জেনে নিন কেনো ডেনিমে জব করবেন - Textile Lab | Textile Learning Blog
Why U should join Denim industry !!!!!

1. এই মুহুর্তে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে Growing sector কোনটি তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় সেটা ডেনিম। বাংলাদেশের সম্পর্কে দীর্ঘদিনের একটা প্রচলিত মতবাদ ছিল বাংলাদেশ বেসিক প্রোডাক্ট ছাড়া কিছু করতে পারে না। ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট আমাদের পক্ষে করা সম্ভব না। ৩-৪ ডলার AVG FOB এর বাংলাদেশ এখন  প্রায়শই ১০-১২ ডলারের এর প্রোডাক্ট করছে যেটা সম্ভব হয়েছে ডেনিম এর জন্যই। (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)  ভার্টিক্যাল ইন্টেগ্রেশন থাকায় ডেনিম এ রিটেনশন এখন সবচেয়ে বেশি। অবশ্য বিজনেস অ্যানালিস্টরা বুঝতে পেরেছিলেন অনেক আগেই। এই জন্য ১০ বছর আগে থেকে ব্যাপক পরিসরে ডেনিমে ইনভেস্টমেন্ট শুরু হয়।  এই মুহুর্তে দেশে ডেনিম এর ইনভেস্টমেন্ট টোটাল ৮৩৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার ।  ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেমান্ড যেখানে ৬০ মিলিয়ন ইউনিট সেখানে বাংলাদেশ তৈরি করে মাত্র ৩০ মিলিয়ন ইউনিট। ২০২০ সাল নাগাদ ডেনিম এর মোট মার্কেট ভ্যালু দাঁড়াবে ৬৪.৪ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।  বাংলাদেশের সামনে এক স্বর্নযুগ অপেক্ষা করছে এখন।



2. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ইউটিলিটি সাপ্লাই ঠিক থাকলে আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ ডেনিম এ শীর্ষ স্থানীয় অবস্থান ধরে রাখতে পারবে। এই মুহুর্তে দেশে ডেনিম ফ্যাক্টরি আছে ৩০ টি (চালু আছে ২৫ টি) । আগামী ৩ বছরে আরো ৪ টি ডেনিম চালু হচ্ছে। ডেনিম এর অব্যাহত চাহিদার কারনে দেশের ডেনিম মিল গুলো ইতোমধ্যে তাদের বিদ্যমান ক্যাপাসিটি দ্বিগুন-তিনগুনের বেশি বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ২০১৮ এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের মোট ডেনিম উৎপাদন  দেড়গুন এর বেশি ছাড়িয়ে যাবে।



3. অনেক দিনে থেকে শুনে আসছি বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম , ক্যামবোডিয়া তে বিজনেস চলে যাচ্ছে।  নতুন যোগ হয়েছে আফ্রিকাকে প্রোমোট করার রিটেইল উদ্যোগ। ইথিওপিয়া , হাইতি আরো অসংখ্য নাম। মজার বিষয় হচ্ছে ডেনিম  এর ভার্টিক্যাল ইন্টিগ্রেশন থাকায় এই বিজনেস গুলো ব্যাক করতে শুরু করছে বাংলাদেশে। ইথিওপিয়ার সমুদ্রবন্দর নাই। ভিয়েত নাম এর ফেব্রিক মিল নাই। কম্বোডিয়ায় সি এম কস্ট বেশি। আফ্রিকার লোকজনের আঙ্গুল মোটা। তারা সুইং করতে পারে না। বাকি ছিল চীন। ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পরে ভাগ্য খুলে গেছে বাংলাদেশের । ট্রাম্পের চাপে পরে ইউ এস ব্র্যান্ড এবং রিটেইল তাদের চীনের উপর থেকে নীর্ভরশীলতা কমানোর অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ কে। আর এই সুযোগের সবচেয়ে বড় সদব্যবহার করছে ডেনিম এন্ড জিন্স সেক্টর।  ডেনিম এর প্রফিট মার্জিন এবং বিজনেস ভলিউম এর কারনে দেশের নীট ওয়্যার গার্মেন্টস গুলোও এখন ডেনিম করা শুরু করেছে।5. জব মার্কেটে অন্ন্যান্য সেক্টরে সর্বোচ্চ পজিশন গুলোতে অ্যাভারেজ স্যালারি কত?? অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক থেকে দেড় লাখ। তাও অই পজিশনে যেতে সময় লাগে ১২-১৫ বছর।  ১৫ হাজার টাকায় চাকরি শুরু করে ৩ বছরে 6 digit এর স্যালারীতে পৌছে যাওয়ার রেকর্ড আছে এই ডেনিম সেক্টরেই।  দেশের নামকরা কয়েকটি ডেনিমের সিইও, বিজনেস হেড , জি এম এর স্যালারি শুনলে মাথা নস্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয় । সর্বনিম্ন ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা মাসে !!!!  গড় অভিজ্ঞতা ১৫-১৮ বছর।







4. সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা হল দেশে ডেনিম এক্সপার্ট খুব কম।  এই দেশে ৫ বছরের উপরে ডেনিম সেক্টরে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন লোক খুবই কম। কিন্তু এটাই হতে পারে ক্যারিয়ার বিল্ডিং এর সবচেয়ে আদর্শ সেক্টর।  বাংলাদেশের ডেনিম এখন আছে কৈশোর অবস্থায়। এটা ম্যাচিউরড হতে আরো ৫-১০ বছর সময় লাগবে। এই পাচ বছরে মার্কেট তার নিজস্ব প্রয়োজনে অসংখ্য ডেনিম এক্সপার্ট তৈরি করবে।  আগামী পাচ বছরে সবচেয়ে গ্রো করবে তারাই যারা ডেনিম সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়বে। হতে পারে সেটা R&D, Production, Washing , Marketing , merchandising.


5. জব মার্কেটে অন্ন্যান্য সেক্টরে সর্বোচ্চ পজিশন গুলোতে অ্যাভারেজ স্যালারি কত?? অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক থেকে দেড় লাখ। তাও অই পজিশনে যেতে সময় লাগে ১২-১৫ বছর।  ১৫ হাজার টাকায় চাকরি শুরু করে ৩ বছরে 6 digit এর স্যালারীতে পৌছে যাওয়ার রেকর্ড আছে এই ডেনিম সেক্টরেই।  দেশের নামকরা কয়েকটি ডেনিমের সিইও, বিজনেস হেড , জি এম এর স্যালারি শুনলে মাথা নস্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয় । সর্বনিম্ন ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা মাসে !!!!  গড় অভিজ্ঞতা ১৫-১৮ বছর।


6. ডেনিম একটা সমুদ্র। খুবই ইন্টেরেস্টিং এবং টেকনিক্যাল। এর যেকোনো শাখায় কাজ করলেই ভবিষ্যত উজ্জ্বল। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি সবচেয়ে বেশি পটেনশিয়াল ব্রাঞ্চ হচ্ছে R&D এবং Washing. এই দুই শাখায় কাজ করা যে কেউ ডেনিম এর যেকোনো ব্রাঞ্চে সুইচ করতে পারে।



7. ডেনিম এ কাজ করার সুবাদে আমি ওয়ার্ল্ড এর ডেনিম এর কিছু লিজেন্ড্রি মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছিলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিলো গ্যাপ আর ডিজেল এর প্রতিষ্ঠাতা ডেনিম এর গডফাদার অ্যাড্রিয়ানো গোল্ড স্মিথ। ওনার নিজের ব্র্যান্ড এর নাম AG. আরেকজন হচ্ছেন মারিও (ইটালিয়ান) । মারিওর বাংলাদেশের একটা ওয়াশিং প্ল্যান্ট এ জব করত। ওর স্যালারি ছিলো ২০ লাখ টাকা। আমরা যে ড্রাই প্রসেস গুলো এখন বইয়ের পাতায় পরি এগুলো বেশ কিছু মারিওর আবিষ্কার। প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে মারিও এই ইনভেনশন গুলো করে। ওয়াশিং এবং আর এন্ড ডি তে পাকিস্তানি এবং টার্কিশ রা হাইলি এক্সপার্ট। একসময় বাংলাদেশে যখন ডেনিম ওয়াশিং প্ল্যান্ট ছিলো না তখন থাইল্যান্ড এবং টার্কি থেকে উচ্চ মুল্যে ওয়াশ করে আনা হত। ওয়াশ এক্সপার্ট দের স্যালারী ছিলো আকাশ চুম্বী। ওয়াশিং এর বিদেশী এক্সপার্ট রাও চালাকি করত। রেসিপি শেয়ার করত না। চাকুরি ছেড়ে দিলে টিম নিয়ে মুভ করত। এখন আর সেই দিন নাই। বাংলাদেশিরাই এখন ওদের চেয়ে ভালো করছে। একই ভাবে হয়ত আর এন্ড ডি তেও বাংলাদেশ ভালো করবে।


So what stops u from joining to Denim??? Be a Future Denim Expert.


লেখা সত্বাধিকারিঃ
জাহিদ মুরাদ শুভ
৩৬তম ব্যাচ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়







job

জেনে নিন কেনো ডেনিমে জব করবেন

Why U should join Denim industry !!!!!

1. এই মুহুর্তে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে Growing sector কোনটি তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় সেটা ডেনিম। বাংলাদেশের সম্পর্কে দীর্ঘদিনের একটা প্রচলিত মতবাদ ছিল বাংলাদেশ বেসিক প্রোডাক্ট ছাড়া কিছু করতে পারে না। ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট আমাদের পক্ষে করা সম্ভব না। ৩-৪ ডলার AVG FOB এর বাংলাদেশ এখন  প্রায়শই ১০-১২ ডলারের এর প্রোডাক্ট করছে যেটা সম্ভব হয়েছে ডেনিম এর জন্যই। (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)  ভার্টিক্যাল ইন্টেগ্রেশন থাকায় ডেনিম এ রিটেনশন এখন সবচেয়ে বেশি। অবশ্য বিজনেস অ্যানালিস্টরা বুঝতে পেরেছিলেন অনেক আগেই। এই জন্য ১০ বছর আগে থেকে ব্যাপক পরিসরে ডেনিমে ইনভেস্টমেন্ট শুরু হয়।  এই মুহুর্তে দেশে ডেনিম এর ইনভেস্টমেন্ট টোটাল ৮৩৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার ।  ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেমান্ড যেখানে ৬০ মিলিয়ন ইউনিট সেখানে বাংলাদেশ তৈরি করে মাত্র ৩০ মিলিয়ন ইউনিট। ২০২০ সাল নাগাদ ডেনিম এর মোট মার্কেট ভ্যালু দাঁড়াবে ৬৪.৪ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।  বাংলাদেশের সামনে এক স্বর্নযুগ অপেক্ষা করছে এখন।



2. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ইউটিলিটি সাপ্লাই ঠিক থাকলে আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ ডেনিম এ শীর্ষ স্থানীয় অবস্থান ধরে রাখতে পারবে। এই মুহুর্তে দেশে ডেনিম ফ্যাক্টরি আছে ৩০ টি (চালু আছে ২৫ টি) । আগামী ৩ বছরে আরো ৪ টি ডেনিম চালু হচ্ছে। ডেনিম এর অব্যাহত চাহিদার কারনে দেশের ডেনিম মিল গুলো ইতোমধ্যে তাদের বিদ্যমান ক্যাপাসিটি দ্বিগুন-তিনগুনের বেশি বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ২০১৮ এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের মোট ডেনিম উৎপাদন  দেড়গুন এর বেশি ছাড়িয়ে যাবে।



3. অনেক দিনে থেকে শুনে আসছি বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম , ক্যামবোডিয়া তে বিজনেস চলে যাচ্ছে।  নতুন যোগ হয়েছে আফ্রিকাকে প্রোমোট করার রিটেইল উদ্যোগ। ইথিওপিয়া , হাইতি আরো অসংখ্য নাম। মজার বিষয় হচ্ছে ডেনিম  এর ভার্টিক্যাল ইন্টিগ্রেশন থাকায় এই বিজনেস গুলো ব্যাক করতে শুরু করছে বাংলাদেশে। ইথিওপিয়ার সমুদ্রবন্দর নাই। ভিয়েত নাম এর ফেব্রিক মিল নাই। কম্বোডিয়ায় সি এম কস্ট বেশি। আফ্রিকার লোকজনের আঙ্গুল মোটা। তারা সুইং করতে পারে না। বাকি ছিল চীন। ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পরে ভাগ্য খুলে গেছে বাংলাদেশের । ট্রাম্পের চাপে পরে ইউ এস ব্র্যান্ড এবং রিটেইল তাদের চীনের উপর থেকে নীর্ভরশীলতা কমানোর অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ কে। আর এই সুযোগের সবচেয়ে বড় সদব্যবহার করছে ডেনিম এন্ড জিন্স সেক্টর।  ডেনিম এর প্রফিট মার্জিন এবং বিজনেস ভলিউম এর কারনে দেশের নীট ওয়্যার গার্মেন্টস গুলোও এখন ডেনিম করা শুরু করেছে।5. জব মার্কেটে অন্ন্যান্য সেক্টরে সর্বোচ্চ পজিশন গুলোতে অ্যাভারেজ স্যালারি কত?? অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক থেকে দেড় লাখ। তাও অই পজিশনে যেতে সময় লাগে ১২-১৫ বছর।  ১৫ হাজার টাকায় চাকরি শুরু করে ৩ বছরে 6 digit এর স্যালারীতে পৌছে যাওয়ার রেকর্ড আছে এই ডেনিম সেক্টরেই।  দেশের নামকরা কয়েকটি ডেনিমের সিইও, বিজনেস হেড , জি এম এর স্যালারি শুনলে মাথা নস্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয় । সর্বনিম্ন ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা মাসে !!!!  গড় অভিজ্ঞতা ১৫-১৮ বছর।







4. সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা হল দেশে ডেনিম এক্সপার্ট খুব কম।  এই দেশে ৫ বছরের উপরে ডেনিম সেক্টরে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন লোক খুবই কম। কিন্তু এটাই হতে পারে ক্যারিয়ার বিল্ডিং এর সবচেয়ে আদর্শ সেক্টর।  বাংলাদেশের ডেনিম এখন আছে কৈশোর অবস্থায়। এটা ম্যাচিউরড হতে আরো ৫-১০ বছর সময় লাগবে। এই পাচ বছরে মার্কেট তার নিজস্ব প্রয়োজনে অসংখ্য ডেনিম এক্সপার্ট তৈরি করবে।  আগামী পাচ বছরে সবচেয়ে গ্রো করবে তারাই যারা ডেনিম সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়বে। হতে পারে সেটা R&D, Production, Washing , Marketing , merchandising.


5. জব মার্কেটে অন্ন্যান্য সেক্টরে সর্বোচ্চ পজিশন গুলোতে অ্যাভারেজ স্যালারি কত?? অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক থেকে দেড় লাখ। তাও অই পজিশনে যেতে সময় লাগে ১২-১৫ বছর।  ১৫ হাজার টাকায় চাকরি শুরু করে ৩ বছরে 6 digit এর স্যালারীতে পৌছে যাওয়ার রেকর্ড আছে এই ডেনিম সেক্টরেই।  দেশের নামকরা কয়েকটি ডেনিমের সিইও, বিজনেস হেড , জি এম এর স্যালারি শুনলে মাথা নস্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয় । সর্বনিম্ন ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা মাসে !!!!  গড় অভিজ্ঞতা ১৫-১৮ বছর।


6. ডেনিম একটা সমুদ্র। খুবই ইন্টেরেস্টিং এবং টেকনিক্যাল। এর যেকোনো শাখায় কাজ করলেই ভবিষ্যত উজ্জ্বল। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি সবচেয়ে বেশি পটেনশিয়াল ব্রাঞ্চ হচ্ছে R&D এবং Washing. এই দুই শাখায় কাজ করা যে কেউ ডেনিম এর যেকোনো ব্রাঞ্চে সুইচ করতে পারে।



7. ডেনিম এ কাজ করার সুবাদে আমি ওয়ার্ল্ড এর ডেনিম এর কিছু লিজেন্ড্রি মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছিলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিলো গ্যাপ আর ডিজেল এর প্রতিষ্ঠাতা ডেনিম এর গডফাদার অ্যাড্রিয়ানো গোল্ড স্মিথ। ওনার নিজের ব্র্যান্ড এর নাম AG. আরেকজন হচ্ছেন মারিও (ইটালিয়ান) । মারিওর বাংলাদেশের একটা ওয়াশিং প্ল্যান্ট এ জব করত। ওর স্যালারি ছিলো ২০ লাখ টাকা। আমরা যে ড্রাই প্রসেস গুলো এখন বইয়ের পাতায় পরি এগুলো বেশ কিছু মারিওর আবিষ্কার। প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে মারিও এই ইনভেনশন গুলো করে। ওয়াশিং এবং আর এন্ড ডি তে পাকিস্তানি এবং টার্কিশ রা হাইলি এক্সপার্ট। একসময় বাংলাদেশে যখন ডেনিম ওয়াশিং প্ল্যান্ট ছিলো না তখন থাইল্যান্ড এবং টার্কি থেকে উচ্চ মুল্যে ওয়াশ করে আনা হত। ওয়াশ এক্সপার্ট দের স্যালারী ছিলো আকাশ চুম্বী। ওয়াশিং এর বিদেশী এক্সপার্ট রাও চালাকি করত। রেসিপি শেয়ার করত না। চাকুরি ছেড়ে দিলে টিম নিয়ে মুভ করত। এখন আর সেই দিন নাই। বাংলাদেশিরাই এখন ওদের চেয়ে ভালো করছে। একই ভাবে হয়ত আর এন্ড ডি তেও বাংলাদেশ ভালো করবে।


So what stops u from joining to Denim??? Be a Future Denim Expert.


লেখা সত্বাধিকারিঃ
জাহিদ মুরাদ শুভ
৩৬তম ব্যাচ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়







কোন মন্তব্য নেই: