টেক্সটাইল মিলের নিরাপত্তা সম্পর্কিত ১০০ টি কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর - Textile Lab | Textile Learning Blog
নিরাপত্তা সম্পর্কিত ১০০ টি কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর



১. আগুন কাকে বলে?
উঃ দাহ্যবস্তু, অক্সিজেন, পরিমিত তাপ এ তিনটি উপাদানের সংযোগের বিরামহীন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে অবিচ্ছিন্ন প্রজ্জ্বলন প্রক্রিয়াকে আগুন বলে।


২. আগুনের উপাদান কি কি?
উঃ আগুনের উপাদান চারটি। যথাঃ দাহ্য বস্তু, অক্সিজেন, পরিমিত তাপ ও বিরামহীন রাসায়নিক বিক্রিয়া।


৩. আগুন কত প্রকার?
উঃ আগুন ছয় প্রকার। যথাঃ কঠিন পদার্থের আগুন, তরল পদার্থের আগুন, ধাতব পদার্থের আগুন, বৈদ্যুতিক আগুন, গ্যাসের আগুন এবং রান্নার আগুন।


৪. অগ্নিকান্ড সৃষ্টি হবার হার কোন ক্ষেত্রে কেমন?
উঃ বৈদ্যুতিক কারণে ৪৪%, কারখানার রান্নাঘর থেকে ২৫%, সিগারেটের কারণে ১০%, ডাস্ট থেকে ৬%, খোলাবাতি ৫%, ঘর্ষনজনিত কারণে ৩%, স্যাবোটাজ ২% ও অন্যান্য কারণে ৫%।


৫. দাহ্য বস্তু কাকে বলে?
উঃ যে সকল বস্তু বা পদার্থ দ্বারা প্রজ্জ্বলন প্রক্রিয়া সম্পর্ণ হয় তাকে দাহ্য বস্তু বলে।


৬. দাহ্য বস্তু কত প্রকার ও কি কি?
উঃ দাহ্য বস্তু তিন প্রকার। যথাঃ সহজ দাহ্য বস্তু, মাঝারি ঘনত্ব বিশিষ্ট দাহ্য বস্তু, অধিক ঘনত্ব বিশিষ্ট দাহ্য বস্তু।


৭. পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইসার কি?
উঃ সহজে বহনযোগ্য যে যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নির্বাপন করা হয় তাকে পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইসার বা বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বলে।


৮. অটোমেটিক ফায়ার এক্সটিংগুইসিং বল কি?
উঃ যে বল কারো অনুপস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভায় বা কেউ তা আগুনে নিক্ষেপ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নিভে যায় তাকেই অটোমেটিক ফায়ার এক্সটিংগুইসিং বল বা স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বলে।


৯. কোন আগুনের জন্য কোন ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করা হয়?
উঃ কঠিন পদার্থের আগুন (Solid Fire: Class–A) [DCP, CO2 and H2O], তরল পদার্থের আগুন (Liquid Fire: Class–B) [Foam], ধাতব পদার্থের আগুন (Metal Fire: Class-D) [Sand, Soil, Graphite and Talcum Power], বৈদ্যুতিক আগুন (Electrical Fire: Class-E) [Co2], গ্যাসের আগুন (Gas Fire: Class–C) [ DCP, Sand, Soil], রান্নার আগুন (Cooking Fire: Class–F/K) [Wet Chemical Fire Extinguishers].


১০. এক্সটিংগুইসার ভালো নাকি খারাপ তা বুঝবো কি করে?
উঃ এক্সটিংগুইসারের প্রেসার বা স্পার চার্জ নির্দেশক কাটাটি সবুজ অংশে থাকলে তা ভালো আর উক্ত কাটাটি লাল অংশে তাকলে তা খারাপ।


১১. ফায়ার এক্সটিংগুইসার কত সময় পর পর রিচার্জ করতে হয়?
উঃ এক বছর পর পর।


১২. একটি ফ্লোরে কতগুলো ফায়ার এক্সটিংগুইসার লাগবে?
উঃ প্রতি ৯০ বর্গ মিটারের জন্য একটি ফায়ার এক্সটিংগুইসার লাগবে।


১৩. কত উচ্চতায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার স্থাপন করতে হবে?
উঃ এক্সটিংগুইসারের তলদেশ বা ভূমি হতে ১ মিটার উপরে।


১৪. দুটি ফায়ার এক্সটিংগুইসারের মধ্যে দূরত্ব কেমন হবে?
উঃ ৩০ মিটার (১০০ ফুট) এর অধিক দূরত্বে থাকতে পারবে না।


১৫. ফায়ার এক্সটিংগুইসার কোথায় স্থাপন করতে হবে?
উঃ বহির্গমন পথ, দরজার নিকটে বা সহজে পৌঁছানো যায় এমন স্থানে।


১৬. ফায়ার স্প্রিংকলার কি?
উঃ এটি স্থায়ী সেন্সর এবং অগ্নি স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপণী ব্যবস্থা। স্প্রিংকলারের মাথায় একটি বাল্ব থাকে যার তাপমাত্রা পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট করা থাকে। সাধারণত তাপমাত্রা ঐ নির্ধারিত তাপমাত্রার উপরে উঠলে এটি কাজ শুরু হয়।


১৭. ফায়ার স্প্রিংকলার কিভাবে স্থাপন করতে হবে?
উঃ ৭৫ ফুট বা ২৩ মিটার উঁচু ভবনের প্রতি তলার জন্য স্প্রিংকলার প্রয়োজন। প্রতি ১৩০ বর্গ ফুট জায়গার জন্য ১ টি ফায়ার স্প্রিংকলার স্থাপন করতে হবে।


১৮. ফায়ার স্প্রিংকলারের জন্য পানির পাম্পের সাইজ কত হবে?
উঃ ৩২০০ লিটার/মিনিট বা ৮৪৫ জি.পি.এম. (গ্যালন পার মিনিট)


১৯. স্প্রিংকলারের পানির চাপ কেমন হতে হবে?
উঃ ১০০ কে.পি.এ. (কিলোপ্যাসক্যাল)


২০. স্প্রিংকলার সিস্টেমের জন্য পানির পাইপের ডাইয়া কেমন হতে হবে?
উঃ ৫, ৬ বা ৮ ইঞ্চি।


২১. স্প্রিংকলার সিস্টেমের জন্য পানির রিজার্ভের আকার কেমন হতে হবে?
উঃ ৫১ মিটার পর্যন্ত উঁচু ভবনের জন্য ২,৪০,০০০ লিটার।


২২. ফায়ার হাইড্রেন্ট ও স্ট্যান্ডপাইপ সিস্টেম কি?
উঃ স্ট্যান্ডপাইপ, হোস বা রীল পাইপ ও স্প্রিংকলারের সম্মিলিত রূপই হলো ফায়ার হাইড্রেন্ট ও স্ট্যান্ডপাইপ সিস্টেম।


২৩. ফায়ার হাইড্রেন্ট কিভাবে স্থাপন করতে হবে?
উঃ যে সকল ভবনের উচ্চতা ১০ মিটার বা ৩৩ ফিট এর অধিক সে সকল ভবনে ফায়ার হাইড্রেন্ট প্রয়োজন। প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ৭৫০ বর্গ মিটার বা তার বেশি হলে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হবে।


২৪. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর জন্য পানির পাম্পের সাইজ কত হবে?
উঃ ১৯০০ লিটার/মিনিট বা ৫০০ জি.পি.এম. (গ্যালন পার মিনিট)


২৫. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর পানির চাপ কেমন হতে হবে?
উঃ ৪৫০ কে.পি.এ. (কিলোপ্যাসক্যাল)


২৬. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর জন্য পানির পাইপের ডাইয়া কেমন হতে হবে?
উঃ ৫, বা ৬ ইঞ্চি।


২৭. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর জন্য পানির রিজার্ভের আকার কেমন হতে হবে?
উঃ ৫১ মিটার পর্যন্ত উঁচু ভবনের জন্য ১,৪২,৫০০ লিটার।


২৮. হাইড্রেন্ট সিস্টেমে কি ভাবে পানি সরবরাহ করা হয়?
উঃ তিন ভাবে পানি সরবরাহ করা হয়। যথাঃ পাম্পের মাধ্যমে সরাসরি, গভীর নলকূপের মাধ্যমে ও ভবনের ছাদে পানির রিজার্ভার স্থাপনের মাধ্যমে।


২৯. স্প্রিংকলার সিস্টেম ও হাইড্রেন্ট সিস্টেমের জন্য ট্যাংকের উচ্চতা কেমন হবে?
উঃ উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পানির পাইপ থেকে কমপক্ষে ১০ মিটার উঁচুতে স্থাপন করতে হবে।


৩০. রাইজার ব্যবহারের নিয়ম কি?
উঃ প্রতি ৮৫০ বর্গ মিটারের জন্য ১ টি।


৩১. ফায়ার এলার্ম সিস্টেম কি?
উঃ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হলে নিরাপদে বেরিয়ে আসার জন্য যে সতর্কতা সংকেত দেয়া হয় তাকে ফায়ার এলার্ম সিস্টেম বা অগ্নি হুশিয়ারী সংকেত ব্যবস্থা বলে।


৩২. এলার্ম সিস্টেম কত প্রকার?
উঃ এলার্ম সিস্টেম দুই প্রকার। যথাঃ ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক।


৩৩. ফায়ার ডিটেক্টর কাকে বলে?
উঃ কোথাও অগ্নিকান্ডের মত দূর্ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে যে সেন্সর স্বয়ংক্রিয় ভাবে আগুন নির্ণয় করে ও এলার্ম দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেয় তাকে ডিটেক্টর বলে।


৩৪. কেন ফায়ার এলার্ম সিস্টেম এবং ফায়ার ডিটেক্টর সিস্টেম প্রয়োজন?
উঃ নিরাপত্তার জন্য।


৩৫. ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম সিস্টেম স্থাপনের নিয়ম কি?
উঃ ফ্লোর লেভেল থেকে ৪৮ ইঞ্চির উপরে নয় ও ৪২ ইঞ্চির নিচে নয়। এক্সিজ ডোরের ৫ মিটারের মধ্যে স্থাপন করতে হবে।


৩৬. দুটি ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম বক্সের মধ্যে দূরত্ব কেমন হবে?
উঃ ২০০ ফুটের কম হবে।


৩৭. ফায়ার স্মোক ডিটেক্টর স্থাপনের নিয়ম কি?
উঃ সিলিং এ ব্যবহার করতে হবে। সিলিং এ ব্যবহার করা সম্ভব না হলে সিলিং থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে দেয়ালে স্থাপন করতে হবে।


৩৮. কত দিন পরপর স্মোক ডিটেক্টর চেক করতে হবে?
উঃ স্থাপন করার ১ বছর পরপর।


৩৯. এলার্ম সিস্টেমের মাইক গুলো কত উচ্চতায় লাগাতে হবে?
উঃ ফ্লোর লেভেল থেকে ৯০ ইঞ্চির উপরে ও ছাদ থেকে ৬ ইঞ্চির নিচে।


৪০. ভবনে সিঁড়ির প্রস্থ এবং উচ্চতা কেমন হবে?
উঃ ছয় তলা পর্যন্ত প্রস্থে ১.১৫ মিটার ও উচ্চতা ২ মিটারের কম হতে পারবে না।


৪১. সিঁড়ির অবস্থান কেমন হবে?
উঃ বহির্গমন পথ বা সিঁড়ি কোন ব্যক্তির স্থায়ী অবস্থান বা কাজের স্থান হতে ৫০ মিটারের কম হতে হবে।


৪২. কতগুলো সিঁড়ি প্রয়োজন?
উঃ কতগুলো সিঁড়ি প্রয়োজন তা নির্ভর করে মোট ব্যবহারকারী উপর। কোন প্রতিষ্ঠান বা কারখানা ক্ষেত্রে মোট লোক সংখ্যা ৫০০ বা তার কম হলে ২টি, ৫০১ থেকে ১০০০ হলে ৩টি এবং ১০০০ এর অধিক হলে নূন্যতম ৪টি সিঁড়ি রাখতে হবে।


৪৩. সিঁড়ির কৌনিক দূরত্ব কত হবে?
উঃ সিঁড়ির সমতল হতে ৪৫ ডিগ্রী কোণের অধিক হতে পারবে না।


৪৪. কতগুলো সিঁড়ি বহির্মুখী হবে?
উঃ নূন্যতম অর্ধেক সংখ্যক সিঁড়ি।


৪৫. আইলস মার্কিং এর প্রস্থ কত হবে?
উঃ ৫০ জন এর কম ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে ০.৯ মিটার ও ৫০ জন এর বেশী ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে ১.০ মিটার।


৪৬. কোথায় কেমন ফায়ার ডোর প্রয়োজন?
উঃ জেনারেটর রুমের জন্য ২ ঘন্টা, ট্রান্সফর্মার রুমের জন্য ২ ঘন্টা, গুদাম বা সংরক্ষণাগারের জন্য ৪৫ মিনিট, চারতলা বা তার অধিক উচ্চতার ভবনের জন্য ১ ঘন্টা এবং পাঁচতলা বা তার অধিক উচ্চতার ভবনের জন্য ২ ঘন্টা।


৪৭. ফায়ার ডোর কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়?
উঃ কাঁচ, ষ্টিল, এলুমিনিয়াম, জিপসাম, কাঠ ও ভারমিকুলাইড বোর্ড।


৪৮। ফায়ার ডোর কত প্রকার ও কি কি?
উঃ ফায়ার ডোর তিন প্রকার। যথাঃ রোলিং ষ্ট্রীল, সুইংগিং এবং ডাবল ফায়ার ডোর।


৪৯. দরজা খোলার বিষয়ে নির্দেশিকা কি?
উঃ স্লাইডীং দরজা ছাড়া বাকি সকল দরজা বাহির দিকে খোলা যায় এমন হতে হবে।


৫০. দরজায় তালা দেয়া যাবে?
উঃ ভেতরে কেউ থাকলে বা কাজ চলা কালীন সময়ে দরজায় তালা দেয়া যাবে না।


৫১. বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কত প্রকার ও কি কি?
উঃ চার প্রকার। যথাঃ ১. ডি.সি.পি (ড্রাই ক্যামিকেল পাউডার), ২. সি.ও.টু (কার্বন-ডাই-অক্সাইড), ৩. ফোম টাইপ, এবং ৪. ওয়াটার টাইপ।


৫২. ফায়ার এক্সটিংগুইসার প্রয়োগের সময় কতটুকু দূরত্ব বজায় রাখতে হবে?
উঃ আগুনের উৎপত্তিস্থলের সর্বোচ্চ ২ মিটার দূরে থাকতে হবে।


৫৩. সিলিন্ডারের গায়ের রং দেখে এক্সটিংগুইসার চেনার উপায় কি?
উঃ পাউডার টাইপ এক্সটিংগুইসার নীল রঙের, কার্বন-ডাই-অক্সাইড কালো রঙের, ফোম টাইপ হলো ক্রীম কালার এবং ওয়াটার টাইপ হচ্ছে লাল রঙের।


৫৪. হোজ রীল পাইপ কি?
উঃ হোজ রীল একটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এটি প্রতিটি ফ্লোরের উভয় পার্শ্বে সিঁড়ির কাছাকাছি স্থানে স্থাপন করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার থেকে ১০০ ফুট হবে।


৫৫. রাইজিং কি?
উঃ রাইজিং হলো কোন উঁচু ভবনে খাড়াভাবে স্থায়ী পাইপ স্থাপন করে প্রতিতলায় একটি করে পানি সরবরাহের জন্য হোজ সংযোগ ব্যবস্থা রাখা ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য নীচ তলায় বুষ্টার পাম্প বা ফায়ার পাম্প স্থাপন করা।


৫৬. ফায়ার হুক কি?
উঃ ফায়ার হুক কাঠ ও ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি। আগুনের সূচনালগ্নে আগুনের পাশের দাহ্যবস্তুকে এর সাহায্যে সরিয়ে বা সীমিতকরণ করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়।


৫৭. লক কাটার কি?
উঃ লক কাটার ব্যবহার করা হয় জরুরী প্রয়োজনে তালাবদ্ধ দরজার তালা বা মেটাল গ্রীল কাটার জন্য।


৫৮. এক্সিট ডোরের পরিমাপ কেমন হবে?
উঃ প্রস্থ ১ মিটার ও উচ্চতা ২ মিটারের কম হতে পারবে না।


৫৯. ফায়ার লিফটের ধারন ক্ষমতা কত হবে?
উঃ নূন্যতম ৮ জন ধারণক্ষমতার হতে হবে।


৬০. ভবনের ছাদের সুরক্ষা প্রাচীর কেমন হবে?
উঃ নূন্যতম ১০৬৭ মিলিমিটার (৪২ ইঞ্চি) উচ্চতা সম্পন্ন গার্ড নির্মাণ করতে হবে।


৬১. ওয়েল্ডিং এবং কাটিং এর সময় দাহ্য বস্তুকে কতটুকু দূরত্বে রাখতে হবে?
উঃ এ সময় সম্ভাব্য দাহ্য বস্তুকে ৩৫ ফুট বা ১১ মিটার দূরে রাখতে হবে।


৬২. ফায়ার বিটার কি?
উঃ যে যন্ত্র দ্বারা বিট বা প্রহার করে আগুন নির্বাপন করা হয় তাকে ফায়ার বিটার বলে।


৬৩. রাসায়নিক দ্রব্য মানবদেহে প্রবেশের মাধ্যম কয়টি ও কি কি?
উঃ তিন টি। যথাঃ ১. নিঃশ্বাস, ২. গলধঃকরন ও ৩. ত্বকের সংস্পর্শ।


৬৪. পি.পি.ই. কি?
উঃ পিপিই হলো পার্সোনাল প্রক্টেটিভ ইক্যুইপমেন্ট অর্থাৎ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম।


৬৫. ক্যামিকেলের পিপিই গুলো কি কি?
উঃ মাস্ক, চশমা, হ্যান্ডগ্লবস, গামবুট ও ক্যামিকেল প্রতিরোধক পোশাক।


৬৬. পিপিই কেন জরুরী?
উঃ যে কোন দূর্ঘটনা থেকে নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য।


৬৭. কোথাও অগ্নিকান্ড সংগটিত হলে সর্বপ্রথম করনীয় কি?
উঃ বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে।


৬৮. পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইসার ও এক্সটিংগুইসিং বল এ দুটির মধ্যে সহজ ও সুবিধাজনক কোনটি?
উঃ এক্সটিংগুইসিং বল।


৬৯. কেন এক্সটিংগুইসিং বল সহজ ও সুবিধা জনক?
উঃ কারণ এ বল ব্যবহারে জন্য কোন অভিজ্ঞতা, কার উপস্থিতি ও রক্ষনাবেক্ষণের দরকার নেই।


৭০. শরীরে আগুন লাগলে কি করতে হবে?
উঃ মুখমন্ডলে উপর দু হাত রেখে দ্রুত মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে।


৭১. ধোঁয়াচ্ছন্ন হলে বা ধোঁয়ার মধ্যে আটকা পরলে করনীয় কি?
উঃ গ্যস মাস্ক বা ভেজা কোন কাপরের টুকরা দিয়ে নাক ও মুখ বেঁধে বা চেপে রাখতে হবে।


৭২. ভবনের ধ্বংসাবশেষ বা ভারী কোন বস্তু নিচে আটকা পড়লে করনীয় কি?
উঃ চিৎকার করে বা অযথা নড়াচড়া করে শরীরের শক্তি শেষ করা যাবে না। কারও সাহায্য পেতে দেয়াল বা মেঝেতে শক্ত কিছুদিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করতে হবে।


৭৩. শরীরে ক্যামিকেল লাগলে কি করতে হবে?
উঃ পরিহিত পোশাক আংটি, ঘড়ি, বেল্ট , চুড়ি ইত্যাদি সাথে সাথে খুলে ফেলতে হবে। শরীরের আক্রান্ত স্থান প্রচুর পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।


৭৪. ক্যামিকেল চোখের সংস্পর্শে আসলে করনীয় কি?
উঃ আক্রান্ত চোখের পাতা খোলা রেখে চোখে প্রচুর পানি দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে এবং ডাক্তারের নিকট যেতে হবে।


৭৫. ক্যামিকেল নিঃশ্বাসের সাথে ও মুখে প্রবেশ করলে করনীয় কি?
উঃ নিঃশ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে দ্রুত মুক্ত বাসাতের নিকট যেতে হবে এবং উভয়ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।


৭৬. হঠাৎ ভূমিকম্প অনুভূত হলে তাৎক্ষণিক কি করনীয়?
উঃ ঘড়ে থাকলে মাথায় হাত, বালিশ, কূশন বা অন্যকিছু রেখে দ্রুত শক্ত খাট, টেবিলের নিচে অথবা কলাম বা বীমের পাশে আশ্রর নিতে হবে। বাহিরে থাকলে খোলা জায়গায় নিরাপদে অবস্থান করতে হবে।


৭৭. ফায়ার ড্রিল বা অগ্নি মহড়া কি?
উঃ অগ্নিকান্ড বা যেকোন জরুরী অবস্থায় ভবন হতে নিরাপদে বের হবার জন্য যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তার প্রক্রিয়াকে ফায়ার ড্রিল বা অগ্নি মহড়া বলে।


৭৮. অগ্নি মহড়া কোথায় কোথায় প্রয়োজন?
উঃ বহুতল ভবন, কাজের স্থান, বিদ্যালয় এমনকি বাড়িতেও অগ্নি মহড়ার প্রয়োজন।


৭৯. অগ্নি মহড়ার মূল উদ্দ্যেশ্য কি?
উঃ জীবন ও সম্পদ রক্ষাসহ ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা।


৮০. অগ্নি মহড়া কত প্রকার ও কি কি?
উঃ দুই প্রকার। যথাঃ ১. ঘোষনার মাধ্যমে এবং ২. ঘোষনা বিহীন।


৮১. কত দিন পরপর অগ্নি মহড়া করতে হবে?
উঃ অগ্নি মহড়া প্রয়োজন অনুসারে যেকোন সময় করা যেতে পারে। তবে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর একবার অনুশীলন করা সবচেয়ে উত্তম।


৮২. কোন প্রতিষ্ঠান বা কারখানার ক্ষেত্রে অগ্নি মহড়ার বিধান কি?
উঃ প্রথম দুই বছরের জন্য প্রতি বছর ৪বার ও দুই বছর পর থেকে প্রতি বছর ২বার করে অগ্নি মহড়ার আয়োজন করতে হবে।


৮৩. প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
উঃ ডাক্তার আসার পূর্বে হাতের নিকট যে সকল উপকরন পাওয়া যায় তা দিয়ে রোগীকে সেবা দেয়ার নাম প্রাথমিক চিকিৎসা।


৮৪. প্রাথমিক চিকিৎসা কেন দরকার?
উঃ প্রাথমিক চিকিৎসার ফলে অনেক সময় রোগী নিশ্চিত মৃত্যু ও পঙ্গুত্ববরণ থেকে বেঁচে যায়। আবার অনেক সময় শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার ফলেই রোগী সেরে উঠে।


৮৫. আগুনে পোড়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন?
উঃ ক্ষতস্থানে প্রচুর পরিমান ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে বা ক্ষতস্থান ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত গরম ভাব ও জ্বালা যন্ত্রনা না কমে। পরবর্তীতে ডার্মাজিন মলম বা বার্ণ অয়েনমেন্ট লাগাতে হবে। জীবানুমুক্ত ব্যান্ডেজ দ্বারা ক্ষতস্থান হালকা করে বেঁধে রাখতে হবে।


৮৬. ধোঁয়া আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
উঃ দ্রুত কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।


৮৭. এসিডে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
উঃ আক্রান্ত স্থানের কাপড় সড়িয়ে বা খুলে প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। কোন প্রকার ঔষধ লাগানো যাবে না।


৮৮. হাড় ভাঙ্গার ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কি?
উঃ ভাঙ্গাস্থান সম্ভব হলে সাথে সাথে সোজা করে দিতে হবে এবং রক্তপাত হলে তা বন্ধ করতে হবে। ঘটনাস্থলেই রোগীর ভাঙ্গাস্থানে হালকা ব্যান্ডেজ করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।


৮৯. বিদ্যুতায়িত হলে সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা কেমন?
উঃ বিদ্যুৎ অপরিবাহী কোন বস্তু দিয়ে রোগীকে বিচ্ছিন্ন করার পর সমস্ত শরীর ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা হলে মুখে মুখ লাগিয়ে বা কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।


৯০. ডুবে যাওয়া ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কি?
উঃ প্রথমেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু আছে কিনা। চালু না থাকলে নাক বন্ধ করে মুখে মুখ লাগিয়ে বাতাস দিতে হবে। কাজ না হলে দুহাত বুকের উপড়ে রেখে চাপ দিতে হবে ও কিছু সময় পরপর মুখে মুখ লাগিয়ে বাতাস দিতে হবে রোগীর পালস না পাওয়া পর্যন্ত। এ প্রক্রিয়ায় কাজ না হলে রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে পেট ধরে উঁচু করে পিঠে আস্তে আস্তে চাপড় দিতে হবে।


৯১. পাঁচ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগলে সে ক্ষেত্রে উদ্ধার প্রক্রিয়া বা ইভাকুয়েশন পদ্ধতি কেমন?
উঃ সর্বপ্রথম তৃতীয় তলার লোকদের বের করতে হবে। তারপর চতুর্থ, পঞ্চম তলা ও সবশেষে দ্বিতীয় ও প্রথম তলার লোকদের নামিয়ে আনতে হবে।


৯২. কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসে নাম্বার কত?
উঃ ফোন নং- 02-22-33-55555


৯৩. জরুরী সেবা পেতে কোথায় ফোন করবো?
উঃ ন্যাশনাল ইমারজেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ তে ফোন করুন।


৯৪. দূর্যোগের আগাম বার্তা পেতে কোন নাম্বারে ফোন করবো?
উঃ ফোন নং- ১০৯০


৯৫. ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারনের যন্ত্রের নাম কি?
উঃ তীবতা মাপার যন্ত্রের নাম – রিখটার স্কেল ও মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেল এবং প্রচন্ডতা মাপার যন্ত্রের নাম – মার্কারি স্কেল ও রসি-ফরেল স্কেল।


৯৬. আবহাওয়া সতর্ক সংকেত কি ও কয়টি?
উঃ আকষ্মিক কোন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ও নিরাপদ থাকতে আবহাওয়া সতর্ক সংকেত প্রদান করা হয়। এ সতর্ক সংকেত মোট ১১ টি।


৯৭. সতর্ক সংকেত নাম্বার গুলোর মানে কি?
উঃ ১-দূরবর্তী সতর্ক সংকেত, ২-দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত, ৩-স্থানীয় সতর্ক সংকেত, ৪-স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত, ৫-বিপদ সংকেত, ৬-বিপদ সংকেত, ৭-বিপদ সংকেত, ৮-মহা বিপদ সংকেত, ৯-মহা বিপদ সংকেত, ১০-মহা বিপদ সংকেত এবং ১১-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত।


৯৮. বাংলাদেশে বেশি অগ্নিকান্ড সংগঠিত হবার কারন কি?
উঃ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও বিস্ফোরণ।


৯৯. বাংলাদেশে চিহ্নিত প্রধান প্রধান ভয়াবহ দুর্যোগগুলি কি কি?
উঃ আগুন, ভবনধ্বস, বন্যা ও ভূমিকম্প।


১০০. বিভিন্ন দুর্যোগ ও দূঘর্টনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারা?
উঃ শিশু, বয়ষ্ক ব্যক্তি, নারী ও স্বল্প আয়ের মানুষ।



টেক্সটাইল মিলের নিরাপত্তা সম্পর্কিত ১০০ টি কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর

নিরাপত্তা সম্পর্কিত ১০০ টি কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর



১. আগুন কাকে বলে?
উঃ দাহ্যবস্তু, অক্সিজেন, পরিমিত তাপ এ তিনটি উপাদানের সংযোগের বিরামহীন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে অবিচ্ছিন্ন প্রজ্জ্বলন প্রক্রিয়াকে আগুন বলে।


২. আগুনের উপাদান কি কি?
উঃ আগুনের উপাদান চারটি। যথাঃ দাহ্য বস্তু, অক্সিজেন, পরিমিত তাপ ও বিরামহীন রাসায়নিক বিক্রিয়া।


৩. আগুন কত প্রকার?
উঃ আগুন ছয় প্রকার। যথাঃ কঠিন পদার্থের আগুন, তরল পদার্থের আগুন, ধাতব পদার্থের আগুন, বৈদ্যুতিক আগুন, গ্যাসের আগুন এবং রান্নার আগুন।


৪. অগ্নিকান্ড সৃষ্টি হবার হার কোন ক্ষেত্রে কেমন?
উঃ বৈদ্যুতিক কারণে ৪৪%, কারখানার রান্নাঘর থেকে ২৫%, সিগারেটের কারণে ১০%, ডাস্ট থেকে ৬%, খোলাবাতি ৫%, ঘর্ষনজনিত কারণে ৩%, স্যাবোটাজ ২% ও অন্যান্য কারণে ৫%।


৫. দাহ্য বস্তু কাকে বলে?
উঃ যে সকল বস্তু বা পদার্থ দ্বারা প্রজ্জ্বলন প্রক্রিয়া সম্পর্ণ হয় তাকে দাহ্য বস্তু বলে।


৬. দাহ্য বস্তু কত প্রকার ও কি কি?
উঃ দাহ্য বস্তু তিন প্রকার। যথাঃ সহজ দাহ্য বস্তু, মাঝারি ঘনত্ব বিশিষ্ট দাহ্য বস্তু, অধিক ঘনত্ব বিশিষ্ট দাহ্য বস্তু।


৭. পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইসার কি?
উঃ সহজে বহনযোগ্য যে যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নির্বাপন করা হয় তাকে পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইসার বা বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বলে।


৮. অটোমেটিক ফায়ার এক্সটিংগুইসিং বল কি?
উঃ যে বল কারো অনুপস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভায় বা কেউ তা আগুনে নিক্ষেপ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নিভে যায় তাকেই অটোমেটিক ফায়ার এক্সটিংগুইসিং বল বা স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বলে।


৯. কোন আগুনের জন্য কোন ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করা হয়?
উঃ কঠিন পদার্থের আগুন (Solid Fire: Class–A) [DCP, CO2 and H2O], তরল পদার্থের আগুন (Liquid Fire: Class–B) [Foam], ধাতব পদার্থের আগুন (Metal Fire: Class-D) [Sand, Soil, Graphite and Talcum Power], বৈদ্যুতিক আগুন (Electrical Fire: Class-E) [Co2], গ্যাসের আগুন (Gas Fire: Class–C) [ DCP, Sand, Soil], রান্নার আগুন (Cooking Fire: Class–F/K) [Wet Chemical Fire Extinguishers].


১০. এক্সটিংগুইসার ভালো নাকি খারাপ তা বুঝবো কি করে?
উঃ এক্সটিংগুইসারের প্রেসার বা স্পার চার্জ নির্দেশক কাটাটি সবুজ অংশে থাকলে তা ভালো আর উক্ত কাটাটি লাল অংশে তাকলে তা খারাপ।


১১. ফায়ার এক্সটিংগুইসার কত সময় পর পর রিচার্জ করতে হয়?
উঃ এক বছর পর পর।


১২. একটি ফ্লোরে কতগুলো ফায়ার এক্সটিংগুইসার লাগবে?
উঃ প্রতি ৯০ বর্গ মিটারের জন্য একটি ফায়ার এক্সটিংগুইসার লাগবে।


১৩. কত উচ্চতায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার স্থাপন করতে হবে?
উঃ এক্সটিংগুইসারের তলদেশ বা ভূমি হতে ১ মিটার উপরে।


১৪. দুটি ফায়ার এক্সটিংগুইসারের মধ্যে দূরত্ব কেমন হবে?
উঃ ৩০ মিটার (১০০ ফুট) এর অধিক দূরত্বে থাকতে পারবে না।


১৫. ফায়ার এক্সটিংগুইসার কোথায় স্থাপন করতে হবে?
উঃ বহির্গমন পথ, দরজার নিকটে বা সহজে পৌঁছানো যায় এমন স্থানে।


১৬. ফায়ার স্প্রিংকলার কি?
উঃ এটি স্থায়ী সেন্সর এবং অগ্নি স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপণী ব্যবস্থা। স্প্রিংকলারের মাথায় একটি বাল্ব থাকে যার তাপমাত্রা পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট করা থাকে। সাধারণত তাপমাত্রা ঐ নির্ধারিত তাপমাত্রার উপরে উঠলে এটি কাজ শুরু হয়।


১৭. ফায়ার স্প্রিংকলার কিভাবে স্থাপন করতে হবে?
উঃ ৭৫ ফুট বা ২৩ মিটার উঁচু ভবনের প্রতি তলার জন্য স্প্রিংকলার প্রয়োজন। প্রতি ১৩০ বর্গ ফুট জায়গার জন্য ১ টি ফায়ার স্প্রিংকলার স্থাপন করতে হবে।


১৮. ফায়ার স্প্রিংকলারের জন্য পানির পাম্পের সাইজ কত হবে?
উঃ ৩২০০ লিটার/মিনিট বা ৮৪৫ জি.পি.এম. (গ্যালন পার মিনিট)


১৯. স্প্রিংকলারের পানির চাপ কেমন হতে হবে?
উঃ ১০০ কে.পি.এ. (কিলোপ্যাসক্যাল)


২০. স্প্রিংকলার সিস্টেমের জন্য পানির পাইপের ডাইয়া কেমন হতে হবে?
উঃ ৫, ৬ বা ৮ ইঞ্চি।


২১. স্প্রিংকলার সিস্টেমের জন্য পানির রিজার্ভের আকার কেমন হতে হবে?
উঃ ৫১ মিটার পর্যন্ত উঁচু ভবনের জন্য ২,৪০,০০০ লিটার।


২২. ফায়ার হাইড্রেন্ট ও স্ট্যান্ডপাইপ সিস্টেম কি?
উঃ স্ট্যান্ডপাইপ, হোস বা রীল পাইপ ও স্প্রিংকলারের সম্মিলিত রূপই হলো ফায়ার হাইড্রেন্ট ও স্ট্যান্ডপাইপ সিস্টেম।


২৩. ফায়ার হাইড্রেন্ট কিভাবে স্থাপন করতে হবে?
উঃ যে সকল ভবনের উচ্চতা ১০ মিটার বা ৩৩ ফিট এর অধিক সে সকল ভবনে ফায়ার হাইড্রেন্ট প্রয়োজন। প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ৭৫০ বর্গ মিটার বা তার বেশি হলে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হবে।


২৪. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর জন্য পানির পাম্পের সাইজ কত হবে?
উঃ ১৯০০ লিটার/মিনিট বা ৫০০ জি.পি.এম. (গ্যালন পার মিনিট)


২৫. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর পানির চাপ কেমন হতে হবে?
উঃ ৪৫০ কে.পি.এ. (কিলোপ্যাসক্যাল)


২৬. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর জন্য পানির পাইপের ডাইয়া কেমন হতে হবে?
উঃ ৫, বা ৬ ইঞ্চি।


২৭. ফায়ার হাইড্রেন্ট এর জন্য পানির রিজার্ভের আকার কেমন হতে হবে?
উঃ ৫১ মিটার পর্যন্ত উঁচু ভবনের জন্য ১,৪২,৫০০ লিটার।


২৮. হাইড্রেন্ট সিস্টেমে কি ভাবে পানি সরবরাহ করা হয়?
উঃ তিন ভাবে পানি সরবরাহ করা হয়। যথাঃ পাম্পের মাধ্যমে সরাসরি, গভীর নলকূপের মাধ্যমে ও ভবনের ছাদে পানির রিজার্ভার স্থাপনের মাধ্যমে।


২৯. স্প্রিংকলার সিস্টেম ও হাইড্রেন্ট সিস্টেমের জন্য ট্যাংকের উচ্চতা কেমন হবে?
উঃ উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পানির পাইপ থেকে কমপক্ষে ১০ মিটার উঁচুতে স্থাপন করতে হবে।


৩০. রাইজার ব্যবহারের নিয়ম কি?
উঃ প্রতি ৮৫০ বর্গ মিটারের জন্য ১ টি।


৩১. ফায়ার এলার্ম সিস্টেম কি?
উঃ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হলে নিরাপদে বেরিয়ে আসার জন্য যে সতর্কতা সংকেত দেয়া হয় তাকে ফায়ার এলার্ম সিস্টেম বা অগ্নি হুশিয়ারী সংকেত ব্যবস্থা বলে।


৩২. এলার্ম সিস্টেম কত প্রকার?
উঃ এলার্ম সিস্টেম দুই প্রকার। যথাঃ ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক।


৩৩. ফায়ার ডিটেক্টর কাকে বলে?
উঃ কোথাও অগ্নিকান্ডের মত দূর্ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে যে সেন্সর স্বয়ংক্রিয় ভাবে আগুন নির্ণয় করে ও এলার্ম দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেয় তাকে ডিটেক্টর বলে।


৩৪. কেন ফায়ার এলার্ম সিস্টেম এবং ফায়ার ডিটেক্টর সিস্টেম প্রয়োজন?
উঃ নিরাপত্তার জন্য।


৩৫. ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম সিস্টেম স্থাপনের নিয়ম কি?
উঃ ফ্লোর লেভেল থেকে ৪৮ ইঞ্চির উপরে নয় ও ৪২ ইঞ্চির নিচে নয়। এক্সিজ ডোরের ৫ মিটারের মধ্যে স্থাপন করতে হবে।


৩৬. দুটি ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম বক্সের মধ্যে দূরত্ব কেমন হবে?
উঃ ২০০ ফুটের কম হবে।


৩৭. ফায়ার স্মোক ডিটেক্টর স্থাপনের নিয়ম কি?
উঃ সিলিং এ ব্যবহার করতে হবে। সিলিং এ ব্যবহার করা সম্ভব না হলে সিলিং থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে দেয়ালে স্থাপন করতে হবে।


৩৮. কত দিন পরপর স্মোক ডিটেক্টর চেক করতে হবে?
উঃ স্থাপন করার ১ বছর পরপর।


৩৯. এলার্ম সিস্টেমের মাইক গুলো কত উচ্চতায় লাগাতে হবে?
উঃ ফ্লোর লেভেল থেকে ৯০ ইঞ্চির উপরে ও ছাদ থেকে ৬ ইঞ্চির নিচে।


৪০. ভবনে সিঁড়ির প্রস্থ এবং উচ্চতা কেমন হবে?
উঃ ছয় তলা পর্যন্ত প্রস্থে ১.১৫ মিটার ও উচ্চতা ২ মিটারের কম হতে পারবে না।


৪১. সিঁড়ির অবস্থান কেমন হবে?
উঃ বহির্গমন পথ বা সিঁড়ি কোন ব্যক্তির স্থায়ী অবস্থান বা কাজের স্থান হতে ৫০ মিটারের কম হতে হবে।


৪২. কতগুলো সিঁড়ি প্রয়োজন?
উঃ কতগুলো সিঁড়ি প্রয়োজন তা নির্ভর করে মোট ব্যবহারকারী উপর। কোন প্রতিষ্ঠান বা কারখানা ক্ষেত্রে মোট লোক সংখ্যা ৫০০ বা তার কম হলে ২টি, ৫০১ থেকে ১০০০ হলে ৩টি এবং ১০০০ এর অধিক হলে নূন্যতম ৪টি সিঁড়ি রাখতে হবে।


৪৩. সিঁড়ির কৌনিক দূরত্ব কত হবে?
উঃ সিঁড়ির সমতল হতে ৪৫ ডিগ্রী কোণের অধিক হতে পারবে না।


৪৪. কতগুলো সিঁড়ি বহির্মুখী হবে?
উঃ নূন্যতম অর্ধেক সংখ্যক সিঁড়ি।


৪৫. আইলস মার্কিং এর প্রস্থ কত হবে?
উঃ ৫০ জন এর কম ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে ০.৯ মিটার ও ৫০ জন এর বেশী ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে ১.০ মিটার।


৪৬. কোথায় কেমন ফায়ার ডোর প্রয়োজন?
উঃ জেনারেটর রুমের জন্য ২ ঘন্টা, ট্রান্সফর্মার রুমের জন্য ২ ঘন্টা, গুদাম বা সংরক্ষণাগারের জন্য ৪৫ মিনিট, চারতলা বা তার অধিক উচ্চতার ভবনের জন্য ১ ঘন্টা এবং পাঁচতলা বা তার অধিক উচ্চতার ভবনের জন্য ২ ঘন্টা।


৪৭. ফায়ার ডোর কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়?
উঃ কাঁচ, ষ্টিল, এলুমিনিয়াম, জিপসাম, কাঠ ও ভারমিকুলাইড বোর্ড।


৪৮। ফায়ার ডোর কত প্রকার ও কি কি?
উঃ ফায়ার ডোর তিন প্রকার। যথাঃ রোলিং ষ্ট্রীল, সুইংগিং এবং ডাবল ফায়ার ডোর।


৪৯. দরজা খোলার বিষয়ে নির্দেশিকা কি?
উঃ স্লাইডীং দরজা ছাড়া বাকি সকল দরজা বাহির দিকে খোলা যায় এমন হতে হবে।


৫০. দরজায় তালা দেয়া যাবে?
উঃ ভেতরে কেউ থাকলে বা কাজ চলা কালীন সময়ে দরজায় তালা দেয়া যাবে না।


৫১. বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কত প্রকার ও কি কি?
উঃ চার প্রকার। যথাঃ ১. ডি.সি.পি (ড্রাই ক্যামিকেল পাউডার), ২. সি.ও.টু (কার্বন-ডাই-অক্সাইড), ৩. ফোম টাইপ, এবং ৪. ওয়াটার টাইপ।


৫২. ফায়ার এক্সটিংগুইসার প্রয়োগের সময় কতটুকু দূরত্ব বজায় রাখতে হবে?
উঃ আগুনের উৎপত্তিস্থলের সর্বোচ্চ ২ মিটার দূরে থাকতে হবে।


৫৩. সিলিন্ডারের গায়ের রং দেখে এক্সটিংগুইসার চেনার উপায় কি?
উঃ পাউডার টাইপ এক্সটিংগুইসার নীল রঙের, কার্বন-ডাই-অক্সাইড কালো রঙের, ফোম টাইপ হলো ক্রীম কালার এবং ওয়াটার টাইপ হচ্ছে লাল রঙের।


৫৪. হোজ রীল পাইপ কি?
উঃ হোজ রীল একটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এটি প্রতিটি ফ্লোরের উভয় পার্শ্বে সিঁড়ির কাছাকাছি স্থানে স্থাপন করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার থেকে ১০০ ফুট হবে।


৫৫. রাইজিং কি?
উঃ রাইজিং হলো কোন উঁচু ভবনে খাড়াভাবে স্থায়ী পাইপ স্থাপন করে প্রতিতলায় একটি করে পানি সরবরাহের জন্য হোজ সংযোগ ব্যবস্থা রাখা ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য নীচ তলায় বুষ্টার পাম্প বা ফায়ার পাম্প স্থাপন করা।


৫৬. ফায়ার হুক কি?
উঃ ফায়ার হুক কাঠ ও ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি। আগুনের সূচনালগ্নে আগুনের পাশের দাহ্যবস্তুকে এর সাহায্যে সরিয়ে বা সীমিতকরণ করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়।


৫৭. লক কাটার কি?
উঃ লক কাটার ব্যবহার করা হয় জরুরী প্রয়োজনে তালাবদ্ধ দরজার তালা বা মেটাল গ্রীল কাটার জন্য।


৫৮. এক্সিট ডোরের পরিমাপ কেমন হবে?
উঃ প্রস্থ ১ মিটার ও উচ্চতা ২ মিটারের কম হতে পারবে না।


৫৯. ফায়ার লিফটের ধারন ক্ষমতা কত হবে?
উঃ নূন্যতম ৮ জন ধারণক্ষমতার হতে হবে।


৬০. ভবনের ছাদের সুরক্ষা প্রাচীর কেমন হবে?
উঃ নূন্যতম ১০৬৭ মিলিমিটার (৪২ ইঞ্চি) উচ্চতা সম্পন্ন গার্ড নির্মাণ করতে হবে।


৬১. ওয়েল্ডিং এবং কাটিং এর সময় দাহ্য বস্তুকে কতটুকু দূরত্বে রাখতে হবে?
উঃ এ সময় সম্ভাব্য দাহ্য বস্তুকে ৩৫ ফুট বা ১১ মিটার দূরে রাখতে হবে।


৬২. ফায়ার বিটার কি?
উঃ যে যন্ত্র দ্বারা বিট বা প্রহার করে আগুন নির্বাপন করা হয় তাকে ফায়ার বিটার বলে।


৬৩. রাসায়নিক দ্রব্য মানবদেহে প্রবেশের মাধ্যম কয়টি ও কি কি?
উঃ তিন টি। যথাঃ ১. নিঃশ্বাস, ২. গলধঃকরন ও ৩. ত্বকের সংস্পর্শ।


৬৪. পি.পি.ই. কি?
উঃ পিপিই হলো পার্সোনাল প্রক্টেটিভ ইক্যুইপমেন্ট অর্থাৎ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম।


৬৫. ক্যামিকেলের পিপিই গুলো কি কি?
উঃ মাস্ক, চশমা, হ্যান্ডগ্লবস, গামবুট ও ক্যামিকেল প্রতিরোধক পোশাক।


৬৬. পিপিই কেন জরুরী?
উঃ যে কোন দূর্ঘটনা থেকে নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য।


৬৭. কোথাও অগ্নিকান্ড সংগটিত হলে সর্বপ্রথম করনীয় কি?
উঃ বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে।


৬৮. পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইসার ও এক্সটিংগুইসিং বল এ দুটির মধ্যে সহজ ও সুবিধাজনক কোনটি?
উঃ এক্সটিংগুইসিং বল।


৬৯. কেন এক্সটিংগুইসিং বল সহজ ও সুবিধা জনক?
উঃ কারণ এ বল ব্যবহারে জন্য কোন অভিজ্ঞতা, কার উপস্থিতি ও রক্ষনাবেক্ষণের দরকার নেই।


৭০. শরীরে আগুন লাগলে কি করতে হবে?
উঃ মুখমন্ডলে উপর দু হাত রেখে দ্রুত মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে।


৭১. ধোঁয়াচ্ছন্ন হলে বা ধোঁয়ার মধ্যে আটকা পরলে করনীয় কি?
উঃ গ্যস মাস্ক বা ভেজা কোন কাপরের টুকরা দিয়ে নাক ও মুখ বেঁধে বা চেপে রাখতে হবে।


৭২. ভবনের ধ্বংসাবশেষ বা ভারী কোন বস্তু নিচে আটকা পড়লে করনীয় কি?
উঃ চিৎকার করে বা অযথা নড়াচড়া করে শরীরের শক্তি শেষ করা যাবে না। কারও সাহায্য পেতে দেয়াল বা মেঝেতে শক্ত কিছুদিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করতে হবে।


৭৩. শরীরে ক্যামিকেল লাগলে কি করতে হবে?
উঃ পরিহিত পোশাক আংটি, ঘড়ি, বেল্ট , চুড়ি ইত্যাদি সাথে সাথে খুলে ফেলতে হবে। শরীরের আক্রান্ত স্থান প্রচুর পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।


৭৪. ক্যামিকেল চোখের সংস্পর্শে আসলে করনীয় কি?
উঃ আক্রান্ত চোখের পাতা খোলা রেখে চোখে প্রচুর পানি দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে এবং ডাক্তারের নিকট যেতে হবে।


৭৫. ক্যামিকেল নিঃশ্বাসের সাথে ও মুখে প্রবেশ করলে করনীয় কি?
উঃ নিঃশ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে দ্রুত মুক্ত বাসাতের নিকট যেতে হবে এবং উভয়ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।


৭৬. হঠাৎ ভূমিকম্প অনুভূত হলে তাৎক্ষণিক কি করনীয়?
উঃ ঘড়ে থাকলে মাথায় হাত, বালিশ, কূশন বা অন্যকিছু রেখে দ্রুত শক্ত খাট, টেবিলের নিচে অথবা কলাম বা বীমের পাশে আশ্রর নিতে হবে। বাহিরে থাকলে খোলা জায়গায় নিরাপদে অবস্থান করতে হবে।


৭৭. ফায়ার ড্রিল বা অগ্নি মহড়া কি?
উঃ অগ্নিকান্ড বা যেকোন জরুরী অবস্থায় ভবন হতে নিরাপদে বের হবার জন্য যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তার প্রক্রিয়াকে ফায়ার ড্রিল বা অগ্নি মহড়া বলে।


৭৮. অগ্নি মহড়া কোথায় কোথায় প্রয়োজন?
উঃ বহুতল ভবন, কাজের স্থান, বিদ্যালয় এমনকি বাড়িতেও অগ্নি মহড়ার প্রয়োজন।


৭৯. অগ্নি মহড়ার মূল উদ্দ্যেশ্য কি?
উঃ জীবন ও সম্পদ রক্ষাসহ ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা।


৮০. অগ্নি মহড়া কত প্রকার ও কি কি?
উঃ দুই প্রকার। যথাঃ ১. ঘোষনার মাধ্যমে এবং ২. ঘোষনা বিহীন।


৮১. কত দিন পরপর অগ্নি মহড়া করতে হবে?
উঃ অগ্নি মহড়া প্রয়োজন অনুসারে যেকোন সময় করা যেতে পারে। তবে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর একবার অনুশীলন করা সবচেয়ে উত্তম।


৮২. কোন প্রতিষ্ঠান বা কারখানার ক্ষেত্রে অগ্নি মহড়ার বিধান কি?
উঃ প্রথম দুই বছরের জন্য প্রতি বছর ৪বার ও দুই বছর পর থেকে প্রতি বছর ২বার করে অগ্নি মহড়ার আয়োজন করতে হবে।


৮৩. প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
উঃ ডাক্তার আসার পূর্বে হাতের নিকট যে সকল উপকরন পাওয়া যায় তা দিয়ে রোগীকে সেবা দেয়ার নাম প্রাথমিক চিকিৎসা।


৮৪. প্রাথমিক চিকিৎসা কেন দরকার?
উঃ প্রাথমিক চিকিৎসার ফলে অনেক সময় রোগী নিশ্চিত মৃত্যু ও পঙ্গুত্ববরণ থেকে বেঁচে যায়। আবার অনেক সময় শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার ফলেই রোগী সেরে উঠে।


৮৫. আগুনে পোড়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন?
উঃ ক্ষতস্থানে প্রচুর পরিমান ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে বা ক্ষতস্থান ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত গরম ভাব ও জ্বালা যন্ত্রনা না কমে। পরবর্তীতে ডার্মাজিন মলম বা বার্ণ অয়েনমেন্ট লাগাতে হবে। জীবানুমুক্ত ব্যান্ডেজ দ্বারা ক্ষতস্থান হালকা করে বেঁধে রাখতে হবে।


৮৬. ধোঁয়া আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
উঃ দ্রুত কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।


৮৭. এসিডে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
উঃ আক্রান্ত স্থানের কাপড় সড়িয়ে বা খুলে প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। কোন প্রকার ঔষধ লাগানো যাবে না।


৮৮. হাড় ভাঙ্গার ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কি?
উঃ ভাঙ্গাস্থান সম্ভব হলে সাথে সাথে সোজা করে দিতে হবে এবং রক্তপাত হলে তা বন্ধ করতে হবে। ঘটনাস্থলেই রোগীর ভাঙ্গাস্থানে হালকা ব্যান্ডেজ করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।


৮৯. বিদ্যুতায়িত হলে সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা কেমন?
উঃ বিদ্যুৎ অপরিবাহী কোন বস্তু দিয়ে রোগীকে বিচ্ছিন্ন করার পর সমস্ত শরীর ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা হলে মুখে মুখ লাগিয়ে বা কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।


৯০. ডুবে যাওয়া ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কি?
উঃ প্রথমেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু আছে কিনা। চালু না থাকলে নাক বন্ধ করে মুখে মুখ লাগিয়ে বাতাস দিতে হবে। কাজ না হলে দুহাত বুকের উপড়ে রেখে চাপ দিতে হবে ও কিছু সময় পরপর মুখে মুখ লাগিয়ে বাতাস দিতে হবে রোগীর পালস না পাওয়া পর্যন্ত। এ প্রক্রিয়ায় কাজ না হলে রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে পেট ধরে উঁচু করে পিঠে আস্তে আস্তে চাপড় দিতে হবে।


৯১. পাঁচ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগলে সে ক্ষেত্রে উদ্ধার প্রক্রিয়া বা ইভাকুয়েশন পদ্ধতি কেমন?
উঃ সর্বপ্রথম তৃতীয় তলার লোকদের বের করতে হবে। তারপর চতুর্থ, পঞ্চম তলা ও সবশেষে দ্বিতীয় ও প্রথম তলার লোকদের নামিয়ে আনতে হবে।


৯২. কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসে নাম্বার কত?
উঃ ফোন নং- 02-22-33-55555


৯৩. জরুরী সেবা পেতে কোথায় ফোন করবো?
উঃ ন্যাশনাল ইমারজেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ তে ফোন করুন।


৯৪. দূর্যোগের আগাম বার্তা পেতে কোন নাম্বারে ফোন করবো?
উঃ ফোন নং- ১০৯০


৯৫. ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারনের যন্ত্রের নাম কি?
উঃ তীবতা মাপার যন্ত্রের নাম – রিখটার স্কেল ও মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেল এবং প্রচন্ডতা মাপার যন্ত্রের নাম – মার্কারি স্কেল ও রসি-ফরেল স্কেল।


৯৬. আবহাওয়া সতর্ক সংকেত কি ও কয়টি?
উঃ আকষ্মিক কোন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ও নিরাপদ থাকতে আবহাওয়া সতর্ক সংকেত প্রদান করা হয়। এ সতর্ক সংকেত মোট ১১ টি।


৯৭. সতর্ক সংকেত নাম্বার গুলোর মানে কি?
উঃ ১-দূরবর্তী সতর্ক সংকেত, ২-দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত, ৩-স্থানীয় সতর্ক সংকেত, ৪-স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত, ৫-বিপদ সংকেত, ৬-বিপদ সংকেত, ৭-বিপদ সংকেত, ৮-মহা বিপদ সংকেত, ৯-মহা বিপদ সংকেত, ১০-মহা বিপদ সংকেত এবং ১১-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত।


৯৮. বাংলাদেশে বেশি অগ্নিকান্ড সংগঠিত হবার কারন কি?
উঃ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও বিস্ফোরণ।


৯৯. বাংলাদেশে চিহ্নিত প্রধান প্রধান ভয়াবহ দুর্যোগগুলি কি কি?
উঃ আগুন, ভবনধ্বস, বন্যা ও ভূমিকম্প।


১০০. বিভিন্ন দুর্যোগ ও দূঘর্টনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারা?
উঃ শিশু, বয়ষ্ক ব্যক্তি, নারী ও স্বল্প আয়ের মানুষ।



কোন মন্তব্য নেই: