About Printed Fabrics
আমাদের বায়ার বা মার্চেন্টডাইজার যখন কনো প্রিন্টিং করা কাপড় এর বুকিং দেয় তখন কাপড় টি দুই সেকশন মিলে করে দিতে হয়।
ডাইং - আমরা করি গ্রাউন্ড ফেব্রিক কালার এবং ফাইনাল ফিনিশিং।
তথ্য : প্রিন্টিং এর কিছু খুঁটিনাটি
১. আমার হাতের কাপড়ে আমি যে খানে আংগুল দিয়েছি তা গ্রাউন্ড কালার, এটি বায়ার বলে দেয়। আর যদি না বলে দেয় তবে প্রিন্টিং করা কাপড় উল্টে পেছনে দেখতে হবে তার কালার কি, তার সাথে আমাদের মিলায়ে প্রিন্টিং করে দিতে হয়।
২. এই প্রিন্টিং করা কাপড় কে কেমো প্রিন্টিং বলে এতে অনেক কালার থাকে বিধায়, বায়ার আগে না বলে দিলে ডাইং করা যাবে না। মানে গ্রাউন্ড মেনশন করে দিতে হবে।
৩. প্রিন্টিং করা কাপড় ডাইং এর পর Yellow, Red. কিছুটা কম থাকলে সমস্যা নাই কারন প্রিন্টিং এর পর কিউরিং (১৫০ ডিগ্রী তে ৫ মিনিট ) করলে কাপড়ে Yellow up হবে।
৪. প্রিন্টিং করা কাপড়ে প্রিন্টিং এর আগে ডাইং এর পর সফেনার দেয়া যাবে না যেনো এব্জরবেন্সি ১০০% থাকে কারন সফেনার দিলে এবজরবেন্সি কমে যায়।
৫. প্রিন্টিং করার আগে নীট কিংবা ওভেন কাপড় উভয়কে স্ট্রেস করে নিতে হয় যেনো প্রিন্টিং এর সময়ে কাপড়ে ভাজ না থাকে। আগে স্ট্রেস না করে নিলে প্রিন্টিং এর পর স্ট্রেস করলে প্রিন্ট ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬. প্রিন্টিং করা কাপড় কখনোই ১০০% বায়ার সোয়াচ এর সাথে মিলে না তাই টলারেন্স দিয়ে মিলিয়ে নিতে হয়।
৭. প্রিন্টিং এর সবচেয়ে বড় প্যারামিটার হলো তার রাবিং ফাস্টনেস প্রোপার্টি এটির গ্রেড হলে হতে হবে 3/4 - 5 পর্যন্ত। মানে তার রাবিং রেজাল্ট এতো হলে ভালো হয়।
৮. প্রিন্টিং এর দুই বিভাগ অলভার এবং চেস্ট প্রিন্টিং। অল ওভার প্রিন্টিং এ পুরো কাপড় প্রিন্টিং করা হয় আর চেস্ট প্রিন্টিং এ শুধু বডি প্রিন্টিং করা হয়।
৯. অল ওভার প্রিন্টিং এর টাইপ দুইধরনের রিয়েক্টিভ এবং পিগমেন্ট।
রিয়েক্টিভ প্রিন্টিং এ ফেব্রিক ওয়াস করতে হয় প্রিন্টিং এর পর আর কিউরিং করতে হয় স্টিম দিয়ে। পিগমেন্ট এর কিউরিং করতে হয় স্টিম ছাড়া আর ওয়াস করা লাগে না।
রিয়েক্টিভ প্রিন্টিং এ ফেব্রিক ওয়াস করতে হয় প্রিন্টিং এর পর আর কিউরিং করতে হয় স্টিম দিয়ে। পিগমেন্ট এর কিউরিং করতে হয় স্টিম ছাড়া আর ওয়াস করা লাগে না।
১০. প্রিন্টিং করা কাপড় কে সফেনার দিয়ে সফট ফিনিশিং করতে হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন