসিসে পড়বে। কারণ আমাদের দেশ এডভান্সড টেকনোলজিতে অনেক পিছিয়ে, রোবটিক্স, হেভি মেশিন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসব নিয়ে কাজ হয়না বললেই চলে। প্রয়োজনে চায়না থেকে আমদানি করা হয়।

আমরা যদি তৈরি হতে না পারি, রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আইওটি, হেলথ-টেক, ফিন-টেক, এড-টেক, এগ্রি-টেক, বিজ-অটোমেশন, শেয়ারিং ইকোনমি, ক্লিন-ইনার্জি, বিগ ডেটা, ম্যাশিন লার্নিং, লিগ্যাল-টেক, ফুড-টেক ইত্যাদি বিষয় গুলোতে নজর না দেই, তবে সামনে দিন খুব খারাপ আসবে।
স্যাড পার্ট ইজ, এসব স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে শেখাবেনা,
নিজেই নিজের শিক্ষক হতে হবে!
রিপিটিভ কাজের দিন শেষ হয়ে আসছে, সময় এখন নলেজ-বেইজড কাজের

আমরা তৈরি তো ?

বা তৈরি হওয়ার নিয়ম জানি তো ?




কার্টেসি : Shanjidul Alam Seban Shaan

গার্মেন্টস সেক্টরে অটোমোশন এবং রোবোটিক স্টিস্টেম

গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি বিলীন হতে পারে ! বিশেষ এর শ্রমিক এর চাহিদা

প্রযুক্তি উৎকর্ষতার এই সময়ে ল্যাবর বেইজড ইকোনমি থেকে নলেজ বেইজড ইকোনমিতে পরিণত হতে না পারলে আমাদের টিকে থাকা দুষ্কর হবে, এ কথা প্রায়ই বিশেষজ্ঞরা বলেন।
টি-শার্ট শেলাইয়ের রোবট সমৃদ্ধ ফ্যাক্টরি করছে চায়নার টিয়ানুয়ান গার্মেন্ট ২০১৮ সালে। ২১ প্রোডাক্ট লাইনে ১২ লাখ টিশার্ট বানাতে সক্ষম। খরচের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে কম খরচ বাংলাদেশে, তার চেয়েও কম খরচে তৈরি করবে এই রবোটিক ফ্যাক্টরি।
বাংলাদেশে একজন গার্মেন্ট কর্মীর বেতন ৬৮ ডলারের মত, একই খরচে রোবট দিয়ে ২৬% বেশি কাজ করানো যাবে, তাও একুরেটলি।



বাংলাদেশে মোট ৪৬ লক্ষ মানুষ পোষাক খাতে জড়িত, দেশের ৮০% রপ্তানি পন্য এই পোষাক খাতের।
বছরে ১১০০ কোটি টিশার্ট বিক্রয় হয় সারা বিশ্বে, যার বড় একটা অংশ বাংলাদেশে পোষাক শ্রমিকদের নিজ হাতে তৈরি হয়।
কিন্তু চায়নার এই নতুন কম খরচের রোবটিক ফ্যাক্টরি যদি বৃদ্ধি পায়, বাংলাদেশে গার্মেন্ট সেক্টরে বড় ধরনের ধ্বস নামবে। আজ টিশার্ট, কাল ডেনিম, এর পর আস্তে আস্তে সব আইটেমই বানাবে এই রোবট। আর এদের চালাবে কিছু দক্ষ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন সুপারভাইজার। ২০১২ সালে এই রোবট শুধু ম্যাট এবং টাওল বানাতে পারত। মাত্র ৪০০ জন কর্মচারী এই রোবট পরিচালনা করবে, ১২ লক্ষ ইউনিট প্রডিউস করবে।


স্বল্প-উন্নত দেশ, বাংলাদেশ সহ আরও বেশ কয়েকটি পোষাক রপ্তানি দেশ বড় ক্রাইসিসে পড়বে। কারণ আমাদের দেশ এডভান্সড টেকনোলজিতে অনেক পিছিয়ে, রোবটিক্স, হেভি মেশিন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসব নিয়ে কাজ হয়না বললেই চলে। প্রয়োজনে চায়না থেকে আমদানি করা হয়।

আমরা যদি তৈরি হতে না পারি, রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আইওটি, হেলথ-টেক, ফিন-টেক, এড-টেক, এগ্রি-টেক, বিজ-অটোমেশন, শেয়ারিং ইকোনমি, ক্লিন-ইনার্জি, বিগ ডেটা, ম্যাশিন লার্নিং, লিগ্যাল-টেক, ফুড-টেক ইত্যাদি বিষয় গুলোতে নজর না দেই, তবে সামনে দিন খুব খারাপ আসবে।
স্যাড পার্ট ইজ, এসব স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে শেখাবেনা,
নিজেই নিজের শিক্ষক হতে হবে!
রিপিটিভ কাজের দিন শেষ হয়ে আসছে, সময় এখন নলেজ-বেইজড কাজের

আমরা তৈরি তো ?

বা তৈরি হওয়ার নিয়ম জানি তো ?




কার্টেসি : Shanjidul Alam Seban Shaan

কোন মন্তব্য নেই: