বাংলাদেশী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার Vs ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার - Textile Lab | Textile Learning Blog
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার : বাংলাদেশী Vs ফরেইন

স্টেটিক্টিক্স অনুযায়ী বর্তমানে আমাদের দেশে 60 হাজার বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার, টেকনোলজিস্ট  টেক্সটাইল সেক্টর এ জব করে ।
এক্সাম নাইট স্টুডেন্ট না হয়ে যদি আমরা বেসিক লাভার স্টুডেন্ট হইতাম তাহলে হয়ত এই 60 হাজার এর মাঝে 40 হাজার অন্তত দেশী হইত ।
আমাদের যে সকল দেশের টেক্সটাইল টেকনোলজিস্ট দের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় তারা হলো  ভিয়েতনাম, ইন্ডিয়ান, পাকিস্থানী, শ্রীলংকান, চাইনীজ, জার্মান, ইতালীয় ।
বাইরের সাথে তুলনার আগে আমাদের কিছু কথা বলে নেই যেমন  আমাদের অনেক নবাগত স্টুডেন্টদের  দেখলাম এসেই চাকরি নাই, চাকরি নাই বলে অশ্রু বিসর্জন করতেছে। মেক্সিমাম স্টুডেন্ট তাদের ভাইবা বোর্ডে  নিয়োগ দাতাদের বিনোদন এর খোরাক যোগাচ্ছে ।  তাদের সাথে  যদি নন টেকনিকাল স্টুডেন্ট দের ভাইবা নেয়া হয় তবে উভয়ের মাঝে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না ।  এদের মধ্যে প্রব্লেম এনালাইজ এবং রেক্টিফিকেশন , সলিউশন, রিসার্স,  ডেভলমেন্ট,  ম্যানেজমেন্ট তেমন কোন গুনই খুজেই পাওয়া যায় না।   চাকরি আর স্যালারি নিয়ে গবেষনা আর এক্সাম নাইট স্টুডেন্ট হওয়া থেকে বিরত থাকলে এইরুপ অশ্রু বিসর্জন এর প্রয়োজন নাই ।
তার উপর ইদানীং যুক্ত হয়েছে আমাদের ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনোলজিস্ট, এক্সপার্ট । এরা আমাদের যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারন, আমাদের আকালের বাজারে তাদের সাথে আমাদের জব মার্কেট শেয়ার করতে হচ্ছে । অনেকের মনে প্রশ্ন আমাদের এতো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার থাকতে তারা কেনো  ????  তাদের কোয়ালিটি কি যার জন্য আমাদের যায়গা গুলি তাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে




আমাদের ইঞ্জিনিয়ার আর ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের মুল পার্থক্য ক্যারিকুলামে :

১. ফরেইনাররা যখন অত্যাধুনিক ল্যাবে কাজ করে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রা কনভেনশনাল ল্যাবে কাজ করে বা অনেকেই ল্যাব চোখেই দেখে না।

২. ফরেইনাররা যখন NMR SEM এর ফাইবার এর সারফেস আর ফাংশনাল গ্রুপ নিয়ে ব্যাস্ত তখন    আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফাইবার কি এবং কতো প্রকার তা মুখস্থ করা নিয়ে ব্যাস্ত ।

৩.  ফরেইনাররা যখন ওয়াটার ফ্রি ডাইং, সল্ট ফ্রি ডাইং, সুপার ক্রিটিকাল ফ্লুয়িড ডাইং  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  রিয়েক্টিভ ডাইং কি, কতো প্রকার,  রেসিপি নিয়ে ব্যাস্ত  ।

৪. ফরেইনাররা যখন  ক্যামিকেল  এর মেথোড, ম্যাকানিজম, ফাংশনাল প্রপার্টি নিয়ে কাজ করে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  কাস্টিক এর কাজ, সোডার কাজ পড়া নিয়ে ব্যাস্ত ।

৫. ফরেইনাররা যখন প্রজেক্ট  রিসার্স, রিসার্স মেথোডোলজি নিয়ে কাজ করে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  এসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট কপি করা নিয়ে ব্যাস্ত ।



৬. ফরেইনাররা যখন কোয়ালিটি ডেভলপ করা নিয়ে ব্যাস্ত তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা গোজমিল নিয়ে ব্যাস্ত যা ইঞ্জিনিয়ার সুলভ কোন কাজ না ।


৭. ফরেইনাররা যখন ম্যান, মেশিন, ম্যাটেরিয়াল এর পুর্ন ধারনা নিয়ে ফেক্টরীতে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফেক্টরীতে গিয়ে মেশিন ম্যাটেরিয়াল শেখা শুরু করে ।

৮. ফরেইনাররা যখন ফেক্টরিতে গিয়ে অন্য দের কাজ শেখায় অন্যদের তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফেক্টরিতে গিয়ে ট্রেইনি হয়ে কাজ শেখে ।

৯. ফরেইনারা যখন নিজ কে সেল্ফ ডেভলপ করে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গন সেল্ফ ডেভলপমেন্ট এর চিন্তা বাদ দিয়ে বড় ভাই, রিলেটিভ, ফেকাল্টি রেফারেন্স নিয়ে ব্যাস্ত  ।

১০. ফরেইনাররা ফেক্টরিতে গিয়ে তাদের ম্যানেজার টু অফিসার যখন  স্টাডি করে  তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা ভাবেন এতো পড়ে কি হবে !!  এতো সময় কই স্টাডি করার !!!

১১. ফরেইন ( ভারতীয়, পাকিস্থানী ) GM এর দের টেবিলে যখন পুরাতন আমলে টেক্সটাইল বই পাবেন  সেখানে  ফেক্টরিতে গিয়ে   আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের টেবিল  দিব্যি ফাকা দেখবেন ।

১২. ফরেইনাদের কাছে  ফেক্টরিতে গিয়ে  কাজের আইডিয়া দেবেন তখন তাদের এক্সপ্রেশন হবে Well done, good job, we can work togather, can i use it, ok Mr Develop it সেখানে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের  ফেক্টরিতে আইডিয়া দিলে এরা বলবে  কতো দেখলাম,  কতো আইলো গেলো, এই গুলা কইরা কোন লাভ নাই, পাকনামি করে  ।


১৩. ফরেইনাররা যখন ফেক্টরিতে গিয়ে টিম ওয়ার্ক নিয়ে কাজ করে তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফেক্টরিতে গিয়ে পলিটিক্স নিয়ে ব্যাস্ত  ।

১৪. ফরেইনাররা যখন কাজ দিয়ে সকাল শুরু  নিয়ে কাজ দিয়ে শেষ করে  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা গল্প গুজবে সকাল শুরু হয় শেষ হয় গল্প গুজবে ।

১৫. ফরেইনাররা নন টেক্সটাইল সসাব্জেক্টে খুব জোর দেয় যার ফলে তাদের ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, মার্চেন্ডাজিং, ফিনেন্স, মেইন্টেইনেন্স  এ টেক্সটাইল এর মতো সমান দক্ষতা অর্জন করেন  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা মনে করেন   ফেক্টরিতে নন টেক্সটাইল সাব্জেক্ট গুলির এপ্লিকেশন ফ্লোরে, অফিসে নেই এই গুলি ক্রেডিট বাড়ানোর জন্য যার ফলে তারা   ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, মার্চেন্ডাজিং, ফিনেন্স, মেইন্টেইনেন্স এই বিষয় গুলিতে দুর্বল  ।

১৬. ফরেইন ফেকাল্টি রা যখন তাদের হাতে স্টুডেন্টসদের MSc,Phd, Reasarchar বনানোর কাজে ব্যাস্ত সেখানে আমাদের ফেকাল্টিরা দায়া সারা সিট, ক্লাস লেকচার এর টার্গেট পুরন, গেস্ট ফেকাল্টি হবার ধান্দায় ব্যাস্ত এদের হাতে ভালো ইঞ্জিনিয়ার কি ভাবে বের হবে । 

১৭. ফরেইন টেক্সটাইল এর ক্যারিকুলাম যুগের সাথে পরবর্তিত হয় আর আমাদের যুগের সাথে হয় না। ইন্টারন্যাশনাল বাজারে কম্পিটিশন করার মতো কোয়ালিটি অর্জনের জন্য আমাদের কারিকুলাম আপডেট জরুরী ।

১৮. ফরেইন টেক্সটাইল ফেকাল্টি গুল ফেক্টরি গুলির কেইস স্টাডি করেন এবং সলিউশন করেন আর আমাদের ফেকাল্টি গন ৯০% ই জানেন না ফেক্টরির প্রসেস, ম্যাকানিজম।

১৯.  ফরেইনাররা যখন ল্যাবে ফেক্টরি সমস্যা সমাধান করে, প্রসেস ডেভলপ করছে   তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  মেশিন পার্টস, গিয়ারিং ডায়াগ্রাম আকা নিয়ে ব্যাস্ত  ।

২০.  ফরেইনারদের যখন প্রতিটা প্রজেক্ট, রিসার্চ জার্নাল আকারে প্রকাশ হচ্ছে তখন  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা আগের সেমিস্টারের বড়ো ভাইদের  প্রজেক্ট দিয়ে দিব্যি কাজ চালিয়ে দিচ্ছেন, আর রিসার্চ ওয়ার্ক তো সারাজীবন এর তপস্যার পর একটা বের করা সম্ভব হয় , তাও আবার রিভিউ খায় ।


২১.  ফরেইনার দের কাছে ইন্টার্ন যখন কমান্ডো ট্রেইনিং  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে ইন্টার্ন ঘোরাঘুরি, পিকনিক, সেলফি তোলার  উপলক্ষ  ।

২২.  ফরেইনার দের কাছে প্রেজেন্টেশন মানে   ১০০-২০০ স্টুডেন্ট এর সামনে কনফারেন্স তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে প্রেজেন্টেশন মানে কাপা গলায় ৪-৫ মিনিট রোবোট এর মতো ১০-১৫ জনের সামনে বকে আসা আর রুম থেকে বেরিয়ে  সেলফি তোলার  উপলক্ষ প্রস্তুত করা  ।



২৩.  ফরেইনারদের  কাছে এসাইনমেন্ট মানে নিজের হাতে সব লিখা  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে এসাইনমেন্ট এর যে করছে সে নিজেই জানে না টপিক কি আর বর্ননা তে কি লিখেছে সে  ।

এখন প্রশ্ন ????

আমরা কি পারবো তাদের জায়গা গুলি দখল করে নিতে !!!
ধরে নিলাম আমরা চাকুরী তে গিয়ে শিখবো। আমাদের শিখতে শিখতে  ততো দিনে তারা কই থাকবে !!!

যাই হোক,  বেসিক আর কোয়ালিটি অর্জনের পিছনে দৌড়াইলে চাকরি পিছন পিছন দৌড়াবে । ভাইবা বোর্ডে আমরা আপনাকে  কথা শুনতে হবে না !!   আমাদের কোয়ালিটি নিয়েনিয়ে প্রশ্ন  উঠবে না । আমাদের কারো প্রতি জেলাস হতে হবে না। কারো প্রতি প্রতি হিংসা বা পজিশন হারানোর ভয়ে নয় নিজ যোগ্যাতা দিয়ে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে।
রেফারেন্সে এর মুল্য আছে তার পরো দিন শেষে মেধার, যোগ্যতার, প্ররিশ্রম এর মুল্য আছে ।

মাজেদুল শিশির
Textile  engr & Textile Blogger
mazadulhasan@yahoo.com
This post Dedicate to  All BD Textile juniors




job

বাংলাদেশী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার Vs ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার : বাংলাদেশী Vs ফরেইন

স্টেটিক্টিক্স অনুযায়ী বর্তমানে আমাদের দেশে 60 হাজার বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার, টেকনোলজিস্ট  টেক্সটাইল সেক্টর এ জব করে ।
এক্সাম নাইট স্টুডেন্ট না হয়ে যদি আমরা বেসিক লাভার স্টুডেন্ট হইতাম তাহলে হয়ত এই 60 হাজার এর মাঝে 40 হাজার অন্তত দেশী হইত ।
আমাদের যে সকল দেশের টেক্সটাইল টেকনোলজিস্ট দের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় তারা হলো  ভিয়েতনাম, ইন্ডিয়ান, পাকিস্থানী, শ্রীলংকান, চাইনীজ, জার্মান, ইতালীয় ।
বাইরের সাথে তুলনার আগে আমাদের কিছু কথা বলে নেই যেমন  আমাদের অনেক নবাগত স্টুডেন্টদের  দেখলাম এসেই চাকরি নাই, চাকরি নাই বলে অশ্রু বিসর্জন করতেছে। মেক্সিমাম স্টুডেন্ট তাদের ভাইবা বোর্ডে  নিয়োগ দাতাদের বিনোদন এর খোরাক যোগাচ্ছে ।  তাদের সাথে  যদি নন টেকনিকাল স্টুডেন্ট দের ভাইবা নেয়া হয় তবে উভয়ের মাঝে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না ।  এদের মধ্যে প্রব্লেম এনালাইজ এবং রেক্টিফিকেশন , সলিউশন, রিসার্স,  ডেভলমেন্ট,  ম্যানেজমেন্ট তেমন কোন গুনই খুজেই পাওয়া যায় না।   চাকরি আর স্যালারি নিয়ে গবেষনা আর এক্সাম নাইট স্টুডেন্ট হওয়া থেকে বিরত থাকলে এইরুপ অশ্রু বিসর্জন এর প্রয়োজন নাই ।
তার উপর ইদানীং যুক্ত হয়েছে আমাদের ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনোলজিস্ট, এক্সপার্ট । এরা আমাদের যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারন, আমাদের আকালের বাজারে তাদের সাথে আমাদের জব মার্কেট শেয়ার করতে হচ্ছে । অনেকের মনে প্রশ্ন আমাদের এতো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার থাকতে তারা কেনো  ????  তাদের কোয়ালিটি কি যার জন্য আমাদের যায়গা গুলি তাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে




আমাদের ইঞ্জিনিয়ার আর ফরেইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের মুল পার্থক্য ক্যারিকুলামে :

১. ফরেইনাররা যখন অত্যাধুনিক ল্যাবে কাজ করে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রা কনভেনশনাল ল্যাবে কাজ করে বা অনেকেই ল্যাব চোখেই দেখে না।

২. ফরেইনাররা যখন NMR SEM এর ফাইবার এর সারফেস আর ফাংশনাল গ্রুপ নিয়ে ব্যাস্ত তখন    আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফাইবার কি এবং কতো প্রকার তা মুখস্থ করা নিয়ে ব্যাস্ত ।

৩.  ফরেইনাররা যখন ওয়াটার ফ্রি ডাইং, সল্ট ফ্রি ডাইং, সুপার ক্রিটিকাল ফ্লুয়িড ডাইং  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  রিয়েক্টিভ ডাইং কি, কতো প্রকার,  রেসিপি নিয়ে ব্যাস্ত  ।

৪. ফরেইনাররা যখন  ক্যামিকেল  এর মেথোড, ম্যাকানিজম, ফাংশনাল প্রপার্টি নিয়ে কাজ করে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  কাস্টিক এর কাজ, সোডার কাজ পড়া নিয়ে ব্যাস্ত ।

৫. ফরেইনাররা যখন প্রজেক্ট  রিসার্স, রিসার্স মেথোডোলজি নিয়ে কাজ করে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  এসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট কপি করা নিয়ে ব্যাস্ত ।



৬. ফরেইনাররা যখন কোয়ালিটি ডেভলপ করা নিয়ে ব্যাস্ত তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা গোজমিল নিয়ে ব্যাস্ত যা ইঞ্জিনিয়ার সুলভ কোন কাজ না ।


৭. ফরেইনাররা যখন ম্যান, মেশিন, ম্যাটেরিয়াল এর পুর্ন ধারনা নিয়ে ফেক্টরীতে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফেক্টরীতে গিয়ে মেশিন ম্যাটেরিয়াল শেখা শুরু করে ।

৮. ফরেইনাররা যখন ফেক্টরিতে গিয়ে অন্য দের কাজ শেখায় অন্যদের তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফেক্টরিতে গিয়ে ট্রেইনি হয়ে কাজ শেখে ।

৯. ফরেইনারা যখন নিজ কে সেল্ফ ডেভলপ করে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গন সেল্ফ ডেভলপমেন্ট এর চিন্তা বাদ দিয়ে বড় ভাই, রিলেটিভ, ফেকাল্টি রেফারেন্স নিয়ে ব্যাস্ত  ।

১০. ফরেইনাররা ফেক্টরিতে গিয়ে তাদের ম্যানেজার টু অফিসার যখন  স্টাডি করে  তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা ভাবেন এতো পড়ে কি হবে !!  এতো সময় কই স্টাডি করার !!!

১১. ফরেইন ( ভারতীয়, পাকিস্থানী ) GM এর দের টেবিলে যখন পুরাতন আমলে টেক্সটাইল বই পাবেন  সেখানে  ফেক্টরিতে গিয়ে   আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের টেবিল  দিব্যি ফাকা দেখবেন ।

১২. ফরেইনাদের কাছে  ফেক্টরিতে গিয়ে  কাজের আইডিয়া দেবেন তখন তাদের এক্সপ্রেশন হবে Well done, good job, we can work togather, can i use it, ok Mr Develop it সেখানে  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের  ফেক্টরিতে আইডিয়া দিলে এরা বলবে  কতো দেখলাম,  কতো আইলো গেলো, এই গুলা কইরা কোন লাভ নাই, পাকনামি করে  ।


১৩. ফরেইনাররা যখন ফেক্টরিতে গিয়ে টিম ওয়ার্ক নিয়ে কাজ করে তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  ফেক্টরিতে গিয়ে পলিটিক্স নিয়ে ব্যাস্ত  ।

১৪. ফরেইনাররা যখন কাজ দিয়ে সকাল শুরু  নিয়ে কাজ দিয়ে শেষ করে  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা গল্প গুজবে সকাল শুরু হয় শেষ হয় গল্প গুজবে ।

১৫. ফরেইনাররা নন টেক্সটাইল সসাব্জেক্টে খুব জোর দেয় যার ফলে তাদের ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, মার্চেন্ডাজিং, ফিনেন্স, মেইন্টেইনেন্স  এ টেক্সটাইল এর মতো সমান দক্ষতা অর্জন করেন  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা মনে করেন   ফেক্টরিতে নন টেক্সটাইল সাব্জেক্ট গুলির এপ্লিকেশন ফ্লোরে, অফিসে নেই এই গুলি ক্রেডিট বাড়ানোর জন্য যার ফলে তারা   ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, মার্চেন্ডাজিং, ফিনেন্স, মেইন্টেইনেন্স এই বিষয় গুলিতে দুর্বল  ।

১৬. ফরেইন ফেকাল্টি রা যখন তাদের হাতে স্টুডেন্টসদের MSc,Phd, Reasarchar বনানোর কাজে ব্যাস্ত সেখানে আমাদের ফেকাল্টিরা দায়া সারা সিট, ক্লাস লেকচার এর টার্গেট পুরন, গেস্ট ফেকাল্টি হবার ধান্দায় ব্যাস্ত এদের হাতে ভালো ইঞ্জিনিয়ার কি ভাবে বের হবে । 

১৭. ফরেইন টেক্সটাইল এর ক্যারিকুলাম যুগের সাথে পরবর্তিত হয় আর আমাদের যুগের সাথে হয় না। ইন্টারন্যাশনাল বাজারে কম্পিটিশন করার মতো কোয়ালিটি অর্জনের জন্য আমাদের কারিকুলাম আপডেট জরুরী ।

১৮. ফরেইন টেক্সটাইল ফেকাল্টি গুল ফেক্টরি গুলির কেইস স্টাডি করেন এবং সলিউশন করেন আর আমাদের ফেকাল্টি গন ৯০% ই জানেন না ফেক্টরির প্রসেস, ম্যাকানিজম।

১৯.  ফরেইনাররা যখন ল্যাবে ফেক্টরি সমস্যা সমাধান করে, প্রসেস ডেভলপ করছে   তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা  মেশিন পার্টস, গিয়ারিং ডায়াগ্রাম আকা নিয়ে ব্যাস্ত  ।

২০.  ফরেইনারদের যখন প্রতিটা প্রজেক্ট, রিসার্চ জার্নাল আকারে প্রকাশ হচ্ছে তখন  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা আগের সেমিস্টারের বড়ো ভাইদের  প্রজেক্ট দিয়ে দিব্যি কাজ চালিয়ে দিচ্ছেন, আর রিসার্চ ওয়ার্ক তো সারাজীবন এর তপস্যার পর একটা বের করা সম্ভব হয় , তাও আবার রিভিউ খায় ।


২১.  ফরেইনার দের কাছে ইন্টার্ন যখন কমান্ডো ট্রেইনিং  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে ইন্টার্ন ঘোরাঘুরি, পিকনিক, সেলফি তোলার  উপলক্ষ  ।

২২.  ফরেইনার দের কাছে প্রেজেন্টেশন মানে   ১০০-২০০ স্টুডেন্ট এর সামনে কনফারেন্স তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে প্রেজেন্টেশন মানে কাপা গলায় ৪-৫ মিনিট রোবোট এর মতো ১০-১৫ জনের সামনে বকে আসা আর রুম থেকে বেরিয়ে  সেলফি তোলার  উপলক্ষ প্রস্তুত করা  ।



২৩.  ফরেইনারদের  কাছে এসাইনমেন্ট মানে নিজের হাতে সব লিখা  তখন  আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে এসাইনমেন্ট এর যে করছে সে নিজেই জানে না টপিক কি আর বর্ননা তে কি লিখেছে সে  ।

এখন প্রশ্ন ????

আমরা কি পারবো তাদের জায়গা গুলি দখল করে নিতে !!!
ধরে নিলাম আমরা চাকুরী তে গিয়ে শিখবো। আমাদের শিখতে শিখতে  ততো দিনে তারা কই থাকবে !!!

যাই হোক,  বেসিক আর কোয়ালিটি অর্জনের পিছনে দৌড়াইলে চাকরি পিছন পিছন দৌড়াবে । ভাইবা বোর্ডে আমরা আপনাকে  কথা শুনতে হবে না !!   আমাদের কোয়ালিটি নিয়েনিয়ে প্রশ্ন  উঠবে না । আমাদের কারো প্রতি জেলাস হতে হবে না। কারো প্রতি প্রতি হিংসা বা পজিশন হারানোর ভয়ে নয় নিজ যোগ্যাতা দিয়ে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে।
রেফারেন্সে এর মুল্য আছে তার পরো দিন শেষে মেধার, যোগ্যতার, প্ররিশ্রম এর মুল্য আছে ।

মাজেদুল শিশির
Textile  engr & Textile Blogger
mazadulhasan@yahoo.com
This post Dedicate to  All BD Textile juniors




কোন মন্তব্য নেই: