শিল্প কারখানার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট | Industrial Risk Assessment | RMG Industry - Textile Lab | Textile Learning Blog
শিল্প কারখানার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট ও ‍বিবিধঃ

রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট হলো  সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং উৎপত্তিস্থল এবং সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে অ্যাসেসমেন্ট করা। আমরা যারা শিল্প-কারখানায় বা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে কাজ করি তাদের যদি আগে থেকে জানা থাকে কোন ধরনের কাজে কি ধরনের   রিস্ক হতে পারে এবং তার উৎপত্তিস্থল  বা কি?এবংসম্ভাব্য সমাধানের উপায় কি?  তবে খুব সহজেই রিস্ক  বা দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।  এ জন্য প্রত্যেকটি শিল্প-কারখানায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেকশন অথবা ডিপার্টমেন্ট নিয়ে রিস্ক  অ্যাসেসমেন্ট করা খুবই জরুরী এর মাধ্যমে  বিভিন্ন ধরনের  অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।


১) ঝুকির উৎসঃ প্লেইন সুইং মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ সেলাই মেশিনে ব্যবহৃত সুঁচ (Needle) আঙ্গুলে, চোখে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে আঘাত করতে পারে।

প্রতিকারঃ মেশিনে নিডিল গার্ড, আই গার্ড ব্যবহার করুন।


২) ঝুকির উৎসঃ প্লেইন সুইং মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ মেশিনে পুলি বেল্টে কাপড় বা অন্য কিছু পেচিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রতিকারঃ মেশিনের নিরাপত্তা কভার গুলো যেমন পুলি কভার , উপর ও নিচের বেল্ট কভার লাগিয়ে কাজ করুন।

৩) ঝুকির উৎসঃ ফ্ল্যাট লক এবং ওভার লক মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ মেশিনে ব্যবহৃত সুঁচ (Needle)  চোখে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে আঘাত করতে পারে।
প্রতিকারঃ মেশিনে আই গার্ড ব্যবহার করুন।


৪) ঝুকির উৎসঃ ফ্ল্যাট লক এবং ওভার লক মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ মাস্ক না পরলে প্রশ্বাসের সাথে ময়লা ধুলোবালি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে ভবিষ্যতে নানা ধরণের রোগ যেমন যক্ষা, হাপানী ইত্যাদি হতে পারে।
প্রতিকারঃ উপযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করুন।

৫) ঝুকির উৎসঃ বারটেক, বাটন হোল, বাটন ষ্টীচ, স্ন্যাপ বাটন, বাটন এটাচ মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ কাজ চলাকালীন সুঁচ বা বাটন ভেঙ্গে বা ফসকে চোখে লাগতে পারে। আঙ্গুল থেতলে যেতে পারে।

প্রতিকারঃ মেশিনে ফিঙ্গার গার্ড, আই গার্ড ব্যবহার করুন।


৬) ঝুকির উৎসঃ সাধারণ
সম্ভব্য ঝুকিঃ মেশিনের বৈদ্যুতিক কানেকশন লুজ থাকলে অগ্নি দূঘটনা ঘটতে পারে।

প্রতিকারঃ কাজ শুরুর পূর্বে মেশিনের বৈদ্যুতিক কানেকশন পরীক্ষা করে নিন ও রাবার ম্যাট ব্যবহার করুন।

৭) ঝুকির উৎসঃ ডাষ্ট
সম্ভব্য ঝুকিঃ মাস্ক না পরলে প্রশ্বাসের সাথে ময়লা ধুলোবালি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে ভবিষ্যতে নানা ধরণের রোগ যেমন যক্ষা, হাপানী ইত্যাদি হতে পারে।
প্রতিকারঃ উপযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করুন।


৮) ঝুকির উৎসঃ সিজার, কাটার, ভোঁমর, হ্যান্ড ট্যাগ গান
সম্ভব্য ঝুকিঃ সিজার, কাটার, ভোমর, হ্যান্ড ট্যাগ গান খোলা থাকলে তা পড়ে হাত-পা বা শরীরে কোন অংশ কেটে যেতে পারে।
প্রতিকারঃ সিজার, কাটার, ভোঁমর, হ্যান্ড ট্যাগ গান সুতা বা রশি দিয়ে বেধে রাখুন।

৯) ঝুকির উৎসঃ আয়রণ মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ আয়রণ অপারেটর নির্দেশিকা না মানলে বিপদে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিকারঃ আয়রণম্যান গনের উচিত আয়রণ আপারেটর নির্দেশিকা মেনে কাজ করা।

৬) ঝুকির উৎসঃ চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা
সম্ভাব্য ঝুঁকিঃ চলাচলের রাস্তায় বাঁধা মুক্ত না থাকলে চলাচলের সময় হোচট খেয়ে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিকারঃ চলাচলের পথ সর্বদা বাধাঁ মুক্ত রাখা।


৭) ঝুকির উৎসঃ উচ্চ শব্দ
সম্ভব্য ঝুকিঃ উচ্ছ শব্দের কারনে কানের সমস্যা হতে পারে, যেমন কানে কম শোনা সহ মাথা ব্যাথা হতে পারে।
প্রতিকারঃ ইয়ার প্লাগ / ইয়ার মাপ ব্যবহার করতে হবে।

১৪) আগুন
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাঃ আগুন
ঝুঁকির কারনঃ বৈদ্যুতিক গোলযোগ রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ, ধুমপান।
ঝুঁকির মাত্রাঃ উচ্চ
বিপদ/ক্ষতির সম্ভাবনাঃ জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন।

ঝুঁকি প্রতিরোধে করনীয়ঃ

ক) সকল বৈদ্যূতিক বোর্ড, তার ত্রæটিমুক্ত আছে কিনা নিদিষ্ট সময় পর পর পরীক্ষা করা।

খ) অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র পর্যাপ্ত পরিমানের স্থাপন করা।

গ) মাসে একবার অগ্নি মহড়া করা।

ঘ) কর্মক্ষেত্রে ধূমপান বর্জন ও সর্তীকরন পোস্টার লাগানো।

ঙ) অগ্নি নির্বাপন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে বছরে একবার কর্মশালার প্রয়োজন করা।

চ) অগ্নি নির্বাপন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে বছরে একবার কর্মশালার আয়োজন করা।

ছ) অগ্নি প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসব ও উদ্ধারকারী দল তৈরী করা।

জ) আগুন উর্দ্ধমুখী তাই তৃতীয় তলার আগুন লাগলে প্রথমে সেখানকার তারপর ৪র্থ তলা এরপর ৫ম তলা এবং সর্বশেষ দ্বিতীয় ও প্রথম তলার লোকজন বের হবে।


১৫) ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাঃ স্টোর

ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ও বিবরনঃ

ক) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ৫ কেজির বেশী মালামাল বহন করলে।

খ) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সিড়ি দিয়ে উপরে বহন করার ক্ষেত্রে ৪০ কেজির বেশ মালামাল বহন করলে।

গ) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা ৩০ কেজির বেশী মালামাল বহন করলে।

ঘ) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা সিড়ি  দিয়ে উপরে বহন করার ক্ষেত্রে ২৫ কেজির বেশী মালামাল বহন করলে।

ঙ)  অতিরিক্ত ভারী বস্তু নীচে হইতে মাথায় তুলতে গেলে মাজায় ব্যাথা লাগতে পারে।

ঝুঁকির বিবরনঃ
শারিরীক সমস্যা হতে পারে।

ঝুঁকি এড়ানোর উপায়ঃ

ক) সামনের দিকে ঝুকে ভার উত্তোলন না করা।

খ) ভার উত্তোলন পূর্বে ওজন সম্পর্কে জেনে নেওয়া।

গ) ওজন বহনের সময় সর্বদা ট্রলি ব্যবহার করা।

ঘ) ভার/ওজন বহনের ক্ষেত্রে অপরের সাহায্য নেওয়া।

ঙ) স্টোরে মালামাল স্টোরেজ করার সময় মাচা বা সিড়ি ব্যবহার করা।

চ) ভার উত্তোলনের কাজে /অতিরিক্ত ওজন বহনের কাজে মহিলা শ্রমিকদের নিয়োজিত না করা।

ছ) ভার উত্তোলনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মীদেরকে মাঝে মাঝে প্রশিক্ষন দেওয়া।

জ) পরিবহনের জন্য ব্যবহুত রাস্তা অবশ্যই এমনভাবে বাঁধামুক্ত হইতে হইবে যাহাতে শ্রমিকের হোঁচট খাইবার সম্ভাবনা না থাকে এবং কোন মতেই উহা পিচ্ছিল হইতে পারিবে না।

১৬ ) সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগ
রোগের নাম

০১। যক্ষা

০২। ডাইরিয়া-টাইফয়েড হেপাটাইটিস-এ

০৩। হেপাটাইটিস-বি

০৪। চিকেন পক্স (জল বসন্ত)

০৫। স্কাবিজ (খোসপাঁচড়া)

০৬। ডেঙ্গু/ম্যালেরিয়া

০৭। কৃমি

০৮। সিফিলিয়া / গনোরিয়া / এইডস

০৯। জন্ডিস

১০। চোখ উঠা

১১। উচ্চ রক্তচাপ

১২। স্ট্রোক

১৩। করোনারী র্হ্টা ডিজিজ

১৪। মানসিক রোগ

১৫। টিউমার

১৬। ক্যান্সার

১৭। ডায়বেটিস

১৮। এসিডিটি

১৯। সাইনোসাইনিস

২০। পিত্তথলির পাথর

২১। কিডনী রোগ


১৭) দুর্নীতি / উৎকোচ
সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ শ্রমিক / অংশীদারী / ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ শ্রমিক/ঠিকাদার/ অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান থেকে  নিয়োগ শর্তে অর্থ বা দামী উপহার গ্রহনের সম্ভাবনা।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ

ক) শ্রমিক/ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানীর নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।

 খ) শ্রমিক/ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

গ) শ্রমিক/ঠিকাদার/ অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার দুর্ণীতি বা অবৈধ কার্যক্রম প্রমাণিত হলে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করতে হবে।

বাস্তবায়নঃ
সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ সিডিউলের আ্রওতায় এনে হয়রানী, ঘুষ ও দুর্ণীতি নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ এবং শ্রমিক/ ঠিকাদার/ অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে অবগত করা হয়।

১৮)  সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ কারখানার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র ছাড়া কোন প্রকার মালামাল প্রবেশ বা বাহির করা, গেইটপাশে উল্লেখিত মালামালের চেয়ে বেশি পরিমাণ মালামাল গেইট দিয়ে বের হতে দেয়া, অবৈধ অনূপ্রবেশ এবং অবৈধ মালামাল প্রবেশ করতে দেয়া, আভ্যন্তরীণ কোন তথ্য বাহিরে আদান প্রদান করা।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ
নিরাপত্তা নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বাস্তবায়নঃ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষন সিডিউলের আওতায় এনে নিরাপত্তা নীতিমালা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করা হয়।



১৯)সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ অর্ডার নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ বায়ার এর সাথে যে দরে অর্ডার নেগোশিয়েশন করা হয় তা গোপন রেখে কম দরে কোম্পানীর নিকট উপস্থাপন করা ।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ পণ্যের মূল্য নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে কোম্পানীর মার্কেটিং নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বাস্তবায়নঃসংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানির মার্কেটিং নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।


২০) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ বেতন ও মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ শ্রমিকদের বেতন কম প্রদান করা ও অনুপস্থিত শ্রমিকের বেতন স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করা।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ  সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সঠিকভাবে নথিপত্র নিরীক্ষণের মাধ্যমে।
বাস্তবায়নঃ সংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানীর দুর্ণীতি নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।

২১) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ মাতৃত্বকালীন সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
গর্ভবতী মহিলা শ্রমিককে মাতৃত্বকালীন ছুটি ও আর্থিক সুবিধা কম অথবা না দিয়ে আত্নসাৎ করা।
সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ কোম্পাানীর মাতৃত্বকালীন সুবিধার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। মাতৃত্বকালীন সুবিধার অর্থ প্রদানের সময় ওয়েলফেয়ার অফিসার স্বশরীরে হাজির থেকে অর্থ প্রদান করা।

বাস্তবায়নঃ সংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানীর মাতৃত্বকালীন সুবিধার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।


২২) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ
 ষ্টোরে মালামাল ক্রয় ও  ব্যবহার করার ক্ষেত্রে

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
ষ্টোরে মালামাল অপর্যাপ্ত ক্রয় ও অতিরিক্ত ব্যবহার করা

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ
কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সঠিকভাবে অনুসরণ করে কি না তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সঠিকভাবে নথিপত্র নিরীক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করা।

বাস্তবায়নঃ
কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা ও পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।


২৩) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ
রক্ষনাবেক্ষন মালামাল ক্রয় ও  ব্যবহার করার ক্ষেত্রে 
কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
রক্ষনাবেক্ষন মালামাল অপর্যাপ্ত ক্রয় ও অতিরিক্ত ব্যবহার করা

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ
কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সঠিকভাবে অনুসরণ করে কি না তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সঠিকভাবে নথিপত্র নিরীক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করা।

বাস্তবায়নঃ কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা ও পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে

শিল্প কারখানার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট | Industrial Risk Assessment | RMG Industry

শিল্প কারখানার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট ও ‍বিবিধঃ

রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট হলো  সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং উৎপত্তিস্থল এবং সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে অ্যাসেসমেন্ট করা। আমরা যারা শিল্প-কারখানায় বা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে কাজ করি তাদের যদি আগে থেকে জানা থাকে কোন ধরনের কাজে কি ধরনের   রিস্ক হতে পারে এবং তার উৎপত্তিস্থল  বা কি?এবংসম্ভাব্য সমাধানের উপায় কি?  তবে খুব সহজেই রিস্ক  বা দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।  এ জন্য প্রত্যেকটি শিল্প-কারখানায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেকশন অথবা ডিপার্টমেন্ট নিয়ে রিস্ক  অ্যাসেসমেন্ট করা খুবই জরুরী এর মাধ্যমে  বিভিন্ন ধরনের  অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।


১) ঝুকির উৎসঃ প্লেইন সুইং মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ সেলাই মেশিনে ব্যবহৃত সুঁচ (Needle) আঙ্গুলে, চোখে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে আঘাত করতে পারে।

প্রতিকারঃ মেশিনে নিডিল গার্ড, আই গার্ড ব্যবহার করুন।


২) ঝুকির উৎসঃ প্লেইন সুইং মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ মেশিনে পুলি বেল্টে কাপড় বা অন্য কিছু পেচিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রতিকারঃ মেশিনের নিরাপত্তা কভার গুলো যেমন পুলি কভার , উপর ও নিচের বেল্ট কভার লাগিয়ে কাজ করুন।

৩) ঝুকির উৎসঃ ফ্ল্যাট লক এবং ওভার লক মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ মেশিনে ব্যবহৃত সুঁচ (Needle)  চোখে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে আঘাত করতে পারে।
প্রতিকারঃ মেশিনে আই গার্ড ব্যবহার করুন।


৪) ঝুকির উৎসঃ ফ্ল্যাট লক এবং ওভার লক মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ মাস্ক না পরলে প্রশ্বাসের সাথে ময়লা ধুলোবালি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে ভবিষ্যতে নানা ধরণের রোগ যেমন যক্ষা, হাপানী ইত্যাদি হতে পারে।
প্রতিকারঃ উপযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করুন।

৫) ঝুকির উৎসঃ বারটেক, বাটন হোল, বাটন ষ্টীচ, স্ন্যাপ বাটন, বাটন এটাচ মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ কাজ চলাকালীন সুঁচ বা বাটন ভেঙ্গে বা ফসকে চোখে লাগতে পারে। আঙ্গুল থেতলে যেতে পারে।

প্রতিকারঃ মেশিনে ফিঙ্গার গার্ড, আই গার্ড ব্যবহার করুন।


৬) ঝুকির উৎসঃ সাধারণ
সম্ভব্য ঝুকিঃ মেশিনের বৈদ্যুতিক কানেকশন লুজ থাকলে অগ্নি দূঘটনা ঘটতে পারে।

প্রতিকারঃ কাজ শুরুর পূর্বে মেশিনের বৈদ্যুতিক কানেকশন পরীক্ষা করে নিন ও রাবার ম্যাট ব্যবহার করুন।

৭) ঝুকির উৎসঃ ডাষ্ট
সম্ভব্য ঝুকিঃ মাস্ক না পরলে প্রশ্বাসের সাথে ময়লা ধুলোবালি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে ভবিষ্যতে নানা ধরণের রোগ যেমন যক্ষা, হাপানী ইত্যাদি হতে পারে।
প্রতিকারঃ উপযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করুন।


৮) ঝুকির উৎসঃ সিজার, কাটার, ভোঁমর, হ্যান্ড ট্যাগ গান
সম্ভব্য ঝুকিঃ সিজার, কাটার, ভোমর, হ্যান্ড ট্যাগ গান খোলা থাকলে তা পড়ে হাত-পা বা শরীরে কোন অংশ কেটে যেতে পারে।
প্রতিকারঃ সিজার, কাটার, ভোঁমর, হ্যান্ড ট্যাগ গান সুতা বা রশি দিয়ে বেধে রাখুন।

৯) ঝুকির উৎসঃ আয়রণ মেশিন
সম্ভব্য ঝুকিঃ আয়রণ অপারেটর নির্দেশিকা না মানলে বিপদে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিকারঃ আয়রণম্যান গনের উচিত আয়রণ আপারেটর নির্দেশিকা মেনে কাজ করা।

৬) ঝুকির উৎসঃ চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা
সম্ভাব্য ঝুঁকিঃ চলাচলের রাস্তায় বাঁধা মুক্ত না থাকলে চলাচলের সময় হোচট খেয়ে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিকারঃ চলাচলের পথ সর্বদা বাধাঁ মুক্ত রাখা।


৭) ঝুকির উৎসঃ উচ্চ শব্দ
সম্ভব্য ঝুকিঃ উচ্ছ শব্দের কারনে কানের সমস্যা হতে পারে, যেমন কানে কম শোনা সহ মাথা ব্যাথা হতে পারে।
প্রতিকারঃ ইয়ার প্লাগ / ইয়ার মাপ ব্যবহার করতে হবে।

১৪) আগুন
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাঃ আগুন
ঝুঁকির কারনঃ বৈদ্যুতিক গোলযোগ রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ, ধুমপান।
ঝুঁকির মাত্রাঃ উচ্চ
বিপদ/ক্ষতির সম্ভাবনাঃ জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন।

ঝুঁকি প্রতিরোধে করনীয়ঃ

ক) সকল বৈদ্যূতিক বোর্ড, তার ত্রæটিমুক্ত আছে কিনা নিদিষ্ট সময় পর পর পরীক্ষা করা।

খ) অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র পর্যাপ্ত পরিমানের স্থাপন করা।

গ) মাসে একবার অগ্নি মহড়া করা।

ঘ) কর্মক্ষেত্রে ধূমপান বর্জন ও সর্তীকরন পোস্টার লাগানো।

ঙ) অগ্নি নির্বাপন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে বছরে একবার কর্মশালার প্রয়োজন করা।

চ) অগ্নি নির্বাপন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে বছরে একবার কর্মশালার আয়োজন করা।

ছ) অগ্নি প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসব ও উদ্ধারকারী দল তৈরী করা।

জ) আগুন উর্দ্ধমুখী তাই তৃতীয় তলার আগুন লাগলে প্রথমে সেখানকার তারপর ৪র্থ তলা এরপর ৫ম তলা এবং সর্বশেষ দ্বিতীয় ও প্রথম তলার লোকজন বের হবে।


১৫) ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাঃ স্টোর

ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ও বিবরনঃ

ক) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ৫ কেজির বেশী মালামাল বহন করলে।

খ) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সিড়ি দিয়ে উপরে বহন করার ক্ষেত্রে ৪০ কেজির বেশ মালামাল বহন করলে।

গ) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা ৩০ কেজির বেশী মালামাল বহন করলে।

ঘ) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা সিড়ি  দিয়ে উপরে বহন করার ক্ষেত্রে ২৫ কেজির বেশী মালামাল বহন করলে।

ঙ)  অতিরিক্ত ভারী বস্তু নীচে হইতে মাথায় তুলতে গেলে মাজায় ব্যাথা লাগতে পারে।

ঝুঁকির বিবরনঃ
শারিরীক সমস্যা হতে পারে।

ঝুঁকি এড়ানোর উপায়ঃ

ক) সামনের দিকে ঝুকে ভার উত্তোলন না করা।

খ) ভার উত্তোলন পূর্বে ওজন সম্পর্কে জেনে নেওয়া।

গ) ওজন বহনের সময় সর্বদা ট্রলি ব্যবহার করা।

ঘ) ভার/ওজন বহনের ক্ষেত্রে অপরের সাহায্য নেওয়া।

ঙ) স্টোরে মালামাল স্টোরেজ করার সময় মাচা বা সিড়ি ব্যবহার করা।

চ) ভার উত্তোলনের কাজে /অতিরিক্ত ওজন বহনের কাজে মহিলা শ্রমিকদের নিয়োজিত না করা।

ছ) ভার উত্তোলনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মীদেরকে মাঝে মাঝে প্রশিক্ষন দেওয়া।

জ) পরিবহনের জন্য ব্যবহুত রাস্তা অবশ্যই এমনভাবে বাঁধামুক্ত হইতে হইবে যাহাতে শ্রমিকের হোঁচট খাইবার সম্ভাবনা না থাকে এবং কোন মতেই উহা পিচ্ছিল হইতে পারিবে না।

১৬ ) সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগ
রোগের নাম

০১। যক্ষা

০২। ডাইরিয়া-টাইফয়েড হেপাটাইটিস-এ

০৩। হেপাটাইটিস-বি

০৪। চিকেন পক্স (জল বসন্ত)

০৫। স্কাবিজ (খোসপাঁচড়া)

০৬। ডেঙ্গু/ম্যালেরিয়া

০৭। কৃমি

০৮। সিফিলিয়া / গনোরিয়া / এইডস

০৯। জন্ডিস

১০। চোখ উঠা

১১। উচ্চ রক্তচাপ

১২। স্ট্রোক

১৩। করোনারী র্হ্টা ডিজিজ

১৪। মানসিক রোগ

১৫। টিউমার

১৬। ক্যান্সার

১৭। ডায়বেটিস

১৮। এসিডিটি

১৯। সাইনোসাইনিস

২০। পিত্তথলির পাথর

২১। কিডনী রোগ


১৭) দুর্নীতি / উৎকোচ
সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ শ্রমিক / অংশীদারী / ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ শ্রমিক/ঠিকাদার/ অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান থেকে  নিয়োগ শর্তে অর্থ বা দামী উপহার গ্রহনের সম্ভাবনা।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ

ক) শ্রমিক/ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানীর নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।

 খ) শ্রমিক/ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

গ) শ্রমিক/ঠিকাদার/ অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার দুর্ণীতি বা অবৈধ কার্যক্রম প্রমাণিত হলে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করতে হবে।

বাস্তবায়নঃ
সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ সিডিউলের আ্রওতায় এনে হয়রানী, ঘুষ ও দুর্ণীতি নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ এবং শ্রমিক/ ঠিকাদার/ অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে অবগত করা হয়।

১৮)  সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ কারখানার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র ছাড়া কোন প্রকার মালামাল প্রবেশ বা বাহির করা, গেইটপাশে উল্লেখিত মালামালের চেয়ে বেশি পরিমাণ মালামাল গেইট দিয়ে বের হতে দেয়া, অবৈধ অনূপ্রবেশ এবং অবৈধ মালামাল প্রবেশ করতে দেয়া, আভ্যন্তরীণ কোন তথ্য বাহিরে আদান প্রদান করা।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ
নিরাপত্তা নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বাস্তবায়নঃ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষন সিডিউলের আওতায় এনে নিরাপত্তা নীতিমালা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করা হয়।



১৯)সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ অর্ডার নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ বায়ার এর সাথে যে দরে অর্ডার নেগোশিয়েশন করা হয় তা গোপন রেখে কম দরে কোম্পানীর নিকট উপস্থাপন করা ।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ পণ্যের মূল্য নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে কোম্পানীর মার্কেটিং নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বাস্তবায়নঃসংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানির মার্কেটিং নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।


২০) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ বেতন ও মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ শ্রমিকদের বেতন কম প্রদান করা ও অনুপস্থিত শ্রমিকের বেতন স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করা।

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ  সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সঠিকভাবে নথিপত্র নিরীক্ষণের মাধ্যমে।
বাস্তবায়নঃ সংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানীর দুর্ণীতি নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।

২১) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ মাতৃত্বকালীন সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে।

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
গর্ভবতী মহিলা শ্রমিককে মাতৃত্বকালীন ছুটি ও আর্থিক সুবিধা কম অথবা না দিয়ে আত্নসাৎ করা।
সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ কোম্পাানীর মাতৃত্বকালীন সুবিধার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। মাতৃত্বকালীন সুবিধার অর্থ প্রদানের সময় ওয়েলফেয়ার অফিসার স্বশরীরে হাজির থেকে অর্থ প্রদান করা।

বাস্তবায়নঃ সংশ্লিষ্ট সকলকে কোম্পানীর মাতৃত্বকালীন সুবিধার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।


২২) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ
 ষ্টোরে মালামাল ক্রয় ও  ব্যবহার করার ক্ষেত্রে

কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
ষ্টোরে মালামাল অপর্যাপ্ত ক্রয় ও অতিরিক্ত ব্যবহার করা

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ
কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সঠিকভাবে অনুসরণ করে কি না তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সঠিকভাবে নথিপত্র নিরীক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করা।

বাস্তবায়নঃ
কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা ও পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।


২৩) সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসঃ
রক্ষনাবেক্ষন মালামাল ক্রয় ও  ব্যবহার করার ক্ষেত্রে 
কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণঃ
রক্ষনাবেক্ষন মালামাল অপর্যাপ্ত ক্রয় ও অতিরিক্ত ব্যবহার করা

সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায়ঃ
কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা এবং পদ্ধতিসমূহ সঠিকভাবে অনুসরণ করে কি না তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সঠিকভাবে নথিপত্র নিরীক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করা।

বাস্তবায়নঃ কোম্পানীর ক্রয় ও ব্যবহার নীতিমালা ও পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে হবে

কোন মন্তব্য নেই: