পোশাক শিল্প কারখানায় আগুন লাগার কারণসমূহ ও প্রতিকার | Causes and remedies for setting fire to garment Factory - Textile Lab | Textile Learning Blog
Causes and remedies for setting fire to garment factory-পোশাক শিল্প কারখানায় আগুন লাগার কারণসমূহ ও প্রতিকার:

অসচেতনতা এবং অসতর্কতা বা অসাবধানতাই অগ্নিকান্ডের মূল কারণ।

পোশাক শিল্প কারখানায় আগুন লাগার কারণসমূহ ও প্রতিকারঃ 


1. কারণঃ বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট

প্রতিকারঃ 
প্র্তিটি লাইনের জন্য অটোমেটিক সার্কিট ব্রেকার বসানো, অটোমেটিক মেইন সুইচ, অটোমেটিক ভোল্টেজ ষ্টাবিলাইজার বসানো, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সকল ওয়্যারিং পরিবর্তন করা এবং সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য কারখানায় সার্বক্ষণিকভাবে একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান (সার্টিফিকেটধারী) নিয়োগ দেয়া।


2. কারণঃ সেলাই মেশিনের মটরের ঘর্ষণ

প্রতিকারঃ 
সেলাই মেশিনের মটর নিয়মিত পরিস্কার করণ ও তেল-মবিল দেয়া, মেশিনের সাথে উপযুক্ত আর্থিং সংযোগ দেয়া, বৈদ্যুতিক তারের কানেকশন লুজ না থাকা ইত্যাদি।

3. কারণঃ বৈদ্যুতিক জেনারেটর অতিরিক্ত উত্তপ্ত হলে।

প্রতিকারঃ 
বৈদ্যুতিক জেনারেটর অবিরাম না চালিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বন্ধ রাখা, জেনারেটর কক্ষে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, দক্ষ অপারেটর থাকা ইত্যাদি।


4. কারণঃ বয়লার লিকেজ

প্রতিকারঃ 
কারখানায়া সঠিক মানের বয়লার ব্যবহার করা। বয়লার কক্ষে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, বয়লার পরিচালনার জন্য দক্ষ অপারেটর (সার্টিফিকেটধারী) নিয়োগ দেয়া এবং নিয়মিত পরিদর্শন করা। বয়লার কারখানা ভবনের বাইরে স্থাপন করা।


5. কারণঃ জ্বলন্ত বিড়ি/সিগারেটের অবশিষ্টাংশ

প্রতিকারঃ  
কারখানার অভ্যন্তরে ধুমপান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে। সিগারেট ধরানোর পরে ম্যাচের কাঠি এবং ধুমপান শেষে অবশিষ্টাংশ ভালভাবে নিভিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।

6. কারণঃ জলন্ত আগুনের শিখা থেকে

প্রতিকারঃ 
কারখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার রান্না-বান্না না করা বা অন্য কোন কাজে আগুন না জ্বালানো।



7. কারণঃ ওয়েল্ডিং করা

প্রতিকারঃ 
কারখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার ওয়েল্ডিং এর কাজ না করা। বিশেষ কারণে ওয়েল্ডিং করার প্রয়োজন হলে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিয়ে নিতে হবে।

8. কারণঃ বৈদ্যুতিক আয়রণ ও থিনারের অসতর্ক ব্যবহার।

প্রতিকারঃ 
কাপড় আয়রন করার পর বা বিদ্যুৎ চলে গেলে আয়রন বন্ধ করে নির্দ্ধারিত জায়গায় রাখতে হবে। থিনার ব্যবহারের জন্য আলাদা কক্ষ থাকতে হবে। উক্ত কক্ষে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। থিনার ব্যবহারকারীকে অবশ্যই গ্লোভস এবং মুখোস ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার করার পূর্বে থিনারের স্প্রে মেশিনটি ভালভাবে চেক করে নিতে হবে।


9. কারণঃ সাবোটাজ বা উদ্দেশ্যমূলক আগুন

প্রতিকারঃ 
এ আগুনে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে এবং কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সুতরাং মন মানসিকতা পরিবর্তনই এ আগুন বন্ধের উপায়।

কারণঃ আরসন বা শত্রুতামূলক আগুন
প্রতিকারঃ এ আগুন শত্রু দ্বারা সংঘটিত হয়। সুতরাং শত্রু থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

10. কারণঃ কারখানার ভিতর অসতর্কভাবে কেমিক্যাল সংরক্ষণ করলে

প্রতিকারঃ 
কারখানার ভিতর কিছুতেই কেমিক্যাল সংরক্ষণ করা যাবে না। সম্পূর্ণ আলাদা কক্ষে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নিয়মানুসারে কেমিক্যাল সংরক্ষণ করতে হবে।



11. কারণঃ অপরিকল্পিত কাপড়ের গুদাম ঘর

প্রতিকারঃ 
কাপড়ের গুদামে কাপড় সমূহ নির্দিষ্ট নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে, যেমন ছাদ থেকে কমপক্ষে এক ফুট নীচে, দেয়াল থেকে এক ফুট দুরে, ফ্লোরে কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি পাটাতন তৈরী করে এবং প্রতিটি সারির মাঝখানে কমপক্ষে ৩ ফুট ফাকা রেখে কাপড় সংরক্ষণ করা। বন্ডেড ওয়্যার হাউজের মধ্যে কোন ক্রমেই বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ রাখা যাবে না। প্রয়োজনে চার্জার, আইপিএস ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

12. কারণঃ পরিকল্পিতভাবে কারখানা তৈরী না করা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা

প্রতিকারঃ 
আগুন প্রতিরোধের জন্য পোশাক শিল্প কারখানা কমপক্ষে ৩/৪ ঘন্টা আগুন প্রতিরোধে সক্ষম দ্রব্য দিয়ে পাকা করে তৈরী করতে হবে এবং কারখানার মেঝে, সিঁড়ি ও সান সাইড সব সময় পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।


13.কারণঃ ত্রুটিপূর্ণ  বৈদ্যুতিক তার ও ওয়্যারিং

প্রতিকারঃ সঠিক ও গুনগত মানের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা, কোন প্রকার লুজ ওয়্যারিং না রাখা, ওয়্যারিং কনসিলড বা কনডুইট করা, ভাঙ্গা প্লাগ, সকেট, কাটাউট ইত্যাদি পরিবর্তন করা, অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান বা ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ওয়্যারিং করানো, বৈদ্যুতিক চ্যানেলগুলো নয়মিত পরিস্কার করা ইত্যাদি।


পোশাক শিল্প কারখানায় আগুন লাগার কারণসমূহ ও প্রতিকার | Causes and remedies for setting fire to garment Factory

Causes and remedies for setting fire to garment factory-পোশাক শিল্প কারখানায় আগুন লাগার কারণসমূহ ও প্রতিকার:

অসচেতনতা এবং অসতর্কতা বা অসাবধানতাই অগ্নিকান্ডের মূল কারণ।

পোশাক শিল্প কারখানায় আগুন লাগার কারণসমূহ ও প্রতিকারঃ 


1. কারণঃ বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট

প্রতিকারঃ 
প্র্তিটি লাইনের জন্য অটোমেটিক সার্কিট ব্রেকার বসানো, অটোমেটিক মেইন সুইচ, অটোমেটিক ভোল্টেজ ষ্টাবিলাইজার বসানো, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সকল ওয়্যারিং পরিবর্তন করা এবং সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য কারখানায় সার্বক্ষণিকভাবে একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান (সার্টিফিকেটধারী) নিয়োগ দেয়া।


2. কারণঃ সেলাই মেশিনের মটরের ঘর্ষণ

প্রতিকারঃ 
সেলাই মেশিনের মটর নিয়মিত পরিস্কার করণ ও তেল-মবিল দেয়া, মেশিনের সাথে উপযুক্ত আর্থিং সংযোগ দেয়া, বৈদ্যুতিক তারের কানেকশন লুজ না থাকা ইত্যাদি।

3. কারণঃ বৈদ্যুতিক জেনারেটর অতিরিক্ত উত্তপ্ত হলে।

প্রতিকারঃ 
বৈদ্যুতিক জেনারেটর অবিরাম না চালিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বন্ধ রাখা, জেনারেটর কক্ষে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, দক্ষ অপারেটর থাকা ইত্যাদি।


4. কারণঃ বয়লার লিকেজ

প্রতিকারঃ 
কারখানায়া সঠিক মানের বয়লার ব্যবহার করা। বয়লার কক্ষে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, বয়লার পরিচালনার জন্য দক্ষ অপারেটর (সার্টিফিকেটধারী) নিয়োগ দেয়া এবং নিয়মিত পরিদর্শন করা। বয়লার কারখানা ভবনের বাইরে স্থাপন করা।


5. কারণঃ জ্বলন্ত বিড়ি/সিগারেটের অবশিষ্টাংশ

প্রতিকারঃ  
কারখানার অভ্যন্তরে ধুমপান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে। সিগারেট ধরানোর পরে ম্যাচের কাঠি এবং ধুমপান শেষে অবশিষ্টাংশ ভালভাবে নিভিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।

6. কারণঃ জলন্ত আগুনের শিখা থেকে

প্রতিকারঃ 
কারখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার রান্না-বান্না না করা বা অন্য কোন কাজে আগুন না জ্বালানো।



7. কারণঃ ওয়েল্ডিং করা

প্রতিকারঃ 
কারখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার ওয়েল্ডিং এর কাজ না করা। বিশেষ কারণে ওয়েল্ডিং করার প্রয়োজন হলে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিয়ে নিতে হবে।

8. কারণঃ বৈদ্যুতিক আয়রণ ও থিনারের অসতর্ক ব্যবহার।

প্রতিকারঃ 
কাপড় আয়রন করার পর বা বিদ্যুৎ চলে গেলে আয়রন বন্ধ করে নির্দ্ধারিত জায়গায় রাখতে হবে। থিনার ব্যবহারের জন্য আলাদা কক্ষ থাকতে হবে। উক্ত কক্ষে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। থিনার ব্যবহারকারীকে অবশ্যই গ্লোভস এবং মুখোস ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার করার পূর্বে থিনারের স্প্রে মেশিনটি ভালভাবে চেক করে নিতে হবে।


9. কারণঃ সাবোটাজ বা উদ্দেশ্যমূলক আগুন

প্রতিকারঃ 
এ আগুনে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে এবং কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সুতরাং মন মানসিকতা পরিবর্তনই এ আগুন বন্ধের উপায়।

কারণঃ আরসন বা শত্রুতামূলক আগুন
প্রতিকারঃ এ আগুন শত্রু দ্বারা সংঘটিত হয়। সুতরাং শত্রু থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

10. কারণঃ কারখানার ভিতর অসতর্কভাবে কেমিক্যাল সংরক্ষণ করলে

প্রতিকারঃ 
কারখানার ভিতর কিছুতেই কেমিক্যাল সংরক্ষণ করা যাবে না। সম্পূর্ণ আলাদা কক্ষে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নিয়মানুসারে কেমিক্যাল সংরক্ষণ করতে হবে।



11. কারণঃ অপরিকল্পিত কাপড়ের গুদাম ঘর

প্রতিকারঃ 
কাপড়ের গুদামে কাপড় সমূহ নির্দিষ্ট নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে, যেমন ছাদ থেকে কমপক্ষে এক ফুট নীচে, দেয়াল থেকে এক ফুট দুরে, ফ্লোরে কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি পাটাতন তৈরী করে এবং প্রতিটি সারির মাঝখানে কমপক্ষে ৩ ফুট ফাকা রেখে কাপড় সংরক্ষণ করা। বন্ডেড ওয়্যার হাউজের মধ্যে কোন ক্রমেই বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ রাখা যাবে না। প্রয়োজনে চার্জার, আইপিএস ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

12. কারণঃ পরিকল্পিতভাবে কারখানা তৈরী না করা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা

প্রতিকারঃ 
আগুন প্রতিরোধের জন্য পোশাক শিল্প কারখানা কমপক্ষে ৩/৪ ঘন্টা আগুন প্রতিরোধে সক্ষম দ্রব্য দিয়ে পাকা করে তৈরী করতে হবে এবং কারখানার মেঝে, সিঁড়ি ও সান সাইড সব সময় পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।


13.কারণঃ ত্রুটিপূর্ণ  বৈদ্যুতিক তার ও ওয়্যারিং

প্রতিকারঃ সঠিক ও গুনগত মানের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা, কোন প্রকার লুজ ওয়্যারিং না রাখা, ওয়্যারিং কনসিলড বা কনডুইট করা, ভাঙ্গা প্লাগ, সকেট, কাটাউট ইত্যাদি পরিবর্তন করা, অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান বা ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ওয়্যারিং করানো, বৈদ্যুতিক চ্যানেলগুলো নয়মিত পরিস্কার করা ইত্যাদি।


কোন মন্তব্য নেই: