ডাইং করা কাপড় এর সেড বোঝার উপায় :
১. দেখবেন কালার লাইট নাকি ডিপ, আর ডিপ হলে কতো % ডিপ ৪-৫% ডিপ চলে তবে টোন ঠিক থাকতে হবে ।
২. Standard এর তুলনায় ডার্কার নাকি লাইটার , লাইটার সেড গ্রহন যোগ্য না তবে ফিনিশিং এর ৫-৬% সেড ইম্প্রুভ বা ডিপ করা যায়।
৩. Standard এর তুলনায় কি রেডিস কিনা ? সেড রেডার থাকা ভালো তবে গ্রীন কালার গুলি রেডার গ্রহনযোগ্য নয়।
৪. Standard এর তুলনায় কি কিনা Yellowish কিনা, ইয়োলো সেড কে ডাল করে আর মেক্সিমাম বায়ার সেডে লেস ইয়োলো চায়। ফেব্রিক ফিনিশিংয়ে ইয়োলিশ হয়।
5. Standard এর তুলনায় greenish কিনা
6. Standard এর তুলনায় Blueish
কিনা
কিনা
এই বিষয় গুলি মাথায় রাখা চাই
আমাদের ডাইং সেড চেক করার লাইট সোর্স :
D65 : বায়ার এই লাইটে কাপড় কে মিলিয়ে নিতে চায়।
TL 84 : মেটামারিজম চেক করি, আর সেড এ ব্লু আর গ্রিন এর পরিমাণ বেশী আসে কিনা তা এই লাইট দিয়ে চেক করি
Florocent : মেটামারিজম চেক করি, আর সেড এ রেড এর পরিমাণ বেশী আসে কিনা তা এই লাইট দিয়ে চেক করি
UV : আমরা এক মাত্র হোয়াইট কাপড় চেক করতে এই লাইট ব্যাবহার করি।
সেড ডিপ হলে একে লাইট করার উপায় :
১. হালকা লাইট করার ক্ষত্রে ফেব্রিককে স্ট্রেচিং করতে হবে।
২. হোয়াইট নন আয়নিক সফেনার দিয়ে ফিনিশিং করতে হবে।
৩. স্টিম দিয়ে হাই প্রেসারে কম্পেক্টিং করতে হবে।
৪. ক্যামিকেল হট ওয়াস করতে হবে ।
হোয়াইট কাপড় এর সেড চেনার ও বোঝার কিছু উপায় :
১. হোয়াইট কাপড় এর সোয়াচ UV Ultra Violet লাইট এর নিচে স্টেন্ডার্ড এর সাথে ধরলে উভয়ের উজ্জলতা দেখে কাপড় এর হোয়াইট নেস বোঝা যায়। UV লাইট এর নিচে কাপড় গ্লো করে। উজ্জলতা যত বেশি হোয়াইটনেস ততো বেশি।
২. স্পেক্ট্রোফটোমিটারে হোয়াইট নেস দেখে কাপড় কতোটুকু হোয়াইট তা বোঝা যায়। স্পেক্ট্রোফটোমিটার হোয়াইটনেসকে % দেয়। ১০০% হোয়াইট মানে অপটিকাল হোয়াইট। ৫০% হোয়াইট মানে অফ হোয়াইট।
৩. হোয়াইট কাপড় এর একটি ধর্ম আছে এটি বেশি হয়ে গেলে কাপড় ব্লুইশ হয়ে যায়। কম হলে তা ইয়োলোইশ থাকে। মাঝা মাঝি হোয়াইট মানে রেডিশ হোয়াইট।
৪. ব্লিচিং করে যে হোয়াইট ক্ক্রা হয় তাকে অফ হোয়াইট বলে।
৫. ব্রাইটেনার দিয়ে হোয়াইট করলে তাকে অপটিকাল হোয়াইট বলে।
৬. হোয়াইট কাপড় এর হোয়াইটনেস ব্রাইটনেস বাড়ানোর জন্য স্টেনটারে Blue R Spl ডাই দিয়ে রিয়েক্টিভ টপিং করলে সেড এর ব্রাইটনেস বাড়বে ইয়োলো ডাউন হবে ব্লুইশ হবে টোন। রেসিপি ১০০ লিটারে অনুমানিক ১ গ্রাম করে ফিনিশিং করতে হবে।
সেড ডিপ কারার উপায় :
ডাইং এর ক্ষত্রে বিভিন্ন সময়ে সেড স্টেন্ডার্ড এর তুলনায় লাইট হয়ে যায় এর মুল কারন হলো কালার, ফেব্রিক, কাস্টিক, সোডা, ওয়াস টাইম এর সমস্যা। সেড লাইট ডিপ এর টলারেন্স -/+ ৫% ।
১. সেড এর টোন ঠিক থাকলে কাপড় কে কালার ডিপেনিং এজেন্ট দিয়ে ফিনিশিং করলে সেড ডিপ হয় ।
২. ক্যাটায়নিক সফেনার সেড কে ৫-১০% ডিপ করে । সিলিকন ডিপ ৫% করলেও এটি হাইড্রোফোবিক ন্যাচার এর কারনে এটি সহজে ব্যাবহার করা হয় না ।
৩. ওয়াটার রেগুলার ফিনিশিং সেড কে ৪-৫% ডিপ করে।
৪. ট্রাম্বেল ড্রায়ার সেড কে ৫-১০% ডিপ করে , কারন পানি আর টেম্পারেচার এর কারনে সেড ডিপ হয় তা ছাড়াও ফেব্রিক এর ডেনসিটি এবং কম্পেক্ট নেস বেড়ে যায় বিধায় সেড এমনি ডিপ দেখায়, এক্ষত্রে টেম্পারেচার এর কারনে ইয়োলো আপ হওয়ার চান্স থাকে ।
৬. নীট কাপড় হলে সেড কে রিয়েক্টিভ এ ম্যাচিং করে পরে টপিং করতে হবে । টোন এর ডেপথ এর জন্য ডিস্পার্স টপিং করা যেতে পারে ফিনিশিং এর সময় ।
৭. ওভেন হলে স্টেনটারে পিগমেন্ট টপিং করতে হবে । ১৫% এর উপর সেড লাইট হলে পিগমেন্ট এর টপিং ঠিক হবে না, আর পিগমেন্ট এর gpl যদি বেশি হয়ে যায় তবে পিগমেন্ট টপিং করা যাবে না এতে ফেইস ব্যাক সেডিং, ললিস্টিং হতে পারে । গার্মেন্টস এসিড ওয়াস এর রিকোয়ারমেন্ট থাকবে কাপড় পিগমেন্ট টপিং করা যাবে না এতে গার্মেন্টস ওয়সা এর পর সেড আউট হয়ে যেতে পারে। পিগমেন্ট এ সেড না আসলে রিয়েক্টিভ টপিং করতে হবে।
৮. ডাইং এর এডিশন এর সময় কালার ডাইজ এর স্ট্রেনথ, ওয়াস আউট রেফারেন্স দেখে ডাইজ এডিশন, ডায়ালুশন করতে হবে । যাতে করে RFT হয়, সেড লাইট ডিপ হলে এটি রিপ্রসেস যথেষ্ট ঝামেলার কারন ।
৯. রিয়েক্টিভ ম্যাচিং এর ক্ষত্রে যে রেসিপিতে আগে ডাইং করা হয় সে কম্বিনেশনে টপিং এর রেসিপি করতে হবে নয়তো সেড এ ম্যাটামারিজম দেখা দেবে ।
ওভেন কাপড় এর সেড চেক কারার নিয়মঃ
সাবার জানা আছে হয়তো যে ওভেন ফেব্রিক ডাইং করতে হয়ে কান্টিনিউয়াস (CPB, Tharmosol, Pad Steam) বা সেমি কন্টিনিউয়াস (Jigger) মেথোডে। এই দুই ডাইং মেথোডের ভেতরে অনলাইনে সেড চেক করা শুধু মাত্র জিগারে এবং থার্মোসলে, CPB-Cold Pad Batch Dyeing Machine তে ডাইং শেষে সেড চেক করার জন্য আমাদের ১২ ঘন্টা রোটেশন এর পর ওয়াস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় এবং ওয়াস করার পর সেড চেক করতে হয় ।
এখনে আমাদের আফটার ওয়াস সেড চেক এর জন্য আমরা একটি প্রক্রিয়া ফলো করি আর সেটি না করলে আমরা প্রপার সেড পাবো না । আর প্রক্রিয়া টি হলো ওয়াস করা ডাইড ফেব্রিক এর ব্যাচার থেকে ২-৩ থান কাপড় কে নামিয়ে দুই থানের জয়েনিং থেকে ১-২ থান ভেতর থেকে একটি ছোট পকেট স্যাম্পল কাটা।
কন্টিনিউয়াস ওয়াস মেশিনে ওয়াস এর সময় ব্যাচার এর উপর আর নিচের ১৮৪ মিটার করে কাপড় মেশিনে আটকে থাকে। ওয়াস শেষে কাপড় ড্রাই হওয়ার পর এই স্থান থেকে স্যাম্পল কাটলে আমরা সে খান থেকে প্রপার সেড বুঝতে পারি না তাই ফিনিশিং করার আগে আমারা এই ভাবে স্যাম্পল কাটলে বলি এটি কমন প্রক্রিয়া।
কাপড় নামানো উঠানোর প্রক্রিয়া টি বিরক্তিকর যার কারনে ছেলে রা এটি করতে চায় না কিন্ত তাদের দিয়ে জোর করে করানো হয়।
স্টেনটারে ফিনিশিং এর আগে এই ভাবে সেড দেখতে হবে।
ডাইং করা কাপড় ঠান্ডা করার কারনঃ
আমরা স্টেনটারে কাপড় ফিনিশিং করার পর কাপড় এর টুকরো কেটে তার সেড দেখি, কেমন অবস্থায় আছে সেড ল্যাব ডিপ এর সাপেক্ষে । মেশিনের গরমে কাপড়ে ইয়োলো টা প্রথমে ভাসে না তাই মিলালে দেখবেন রেড ইয়োলো শর্ট। তাই কাপড় কে ঠান্ডা করে নিলে তার প্রক্রিত সেড বুজতে পারবেন । তাই এই কাপড় কে ঠান্ডা করে নেয়া।
ক্রিটিকাল সেড গুলি ঠান্ডা করা ছাড়া দেখবেন না, কমলা বা অরেঞ্জি বা রেড সেড গুলি গরম অবস্থায় দেখা জাবে না।
কিছু গুরত্বপুর্ন ইনফোরমেশন জেনে রাখুন
১. নীট বা ওভেন যে কাপড় হোক না কেনো সেড ম্যাচিং এর সময় স্টেন্ডার্ড এবং প্রডাকশন এর গ্রেইন লাইন ( টুইল লাইন, কোর্স, ওয়েলস) সেইম ডিরেকশনে রেখে সেড মিলাতে হবে ।
২. পিচ বা সুইডিং থাকলে কাপড় এর সেড এর টলারেন্স বেশি।
৩. সলিড ডাইং এর ক্ষত্রে স্টেন্ডার্ড এর সাথে ফেব্রিক এর ফেইস টু ফেইস ম্যাচিং করতে হবে।
৪. অল ওভার এর ক্ষত্রে ৫০% কভারেজ এর ক্ষত্রে ফেইস টু ফেইস, ব্লস এর ক্ষত্রে ব্যাক, পিচ এর ক্ষত্রে ব্যাক ফেইস উভয় মেলাতে হবে।
৫. কালার ডিফারেন্স 0 - ০.৭৫ পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য।
৬. লাইটো সোর্স এর লাইট ইনটেন্সিটি মিলিয়ে সেড চেক করতে হবে, সমস্যা হলে দিনের আলোতে সেড চেক করতে হবে।
৭. স্টেন্ডার্ড হলো ডার্ক রুমে সেড চেক করা।
৮. পুরাতন সোয়াচে ইয়োলো এর পরিমান বেশি থাকে তাই বাড়তি ইয়োলো সেডে রাখা যাবে না।
৯. সেড রেডার এর দিকে থাকা ভালো, ইয়োলিশ হওয়া ভালো নয়।
কিছু ক্যামিকেল যা সেড এবং টোন চেঞ্জ করেঃ
ইউরিয়া - রেড কমায়
সিলিকন - ইয়োলো বাড়ায়
নন আয়নিক - ইয়োলো কমায়
ক্যাটায়নিক - ব্লু, ইয়োলো বাড়ায়
PVA - ব্লুয়িশ করে
টার্কিশ - রেড কমায় ইয়োলো ব্লু আপ করে
রেড - ব্লু কমায়
কস্টিক - রেড বাড়ায়
সোডা - ইয়োলো বাড়ায়
সিলিকন - ইয়োলো বাড়ায়
নন আয়নিক - ইয়োলো কমায়
ক্যাটায়নিক - ব্লু, ইয়োলো বাড়ায়
PVA - ব্লুয়িশ করে
টার্কিশ - রেড কমায় ইয়োলো ব্লু আপ করে
রেড - ব্লু কমায়
কস্টিক - রেড বাড়ায়
সোডা - ইয়োলো বাড়ায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন